Recent Post
Loading...
ইউরেনিয়াম কী?

সহজ ভাষায় ইউরেনিয়াম হচ্ছে একটি ভারী ধাতু। এর রঙ অনেকটা রুপার মতো। এটি একটি তেজষ্ক্রিয় মৌল। তেজষ্ক্রিয় মানে হলো, যা হতে নিজে নিজেই ক্ষতিকর রশ্মি নির্গত হতে থাকে। সর্বপ্রথম ১৭৮৯ সালে এই মৌলটি আবিষ্কৃত হয়। ইউরেনিয়াম নামটি রাখা হয়েছে ইউরেনাস গ্রহের নামানুসারে। আর এটা থেকে যে তেজষ্ক্রিয় রশ্মি নির্গত হয় সেটা জানা যায় ১৮৯৬ সালে। জানান বিজ্ঞানী হেনরি বেকেরেল। ইউরেনিয়াম পর্যায় সারণির ৯২ নম্বর মৌল। এর ভর ২৩৮।
.
বলতে গেলে ইউরেনিয়াম সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন বিজ্ঞানী ওপেনহেইমার। পারমাণবিক বোমা বানাতে।জাপানে হিরোশিমায় ফেলা "লিটল বয়" ছিল ইউরেনিয়াম নির্মিত। এখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিউক্লিয়ার অস্ত্র বানাতে ইউরেনিয়াম ব্যবহৃত হয়। শান্তিপূর্ণ ব্যবহার বলতে, যেহেতু খুব অল্প পরিমাণ ইউরেনিয়াম হতেই অনেক বেশি এনার্জি পাওয়া যায়, তাই এ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে অনেক বেশি। তবে ইউরেনিয়াম প্লান্ট খুবই ব্যায়বহুল।
.
ইউরেনিয়াম কিভাবে ক্ষতি করতে পারে?

ইউরেনিয়াম অত্যন্ত ক্ষতিকর। নিজে নিজেই এটা থেকে রশ্মি নির্গত হয়। খুব অল্প পরিমাণে থাকলেও বহুদিন এর কাছাকাছিথাকলে ক্ষতি হতে পারে। কিংবা বেশি পরিমানে থাকলে অল্প সময়েই এর প্রভাব পড়বে। যারা অপেক্ষাকৃত সবল মানুষ তাদের উপর দেরিতে প্রভাব পড়বে। যারা দুর্বল তাদের উপর তাৎক্ষিণিক প্রভাব পড়ে। ইউরেনিয়াম মানুষের শরীরের জীবন্ত কোষ ধ্বংস করে ফেলে। প্রাথমিক লক্ষণ হিশাবে শরীরে ঘা হয়, পুঁজ হয়, খোঁচ পাচড়া সহ বিভিন্ন চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। বমি বমি ভাব দেখা যায়, ক্ষুধামন্দা হয়, ডায়রিয়া হয়। ভবিষ্যতে ক্যান্সার, লিউকোমিয়া হবে। ধীরে ধীরেমানুষকে পঙ্গু করে দিতে পারে। নবজাতক কিংবা শিশুদের উপর এর প্রভাব মারাত্মক। এরা বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ে।
.
মানুষের উপর তাৎক্ষণিক যদি কোনো প্রভাব নাও পড়ে খুশি হবার কারণ নেই। ইউরেনিয়ামের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব আছে। আজ তেজষ্ক্রিয়তায় আক্রান্ত হলে অনেক বছর পরও কেউ ক্যান্সার আক্রান্ত হতে পারেন, এই তেজষ্ক্রিয়তার প্রভাবে। লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন। শুধু শারিরীক নয় মানসিক রোগও দেখা যায় তেজষ্কৃয়তার প্রভাবে।

►কুকুরের ঘ্রাণশক্তি মানুষের চেয়ে ২৮,০০০ গুণ বেশি ।,
-
►প্রাণীদের মধ্যে বিড়ালই সবচেয়ে
বেশি ঘুমায় (দৈনিক ১৮ঘন্টা) ।
-
►একমাত্র স্ত্রী মশাই মানুষের
রক্ত খায়।
-
►মাছি মিনিটে ৮ কিলোমিটার উড়তে পারে ।
-
►পুরুষ ব্যাঙই বর্ষকালে ডাকে,আর তা শুনে কাছে আসে স্ত্রী ব্যাঙ ।
-
►হামিং বার্ড পাখি পিছনের দিকে উড়তে পারে
-
►গিরগিটি একই সময়ে তার চোখ দুটি দুই দিকেই নাড়তে পারে ।
-
►টিকটিকি এক সঙ্গে ৩০টি ডিম পাড়ে ।
-
►মাছ চোখ খোলা রেখে ঘুমায় ।
-
►একমাএ পিঁপড়েই কোনদিন ঘুমায় না
-
► সিডকা পোকা একটানা ১৭ বছর মাটির
নিচে ঘুমায় । তারপর মাটি থেকে বেড়িয়ে
এসে চিতকার করতে করতে ৩ দিনের মাথায়
মারা যায় ।
-
►সিংহের গর্জন ৫ মাইল দূর থেকেও শোনা
যায়।
-
►অনেকের ধারণা হাঙ্গর মানুষকে হাতের
কাছেপেলে মেরে ফেলে। কিন্তু মানুষের হাতেই বেশী হাংগর মারা পড়েছে।
-
►কাচ আসলে বালু থেকে তৈরী।
-
►আপনি প্রতিদিন কথা বলতে গড়ে ৪৮০০টি শব্দ ব্যবহার করেন। বিশ্বাস না হলে পরী ক্ষা করে দেখতে পারেন।
-
►আপনি ৮ বছর ৭ মাস ৬ দিন একটানা
চিৎকার করলে যে পরিমান শক্তি খরচ
হবে তা দিয়ে এক কাপ কফি অনায়েসে
বানানো যাবে।
-
►একটি রক্ত কনিকা আমাদের পুরো দেহ
ঘুরে আসতে সময় নেয় ২২ সেকেন্ড।
-
►আপনার যদি একটা তারা গুনতে ১
সেকেন্ড সময় লাগে তাহলে একটি গ্যালাক্সির সব তারকা গুনতে সময় লাগবে প্রায় ৩ হাজার বছর।
-
►অনেকের ধারণা শামুকের দাঁত নেই।
অথচ শামুকের ২৫ হাজার দাঁত আছে।
-
►চোখ খুলে হাঁচি দেয়া সম্ভব না।
-
►বিড়াল ১০০ রকম শব্দ করতে পারে অথচ কুকুর পারে ১০ রকম।
-
►পৃথিবীর প্রাণীদের মধ্যে ৮০ ভাগই
পোকামাকড়।
-
►একটি তেলাপোকা তার মাথা ছাড়া ৯ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
এরপর তারা সাধারণত খাদ্যাভাবে মারা
যায়|
"রসায়ন" প্রশ্ন; প্রভাবককে বিক্রিয়ক বলা যায় না কেন?


যে সকল বস্তু কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, তাদেরকে বিক্রিয়ক বলা হয়। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক পদার্থসমূহ রাসায়নিকভাবে পরিবর্তিত হয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট নতুন পদার্থে পরিনত হয়। এবং যে বস্তু কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কের সংস্পর্শে থেকে রাসায়নিক বিক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি বা হ্রাস করে, কিন্তু বিক্রিয়ার শেষে ভরে এবং রাসায়নিক সংযুক্তিতে অপরিবর্তিত থাকে, তাকে ঐ বিক্রিয়ার প্রভাবক বলা হয়। যেহেতু, বিক্রিয়া শেষে বিক্রিয়কসমূহ যেভাবে রাসায়নিক সংযুক্তিতে পরিবর্তিত হয় প্রভাবকসমূহ সেইরকম পরিবর্তিত হয়না, সেহেতু প্রভাবকগুলোকে বিক্রিয়ক বলা যায়না।


Cutesy : Rabbane Sujon
আলী ইমাম মজুমদার: সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশকৃত ৮১ জন চূড়ান্ত নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। একটি দৈনিকে প্রকাশিত তথ্যানুসারে তাঁদের মধ্যে ১৫ জনের অভিভাবকের মুক্তিযোদ্ধা সনদে ‘ঘাপলা রয়েছে’। আর অবশিষ্টরা নিয়োগ পাননি অনেকটা রাজনৈতিক বিবেচনায়। সেই দৈনিকটির তথ্যানুসারে, এসব প্রার্থীর পরিবারের কেউ কেউ বিএনপি বা জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে নিরাপত্তা প্রতিবেদনে জানা গেছে।

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করে পিএসসি। আবেদন করেন ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন প্রার্থী। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে মেধা ও প্রাধিকার কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ চূড়ান্ত হয়। সব প্রক্রিয়া শেষে গেল বছরের আগস্ট মাসে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয় ২ হাজার ১৭৪ জনকে। তাঁরা সবাই স্বাস্থ্য পরীক্ষায়ও উপযুক্ত বিবেচিত হয়েছেন বলে ধারণা করা যায়। তারপর শুরু হয় পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) কর্তৃক প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্যানুসন্ধান। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা পোষ্য কোটায় সুপারিশপ্রাপ্তদের যথার্থতা যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট করা হয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে। সেই মন্ত্রণালয়কে কাজটি এক মাসের মধ্যে করে দিতে বলা যেত। এটা সম্ভবও ছিল। সে ক্ষেত্রে বাদ পড়াদের স্থানে অন্য উপযুক্ত প্রার্থী থাকলে সুপারিশ করতে পিএসসিকে বলা যেত। খালি যেত না পদগুলো।

আর বাকি অন্যদের সম্পর্কে যতটুকু জানা যায়, ক্ষমতাসীন দলের ভিন্নমতাবলম্বী কোনো পরিবারের সদস্যদের নেতিবাচক তালিকায় নেওয়া হয়। অথচ যাচাই করার কথা ছিল সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কোনো রাষ্ট্রবিরোধী বা অনৈতিক কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আছে কি না, এ বিষয়টি। অনুসন্ধানকাজে এসবি ছাড়াও জেলা প্রশাসকদের সংশ্লিষ্ট করা হয়। এর আগের কয়েক বছর করা হয়েছে অন্য আরেকটি গোয়েন্দা সংস্থাকে। তখন দুই সংস্থার দুই রকম প্রতিবেদন হওয়ায় প্রথমে অনেকেই বঞ্চিত হয়েছিলেন। পরে জেলা প্রশাসকদের প্রতিবেদন নিয়ে চাকরি পান বেশ কয়েকজন প্রার্থী।

এ উপমহাদেশের সিভিল সার্ভিস বহু ধরনের সংস্কারের পরও ব্রিটিশ যুগের ধারাবাহিকতায় চলছে। এর নিয়োগ প্রক্রিয়াও তা-ই। ব্রিটিশ শাসনামলে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসসহ (আইসিএস) উচ্চতর পদে নিয়োগের জন্য পুলিশি তদন্তই যথেষ্ট বিবেচিত হয়েছে। তেমনি হয়েছে পাকিস্তান শাসনামলে। অবশ্য তখন প্রার্থী কম ছিলেন। আর তদন্তকারীরা অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে প্রতিবেদন দিতেন দ্রুত। এতে মূলত প্রার্থীর স্বভাবচরিত্র, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ইত্যাদি বিবেচনায় আসত। তবে পাকিস্তান শাসনামলে দেখা গেছে, সরাসরি সরকারবিরোধী ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এমন অনেককেই নিয়োগের জন্য অযোগ্য বিবেচনা করা হয়নি। তাঁরা চাকরি পেয়েছেন। যোগ্যতা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে করেছেন দায়িত্ব পালন। জানা যায়, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা টেনে আনা হয়নি কোনো ক্ষেত্রে। এমনকি স্বাধীনতার পর ১৯৯১ সালের আগ পর্যন্ত তা-ই দেখা গেছে। আর সে জন্যই বর্তমান সিভিল সার্ভিসের শীর্ষ স্তরে বেশ কয়েকজন সাবেক ছাত্রনেতা রয়েছেন। তাঁরা তো সব সরকারের সময়ই বিশ্বস্ত ও অনুগত ছিলেন। চাকরির ক্ষেত্রে আজকের মতো রাজনীতিকে টেনে আনা হতো না।

চাকরি কিন্তু একটি সাংবিধানিক অধিকার। আর সেই অধিকার অর্জন করতে রাষ্ট্রের নির্দিষ্ট মানদণ্ডে বিভিন্ন স্তরে পরীক্ষা দিয়ে একজন প্রার্থী নিয়োগের জন্য পিএসসির সুপারিশ পান। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের তদন্ত আরও অনেক সুবিবেচনাপ্রসূত হওয়া সংগত। কারও কোনো নিকট বা দূরের আত্মীয় ভিন্ন কোনো দল করেন, তার জন্য তাঁকে চাকরি না দেওয়া বড় ধরনের অনৈতিক কাজ বলে বিবেচনা করা যায়। এমনকি সেই প্রার্থী ছাত্রজীবনে কোনো ছাত্র সংগঠন করলেও (হতে পারে সেটা সরকারের বিরোধী) তাঁকে চাকরির অধিকার থেকে বাদ দেওয়া যায় না। একমাত্র নাশকতা সৃষ্টির সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে যাঁদের বিরুদ্ধে, আর আছে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ, তাঁদের ব্যাপার ভিন্ন। তবে ক্ষেত্রবিশেষে আবেগপ্রবণ কাজকে উপেক্ষা করা উচিত। অতীতে তা-ই করা হয়েছে।

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে যোগ দিতে এলে তা ছাত্রদের জোরালো প্রতিরোধে ভেস্তে যায়। সেই প্রতিরোধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী এবং তখন গ্রেপ্তার হওয়া একজন ছাত্র এর কিছুকাল পরই সিএসপি হয়েছিলেন। সেই সরকারই বিশেষ বিবেচনায় নিরাপত্তা ছাড়পত্র দিয়েছিল তাঁকেও। কর্মজীবনে তিনি দীর্ঘকাল সরকারের শীর্ষ পদে ছিলেন। আজকের যে শীর্ষ আমলারা নীতিনির্ধারণ করেন, তাঁদের কেউ কেউ এগুলো জানেন। তাই দয়া করে জাতিকে আর বিভক্ত করার দায়ভার নেবেন না। একটি দেশে বিভিন্ন মতাদর্শ থাকবে। থাকবে নানা ঘরানার রাজনৈতিক দল। এদের মধ্যে কেউ সত্যিকারের রাষ্ট্রদ্রোহী হলে শুধু চাকরিবঞ্চিত নয়, তাঁকে সাজা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশপ্রেম একটি বড় বিষয়। আমরা একা কেউ এর দাবিদার হতে পারি না। গুটি কয়েক ব্যক্তি বাদে ১৬ কোটি লোকেরই এ দাবি করার অধিকার আছে।
এ প্রসঙ্গে আরেকটি বহুল আলোচিত বিষয় থাকছে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময়কাল নিয়ে। আমরা দেখতে পাই, ২০১৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ৩৫তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি। তাদের পর্যায়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত সময় নেয়। পেশ করে সরকারের কাছে। এ ক্ষেত্রে দুই বছর সময় নিয়েছে পিএসসি। অথচ এ বিষয়ে অনেক নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, বছরের পরীক্ষা বছরেই শেষ শুধু নয়, নিয়োগের পর্বও সম্পন্ন করতে হবে। এটা অত্যন্ত আনন্দের কথা যে পিএসসি এই দাবিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। তারা এক বছরের মধ্যে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে নিয়োগের সুপারিশ করা পর্যন্ত এক বছর সময়ের একটি রোডম্যাপ করেছে। দীর্ঘকালের ঘুণে ধরা মানসিকতায় এখনো রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তবে সিদ্ধান্তে অবিচল থাকলে একপর্যায়ে সাফল্য না আসার কোনো কারণ নেই।

তা ছাড়া গেল মধ্য আগস্টে যে সুপারিশ এল, সরকারের পক্ষে তা চূড়ান্ত করে নিয়োগ দিতে সাড়ে সাত মাস সময় কেন লাগবে? আমরা বুঝতে পারি, তা লেগেছে নিরাপত্তা ছাড়পত্রের প্রয়োজনে। ভারত তো এটা প্রাপ্তি সাপেক্ষে সর্বভারতীয় ও কেন্দ্রীয় সরকারের পদস্থ চাকরিতে নিয়োগ দিয়ে দেয়। আমরা এখনো এরূপ চর্চা শুরু করিনি। তবে সুপারিশ পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে নিয়োগের পর্ব সম্পন্ন করা যায়। আর তা নিরাপত্তা ছাড়পত্র নিয়েই। এমনটা করা হয়েছে অতি সাম্প্রতিক সময়েও। ২৭তম বিসিএসের পিএসসির সুপারিশ পাওয়ার পর নিয়োগের পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল এ ধরনের সময়েই। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নথিই এর সাক্ষ্য দেবে। এই দ্রুততা প্রার্থী ও সরকার উভয়ের জন্য প্রয়োজন। সরকার জনবলের সংকটে যেন না ভোগে এবং প্রার্থীর জীবনের মূল্যবান সময় কাজে লাগানোর স্বার্থে আবশ্যক এমন দ্রুততা। তদুপরি যাঁরা নিয়োগ পাবেন না, তাঁরা পুনরায় প্রস্তুতি শুরু কিংবা অন্যত্র চেষ্টায় নিজেদের নিয়োজিত করতে পারবেন। আর এটা সম্ভব এবং অতীতে হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোতে এখনো হচ্ছে। সুতরাং আমাদেরও না পারার কথা নয়।

সবশেষে আসে মূল বিষয়টি। যেসব প্রার্থী গত তিন বছর এই পরীক্ষার পেছনে ছুটেছেন, সাফল্যের সঙ্গে অতিক্রম করেছেন একেকটি স্তর, তাঁদের এই পর্যায়ে এসে বাদ দিতে হলে অনেক সংবেদনশীল মন নিয়ে প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করা দরকার। প্রশাসনের শীর্ষে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের জন্য এটা একটা পবিত্র দায়িত্ব। শুধু গতানুগতিক নথি নিষ্পত্তির মাধ্যমে এগুলো করা যায় না। জনপ্রশাসন কিন্তু যন্ত্র নয়। এটা পরিচালনা করে মানুষ। এখানে কিছু যন্ত্রের ব্যবহার আছে বটে; তবে অনেক বেশি ব্যবহার মস্তিষ্ক ও হৃদয়ের। গতানুগতিক ধারায় কাজ অনেক হয়েছে। মানুষের কল্যাণে একটু ব্যতিক্রমী হতে ক্ষতি কোথায়? আর ব্যাপারটা প্রকৃতপক্ষে ব্যতিক্রমও নয়। বরং ন্যায় প্রতিষ্ঠিত করা। এভাবেই চলছিল। মাঝখানে কিছুকাল ভিন্ন দিকে যাত্রা। সঠিক পথে ফেরানোর একটি কল্যাণকর উদ্যোগ কি নেওয়া যায় না? যাতে পিএসসির সুপারিশপ্রাপ্ত অবশিষ্ট প্রার্থীরা নিজেরা কোনো অন্তর্ঘাতমূলক বা অনৈতিক কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগ না থাকলে চাকরিটি পেতে পারেন।




By Emon RaihanFollow In Facebook 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আপকামিং রুটিনঃ-
১। ডিগ্রী ৩য় বর্ষ এপ্রিলের লাষ্ট/ মে ১ম।
২। ডিগ্রী ১ম (১৫-১৬) মে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আপকামিং ফর্ম ফিলাপঃ-
১. ডিগ্রি ২য় বর্ষ(১৪-১৫): মে মাসের শেষ দিকে শুরু হবে।
২. অনার্স ৪র্থ বর্ষ(১২-১৩): জুন-জুলাইয়ে শুরু হবে।
৩. ডিগ্রি ৩য় বর্ষ(১৩-১৪): জুলাইয়ে শুরু হবে।
৪. মাস্টার্স ১ম বর্ষ(১৪-১৫): আগস্টে শুরু হবে।
আপকামিং রেজাল্ট:
১. অনার্স ২য় বর্ষ(পুরাতন সিলেবাস): রেজাল্ট এই মাসের
শেষ দিকে প্রকাশ হবে।
২. অনার্স ১ম বর্ষ(১৫-১৬): রেজাল্ট এপ্রিল মধ্যে প্রকাশ
হবে।
৩. অনার্স ৪র্থ বর্ষ(১১-১২): রেজাল্ট জুনের মধ্যে প্রকাশ
হবে। 
By Emon RaihanFollow In Facebook

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় প্রমোশন বা
উত্তীর্ণ হওয়ার নিয়ম :
অনার্স :
* কোনো বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে অবশ্যই ৪০% নম্বর
পেতে হবে। অর্থাৎ ৮০ নম্বরের পরিক্ষায় পাশ নম্বর
৩২।
* পাশ করার পর ইনকোর্সের নম্বর যোগ হবে। ইনকোর্স
২০ নম্বরের পরিক্ষায় পাশ নম্বর ৮।
আরো কিছু নিয়ম :
(১) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী –
১ম বর্ষ থেকে ২য় বর্ষে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য কমপক্ষে
৩টা বিষয়ে পাশ করতে হবে।
এবং GPA = 1.75 অর্জন করতে হবে।
(২) দ্বিতীয় বর্ষ থেকে তৃতীয়বর্ষে প্রমোশনের
জন্য কমপক্ষে ৩টা বিষয়ে পাশ করতে হবে।
এবং কমপক্ষে GPA=2.00 অর্জন করতে হবে ।
(৩) তৃতীয় বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষে প্রমোশনের জন্য
কমপক্ষে ৪টা বিষয়ে পাশ করতে হবে।
এবং কমপক্ষে GPA = 2.25
অর্জন করতে হবে ।
* এছাড়া –
(১) সকল কোর্সের ( ইনকোর্স /তত্ত্বীয় /ব্যবহারিক/
মাঠকর্ম/ মৌখিক )
পরীক্ষায় অংশগ্রণন বাধ্যতামূলক।
২) একাধিক বিষয়ে অনুপস্থিত থাকা যাবে না।
এক্ষেত্রে শুধুমাত্র যে কোন ১টি বিষয়ে অনুপস্থিতি
থাকলে, বাকি অন্যান্য সব বিষয়ে পাশ করতে হবে।
* ১ম বর্ষের সব বিষয়ে পাশ না করা পর্যন্ত ২য় বর্ষের
প্রমোশন বন্ধ থাকবে। (শুধুমাত্র যারা পরীক্ষায়
অনুপস্থিত (এবসেন্ট ) থাকবেন।)
* ২য় বর্ষের সব বিষয়ে পাশ না করা পর্যন্ত ৩য় বর্ষের
প্রমোশন বন্ধ থাকবে।(শুধুমাত্র যারা পরীক্ষায়
অনুপস্থিত থাকবেন)
* ৩য় বর্ষের সব বিষয়ে পাশ না করা পর্যন্ত ৪র্থ বর্ষের
প্রমোশন বন্ধ থাকবে (শুধুমাত্র যারা অনুপস্থিত
থাকবেন)
* অনার্স কোর্সের রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ ৭ বছর।
ডিগ্রি :
* ডিগ্রি ২০১৩-১৪ হতে পরবর্তী বর্ষের ক্ষেত্রে
যেকোনো বিষয়ে পাশ নম্বর ৪০।
– C, D গ্রেড পেলে যেকোনো বর্ষের ক্ষেত্রে ইম্প্রুভ
বা মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেয়া যাবে।
কিন্তু যতবার কোন ছাত্র/ছাত্রী অনুত্তীর্ণ হবে
তবারই ইম্প্রুভ পরীক্ষা দিতে পারবে, তবে
রেজিষ্ট্রেশনের মেয়াদের মধ্যে।
– রেজিষ্ট্রেশনের মেয়াদ ৬ বছর ।



নোয়াখালী সরকারি কলেজর মেধাবী ছাত্র ইকরার চিকিৎসায় এগিয়ে আসুন। ইকরার ‘দুটো কিডনিই নষ্ট” হয়ে গেছে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন পনের লাখ টাকা।

মো: আব্দুল্লাহ আল-ইকরা স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র। বয়স ২৪ বছর। দরিদ্র বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিল এক মাত্র ছেলে মো: আব্দুল্লাহ আল ইকরা পড়াশোনা শেষ করে সংসারের হাল ধরবে। কিন্তু স্নাতক পরীক্ষার আগেই তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেয়ার পর জানা গেলে তাঁর দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন দ্রুত ইকরার কিডনি প্রতিস্থাপন করা দরকার। আর এতে খরচ হবে ১৫ লাখ টাকা। আর এখন প্রতি সপ্তাহে ইকরার ডায়ালাইসিস ও অন্যান্য সব মিলিয়ে খরচ হচ্ছে প্রায় ৩০০০০ টাকা।  ইতিমধ্যে ডায়ালাইসিস, ওষুধপত্র ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক খরচ মেটাতে গিয়ে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। ইকরার বাবা মো: বেলাল ঊদ্দিন একজন প্রবাসী।তিনি অত্যন্ত নিম্ন আয়ের মানুষ।

ইকরার কিডনি প্রতিস্থাপনের এই টাকাটা তাঁর পরিবারের পক্ষে এই মুহূর্তে জোগাড় করা সম্ভব নয়। পরিবারের পক্ষ থেকে সমাজের সব শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে ইকরার চিকিৎসায় এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

তাই হৃদয়বান ও সহমর্মী ব্যক্তি বা মানবহিতৈষী কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান ইকরার জীবন বাঁচাতে সহযোগিতার জন্য অতি দ্রুত এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

ইকরার গ্রামের বাড়ী-বেগমগঞ্জ উপজেলার, ১৫ নং শরিফপুর ইউনিয়নের,শরিফপুর গ্রামে।

আর্থিক সহায়তার জন্য -
মো: আব্দুল্লাহ আল-ইকরা
সঞ্চয়ী হিসাব নং –  ৩৯৬২০ , ইসলামী ব্যাংক, মাইজদী কোর্ট শাখা।

যোগাযোগ-
শিফু (ভগ্নীপতি) -+88 01710844179
হৃদয় - +88 01673105055 বিকাশ (পার্সোনাল)
By Emon RaihanFollow In Facebook


National Univerity Honours 1st Year Exam Result. National University honours First year exam result Will be Publish – www.nu.edu.bd/results. NU Honours 1st Year Result has been published at afternoon from www nu edu bd or www nu edu bd results

Result link
nu.edu.bd/results
For SMS


NU<space>H1<space>Roll no & Send 16222.

Exam: NU H1 12345 & Send 16222



খনিজ ও আকরিক  এর মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় :

খনিজ ও আকরিক [Mineral and Ore]:-

সোনা, রুপো, তামা, মার্কারি, প্লাটিনাম প্রভৃতি কয়েকটি ধাতু প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়  । এই ধাতুগুলি ছাড়া অন্যান্য ধাতুগুলিকে কখনও প্রকৃতির মধ্যে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না । ওইগুলিকে যৌগরূপে ভূপৃষ্ঠে বালি, মাটি ইত্যাদির সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় প্রকৃতির মধ্যে পাওয়া যায় । মিশ্রিত বালি, মাটি ইত্যাদি অশুদ্ধি বা অপদ্রব্যকে খনিজমল [Gangue] বলে ।

☼ খনিজ [Mineral]:- প্রকৃতির মধ্যে বিভিন্ন ধাতব যৌগকে পাথরের মতো কঠিন অবস্থায় কখনও ভূগর্ভের নিচে বা ভূপৃষ্ঠে, বালি, মাটি এবং কাদার সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় পাওয়া যায় । প্রকৃতিজাত এইসব অজৈব পদার্থগুলিকে খনিজ পদার্থ বলে । যেমন: রেড হেমাটাইট [Fe2O3] হল লোহার একটি খনিজ ।

☼ আকরিক [Ores]:- যেসব খনিজ থেকে সহজে ও সুলভে প্রয়োজনীয় ধাতু নিষ্কাশন করা যায়, তাদের ওই ধাতুর আকরিক বলে । কোনো ধাতুর সব খনিজই খরচ ও সহজ লভ্যতার প্রেক্ষিতে ধাতু নিষ্কাশনের উপযুক্ত নাও হতে পারে । যে কারণে বলা হয়—  কোনো ধাতুর আকরিকগুলি এর খনিজ, কিন্তু যেকোনো খনিজই এর আকরিক নাও হতে পারে । যেমন: রেড হেমাটাইট [Fe2O3] থেকে সহজে ও কম ব্যয়ে লোহার নিষ্কাশন করা যায় । তাই রেড হেমাটাইট লোহার আকরিক বলে । কিন্তু আয়রন পাইরাইটিস [FeS2] থেকে সহজে ও কম ব্যয়ে লোহা নিষ্কাশন সম্ভব হয় না । তাই আয়রন পাইরাইটিস লোহার খনিজ হলেও একে আকরিক বলা যায় না ।

◘ আকরিক থেকে বিভিন্ন সহজ এবং সুলভ প্রক্রিয়ার সাহায্যে ধাতু-নিষ্কাশন করার পদ্ধতিকে বলা হয় ধাতু বিদ্যা [Metallurgy]

যখন আপনি ক্যালসিয়াম কার্বোনেট গরম করা হয় কি পেতে পারি?


চুনাপাথর প্রধানত ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, CaCO3 হয়। যখন এটি উত্তপ্ত,প্রায় ভেঙে পড়েছে এটা ক্যালসিয়াম অক্সাইড ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড গঠন প্রায় ভেঙে পড়েছে। ক্যালসিয়াম অক্সাইড জলের সঙ্গে বিক্রিয়ায় ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড উত্পাদন করতে। চুনাপাথর এবং তার পণ্য সহ হামানদিস্তা, সিমেন্ট, কংক্রিট এবং কাচের করতে ব্যবহার করা হচ্ছে বহুল ব্যবহারে আছে।


কিভাবে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট গঠিত হয়?


ক্যালসিয়াম কার্বোনেট সূত্র CaCO3 সঙ্গে একটি রাসায়নিক যৌগ হয়। এটি একটি সাধারণ খনিজ পদার্থ ক্যালসাইট এবং আরাগোনাইট (এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল চুনাপাথর হিসাবে, যা তাদের খনিজ উভয় রয়েছে) যেমন শিলা পাওয়া এবং মুক্তো প্রধান উপাদান এবং সামুদ্রিক প্রাণীর, শামুক, এবং ডিম শেল হয়।