নিঝুমদ্বীপ যাওয়ার কথা ভাবছেন বা মনে মনে আছে যাবেন যাবেন। তাহলে তাদের জন্য বলি বিশ্বাস করেন এটাই বেষ্ট টাইম। লেখাটা অনেক বড় যারা যাবেন বা ভবিষ্যতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন তারা সময় নিয়ে পড়বেন আশা করি।
বঙ্গোপসাগরের কোলে উত্তর ও পশ্চিমে মেঘনার শাখা নদী, আর দক্ষিণ এবং পূর্বে সৈকত ও সমুদ্র বালুচরবেষ্টিত ছোট্ট সবুজ ভূখণ্ড নিঝুম দ্বীপ.। অগণিত শ্বাসমূলে ভরা কেওড়া বাগানের এক সবুজ এই দ্বীপকে। দিনে দুবার জোয়ার-ভাটার এই দ্বীপের এক পাশ ঢেকে আছে সাদা বালুতে, আর অন্য পাশে সৈকত। নিঝুম দ্বীপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো মাইলের পর মাইল জুড়ে কেওড়া বন আর সেই বনের পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা চিত্রা হরিণ। বঙ্গোপসাগরের কোলে সম্প্রতি আরো একটি অনিন্দসুন্দর সমুদ্র সৈকত জেগে উঠেছে। সৈকতটি একেবারে আনকোরা, কুমারী। স্থানীয়ভাবে যাকে এখন ডাকা হচ্ছে 'ভার্জিন সি বিচ' বলে।হাতিয়া উপজেলার বঙ্গোপসারের কোল ঘেঁষা নিঝুম দ্বীপ সংলগ্ন দমার চরের দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত। নিঝুম দ্বীপের লোকজন এবং মাছ ধরতে যাওয়া লোকেরা এই নয়নাভিরাম সৈকতকে বলে ‘দেইলা’ বা বালুর স্তুপ। তাদেরকে আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি যে আসলে এটা একটা সমুদ্র সৈকত। যা কিনা কক্সবাজরের সমুদ্র সৈকতের চেয়েও অনেক বেশী সুন্দর এবং আকর্ষনীয়। যা এখনো অনেক ট্যুরিস্ট এর কাছেই অজানা।
ঢাকা থেকে নিঝুমদীপ ।
কিভাবে যাবেনঃ বাসে করে গেলে প্রথমে হিমাচল, একুশে অথবা একুশে মুন পরিবহনের বাসে যেতে হবে নোয়াখালীর সোনাপুরে, প্রতিদিন মোটামুটি সকাল দুপুর ও সন্ধ্যায় সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে নোয়াখালীর সোনাপুর এর দিকে বাস ছেড়ে যায়, আবার ধানমন্ডি জিগাতলা কাউন্টার থেকে ফকিরাপুল হয়ে একুশে পরিবহনের বাস ছাড়ে রাত ১০.২০ মিনিট।
আপনি ট্রেনে যেতে পারেন নোয়াখালীর মাইজদি পর্যন্ত। ঢাকা কমলাপুর থেকে বৃহস্পতি বার বাদে, প্রতিদিন বিকাল ৪.২০ মিনিট এ ৭১২ নং আন্তঃনগর উপকুল এক্সপ্রেস নোয়াখালী এর দিকে ছেড়ে যায়, মাইজদি পৌঁছে রাত ১০.২২ মিনিট। ভাড়া - স্নিগ্ধা - ৫০৩ টাকা, প্রথম চেয়ার - ৩৫৫ টাকা, শোভন চেয়ার - ২৭০ টাকা, শোভন - ২৩০ টাকা।
নোয়াখালীর সোনাপুর / মাইজদি থেকে লোকাল বাস বা সিএনজিতে করে, সি এন জি সারাদিন চলে ভাড়া জনপ্রতি ১০০-১১০ টাকা চেয়ারম্যান ঘাটে।
চেয়ারম্যান ঘাট থেকে সি-ট্রাক, ট্রলার ও স্পীড বোট ছাড়ে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে, সি-ট্রাক ছাড়ে প্রতিদিন সকাল ৮ টায় নম্বর-০১৭৫৬৮৪৬১০৬ ভাড়া জনপ্রতি - ৮০ টাকা, ট্রলার - ১২০ - ১৫০ টাকা ভাড়া প্রতিজন ও স্পীড বোট জনপ্রতি ভাড়া - ৪০০-৫০০ টাকা। যাত্রীদেরকে নামাবে হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে, নলচিরা থেকে বেবিটেক্সিতে (৬০০-৭০০) করে যেতে হবে মোক্তারিয়া ঘাটে, সরাসরি নলচিরা ঘাট থেকে মোটর সাইকেল রিজার্ভ করে মোক্তারিয়া ঘাট এ যাওয়া যায় ভাড়া দুই জন ৩৫০ - ৪৫০ টাকা, দর দাম করে নিবেন। সেখান থেকে ট্রলারে ১৫ মিনিট লাগবে নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা ঘাটে ভাড়া জনপ্রতি - ১০ টাকা। এরপর আপনি যদি নামার বাজার থাকেন তবে ভ্যান/রিক্সা/মোটর সাইকেল এ যেতে হবে। ভাড়া ৮০-১০০ টাকা মটরসাইকেল দুইজন। বন্দর টিলায় ও থাকতে পারেন আপনি তবে নামার বাজার থাকা বেস্ট। নলচিরা থেকে নোয়াখালী চেয়ারম্যান ঘাট যাওয়ার ফিরতি সী ট্রাক ছাড়ে সকাল ১১ টায়।
থাকার ব্যবস্থাঃ
নিঝুম দ্বীপে নামার সাথে সাথে মোটর সাইকেল ওয়ালা রা আপনাকে ঘিরে ধরবে, তাদের নিয়ে যাওয়া কোন হোটেল এ যাবেন না।
১. নিঝুম রিসোর্ট (অবকাশ হোটেল) নামার বাজারঃ এটা অবকাশ পর্যটন লিমিটেড এর একটা রিসোর্ট। নামার বাজার সী বীচ এর কাছে অবস্থিত। নিঝুম রিসোর্ট নামে নিঝুম দ্বীপে থাকার জন্য একটি ভালো মানের রিসোর্ট। এর ম্যানেজার সবুজ ভাই অত্যান্ত ভালো মানুষ। খুব ই হেল্প ফুল এন্ড ফ্রেন্ডলি।
এখানে ২ বেড এর VIP রুম ভাড়া ২০০০ টাকা, ২ বেড এর Executive রুম ভাড়া ১৫০০ টাকা, ৩ বেড এর Executive রুম ভাড়া ১৮০০ টাকা, ৪ বেড এর Executive রুম ভাড়া ২০০০ টাকা, ৫ বেড এর ফ্যামিলি রুম ভাড়া ৩০০০ টাকা এবং ৫ বেড এর ডরমেটরি রুম ভাড়া ১৮০০ টাকা ও ১২ বেড এর ডরমেটরি রুম ভাড়া ৩০০০ টাকা।
* সব গুলো রুম এ এটাচ বাথ রুম আছে।
* ডরমেটরি রুমে এক্সট্রা প্রতি জন থাকলে ২০০ টাকা করে দিতে হবে।
* দুপুর ১২ টার আগে চেক আউট করতে হবে।
* জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ পাবেন সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০.৩০ পর্যন্ত। এছাড়া সারা রাত লাইট ইউজ করতে পারবেন সোলার প্যানেল থেকে। এছাড়া সারাদিন ১-২ ঘন্টা পর পর ৩০ মিনিট এর জন্য বিদ্যুৎ পাবেন।
যোগাযোগঃ ঢাকা অফিসঃ অবকাশ পর্যটন লি., আলহাজ সামসুদ্দিন ম্যানসন (নবম তলা), ১৭ নিউ ইস্কাটন রোড, ঢাকা। ফোন : ৮৩৫৮৪৮৫, ৯৩৪২৩৫১, ৯৩৫৯২৩০, ০১৫৫২৩৭২২৬৯।
নিঝুম দ্বীপ অফিসঃ সবুজ ভাইঃ ০১৭২৪-১৪৫৮৬৪, ০১৮৪৫৫৫৮৮৯৯ , ০১৭৩৮২৩০৬৫৫
৩. মসজিদ বোর্ডিং, নামার বাজার। এটা সবচেয়ে সস্তায় থাকার ব্যবস্থা। স্থানীয় মসজিদ থেকে এই ব্যবস্থা করেছে, এক্সট্রা দুটা সিঙ্গেল এবং দুটা ডবল রুম আছে, আর সব ডরমেটরি । ডরমেটরি - ভাড়া ২০০ - ৩০০ টাকা।
এই বোর্ডিং-এ কোনো এটাচ্ট বাথরুম এবং জেনারটরের ব্যবস্থা নাই। এখানে ২টি কমন বাথরুম এবং একটি টিউবওয়েল আছে।
এই বোর্ডিং-এ থাকার জন্য বুকিং করতে যোগাযোগ করুন: মোঃ আব্দুল হামিদ জসিম, কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ, নামার বাজার, হাতিয়া, নোয়াখালী। ফোনঃ ০১৭২৭-৯৫৮৮৭৯
৪. নিঝুম ড্রিম ল্যান্ড রিসোর্ট, বন্দরটিলা। এইটা নতুন উদ্বোধন হয়েছে এই বছরেই। পরিবেশ টা ভালোই। ঢাকা বুকিং অফিসঃ০১৮৪৭১২৩৫৭৩, নিঝুমদ্বীপ বুকিং অফিসঃ০১৮৪৭১২৩৫৭২
৫. হোটেল দ্বীপ সম্পদ, (সৈয়দ চাচার থাকা ও খাওয়ার হোটেল) নামার বাজার। ফোনঃ ০১৭২০ ৬০১ ০২৬, ০১৭৬০ ০০৮১০৬।
৬. বন্দর টিলা বাজারে হোটেল শেরাটনের পিছনেই একটা শেল্টার কাম গেস্ট হাউজ আছে। ওখানে প্রতি রুম ১০০০-১২০০ টাকার মত নিবে বড় বড় ৫ টা খাট আছে প্রতি রুমে। কথা বলে নিলে জেনারেটরের ব্যবস্থাও আছে তার জন্য আলাদা টাকা গুনতে হবে। বন্দরটিলা থাকলে এটাই বেস্ট।
খাবার দাবারঃ
সামুদ্রিক মাছ, মাংস, মোটা চালের ভাত, রুটি সব ই পাবেন, তবে প্রি - অর্ডার করে রাখা ভালো। খবার খাবেন আমার সাজেস্ট মতে আলতাফ চাচার হোটেল আশিক সেকেন্ড অপশন হোটেল দ্বীপ সম্পদ, (সৈয়দ চাচার খাওয়ার হোটেল), নামার বাজার। সামুদ্রিক মাছ এবং চিংড়ী খাবেন ভালো লাগবে। রাতের বেলা নিঝুম রিসোর্ট এর ম্যানেজার সবুজ ভাইকে মুরগী/কোরাল মাছ অথবা ইলিশ মাছ কিনে দিন আর মশলা, লাকড়ি এর জন্য কিছু টাকা খরচ দিয়ে দিন, উনি বার বি কিউ এর ব্যাবস্থা করবে, সব ইন্সট্রুমেন্ট নিঝুম দ্বীপ এ একমাত্র উনার কাছেই আছে, উনি এক্সপারট ও বটে।
দর্শনীয় জায়গাঃ
১. চৌধুরী খাল ও কবিরাজের চর । যেতে হবে বিকেল এ সন্ধ্যার আগে, চৌধুরীর খাল নেমে ঘন্টা খানেক হাঁটলেই বনের মধ্যে হরিন এর পালের দেখা পেতে পারেন। একটা ট্রলার রিজার্ভ নিন ১০-১৫ জনের গ্রুপ এর জন্য ১০০০-১২০০ টাকা ওরাই হরিন দেখিয়ে আনবে, সন্ধ্যার সময় কবিরাজের চর এ নেমে সূর্যাস্ত ও হাজার হাজার মহিষের পাল দেখতে ভুলবেন না।
২. চোয়াখালি ও চোয়াখালি সী-বিচ । চোয়াখালি তে গেলে খুব সকালে হরিন দেখা যায় । মটর সাইকেল ওয়ালাকে বলে রাখুন খুব সকালে আপনাকে হোটেল থেকে নিয়ে হরিন দেখিয়ে আনবে । আমাদের মত লাক ভালো থাকলে সকাল ৫ টায় ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করতে করতে নিঝুম রিসোর্ট এর বারান্দা থেকেও হরিন দেখতে পারবেন ২/৪ পিস :D
৩. ম্যানগ্রোভ বন । নিঝুম দ্বীপ বনায়ন প্রকল্প । নিঝুম দিপে ছোট ছোট পোলাপাইন রা গাইড এর কাজ করে, এদের সাথে নিয়ে সকাল বেলায় বনের ভেতর ঢুকে পড়ুন। হরিন দেখতে পারবেন।
৪. নামার বাজার সী-বিচ। নামার বাজার থেকে হেঁটে যেতে ১০ মিনিট লাগে। এখান থেকে সূর্য উদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন, এখানে বারবিকিউ করে মজা পাবেন।
৫. দমার চর । এই চরের দক্ষিন দিকে নতুন একটা সী বিচ আছে যাকে বলে "ভার্জিন আইসল্যান্ড" । এখানে অনেক নাম না জানা পাখির দেখা পাবেন খুব সকালে যদি যান। অনেক টুরিস্ট দের কাছে এখনও অজানা এই জায়গাটা। ট্রলার ভাড়া ৩০০০-৩৫০০ টাকা। ট্রলার এর মাঝির নম্বরঃ জাকির - ০১৭৮৭ ৬০৫ ৪৪৪ (ভালো মানুষ তবে ভাড়া একটু বেশি চায়, নিঝুম রিসোর্ট এর ম্যানেজার সবুজ ভাইয়ের হেল্প নিয়ে ভাড়া ঠিক করে ফেলুন)।
৬. নামার বাজার থেকে বন্দরটিলা আসার পথেই ১ নাম্বার শেল্টারের পাশ দিয়ে জমি পার হয়ে দেখে আসতে পারেন বাংলাদেশের একমাত্র মরুদ্যান এর রেপ্লিকা।
কার্টিসি-টিওবি। সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় তথ্য ইডিট করেছি।
সংগ্রহে
মোহাম্মদ সাজেদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বঙ্গোপসাগরের কোলে উত্তর ও পশ্চিমে মেঘনার শাখা নদী, আর দক্ষিণ এবং পূর্বে সৈকত ও সমুদ্র বালুচরবেষ্টিত ছোট্ট সবুজ ভূখণ্ড নিঝুম দ্বীপ.। অগণিত শ্বাসমূলে ভরা কেওড়া বাগানের এক সবুজ এই দ্বীপকে। দিনে দুবার জোয়ার-ভাটার এই দ্বীপের এক পাশ ঢেকে আছে সাদা বালুতে, আর অন্য পাশে সৈকত। নিঝুম দ্বীপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো মাইলের পর মাইল জুড়ে কেওড়া বন আর সেই বনের পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা চিত্রা হরিণ। বঙ্গোপসাগরের কোলে সম্প্রতি আরো একটি অনিন্দসুন্দর সমুদ্র সৈকত জেগে উঠেছে। সৈকতটি একেবারে আনকোরা, কুমারী। স্থানীয়ভাবে যাকে এখন ডাকা হচ্ছে 'ভার্জিন সি বিচ' বলে।হাতিয়া উপজেলার বঙ্গোপসারের কোল ঘেঁষা নিঝুম দ্বীপ সংলগ্ন দমার চরের দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত। নিঝুম দ্বীপের লোকজন এবং মাছ ধরতে যাওয়া লোকেরা এই নয়নাভিরাম সৈকতকে বলে ‘দেইলা’ বা বালুর স্তুপ। তাদেরকে আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি যে আসলে এটা একটা সমুদ্র সৈকত। যা কিনা কক্সবাজরের সমুদ্র সৈকতের চেয়েও অনেক বেশী সুন্দর এবং আকর্ষনীয়। যা এখনো অনেক ট্যুরিস্ট এর কাছেই অজানা।
ঢাকা থেকে নিঝুমদীপ ।
কিভাবে যাবেনঃ বাসে করে গেলে প্রথমে হিমাচল, একুশে অথবা একুশে মুন পরিবহনের বাসে যেতে হবে নোয়াখালীর সোনাপুরে, প্রতিদিন মোটামুটি সকাল দুপুর ও সন্ধ্যায় সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে নোয়াখালীর সোনাপুর এর দিকে বাস ছেড়ে যায়, আবার ধানমন্ডি জিগাতলা কাউন্টার থেকে ফকিরাপুল হয়ে একুশে পরিবহনের বাস ছাড়ে রাত ১০.২০ মিনিট।
আপনি ট্রেনে যেতে পারেন নোয়াখালীর মাইজদি পর্যন্ত। ঢাকা কমলাপুর থেকে বৃহস্পতি বার বাদে, প্রতিদিন বিকাল ৪.২০ মিনিট এ ৭১২ নং আন্তঃনগর উপকুল এক্সপ্রেস নোয়াখালী এর দিকে ছেড়ে যায়, মাইজদি পৌঁছে রাত ১০.২২ মিনিট। ভাড়া - স্নিগ্ধা - ৫০৩ টাকা, প্রথম চেয়ার - ৩৫৫ টাকা, শোভন চেয়ার - ২৭০ টাকা, শোভন - ২৩০ টাকা।
নোয়াখালীর সোনাপুর / মাইজদি থেকে লোকাল বাস বা সিএনজিতে করে, সি এন জি সারাদিন চলে ভাড়া জনপ্রতি ১০০-১১০ টাকা চেয়ারম্যান ঘাটে।
চেয়ারম্যান ঘাট থেকে সি-ট্রাক, ট্রলার ও স্পীড বোট ছাড়ে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে, সি-ট্রাক ছাড়ে প্রতিদিন সকাল ৮ টায় নম্বর-০১৭৫৬৮৪৬১০৬ ভাড়া জনপ্রতি - ৮০ টাকা, ট্রলার - ১২০ - ১৫০ টাকা ভাড়া প্রতিজন ও স্পীড বোট জনপ্রতি ভাড়া - ৪০০-৫০০ টাকা। যাত্রীদেরকে নামাবে হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে, নলচিরা থেকে বেবিটেক্সিতে (৬০০-৭০০) করে যেতে হবে মোক্তারিয়া ঘাটে, সরাসরি নলচিরা ঘাট থেকে মোটর সাইকেল রিজার্ভ করে মোক্তারিয়া ঘাট এ যাওয়া যায় ভাড়া দুই জন ৩৫০ - ৪৫০ টাকা, দর দাম করে নিবেন। সেখান থেকে ট্রলারে ১৫ মিনিট লাগবে নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা ঘাটে ভাড়া জনপ্রতি - ১০ টাকা। এরপর আপনি যদি নামার বাজার থাকেন তবে ভ্যান/রিক্সা/মোটর সাইকেল এ যেতে হবে। ভাড়া ৮০-১০০ টাকা মটরসাইকেল দুইজন। বন্দর টিলায় ও থাকতে পারেন আপনি তবে নামার বাজার থাকা বেস্ট। নলচিরা থেকে নোয়াখালী চেয়ারম্যান ঘাট যাওয়ার ফিরতি সী ট্রাক ছাড়ে সকাল ১১ টায়।
থাকার ব্যবস্থাঃ
নিঝুম দ্বীপে নামার সাথে সাথে মোটর সাইকেল ওয়ালা রা আপনাকে ঘিরে ধরবে, তাদের নিয়ে যাওয়া কোন হোটেল এ যাবেন না।
১. নিঝুম রিসোর্ট (অবকাশ হোটেল) নামার বাজারঃ এটা অবকাশ পর্যটন লিমিটেড এর একটা রিসোর্ট। নামার বাজার সী বীচ এর কাছে অবস্থিত। নিঝুম রিসোর্ট নামে নিঝুম দ্বীপে থাকার জন্য একটি ভালো মানের রিসোর্ট। এর ম্যানেজার সবুজ ভাই অত্যান্ত ভালো মানুষ। খুব ই হেল্প ফুল এন্ড ফ্রেন্ডলি।
এখানে ২ বেড এর VIP রুম ভাড়া ২০০০ টাকা, ২ বেড এর Executive রুম ভাড়া ১৫০০ টাকা, ৩ বেড এর Executive রুম ভাড়া ১৮০০ টাকা, ৪ বেড এর Executive রুম ভাড়া ২০০০ টাকা, ৫ বেড এর ফ্যামিলি রুম ভাড়া ৩০০০ টাকা এবং ৫ বেড এর ডরমেটরি রুম ভাড়া ১৮০০ টাকা ও ১২ বেড এর ডরমেটরি রুম ভাড়া ৩০০০ টাকা।
* সব গুলো রুম এ এটাচ বাথ রুম আছে।
* ডরমেটরি রুমে এক্সট্রা প্রতি জন থাকলে ২০০ টাকা করে দিতে হবে।
* দুপুর ১২ টার আগে চেক আউট করতে হবে।
* জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ পাবেন সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০.৩০ পর্যন্ত। এছাড়া সারা রাত লাইট ইউজ করতে পারবেন সোলার প্যানেল থেকে। এছাড়া সারাদিন ১-২ ঘন্টা পর পর ৩০ মিনিট এর জন্য বিদ্যুৎ পাবেন।
যোগাযোগঃ ঢাকা অফিসঃ অবকাশ পর্যটন লি., আলহাজ সামসুদ্দিন ম্যানসন (নবম তলা), ১৭ নিউ ইস্কাটন রোড, ঢাকা। ফোন : ৮৩৫৮৪৮৫, ৯৩৪২৩৫১, ৯৩৫৯২৩০, ০১৫৫২৩৭২২৬৯।
নিঝুম দ্বীপ অফিসঃ সবুজ ভাইঃ ০১৭২৪-১৪৫৮৬৪, ০১৮৪৫৫৫৮৮৯৯ , ০১৭৩৮২৩০৬৫৫
৩. মসজিদ বোর্ডিং, নামার বাজার। এটা সবচেয়ে সস্তায় থাকার ব্যবস্থা। স্থানীয় মসজিদ থেকে এই ব্যবস্থা করেছে, এক্সট্রা দুটা সিঙ্গেল এবং দুটা ডবল রুম আছে, আর সব ডরমেটরি । ডরমেটরি - ভাড়া ২০০ - ৩০০ টাকা।
এই বোর্ডিং-এ কোনো এটাচ্ট বাথরুম এবং জেনারটরের ব্যবস্থা নাই। এখানে ২টি কমন বাথরুম এবং একটি টিউবওয়েল আছে।
এই বোর্ডিং-এ থাকার জন্য বুকিং করতে যোগাযোগ করুন: মোঃ আব্দুল হামিদ জসিম, কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ, নামার বাজার, হাতিয়া, নোয়াখালী। ফোনঃ ০১৭২৭-৯৫৮৮৭৯
৪. নিঝুম ড্রিম ল্যান্ড রিসোর্ট, বন্দরটিলা। এইটা নতুন উদ্বোধন হয়েছে এই বছরেই। পরিবেশ টা ভালোই। ঢাকা বুকিং অফিসঃ০১৮৪৭১২৩৫৭৩, নিঝুমদ্বীপ বুকিং অফিসঃ০১৮৪৭১২৩৫৭২
৫. হোটেল দ্বীপ সম্পদ, (সৈয়দ চাচার থাকা ও খাওয়ার হোটেল) নামার বাজার। ফোনঃ ০১৭২০ ৬০১ ০২৬, ০১৭৬০ ০০৮১০৬।
৬. বন্দর টিলা বাজারে হোটেল শেরাটনের পিছনেই একটা শেল্টার কাম গেস্ট হাউজ আছে। ওখানে প্রতি রুম ১০০০-১২০০ টাকার মত নিবে বড় বড় ৫ টা খাট আছে প্রতি রুমে। কথা বলে নিলে জেনারেটরের ব্যবস্থাও আছে তার জন্য আলাদা টাকা গুনতে হবে। বন্দরটিলা থাকলে এটাই বেস্ট।
খাবার দাবারঃ
সামুদ্রিক মাছ, মাংস, মোটা চালের ভাত, রুটি সব ই পাবেন, তবে প্রি - অর্ডার করে রাখা ভালো। খবার খাবেন আমার সাজেস্ট মতে আলতাফ চাচার হোটেল আশিক সেকেন্ড অপশন হোটেল দ্বীপ সম্পদ, (সৈয়দ চাচার খাওয়ার হোটেল), নামার বাজার। সামুদ্রিক মাছ এবং চিংড়ী খাবেন ভালো লাগবে। রাতের বেলা নিঝুম রিসোর্ট এর ম্যানেজার সবুজ ভাইকে মুরগী/কোরাল মাছ অথবা ইলিশ মাছ কিনে দিন আর মশলা, লাকড়ি এর জন্য কিছু টাকা খরচ দিয়ে দিন, উনি বার বি কিউ এর ব্যাবস্থা করবে, সব ইন্সট্রুমেন্ট নিঝুম দ্বীপ এ একমাত্র উনার কাছেই আছে, উনি এক্সপারট ও বটে।
দর্শনীয় জায়গাঃ
১. চৌধুরী খাল ও কবিরাজের চর । যেতে হবে বিকেল এ সন্ধ্যার আগে, চৌধুরীর খাল নেমে ঘন্টা খানেক হাঁটলেই বনের মধ্যে হরিন এর পালের দেখা পেতে পারেন। একটা ট্রলার রিজার্ভ নিন ১০-১৫ জনের গ্রুপ এর জন্য ১০০০-১২০০ টাকা ওরাই হরিন দেখিয়ে আনবে, সন্ধ্যার সময় কবিরাজের চর এ নেমে সূর্যাস্ত ও হাজার হাজার মহিষের পাল দেখতে ভুলবেন না।
২. চোয়াখালি ও চোয়াখালি সী-বিচ । চোয়াখালি তে গেলে খুব সকালে হরিন দেখা যায় । মটর সাইকেল ওয়ালাকে বলে রাখুন খুব সকালে আপনাকে হোটেল থেকে নিয়ে হরিন দেখিয়ে আনবে । আমাদের মত লাক ভালো থাকলে সকাল ৫ টায় ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করতে করতে নিঝুম রিসোর্ট এর বারান্দা থেকেও হরিন দেখতে পারবেন ২/৪ পিস :D
৩. ম্যানগ্রোভ বন । নিঝুম দ্বীপ বনায়ন প্রকল্প । নিঝুম দিপে ছোট ছোট পোলাপাইন রা গাইড এর কাজ করে, এদের সাথে নিয়ে সকাল বেলায় বনের ভেতর ঢুকে পড়ুন। হরিন দেখতে পারবেন।
৪. নামার বাজার সী-বিচ। নামার বাজার থেকে হেঁটে যেতে ১০ মিনিট লাগে। এখান থেকে সূর্য উদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন, এখানে বারবিকিউ করে মজা পাবেন।
৫. দমার চর । এই চরের দক্ষিন দিকে নতুন একটা সী বিচ আছে যাকে বলে "ভার্জিন আইসল্যান্ড" । এখানে অনেক নাম না জানা পাখির দেখা পাবেন খুব সকালে যদি যান। অনেক টুরিস্ট দের কাছে এখনও অজানা এই জায়গাটা। ট্রলার ভাড়া ৩০০০-৩৫০০ টাকা। ট্রলার এর মাঝির নম্বরঃ জাকির - ০১৭৮৭ ৬০৫ ৪৪৪ (ভালো মানুষ তবে ভাড়া একটু বেশি চায়, নিঝুম রিসোর্ট এর ম্যানেজার সবুজ ভাইয়ের হেল্প নিয়ে ভাড়া ঠিক করে ফেলুন)।
৬. নামার বাজার থেকে বন্দরটিলা আসার পথেই ১ নাম্বার শেল্টারের পাশ দিয়ে জমি পার হয়ে দেখে আসতে পারেন বাংলাদেশের একমাত্র মরুদ্যান এর রেপ্লিকা।
কার্টিসি-টিওবি। সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় তথ্য ইডিট করেছি।
সংগ্রহে
মোহাম্মদ সাজেদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৬৯ হাজার টাকা বেতন মার্কিন দূতাবাসে প্রশাসনিক পদে নিয়োগ
যোগ্যতা
বিজ্ঞান, বাণিজ্য বা শিল্পকলা বিষয়ে স্নাতক পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে। ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় লিখিত, মৌখিক ও পাঠ করার ক্ষেত্রে লেভেল চার সমমানের পারদর্শিতা থাকতে হবে।
বেতন
নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রতিমাসে ৬৯ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
উনিভার্সাল অ্যাপ্লিকেশন ফর এমপ্লয়মেন্ট (ইউএই) ফরমে (ফরম ডিএস-১৭৪) আবেদন করতে হবে। আবেদন ফরম এবং আবেদন সংক্রান্ত বিস্তারিত পাওয়া যাবে দূতাবাসের ওয়েবসাইটে (bd.usembassy.gov)। আবেদন করার সুযোগ থাকছে ২৮ মার্চ, ২০১৭ পর্যন্ত।
বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিতে-
JOB CONTEXT
- U.S. Embassy Dhaka is seeking eligible and qualified applicants for the position of Administrative Assistant.
- NOTE: Due to the high volume of applications received, we will only contact applicants who are being considered. Thank you for your understanding.
JOB DESCRIPTION / RESPONSIBILITY
- Responsible for performing a comprehensive range of secretarial duties and administrative/ clerical functions connected with the programming activities of four Public Diplomacy Officers and the Cultural Affairs Office. Responsible for data input and all paper flow related work for a full range of professional, academic, citizen and youth exchange programs. Serves as primary backup user of contact database, coordinating guest lists and invitations. Serves as primary backup for PAO Secretary and for PA time and attendance. Coordinates travel requests, vouchers, vehicle requests, expendable supplies, and facilities maintenance requests for PAS. Serves as the Public Affairs sub-cashier.
JOB NATURE
Full-time
EDUCATIONAL REQUIREMENTS
- Bachelor’s degree in Arts, Commerce, or Science (U.S. equivalent college studies) is required. (You must attach a copy of your bachelor’s degree certificate along with your application form.)
EXPERIENCE REQUIREMENTS
- At least 5 year(s)
JOB REQUIREMENTS
- A minimum of five years of experience in administrative support work is required. Previous experience must demonstrate the ability to achieve full proficiency in this position.
- Level 4 (Fluent) Speaking/Reading/Writing of Bangla and English is required. English language proficiency will be tested.
JOB LOCATION
Dhaka
Apply Instruction
Applicants must submit the application form & required documents either by regular mail (postal service) or, deliver by hand to the south barrier of the U.S. Embassy to be considered.
Universal Application for Employment (UAE) (Form DS-174), available on our website athttp://bd.usembassy.gov/ (Click on ‘I am looking for jobs at the Embassy’, will take you to ”Job Openings at the Embassy”); blank application forms are also available at the south barrier of the U.S. Embassy (near the Nepalese & Vatican Embassies). Please find the full job announcement on our website at:http://bd.usembassy.gov/
Application Deadline : Mar 28, 2017
#সবার_সহযোগিতায়_আবার_হাসতে_পারবে_জোবায়ের।।।।।
“সবাই এগিয়ে আসুন।“
“মাসুষ মানুষের জন্য, মানবতার সেবায় সবাই এগিয়ে আসুন”
মেনে নেওয়া যায় না, মেনে নিতে পারছি না,
ঠিক যে বয়সে জোবায়ের মাঠে থাকার কথা। ঠিক ঐ সময় জোবায়ের হাসপাতালে সিটে শুয়ে মৃত্যর সাথে পাঞ্জা লড়ছে, সে হাসপাতাল শুয়ে ভাবছে অাবার কি মাঠে অাসতে পারবে??? প্রিয় ক্যাম্পাসে অাসতে পারবে? তার সহপাঠী দের সাথে অাড্ডা ও ক্লাস করতে পারবে???এই সব কিছু ভেবে তার চোখের পানি চলে অাসে। ভাই অামি টাকার কাছে হেরে যাবে??? ভাই ক্যানসার কি ভালো হয়???
এইটা কেনো ব্যাপার সব ঠিক হয়ে যাবে ভাই।
ক্যানসার অাক্রান্ত জোবায়ের সাহায্য অামরা এগিয়ে অাসবো, চাইলে অাপনি ও অাসতে পারেন।
জোবায়র কে সাহায্য পাঠানের ঠিকনা
তার বড় ভাই
মোঃ হেদায়েত উল্লা
একাউন্ট নাম্বার ৩৪১৩১৮৭১
সোনালি ব্যাংক মাইজদী শাখা।
বিকাশ পারসোনাল :০১৭৮৮৩৫৩৬৩২
ডাচ বাংলা : ০১৮২১০৫৯৮৯৯৭
“সবাই এগিয়ে আসুন।“
“মাসুষ মানুষের জন্য, মানবতার সেবায় সবাই এগিয়ে আসুন”
মেনে নেওয়া যায় না, মেনে নিতে পারছি না,
ঠিক যে বয়সে জোবায়ের মাঠে থাকার কথা। ঠিক ঐ সময় জোবায়ের হাসপাতালে সিটে শুয়ে মৃত্যর সাথে পাঞ্জা লড়ছে, সে হাসপাতাল শুয়ে ভাবছে অাবার কি মাঠে অাসতে পারবে??? প্রিয় ক্যাম্পাসে অাসতে পারবে? তার সহপাঠী দের সাথে অাড্ডা ও ক্লাস করতে পারবে???এই সব কিছু ভেবে তার চোখের পানি চলে অাসে। ভাই অামি টাকার কাছে হেরে যাবে??? ভাই ক্যানসার কি ভালো হয়???
এইটা কেনো ব্যাপার সব ঠিক হয়ে যাবে ভাই।
ক্যানসার অাক্রান্ত জোবায়ের সাহায্য অামরা এগিয়ে অাসবো, চাইলে অাপনি ও অাসতে পারেন।
জোবায়র কে সাহায্য পাঠানের ঠিকনা
তার বড় ভাই
মোঃ হেদায়েত উল্লা
একাউন্ট নাম্বার ৩৪১৩১৮৭১
সোনালি ব্যাংক মাইজদী শাখা।
বিকাশ পারসোনাল :০১৭৮৮৩৫৩৬৩২
ডাচ বাংলা : ০১৮২১০৫৯৮৯৯৭
সন্ধ্যার পর পাড়া গাঁয়ের চা দোকান গুলোতে "কথার হাঁট" বসে। এক কাপ চা বা একটা বিড়ি হাতে টুলের উপর পা তুলে হাঁটু ভেঙ্গে "দ" এর মত করে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা তুমুল আলোচনা চলে। সামনে একটা টিভিও চলে(গ্রামের দিকে চায়ের দোকানের পূর্বশর্ত হল-ডিশ টিভি)।
এদের আলোচনার বিভিন্ন দিকের মধ্যে গ্রামে কার মেয়ে কোন ছেলের সাথে বাড়ীর পিছনে দেখা করেছে এটা সম্ভবত সবচেয়ে রসালো দিক।কারণ এটা বলার সময় তৃপ্তি নিয়ে চারপাশে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে নিচু গলায় বলতে দেখেছি। এছাড়াও তাদের আলোচনায় সামাজিক-রাজনৈতিক-ধর্মীয়-অর্থনৈতিক সবকিছু স্থান পায়, যেদিন যে টপিক আলোচনায় উঠে।
সারাদিন রিকশা চালিয়ে বা মাঠে কাজকরে সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে বসে আমেরিকার নির্বাচনসহ অন্যান্য ভূ-রাজনীতি নিয়ে তুমুল তর্ক করাটা তাদের প্রাত্যহিক রুটিন, যাদের এসবের আদৌ কোন মূল্য বা প্রভাব নেই।
তবুও এরা একটা গ্রুপ হয়ে নির্দিষ্ট দোকানে আড্ডা দেয়। দেশ এবং বর্হিবিশ্বের বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের প্রায় সবারই নিজস্ব আজগুবি ধরনের পক্ষপাতদুষ্ট স্পষ্ট মতামত থাকে, আর এ মতামত দেয়ার সময় তাদের মধ্যে খুব জ্ঞানী একটা ভাব ফুটে উঠে, যেন এ বিষয়টা খুব সিক্রেট, একমাত্র সেই মূল ব্যাপারটা জানে, বাকিরা ধইঞ্চা।
যাইহোক, এসব তর্ক-বির্তকের ক্ষেত্রে দোকানদারের মতের দাম বেশী। যেহেতু দোকানদারের সাথে ঝগড়ার ফলাফল টিভি বন্ধ বা দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়া, একারণবশত তাকে একটু বেশী জ্ঞানী মানতে হয়। তবে সত্য একটা ব্যাপার হলো- একজন চায়ের দোকানদারের কাছে অনেক বাড়ির গোপন খবর পাওয়া যায়।
আরো একটা আজব ব্যাপার হলো, গ্রামে কেউ ভালো কোন অবস্থান, নেতা বা ধনী হয়ে গেলে আড্ডাবাজ শ্রেণির কমন একটা মন্তব্য হলো- আরে! এটার বাপ/দাদা আমাদের বাড়িতে জাগির থাকতো, কামলা খাটতো বা আমাদের বাড়ির পান্তাভাত খেয়ে এরা আজ বড়লোক ইত্যাদি ইত্যাদি....
প্রয়োজনীয় সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রণের এই অতীতটাই সময়ের সাথে পিছিয়ে পড়া এই শ্রেণির অহংকার বা গর্ব করা একমাত্র অবলম্বন।
#ধারণা করা হয়, গ্রামের এই "কথার হাঁট" শহরে গিয়ে "টক শো" হয়েছে। উপকরণ সবই আগের, চায়ের কাপ, মূল্যহীন তর্ক-বিতর্ক! শুধু একটু ডিজিটাল হয়েছে।
আর "টক শো" রাত এগারটায় শুরু হয় যাতে তার আগেই গ্রামের টকশোবিদরা ঘুমিয়ে পড়। সন্ধ্যায় শুরু করলে জাতি ক্ষতির সম্মুখীন হবে ভেবে জ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত।
######
ফজলুর রাহমান
কলামিস্ট
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
এদের আলোচনার বিভিন্ন দিকের মধ্যে গ্রামে কার মেয়ে কোন ছেলের সাথে বাড়ীর পিছনে দেখা করেছে এটা সম্ভবত সবচেয়ে রসালো দিক।কারণ এটা বলার সময় তৃপ্তি নিয়ে চারপাশে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে নিচু গলায় বলতে দেখেছি। এছাড়াও তাদের আলোচনায় সামাজিক-রাজনৈতিক-ধর্মীয়-অর্থনৈতিক সবকিছু স্থান পায়, যেদিন যে টপিক আলোচনায় উঠে।
সারাদিন রিকশা চালিয়ে বা মাঠে কাজকরে সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে বসে আমেরিকার নির্বাচনসহ অন্যান্য ভূ-রাজনীতি নিয়ে তুমুল তর্ক করাটা তাদের প্রাত্যহিক রুটিন, যাদের এসবের আদৌ কোন মূল্য বা প্রভাব নেই।
তবুও এরা একটা গ্রুপ হয়ে নির্দিষ্ট দোকানে আড্ডা দেয়। দেশ এবং বর্হিবিশ্বের বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের প্রায় সবারই নিজস্ব আজগুবি ধরনের পক্ষপাতদুষ্ট স্পষ্ট মতামত থাকে, আর এ মতামত দেয়ার সময় তাদের মধ্যে খুব জ্ঞানী একটা ভাব ফুটে উঠে, যেন এ বিষয়টা খুব সিক্রেট, একমাত্র সেই মূল ব্যাপারটা জানে, বাকিরা ধইঞ্চা।
যাইহোক, এসব তর্ক-বির্তকের ক্ষেত্রে দোকানদারের মতের দাম বেশী। যেহেতু দোকানদারের সাথে ঝগড়ার ফলাফল টিভি বন্ধ বা দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়া, একারণবশত তাকে একটু বেশী জ্ঞানী মানতে হয়। তবে সত্য একটা ব্যাপার হলো- একজন চায়ের দোকানদারের কাছে অনেক বাড়ির গোপন খবর পাওয়া যায়।
আরো একটা আজব ব্যাপার হলো, গ্রামে কেউ ভালো কোন অবস্থান, নেতা বা ধনী হয়ে গেলে আড্ডাবাজ শ্রেণির কমন একটা মন্তব্য হলো- আরে! এটার বাপ/দাদা আমাদের বাড়িতে জাগির থাকতো, কামলা খাটতো বা আমাদের বাড়ির পান্তাভাত খেয়ে এরা আজ বড়লোক ইত্যাদি ইত্যাদি....
প্রয়োজনীয় সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রণের এই অতীতটাই সময়ের সাথে পিছিয়ে পড়া এই শ্রেণির অহংকার বা গর্ব করা একমাত্র অবলম্বন।
#ধারণা করা হয়, গ্রামের এই "কথার হাঁট" শহরে গিয়ে "টক শো" হয়েছে। উপকরণ সবই আগের, চায়ের কাপ, মূল্যহীন তর্ক-বিতর্ক! শুধু একটু ডিজিটাল হয়েছে।
আর "টক শো" রাত এগারটায় শুরু হয় যাতে তার আগেই গ্রামের টকশোবিদরা ঘুমিয়ে পড়। সন্ধ্যায় শুরু করলে জাতি ক্ষতির সম্মুখীন হবে ভেবে জ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত।
######
ফজলুর রাহমান
কলামিস্ট
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা (দাবি)- পদসংখ্যা ১০০টি ও শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা (প্রগতি)-পদসংখ্যা ১০০টি
শিক্ষাগত যোগ্যতা:যে কোন স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকোত্তর পাশ এবং শিক্ষাজীবনের যে কোন একটিতে ১ম বিভাগ সহ সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম ২য় বিভাগ/শ্রেণী অথবা সমমানের জিপিএ/ সিজিপিএ ২.০০ থাকতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা:যে কোন স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকোত্তর পাশ এবং শিক্ষাজীবনের যে কোন একটিতে ১ম বিভাগ সহ সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম ২য় বিভাগ/শ্রেণী অথবা সমমানের জিপিএ/ সিজিপিএ ২.০০ থাকতে হবে।
মাসিক বেতনঃ ২২,০০০ টাকা সর্বসাকুল্যে।
জুনিয়র শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা (দাবি)-পদসংখ্যা ২৫০টি
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
যে কোন স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকোত্তর পাশ এবং শিক্ষাজীবনের যে কোন একটিতে ১ম বিভাগ সহ সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম ২য় বিভাগ/শ্রেণী অথবা সমমানের জিপিএ/ জিজিপিএ ২.০০ থাকতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
যে কোন স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকোত্তর পাশ এবং শিক্ষাজীবনের যে কোন একটিতে ১ম বিভাগ সহ সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম ২য় বিভাগ/শ্রেণী অথবা সমমানের জিপিএ/ জিজিপিএ ২.০০ থাকতে হবে।
মাসিক বেতনঃ ১৮,০০০ টাকা সর্বসাকুল্যে।
সকল পদের জন্য প্রযোজ্য:
বয়স: সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
কর্মস্থলঃ ব্র্যাক মাঠ কার্যালয়।
বয়স: সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
কর্মস্থলঃ ব্র্যাক মাঠ কার্যালয়।
আগ্রহী প্রার্থীকে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিতেঃ
অনলাইনভিত্তিক আর্থিক লেনদেনব্যবস্থা পেপ্যালের সেবা চালু করতে সোনালী ব্যাংককে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট সোনালী ব্যাংককে এ অনুমোদন দিয়েছে।
সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়ার পর পেপ্যালের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তির জন্য এখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী মাসে এ বিষয়ে চুক্তি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এরপর সাধারণ মানুষ সেবাটি ব্যবহার করতে পারবে।পেপ্যালের সাহায্যে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে অনলাইনে অর্থ ও প্রবাসী আয় পাঠানো যায়। সেবাটি বাংলাদেশে চালু করতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি এবং ই-কমার্স ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন থেকেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ব্যাংকিং চ্যানেলে ছোট অঙ্কের লেনদেন অসুবিধাজনক হওয়ায় পেপ্যালে লেনদেন তথ্যপ্রযুক্তির উদ্যোক্তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। নীতিগত অনুমোদনসহ বেশ কয়েকটি কারণে সেবাটি চালুর অনুমোদন দিতে দেরি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সফল নেতৃত্ব বিকাশের অন্যতম শর্ত হচ্ছে দারুণ কাউকে অনুসরণ করা। আপনি অনুসরণ করে সামনে এগিয়ে যান, দেখবেন ঠিক সময়ে আপনাকে সবাই নেতা হিসেবে মেনে নিবে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সুবাদে সালেহ উদ্দিন স্যার (বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর), তালুকদার স্যার (আইবিএ’র ডিরেক্টর), মির্জা আজিজুল ইসলাম, আকবর আলি খান, হাফিজ জি এ সিদ্দিকী স্যার সহ দারুণ কিছু মানুষের সহচার্যে আসার সুযোগ পাই। সেই মানুষগুলোর কাছ থেকে শিখেছি কিভাবে বিনয়ী হতে হয়। আপনি বিনয়ী হতে শেখেন সামনে এগিয়ে যাবেন। যে যত বেশি বিনয়ী তার কিন্তু সামনে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতাও অনেক বেশি হয়।
সমাজে আমরা নানান ধরণের মানুষ নিয়ে বাস করি। নেতিবাচক মানসিকতা এড়িয়ে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করা বেশ কঠিন একটা কাজ। আপনি কিভাবে নেতিবাচকতা এড়াবেন তা আসলে আপনার উপরেই নির্ভর করছে। আমার চেষ্টা থাকে সব সময় নিজেকে সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য ইতিবাচক মানুষদের সঙ্গে চলাফেরা। নানান মতের নানান মানুষ আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারী করবেই। নিজেকে সামনে এগিয়ে নিতে এই উপায়টি আয়ত্ব করতে পারেন।
ভালো ফলোয়ার হতে পারলেই আপনি আসলে সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন। আমরা আসলে অনুসরণ না করে অনুকরণের দিকেই বেশি ঝুঁকি, যা আসলে ঠিক না। অনুকরণে খ্যাতি আসে, নেতৃত্বের বিকাশ হয় না। আপনি যে পথে ক্যারিয়ার গড়তে চান, সেই দুনিয়ার কোন মানুষকে আজ থেকেই অনুসরণ করা শুরু করুন। তার ব্যক্তিত্ব, তার চিন্তাভাবনাকে আজই খুব গভীরভাবে দেখার চেষ্টা করুন। যে কোন ক্রাইসিসে সেই মানুষটি কিভাবে ভাবে, কিভাবে তার সমাধান করেন তার ব্যাখ্যা জানার চেষ্টা করুন। সেই জানার অভিজ্ঞতাই আপনি নিজের জীবনে কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন।
ভালো ফলোয়ার হতে পারলেই আপনি আসলে সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন। আমরা আসলে অনুসরণ না করে অনুকরণের দিকেই বেশি ঝুঁকি, যা আসলে ঠিক না। অনুকরণে খ্যাতি আসে, নেতৃত্বের বিকাশ হয় না। আপনি যে পথে ক্যারিয়ার গড়তে চান, সেই দুনিয়ার কোন মানুষকে আজ থেকেই অনুসরণ করা শুরু করুন। তার ব্যক্তিত্ব, তার চিন্তাভাবনাকে আজই খুব গভীরভাবে দেখার চেষ্টা করুন। যে কোন ক্রাইসিসে সেই মানুষটি কিভাবে ভাবে, কিভাবে তার সমাধান করেন তার ব্যাখ্যা জানার চেষ্টা করুন। সেই জানার অভিজ্ঞতাই আপনি নিজের জীবনে কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন।
একটু সর্তক থাকা জরুরী, অনুকরণ না অনুসরণ করছেন সে দিকে মনোযোগ দিন।
লেখক: শিক্ষক, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও মোটিভেশনাল ট্রেইনার।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের বৃহত্তম শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। প্রোডাকশন ম্যানেজার ও টেকনিক্যাল ম্যানেজার পদে এই নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রোডাকশন ম্যানেজার
মেকানিক্যাল বা ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিএসসি ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে সাত বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যোগাযোগ, সমস্যা সমাধান ও প্রোজেক্ট ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হতে হবে।
টেকনিক্যাল ম্যানেজার
ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিএসসি পাস প্রার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাবেন। তবে এমবিএ ডিগ্রিসম্পন্ন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে সাত বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া সমস্যা সমাধান ও যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
বিডিজবস ডটকমের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। প্রোডাকশন ম্যানেজার পদে ১৭ এপ্রিল এবং টেকনিক্যাল ম্যানেজার পদে ১৫ এপ্রিল, ২০১৭ পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ থাকছে।