রসায়ন নিয়ে মজার অনেক কাজ করা যায় যেগুলোকে অনেকে ম্যাজিকও বলে। শিরোনাম দেখই বুঝা যাচ্ছে এই পোষ্ট রসায়নরে কিছু মজার বিষয় নিয়ে । খেলাগুলো ছোট ছোট হলেও আর্শ্চযজনক। চলুন দেরি না করে এক নজরে দেখে ফেলি কি কি নিয়ে লেখা হয়েছে আজকের পোষ্টটি।
chemistry রসায়ন নিয়ে কিছু মজার ম্যাজিকের মেগা পোস্ট!!!!না দেখলে মিস
বিলীয়মান রঙঃ
ফেনপথালিন (C20H14O4) পানিতে মিশিয়ে এর মধ্যে লিকার এমোনিয়াম ফোর্ট বা চুনের পানির দ্রবণ যোগ করলে তা থেকে এই আশ্চর্য রঙের সৃষ্টি হয় | যা কোনো সাদা কাপড়ে ছিটানুমাত্র তা গোলাপী বর্ণ ধারণ করে | কিন্তু ঐ কাপড় শুকিয়ে গেলেই আবার আগের মত সাদা হয়ে যায় |
জলের মধ্যে শুস্কতাঃ
লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium) এক প্রকার শেওলার রেণু । এই সূক্ষ্ম রেণু সমস্ত হাতে ভালভাবে লাগিয়ে নিয়ে পানির মধ্যে হাত ডুবালে হাত আর্দ্র হয় না। এই ম্যাজিকটি অন্য ভাবেও করা যায়, জিঙ্ক স্টিযারেট (Zn(C18H35O2)2) পাউডার লাগিয়ে হাত পানিতে ডুবালেও তা ভিজে না । এছাড়া ঘিয়ে ভাজা বালিও পানিতে নিমজ্জিত করলে তা শুষ্ক থাকে।
অন্ধকারে আলোক বিকিরণঃ
ক্যালসিয়াম সালফাইড (CaS), বেরিয়াম সালফাইড (BeS), ট্রানসিয়াম সালফাইড, জিঙ্ক সালফাইড (ZnS) প্রভৃতি রাসায়নিক পদর্থের আলোক শোষন ক্ষমতা আছে। এই সকল বস্তু কোনো উজ্জল আলোর সামনে কিছুক্ষন রেখে আন্ধকারে নিয়ে গেলে তাদের থেকে আলোক বিকিরন ঘটতে থাকে।
একটি মাটির কলসে সমুদ্রের ঝিনুকের সংঙ্গে যথেষ্ঠ পরিমাণ গন্ধনচূর্ন মিশিয়ে কলসের মুখ বান্ধ করে কয়লার চুলায় ৪০-৫০ মিনিট প্রচণ্ড উত্তাপ দিলে আলোক বিকিরণকারী ক্যালসিয়াম সালফাইড তৈরি হয়।
পানির মধ্যে আগুন জ্বলাঃ
দুই গ্রেন পরিমান ধাতব পোটাসিয়াম নিয়ে যদি এক বালতি পানিতে নিক্ষেপ করা যায় তা হলে সঙ্গে সঙ্গে আগুন জ্বলে উঠবে।
potassium রসায়ন নিয়ে কিছু মজার ম্যাজিকের মেগা পোস্ট!!!!না দেখলে মিস
এছাড়া পানিপূর্ন পাত্রের মধ্যে ফসফরাস রেখে যদি তার কাছে একটি সরু নল দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা যায় তাহলে জলের নীচে বড় সুন্দর অগ্নিগিরি দেখা যায়।
2K (s) + 2H2O (l) → 2KOH (aq) + H2 (g)
বেস্ট অফ ইলেভেনঃ
১.আপনি যদি এক গ্লাস পানিতে এক মুঠো লবন দেন তাহলে তো গ্লাসের পানি পরে যাবে ,তাই না ? দিয়ে দেখুন তো পরে কি না । কি অবাক হচ্ছেন , পানির উচ্চতা আরও কমে গেল , তাই না ?
২.আপনার শরীরে যে পরিমান কার্বন আছে তা দিয়ে ৯০০০ পেন্সিল বানানো যাবে !!!
৩. সোনা অনেক দুর্লভ। দাম তো আকাশচুম্বী। কিন্তু আপনি কি জানেন, পৃথিবীতে যে পরিমান সোনা আছে তা দিয়ে সম্পূর্ণ পৃথিবী ঢেকে দিলে হাঁটু পরিমান উচ্চতা হবে।
৪. অক্সিজেন গ্যাস এর কোন বর্ণ নাই, কিন্তু তরল ও কঠিন অক্সিজেন নীল বর্ণের।
৫. হাইড্রফ্লুরিক এসিড এতবেশি ক্ষয়কারী যে গ্লাস গলিয়ে (dissolve ) ফেলে, কিন্তু তারপরেও এটাকে দুর্বল এসিড বলা হয় ।
৬. পৃথিবীর সবচে দুর্লভ মৌল এস্তেতিন, সারা পৃথিবীতে মাত্র ২৮ গ্রাম এস্তেতিন আছে।
৭. বায়ুমণ্ডলের প্রায় ২০ % অক্সিজেন শুধুমাত্র আমাজন রেইন ফরেস্টের মাধ্যমেই উৎপন্ন হয় ।
৮. সাধারন তাপমাত্রায় ব্রোমিন ও পারদ এ দুটো মৌল ই তরল ।
৯. আমরা জানি পানির রাসায়নিক নাম (H2O ) এইচ টু ও , কিন্তু ইউপ্যাক (IUPAC) অনুযায়ী পানির রাসায়নিক নাম ডাইহাইড্রজেন মনোঅক্সাইড।
১০. মহাবিশ্বে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় হাইড্রোজেন কিন্তু পৃথিবীতে সবচে বেশি পাওয়া যায় অক্সিজেন (প্রায় ৪৯ % বায়ুমণ্ডল+ ভুমি+সাগর)
১১. বজ্রপাতে প্রতিবছর অনেক লোক মারা যায়, কিন্তু আপনি কি জানেন বজ্রপাত না থাকলে পৃথিবীর প্রাণীকুল ধ্বংস হয়ে যেত।কারন বজ্রপাতের মাধ্যেমেই ওজোন তৈরি হয় ।