Recent Post
Loading...

 

কার্বোহাইড্রেট হলো পলিহাইড্রক্সি অ্যালডিহাইড বা কিটোন অথবা এমন সব জৈব যৌগ যাদেরকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে পলিহাইড্রোক্সি অ্যালডিহাইড বা পলিহাইড্রোক্সি কিটোন উৎপন্ন হয়। 

কার্বোহাইড্রেট দুই প্রকারঃ 
১. শর্করা বা চিনি 
২. অশর্করা বা ননসুগার।

 

যে সকল পলিমার প্রাকৃতিক উপায়ে সৃষ্টি হয় তাদেরকে প্রাকৃতিক পলিমার বলে। 
প্রকৃতিতে প্রাণী ও উদ্ভিদ বিভিন্ন প্রকার পলিমার গঠন করে। এসকল পলিমার তাদের দেহের গঠন, খাদ্য, বংশগত ধারা সংরক্ষন, দেহের জৈবিক বিক্রিয়ায় প্রভাবক হিসেবে ক্রিয়া সম্পাদন এবং দেহের প্রতিরক্ষামূলক পরিবেশ সৃষ্টি প্রভৃতি ভূমিকা পালন করে। 

এসব প্রাকৃতিক পলিমারকে মোটামুটি তিনটি বৃহৎ শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়। 
১. পলিস্যাকারাইড সমূহ 
২. প্রোটিন সমূহ 
৩. নিউক্লিক অ্যাসিড সমূহ।

 

মনোস্যাকারাইড ও ডাইস্যাকারাইড কে শর্করা বা সুগার বলে। এরা দানাদার পদার্থ। পানিতে দ্রবণীয় ও স্বাদে মিষ্টি। এদের আণবিক সংকেত জানা থাকে। 
যেমনঃ গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ ইত্যাদি।

 

অদানাদার, অদ্রবণীয় এবং স্বাদহীন পলিস্যাকারাইডকে অশর্করা বা নন সুগার বলে। এদের আণবিক সংকেত জানা থাকে না। 
যেমনঃ স্টার্চ, সেলুলোজ ইত্যাদি।


যেসকল কার্বোহাইড্রেটকে পানি বিশ্লেষণের দ্বারা ক্ষুদ্রতর অণুতে পরিণত করা যায় না তাদেরকে মনোস্যাকারাইড বলে।

এদের সাধারণ সংকেত 
(Cn H₂n On) এবং তাদের অণুতে তিন হতে আটটি কার্বন পরমাণু থাকতে পারে। 

যেমনঃ পেন্টোজ (C₅H₁₀O₅), গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) ইত্যাদি। 

 

যেসকল কার্বোহাইড্রেটকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করে দুটি মনোস্যাকারাইড অণু পাওয়া যায় তাদেরকে ডাইস্যাকারাইড বলে। 
যেমনঃ ইক্ষু চিনি (C₁₂H₂₂O₁₁)। একে পানি দ্বারা আর্দ্রবিশ্লেষিত করলে সমপরিমাণ গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) ও ফ্রুক্টোজ (C₆H₁₂O₆) পাওয়া যায়।

 

যেসকল কার্বোহাইড্রেটকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করে অনেকগুলি মনোস্যাকারাইড অণু পাওয়া যায় তাদেরকে পলিস্যাকারাইড বলে। 
এরা পানিতে অদ্রবণীয় ও স্বাদহীন।

যেমনঃ স্টার্চ, সেলুলোজ ইত্যাদি।

যে সমস্ত পলিস্যাকারাইডকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে নির্দিষ্ট সংখ্যক 
(২ থেকে ৯ টি মনোস্যাকারাইড) মনোস্যাকারাইড পাওয়া যায় সেই সকল পলিস্যাকারাইডকে অলিগোস্যাকারাইড বলে। 

যেমনঃ ডাইস্যাকারাইড, ট্রাইস্যাকারাইড ইত্যাদি।

 


 সেলুলোজ হলো  β-D- গ্লুকোজের পলিমার। β-D- গ্লুকোজের একটি অনুর এক নম্বর কার্বন (C₁) এর সাথে অপর একটি β-D- গ্লুকোজ অনুর  4নম্বর কার্বন (C₄) β-গ্লাইকোসাইড বন্ধনের মাধ্যমে সেলুলোজ গঠিত হয়। 

রাসায়নিকভাবে সেলুলোজ হলো গ্লাইকোসাইড বন্ধন দ্বারা গঠিত গ্লুকোজের সরল রৈখিক পলিমার। এতে 3000 থেকে 25000 একক 
β-D-গ্লুকোজ অনু বিদ্যমান থাকে।

 

স্টার্চ হচ্ছে α-D- গ্লুকোজের পলিমার। অনেকগুলি α-D-গ্লুকোজ অণু α-গ্লাইকোসাইড বন্ধনের মাধ্যমে স্টার্চ গঠন করে। 
তবে স্টার্চ অ্যামাইলোজ ও অ্যামাইলোপেকটিন নামক দুটি পলিস্যাকারাইড এর সমন্বয়ে গঠিত শাখা শিকল। 
এতে অ্যামাইলোজ 10 - 20% ও অ্যামাইলোপেকটিন 80 - 90% বিদ্যমান থাকে।