Recent Post
Loading...
National University Exam time Notice

Bangladesh Police  Job Circular 2016 has been published. Bangladesh Police  Job Circular 2016 has been published in the Kalarkontho dated on 30  August 2016.  Asking application from Bangladeshi People. Bangladesh Police  job is the best Govt job in Bangladesh. Bangladesh Police Job Circular 2016 Related all information will be found in my personal website below.

Published Date: 30 August 2016

Application Deadline: 28 September 2016

Educational Qualification: see the circular

Total Post: See the Circular

Bangladesh Polic Job Circular 2016 Download below


যে কোনো ধরণের জ্ঞান, হোক সে তথ্য, প্রমাণ, যুক্তি কিংবা বিজ্ঞান- তা সব সময়ই উত্তম। একজন ভালো নাগরিক, সর্বোপরি, একজন মানুষ মাত্রই এই সকল গুণাবলী তার মাঝে থাকা প্রয়োজন এবং যৌক্তিক। যদিও আজকালকার রাজনৈতিক বিতর্ক শুনলে তোমাদের সন্দেহ হতেই পারে, মূর্খতার এমন নিদর্শন কীভাবে উদ্ভব হলো! একটা কথা আমি সবসময় বিশ্বাস করি, রাজনীতি কিংবা জীবন, কোনোক্ষেত্রেই অজ্ঞতা কোনো গুণ নয়, কোনো বিষয় না জানা অহমিকার বস্তু নয়। আমাদের পূর্বপ্রজন্মদের দেখলেই এর প্রমাণ মেলে, যারা কিনা জ্ঞানের আলোকে তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থার হাজারো বিধি-নিষেধের তোয়াক্কা না করে কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতার মতো বড় বড় সমস্যার সমাধান করেছেন। কীভাবে পারলেন? কারণ তাদের চিন্তায় যৌক্তিকতা ছিলো, তাদের বুকে সাহস ছিল, লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আত্মপ্রত্যয় ছিল। এই আত্মপ্রত্যয়ের ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছে আমাদের দেশ, এমনকি গোটা বিশ্ব।

এতদিনের পড়াশোনা শেষে তোমাদের মধ্যে নিশ্চয়ই বেশ ভালো ধারণা হয়েছে, রেজাল্ট যেমন প্রতিভার পরিচয় নয়, ঠিক তেমনি শুধু বইয়ে মুখ গুজে থাকলেই জ্ঞানার্জন সম্ভব নয়। দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা ভিন্ন জিনিস, যা মানুষকে অর্জন করতে হয় জীবনের প্রতি পরতে পরতে, ভাঙ্গা গড়ার খেলার মাঝে মাঝে। এজন্যই আমাদেরকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের যেকোনো বিষয়কে সম্মান করতে হবে, জানতে হবে, কাজে লাগাতে হবে। কার্ল স্যাগান বলেছিলেন, ‘কোনো জাতির উন্নতির পরিমাপ করা যায় তার নাগরিকদের প্রশ্ন করার সাহস ও উত্তরের গভীরতা দেখে, সুন্দরের চেয়ে সত্যকে আলিঙ্গন করার প্রবণতা দেখে।’
সময়ের সাথে সাথে আমাদের যত উন্নতিই হয়েছে, তা কিন্তু রাতারাতি সাফল্যের ফল নয়। বহু বছরের তিল তিল করে একেকটি সাফল্যের ইট গাঁথা হয়েছে। পরিবর্তন একদিনের ফসল নয়, তা সে যেই দেশ হোক, যেই জাতি হোক- সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তোমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, যদি মনে করো দেশের পরিবর্তনে তোমাদের অংশগ্রহণ থাকবে, বিশ্বমানচিত্রে নিজের দেশকে ভালো অবস্থানে দেখতে চাও, তবে এখনই কাজ শুরু করো, তোমার অংশগ্রহণ বাড়াও। সমস্যার কথা হলো, গত এক শতাব্দী ধরে পুরো বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা ভারসাম্যহীন হয়ে চলেছে। খোদ আমেরিকার সকল উপার্জনের অর্ধেক থাকে ১০ শতাংশের কাছে বন্দী। আগে যেখানে উপরের পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আয় মাঝামাঝি কর্মীদের আয়ের চেয়ে ৩০ গুণ বেশি ছিল, এখন তা ৩০০ গুণ বেশি! বৈষম্যটা কি কল্পনার খাতায় পরিমাপ করা যাচ্ছে? বোধহয় না!
একটু চিন্তা করে দেখো তো! এই বৈষম্য মেটানোর উপায় কী? হাজারটা উপায় আছে আর এখন ১ মিনিট চিন্তা করলেই অনেক উপায় বের হয়েও যাবে। তারপরও এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না কেন? কারণ সমস্যা সমাধানকারী হচ্ছো তোমরা, আর তোমরাই রাজনীতিতে অনুপস্থিত। দেশের প্রয়োজনে তোমাদের অংশগ্রহণ কম, এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যে কোনো দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বেশি নিষ্ক্রিয় দর্শক বোধহয় তরুণ সমাজ। কেন? কারণ যেই স্বপ্ন এই তরুণ সমাজ দেখে, যেই সমস্যার সমাধান তারা চায় তার বাস্তবায় হয় না। সুতরাং অপেক্ষার আগেই হাল ছেড়ে দিয়ে তারা বসে থাকে। আজকের যত উন্নয়নের মাঝে তোমরা বড় হচ্ছো, সেটা কি একদিনে সম্ভব হয়েছে বলে মনে হয়? মোটেই না! বরং পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় নিয়ামক হলো ধৈর্য এবং ইচ্ছাশক্তি, যার প্রয়োগ তরুণ সমাজ চাইলেই করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। শুধু তাই নয়, পরিবর্তনের জন্য আরও প্রয়োজন আপোষ করা, সে নিজের জন্য হোক কিংবা অন্যের জন্য, দশের জন্য হোক কিংবা দেশের জন্য। এভাবেই গনতন্ত্র এগিয়ে চলে। আদতে অনেক কঠিন মনে হয়, তবে এর ফলাফল বেশ উপাদেয়! মনে রেখো, সকল কাজই পার্টটাইম, শুধু নাগরিকত্ব ফুলটাইম- দেশাত্ববোধ বলে কথা।
আমাদের আরও একটি বড় সমস্যা আমরা অন্যের মতামত শুনতে চাই না, যা গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থার মূল ভিত্তি। কারো সাথে মতের অমিল? যুক্তি দাও, খণ্ডন করো, পারলে পাল্টা যুক্তি দাও। সবসময় অন্যের যুক্তির সাথে মিলতে হবে এমন কোনো কথা নেই। অমিল মেনেও একসাথে থাকা যায় এই শিক্ষা গ্রহণ করো। সব বিতর্কের শেষ হারজিত দিয়ে হয় না, শিক্ষা দিয়েও হয়।
আমি মনে করি এই প্রজন্ম পারবে, ইতিবাচকতার শিক্ষা দিতে, উদারতার উদাহরণ হতে, পরিবর্তনের প্রয়োজনে অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে জেগে উঠতে। এই প্রজন্ম শুধু স্বপ্ন দেখতে নয়, স্বপ্ন বাস্তবায়নও করতে জানে। আমাকে খুব ইতিবাচক মানসিকতার মনে হচ্ছে? এই শক্তি দিয়েই ইতিহাসের পাতায় একেকটি জাতি জেগে উঠেছে, বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে। আর সেই জেগে ওঠার পেছনে সর্বদাই মূলশক্তি হিসেবে ছিল তরুণ প্রজন্ম। তোমরাও তার ব্যতিক্রম নও, এ আমার বিশ্বাস!
(সূত্র: রাটগার্স স্টেট ইউনিভার্সিটিতে দেওয়া বারাক ওবামার সমাবর্তন বত্তৃতা, ১৫ মে ২০১৬।
www,facebook.com/emon.raihan
জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাস্রের বা শাখার জনকের নাম (মোট ৮১ টি ) জেনে নিন কে কিসের জনক...............যে কোন প্রকার প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য অনেক কাজে আসবে ...। 
1) অর্থনীতি ⇨ এডাম স্মিথ ( Adam Smith )
2) আধুনিক অর্থনীতির ⇨ পাল স্যমুয়েলসন
3) আধুনিক কম্পিউটার ⇨ চার্লস ব্যাবেজ 
4) আধুনিক কম্পিউটার বিজ্ঞান ⇨ এলান ম্যাথাসন টুরিং 
5) আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞান ⇨ আলবার্ট আইনস্টাইন ( Albert Einstein )
6) আধুনিক বিজ্ঞানের ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের ⇨ গ্যালিলিও গ্যালিলি ( Galileo Galilei ) 
7) আধুনিক বিজ্ঞানের ⇨ রাজার বেকন
8) আধুনিক রসায়নের ⇨ জন ডাল্টন ( John Dalton )
9) আধুনিক রসায়ন বিদ্যা ⇨ অ্যান্টনি লরেন্ট ল্যাভসেসিয়ে
10) ইংরেজি নাটকের ⇨ উইলিয়ম শেক্সপিয়
11) ইংরেজী কবিতা ⇨ জিও ফ্রে চসার ( Geoffrey Chaucer )
12) ইতিহাস ⇨ হেরোডোটাস ( Herodotus )
13) ইন্টারনেট ⇨ ভিনটন জি কার্ফ ( Vint Cerf )
14) ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন ⇨ এলান এমটাজ ( elan emtaz )
15) ই-মেইল ⇨ রে টমলি সন ( Ray Tomlinson )
16) উইকিপিডিয়া ⇨ জিমি ওয়েলস
17) উদ্ভিদবিজ্ঞান ⇨ থিওফ্রাস্টাস ( Theophrastus )
18) এনাটমি ⇨ আঁদ্রে ভেসালিয়াস ( Andreas Vesalius )
19) কম্পিউটার ⇨ চার্লস ব্যাবেজ ( Charles Babbage )
20) কম্পিউটার বিজ্ঞান ⇨ জর্জ বোল ( George Boole ) ও অ্যালান টুরিং ( Alan Turing )
21) ক্যালকুলাস ⇨ আইজ্যাক নিউটন ও গটফ্রিড ( Gottfried Wilhelm Leibniz )
22) গণতন্ত্র ⇨ জন লক ( John locke )
23) গণিতশাস্ত্র ⇨ আর্কিমিডিস ( Archimedes )
24) গাণিতিক অর্থনীতি ⇨ ড্যানিয়েল বার্নুলি ( Daniel Bernoulli )
25) চিকিৎসা বিজ্ঞানের ⇨ ইবনে সিনা
26) জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ⇨ জেমস গসলিং 
27) জীব বিজ্ঞান ⇨ এরিস্টটল ( Aristotle )
28) জীবাণু বিদ্যা ⇨ লুই পাস্তুর ( Louis Pasteur )
29) জেনেটিক্স ⇨ গ্রেগর মেন্ডেল ( Gregor Mendel )
30) জৈব রসায়ন ⇨ ফ্রেডারিক উইলার
31) জোর্তিবিজ্ঞান ⇨ নিকোলাস কোপারনিকাস ( Nicolaus Copernicus )
32) জ্যামিতি ⇨ ইউক্লিড ( Euclid )
33) তড়িৎ গতি ⇨ মাইকেল ফ্যারাডে ( Michael Faraday )
34) তাপগতিবিদ্যা ⇨ সাদী কার্নোট ( Sadi Carnot )
35) ত্রিকোণমিতি ⇨ হিপারছাস ( Hipparchus )
36) দর্শন শাস্ত্র ⇨ সক্রেটিস ( Socrates )
37) দেহ তত্ত্ব ⇨ ক্লদ বার্নার্ড ( Claude Bernard )
38) পদার্থ বিজ্ঞান ⇨ আইজ্যাক নিউটন ( Isaac Newton )
39) পরমাণুবাদ ⇨ ডেমোক্রিটাস 
40) পর্যায় সারণি ⇨ দিমিত্রি মেন্ডেলি
41) পল ম্যাকিনটস ⇨ জেফ রাসকিন 
42) পারমাণবিক তত্ত্ব ⇨ ডেমোক্রিটাস ( Democritus )
43) পার্সোনাল কম্পিউটার (পিসি) ⇨ অ্যানড্রে থাই টুরং 
44) প্রাণিবিজ্ঞান ⇨ এরিস্টটল ( Aristotle )
45) বংশগতি বিদ্যা ⇨ গ্রেগর জোহান মেন্ডেল ( Gregor Johann Mendel )
46) বাংলা উপন্যাস ⇨ বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ( Bankim Chandra Chattopadhyay )
47) বাংলা কবিতা ⇨ মাইকেল মধু সূদন দত্ত ( Michael Madhusudan Dutt )
48) বাংলা গদ্য ⇨ ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যা সাগর ( Ishwar Chandra Vidyasagar )
49) বাংলা গদ্য ছন্দ ⇨ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ( Rabindranath Tagore )
50) বাংলা চলচিত্র ⇨ হীরালাল সেন ( Hiralal Sen )
51) বাংলা নাট্য ⇨ দীন বন্ধু মিত্র ( Dinabandhu Mitra )
52) বাংলা মুক্তক ছন্দ ⇨ কাজী নজরুল ইসলাম ( Kazi Nazrul Islam )
53) বাংলা সনেট ⇨ মাইকেল মধু সুদন দত্ত ( Michael Madhusudan Dutt )
54) বায়ুগতিবিদ্যা ⇨ নিকোলাই ( Nikolai Zhukovsky )
55) বিজ্ঞানের ⇨ থ্যালিস 
56) বিদ্যুৎ ⇨ নিকোলা তেস্‌লা ( Nikola Tesla )
57) বিবর্তন বাদ তত্ত্ব ⇨ চার্লস ডারউইন ( Charles Darwin )
58) বীজগণিত ⇨ আল⇨ খাওয়ারিজম ( Al⇨ Khwarizmi )
59) ভাষাতত্ত্ব ⇨ নোয়াম চমস্কি ( Noam Chomsky )
60) ভিজুয়্যাল বেসিক (প্রোগ্রাম) ⇨ এলান কুপার 
61) ভিডিও গেমস (কম্পিউটার) ⇨ নোলেন বুশনেল 
62) ভূগোল ⇨ ইরাটস থেনিস ( Eratosthenes )
63) ভূ তত্ত্ব ⇨ নিকোলাস স্টেনোর ( Nicholas Steno )
64) মনোবিজ্ঞান ⇨ উইলহেম উন্ড ( Wilhelm Wundt )
65) মেডিসিন ⇨ হিপোক্রটিস ( Hippocrates )
66) রসায়ন বিজ্ঞান ⇨ জাবির ইবনে হাইয়্যান ( Ibn Hayyan )
67) রাষ্ট্র বিজ্ঞান ⇨ এরিস্টটল ( Aristotle )
68) রোগজীবাণুতত্ত্ব ⇨ লুই পাস্তুর ( Louis Pasteur )
69) শরীর বিদ্যা ⇨ উইলিয়াম হার্ভে ( William Harvey )
70) শ্রেণিবিদ্যা ⇨ ক্যারোলাস লিনিয়াস ( Carolus Linnaeus )
71) সংখ্যা তত্ত্ব ⇨ পিথাগোরাস ( Pythagoras )
72) সনেটের ⇨ পের্ত্রাক 
73) সমাজবিজ্ঞান ⇨ অগাস্ট কোৎ ( Auguste Comte )
74) সামাজিক বিবর্তনবাদ ⇨ হার্বাট স্পেন্সর ( Herbert Spencer )
75) সাম্যবাদ ⇨ কার্ল মার্কস ( Karl Marx )
76) স্নায়ুবিজ্ঞান ⇨ সান্তিয়াগো রামোন ( Santiago Ramón y Cajal )
77) হিসাব বিজ্ঞান ⇨ লুকাপ্যাসিওলি ( Luca Pacioli )
78) www (world wide web) ⇨ টিম বার্নার্স⇨ লি 
79) আধুনিক টেলিভিশন ⇨ অ্যালেন বি ডুমেন্ট
80) সেমি কন্ডাক্টর ⇨ জ্যাক কিলবি
81) আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তি ⇨ সাইরাস ফিল্ড
প্রাচীনকালে ভারতীয় দার্শনিক মহর্ষি কণাদ ‘কণাবাদ’ তথ্য পরমাণুবাদ প্রথম প্রচার করেছিলেন। তিনি ধরে নিয়েছিলেন, প্রত্যেকটি পদার্থ অতি সূক্ষ সূক্ষ অবিভাজ্য কণা দ্বারা গঠিত। গ্রিক ডিমোক্রিটাসও ওই একই মত পোষণ করেছিলেন। তবুও তাদের মতকে ঠিক ঠিক বিজ্ঞানসম্মত বলা চলে না। কারণ এরা মূলত ছিলেন দার্শনিক যদিচ দর্শন থেকেই বিজ্ঞানের উৎপত্তি তথাপি কণাদ ডিমোক্রিটাস উভয়েই জড় বস্তুর উপর আদৌ গুরুত্ব আরোপ করেননি। বিজ্ঞানের আলোচনা ছিল একেবারে গৌণ। তাদের প্রত্যেকের লেখা পুস্তকে যুক্তি অপেক্ষা কল্পনাই লাভ করেছিল প্রাধান্য। সেইদিক দিয়ে বিচার করলে জন ডালটনকেই প্র্রকৃত পরমাণুবাদের প্রবর্তকরূপে ব্যাখ্যা দেওয়া যায়।

১৭৬৬ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডে ইগলসফিল্ড নামক একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ডালটন। গ্রাম্য বিদ্যালয়ের তার প্রথম পড়াশোনা শুরু হয়। অতি বাল্যকাল থেকেই তার প্রতিভার স্ফুরণ ঘটেছিল। কথিত আছে, বিদ্যালয়ে পাঠকালেই তিনি গ্রিক ও ল্যাটিন নামক দুটি দুরূহ ভাষোকে আয়ত্ত করে নিয়েছিলেন। ছেলেবেলায় বিজ্ঞান এবং অঙ্কের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করতেন ভয়ানকভাবে। তাই বিদ্যালয়ের পাঠ সমাপ্ত করার পর ডালটন বিজ্ঞানে উচ্চ শিক্ষালাভের জন্য ভর্তি হন কলেজে। সেখানেও রেখেছিলেন কৃতিত্বের স্বাক্ষর। অবশেষে বিজ্ঞানে এম.এস.সি ডিগ্রি লাভের পর ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন অধ্যপকরূপে। সেই থেকেই তার আরম্ভ হয় গবেষণা। তখন তার বয়স ছিল মাত্র পঁচিশ বছর।
জন ডাল্টনের মৌলিক গবেষণাগুলো প্রথম ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। সে সময় তার গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল বিভিন্ন গ্যাসীয় পদার্থ। ১৮০০ খ্রিস্টব্দে তিনি প্রকাশ করেছিলেন গ্যাস প্রসারণ সূত্র এবং গ্যাসের অংশ চাপ সূত্র। এই সূত্র দুটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীদের মধ্যে একটা সাড়া পড়ে গিয়েছিল। বহু বিজ্ঞানী সেদিন গিয়ে এসেছিলেন ডালটনের সূত্রগুলোর যাচাই করতে। শেষে তারা সবাই স্বীকার করে নিয়েছিলেন সূত্রগুলোকে এবং ডালটনও প্রসিদ্ধিলাভ করেছিলেন বিশিষ্ট রসায়ন বিজ্ঞানী হিসেবে। এই ঘটনা থেকে রসায়ন বিজ্ঞান ডালটন ব্যতীত আরো বহু বিজ্ঞানীর মতবাদ লাভ করে নিজ ভান্ডার পুষ্ট করেছিল।
গ্যাস আয়তনের সূত্র আবিস্কারের পর ডালটনের মনে পদার্থের গঠন সম্পর্কে চিন্তা স্থার লাভ করেছিল। সেই চিন্তা থেকেই অচিরে জন্মলাভ করেছিল ‘পরমাণুবাদ’ নামক ডালটনের বিখ্যাত মতবাদটি। তার এই মতবাদ অনুসারে প্রতিটি মৌলিক পদার্থ বহুসংখ্যক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও অবিভাজ্য কণা নিয়ে গঠিত। সেই অন্তিম কণাগুলোর নাম পরমাণু বা এ্যাটম। এই কণাকে ভাঙাও যায় না কিংবা গড়াও যায় না। প্রত্যেকটি মৌলিক পদার্থের পরমাণুরা ওজনে ও ধর্মে এক কিন্তু বিভিন্ন মৌলিক পদার্থের পরমাণুদের ওজনে এবং ধর্মে স্বাতন্ত্র্য আছে। মৌলিক পদার্থের পরমাণুরা আবার সরল ও সুনির্দিষ্ট অনুপাতে যুক্ত হতে পারে।
ডালটন অবশ্য মৌলিক বা যৌগিক যে কোনো পদার্থের সূক্ষতম অন্তিম কণাকে পরমাণু নামে অভিহিত করেছিলেন। এইখানে ছিল তার কল্পনার বড় রকমের ক্রটি। সেই ক্রটি সংশোধিত হয়েছিল অনেক পরে। তাছাড়া পূর্ববর্তী কল্পনা আধুনিক পরমাণুবিজ্ঞান স্বীকার করছে না।
ডালটনের উপরোক্ত সূত্র ও মতবাদগুলো ছাড়া আরো অনেক আবিস্কার আছে। তিনি পরমাণুর সাংকেতিক চিহ্ন এবং পরমাণুর ওজন সম্বন্ধে গবেষণা করে বহু মূল্যবান তথ্য পরিবেশন করেছিলেন। ১৮১১ খ্রিস্টাব্দে তিনি আবিস্কার করেছেলেন গ্যাসের তরলীকরণের উপায়। তিনিই প্রথম ঘোষণা করেছিলেন, উচ্চচাপে এবং নিম্ন তাপমাত্রার সমস্ত গ্যাসকে তরলে রূপান্তরিত করা সম্ভব।
ডালটন জীবদ্দশাতেই বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলেন। পরিচিত হয়েছিলেন, তৎকালীন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের অন্যতম হিসেবে। জীবনে বহু সম্মান এবং পুরস্কার লাভ করেছিলেন তিনি। লন্ডনের বিখ্যাত রয়েল সোসাইটি ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে তার প্রতিভার স্বীকৃতিস্বরূপ দান করেছিল সুবর্ণপদক।
আজীবন অধ্যাপনা এবং গবেষণার পর ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে এই মহান বিজ্ঞানী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আইনস্টাইন সাহেবের লাইফে অনেক মজার মজার ঘটনা আছে। যদিও ব্যাক্তি আইনস্টাইন কে আমার যতটা না কঠীন মনে হত আমার কাছে, কয়দিন ধরে উনার উপর গবেষনা করে অনেক সহজ লোক মনে হচ্ছে। যদিও ব্যাক্তি অনির্ণেয় উনার বিশ্বখ্যাত আপেক্ষিক তত্ত্বের ক টা ও বুঝতে পারি নি। কিন্তু আজ উনার জীবনের কিছু মজার ঘটনা আপনাদের কে জানাব।
·         ১. আইনস্টাইন বিশ্বখ্যাত তাঁর আপেক্ষিক তত্ত্বের জন্য। কিন্তু কে কী ভাবত তাঁর আপেক্ষিক তত্ত্ব নিয়ে? জার্মান বা ফরাসীরা? ১৯৩০-এর দশকে সরবোনে (Sorbonne) বক্তৃতা দেওয়ার সময় এ বিষয়ে বলেন, ‘যদি আমার আপেক্ষিক তত্ত্ব সত্য প্রমাণিত হয়, তবে জার্মানি আমাকে জার্মান হিসেবে দাবি করবে। আর ফ্রান্স বলবে যে আমি পুরো বিশ্বের নাগরিক। কিন্তু যদি তত্ত্বটা ভুল প্রমাণিত হয়, তবে ফ্রান্স বলবে, আমি একজন জার্মান এবং জার্মানি বলবে আমি হলাম ইহুদি।
·         ২. ১৯২১ সালে ফিলিস্তিন ভ্রমণে বেরিয়েছেন আইনস্টাইন। সেখানে যুব সংঘনামের এক প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন ২২ বছর বয়সী এক তরুণী। সমাজের নানা বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করছিলেন আইনস্টাইন। একবার আইনস্টাইন তাঁর কাছে জানতে চাইলেন, ‘আচ্ছা, এখানে নারী-পুরুষে সম্পর্ক কেমন?’ এ প্রশ্নশুনে ওই তরুণী লজ্জায় পড়ে গেলেন। তিনি বললেন, ‘দেখুন অধ্যাপক, এখানে কিন্তু একজন পুরুষের একটিই স্ত্রী।একটু হেসে তাঁর হাতখানা ধরে আইনস্টাইন বললেন, ‘না, না। আমার প্রশ্নটা ওভাবে নিয়ো না। আমরা পদার্থবিজ্ঞানীরা সম্পর্ককথাটা দিয়ে সহজ কিছুকে বোঝাই। আমি আসলে জানতে চেয়েছি, এখানে কতজন নারী আর কতজন পুরুষ মানুষ।
·         ৩. মানুষ মাত্রই কি ভুল হয়? নিজের ভুলভ্রান্তি নিয়ে কী ভাবতেন আইনস্টাইন? ১৯৩৫ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য আপনার কী কী দরকার?’ আইনস্টাইন বললেন, ‘একটা ডেস্ক, কিছু কাগজ আর একটা পেনসিল। সঙ্গে দরকার বড় একটা ডাস্টবিন, যেখানে আমার সব ভুল করা বা ভুলে ভরা কাগজগুলো ফেলব!
·         ৪. আইনস্টাইনকে প্রাচীন গণিতের ইতিহাসবিদ অটো নিউগেব্যুর বলেছেন, ‘কিংবদন্তিকিন্তু এই কিংবদন্তি মানুষটি তুলনামূলক দেরিতে কথা বলতে শেখেন। ফলে তাঁর মা-বাবা খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। তো, একদিন রাতে খাবার টেবিলে সবাই আছেন। আইনস্টাইনও। হঠাৎ তিনি চিত্কার করে বললেন, ‘এই স্যুপটা খুবই গরম।উহ্, হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন মা-বাবা। ছেলের মুখে প্রথম বুলি শুনে তাঁরা আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এর আগে কেন তুমি কোনো কথা বলোনি?’ জবাবে আইনস্টাইন বললেন, ‘কারণ, এর আগে সবকিছু ঠিকঠাক ছিল!
·         ৫. অনেকের কাছে অঙ্কের সমার্থক শব্দ আতঙ্ক। তো, একবার ১৫ বছর বয়সী এক তরুণী আইনস্টাইনের কাছে সাহায্য চাইল। গণিতের ওপর বাড়ির কাজ বা হোম ওয়ার্ক সে সঠিকভাবে করতে পারছিল না। তরুণীর কাছে অঙ্ক এমনিতেই আতঙ্কের নাম। আইনস্টাইন ওই তরুণীকে বলেছিলেন,‘গণিতের সমস্যা নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা করো না। তোমার কাছে গণিত যতটা কঠিন, আমার কাছে গণিত তার চেয়েও কঠিন।
·         ৬. একবার এক ছাত্র আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করল, ‘গত বছর পরীক্ষায় যেসব প্রশ্ন পড়েছিল, এবারের পরীক্ষায়ও ঠিকঠিক ওই সব প্রশ্নই পড়েছে।’ ‘ঠিক বলেছ।আইনস্টাইন বললেন, ‘কিন্তু এ বছরের উত্তরগুলো আগেরবারের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা!
·         ৭. একবার এক অনুষ্ঠানে আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘আপনি একটু সহজ করে আপনার তত্ত্বটা আমাদের বোঝাবেন?’ আইনস্টাইন তখন এই গল্পটা শোনালেন। আমি একবার বন্ধুর সঙ্গে হাঁটছিলাম। বন্ধুটি ছিল অন্ধ। আমি বললাম, দুধ পানকরতে ইচ্ছা করছে। দুধ?’ বন্ধুটি বলল, ‘পান করা বুঝি, কিন্তু দুধ কী জিনিস?’ ‘একটা সাদা তরল পদার্থ।বললাম আমি। তরল আমি বুঝি, কিন্তু সাদা জিনিসটা কী?’ ‘বকের পালকের রং।’ ‘পালক আমি বুঝি, কিন্তু বক কী?’ ‘ঘাড় কুঁজো বা বাঁকানো ঘাড়ের এক পাখি।’ ‘ঘাড় সে তো বুঝি। কিন্তু এই কুঁজো কথাটার মানে কী?’ এরপর আর ধৈর্য থাকে, বলুন! আমি তার হাতটা ধরে এক ঝটকায় টানটান করলাম। বললাম, ‘এটা এখন একদম সোজা, তাই না। তারপর ধরো, কনুই বরাবর এটা ভেঙে দিলাম। এবার তোমার হাতটা যেমন আছে সেটাকেই কুঁজো বা বাঁকানো বলে, বুঝলে?’ ‘আহ্!অন্ধ বন্ধু বলল, ‘এবার বুঝেছি, দুধ বলতে তুমি কী বুঝিয়েছ।
·         ৮. এক সহকর্মী আইনস্টাইনের কাছে একবার তাঁর টেলিফোন নম্বরটা চাইলেন। তখন আইনস্টাইন একটা টেলিফোন বই খুঁজেবের করলেন এবং সে বইতে তাঁর নম্বরটা খুঁজতে লাগলেন। তখন সহকর্মীটি বললেন,‘কী ব্যাপার, নিজের টেলিফোন নম্বরটাও মনে নেই আপনার?’ আইনস্টাইন বললেন, ‘না। তার দরকারই বা কী? যেটা আপনি বইতে পাবেন, সে তথ্যটা মুখস্থ করে মস্তিষ্ক খরচ করবেন কেন?’
·         ৯. ১৯৩১ সালে চার্লি চাপলিন আমন্ত্রণ জানালেন আইনস্টাইনকে। তখন সিটি লাইটস সিনেমার স্কিনিং চলছিল চাপলিনের। তো যখন চাপলিন ও আইনস্টাইনশহরের পথ ধরে যাচ্ছিলেন, অনেক মানুষ ভিড় জমায়। চাপলিন আইনস্টাইনকে বললেন,‘সবাই আমাকে সহজেই বোঝে। এজন্যই আমার যত জনপ্রিয়তা। তা আপনাকে মানুষ এত পছন্দ করে কেন, বলতে পারেন?’ ‘আসলে’, আইনস্টাইন বলছেন, ‘কেউ আমাকে সহজে বুঝতেই পারে না বলে আমাকে এত বেশি পছন্দ করে!
·         ১০. স্বামী সম্পর্কে কেমন ধারণা ছিল আইনস্টাইনের স্ত্রীর? তাঁর স্ত্রীকেএকবার জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব কি বুঝতে পারেন?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘না, কিন্তু আমার স্বামীকে বুঝি। আমি জানি, তাঁকে বিশ্বাস করা যায়।
·         ১১. বিখ্যাত ভাষ্কর জেকব এপস্টিন একবার আইনস্টাইনের একটি আবক্ষ মূর্তি খোদাই করছিলেন। আইনস্টাইন নিজেই মডেল হয়ে ধৈর্য ধরে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে শিল্পীকে সাহায্য করতেন। সে সময় একদিন তিনি জেকবকে বলেন,’’ প্রায় শখানেক বিজ্ঞানী বই লিখে আমার আপেক্ষিকতা তত্ত্বটি ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে। আমার থিওরী যদি ভুল হয়, তবে এতজনের দরকারটা কী? একজন বললেই যথেষ্ট।
·         ১২. একবার বেলজিয়ামের রাণী আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ জানালেন তাঁর দেশ সফরের। নির্দিষ্ট দিনে আইনস্টাইনকে রাজপ্রাসাদে নিয়ে যাবার জন্য রেল স্টেশনে হাজির হল গাড়ির বহর। কিন্তু কোথায় কী? রেল স্টেশনে আইনস্টাইনকে খুঁজেই পাওয়া গেল না। ফিরে চলল গাড়্রির বহর রাজপ্রাসাদের দিকে। কিছুক্ষণ পর সাদাসিধে পোশাকে বেহালা বাজাতে বাজাতে রাজপ্রাসাদে হাজির হলেন বিজ্ঞানী আইনস্টাইন। রাণী ব্যাপারটাতে লজ্জিত হলেন। সাথে সাথে ক্ষমা প্রার্থণা করে জানালেন যে, বিজ্ঞানীকে নিয়ে আসার জন্য গাড়ি বহর রেল স্টেশনে গিয়েছিল। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে ফিরে এসেছে। আইনস্টাইন বললেন,’’আমি ইচ্ছে করেই গাড়ি বহরকে এড়িয়ে গেছি। আর পায়ে হেঁটে বেহালা বাজাতে বাজাতে এসেছি। যদি আপনার ঐ রাজকীয় গাড়িতে আসতাম, তবে কি এভাবে বেহালা বাজাতে পারতাম? সাধারণ মানুষের মত শহরটাকে দেখে নিতে পারতাম?’’ এমনই সহজ সরল আর সাধারণ ছিলেন বিজ্ঞানী আইনস্টাইন। এত বড় বিজ্ঞানী অথচ মনে এতটুকু অহংকার ছিল না।
·         ১৩. আইনস্টাইন যে কত সহজ সরল ছিলেন তা বোঝা যায় তাঁর আরেকটি মজার ঘটনায়। আপেক্ষিকতা তত্ব আবিষ্কার করে তিনি তখন বিখ্যাত ও বিতর্কিত। সত্যি কথা বলতে কি, বিজ্ঞানী-অবিজ্ঞানী কারোর মগজের এন্টেনাই ব্যাপারটা ক্যাচ করতে পারছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা সেমিনারে, বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর উদ্ভাবিত তত্ত্বটি বোঝাতে লেকচার দিতে যেতেন। প্রায় সব সেমিনারে তিনি একই ধরনের আলোচনা করতেন। একবার এমনি এক সেমিনারে তিনি আমন্ত্রিত হয়েছেন, লেকচার দেবার জন্য। পথিমধ্যে তাঁর ড্রাইভার করে বসল এক আজব আবদার।বলল, ‘’স্যার, আপনার লেকচারগুলু শুনতে শুনতে আমার মুখস্থ হয়ে গেছে। আজ একদিনের জন্য আমি আইনস্টাইন সেজে সেমিনারে বক্তব্য চাই।‘’ মজার মানুষ আইনস্টাইনেরও কথাটা খুব মনে ধরল। তিনি এক কথায় রাজি। দেখাই যাক না, ব্যাপারটা কী হয়? তো, ড্রাইভার আইনস্টাইন সেজে অনুষ্ঠানে গেল বক্তব্য দিতে আর স্বয়ং আইনস্টাইন দর্শক সারিতে বসে রইলেন আইনস্টাইনেরই ড্রাইভার হয়ে। তখন তো আর মিডিয়ার এত দৌরাত্ন্য ছিল না। তাই ব্যপারটা কেউ বুঝতে পারল না। আইনস্টাইনরূপী ড্রাইভার মঞ্চে বক্তব্য রাখল এবং চমৎকার বক্তব্য রাখল।দর্শক সারিতে বসে মুগ্ধ আইনস্টাইন বার বার হাত তালি দিতে লাগলেন।অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত একজন আইনস্টাইনের ড্রাইভারের কাছে যেয়ে বললেন, ‘’ আপনার বক্তব্যটি আমার খুব ভাল লেগেছে। কিন্তু কি জানেন, আমি এই অমুক অমুক বিষয়গুলু একদম বুঝতে পারিনি। আপনি কি অনুগ্রহ করে আমাকে বিষয়গুলু বুঝিয়ে দেবেন?’’ আইনস্টাইনের ড্রাইভার বিন্দু মাত্র না ঘাবড়ে উত্তর দিল,’’ওহ! এই ব্যাপার? এই ব্যাপারটা তো আমার ড্রাইভারই বুঝিয়ে দিতে পারবে। চলুন তার কাছেই যাই।
·         ১৪. একবার আইনস্টাইনকে সফলতা লাভের একটি গাণিতিক ফর্মুলা দিতে বলা হল। তিনি বলেছিলেন,’’ X+Y+Z=A, যেখানে X=কাজ, Y=খেলাধুলা আর A=সফলতা।‘’ ‘’আর মানে Z কী?’’ আবারও জিজ্ঞেস করা হল তাঁকে। ‘’তোমার মুখ বন্ধ রাখা‘’, আইনস্টাইনের উত্তর।
·         ১৫. আইনস্টাইন তাঁর জটিল আপেক্ষিকতার তত্ত্বের একটি সহজ ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন ঠিক এইভাবে,’’যখন তুমি একজন সুন্দরী মহিলার পাশে বসে থাকো তখন দুঘণ্টাকে মনে হয় দুমিনিট; আর যখন তুমি দুমিনিট গরম চুলার পাশে বসে থাকো তখন দুমিনিটকে মনে হয় দু ঘণ্টা। এটাই হল আপেক্ষিকতাবাদ।‘’ আর রেডিও সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন, ‘’তুমি টেলিগ্রাফের তার দেখেছ। মনে করো, এটা লম্বা, অনেক লম্বা একটা বিড়াল।তুমি নিউইয়র্কে বসে এর লেজে টান দেবে, ওদিকে লস এঞ্জেলেসে এর মাথা মিউ মিউ করে উঠবে।ব্যাপারটা বুঝতে পারছ? বেতার ঠিক এভাবেই কাজ করে। তুমি এদিকে ইশারা দাও, ওদিকে সাড়া পড়ে। পার্থক্য হল এই বেতারের ক্ষেত্রে বিড়াল বলে কিছু উপস্থিত নেই।
·         ১৬. এত সুন্দর ব্যাখ্যা যিনি দিতে পারেন, তিনি কিন্তু অনেক সময় জীবনের সহজ ব্যাপারগুলো বুঝতে পারতেন না। একবার আইনস্টাইন বাড়ি বানালেন। একদিন তিনি বাড়িটা কেমন হল তা দেখতে গেলেন। ঘুরে ঘুরে সব দেখে তিনি জানতে চাইলেন, তাঁর ছোট্ট বিড়ালছানাটি ঘরে ঢুকবে কি করে? তার জন্য তো কোন আলাদা ছোট দরজা বানানো হয় নি। আসলে যাঁরা অনেক বড় মানুষ, তাঁরা সব সময় বড় বড় চিন্তায় মগ্ন থাকেন তো, তাই ছোট ছোট ব্যাপারগুলো তাঁরা অনেক সময় বুঝতে পারেন না। বিজ্ঞানী আইনস্টাইনও এই ছোট্ট ব্যাপারটা কিছুতেই বুঝতে পারলেন না।অবশেষে তাঁকে খুশি করার জন্য বড় দরজার পাশে আরেকটি ছোট দরজা তৈরি করে দেওয়া হল, যেন তাঁর আদরের বেড়ালছানাটি নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত বেড়ালছানাটি কোন দরজা ব্যবহার করত তা আইনস্টাইনই ভাল বলতে পারবেন।
·         ১৭. গুজব আছে, সুন্দরী অভিনেত্রী মেরিলিন মনেরো আইনস্টাইনের প্রতি দুর্বল ছিলেন। তাই একদিন মনেরো আইনস্টাইনকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন এইভাবে, ‘’চলুন না, আমরা বিয়ে করে ফেলি? তাহলে আমাদের সন্তানেরা হবে সৌন্দর্য ও জ্ঞানে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সন্তান। ওরা দেখতে আমার মত আর বুদ্ধিতে আপনার মত।‘’ আইনস্টাইন তৎক্ষণাৎ বললেন, ‘’আর যদি উল্টোটা হয়? দেখতে আমার মত আর বুদ্ধিতে আপনার মত?‘’ এর উত্তরে মনেরো কী বলেছিলেন তা অবশ্য আমি অনেক চেষ্টা করেও জানতে পারিনি।
·         ১৮. তিন হাজার শব্দের মধ্যে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব যে সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা করতে পারবে, তার জন্য মোটা অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা করে সায়েন্টিফিক আমেরিকান। বন্ধুদের মধ্যে কেবল আমিই অংশ নিইনি। আমার বিশ্বাস হয়নি তিন হাজার শব্দে এটা ভালো বোঝাতে পারতাম আমি’−মন্তব্য করেন আইনস্টাইন।
·         ১৯. কাজে যাওয়ার আগে প্রায়ই ভালো পোশাক পরে যাওয়ার আইনস্টাইনকে অনুরোধ-উপরোধ করতেন তাঁর স্ত্রী। বেশির ভাগ সময়ই তিনি জবাব দিতেন, ‘আমি কেন এটা করব? সেখানে সবাই আমাকে চেনে।তারপর আইনস্টাইনের প্রথম বড় ধরনের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় যখন ঘনিয়ে এল, তখন আবার তাঁকে একটু ভালো কাপড়চোপড় পরে সেখানে যাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করতে লাগলেন তাঁর স্ত্রী। এবার তিনি জবাব দিলেন, ‘কেন আমি এটা করব? সেখানে কেউই তো আমাকে চেনে না।
·         ২০. ১৯৩৫ সালে প্রিন্সটনে পৌঁছানোর পর গবেষণার জন্য তাঁর কী কী প্রয়োজন হবে জিজ্ঞেস করা হলে আইনস্টাইন জানালেন, ‘একটি ডেস্ক, কিছু প্যাড, একটা পেন্সিল আর সব শেষে আমার ভুলগুলো ফেলার জন্য বিশাল একটা ময়লার ঝুড়ি।
·         ২১. মাউন্ট উইলসন মানমন্দির পরিদর্শনে গেছেন আইনস্টাইনের স্ত্রী। সেখানকার বিশাল অপটিক্যাল টেলিস্কোপটি ছিল পৃথিবীর বৃহত্তম। এক জ্যোতির্বিদ তাঁকে জানালেন, এসব স্পর্শকাতর যন্ত্রপাতির প্রধান কাজ মহাবিশ্বের বিস্তার, আকৃতি নির্ণয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলে উঠলেন, ‘ও! আমার স্বামী তো পুরোনো একটা খামের পেছনেই এটা করে।
·         ২২. অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথিদের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার চমৎকার এক বুদ্ধি বের করেন আইনস্টাইন। বাড়িতে কেউ আসার কিছু সময় পরই এক বাটি স্যুপ নিয়ে কামরায় ঢোকে এক গৃহপরিচারক। যদি তিনি এটা গ্রহণ করেন, তবে অতিথি ধরে নেন তিনি এখন খাবেন এবং মানে মানে কেটে পড়াই তাঁর জন্য শ্রেয়। অন্যদিকে আইনস্টাইনের যদি কথা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা হয়, তবে স্যুপটা এক পাশে সরিয়ে দেন, যেন-বা এটা এখানে ছিলই না।
·         ২৩. ১৯৩০ সালে আমেরিকার উদ্দেশে বার্লিন ত্যাগ করেন আইনস্টাইন। বার্লিন রেলস্টেশনে পৌঁছেই স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলেন তিনি। যা হোক, একসময় খুঁজে পেলেন তাঁকে। তারপরই টিকিট জোড়া হারিয়ে বসলেন। শেষ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া গেল তাও, আর এভাবেই শুরু হলো তাঁর দ্বিতীয় আমেরিকা যাত্রা।
·         ২৪. মাউন্ট উইলসন মানমন্দির পরিদর্শনে গেছেন আইনস্টাইনের স্ত্রী। সেখানকার বিশাল অপটিক্যাল টেলিস্কোপটি ছিল পৃথিবীর বৃহত্তম। এক জ্যোতির্বিদ তাঁকে জানালেন, এসব স্পর্শকাতর যন্ত্রপাতির প্রধান কাজ মহাবিশ্বের বিস্তার, আকৃতি নির্ণয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলে উঠলেন, ‘ও! আমার স্বামী তো পুরোনো একটা খামের পেছনেই এটা করে।
·         ২৫. ভবিষ্যতে কী আছে? আলবার্ট আইনস্টাইনের কাছে একবার জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে নিরাসক্ত ভঙ্গিতে আইনস্টাইন বলেছিলেন, ‘ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি কখনোই চিন্তা করি না। কারণ, এটা এমনিতেও তাড়াতাড়িই আসে।
·         ২৬. বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মেধাবীদের অন্যতম আলবার্ট আইনস্টাইন। আপেক্ষিকতা তত্ত্ব (The Theory of Relativity) আবিষ্কারের জন্য তিনি আমাদের কাছে সর্বাধিক পরিচিত। মজার ব্যাপার তিনি কিন্তু তাঁর এই আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরষ্কার পাননি। বলা হয়ে থাকে পৃথিবীতে হাতে গোণা কয়েকজন মাত্র বিজ্ঞানী তাঁর এই তত্ত্বটি বুঝতে পারেন। কেউ যদি এই আপেক্ষিকতার তত্ত্বটি পড়ে বলে, ‘’বুঝেছি’’ তাহলে নাকি বুঝতে হবে যে, সে কিছুই বুঝেনি। তত্ত্বটি এত গোলমেলে যে, এটি না বোঝাই স্বাভাবিক, বুঝতে পারাটাই যেন অস্বাভাবিক। আর তাই হয়ত রয়েল সুইডিশ একাডেমির জুরিবোর্ড আইন্সটাইনের তত্ত্বটির নিগূঢ় অর্থটি বুঝাতে পারেনি। তাই সে বছর নোবেল পুরষ্কার আইনস্টাইনের কপালে না জুটলেও ১৯২১ সালে আলোক তড়িৎ ক্রিয়া (Photo Electric Effect) ব্যাখ্যা করে, তিনি পেলেন পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার।
·         ২৭. এক পার্টিতে আইনস্টাইনকে চিনতে না পেরে এক তরুণী প্রশ্ন করলেন, আপনি কি করেন?
আইনস্টাইন উত্তর দিলেন, আমি পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র।
তরুণী অবাক হয়ে বললেন, আপনি এখনও ছাত্র! আর আমি গত বছর পাশ করেছি..
·         ২৮. আইনস্টাইন এর মেয়ের বিয়ে। সবাই চার্চে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে উনি উনার মেয়েকে বললেন তুমি চার্চের দিকে যাও আমি ল্যাবে আমার কলমটা রেখে আসতাছি। মেয়ে অনেক বারন করা সত্বেও উনি গেলেন, ৩০ মিনিটের কথা বলে উনি যখন না এলেন তখন সবাই মিলে উনার মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিলেন। ৭ দিন পর উনার মেয়ে যখন বাসায় এসে মাকে জিজ্ঞাস করলো বাবা কোথায় তখন তার মা বলল ওই যে গেল আর আসে নাই। তখন উনি আইনস্টাইন এর খোজে ল্যাবে গেল। ল্যাবে গিয়ে দেখল যে তার বাবা একটা কলম নিয়ে বোর্ড এর সামনে গিয়ে কি জানি চিন্তা করছিল। মেয়ে বাবা কে বলল বাবা কি কর। তখন উনি বলল যে মা তুমি চার্চে যাও আমি এই কাজ টা ১০ মিনিটের মধ্যে শেষ করে আসছি।

·         ৩০. আপেক্ষিকতা তত্ত্বের মত রহস্যময়তার মধ্যেই মৃত্যু ঘটে বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের। তাঁর মৃত্যুর সময় তিনি তাঁর মাতৃভাষা জার্মানে কিছু একটা বলে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।তখন তাঁর পাশে থাকা আমেরিকান নার্স কথাটির বিন্দু বিসর্গও বুঝতে পারেনি। মৃত্যুর আগে শেষ কী কথা তিনি বলে গেছেন, তা আমাদের জানা হবে না আর কোন দিন।আইনস্টাইন সাহেবের লাইফে অনেক মজার মজার ঘটনা আছে। যদিও ব্যাক্তি আইনস্টাইন কে আমার যতটা না কঠীন মনে হত আমার কাছে, কয়দিন ধরে উনার উপর গবেষনা করে অনেক সহজ লোক মনে হচ্ছে। যদিও ব্যাক্তি অনির্ণেয় উনার বিশ্বখ্যাত আপেক্ষিক তত্ত্বের ক টা ও বুঝতে পারি নি। কিন্তু আজ উনার জীবনের কিছু মজার ঘটনা আপনাদের কে জানাব।
জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাস্রের বা শাখার জনকের নাম (মোট ৮১ টি ) জেনে নিন কে কিসের জনক...............যে কোন প্রকার প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য অনেক কাজে আসবে ...। 
1) অর্থনীতি ⇨ এডাম স্মিথ ( Adam Smith )
2) আধুনিক অর্থনীতির ⇨ পাল স্যমুয়েলসন
3) আধুনিক কম্পিউটার ⇨ চার্লস ব্যাবেজ 
4) আধুনিক কম্পিউটার বিজ্ঞান ⇨ এলান ম্যাথাসন টুরিং 
5) আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞান ⇨ আলবার্ট আইনস্টাইন ( Albert Einstein )
6) আধুনিক বিজ্ঞানের ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের ⇨ গ্যালিলিও গ্যালিলি ( Galileo Galilei ) 
7) আধুনিক বিজ্ঞানের ⇨ রাজার বেকন
8) আধুনিক রসায়নের ⇨ জন ডাল্টন ( John Dalton )
9) আধুনিক রসায়ন বিদ্যা ⇨ অ্যান্টনি লরেন্ট ল্যাভসেসিয়ে
10) ইংরেজি নাটকের ⇨ উইলিয়ম শেক্সপিয়
11) ইংরেজী কবিতা ⇨ জিও ফ্রে চসার ( Geoffrey Chaucer )
12) ইতিহাস ⇨ হেরোডোটাস ( Herodotus )
13) ইন্টারনেট ⇨ ভিনটন জি কার্ফ ( Vint Cerf )
14) ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন ⇨ এলান এমটাজ ( elan emtaz )
15) ই-মেইল ⇨ রে টমলি সন ( Ray Tomlinson )
16) উইকিপিডিয়া ⇨ জিমি ওয়েলস
17) উদ্ভিদবিজ্ঞান ⇨ থিওফ্রাস্টাস ( Theophrastus )
18) এনাটমি ⇨ আঁদ্রে ভেসালিয়াস ( Andreas Vesalius )
19) কম্পিউটার ⇨ চার্লস ব্যাবেজ ( Charles Babbage )
20) কম্পিউটার বিজ্ঞান ⇨ জর্জ বোল ( George Boole ) ও অ্যালান টুরিং ( Alan Turing )
21) ক্যালকুলাস ⇨ আইজ্যাক নিউটন ও গটফ্রিড ( Gottfried Wilhelm Leibniz )
22) গণতন্ত্র ⇨ জন লক ( John locke )
23) গণিতশাস্ত্র ⇨ আর্কিমিডিস ( Archimedes )
24) গাণিতিক অর্থনীতি ⇨ ড্যানিয়েল বার্নুলি ( Daniel Bernoulli )
25) চিকিৎসা বিজ্ঞানের ⇨ ইবনে সিনা
26) জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ⇨ জেমস গসলিং 
27) জীব বিজ্ঞান ⇨ এরিস্টটল ( Aristotle )
28) জীবাণু বিদ্যা ⇨ লুই পাস্তুর ( Louis Pasteur )
29) জেনেটিক্স ⇨ গ্রেগর মেন্ডেল ( Gregor Mendel )
30) জৈব রসায়ন ⇨ ফ্রেডারিক উইলার
31) জোর্তিবিজ্ঞান ⇨ নিকোলাস কোপারনিকাস ( Nicolaus Copernicus )
32) জ্যামিতি ⇨ ইউক্লিড ( Euclid )
33) তড়িৎ গতি ⇨ মাইকেল ফ্যারাডে ( Michael Faraday )
34) তাপগতিবিদ্যা ⇨ সাদী কার্নোট ( Sadi Carnot )
35) ত্রিকোণমিতি ⇨ হিপারছাস ( Hipparchus )
36) দর্শন শাস্ত্র ⇨ সক্রেটিস ( Socrates )
37) দেহ তত্ত্ব ⇨ ক্লদ বার্নার্ড ( Claude Bernard )
38) পদার্থ বিজ্ঞান ⇨ আইজ্যাক নিউটন ( Isaac Newton )
39) পরমাণুবাদ ⇨ ডেমোক্রিটাস 
40) পর্যায় সারণি ⇨ দিমিত্রি মেন্ডেলি
41) পল ম্যাকিনটস ⇨ জেফ রাসকিন 
42) পারমাণবিক তত্ত্ব ⇨ ডেমোক্রিটাস ( Democritus )
43) পার্সোনাল কম্পিউটার (পিসি) ⇨ অ্যানড্রে থাই টুরং 
44) প্রাণিবিজ্ঞান ⇨ এরিস্টটল ( Aristotle )
45) বংশগতি বিদ্যা ⇨ গ্রেগর জোহান মেন্ডেল ( Gregor Johann Mendel )
46) বাংলা উপন্যাস ⇨ বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ( Bankim Chandra Chattopadhyay )
47) বাংলা কবিতা ⇨ মাইকেল মধু সূদন দত্ত ( Michael Madhusudan Dutt )
48) বাংলা গদ্য ⇨ ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যা সাগর ( Ishwar Chandra Vidyasagar )
49) বাংলা গদ্য ছন্দ ⇨ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ( Rabindranath Tagore )
50) বাংলা চলচিত্র ⇨ হীরালাল সেন ( Hiralal Sen )
51) বাংলা নাট্য ⇨ দীন বন্ধু মিত্র ( Dinabandhu Mitra )
52) বাংলা মুক্তক ছন্দ ⇨ কাজী নজরুল ইসলাম ( Kazi Nazrul Islam )
53) বাংলা সনেট ⇨ মাইকেল মধু সুদন দত্ত ( Michael Madhusudan Dutt )
54) বায়ুগতিবিদ্যা ⇨ নিকোলাই ( Nikolai Zhukovsky )
55) বিজ্ঞানের ⇨ থ্যালিস 
56) বিদ্যুৎ ⇨ নিকোলা তেস্‌লা ( Nikola Tesla )
57) বিবর্তন বাদ তত্ত্ব ⇨ চার্লস ডারউইন ( Charles Darwin )
58) বীজগণিত ⇨ আল⇨ খাওয়ারিজম ( Al⇨ Khwarizmi )
59) ভাষাতত্ত্ব ⇨ নোয়াম চমস্কি ( Noam Chomsky )
60) ভিজুয়্যাল বেসিক (প্রোগ্রাম) ⇨ এলান কুপার 
61) ভিডিও গেমস (কম্পিউটার) ⇨ নোলেন বুশনেল 
62) ভূগোল ⇨ ইরাটস থেনিস ( Eratosthenes )
63) ভূ তত্ত্ব ⇨ নিকোলাস স্টেনোর ( Nicholas Steno )
64) মনোবিজ্ঞান ⇨ উইলহেম উন্ড ( Wilhelm Wundt )
65) মেডিসিন ⇨ হিপোক্রটিস ( Hippocrates )
66) রসায়ন বিজ্ঞান ⇨ জাবির ইবনে হাইয়্যান ( Ibn Hayyan )
67) রাষ্ট্র বিজ্ঞান ⇨ এরিস্টটল ( Aristotle )
68) রোগজীবাণুতত্ত্ব ⇨ লুই পাস্তুর ( Louis Pasteur )
69) শরীর বিদ্যা ⇨ উইলিয়াম হার্ভে ( William Harvey )
70) শ্রেণিবিদ্যা ⇨ ক্যারোলাস লিনিয়াস ( Carolus Linnaeus )
71) সংখ্যা তত্ত্ব ⇨ পিথাগোরাস ( Pythagoras )
72) সনেটের ⇨ পের্ত্রাক 
73) সমাজবিজ্ঞান ⇨ অগাস্ট কোৎ ( Auguste Comte )
74) সামাজিক বিবর্তনবাদ ⇨ হার্বাট স্পেন্সর ( Herbert Spencer )
75) সাম্যবাদ ⇨ কার্ল মার্কস ( Karl Marx )
76) স্নায়ুবিজ্ঞান ⇨ সান্তিয়াগো রামোন ( Santiago Ramón y Cajal )
77) হিসাব বিজ্ঞান ⇨ লুকাপ্যাসিওলি ( Luca Pacioli )
78) www (world wide web) ⇨ টিম বার্নার্স⇨ লি 
79) আধুনিক টেলিভিশন ⇨ অ্যালেন বি ডুমেন্ট
80) সেমি কন্ডাক্টর ⇨ জ্যাক কিলবি
81) আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তি ⇨ সাইরাস ফিল্ড
প্রাচীনকালে ভারতীয় দার্শনিক মহর্ষি কণাদ ‘কণাবাদ’ তথ্য পরমাণুবাদ প্রথম প্রচার করেছিলেন। তিনি ধরে নিয়েছিলেন, প্রত্যেকটি পদার্থ অতি সূক্ষ সূক্ষ অবিভাজ্য কণা দ্বারা গঠিত। গ্রিক ডিমোক্রিটাসও ওই একই মত পোষণ করেছিলেন। তবুও তাদের মতকে ঠিক ঠিক বিজ্ঞানসম্মত বলা চলে না। কারণ এরা মূলত ছিলেন দার্শনিক যদিচ দর্শন থেকেই বিজ্ঞানের উৎপত্তি তথাপি কণাদ ডিমোক্রিটাস উভয়েই জড় বস্তুর উপর আদৌ গুরুত্ব আরোপ করেননি। বিজ্ঞানের আলোচনা ছিল একেবারে গৌণ। তাদের প্রত্যেকের লেখা পুস্তকে যুক্তি অপেক্ষা কল্পনাই লাভ করেছিল প্রাধান্য। সেইদিক দিয়ে বিচার করলে জন ডালটনকেই প্র্রকৃত পরমাণুবাদের প্রবর্তকরূপে ব্যাখ্যা দেওয়া যায়।

১৭৬৬ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডে ইগলসফিল্ড নামক একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ডালটন। গ্রাম্য বিদ্যালয়ের তার প্রথম পড়াশোনা শুরু হয়। অতি বাল্যকাল থেকেই তার প্রতিভার স্ফুরণ ঘটেছিল। কথিত আছে, বিদ্যালয়ে পাঠকালেই তিনি গ্রিক ও ল্যাটিন নামক দুটি দুরূহ ভাষোকে আয়ত্ত করে নিয়েছিলেন। ছেলেবেলায় বিজ্ঞান এবং অঙ্কের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করতেন ভয়ানকভাবে। তাই বিদ্যালয়ের পাঠ সমাপ্ত করার পর ডালটন বিজ্ঞানে উচ্চ শিক্ষালাভের জন্য ভর্তি হন কলেজে। সেখানেও রেখেছিলেন কৃতিত্বের স্বাক্ষর। অবশেষে বিজ্ঞানে এম.এস.সি ডিগ্রি লাভের পর ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন অধ্যপকরূপে। সেই থেকেই তার আরম্ভ হয় গবেষণা। তখন তার বয়স ছিল মাত্র পঁচিশ বছর।
জন ডাল্টনের মৌলিক গবেষণাগুলো প্রথম ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। সে সময় তার গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল বিভিন্ন গ্যাসীয় পদার্থ। ১৮০০ খ্রিস্টব্দে তিনি প্রকাশ করেছিলেন গ্যাস প্রসারণ সূত্র এবং গ্যাসের অংশ চাপ সূত্র। এই সূত্র দুটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীদের মধ্যে একটা সাড়া পড়ে গিয়েছিল। বহু বিজ্ঞানী সেদিন গিয়ে এসেছিলেন ডালটনের সূত্রগুলোর যাচাই করতে। শেষে তারা সবাই স্বীকার করে নিয়েছিলেন সূত্রগুলোকে এবং ডালটনও প্রসিদ্ধিলাভ করেছিলেন বিশিষ্ট রসায়ন বিজ্ঞানী হিসেবে। এই ঘটনা থেকে রসায়ন বিজ্ঞান ডালটন ব্যতীত আরো বহু বিজ্ঞানীর মতবাদ লাভ করে নিজ ভান্ডার পুষ্ট করেছিল।
গ্যাস আয়তনের সূত্র আবিস্কারের পর ডালটনের মনে পদার্থের গঠন সম্পর্কে চিন্তা স্থার লাভ করেছিল। সেই চিন্তা থেকেই অচিরে জন্মলাভ করেছিল ‘পরমাণুবাদ’ নামক ডালটনের বিখ্যাত মতবাদটি। তার এই মতবাদ অনুসারে প্রতিটি মৌলিক পদার্থ বহুসংখ্যক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও অবিভাজ্য কণা নিয়ে গঠিত। সেই অন্তিম কণাগুলোর নাম পরমাণু বা এ্যাটম। এই কণাকে ভাঙাও যায় না কিংবা গড়াও যায় না। প্রত্যেকটি মৌলিক পদার্থের পরমাণুরা ওজনে ও ধর্মে এক কিন্তু বিভিন্ন মৌলিক পদার্থের পরমাণুদের ওজনে এবং ধর্মে স্বাতন্ত্র্য আছে। মৌলিক পদার্থের পরমাণুরা আবার সরল ও সুনির্দিষ্ট অনুপাতে যুক্ত হতে পারে।
ডালটন অবশ্য মৌলিক বা যৌগিক যে কোনো পদার্থের সূক্ষতম অন্তিম কণাকে পরমাণু নামে অভিহিত করেছিলেন। এইখানে ছিল তার কল্পনার বড় রকমের ক্রটি। সেই ক্রটি সংশোধিত হয়েছিল অনেক পরে। তাছাড়া পূর্ববর্তী কল্পনা আধুনিক পরমাণুবিজ্ঞান স্বীকার করছে না।
ডালটনের উপরোক্ত সূত্র ও মতবাদগুলো ছাড়া আরো অনেক আবিস্কার আছে। তিনি পরমাণুর সাংকেতিক চিহ্ন এবং পরমাণুর ওজন সম্বন্ধে গবেষণা করে বহু মূল্যবান তথ্য পরিবেশন করেছিলেন। ১৮১১ খ্রিস্টাব্দে তিনি আবিস্কার করেছেলেন গ্যাসের তরলীকরণের উপায়। তিনিই প্রথম ঘোষণা করেছিলেন, উচ্চচাপে এবং নিম্ন তাপমাত্রার সমস্ত গ্যাসকে তরলে রূপান্তরিত করা সম্ভব।
ডালটন জীবদ্দশাতেই বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলেন। পরিচিত হয়েছিলেন, তৎকালীন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের অন্যতম হিসেবে। জীবনে বহু সম্মান এবং পুরস্কার লাভ করেছিলেন তিনি। লন্ডনের বিখ্যাত রয়েল সোসাইটি ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে তার প্রতিভার স্বীকৃতিস্বরূপ দান করেছিল সুবর্ণপদক।
আজীবন অধ্যাপনা এবং গবেষণার পর ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে এই মহান বিজ্ঞানী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।