কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন ইউনিটের রেজাল্ট
http://www.cou.ac.bd/undergraduate_admissionresult
Comilla University Admission Test 2016-'17 A Unit Result
http://www.cou.ac.bd/content/files/A_Unit_Result.pdf
http://www.cou.ac.bd/content/files/A_Unit_Quota_Result1.pdf
Comilla University Admission Test 2016-'17 B Unit Result
http://www.cou.ac.bd/content/files/B_Unit_Humanities_Result1.pdf
http://www.cou.ac.bd/content/files/B_Unit_Science_Result1.pdf
http://www.cou.ac.bd/content/files/B_Unit_Quota_Result1.pdf
http://www.cou.ac.bd/content/files/B_Unit_Business_Studies_Result.pdf
Comilla University Admission Test 2016-'17 C Unit Result
http://www.cou.ac.bd/content/files/C_Unit_Quota_Result1.pdfhttp://www.cou.ac.bd/content/files/C_Unit_Humanities_Result.pdf
http://www.cou.ac.bd/content/files/C_Unit_Science_Result.pdf
http://www.cou.ac.bd/content/files/C_unit_Business_Studies_Result.pdf
Comilla University Admission Test 2016-'17 All Unit Viva Schedule
http://www.cou.ac.bd/content/files/All_Unit_Viva_Schedule.pdfসম্প্রতি জনগণের জরুরী পরিস্থিতিতে সাহায্য করার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হয়েছে ৯৯৯ জরুরি সেবা। কিন্তু অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন কিভাবে ব্যবহার কিংবা ঠিক কি কি কাজে কল দেওয়া যাবে এই হেল্প লাইনে।
এসব কনফিউশন দূর করে হেল্পলাইনকে জনগণের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে সম্প্রতি হেল্প লাইনের বিভিন্ন সুবিধা ও তথ্য নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক নিজের ফেসবুক একাউন্টে এক পোষ্ট দেন। সেটিই তুলে ধরা হলো এখানে-
ন্যাশনাল হেল্পডেস্ক – 999। কেমন করে ব্যবহার করবেন ৯৯৯ জরুরি সেবা?
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হয়েছে ৯৯৯ জরুরি সেবা। যে কোন মোবাইল নম্বর থেকে সম্পূর্ণ টোল ফ্রি কল করে বাংলাদেশের নাগরিকরা জরুরি মুহুর্তে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ বা এ্যাম্বুলেন্স সেবা পাবেন। ৯৯৯ সার্ভিসের প্রশিক্ষিত এজেন্টরা জরুরি মুহুর্তে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ বা এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেবেন। কিভাবে এই সেবাটি ব্যবহার করতে হবে, নিচে তার বিস্তারিত জানানো হল।
বিভিন্ন ধরণের কল ও জরুরি সেবা প্রদানের জন্য ন্যাশনাল হেল্পডেস্ক-৯৯৯ এর অপারেটরদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সঠিক ও মান সম্মত সেবা প্রদানের জন্য এই সকল এজেন্টরা কিছু প্রযুক্তিগত সহায়তা পেয়ে থাকেন। তবুও যখন কোন নাগরিক ৯৯৯ এ কল করবেন তখন নিম্নোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়
১. ঠিকানা প্রদানঃ জরুরি সেবা পাওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য হল সাহায্য প্রার্থীর লোকেশন বা ঠিকানা জানা। অপারেটকে (এজেন্ট) যতটা সম্ভব আপনার সঠিক অবস্থান বলুন, এক্ষেত্রে জেলা বা উপজেলার নামও বলতে হবে । আপনার সঠিক অবস্থান জানা না থাকলে পার্শ্ববর্তী বড় রাস্তা, বাজার বা হাইওয়ের নাম উল্লেখ করতে পারেন।
২. প্রশ্নের সঠিক উত্তর প্রদানঃ আপনাকে সঠিক সেবা প্রদানের জন্য অপারেটর বা জরুরি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান (এক্ষেত্রে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ) আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবেন যাতে তারা যথাযথ কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষের কাছে আপনার প্রয়োজন জানাতে পারেন। অথবা আপনাকে জীবন রক্ষাকারী কিছু পরামর্শ বা করণীয় যেমন সম্পর্কে জানাতে পারেন। এ ধরণের প্রশ্নের সঠিক উত্তর প্রদান করে অপারেটরকে সহায়তা করুন। অবশ্য আপনার প্রয়োজনের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপনাকে হয়তো একই প্রশ্নের উত্তর একাধিকবার দেয়া লাগতে পারে; বিশেষ করে ৯৯৯ থেকে কল ট্রান্সফার হয়ে পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিস বা হাসপাতালে পাঠানো হলে এমনটা হতে পারে।
৩. ধৈর্য্যশীল থাকাঃ কলের সময় শান্ত থাকুন এবং আপনার সমস্যা বিস্তারিত তুলে ধরুন। অনেক সময় দেখা যায়, নাগরিক তার সমস্যার কথা জানাতে গিয়ে ভাবাবেগে আক্রান্ত হয়ে অপ্রয়োজনীয় কথা বলে থাকেন। এমনটা করা উচিত নয়। এর ফলে অপারেটরের মূল সমস্যাটা ধরতে ও প্রকৃত সাহায্য করতে অসুবিধা হয়। মনে রাখবেন, আপনি যত শান্ত থাকবেন, আপনি তত বিশদভাবে আপনার ঘটনার বর্ণনা দিতে পারবেন এবং অপারেটরও আপনাকে তত ভালভাবে সেবা প্রদান করতে পারবেন।
৪. আপনার জরুরি পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করুনঃ জরুরি পরিস্থিতি ব্যাখ্যার সময় কয়েকটি বিষয়ে সতর্কতার সাথে তথ্য দিন। আপনি নিজে নাকি আপনার কাছের কেউ সমস্যায় পড়েছেন? কিভাবে হল? আপনার কোন ধরণের জরুরি সেবা প্রয়োজন – এ্যাম্বুলেন্স? পুলিশ? নাকি অন্য জরুরি সেবা? কেউ আহত হলে তার পরিস্থিতি পরিষ্কারভাবে বলার চেষ্টা করুন – আহত ব্যক্তির অবস্থা কি খুবই আশঙ্কাজনক? তার চেতনা আছে কি? তিনি কি শ্বাস নিতে পারছেন? তার শরীর থেকে কি রক্ত বের হচ্ছে? আপনার সাধ্যমত রোগীর অবস্থা বলার চেষ্টা করুন, আপনার কথা বলতে অসুবিধা হলে পাশের কাউকে দিয়ে বলাতে পারেন, কল না কেটে লাইনে থাকুন।
৫. এ্যাম্বুলেন্স সেবা চাইতে এই বিষয়টি মনে রাখুনঃ ৯৯৯ সার্ভিসের মাধ্যমে যে এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করা হয়, তা কিন্তু বিনামূল্যে নয়। বস্তুত বাংলাদেশের কোন কর্তৃপক্ষই বিনামূল্যে এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রদান করে না। আর ৯৯৯ যেভাবে কাজ করে, নাগরিকের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। ফলে এ্যাম্বুলেন্সের ধরণ, গন্তব্যস্থল ইত্যাদি অনুযায়ী ভাড়ার পরিমাণ নির্ধারিত হয়। তাই এ্যাম্বুলেন্স সেবা চাইতে এই সকল তথ্য অপারেটরকে সঠিক ভাবে প্রদান করুন। মনে রাখা প্রয়োজন, ৯৯৯ থেকে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করা হয় না।
৬. ফায়ার সার্ভিসের সেবা চাইতে এই বিষয়টি মনে রাখুনঃ শুধু মাত্র অগ্নিকান্ড নয়, ফায়ার সার্ভিস আরো নানা ধরনের সেবা প্রদান করে থাকে। যেমন সড়ক দূর্ঘটনা, নৌ দূর্ঘটনা, আটকে পড়া মানুষ বা পশু, পাখি উদ্ধার ইত্যাদি। ফলে এই ধরনের সেবার প্রয়োজন হলে ৯৯৯ এ ফোন করুন। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সাহায্য পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অপারেটরকে সহায়তা করুন। চলন্ত অবস্থায় এমন ঘটনা দেখলে নিশ্চিত হবার চেষ্টা করুন, আপনার ফোন করার পূর্বেই ফায়ার সার্ভিস বা পুলিশের কোন ইউনিট সেখানে পৌঁছেছে কি’না।
৭. পুলিশের সেবা চাইতে এই বিষয়টি মনে রাখুনঃ জরুরি পুলিশী সেবার ক্ষেত্রে ৯৯৯ অপারেটর আপনাকে নিকটস্থ থানার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেবে। আপনি সেখানে আপনার অভিযোগটি জানাতে পারবেন। যেহেতু রেফারেন্সের জন্য ৯৯৯ এ কল রেকর্ড করা হয়ে থাকে, তাই পুলিশের সাথে কথা বলার জন্য সঠিক তথ্য প্রদান করুন। শত্রুতাবশত কাউকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে ৯৯৯ এ ফোন করলে আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে । পুলিশী সাহায্যের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ই নিকটস্থ থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে হয়। কারণ লিখিত অভিযোগ ছাড়া অনেকেক্ষেত্রে পুলিশ তদন্ত শুরু করতে পারে না। ৯৯৯ এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে আপনার করনীয় সম্পর্কে জেনে নিন।
৮. অপরাধীর বর্ণনা দিনঃ আপনি যদি কোন অপরাধ ঘটতে দেখেন তাহলে দ্রুত নিরাপদ স্থানে পৌঁছান। যত দ্রুত সম্ভব ৯৯৯ এ কল করুন। আপনি অপরাধীকে চিনে থাকলে তা জানান কিংবা কাউকে সন্দেহ করেন কিনা তাও জানান। অপরাধীর হাতে অস্ত্র ছিল কিনা জানান। অপরাধী দেখতে কেমন? তার ধর্ম? আনুমানিক বয়স, উচ্চতা, ওজন, কাপড়ের রঙ প্রভৃতি তথ্য দিন। অপরাধী এখন কোথায়? তারা কি পালিয়েছে? কোন দিকে গেছে? তাদের সাথে কোন গাড়ি ছিল কিনা? কি গাড়ি? গাড়ির মডেল, রঙ এবং গাড়ির সাইজ কতটুকু? এমনকি গাড়ির নাম্বারের অংশবিশেষ প্রভৃতি তথ্য দিন।
৯. ফোন খোলা রাখুনঃ আপনি যদি কোন মোবাইল ফোন থেকে কল করে থাকেন তাহলে আপনার নাম্বারটি খোলা রাখুন, যাতে অপারেটর যেকোন মুহুর্তে আপনার সাথে পুনরায় যোগাযোগ করতে পারে। এর বাইরে আপনার চাহিদা অনুযায়ী পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস বা এ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষও আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
১০. সচেতনতা তৈরি করুনঃ ৯৯৯ ইমাজেন্সি সার্ভিসে বিনা কারণে প্রতিদিন প্রচুর শিশু ফোন করে থাকে। এর ফলে প্রকৃত বিপদগ্রস্থরা ক্ষতিগ্রস্থ হন। সময় ও সুযোগ করে আপনার সন্তানদের শেখান কিভাবে এবং কখন ৯৯৯ এ ফোন করতে হবে। কখন ফোন করবে না সেটিও শোখান।
১১. প্রতিটি কলই গুরুত্বপুর্ণঃ প্রতিটি কলই গুরুত্বপূর্ণ সেটা ফলস কলই হোল আর প্রাঙ্ক কল হোক। যদিও এসব কল প্রকৃত জরুরি সেবা প্রদানে বাধা সৃষ্টি করে। ভুয়া কলের বিরুদ্ধে আইনানুগ বেবস্থা নেয়া হবে । আপনার অসতর্কতার কারণে যাতে ৯৯৯ কল না যায় সেজন্য আপনার মোবাইলটি লক করে রাখুন।
আপনার জন্য অপারেটররা অপেক্ষা করছে। ভাল থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
Collected by : Emon Raihan
২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষের ২০১৫ সালের অর্নাস ৪র্থ বর্ষের ফাইনাল পরিক্ষার পরিবর্তিত রুটিন, পরীক্ষা শুরু হবে – ৩ই জানুয়ারি শেষ হবে ১১ ই ফেব্রুয়ারি পরিক্ষা শুরুহবে সকাল ৯টা
Collected by : Emon Raihan
Collected by : Emon Raihan
২০১৬ সালের অর্নাস ২য় বর্ষের (২০১৩-২০১৪) ও (২০১৪-২০১৫) শিক্ষাবর্ষের পরিক্ষার সময়সূচী, পরীক্ষা শুরু হবে – ৭ই জানুয়ারি শেষ হবে- ২২ ই ফেব্রুয়ারি পরিক্ষা শুরুহবে সকাল ৯টা
Collected by : Emon Raihan
বিসিএস পরীক্ষায় ব্যাপক সংস্কার আনছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। সময় বাঁচিয়ে অল্প সময়ে উপযুক্ত প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষা পদ্ধতি পাল্টে স্বল্পমেয়াদি পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে লিখিত পরীক্ষা হবে ৫০০ নম্বরের। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে মৌখিক পরীক্ষার নম্বরও কমিয়ে আনা হবে। ‘একজন পরীক্ষকই সর্বেসর্বা, তিনি যা বলবেন তাই ঠিক’—এ পদ্ধতি পাল্টে সব খাতাই রিচেক করা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। পরীক্ষার এসব খাতা বাসায় নেওয়া যাবে না। পিএসসিতে বসেই খাতা দেখা শেষ করতে হবে। আরো বিভিন্ন বিষয় পরিবর্তনের মাধ্যমে পরীক্ষা পদ্ধতির খোলস পাল্টে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পিএসসি।
পিএসসির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ‘বিসিএস পরীক্ষার সংস্কারের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক আমাদের (সদস্যদের) সাথে কথা বলেছেন। আমাদের মৌখিক সম্মতি পাওয়ার পর জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ সরকারের নীতিনির্ধারকদের সাথেও আলোচনা করেছেন। সংশ্লিষ্টরা গ্রিন সিগন্যাল দেওয়ার পরই এসব নিয়ে কাজ শুরু করেছে পিএসসি।’
পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার ও পিএসসির আর্থিক ক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ কাজও শুরু করেছেন। তিনি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে পিএসসিকে নির্বাচন কমিশনের মতো ব্যয় বিভাজনের আর্থিক স্বাধীনতা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। গত ২৬ অক্টোবর অর্থমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি বলেছেন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এ ধরনের আর একটি মাত্র কমিশন আছে, তা হলো বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনকে এরই মধ্যে বরাদ্দকৃত বাজেটের মধ্যে ব্যয় বিভাজনের আর্থিক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এই স্বাধীনতা দিয়ে সরকার যে প্রশংসার কাজটি করেছে তা একই ধরনের প্রতিষ্ঠান পাবলিক সার্ভিস কমিশনকেও দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা শিগগিরই এ-সংক্রান্ত আর্থিক স্বাধীনতা পিএসসিকে দেবেন।
একজন সদস্যের দেওয়া এসব তথ্যের সত্যতা জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ‘বর্তমান পরীক্ষা পদ্ধতিতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়। বর্তমান যুগে একজন প্রার্থীর পক্ষে মাসের পর মাস ধরে পরীক্ষা দেওয়া সত্যি কষ্টকর। জটিল পরীক্ষা পদ্ধতির জন্য অনেক মেধাবী প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষায় অংশ নেন না। এ ছাড়া আরো বেশ কিছু কারণে আমরা কিছু সংস্কার করব। তবে এই সংস্কারের জন্য একটু সময় লাগবে। কারণ বর্তমানের যে পদ্ধতি তা রাতারাতি পাল্টে ফেলা যাবে না। এগুলো চালু রেখেই আমরা সংস্কার করব।’
এক প্রশ্নের জবাবে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিভিন্ন পরীক্ষার নম্বর কমালেও প্রার্থীদের মেধা ও যোগ্যতা যাচাইয়ে কোনো ঘাটতি হবে না। কারণ কম নম্বরের মধ্যেও স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন করে প্রার্থীর মেধা ও যোগ্যতা যাচাই করা সম্ভব। যথাযথ মেধা ও যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য কেবল দীর্ঘ সময় ধরে পরীক্ষা নিতে হবে—এমন কোনো কথা নেই।’
বর্তমান বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি তিন স্তরবিশিষ্ট। ২০০ নম্বরের এমসিকিউ টাইপের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর প্রার্থীদের বসতে হয় লিখিত পরীক্ষায়। ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার পর তৃতীয় স্তরে ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা দিতে হয়। লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি ও বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ২০০ করে ৬০০ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা এবং সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে ১০০ করে মোট ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পিএসসির একজন সদস্য জানান, এই ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নিতে পিএসসির এক মাসের বেশি সময় লেগে যায়। ৩৭তম বিসিএসের প্রার্থী ছিল দুই লাখ ৪৩ হাজার ৪৭৬ জন। এর মধ্যে আট হাজার ৫২৩ জনকে বাছাই করা হয়েছে এক হাজার ২২৬টি পদের জন্য। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করতেই আট মাস সময় লেগেছে। এই দীর্ঘ সময় প্রার্থীদের পরীক্ষা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। এরপর লিখিত পরীক্ষা তো আছেই। মৌখিক পরীক্ষা শেষে ৩৭তম বিসিএসের ফল প্রকাশের প্রত্যাশিত তারিখ হচ্ছে ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট। এ অবস্থায় পিএসসি কর্তৃপক্ষ মনে করছে, বর্তমান পরীক্ষা পদ্ধতি সময়োপযোগী নয়।
তাই এটা পরিবর্তন করা হবে। ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ৫০০-তে নামিয়ে আনার চিন্তা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বিসিএসের বিস্তৃত সিলেবাস কমিয়ে আনা হবে। বাংলার ওপর নির্ভরতা কমানো হবে। কারণ ১৯৯০ সালের পর থেকে বাংলার ওপর জোর দিতে গিয়ে প্রশাসনে ইংরেজি জানা কর্মকর্তার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। এ কারণে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ইংরেজির ওপর জোর দেওয়া হবে। ইংরেজির বিষয়ে কিভাবে সংস্কার আনা হবে তা এখনো বের করা সম্ভব হয়নি। তবে ইংরেজি মাধ্যমে যাঁরা পরীক্ষা দেবেন তাঁদের সুবিধা দেওয়ার কথা চিন্তা করা হচ্ছে।
পিএসসির আরেকজন সদস্য কালের কণ্ঠকে বলেন, ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। মৌখিক পরীক্ষায় এত বেশি নম্বর থাকলে দুর্নীতির দুয়ার খুলে যায় বলে তাঁরা মনে করেন। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় দুর্নীতির সুযোগ কম। কারণ লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখেন একজনে। সেখানে একজনের পক্ষে অনেক কিছু করার সম্ভাবনা যতটুকু, তিনজনের পক্ষে সেই সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। কারণ মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে থাকেন তিনজন। কমিশনের চেয়ারম্যান বা সদস্য ছাড়াও বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে থাকেন একজন বিভাগীয় প্রতিনিধি। এর পরও লিখিত পরীক্ষার নম্বর কমে ৫০০ হলে মৌখিকে তা সর্বোচ্চ ১০০ হতে পারে।
ওই সদস্য আরো জানান, বিভিন্ন সময় মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমানো-বাড়ানো হয়েছে। নিশ্চয়ই এটার প্রয়োজন ছিল। অনেক সময় লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রকৃত মেধা যাচাই করা সম্ভব হয় না। মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব বোঝা যায়। সার্বিক বিষয়ে তার জ্ঞান ও দক্ষতা কতটা প্রখর তা অনুমান করা যায়। এসব কারণে পিএসসি মৌখিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর রাখার পক্ষে। এ ছাড়া মৌখিক পরীক্ষার যখন নম্বর দেওয়া হয় তখন ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা সংশ্লিষ্ট প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় কত পেয়েছে তা জানেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিএসসির আরেক সদস্য কালের কণ্ঠকে বলেছেন, পিএসসি সরকারের রাজস্বভাণ্ডার সমৃদ্ধ করছে। কারণ একটা বিসিএসে পিএসসির ফান্ডে জমা হয় প্রায় আট কোটি টাকা। সেখান থেকে মাত্র তিন কোটি টাকা খরচ হয় সংশ্লিষ্ট বিসিএসের সব কার্যক্রম শেষ করতে। বাকি টাকা জমা হয় সরকারের কোষাগারে। এসব কারণে পিএসসি আরো কিছু টাকা ব্যয় করে হলেও সার্বিক বিষয়ে একটা মানোন্নয়ন আনতে চাচ্ছে। বিপুলসংখ্যক প্রার্থীর পরীক্ষা নিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিতে হয়। কিন্তু এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সংশ্লিষ্টরা পিএসসির বিসিএস পরীক্ষার বিষয়ে আগ্রহ দেখান না। কারণ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা হলে দায়িত্ব পালন করে যে পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়, পিএসসির পরীক্ষায় এর চেয়ে অনেক কম টাকা পাওয়া যায়। একটা বোর্ডের পরীক্ষায় এক দিনে এক হাজার টাকাও আয় করা যায়। আর পিএসসির পরীক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সংশ্লিষ্টরা সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা পেতে পারেন। এ কারণে পরীক্ষা গ্রহণ-প্রক্রিয়ায়ও সংস্কার আনতে চায় পিএসসি।
আরেক সদস্য জানিয়েছেন, বর্তমানে পরীক্ষকদের খাতা দেখার জন্য খাতা তাঁদের বাসায় নিতে দেওয়া হয়। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা দূর করার উপায় খুঁজে বের করেছে পিএসসি। সংস্কারের অংশ হিসেবে খাতা আর পরীক্ষকের বাসায় পাঠানো হবে না। পরীক্ষক পিএসসিতে বসে খাতা দেখবেন। তাঁর যত রকমের সহায়তা দরকার পিএসসি তাঁকে দেবে। এতে করে সংশ্লিষ্টরা কম সময়ে অনেক বেশি খাতা দেখতে পারবেন। ফলে কম সময়ে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খাতা দেখার জন্য পরীক্ষকদের অতিরিক্ত টাকা দেওয়া হবে, অর্থাৎ তাঁদের সম্মানী ভাতা বাড়িয়ে দেওয়া হবে।
খাতা দেখার পদ্ধতিতেও সংস্কার করা হবে জানিয়ে একজন সদস্য বলেন, বর্তমান নিয়মে একজন খাতা দেখেন। এতে ভুল হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। ভুল করার এই ঝুঁকি থেকে বের হয়ে আসার জন্য খাতা রিচেক করা হবে। প্রতিটি খাতাই রিচেক করা বাধ্যতামূলক করা হবে। এতে আপাতত সময় বেশি লাগবে মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে সময় বেশি লাগবে না। কারণ খাতা দেখানো হবে পিএসসিতে।
পিএসসির একজন সদস্য বলেছেন, বর্তমানে ম্যানুয়ালি বিসিএস পরীক্ষার ফল তৈরি করা হয়। একজন সদস্যের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্টরা বসে সব কিছু সংযোজন-বিয়োজন করে ফল তৈরি করেন। সংস্কারের আওতায় ফল যেন প্রযুক্তির সহায়তার অল্প সময়ে তৈরি করা যায় সেই বিষয়ও গুরুত্ব পাবে। বর্তমানে বিপুলসংখ্যক প্রার্থীর এমসিকিউ টাইপ বাছাই পরীক্ষা ওএমআর রিডেবল উত্তরপত্রে গ্রহণ করা হয়। পরীক্ষার উত্তরপত্র ওএমআর মেশিনে স্ক্যান করে ফল তৈরি করা হয়। পিএসসির মাত্র চারটি ওএমআর মেশিন রয়েছে। আরো একাধিক ওএমআর মেশিন কেনা হবে।
জটিল মেধা কোটায় কোনো পরিবর্তন আসবে কি না—জানতে চাইলে পিএসসির একজন সদস্য বলেন, যতই কোটা সিস্টেম থাকুক, প্রকৃত মেধাবীরাই বিসিএস চাকরি পান। কারণ প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সবাই সমানভাবে অংশগ্রহণ করেন। এসব ধাপ পেরোলেই কেবল কোটার প্রশ্ন। এ ছাড়া যখন কোটার প্রার্থী পাওয়া না যায় তখন মেধা কোটা থেকেই প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বিসিএসসহ প্রথম শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণির সব চাকরি ৪৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে হয়। অবশিষ্ট ৫৫ শতাংশ চাকরি হয় প্রাধিকার কোটায়। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, ১০ শতাংশ জেলা কোটা। প্রাধিকার কোটার কোনো পদ অপূর্ণ থাকলে প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়।
রিলেশনশিপ ম্যানেজার পদে সিটি ব্যাংকের জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
Job Description / Responsibility
- Create new business opportunities for the Bank ensuring a profitable portfolio for the Bank.
- Maintain the current portfolio of the business.
- Develop and maintain a strong working relationship with the customers to ensure customer satisfaction and loyalty.
Job Nature
Full-timeEducational Requirements
- 4 years Graduation or Masters degree preferably in Business, Economics or Statistics discipline from a reputed university
Experience Requirements
- At least 5 year(s)
Job Requirements
- 5 – 7 years of relevant work-experience preferably in Emerging/ Corporate Banking in a reputed bank/financial institution