সাধারণ নাম
|
বৈজ্ঞানিক নাম
|
ধান
|
Oryza sativa
|
পাট
|
Corchorus capsularis
|
আম
|
Mangifera indica
|
কাঁঠাল
|
Artocarpus heterophyllus
|
শাপলা
|
Nymphea nouchali
|
জবা
|
Hibiscus rosa-sinensis
|
কলেরা জীবাণু
|
Vibrio cholera
|
ম্যালেরিয়া জীবাণু
|
Plasmodium vivax
|
আরশোলা
|
Periplaneta Americana
|
মৌমাছি
|
Apis indica
|
ইলিশ
|
Tenualosa ilisha
|
কুনোব্যাঙ
|
Bufo melanostictus
|
দোয়েল
|
Copsychus saularis
|
রয়েল বেঙ্গল টাইগার
|
Panthera tigris
|
মানুষ
|
Homo sapiens
|
রক্ত কণিকার কাজ
১) লোহিত রক্ত কণিকার কাজঃ-i.লোহিত রক্তকণিকার হিমোগ্লোবিন ফুসফুস থেকে O2 এবং সামান্য CO2 পরিবহন করে ।ii. রক্তের সান্দ্রতা রক্ষা করে ।iii.হিমোগ্লোবিন ও অন্যান্য আন্তঃকোষীয় বস্তু বাফাররূপে রক্তে অম্ল ও ক্ষারের সমতা রক্ষা করে ।iv.রক্তে বিলিরুবিন উৎপাদন করে ।v.প্লাজমা ঝিল্লীতে এন্টিজেন প্রোটিন সংযুক্ত থাকে যা মানুষের রক্তের গ্রুপিংয়ের জন্য দায়ী ।
২) শ্বেত রক্ত কনিকার কাজঃ-i.মনোসাইট ও নিউট্রিফিল ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ভক্ষণ করে ধ্বংস করে ।ii. নিউট্রোফিলের বিষাক্ত দানা জীবাণু ধ্বংস করে ।iii.দানাদার লিকোসাইট হিস্টাসিন সৃষ্টি করে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।iv.লিস্ফোসাইট অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করে রোগ প্রতিরোধ করে ।
৩)অনুচক্রিকার কাজঃ-i.রক্তনালীর ক্ষতিগ্রস্ত এন্ডোথেরিয়াল আবরণ পুনর্গঠন করে ।ii. সেরাটোনিন নামক রাসায়নিক পদার্থ উৎপন্ন করে যা রক্তনালীর সংকোচন ঘটিয়ে রক্তপাত হ্রাস করে ।
রক্ত লাল হয় হিমোগ্লোবিন নামক এক ধরনের প্রোটিনের কারণে। আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন প্রয়োজন হিমোগ্লোবিনের মাত্রাকে ভালো রাখতে। শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গিয়ে রক্তশূন্যতা হতে পারে। অস্থিমজ্জা রক্ত কোষ উৎপন্ন করে। তবে এই কোষ সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময় পর মারা যায়। তাহলে কীভাবে রক্ত বৃদ্ধি পায়?
১. আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
প্রয়োজন। হিমোগ্লোবিন তৈরিতে লাল মাংস,শাক, ডিম,পালং শাক, কচু ইত্যাদি
খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
২. ফলিক এসিড ভিটামিন বি৯ ও ফলিক এসিড লোহিত রক্ত কণিকা উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। শরীরে এগুলোর চাহিদা পূরণে পালং শাক, বাদাম, ডাল, সিরিয়াল এগুলো খেতে পারেন।
৩. ভিটামিন বি ১২ ভিটামিন ১২ সমৃদ্ধ খাবার
দাবার লোহিত রক্ত কণিকা উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। মাছ, ডিম, গরুর মাংসের
লিভার, দুগ্ধ জাতীয় খাবার এই চাহিদা পূরণ করবে।
৪. সবুজ শাক সবুজ শাকে রয়েছে আয়রণ,
প্রোটিন, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি। এগুলো রক্তের জন্য খুব ভালো। তাই রক্ত ভালো
রাখতে সবুজ শাকসবজি খান।
৫. কমলা কমলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়াতে সাহায্য করে। এটি লোহিত রক্ত কণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই এসব উপকার পেতে নিয়মিত কমলা খান।
রক্ত কি ? প্রশ্নটির উত্তর সাধারণভাবে দিলে বলা যায় শরীরের কোন অংশে কেটে গেলে লাল রঙের যে তরল পদার্থ বের হয়ে আসে তাই রক্ত । ইহা স্বাদে লবণাক্ত, অস্বচ্ছ, ঈষৎ ক্ষারীয় ও আঠালো চটচটে তরল পদার্থ । একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের দেহে গড়ে ৫ থেকে ৬ লিটার রক্ত থাকে। প্রধানত অস্তিমজ্জায় রক্ত উৎপন্ন হয় ।
রক্তের উপাদান : রক্ত প্রধানত দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত ।যথা :
রক্তের উপাদান : রক্ত প্রধানত দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত ।যথা :
· ১। রক্তরস বা প্লাজমা
· ২। রক্ত কণিকা
রক্তরস :
রক্তের হালকা হলুদ বর্ণের তরল অংশকে রক্তরস বা প্লাজমা বলে ।এই রক্তরসে রক্তকণিকা ভাসমান অবস্থায় থাকে ।রক্তরসে পানির পরিমাণ ৯২% । এছাড়াও রক্তরসে গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড, ফ্যাটি এসিড,গ্লিসারল, আমিষ (যেমন : অ্যালুবুমিন,ফিব্রিনোজেন), খনিজলবণ, হরমোন,ভিটামিন, ইউরিয়া, এন্টিবডি, অক্সিজেন,কার্বনডাইঅক্সাইড ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ ।
· ১। রক্ত সারা দেহে পানি ও তাপের সমতা রক্ষা করে ।
· ২। লোহিত রক্তকণিকা হিমোগ্লোবিনের মাধ্যমে ফুসফুস থেকে কোষে কোষে অক্সিজেন পরিবহণ করে ।
· ৩। শ্বেত রক্তকণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায়য় রোগজীবাণু ধ্বংস করে দেহকে সুস্থ রাখে ।
· ৪। দেহের কোন স্থান কেটে গেলে অনুচক্রিকা সে সস্থানে রক্ত জমাট বাঁধায় । ফলে ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত বন্ধ হয় ।
· ৫। রক্তরসের মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইড, ইউরিয়া, হজমকৃত খাদ্যবস্তু(যথা : গ্লুকোজ, অ্যামিনো এসিড, ফ্যাটি এসিড, গ্লিসারল),হরমোন ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হয় ।