বিসিএস পরীক্ষায় ব্যাপক সংস্কার আনছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। সময় বাঁচিয়ে অল্প সময়ে উপযুক্ত প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষা পদ্ধতি পাল্টে স্বল্পমেয়াদি পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে লিখিত পরীক্ষা হবে ৫০০ নম্বরের। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে মৌখিক পরীক্ষার নম্বরও কমিয়ে আনা হবে। ‘একজন পরীক্ষকই সর্বেসর্বা, তিনি যা বলবেন তাই ঠিক’—এ পদ্ধতি পাল্টে সব খাতাই রিচেক করা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। পরীক্ষার এসব খাতা বাসায় নেওয়া যাবে না। পিএসসিতে বসেই খাতা দেখা শেষ করতে হবে। আরো বিভিন্ন বিষয় পরিবর্তনের মাধ্যমে পরীক্ষা পদ্ধতির খোলস পাল্টে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পিএসসি।
পিএসসির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ‘বিসিএস পরীক্ষার সংস্কারের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক আমাদের (সদস্যদের) সাথে কথা বলেছেন। আমাদের মৌখিক সম্মতি পাওয়ার পর জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ সরকারের নীতিনির্ধারকদের সাথেও আলোচনা করেছেন। সংশ্লিষ্টরা গ্রিন সিগন্যাল দেওয়ার পরই এসব নিয়ে কাজ শুরু করেছে পিএসসি।’
পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার ও পিএসসির আর্থিক ক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ কাজও শুরু করেছেন। তিনি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে পিএসসিকে নির্বাচন কমিশনের মতো ব্যয় বিভাজনের আর্থিক স্বাধীনতা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। গত ২৬ অক্টোবর অর্থমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি বলেছেন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এ ধরনের আর একটি মাত্র কমিশন আছে, তা হলো বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনকে এরই মধ্যে বরাদ্দকৃত বাজেটের মধ্যে ব্যয় বিভাজনের আর্থিক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এই স্বাধীনতা দিয়ে সরকার যে প্রশংসার কাজটি করেছে তা একই ধরনের প্রতিষ্ঠান পাবলিক সার্ভিস কমিশনকেও দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা শিগগিরই এ-সংক্রান্ত আর্থিক স্বাধীনতা পিএসসিকে দেবেন।
একজন সদস্যের দেওয়া এসব তথ্যের সত্যতা জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ‘বর্তমান পরীক্ষা পদ্ধতিতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়। বর্তমান যুগে একজন প্রার্থীর পক্ষে মাসের পর মাস ধরে পরীক্ষা দেওয়া সত্যি কষ্টকর। জটিল পরীক্ষা পদ্ধতির জন্য অনেক মেধাবী প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষায় অংশ নেন না। এ ছাড়া আরো বেশ কিছু কারণে আমরা কিছু সংস্কার করব। তবে এই সংস্কারের জন্য একটু সময় লাগবে। কারণ বর্তমানের যে পদ্ধতি তা রাতারাতি পাল্টে ফেলা যাবে না। এগুলো চালু রেখেই আমরা সংস্কার করব।’
এক প্রশ্নের জবাবে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিভিন্ন পরীক্ষার নম্বর কমালেও প্রার্থীদের মেধা ও যোগ্যতা যাচাইয়ে কোনো ঘাটতি হবে না। কারণ কম নম্বরের মধ্যেও স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন করে প্রার্থীর মেধা ও যোগ্যতা যাচাই করা সম্ভব। যথাযথ মেধা ও যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য কেবল দীর্ঘ সময় ধরে পরীক্ষা নিতে হবে—এমন কোনো কথা নেই।’
বর্তমান বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি তিন স্তরবিশিষ্ট। ২০০ নম্বরের এমসিকিউ টাইপের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর প্রার্থীদের বসতে হয় লিখিত পরীক্ষায়। ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার পর তৃতীয় স্তরে ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা দিতে হয়। লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি ও বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ২০০ করে ৬০০ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা এবং সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে ১০০ করে মোট ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পিএসসির একজন সদস্য জানান, এই ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নিতে পিএসসির এক মাসের বেশি সময় লেগে যায়। ৩৭তম বিসিএসের প্রার্থী ছিল দুই লাখ ৪৩ হাজার ৪৭৬ জন। এর মধ্যে আট হাজার ৫২৩ জনকে বাছাই করা হয়েছে এক হাজার ২২৬টি পদের জন্য। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করতেই আট মাস সময় লেগেছে। এই দীর্ঘ সময় প্রার্থীদের পরীক্ষা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। এরপর লিখিত পরীক্ষা তো আছেই। মৌখিক পরীক্ষা শেষে ৩৭তম বিসিএসের ফল প্রকাশের প্রত্যাশিত তারিখ হচ্ছে ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট। এ অবস্থায় পিএসসি কর্তৃপক্ষ মনে করছে, বর্তমান পরীক্ষা পদ্ধতি সময়োপযোগী নয়।
তাই এটা পরিবর্তন করা হবে। ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ৫০০-তে নামিয়ে আনার চিন্তা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বিসিএসের বিস্তৃত সিলেবাস কমিয়ে আনা হবে। বাংলার ওপর নির্ভরতা কমানো হবে। কারণ ১৯৯০ সালের পর থেকে বাংলার ওপর জোর দিতে গিয়ে প্রশাসনে ইংরেজি জানা কর্মকর্তার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। এ কারণে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ইংরেজির ওপর জোর দেওয়া হবে। ইংরেজির বিষয়ে কিভাবে সংস্কার আনা হবে তা এখনো বের করা সম্ভব হয়নি। তবে ইংরেজি মাধ্যমে যাঁরা পরীক্ষা দেবেন তাঁদের সুবিধা দেওয়ার কথা চিন্তা করা হচ্ছে।
পিএসসির আরেকজন সদস্য কালের কণ্ঠকে বলেন, ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। মৌখিক পরীক্ষায় এত বেশি নম্বর থাকলে দুর্নীতির দুয়ার খুলে যায় বলে তাঁরা মনে করেন। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় দুর্নীতির সুযোগ কম। কারণ লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখেন একজনে। সেখানে একজনের পক্ষে অনেক কিছু করার সম্ভাবনা যতটুকু, তিনজনের পক্ষে সেই সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। কারণ মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে থাকেন তিনজন। কমিশনের চেয়ারম্যান বা সদস্য ছাড়াও বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে থাকেন একজন বিভাগীয় প্রতিনিধি। এর পরও লিখিত পরীক্ষার নম্বর কমে ৫০০ হলে মৌখিকে তা সর্বোচ্চ ১০০ হতে পারে।
ওই সদস্য আরো জানান, বিভিন্ন সময় মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমানো-বাড়ানো হয়েছে। নিশ্চয়ই এটার প্রয়োজন ছিল। অনেক সময় লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রকৃত মেধা যাচাই করা সম্ভব হয় না। মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব বোঝা যায়। সার্বিক বিষয়ে তার জ্ঞান ও দক্ষতা কতটা প্রখর তা অনুমান করা যায়। এসব কারণে পিএসসি মৌখিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর রাখার পক্ষে। এ ছাড়া মৌখিক পরীক্ষার যখন নম্বর দেওয়া হয় তখন ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা সংশ্লিষ্ট প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় কত পেয়েছে তা জানেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিএসসির আরেক সদস্য কালের কণ্ঠকে বলেছেন, পিএসসি সরকারের রাজস্বভাণ্ডার সমৃদ্ধ করছে। কারণ একটা বিসিএসে পিএসসির ফান্ডে জমা হয় প্রায় আট কোটি টাকা। সেখান থেকে মাত্র তিন কোটি টাকা খরচ হয় সংশ্লিষ্ট বিসিএসের সব কার্যক্রম শেষ করতে। বাকি টাকা জমা হয় সরকারের কোষাগারে। এসব কারণে পিএসসি আরো কিছু টাকা ব্যয় করে হলেও সার্বিক বিষয়ে একটা মানোন্নয়ন আনতে চাচ্ছে। বিপুলসংখ্যক প্রার্থীর পরীক্ষা নিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিতে হয়। কিন্তু এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সংশ্লিষ্টরা পিএসসির বিসিএস পরীক্ষার বিষয়ে আগ্রহ দেখান না। কারণ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা হলে দায়িত্ব পালন করে যে পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়, পিএসসির পরীক্ষায় এর চেয়ে অনেক কম টাকা পাওয়া যায়। একটা বোর্ডের পরীক্ষায় এক দিনে এক হাজার টাকাও আয় করা যায়। আর পিএসসির পরীক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সংশ্লিষ্টরা সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা পেতে পারেন। এ কারণে পরীক্ষা গ্রহণ-প্রক্রিয়ায়ও সংস্কার আনতে চায় পিএসসি।
আরেক সদস্য জানিয়েছেন, বর্তমানে পরীক্ষকদের খাতা দেখার জন্য খাতা তাঁদের বাসায় নিতে দেওয়া হয়। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা দূর করার উপায় খুঁজে বের করেছে পিএসসি। সংস্কারের অংশ হিসেবে খাতা আর পরীক্ষকের বাসায় পাঠানো হবে না। পরীক্ষক পিএসসিতে বসে খাতা দেখবেন। তাঁর যত রকমের সহায়তা দরকার পিএসসি তাঁকে দেবে। এতে করে সংশ্লিষ্টরা কম সময়ে অনেক বেশি খাতা দেখতে পারবেন। ফলে কম সময়ে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খাতা দেখার জন্য পরীক্ষকদের অতিরিক্ত টাকা দেওয়া হবে, অর্থাৎ তাঁদের সম্মানী ভাতা বাড়িয়ে দেওয়া হবে।
খাতা দেখার পদ্ধতিতেও সংস্কার করা হবে জানিয়ে একজন সদস্য বলেন, বর্তমান নিয়মে একজন খাতা দেখেন। এতে ভুল হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। ভুল করার এই ঝুঁকি থেকে বের হয়ে আসার জন্য খাতা রিচেক করা হবে। প্রতিটি খাতাই রিচেক করা বাধ্যতামূলক করা হবে। এতে আপাতত সময় বেশি লাগবে মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে সময় বেশি লাগবে না। কারণ খাতা দেখানো হবে পিএসসিতে।
পিএসসির একজন সদস্য বলেছেন, বর্তমানে ম্যানুয়ালি বিসিএস পরীক্ষার ফল তৈরি করা হয়। একজন সদস্যের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্টরা বসে সব কিছু সংযোজন-বিয়োজন করে ফল তৈরি করেন। সংস্কারের আওতায় ফল যেন প্রযুক্তির সহায়তার অল্প সময়ে তৈরি করা যায় সেই বিষয়ও গুরুত্ব পাবে। বর্তমানে বিপুলসংখ্যক প্রার্থীর এমসিকিউ টাইপ বাছাই পরীক্ষা ওএমআর রিডেবল উত্তরপত্রে গ্রহণ করা হয়। পরীক্ষার উত্তরপত্র ওএমআর মেশিনে স্ক্যান করে ফল তৈরি করা হয়। পিএসসির মাত্র চারটি ওএমআর মেশিন রয়েছে। আরো একাধিক ওএমআর মেশিন কেনা হবে।
জটিল মেধা কোটায় কোনো পরিবর্তন আসবে কি না—জানতে চাইলে পিএসসির একজন সদস্য বলেন, যতই কোটা সিস্টেম থাকুক, প্রকৃত মেধাবীরাই বিসিএস চাকরি পান। কারণ প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সবাই সমানভাবে অংশগ্রহণ করেন। এসব ধাপ পেরোলেই কেবল কোটার প্রশ্ন। এ ছাড়া যখন কোটার প্রার্থী পাওয়া না যায় তখন মেধা কোটা থেকেই প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বিসিএসসহ প্রথম শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণির সব চাকরি ৪৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে হয়। অবশিষ্ট ৫৫ শতাংশ চাকরি হয় প্রাধিকার কোটায়। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, ১০ শতাংশ জেলা কোটা। প্রাধিকার কোটার কোনো পদ অপূর্ণ থাকলে প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়।
রিলেশনশিপ ম্যানেজার পদে সিটি ব্যাংকের জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
Job Description / Responsibility
- Create new business opportunities for the Bank ensuring a profitable portfolio for the Bank.
- Maintain the current portfolio of the business.
- Develop and maintain a strong working relationship with the customers to ensure customer satisfaction and loyalty.
Job Nature
Full-timeEducational Requirements
- 4 years Graduation or Masters degree preferably in Business, Economics or Statistics discipline from a reputed university
Experience Requirements
- At least 5 year(s)
Job Requirements
- 5 – 7 years of relevant work-experience preferably in Emerging/ Corporate Banking in a reputed bank/financial institution
Job Location
DhakaApplication Deadline : Nov 29, 2016
Company Information
The City Bank Limited.Address : House CEN (C) 11, Avenue 136 (Level 4), Gulshan 2, Dhaka.Web : www.thecitybank.comতরুণদের স্বপ্নের ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ দিচ্ছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। তরুণদের ট্রেনিং দেওয়ার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়তে ‘গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি আন্ডার ইয়ং ট্যালেন্ট প্রোগ্রাম’-এর জন্য আবেদনের আহ্বান করা হয়েছে। আজকের তারুণ্যকে আগামীর উন্নয়নশীল ক্রিয়ামূলক এবং নেতৃত্বের প্রতিযোগিতার মুখোমুখি করতে এ সুযোগ দিচ্ছে রবি।
এই ইয়ং ট্যালেন্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্নাতক পাস তরুণদের অন্যদের চেয়ে ভিন্নভাবে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন করা হবে। এই তরুণ শিক্ষার্থীরা আজিয়াটা গ্রুপের পাশাপাশি মোবাইল কমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রির অত্যন্ত শক্তিশালী সম্পদে পরিণত হয়।
আবেদন প্রক্রিয়া
আগ্রহী প্রার্থীরা লিংকড ইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করা যাবে ‘bit.ly/2g26xHT’ ঠিকানায়। আবেদন করার সুযোগ থাকছে ৩০ নভেম্বর, ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত।
অফিসার পদে জনবল নিচ্ছে ইউনিসেফ
জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম ইউনাইটেড নেশন্স চিলড্রেনস ফান্ড (ইউনিসেফ)। সংস্থাটি সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ‘প্রোগ্রাম অফিসার—এনওএ’ পদে সিলেটে এই নিয়োগ দেওয়া হবে।
যোগ্যতা
স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান, লোকপ্রশাসন, আইন, গণস্বাস্থ্য, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ব্যবসা প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রিধারী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কাজে এক বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে। এ ছাড়া ইংরেজি ও জাতিসংঘের অন্যান্য ভাষা জানলে তা অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
আগ্রহী প্রার্থীরা পদটিতে সরাসরি ই-মেইলের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। ই-মেইল ঠিকানা dhakahrvacancies@unicef.org। আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হবে ৩০ নভেম্বর, ২০১৬ তারিখে।
বিস্তারিত জানতে দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় ২৪ নভেম্বর, ২০১৬ তারিখে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনটি দেখুন :
আইএফআইসি ব্যাংকের আবারো নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
Job Context
- For fulfilling the customer needs with better service, we need some smart individuals for the position of Transaction Service Officer who will be working in the Branches located all over Bangladesh.
- Grade/Rank : Trainee Assistant Officer (TAO)
- Job Location: Branches located anywhere in Bangladesh
Job Description / Responsibility
- Front line service provider for opening A/Cs & issuing cheque book.
- Providing Card & Mobile banking services.
- Issuing FDR/DPS/Sanchaya-patra
- Clearing, Cash/ Cheque receipt & payment
- Bill receipt & transfer, Fund transfer, Receiving Loan Payment/Transfer
- Handling POS machine
- Providing Remittance (Local/Inward) and Locker service etc.
Job Nature
Full-timeEducational Requirements
- Minimum Graduate with no 3rd Class/Division/Equivalent CGPA.
Job Requirements
- Age At most 30 year(s)
- Not over 30 years of age as on December 01, 2016
- Adequate people management & communication skills
- Computer proficiency is a must.
- Ready to work anywhere in Bangladesh
Job Location
Anywhere in BangladeshIf you believe you are the right person, please apply online through http://career.ificbankbd.com by December 01, 2016.
Only short-listed candidates shall be communicated. Candidates who are not ready to work outside Dhaka are strongly discouraged to apply
Only short-listed candidates shall be communicated. Candidates who are not ready to work outside Dhaka are strongly discouraged to apply
Application Deadline : Dec 1, 2016
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এর ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ই’ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ২৭ নভেম্বর ২০১৬ । ২২ নভেম্বর ২০১৬, বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপতিতে এসব তথ্য জানানো হয় । বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যাবতীয় তথ্য নিচে উল্লেখ করা হলঃ
A ইউনিটের ক্ষেত্রেঃ
১ম মেরিটে স্থান প্রাপ্তদের ২৭ নভেম্বর হতে ২৯ নভেম্বর মধ্যে ,২য় মেরিটে স্থান প্রাপ্তদের ৪ ডিসেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর-এর মধ্যে , ৩য় মেরিটে স্থান প্রাপ্তদের ৮ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে , ৪র্থ মেরিটে স্থান প্রাপ্তদের ১৩ ডিসেম্বর হতে ১৫ ডিসেম্বর-এর মধ্যে , এবং ৫ম মেরিটে স্থান প্রাপ্তদের ২৬ ডিসেম্বর হতে ২৮ ডিসেম্বর-এর মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
B ও E ইউনিটের ক্ষেত্রেঃ
১ম মেরিটে স্থান প্রাপ্তদের ২৭ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বরের মধ্যে , ২য় মেরিটে স্থান প্রাপ্তদের ৫ ডিসেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে , ৩য় মেরিটে স্থান প্রাপ্তদের ১৩ ডিসেম্বর হতে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে , ৪র্থ মেরিটে স্থান প্রাপ্তদের ২০ ডিসেম্বর হতে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে এবং ৫ম মেরিটে স্থান প্রাপ্তদের ২৭ ডিসেম্বর হতে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে ।
C ইউনিটের ক্ষেত্রেঃ
১ম মেরিটে স্থান প্রাপ্তদের ২৭ নভেম্বর হতে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে , ২য় মেরিটে স্থান প্রাপ্তদের ৫ থেকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে , ৩য় মেরিটে স্থান প্রাপ্তদের ১৩ ডিসেম্বর হতে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে , ৪র্থ মেরিটে স্থান প্রাপ্তদের ২৬ ডিসেম্বর হতে ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে visit করুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট www.jnu.ac.bd -এ ।
ট্রেনিং এখন আর টাকা দিয়ে করার দরকার হয়না, ২০০ঘন্টার ট্রেনিং সম্পূর্ণ ফ্রিতে
অনেকেই আছেন, যারা কাজ শিখতে আগ্রহী, কিন্তু টাকার অভাবে করতে পারছেন না। তাদের জন্য সরকারী উদ্যোগে চাকুরি কিংবা ১০০% ইনকামের নিশ্চয়তা সহকারে ২০০ঘন্টার ফ্রি ট্রেইনিং (ট্রেইনিং সেন্টারে ৬০ঘন্টার ট্রেনিং ফি: ২০,০০০টাকা, সরকারি ট্রেনিং ২০০ঘন্টা) অফার চলছে।
এবার আর ৭-১০দিন নয়। ৫০দিনের ২০০ঘন্টার ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক ট্রেনিং করানো হবে সরকারের উদ্যোগে সম্পূর্ণ ফ্রিতে। সারাদেশেই এ ট্রেনিং কাযক্রম একযোগে শুরু হচ্ছে নভেম্বর মাস থেকে। আজ থেকে রেজিঃ কাযক্রম শুরু করে দিতে পারেন সবাই।
মিনিমাম এইচ.এস.সি পাশ যেকোন স্টুডেন্ট এ ট্রেনিং নিতে পারবেন।
♦ কোর্স সমূহ:
– গ্রাফিক ডিজাইন
– ডিজিটাল মার্কেটিং
– ওয়েব ডিজাইন
প্রতিটা কোর্সটি দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১ম ১০০ ঘন্টা বেসিক, পরের ১০০ঘন্টা অ্যাডভান্স ট্রেইনিং।
এর সাথে আবার প্রতি ১০০ঘন্টার সাথে যুক্ত থাকবে ২৫ঘন্টার সফট স্কীল কোর্স (আউটসোর্সিং করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের কোর্স)
একজন যে কোন একটি কোর্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
♦ কিভাবে করবেন?
– নিচের লিংকে গিয়ে রেজিঃ ফরম পূরন করুনঃ http://ledp.ictd.gov.bd/registration
– ফরমটি পূরন করার পরের স্টেপে প্রশ্ন পাবেন, সেই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দিতে পারলে, আপনি রেজিঃ ১ম ধাপ পূর্ণ করলেন।
– এরপর আপনি যে জেলা থেকে পূরন করেছেন, সেই এলাকাতে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছেন, তারাই আপনাকে ১০দিনের মধ্যে ইন্টারভিউতে ডাকবেন। সেই ইন্টারভিউতে পাশ করলেই আপনি এ কোর্সটি করার জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।
– নিচের লিংকে গিয়ে রেজিঃ ফরম পূরন করুনঃ http://ledp.ictd.gov.bd/registration
– ফরমটি পূরন করার পরের স্টেপে প্রশ্ন পাবেন, সেই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দিতে পারলে, আপনি রেজিঃ ১ম ধাপ পূর্ণ করলেন।
– এরপর আপনি যে জেলা থেকে পূরন করেছেন, সেই এলাকাতে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছেন, তারাই আপনাকে ১০দিনের মধ্যে ইন্টারভিউতে ডাকবেন। সেই ইন্টারভিউতে পাশ করলেই আপনি এ কোর্সটি করার জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।
যেসব যোগ্যতার ভিত্তিতে এই মূল্যবান ফ্রি ট্রেনিং এ সুযোগ ও ল্যাপটপ গিফট পাবেন ঃ
যেসব যোগ্যতার ভিত্তিতে এই মূল্যবান ফ্রি ট্রেনিং এ সুযোগ পাবেন ঃ
♦ ১ম ধাপ: মিনিমাম এইচ.এস.সি পাশ/ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া/ পড়ালেখা শেষ হয়েছে / যারা চাকুরী করছেন ও তার পাশাপাশি বাড়তি ইনকাম এ আগ্রহী স্টুডেন্ট এ ট্রেনিং নিতে পারবেন।
♦ ২য় ধাপ: রেজিঃ ফরম পূরন করা ও অন-লাইনে পরীক্ষা দেয়া http://ledp.ictd.gov.bd/
♦ ৩য় ধাপ: রেজিঃ সম্পন্ন হওয়ার পরে যেসব বিষয়য়ের উপর প্রাথমিক সিলেকশনের জন্য নজর দেয়া হবে তা ঃ-
-একদম নতুন ফ্রেশারকেও নেয়া হবে যদি অনলাইনে ইঙ্কাম করার প্রবল ইচ্ছা শক্তি থাকে।
অথবা যাদের কম্পিউটারের বেসিক জানা আছে
অথবা যাদের ফ্রিল্যান্সিং এ প্রচুর আগ্রহ ও ধৈর্য আছেে
অথবা যাদের গ্রাফিক্স ডিজাইন /ইন্টারনেট মার্কেটিং / প্রোগামিং/ ওয়েব ডিজাইনিং এ বেসিক জানা আছে
অথবা যারা CSE স্টুডেন্ট অথবা যাদের ইংরেজীতে দক্ষতা আছে
–সেইরকম ব্যক্তিদেরকে আরও অ্যাডভান্স হওয়ার জন্য ট্রেনিং প্রদান করা প্রদান করা হবে।
♦ ৪র্থ ধাপ ঃ ফাইনাল ধাপটি হচ্ছে ভাইভা।
উপরিউক্ত ধাপগুলো সফলভাবে সম্পন্ন হলেই আপনি সত্যিকারের একজন ভাগ্যবান ও সরকারী খরছে এই মূল্যবান ট্রেনিংয়ের এর সুযোগ পাবেন।
কিভাবে Free পেতে পারেন হাই কনফিগারেশনের ল্যাপটপ (Core i7 w core i5) ?
যারা ট্রেনিংয়ের সুযোগ পাবেন তাদের প্রতি ব্যাচের (২৫ জন) দুইজনকে গিফট করা হবে হাই কনফিগারেশনের ল্যাপটপ
সেক্ষেত্রে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করা হবে।
– ফ্রি ট্রেনিংয়ে ঝড়ে পরে বেশি। তাই তাদের ৯০% উপস্থিতি নিশ্চিত থাকে।
– ভাল পারফরমারদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে।
হুমম, খুব দামি পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি ব্যাচের দুইজনকে হাই কনফিগারেশনের ল্যাপটপ গিফট করা হবে।
-এখানে যারা উক্ত ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি/ কোর্সের পরে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস বা আউটসোর্সিং এ Income Proof দেখাতে পারবে তাদেরকে বিভিন্ন আইটে ফার্মের সাথে ও বিভিন্ন সরকারী প্রজেক্টসহ ও অন্যান্য গ্রুপ্রের সাথে কাজ করার সুযোগসহ প্রদান করা হবে ।
যোগাযোগের হেল্প লাইন : চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আগ্রহী প্রার্থীদের রেজিঃ সংক্রান্ত কোন সমস্যা হলে রেডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস লিঃ এর কল সেন্টারে ফোন করে এই সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন ও সহযোগিতা পেতে পারেন। কল সেন্টারের নং ০১৬১১৭৭৭৭৭০ অথবা ০১৬১১৯৯৯৯০০
এরফান হোছাইন
ট্রেইনার @ আইসিটি ডিভিশন ( আইসিটি মন্ত্রনালয়)
লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেব প্রজেক্ট ও ফ্রিল্যান্সার