Recent Post
Loading...



সুপ্ত যোজনী জানতে হলে আপনাকে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে তা হলো মৌলের সর্বোচ্চ যোজনী বা যোজনী এবং সক্রিয় যোজনী কী।

সর্বোচ্চ যোজনী বা যোজনী হলো কোনো মৌলের সর্বশেষ শক্তিস্তর থেকে ইলেকট্রন ত্যাগ বা গ্রহণ করার ক্ষমতা।

ক্যালসিয়ামের সর্বশেষ শক্তিস্তরে ইলেকট্রন সংখ্যা ২। অর্থাৎ, তা সর্বোচ্চ ২ টি ইলেকট্রন ত্যাগ করার ক্ষমতা 4। তাই, এর সর্বোচ্চ যোজনী ২।

অক্সিজেন এর সর্বশেষ শক্তিস্তরে ইলেকট্রন সংখ্যা ৬। কিন্তু, সে সর্বোচ্চ দুটি ইলেকট্রন গ্রহণ করার ক্ষমতা রাখে, তাই, এর সর্বোচ্চ যোজনী ২।

আর, এই ৪ টা অক্সিজেন এর যোজনী হবে ৮।

এখানে, কেন্দ্রীয় মৌল হলো সালফার যার সর্বোচ্চ যোজনী ৬।

আবার, যৌগ গঠনকালে কোনোমৌলের ব্যবহৃত যোজনীই হলো, ঐ মৌলের সক্রিয় যোজনী।

এখন, CaSO4 যৌগে সালফারের যোজনী 'x' হলে,

আমরা লিখতে পারি,

২+x+(-২×৪)=০ [অক্সিজেন ইলেকট্রন গ্রহণ করে ,তাই ঋণাত্মক]

বা,x-৮+২=০

সুতরাং, x=৬ ।

অর্থাৎ, যৌগটিতে সালফারের সক্রিয় যোজনী হলো ৬।

এখন আসি মূল জায়গায়, সুপ্ত যোজনী আসলে কি?

কোন মৌলের সর্বোচ্চ যোজনী ও সক্রিয় যোজনীর মধ্যে পার্থক্যকে ঐ মৌলের সুপ্ত যোজনী বলে।

অর্থাৎ, সুপ্ত যোজনী = সর্বোচ্চ যোজনী - সক্রিয় যোজনী।

তাহলে, CaSO4 যৌগে সালফারের সুপ্ত যোজনী,

= সালফারের সক্রিয় যোজনী (৬) - সালফার যার সর্বোচ্চ যোজনী হয় (৬)

=০

অর্থাৎ, CaSO4 যৌগে সালফারের সুপ্ত যোজনী ০।



অযুগ্ম মানে হলো যুগ্ম নয়/অযুগল

সহজ ভাষায় বলতে গেলে single😊

Ni(28)- [Ar] 3d8 4s2

Then,Ni2+ means 2টি ইলেকট্রন কমবে

মানে, সর্বশেষ কক্ষপথের দুইটি ইলেকট্রন চলে যাবে

আর সর্বশেষ কক্ষপথ হল 4s2

তাহলে Ni2+ এর ইলেকট্রন বিন্যাস - [Ar] 3d8

হুন্ডের নীতি অনুযায়ী, ইলেকট্রনগুলো কোন অরবিটালে প্রবেশের সময় প্রথমে একমুখী স্পিনে(ঘড়ির কাটার দিকে) তারপর বিপরীতমুখী স্পিনে/ anticlockwise ভাবে প্রবেশ করে।

আমরা জানি,d orbital পাচটি উপ-উপশক্তিস্তরে বিন্যাস্ত

এখন 8টি ইলেকট্রনের প্রথম 5টি ইলেকট্রন clockwise ভাবে প্রবেশ করবে এবং বাকি 3টি ইলেকট্রন anticlockwise প্রবেশ করবে।

অতএব,শুধুমাত্র শেষ দুটি ঘরে single দুটি ইলেকট্রন ঘড়ির কাটার দিকমুখী হয়ে চুপচাপ বসে থাকবে।

সুতরাং, Ni2+ এ 2টি অযুগ্ম ইলেকট্রন আছে।



পর্যায় সারণীর 1নং গ্রুপে ৭ টি মৌল H ছাড়া অন্য ৬ টি মৌল ক্ষার ধাতু বলে। আমার জানি, একই পর্যায়ে বাম থেকে ডানে গেলে পরমাণু আকার কমে। আর গ্যাসীয় অবস্থায় কোনো মৌলের এক মোল গ্যাসীয় পরমাণু থেকে এক মোল ইলেকট্রন অপসারণ করে যে শক্তির প্রয়োজন হয়, তাকে ঐ মৌলের আয়নিকরণ শক্তি বলে। পরমাণু আকার কমে আয়নিকরণ শক্তির মান বাড়ে আর পরমাণু আকার বাড়ে আয়নিকরণ শক্তির মান কমে। ক্ষার ধাতু হচ্ছে পর্যায় সারণি বামে অবস্থিত তাই পরমাণু আকার বেশি। আর পরমাণু আকার বেশি মানে আয়নিকরণ শক্তি মান কম। পর্যায় সারণিতে ক্ষারধাতুগুলো গ্রুপ ১ এ অবস্থান করে।

এখন জানতে হবে #আয়নিকরণ শক্তি কি কি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল :
 (১)গ্রুপভিত্তিক সম্পর্ক : সাধারণত পর্যায়সারণীতে একই গ্রুপের মৌলসমূহের পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে আয়নিকরণ শক্তি কমতে থাকে।এর কারণ হচ্ছে একই গ্রুপ বা শ্রেণিতে পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ইলেকট্রনের শক্তিস্তর বাড়তে থাকে,ফলে সর্ববহিস্থ ইলেকট্রন নিউক্লিয়াস থেকে ক্রমশ দূরবর্তী হয় এবং এর উপর নিউক্লিয়াসের আকর্ষন শক্তি কমতে থাকে। তাই আয়নিকরণ শক্তি বা বিভব কম হয়। 

২)পর্যায়ভিত্তিক সম্পর্ক: আনুভূমিকভাবে একই পর্যায়ে পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে মৌলের আয়নিকরণ শক্তি সাধারণত ক্রমশ বাড়ে(কয়েকটি ব্যতিক্রমসহ)।কেননা একই পর্যায়ে পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে ইলেকট্রনের শক্তিস্তর বাড়ে না,ফলে নিউক্লিয়াস থেকে সর্ববহিস্থ ইলেকট্রনের দূরত্ব বাড়ে না বরং কিছু কমে যায়।উপরস্থ নিউক্লিয়াসের চার্জ বৃদ্ধির ফলে সর্ববহিস্থ ইলেকট্রনটি অধিকতর দৃঢ়ভাবে আকৃষ্ট হয় অর্থাৎ তা অপসারণের জন্য অধিকতর শক্তির প্রয়োজন হয়।এতে বোঝা যায় ,যে কোন পর্যায়ে IA উপশ্রেণীর মৌলসমূহের আয়নিকরণ শক্তি সবচেয়ে কম এবং নিষ্ক্রিয় মৌলসমূহের আয়নিকরণ শক্তি সবচেয়ে বেশি। 

৩)ইলেকট্রন বিন্যাসভিত্তিক সম্পর্ক: আয়নিকরণ শক্তি মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসের উপরও নির্ভরশীল। তাই আনুভূমিক পর্যায়ে আয়নিকরণ শক্তি ক্রমশ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয়।
যেমন: 

(১)বোরণের আয়নিকরণ শক্তি বেরিলিয়াম অপেক্ষা কম। 

(২)অক্সিজেনের আয়নিকরণ শক্তি নাইট্রোজেন অপেক্ষা কম।



এস টি পি তে আদর্শ গ্যাসের আয়তন ২২.৪ লিটার/ মোল। আবার মোল সংখ্যা n = w/M. এখানে w= ১ গ্রাম। হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ও আর্গন র আনবিক ওজন যথাক্রমে ২,১৪,১৬ ও ৪০ ( প্রায়) ।সুতরাং ১ গ্রাম হাইড্রোজেন র মোল সংখ্যা সর্বাধিক এবং সবচেয়ে বেশি আয়তন দখল করবে।



যদি কোন গ্যাসের মোল সংখ্যা দেয়া থাকে তাহলে তাকে (৬.০২৩×১০^২৩) গুণ করলে যে সংখ্যা পাওয়া যাবে তাই হবে গ্যাসটির মধ্যে উপস্থিত অনুর সংখ্যা । আবার যদি গ্যাসের আয়তন দেয়া থাকে তাহলে প্রথমে মোল সংখ্যা নির্ণয় করতে হবে। ( মোল সংখ্যা, n = V ( গ্যাসের আয়তন)/ ২২.৪ )। এবং তাকে (৬.০২৩×১০^২৩) দ্বারা গুণ করলে গ্যাসটির অনুর সংখ্যা পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য : ১ মোল অণুতে (৬.০২৩×১০^২৩) অনু থাকে, ১মোল পরমাণুতে (৬.০২৩×১০^২৩) পরমাণু থাকে ও ১ মোল আয়নে (৬.০২৩×১০^২৩) আয়ন থাকে।


মোল সংখ্যা নির্ণয়ের মাধ্যমে গ্যাসের অণুর সংখ্যা বের করা যায়।

যদি n= মোল সংখ্যা

v =1 atm চাপ ও 0°C তাপমাত্রায় গ্যাসের আয়তন

M=আণবিক ভর এবং

w=গ্রাম এককে ভর হয় তবে

n=w/m

কিংবা n=v/22.4

এখন প্রাপ্ত n এর মানকে 6.602214129×10^23 দ্বারা গুণ দিলেই অণুর সংখ্যা বেরিয়া যাবে। এখানে,6.602214129×10^23 সংখ্যায়িকে অ্যাভোগ্রেডোর সংখ্যা বলে


আদর্শ গ্যাসের অণুর সংখ্যা নির্ণয় করার ক্ষেত্রে যেই পাত্রে গ্যাস রাখা হবে সেই

পাত্রের আয়তন V,পাত্রের ওপর গ্যাসের চাপP,গ্যাসের তাপমাত্রাTএবং পাত্রে রাখা গ্যাসের পরিমাণ n(mole এককে) হলে,

আদর্শ গ্যাসের সমীকরণ থেকে পাই,

PV=nRT

আমরা জানি,

n=NNA

এখানে,N পাত্রে রাখা গ্যাসের অনু সংখ্যা এবং

NA অ্যাভোগ্রেডর সংখ্যা যা 6.02×1023molecules/mol

তবে,

PV=NNART

N=PVNART