Recent Post
Loading...
রক্ত লাল হয় হিমোগ্লোবিন নামক এক ধরনের প্রোটিনের কারণে। আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন প্রয়োজন হিমোগ্লোবিনের মাত্রাকে ভালো রাখতে। শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গিয়ে রক্তশূন্যতা হতে পারে। অস্থিমজ্জা রক্ত কোষ উৎপন্ন করে। তবে এই কোষ সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময় পর মারা যায়। তাহলে কীভাবে রক্ত বৃদ্ধি পায়?

১. আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
প্রয়োজন। হিমোগ্লোবিন তৈরিতে লাল মাংস,শাকডিম,পালং শাককচু ইত্যাদি
খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।

২. ফলিক এসিড ভিটামিন বি৯ ও ফলিক এসিড লোহিত রক্ত কণিকা উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। শরীরে এগুলোর চাহিদা পূরণে পালং শাকবাদামডালসিরিয়াল এগুলো খেতে পারেন।

৩. ভিটামিন বি ১২ ভিটামিন ১২ সমৃদ্ধ খাবার
দাবার লোহিত রক্ত কণিকা উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। মাছডিমগরুর মাংসের
লিভারদুগ্ধ জাতীয় খাবার এই চাহিদা পূরণ করবে।

৪. সবুজ শাক সবুজ শাকে রয়েছে আয়রণ,
প্রোটিনভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি। এগুলো রক্তের জন্য খুব ভালো। তাই রক্ত ভালো
রাখতে সবুজ শাকসবজি খান।

৫. কমলা কমলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়াতে সাহায্য করে। এটি লোহিত রক্ত কণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই এসব উপকার পেতে নিয়মিত কমলা খান।
 
রক্ত :
রক্ত কি প্রশ্নটির উত্তর সাধারণভাবে দিলে বলা যায় শরীরের কোন অংশে কেটে গেলে লাল রঙের যে তরল পদার্থ বের হয়ে আসে তাই রক্ত । ইহা স্বাদে লবণাক্তঅস্বচ্ছঈষৎ ক্ষারীয় ও আঠালো চটচটে তরল পদার্থ । একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের দেহে গড়ে ৫ থেকে ৬ লিটার রক্ত থাকে। প্রধানত অস্তিমজ্জায় রক্ত উৎপন্ন হয় ।
রক্তের উপাদান : রক্ত প্রধানত দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত ।যথা :
·         ১। রক্তরস বা প্লাজমা
·         ২। রক্ত কণিকা



রক্তরস :
রক্তের হালকা হলুদ বর্ণের তরল অংশকে রক্তরস বা প্লাজমা বলে ।এই রক্তরসে রক্তকণিকা ভাসমান অবস্থায় থাকে ।রক্তরসে পানির পরিমাণ ৯২% । এছাড়াও রক্তরসে গ্লুকোজঅ্যামাইনো এসিডফ্যাটি এসিড,গ্লিসারলআমিষ (যেমন : অ্যালুবুমিন,ফিব্রিনোজেন)খনিজলবণহরমোন,ভিটামিনইউরিয়াএন্টিবডিঅক্সিজেন,কার্বনডাইঅক্সাইড ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ ।
·         ১। রক্ত সারা দেহে পানি ও তাপের সমতা রক্ষা করে ।
·         ২। লোহিত রক্তকণিকা হিমোগ্লোবিনের মাধ্যমে ফুসফুস থেকে কোষে কোষে অক্সিজেন পরিবহণ করে ।
·         ৩। শ্বেত রক্তকণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায়য় রোগজীবাণু ধ্বংস করে দেহকে সুস্থ রাখে ।
·         ৪। দেহের কোন স্থান কেটে গেলে অনুচক্রিকা সে সস্থানে রক্ত জমাট বাঁধায় । ফলে ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত বন্ধ হয় ।
·         ৫। রক্তরসের মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইডইউরিয়াহজমকৃত খাদ্যবস্তু(যথা : গ্লুকোজঅ্যামিনো এসিডফ্যাটি এসিডগ্লিসারল),হরমোন ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হয় ।


কিভাবে খুব সহজ পদ্ধতিতে সাবান প্রস্তুত করা যায । এজন্য যা যা প্রয়োজন এবং কার্যপ্রনালী নিচে দেয়া হল :প্রয়োজন :
·           ছিপিসহ একটি প্লাস্টিকের বোতল ।
·           একটি ছোট বিকার
·           তৈল – ১০০ মি.লি.(নারিকেল তেল)
·           সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড – ১৫ গ্রাম
·           পানি – ৩০ মি.লি.

কার্যপ্রণালি :প্রথমে একটি বিকারে পানি নিয়ে তার মধ্যে সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড দ্রবীভুত করি। সাবধান এসময় তাপ উৎপন্ন হয়ে বিকার গরম হয়ে যাবে । এটাকে কিছুক্ষন ঠান্ডা করার জন্য রেখে দিই । এরপর প্লাস্টিকের বোতলে নারিকেল তেল সম্পূর্ণ ঢেলে নিই । এখন বিকারের দ্রবণটি প্লাস্টিকের বোতলে ভরে বোতলের ছিপি আটকে উত্তমরূপে ঝাকাই । এর পর তা আধা ঘন্টা বা এক ঘন্টা স্থির রেখে দেই । দেখা যাবে বোতলে খুব সুন্দর জমাট বেঁধে সাবান তৈরি হয়েছে । এরপর সাবান সংগ্রহ করি ।


১৯১১ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড সৌরমন্ডলের সাথে সাদৃশ্য রেখে পরমাণুর গঠন সম্পর্কে নিজস্ব মতবাদ উপস্থাপন করেন। এ মতবাদটিকে রাদারফোর্ডের সোলার সিস্টেম এটম মডেল বলা হয়ে থাকে।এ মতবাদের উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলো হলোঃ

১. সকল পরমাণু অতিশয় ক্ষুদ্র গোলাকৃতি কণা। এর দুটি অংশ রয়েছে যথা: (ক) কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াস এবং (খ) কেন্দ্র বহির্ভূত অঞ্চল
২. পরমাণুর কেন্দ্রস্থলে একটি ধনাত্মক চার্জবিশিষ্ট ভারী বস্তু বিদ্যমান। এই ভারী বস্তুকে পরমাণুর কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াস বলে। পরমাণুর মোট আয়তনের তুলনায় নিউক্লিয়াসের আয়তন অতি নগণ্য।
৩. পরমাণুর প্রায় সবটুকু ভর এর নিউক্লিয়াসে পুঞ্জীভূত। তাই মোটামুটিভাবে নিউক্লিয়াসের ভরই পারমাণবিক ভর
৪. সৌরমন্ডলে সূর্যের চারদিকে আবর্তনীয় গ্রহসমুহের মত পরমাণুতে নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে কক্ষপথে কতগুলো ঋণাত্মক কণিকা সর্বদা ঘূর্ণায়মান থাকে। এদের ইলেকট্রন বলে।
৫. পরমাণু বিদ্যুৎ নিরপেক্ষ। তাই পরমাণুতে ধনাত্মক চার্জের সংখ্যা এবং পরিক্রমণশীল ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ইলেকট্রনের সমান।
৬. নিউক্লিয়াস ও ইলেকট্রনের মধ্যে বিরাজিত কেন্দ্রমুখী স্থির বিদ্যুৎ আকর্ষণ বল ও ঘূর্ণনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রবিমুখী বলের মান সমান ও বিপরীতমুখী।