Recent Post
Loading...
পদার্থ বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা সমীকরণ :
সরণ : [L]বেগ :[LT-1]ত্বরণ :[LT-2]ভরবেগ :[MLT-1]বল :[MLT-2]বলের ঘাত :[MLT-1]কৌণিক বেগ :[T-1]কৌণিক ত্বরণ :[T-2]কৌণিক ভরবেগ :[ML2T-1]চক্রগতির ব্যাসার্ধ :[L] জড়তার
ভ্রামক : [ML2]দন্দের ভ্রামক : [ML2T-2]বলের ভ্রামক : [ML2T-2]কাজ : [ML2T-2]ক্ষমতা :[ML2T-3]শক্তি : [ML2T-2]মহাকর্ষীয় প্রাবল্য : [LT-2]মহাকর্ষীয় ধ্রুবক : [M-1L3T-2]মহাকর্ষীয় বিভব :[L2T-2]স্থিতিস্থাপক গুণাঙ্ক :[ML-1T-2]পৃষ্ঠটান : [MT-2]সান্দ্রতা গুণাঙ্ক :[ML-1T-2]পৃষ্ঠশক্তি : [MT-2]
ঘনত্ব
আয়তনঃ কোন বস্তু যে জায়গা জুড়ে থাকে তাকে এর আয়তন বলে ।
ঘনত্বঃ কোন বস্তুর একক  আয়তনের ভরকে তার উপাদানের  ঘনত্ব  বলে । ঘনত্ব পদার্থের একটি সাধারণ ধর্ম । ঘনত্ব বস্তুরউপাদানের ও তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল ।
ঘনত্বকে  ρ দ্বারা প্রকাশ কর হয়  m ভরের কোন বস্তুর আয়তন হলে,ঘনত্ব ρ হবে
ঘনত্বের মাত্রা
ঘণত্বের একক 
সমান আয়তনের এক টুকরা কর্ক এবং এক টুকরা লোহা পানিতে ছেড়ে দিলে দেখা যাবে কর্কের টুকরা ভেসে আছে  আর লোহার টুকরা ডুবে গেছে । সাধারণ ভাবে বলা যায় কর্কের চেয়ে লোহার ঘনত্ব বেশি তাই ডুবে গেছে । আসলে আয়তন সমান হলেও যার ঘনত্ব বেশি সেটি ভারী  আর  যার ঘনত্ব কম সেটি হালকা
জর্ডানে অবস্থিত মৃত সাগরে পানিতে লবণ এবং অপদ্রব্য বেশি থাকার কারণে পানির ঘনত্ব এত বেশি যে মানুষ পানিতে ভেসে থাকতে পারে।
কয়েকটি পদার্থ এবং তাদের ঘনত্বঃ



    দৈনন্দিন জীবনে ঘনত্বের ব্যবহারঃ
    ·         হাইড্রোজেনের ঘনত্ব বায়ুর ঘনত্ব থেকে কম হওয়ায় বেলুনে হাইড্রোজেন গ্যাস ভরে সহজে উপরের দিকে ওড়ানো হয়
    ·         সঞ্চয়ী কোষে ব্যবহৃত সালফিউরিক এসিডের ঘনত্ব

  •  1.5 imes 10^3 kgm^{-3}  থেকে  1.3 imes 10^3 kgm^{-3}। ·         হাইড্রোমিটার দিয়ে মাঝে মাঝে ঘনত্ব মেপে দেখতে হয়। ঘনত্ব বেশি হলে কোষ নষ্ট হয়ে যেতে পারে
    ·         পচা ডিম পানিতে ভাসে এভাবে নষ্ট ডিম সনাক্ত করা যায়


তরঙ্গ

সংজ্ঞাঃ- যে পর্যাবৃত্ত আন্দোলন কোন জড় মাধ্যমের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে একস্থানে থেকে অন্যস্থানে শক্তি সঞ্চারিত করে কিন্ত মাধ্যমের কণাগুলোকে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করে না তাকে তরঙ্গ বলে।

অনুপ্রস্থ তরঙ্গঃ- যে তরঙ্গ মাধ্যমের কণাগুলো কম্পনের দিকের সাথে সমকোনে অগ্রসর হয় তাকে অনুপ্রস্থ তরঙ্গ বলে।

অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গঃ- যে তরঙ্গ মাধ্যমের কণাগুলো কম্পনের দিকের সাথে সমান্তরালে অগ্রসর হয় তাকে অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ বলে। 
                                     

তরঙ্গ দৈর্ঘ্যঃ- তরঙ্গের উপর অবস্থিত কোনো কম্পনশীল কনার একটি পূর্ণ কম্পন সম্পন্ন করতে যে সময় লাগে সেই সময়ে তরঙ্গ রৈখিক পথে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বলে।

কম্পাংকঃ- তরঙ্গের উপর অবস্থিত কোনো কম্পনশীল কনা একক সময়ে যতগুলো পূর্ণ কম্পন সম্পন্ন করে তাকে কম্পাংক বলে । 

পর্যায়কালঃ- তরঙ্গের উপর অবস্থিত কোনো কম্পনশীল কনার একটি পূর্ণ কম্পন সম্পন্ন করতে যে সময় লাগে তাকে ঐ তরঙ্গের পর্যায়কাল বলে।

বিস্তারঃ- তরঙ্গের উপর অবস্থিত কোনো কনা সাম্যাবস্থান থেকে যেকোনো এক দিকে সর্বাধিক যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে ঐ তরঙ্গের বিস্তা বলে।

দশাঃ- তরঙ্গের উপর অবস্থিত কোনো কম্পনশীল কনার দশা বলতে ঐ কণার যে কোনো মুহুর্তের গতির সম্যক অবস্থাকে বুঝায়।

আরোপিত কম্পনঃ- কোনো কম্পমান বস্তুকে অন্য একটি কম্পনক্ষম বস্তুর নিকট আনলে বস্তুটিতে কম্পন শুরু হয়, একে আরোপিত কম্পন বলে।


অনুনাদঃ- কোনো বস্তুর নিজস্ব কম্পাংক আর তার উপর আরোপিত পর্যাবৃত্ত স্পন্দনের কম্পাংক সমান হলে বস্তটি অধিক বিস্তারে কাপতে থাকে একে অনুনাদ বলে।
                                               

                                              

বীটঃ- একই ধরনের প্রায় সমান কম্পাংকের দুটি শব্দ তরঙ্গের উপরিপাতনের ফলে শব্দের তীব্রতার যে পর্যায়ক্রমিক হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে তাকে বীট বলে।

সুরঃ- একটি মাত্র কম্পাংক বিশিষ্ট শব্দকে সুর বলে।

স্বরঃ- একাধিক কম্পাংক বিশিষ্ট শব্দকে স্বর বলে ।
কোনো আলোক উৎসের দীপন ক্ষমতা বলতে আমরা বুঝি আলোক সৃষ্টির ব্যাপারে ঐ উৎস কত তীব্র অর্থাৎ একটা উৎস থেকে কী হারে আলোকশক্তি নির্গত হচ্ছে দীপন ক্ষমতা দ্বারা তা বুঝা যায়। কোনো বিন্দু উৎস থেকে প্রতি সেকেন্ডে কোনো নির্দিষ্ট দিকে একক ঘণকোনে যে পরিমান আলোক শক্তি নির্গত হয় তাকে ঐ উৎসের দীপন ক্ষমতা বলে।
আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে যে সাতটি রাশিকে মৌলিক রাশি হিসেবে ধরা হয়েছে দীপন ক্ষমতা তার একটি।
এর সংকেত এবং একক ক্যান্ডেলা(Candela).
সাইরাকিউসের সম্রাট হিয়েরো এক স্বর্ণকারকে দিয়ে একটি সোনার মুকুট তৈরি করেছিলেন। মুকুটটি হাতে পাওয়ার পর সম্রাটের মনে হলো এর মধ্যে খাদ মেশানো আছে। স্বর্ণকার খাদের কথা অস্বীকার করল। এতে সম্রাটের মনের সন্দেহ দূর হলো না। তিনি প্রকৃত সত্য নিরূপণের ভার দিলেন রাজদরবারের বিজ্ঞানী আর্কিমিডিসের ওপর। মহা ভাবনায় পড়ে গেলেন আর্কিমিডিস। সম্রাটের আদেশে মুকুটের কোনো ক্ষতি করা যাবে না। আর্কিমিডিস ভেবে পান না মুকুট না ভেঙে কেমন করে তার খাদ নির্ণয় করবেন। কয়েক দিন কেটে গেল। ক্রমশই অস্থির হয়ে ওঠেন আর্কিমিডিস। একদিন দুপুরে মুকুটের কথা ভাবতে ভাবতে সব পোশাক খুলে চৌবাচ্চায় স্নান করতে নেমেছেন। পানিতে শরীর ডুবতেই আর্কিমিডিস লক্ষ্য করলেন কিছুটা পানি চৌবাচ্চা থেকে উপচে পড়ল।মুহূর্তে তার মাথায় এক নতুন চিন্তার উন্মেষ হলো। এক লাফে চৌবাচ্চা থেকে উঠে পড়লেন। তিনি ভুলে গেলেন তার শরীরে কোনো পোশাক নেই। সমস্যা সমাধানের আনন্দে নগ্ন অবস্থাতেই ছুটে গেলেন রাজদরবারে।
মুকুটের সমান ওজনের সোনা নিলেন। একপাত্র পানিতে মুকুটটি ডোবালেন। দেখা গেল খানিকটা পানি উপচে পড়ল। এবার মুকুটের ওজনের সমান সোনা নিয়ে জলপূর্ণ পাত্রে ডোবানো হলো। যে পরিমাণ পানি উপচে পড়ল তা ওজন করে দেখা গেল আগের উপচে পড়া পানি থেকে তার ওজন আলাদা। আর্কিমিডিস বললেন, মুকুটে খাদ মেশানো আছে। কারণ যদি মুকুট সম্পূর্ণ সোনার হতো তবে দুটি ক্ষেত্রেই উপচেপড়া পানির ওজন সমান হতো। এ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো একটি বৈজ্ঞানিক সূত্র। তরল পদার্থের মধ্যে কোনো বস্তু নিমজ্জিত করলে সেই বস্তু কিছু পরিমাণে ওজন হারায়। বস্তু যে পরিমাণে ওজন হারায় সেই পরিমাণ ওজন বস্তুর অপসারিত তরল পদার্থের ওজনের সমান। এই বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আর্কিমিডিসের সূত্র নামে বিখ্যাত।আর্কিমিডিসের জন্ম আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২৮৭ অব্দে। সিসিলি দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত সাইরাকিউস দ্বীপে। পিতা ফেইদিয়াস ছিলেন একজন জ্যোতির্বিদ। কৈশোর ও যৌবনে তিনি আলেকজান্দ্রিয়ায় গিয়ে পড়াশোনা করেছেন। সে সময় আলেকজান্দ্রিয়া ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার পীঠস্থান। ছাত্র অবস্থাতেই আর্কিমিডিস তার অপসারণ বুদ্ধিমত্তা ও সুমধুর ব্যক্তিত্বের জন্য সর্বজন পরিচিত হয়ে ওঠেন। তার গুরু ছিলেন ক্যানন। ক্যানন ছিলেন জ্যামিতির জনক মহান ইউক্লিডের ছাত্র। পূর্বসূরিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি চেয়েছিলেন গণিতবিদ হবেন। অঙ্কশাস্ত্র, বিশেষ করে জ্যামিতিতে তার আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। ইউক্লিড, ক্যানন যেখানে তাদের বিষয় সমাপ্ত করেছিলেন আর্কিমিডিস সেখান থেকেই তার কাজ আরম্ভ করেন।
::::: :::::  গুরুত্বপুর্ন এই তথ্য গুলো
                                অনেকের কাজে আসতে পারে   ::::: :::::
                                      বিভিন্ন বিদ্যার জনক 
1.     পদার্থ বিজ্ঞানের জনক আইজ্যাক নিউটন ,
2.     রসায়ন বিজ্ঞানের জনক  জাবির ইবনে হাইয়ান,
3.     জীব বিজ্ঞানের জনক → এরিস্টটল ,
4.     প্রাণী বিজ্ঞানের জনক  এরিস্টটল  
5.       চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ইবনে সিনা,
6.       অংকের জনক আর্কিমিডিস,
7.       বিজ্ঞানের জনক  থ্যালিস,
8.       বীজ গনিতের জনক  আল-খাওয়াজমী,
9.       জ্যামিতির জনক  ইউক্লিড,
10.   সমাজ বিজ্ঞানের জনক অগাস্ট ক্যোঁৎ,
11.   হিসাব বিজ্ঞানের জনক লুকাপ্যাঁসিওলি,
12.   ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস,
13.   ভূগোলের জনক ইরাটস থেনিস,
14.   দর্শন শাস্ত্রের জনক সক্রেটিস,
15.   অর্থনীতির জনক এডাম স্মিথ,
16.   মেডিসিনের জনক হিপোক্রটিস,
17.   জীবাণু বিদ্যার জনক লুই পাস্তুর,
18.   রাষ্ট্র বিজ্ঞানের জনক এরিস্টটল,
19.   বিবর্তনবাদ তত্ত্বের জনক চার্লস ডারউইন,
20.   সামাজিক বিবর্তনবাদের জনক হাবার্ট স্পেন্সর,
21.   বংশগতি বিদ্যার জনক গ্রেডার জোহান মেন্ডেল,
22.   শ্রেণীকরণ বিদ্যার জনক কারোলাস লিনিয়াস,
23.   শরীর বিদ্যার জনক উইলিয়াম হার্ভে,
24.   ক্যালকুলাসের জনক আইজ্যাক নিউটন,
25.   সনেটের জনক পের্ত্রাক,
26.   বাংলা সনেটের জনক মাইকেল মধু সুদন দত্ত,
27.   মনোবিজ্ঞানের জনক উইলহেম উন্ড,
28.   বাংলা চলচিত্রের জনক হীরালাল সেন,
29.   বাংলা গদ্যের জনক ইশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর,
30.   বাংলা মুক্তক ছন্দের জনক কাজী নজরুল ইসলাম,
31.   বাংলা গদ্য ছন্দের জনক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,

32.   বাংলা উপন্যাসের জনক
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়