আয়নিক যৌগে প্রতিটি আয়ন তার চতুর্দিকে বিপরীত আধানযুক্ত আয়ন দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে। আয়নিক যৌগকে তরল করতে হলে অনেক বেশি তাপের প্রয়োজন। অধিক তাপে আয়নগুলো কম্পন দ্বারা বিপরীত আধানযুক্ত আয়নের আকর্ষণকে অতিক্রম করে মোটামুটি মুক্তভাবে বিচরণ করতে পারে। এদের বাষ্পীভূত করতে বিপরীত আধানযুক্ত আয়নের আকর্ষণ সম্পূর্ণরূপে ছিন্ন করতে হয়। এ কারণে আয়নিক যৌগসমূহের গলনাংক ও স্ফূটনাংক খুব বেশি।
আয়নিক যৌগে ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন electrostatic force দ্বারা আবদ্ধ যেটাকে আয়নিক বন্ধন বলে। এই আয়নিক বন্ধন সমযোজী বন্ধন র থেকে অনেক শক্তিশালী। এই বন্ধন ভাঙতে যে শক্তির প্রয়োজন তাকে lattice energy বলে। তরল বা গ্যাস হওয়ার অর্থ অণু বা পরমাণুর নিজেদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়া। এই crystal lattice energy র থেকে বেশি শক্তি বা তাপ প্রয়োগ করতে আয়নিক যৌগের তরল বা গ্যাস এ রূপান্তর করতে। [ সমযোজী বন্ধন ধরে রাখতে যে শক্তির প্রয়োজন তাকে bond energy বলে। বন্ধন দূরত্ব যত বেশি হবে বন্ধন শক্তি তত দূর্বল হবে। সমযোজী যৌগে সমযোজী বন্ধন double/triple bond থাকে তবে একটা σ bond বাকীগুলো π bond. π bond σ bond র থেকে দূর্বল। তাই সহজেই প্রথমে π bond ভেঙে যায়।]