Recent Post
Loading...

মিথেন হচ্ছে একটি রাসায়নিক যৌগ যার রাসায়নিক সংকেত CH। এর প্রতিটি অনুতে আছে এক পরমাণু কার্বন ও চার পরমাণু হাইড্রোজেন। এটি একটি অ্যালকেন এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান।মিথেনের আপেক্ষিক প্রাচুর্যতা এটিকে একটি আকর্ষণীয় জ্বালানীতে পরিনত করেছে।কিন্তু,সাধারণ তাপমাত্রায় যেহেতু এটি গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে তাই মিথেনকে উৎস থেকে পরিবহন করা কষ্টসাধ্য। বায়ুমন্ডলীয় মিথেন একটি শক্তিশালী গ্রিনহাউজ গ্যাস(প্রতি এককে কার্বন ডাই অক্সাইড অপেক্ষা বেশি)।পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে ১৯৯৮ সালে মিথেনের ঘনত্ব ছিল ১৭৪৫ এন.মোল/মোল (পার্টস পার বিলিয়ন,পিপিবি)।১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মিথেনের মাত্রা প্রায় একইরূপ থাকার পর ২০০৮ সালে ১৮০০ এন.মোল/মোল হয়।




মিথেন একটি টেট্রাহাইড্রাল অণু যাতে চারটি সমতুল্য কার্বন-হাইড্রোজেন বন্ধন আছে।স্বাভাবিক তাপমাত্রা ও চাপে মিথেন একটি বর্ণহীন ও গন্ধহীন গ্যাস।নিরাপত্তার জন্য বাড়িতে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে পরিচিত গন্ধ সাধারণত ট্রেট-বিউথাইল নামক সুগন্ধক যোগ করার কারনে হয়।এক বায়ুমন্ডলীয় চাপে মিথেনের স্ফুটনাঙ্ক হচ্ছে -১৬১° সেলসিয়াস।বাতাসে যখন এর ঘনত্ব একটি সংকীর্ণ পরিসীমায় ৫-১৫% হয় এটি তখন শুধুমাত্র প্রজ্বলিত হয়।তরল মিথেন উচ্চ চাপ ছাড়া (সাধারনত ৪-৫ বায়ুমন্ডলীয় চাপ) প্রজ্বলিত হয় না।

মিথেনের প্রধান প্রধান রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো হচ্ছে জ্বলন,বাষ্পকে সংশ্লেষিত গ্যাসে রুপান্তর এবং হ্যালোজিনেশন বিক্রিয়া। সাধারণভাবে,মিথেনের বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।এনজাইম মিথেন মনোঅক্সিজেনস মিথেন থেকে মিথানল তৈরী করতে পারে, কিন্তু তা শিল্পের রাসায়নিক বিক্রিয়া জন্য ব্যবহার করা যাবে না।




অক্টেন একটি আট কার্বন বিশিষ্ট সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন। এটি বর্ণহীন গ্যাসীয় পদার্থ। এটি শুধু মাত্র কার্বন এবং হাইড্রোজেন এর একক বন্ধনের মাধ্যমে গঠিত। অন্যান্য হাইড্রোকার্বনের ন্যায় এর কাঠামোতে প্রতিটি কার্বন চারটি পৃথক পরমাণুর সঙ্গে বন্ধন গঠন করে। অক্টেনের রাসায়নিক সংকেতঃ C8H18 ।

নামকরণ :

অজৈব রসায়নের নামকরণের আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউপিএসি অনুসারে অক্টেনের নামকরণ করা হয়েছে। এখানে গ্রিক শব্দ অক্ট দ্বারা যৌগে আট কার্বনের উপস্থিতি বোঝানো হয়েছে।
  • অক্টেনের রাসায়নিক সংকেতঃ C8H18
  • অক্টেনের গাঠনিক সংকেতঃ CH3-CH2-CH2- CH2- CH2- CH2- CH2-CH3

ভৌত ধর্ম :

  • বর্ণ, গন্ধহীন গ্যাস;
  • পানিতে অদ্রবনীয় কিন্তু অজৈব যৌগে দ্রবনীয়;
  • তরল অবস্থায় এটি উত্তম দ্রাবকরূপে কাজ করে।

রাসায়নিক ধর্ম :

  • অক্সিজেনের উপস্থিতিতে পূর্ণ দহনের ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড, পানি ও তাপ উৎপন্ন করে।

ব্যবহার :
  • অন্তর্দহ ইঞ্জিনের জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। 





অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড হচ্ছে পানিতে দ্রবণীয় সাদা ক্রিস্টাল দানাদার জাতীয় অজৈব যৌগ। এর সংকেত হচ্ছে (NH4Cl) । অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড এর জলীয় দ্রবণ অম্লীয়। Sal ammoniac হচ্ছে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের প্রাকৃতিক ও খনিজ নাম। কয়লা উত্তোলিত গ্যাসগুলির সংশ্লেষণ থেকে কয়লার ডাম্প পোড়াতে খনিজটি সাধারণত গঠিত হয়। এটি কিছু আগ্নেয়গিরির ভেন্টের চারপাশে পাওয়া যায়। এটি প্রধানত কিছু ধরনের লিকারিসে সার এবং একটি সুস্বাদু এজেন্ট হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এটি হাইড্রোক্লোরিক এসিড এবং অ্যামোনিয়া এর বিক্রিয়া থেকে উৎপন্ন হয়। এর Ph এর মান সাধারণত ৪.৬ থেকে ৬.০ এরমধ্যে হয়ে থাকে। 

NH4Cl এর IUPAC name :

Ammonium chloride

NH4Cl এর অন্যান্য নামগুলো হচ্ছে :

Sal ammoniac, Salmiac, Nushadir salt, Sal armagnac, Salt armoniack, Salmiak

প্রস্তুতি ও উৎপাদন :

এটি সোডিয়াম কার্বোনেট উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত সোভয়ে প্রক্রিয়াটির মাধ্যম।

CO2 + 2 NH3 + 2 NaCl + H2O → 2 NH4Cl + Na2CO3

বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সাধারণত অ্যামোনিয়া এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিডের মিশ্রনকে উত্তপ্ত করলে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড উৎপন্ন হয়।

NH3 + HCl → NH4Cl

অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের বিক্রিয়াসমূহ :

NH4Cl → NH3 + HCl

NH4Cl + NaOH → NH3 + NaCl + H2O

2 NH4Cl + Na2CO3 → 2 NaCl + CO2 + H2O + 2 NH3

NH4Cl + H2O → NH4OH + HCl


বিঃদ্রঃ কোন ভুলত্রুটি হলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন, যেকোনো পরামর্শ দেওয়ার জন্য অনুরোধ রইলো। 
কোয়ান্টাম সংখ্যা

যে সকল রাশি বা সংখ্যা দ্বারা পরমাণুতে ইলেকট্রনের কক্ষপথ বা শক্তি স্তরের আকার ও আকৃতি, ত্রিমাত্রিক বিন্যাস এবং ইলেকট্রনের কক্ষপথের অক্ষ বরাবর স্পিন বা আবর্তন গতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় তাকে কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে।

কোয়ান্টাম বলবিদ্যা অনুসারে পরমাণুর
ইলেকট্রনের কক্ষপথ বা শক্তিস্তরের আকার, কক্ষপথের আকৃতি ও কক্ষ পথের ত্রিমাত্রিক দিক বিন্যাস নির্দেশক পরস্পর বরাবর ঘূর্ণন প্রকাশক চারটি রাশি আছে। এ চারটি রাশিকে কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে । কোয়ান্টাম সংখ্যা প্রধানত চারটি।

১.প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা

প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা, n যা বোর মডেল থেকে পাওয়া গিয়েছিলো। দুটি ভিন্ন শক্তিস্তরের n ভিন্ন হয় আর শক্তির পার্থক্যও বেশি

২.সহকারি কোয়ান্টাম সংখ্যা

সহকারি কোয়ান্টাম সংখ্যা , এখন এর মান থেকে পর্যন্ত হতে পারে। বোরের তত্ত্বে পরমাণু ছিল বর্তুলাকার। কিন্তু সমারফিল্ড দেখান যে কক্ষপথ উপবৃত্তাকারও হতে পারে। তাছাড়া, হাইড্রোজেন পরমাণুর
বর্ণালীর প্রতিটি রেখা আসলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত ছিলো। সমারফিল্ড বললেন যে প্রতিটি অরবিট বা প্রধান শক্তিস্তর সংখ্যক ভাগে বিভক্ত যাদের মধ্যে শক্তির সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। এর ফলেই সূক্ষ্ম রেখাগুলো দেখা যায়।

৩.চুম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যা

চুম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যা, m এর মান -l থেকে l এর পর্যন্ত পূর্ণসংখ্যা। [[নন-ডিজেনারেট]] অবস্থায় অরবিটালসমূহ সমশক্তির, তবে চুম্বকক্ষেত্রে রাখলে শক্তির পার্থক্য তৈরি হয়। আর বলা বাহুল্য, z অক্ষ বরাবর অরবিটাল, যেমন p_z, d-z² এর বেলায় m=0

৪.চুম্বক কোয়ান্টাম সংখ্যা

চুম্বক কোয়ান্টাম সংখ্যার মান হয় +l থেকে শুরু করে ০ সহ -l পর্যন্ত। অর্থ্যাৎ l এর মান যদি ৩ হয় তাহলে m এর মান গুলো হবে -৩,-২,-১,০,১,২,৩। অর্থাৎ m এর মান হয় (2l+1) সংখ্যক।
  1. He, Ne, Ar, Kr, Xe, Rn কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ নেয় না বলে নিষ্ক্রিয় গ্যাস। এরা অন্য মৌলের সাথে বিক্রিয়া করে না বলে এদেরকে অভিজাত বা মহান বা Noble গ্যাসও বলে। আবার বায়ুতে এদের পরিমাণ খুবই কম (<1%)। এ কারণে এদেরকে বিরল বা দুর্লভ গ্যাসও বলা হয়। এই গ্যাসগুলো খুব একটা ক্ষতিকরও নয়; তাই এদেরকে ‍উত্তম গ্যাসও বলা হয়।

নিষ্ক্রিয় গ্যাসআবিষ্কারকআবিষ্কারের সালনামের উৎপত্তি/অর্থ
Heজ্যানসেন (পরে র‌্যামসে)১৮৬৮সূর্য (helios ; the sun)
Neর‌্যামসে ও ট্র্যাভার্স১৮৯৮নতুন (New one; ne+on)
Arলর্ড র‌্যালে ও ট্র্যাভার্স১৮৯৪নিষ্ক্রিয়/অলস (Inset of idle)
Krর‌্যামসে ও ট্র্যাভার্স১৮৯৮গুপ্ত
Xeর‌্যামসে ও ট্র্যাভার্স১৯০০নবাগত
Rnডর্ন (Dorn)১৯০০রেডিয়াম বিচ্ছুরণ (Radium emanation; Rad+on)

  • নিষ্ক্রিয় গ্যাসগুলো হল- He, Ne, Ar, Kr, Xe, Rn
  • ছয়টি নিষ্ক্রিয় গ্যাসের মধ্যে প্রথম পাঁচটি মৌল সুস্থিত
  • হিলিয়াম এক পরমাণুক গ্যাস এবং রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয়।
  • বিজ্ঞানী রেলে এবং র‌্যামসে আর্গনের নামকরণ করেন।
  • নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহ সাধারণ তাপ ও চাপে গ্যাস।
  • নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহ পর্যায় সারণীতে শূণ্য শ্রেণীতে অবস্থান করে।
  • পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহের পরমাণুগুলোর মধ্যকার দুর্বল ভ্যানডার ওয়ালস শক্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পায়; ফলে এদের গলনাংক ও স্ফুটনাংক ক্রমশ বৃদ্ধি পায়।
  • XeFঅণুর আকৃতি সরলরৈখিক
  • XeFঅণুর আকৃতি সমতলীয় বর্গাকার
  • XeFঅণুর আকৃতি পঞ্চকোণীয় দ্বি-পিরামিডীয়


  • হিলিয়ামের স্ফুটনাংক খুবই নিম্ন এবং এর তরলের কোন সান্দ্রতা নেই্।
  • আর্গন ও হিলিয়াম অপেক্ষা জেনন ও ক্রিপ্টনের উপর ডাইপোলের প্রভাব বেশি দেখা যায়।
  • নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহের সকলেই বর্ণহীন ও গন্ধহীন গ্যাস। এদের তরলীকরণ বেশ কষ্টসাধ্য।
  • নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহ পানিতে সামান্য পরিমাণ দ্রবণীয়। পারমাণবিক ভরের বৃদ্ধির সাথে সাথে এদের দ্রাব্যতা বৃদ্ধি পায়।
  • ১৮৯৯ সালে রাদারফোর্ড ও ওউইনস থোরিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা থেকে যে গ্যাস আবিষ্কার করেন তার নাম থোরন।
  • জেনন এর বাষ্পঘনত্ব প্রায় ৬৪
  • বিশেষ বিশেষ শর্তে নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহ কিছু কিছু যৌগ গঠন করে। যেমন-
  • জেনন (Xe) একক ফ্লোরিনের (F) সাথে সরাসরি বিক্রিয়া করে;
  • Xe + F2 → XeF2, জেনন ডাই ফ্লোরাইড
  • XeF2 + F2 → XeF4, জেনন টেট্রা ফ্লোরাইড
  • XeF4 + F2 → XeF6, জেনন হেক্সা ফ্লোরাইড
  • উত্তেজিত অবস্থায় হিলিয়াম (He) বিসমাথ হ্যালাইড (BiHe) ও প্যালাডিয়াম হ্যালাইড (PbHe) গঠন করে।

  1. নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ব্যবহার :
নিষ্ক্রিয় গ্যাসব্যবহার
হিলিয়াম (He)হালকা বলে উড়োজাহাজ ও আবহাওয়া বেলুনে ব্যবহৃত হয়।
গভীর পানির নিচে ডুবুরিগণ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য অক্সিজেন ও হিলিয়ামের মিশ্রণ ব্যবহার করেন।
হাঁপানির রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্যও অক্সিজেন ও হিলিয়ামের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়।
NMR মেশিন ঠাণ্ডা করতে তরল হিলিয়াম ব্যবহৃত হয়।
গবেষণাগারে নিষ্ক্রিয় পরিবেশে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানোর জন্য হিলিয়াম ব্যবহৃত হয়।
নিয়ন (Ne)নিয়নবাতি ও রং-বেরংয়ের আলোকসজ্জায়
ভোল্টামিটার ও রেকটিফায়ার যন্ত্র সংরক্ষণে নিয়ন-হিলিয়াম মিশ্রণ ব্যবহৃত হয়।

আর্গন (Ar)বৈদ্যুতিক বাল্বে এখন নাইট্রোজেনের বদলে আর্গন ব্যবহার করা হয়।
তেজস্ক্রিয়তা মাপার যন্ত্র গিগার মুলার কাউন্টারে আর্গন ব্যবহৃত হয়।

ক্রিপ্টন (Kr)টিইব লাইট এবং বৈদ্যুতিক গ্যাস বাল্বে ব্যবহৃত হয়।
জেনন (Xe)ফটোগ্রাফিক ফ্লাশ লাইটে ব্যবহৃত হয়।
রেডন (Rn)ক্যান্সার চিকিৎসা এবং রেডিও থেরাপিতে ব্যবহৃত হয়।

  • XeF2 প্রস্তুতি :
   Xe ও Fএর মিশ্রণকে তাপমাত্রায় একটি নিকেল টিউবের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করা হয় এবং    তারপর তাপমাত্রার একটি টিউবের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত করা হয় যেখানে সৃষ্ট XeF2জমা হয়।

  • XeF4 প্রস্তুতি :
  1:5 অনুপাতে Xe ও Fএর মিশ্রণকে 6 atm চাপে ও 400°C তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে XeF4      তৈরি হয়।

  • XeF6 প্রস্তুতি :
   20:1 অনুপাতে Xe ও Fএর মিশ্রণকে 200-250°C তাপমাত্রায় ও 50 atm চাপে বিক্রিয়া   করালে প্রায় 95% XeF6তৈরি হয়। তাপ ও চাপ বাড়ালে এই হারও বাড়ে।

  1. নিষ্ক্রিয় গ্যাসগুলির ইলেক্ট্রন বিন্যাস :
 He (2) → 1s2
 Ne (10) →1s2 2s2 2p6
 Ar (18) →3s2 3p6
 Kr (36) →4s2 4p6
 Xe (54)  →5s2 5p6
 Rn (86) →6s2 6p6

  1. বায়ুমণ্ডলে নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহের পরিমাণ :
নিষ্ক্রিয় গ্যাসবায়ুমণ্ডলে পরিমাণবায়ুতে ঘনমাত্রা
হিলিয়াম (He)0.00055.0
নিয়ন (Ne)0.001520.0
আর্গন (Ar)0.9320 (সবচেয়ে বেশি)10000
ক্রিপ্টন (Kr)0.00011.0
জেনন (Xe)0.00001 (সবচেয়ে কম)0.08
রেডন (Rn)
-
-

৫১. সালফার ডাইঅক্সাইড ক্রিয়া করে –
i. জারক হিসেবে
ii. বিজারক হিসেবে
iii. বিরঞ্জক হিসেবে
নিচের কোনটি সঠিক?
Ο ক) i ও ii
Ο খ) ii ও iii
Ο গ) i ও iii
Ο ঘ) i, ii ও iii
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৫২. খনিতে আকরিকের সাথে থাকা অপদ্রব্যকে কি বলে?
Ο ক) ডেজাল
Ο খ) অপদ্রব্য
Ο গ) ধাতুমল
Ο ঘ) খনিজমল
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৫৩. সাদা মাটির পাহাড় কোথায় অবস্থিত?
Ο ক) বিজয়পুর
Ο খ) দুর্গাপুর
Ο গ) দিনাজপুর
Ο ঘ) বিজয়নগর
 সঠিক উত্তর: (ক)

 ৫৪. ধাতু নিষ্কাশনের ধাপ নয় কোনটি?
Ο ক) আকরিক উত্তোলন
Ο খ) আকরিকের ঘনীকরণ
Ο গ) আকরিকে তার অক্সাইড রূপান্তর
Ο ঘ) ধাতু বিশোধন
 সঠিক উত্তর: (ক)

 ৫৫. মরিচাবিহীন ইস্পাতে থাকে না নিচের কোনটি?
Ο ক) ক্রোমিয়াম
Ο খ) নিকেল
Ο গ) কার্বন
Ο ঘ) ম্যাগনেসিয়াম
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৫৬. ধাতু পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের ফলে –
i. অর্থ সাশ্রয় হয়
ii. জ্বালানি সাশ্রয় হয়
iii. পরিবেশ দূষণ হ্রাস পায়
নিচের কোনটি সঠিক?
Ο ক) i ও ii
Ο খ) ii ও iii
Ο গ) i ও iii
Ο ঘ) i, ii ও iii
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৫৭. ওলিয়ামের সংকেত কোনটি?
Ο ক) SO2
Ο খ) H2SO3
Ο গ) H2SO4
Ο ঘ) H2S2O7
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৫৮. পাকঘরের সিঙ্ক তৈরিতে কোনটি ব্যবহৃত হয়?
Ο ক) ডুরালমিন
Ο খ) বিশুদ্ধ কপার
Ο গ) কাসা
Ο ঘ) মরিচাবিহীন ইস্পাত
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৫৯. 21 ক্যারেট স্বর্ণের উপাদান হলো –
i. স্বর্ণ
ii. আয়রন
iii. কপারসহ অন্যান্য ধাতু
নিচের কোনটি সঠিক?
Ο ক) i ও ii
Ο খ) ii ও iii
Ο গ) i ও iii
Ο ঘ) i, ii ও iii
 সঠিক উত্তর: (গ)

 ৬০. SO2 এর প্রধান ব্যবহার –
Ο ক) ভলকানাইজিং-এ
Ο খ) বিরঞ্জনে
Ο গ) বারুদ তৈরিতে
Ο ঘ) H2SO4 প্রস্তুতিতে
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৬১. লঘু H2SO4 থেকে সিলভার হাইড্রোজেনকে প্রতিস্থাপন করে না, কারণ –
i. সক্রিয়তা সিরিজে সিলভারের অবস্থান হাইড্রোজেনের নিচে
ii. হাইড্রোজেন সিলভারের চেয়ে বেশি সক্রিয়
iii. হাইড্রোজেন সিলভারের চেয়ে কম সক্রিয়
নিচের কোনটি সঠিক?
Ο ক) i ও ii
Ο খ) ii ও iii
Ο গ) i ও iii
Ο ঘ) i, ii ও iii
 সঠিক উত্তর: (ক)

 ৬২. সোডিয়াম ক্লোরাইড ও ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড মিশ্রণের গলনাঙ্ক –
Ο ক) 8010C
Ο খ) 14740C
Ο গ) 20000C
Ο ঘ) 6000C
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৬৩. নিচের কোন ধাতুটি সবচেয়ে বেশি সক্রিয়?
Ο ক) সোডিয়াম
Ο খ) ক্যালসিয়াম
Ο গ) পটাসিয়াম
Ο ঘ) ম্যাগনেসিয়াম
 সঠিক উত্তর: (গ)

 ৬৪. NaCl এর গলিত দ্রবণে বিদ্যুৎ চালনা করলে –
i. ক্যাথোডে সোডিয়াম তৈরি হবে
ii. অ্যানোডে ক্লোরিন তৈরি হবে
iii. NaOH তৈরি হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
Ο ক) i ও ii
Ο খ) ii ও iii
Ο গ) i ও iii
Ο ঘ) i, ii ও iii
 সঠিক উত্তর: (ক)

 ৬৫. জিঙ্কের আকরিক নিচের কোনটি?
Ο ক) ক্যালামাইন
Ο খ) গ্যালেনা
Ο গ) লিমোনাইট
Ο ঘ) সাগরের পানি
 সঠিক উত্তর: (ক)

 ৬৬. স্টেইনলেস স্টিল কোন কাজে ব্যবহৃত হয়?
Ο ক) ইলেকট্রোপ্লেটিং করতে
Ο খ) নিরুদকরূপে
Ο গ) কাটাচামচ তৈরিতে
Ο ঘ) কাচ কাটতে
 সঠিক উত্তর: (গ)

 ৬৭. গ্যালেনার তাপজারণে সৃষ্ট গ্যাসটি –
Ο ক) দ্বিপরমাণুক
Ο খ) ৬৮ আপেক্ষিক আণবিক ভরবিশিষ্ট
Ο গ) বিরঞ্জক
Ο ঘ) সবগুলো
 সঠিক উত্তর: (গ)

 ৬৮. আকরিককে বায়ু প্রবাহের উপস্থিতিতে গলনাঙ্ক তাপমাত্রার নিম্ন তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় –
Ο ক) ঘনীকরণ
Ο খ) বিজারণ
Ο গ) তাপজারণ
Ο ঘ) ভস্মীকরণ
 সঠিক উত্তর: (গ)

 ৬৯. অলংকার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় কোনটি?
Ο ক) থালা
Ο খ) বাইসাইকেল
Ο গ) কাঁচা চামচ
Ο ঘ) ঘড়ির স্প্রিং
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৭০. পাথর বা শিলা সৃষ্টি করে কোনটি?
Ο ক) ক্যালসিয়াম সালফেট
Ο খ) ক্যালসিয়াম নাইট্রেট
Ο গ) ক্যালসিয়াম অক্সালেট
Ο ঘ) ক্যালসিয়াম কার্বোনেট
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৭১. H2SO4 উৎপাদিত হয় নিচের কোন পদ্ধতিতে?
Ο ক) অসওয়াল্ড
Ο খ) হেবার বস
Ο গ) স্পর্শ
Ο ঘ) অন্তর্দুম পাতন
 সঠিক উত্তর: (গ)

 ৭২. নিচের কোনটি বিদ্যুৎ পরিবহন করে?
Ο ক) বালু
Ο খ) পানি
Ο গ) স্বর্ণ
Ο ঘ) গন্ধক
 সঠিক উত্তর: (গ)

 ৭৩. কম সক্রিয় ধাতুগুলো –
Ο ক) মূল্যবান
Ο খ) দুর্লভ
Ο গ) দুটিই
Ο ঘ) কোনটিই নয়
 সঠিক উত্তর: (গ)

 ৭৪. সালফার ব্যবহৃত হয় –
i. রাবার ভলকানাইজিং করতে
ii. দিয়াশলাই তৈরিতে
iii. ডুরালোমিন তৈরিতে
নিচের কোনটি সঠিক?
Ο ক) i ও ii
Ο খ) ii ও iii
Ο গ) i ও iii
Ο ঘ) i, ii ও iii
 সঠিক উত্তর: (ক)

 ৭৫. ঢেউটিনে দস্তার প্রলেপ দেওয়ার কারণ কোনটি?
Ο ক) ঢেউটিনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি
Ο খ) উৎপাদন ব্যয় কমানো
Ο গ) দস্তা অধিক সক্রিয়
Ο ঘ) ঢেউটিনের ভর কমানো
 সঠিক উত্তর: (গ)

 ৭৬. নিচের কোন সংকরে কপারের পরিমাণ সবচেয়ে কম?
Ο ক) ব্রাস
Ο খ) ব্রোঞ্জ
Ο গ) ডুরালমিন
Ο ঘ) ২২ ক্যারেট স্বর্ণ
 সঠিক উত্তর: (গ)

 ৭৭. ক্রোমিয়াম ধাতু নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহৃত হয় –
Ο ক) তড়িৎ বিশ্লেষণ
Ο খ) কার্বন বিজারণ
Ο গ) তাপজারণ
Ο ঘ) সবগুলো
 সঠিক উত্তর: (খ)

 ৭৮. থোরিয়ামের আকরিক কোনটি?
Ο ক) মোনাজাইট
Ο খ) রুটাইল
Ο গ) হেমাটাইট
Ο ঘ) চেলকোসাইট
 সঠিক উত্তর: (ক)

 ৭৯. সিলিকা কার খনিজ?
Ο ক) SiO2 এর
Ο খ) Si এর
Ο গ) Se এর
Ο ঘ) কার্বনের
 সঠিক উত্তর: (খ)

 ৮০. উলফ্রামাইটের সংকেত কোনটি?
Ο ক) FeWO4
Ο খ) Fe2WO4
Ο গ) Fe2WO3
Ο ঘ) FeWO3
 সঠিক উত্তর: (ক)

 ৮১. লেড অক্সাইডের বর্ণ কিরূপ?
Ο ক) লাল
Ο খ) কালো
Ο গ) হলুদ
Ο ঘ) সবুজ
 সঠিক উত্তর: (গ)

 ৮২. ঝিনুক-শামুকের খোসা তলানিতে জমে পরিণত হয় –
Ο ক) শিলায়
Ο খ) চুনাপাথরে
Ο গ) মাটিতে
Ο ঘ) বেলে পাথরে
 সঠিক উত্তর: (খ)

 ৮৩. চুনাপাথর নিচের কোনটি?
Ο ক) CaSO4
Ο খ) Ca(NO)2
Ο গ) CaO
Ο ঘ) CaCO3
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৮৪. বক্সাইড দ্রবীভূত করতে KOH ব্যবহার করা হয় না কারণ –
Ο ক) KOH বক্সাইটের সাথে বিক্রিয়া করে না
Ο খ) দ্রবীভূত বক্সাইটের চাক্রিক রূপান্তর সম্ভব নয়
Ο গ) KOH এর মূল্য বেশি
Ο ঘ) এর সাথে বিক্রিয়া দ্বারা খনিজমল পৃথক করা যায় না
 সঠিক উত্তর: (গ)

 ৮৫. সালফাইড এর নিয়ন্ত্রিত তাপ জারণ দ্বারা ধাতু নিষ্কাশন হয় কোন আকরিকের?
Ο ক) ZnS
Ο খ) Cu2S
Ο গ) PbS
Ο ঘ) Fe2O3
 সঠিক উত্তর: (খ)

 ৮৬. ঘনীভূত আকরিককে গলনাঙ্কের চেয়ে কম তাপমাত্রায় বায়ুর অনুপস্থিতিতে উত্তপ্ত করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় –
Ο ক) তাপজারণ
Ο খ) ভস্মীকরণ
Ο গ) বিগলন
Ο ঘ) ঘনকিরণ
 সঠিক উত্তর: (গ)

 ৮৭. বাংলাদেশে সাদা মাটির পাহাড় দেখা যায় কোথায়?
Ο ক) সিলেট
Ο খ) চট্টগ্রাম
Ο গ) মধুপুর
Ο ঘ) নেত্রকোণা
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৮৮. কোন ধাতু নিষ্কাশনে বাত্যাচুল্লি ব্যবহার করা হয়?
Ο ক) কপার
Ο খ) জিঙ্ক
Ο গ) লেড
Ο ঘ) লোহা
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৮৯. আয়রন নিষ্কাশনে ম্যাগনেটাইটের তড়িৎ বিশ্লেষণ করা হয় কারণ –
Ο ক) ম্যাগনেটাইট থেকে কার্বন বিজারণ দ্বারা Fe নিষ্কাশন করা হয়
Ο খ) তড়িৎ বিশ্লেষণে আয়রন প্রাপ্তির পরিমাণ কম
Ο গ) তড়িৎ বিশ্লেষণ অত্যন্ত ব্যয়বহুল
Ο ঘ) সবগুলো
 সঠিক উত্তর: (গ)

 ৯০. কোন গ্যাসটি বিষাক্ত?
Ο ক) বাষ্পীয় লেড অক্সাইড
Ο খ) হাইড্রোজেন
Ο গ) কার্বন ডাইঅক্সাইড
Ο ঘ) সালফার ডাইঅক্সাইড
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৯১. আগ্নেয় শিলা থেকে পাওয়া যায় –
Ο ক) মূল্যবান খনিজ
Ο খ) বেলে পাথর
Ο গ) সবগুলো
Ο ঘ) কোনটিই নয়
 সঠিক উত্তর: (গ)

 ৯২. পানিতে সালফিউরিক এসিড যোগ করলে –
i. বিস্ফোরণ হবে
ii. প্রচন্ড তাপ উৎপাদিত হবে
iii. লঘু H2SO4 তৈরি হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
Ο ক) i ও ii
Ο খ) ii ও iii
Ο গ) i ও iii
Ο ঘ) i, ii ও iii
 সঠিক উত্তর: (খ)

 ৯৩. নিচের কোনটি মৌলিক এবং কঠিন খনিজ?
Ο ক) গন্ধক
Ο খ) পারদ
Ο গ) বক্সাইট
Ο ঘ) ম্যাগনেটাইট
 সঠিক উত্তর: (ক)

 ৯৪. কোন দেশের শিল্পায়নের মানদন্ড –
Ο ক) দেশের অবকাঠামো
Ο খ) G.D.P
Ο গ) মাথাপিছু আয়
Ο ঘ) H2SO4 উৎপাদন
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৯৫. শিখা পরীক্ষায় সোডিয়ামের উজ্জ্বল সোনালি হলুদ শিখা কোন কাচের ভিতর দেখা যায় না?
Ο ক) কোবাল্ট কাচ
Ο খ) নীল কোবাল্ট কাচ
Ο গ) যে কোন কাচ
Ο ঘ) এন্টিমনি কাচ
 সঠিক উত্তর: (খ)

 ৯৬. ভূ-ত্বকের প্রধান উপাদান মৌল দুটি –
Ο ক) Si, O
Ο খ) Al, O
Ο গ) Fe, O
Ο ঘ) Cu, O
 সঠিক উত্তর: (খ)

 ৯৭. আয়রনের জারিত অবস্থা কোনটি?
Ο ক) Fe2+
Ο খ) Fe3+
Ο গ) Fe
Ο ঘ) Fe2+ ও Fe3+
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৯৮. জিরকোনিয়াম পাওয়া যায় বাংলাদেশের –
Ο ক) সমুদ্রে
Ο খ) সমুদ্র তলদেশে
Ο গ) কক্সবাজারে
Ο ঘ) কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে
 সঠিক উত্তর: (ঘ)

 ৯৯. পিঁয়াজে সালফারের --- যৌগ থাকে।
Ο ক) মিথাইল
Ο খ) ইথাইল
Ο গ) প্রোপাইল
Ο ঘ) বিউটাইল
 সঠিক উত্তর: (গ)

 ১০০. রাসায়নিক পদ্ধতিতে ঘনীভবন করা হয় কোন ধাতুর আকরিক?
Ο ক) Na
Ο খ) Fe
Ο গ) Al
Ο ঘ) Cr
 সঠিক উত্তর: (গ)