ফসফোনিয়াম সায়ানাইডের সংকেত কি? ফসফোনিয়াম সায়ানাইডের সংকেতঃ PH₄CN . এখানে, ফসফোনিয়াম (PH₄+) যৌগমূলক এর সাথে সায়ানাইড আয়ন (CN-) যুক্ত হয়ে ফসফোনিয়াম সায়ানাইড অণু গঠন করে।
C₂₁ - C₃₀ পর্যন্ত অ্যালকেনের নাম ও সংকেত নিম্নরুপঃ
হেনিকোসেন (Henicosane) - C₂₁H₄₄
ডোকোসেন (Docosane) - C₂₂H₄₆
ট্রাইকোসেন (Tricosane) - C₂₃H₄₈
টেট্রাকোসেন (Tetracosane) - C₂₄H₅₀
পেন্টাকোসেন (Pentacosane) - C₂₅H₅₂
হেক্সাকোসেন (Hexacosane) - C₂₆H₅₄
হেপ্টাকোসেন (Heptacosane) - C₂₇H₅₆
অক্টাকোসেন (Octacosane) - C₂₈H₅₈
ননাকোসেন (Nonacosane) - C₂₉H₆₀
ট্রিয়াকন্টেন (Triacontane) - C₃₀H₆₂
C₃₁ - C₄₀ পর্যন্ত অ্যালকেনের নাম ও সংকেত নিম্নরুপঃ
হেনট্রিয়াকন্টেন (Hentriacontane) - C₃₁H₆₄
ডোট্রিয়াকন্টেন (Dotriacontane) - C₃₂H₆₆
ট্রাইট্রিয়াকন্টেন (Tritriacontane) - C₃₃H₆₈
টেট্রাট্রিয়াকন্টেন (Tetratriacontane) - C₃₄H₇₀
পেন্টাট্রিয়াকন্টেন (Pentatriacontane) - C₃₅H₇₂
হেক্সাট্রিয়াকন্টেন (Hexatriacontane) - C₃₆H₇₄
হেপ্টাট্রিয়াকন্টেন (Heptatriacontane) - C₃₇H₇₆
অক্টাট্রিয়াকন্টেন (Octatriacontane) - C₃₈H₇₈
ননাট্রিয়াকন্টেন (Nonatriacontane) - C₃₉H₈₀
টেট্রাকন্টেন (Tetracontane) - C₄₀H₈₂
C₄₁ - C₅₀ পর্যন্ত অ্যালকেনের নাম ও সংকেত নিম্নরুপঃ
হেনটেট্রাকন্টেন (Hentetracontane) - C₄₁H₈₄
ডটেট্রাকন্টেন (Dotetracontane) - C₄₂H₈₆
ট্রাইটেট্রাকন্টেন (Tritetracontane) - C₄₃H₈₈
টেট্রেট্রাকন্টেন (Tetratetracontane) - C₄₄H₉₀
পেন্টাটেট্রাকন্টেন (Pentatetracontane) - C₄₅H₉₂
হেক্সাটেট্রাকন্টেন (Hexatetracontane) - C₄₆H₉₄
হেপ্টাটেট্রাকন্টেন (Heptatetracontane) - C₄₇H₉₆
অক্টাটেট্রাকন্টেন (Octatetracontane) - C₄₈H₉₈
ননাটেট্রাকন্টেন (Nonatetracontane) - C₄₉H₁₀₀
পেন্টাকন্টেন (Pentacontane) - C₅₀H₁₀₂
মুক্তজোড় ইলেকট্রনঃ কোন পরমাণুর যোজ্যতা স্তরে বা সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে যে ইলেকট্রন গুলো বন্ধন গঠনে অংশগ্রহণ করে না তাদেরকে মুক্তজোড় ইলেকট্রন বলে।
এখানে, ক্লোরিনের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তর অর্থাৎ তৃতীয় শক্তিস্তরে 3s² 3Px² 3Py² অরবিটাল গুলোতে দুটি করে ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকে। এই ইলেকট্রনগুলি বন্ধন গঠনে অংশগ্রহণ করে না। এজন্য এই ইলেকট্রনগুলি কে মুক্তজোড় ইলেকট্রন বলে। এখানে ক্লোরিনের তিন জোড়া মুক্তজোড় ইলেকট্রন আছে।
বন্ধন জোড় ইলেকট্রনঃ পরমাণু যোজ্যতা স্তরে বা সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে যে ইলেকট্রনগুলি বন্ধন গঠনে অংশগ্রহণ করে তাদেরকে বন্ধন জোড় ইলেকট্রন বলে।
কোন পরমাণু ইলেকট্রন বিন্যাস করলে তার সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে যে বেজোড় ইলেকট্রন গুলি থাকে সেই ইলেকট্রনগুলি বন্ধন গঠনে অংশগ্রহণ করে। কাজেই বলা যায়, কোন পরমাণুর সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে যতটি বেজোড় ইলেকট্রন থাকে ঐ পরমাণু ততটি বন্ধন গঠন করতে পারে।
pH হচ্ছে হাইড্রোজেন আয়নের সক্রিয়তার পরিমাপ। পি.এইচ দ্বারা মূলত হাইড্রোজেন আয়নের ঘনত্ব বোঝায়। অম্ল ও ক্ষারের জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রা প্রকাশের জন্য pH স্কেল নামক একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রা বুঝাবার জন্য ব্যবহৃত সংকেত পিএইচ (pH)। পিএইচ-এর স্কেল ০ থেকে ১৪ পর্যন্ত বিস্তৃত।
রসায়নে কোনো দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের [H+] মোলার ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদমকে ঐ দ্রবণের pH বুঝায়।
রাসায়নিক বিক্রিয়া হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে এক বা একাধিক পদার্থ
ভিন্ন পদার্থে রূপান্তরিত হয়। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী পদার্থগুলোকে বিকারক বা বিক্রিয়ক পদার্থ বলা হয়। অপরদিকে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে নতুন ধর্মবিশিষ্ট যেসব পদার্থ উৎপন্ন হয়, তাদের বিক্রিয়াজাত পদার্থ বা উৎপাদ বলা হয়। রাসায়নিক বিক্রিয়া বিকারক পদার্থগুলোর মধ্যে ইলেকট্রনের আদান-প্রদানের ফলে হয়ে থাকে। পদার্থের নিউক্লিয়াসের পরিবর্তন হলে তাকে সাধারণত রাসায়নিক বিক্রিয়া হিসেবে গণ্য করা হয় না।
রাসায়নিক বিক্রিয়া মূলত চার ধরনের; এগুলি হল:
- সংযোজন বিক্রিয়া
- বিয়োজন বিক্রিয়া
- প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
- দহন বিক্রিয়া
এ ছাড়াও কিছু শ্রেণিভেদ আছে। যেমন, ইলেক্ট্রন স্থানান্তরের ভিত্তিতে রাসায়নিক বিক্রিয়া দুই প্রকার। যথা: (ক) রেডক্স,(Redox) এবং (খ) নন-রেডক্স,(Non-redox)।
তাপ বিনিময়ের বিবেচনায়ও রাসায়নিক বিক্রিয়া দুই প্রকার যথা: (ক) তাপ উৎপাদী (তাপমোচী) বিক্রিয়া (Exothermic Reaction) এবং (খ) তাপহারী (তাপগ্রাহী) বিক্রিয়া (Endothermic Reaction)।
আরও কিছু বিক্রিয়া আছে যা বর্ণিত শ্রেণিবিভাগের অন্তর্ভুক্ত নয়। যেমন: (ক) আর্দ্রবিশ্লেষণ (Hydrolysis), (খ) জলযোজন (Hydration), (গ) সমাণুকরণ বিক্রিয়া (Isomerisatio) ইত্যাদি।
সংযোজন বিক্রিয়া
যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একের অধিক পদার্থ একত্রিত হয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী নতুন রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে তখন তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে। যেমনঃ
C+2O
=2CO
এছাড়াও রয়েছে সংশ্লেষণ বিক্রিয়া। সংশ্লেষণ বিক্রিয়াও এক ধরনের সংযোজন বিক্রিয়া। সংযোজন বিক্রিয়ায় যদি দুটি মৌল (যৌগ নয়) যুক্ত হয়ে ভিন্ন ধর্মীয় যৌগ উৎপন্ন হয়। কার্বন + হাইড্রোজেন = মিথেন
বিয়োজন বিক্রিয়া
কোন যৌগকে ভেঙে একাধিক যৌগ বা মৌলে পরিনত হওয়ার প্রক্রিয়াকে বিয়োজন বিক্রিয়া বলে।
- PCl5 (l) +(তাপ) = PCl3 (l) + Cl2 (g)
প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া :
কোনো অধিক সক্রিয় মৌল বা যৌগমুলক অপর কোনো কম সক্রিয় মৌলে বা যৌগমুলক কে প্রতিস্থাপন করে নতুন যৌগ উৎপন্ন করার প্রক্রিয়াকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে যেমন ; জিংক বেশি সক্রিয় ধাতু H থেকে, তা Zn, H কে সরিয়ে তার জায়গা দখল করে নিতে পারে , নিচে বিক্রিয়াটি দেওয়া হল।
- Zn(s) + H2SO4 (aq) = ZnSO4 (aq) + H2 (g)
এখানে জারণ ও বিজারণ যুগপৎ ঘটেছে।
দহন বিক্রিয়া
কোনো মৌল বা যৌগ বিক্রিয়া করে যদি তাপ উৎপন্ন করে তাহলে সেই বিক্রিয়া কে দহন বিক্রিয়া বলে । এতে তাপ ও শক্তি উৎপন্ন হয় ।
- CH4 (g) + 2O2 (g) = CO2 (g) +2H2O (g)
- Mg + O2 = 2MgO
তাপহারী বিক্রিয়া
যে বিক্রিয়ায় তাপের শোষণ হয় তাকে তাপহারী বিক্রিয়া বলে।এই বিক্রিয়ার সক্রিয়ন শক্তির মান বেশি তাই এই বিক্রিয়ার বাহির থেকে তাপ সরবরাহ করতে হয়।
2KClO3 = 2KCl + 3O2 - তাপ
এই বিক্রিয়াটি তাপহারী বিক্রিয়া।
বিক্রিয়ক অনুতে বন্ধন ভাঙ্গনে শোষিত শক্তি > উৎপাদের অনুতে বন্ধন গঠনে বিমুক্ত শক্তি
তাপোৎপাদি বিক্রিয়া
যে বিক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন হয় তাকে তাপোৎপাদি বিক্রিয়া বলে। যেমন,
CaCO3= CaO +CO2
প্রশমন বিক্রিয়া
যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার অম্ল ও ক্ষার যুক্ত হয়ে লবণ ও জল উৎপন্ন করে তাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে। এই বিক্রিয়াকে অম্ল-ক্ষার বিক্রিয়াও বলে। প্রশমন বিক্রিয়া সর্বদাই তাপ উৎপন্ন করে অর্থাৎ প্রশমন বিক্রিয়া তাপ উৎপাদী বিক্রিয়া। অম্ল ও ক্ষার উভয়ই তীব্র হলে এই তাপের মান ΔH = -57.34 Kj।
- NaOH + HCl = NaCl + H2O