Recent Post
Loading...

এক নজরে তরঙ্গ অধ্যায়


তরঙ্গ

সংজ্ঞাঃ- যে পর্যাবৃত্ত আন্দোলন কোন জড় মাধ্যমের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে একস্থানে থেকে অন্যস্থানে শক্তি সঞ্চারিত করে কিন্ত মাধ্যমের কণাগুলোকে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করে না তাকে তরঙ্গ বলে।

অনুপ্রস্থ তরঙ্গঃ- যে তরঙ্গ মাধ্যমের কণাগুলো কম্পনের দিকের সাথে সমকোনে অগ্রসর হয় তাকে অনুপ্রস্থ তরঙ্গ বলে।

অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গঃ- যে তরঙ্গ মাধ্যমের কণাগুলো কম্পনের দিকের সাথে সমান্তরালে অগ্রসর হয় তাকে অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ বলে। 
                                     

তরঙ্গ দৈর্ঘ্যঃ- তরঙ্গের উপর অবস্থিত কোনো কম্পনশীল কনার একটি পূর্ণ কম্পন সম্পন্ন করতে যে সময় লাগে সেই সময়ে তরঙ্গ রৈখিক পথে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বলে।

কম্পাংকঃ- তরঙ্গের উপর অবস্থিত কোনো কম্পনশীল কনা একক সময়ে যতগুলো পূর্ণ কম্পন সম্পন্ন করে তাকে কম্পাংক বলে । 

পর্যায়কালঃ- তরঙ্গের উপর অবস্থিত কোনো কম্পনশীল কনার একটি পূর্ণ কম্পন সম্পন্ন করতে যে সময় লাগে তাকে ঐ তরঙ্গের পর্যায়কাল বলে।

বিস্তারঃ- তরঙ্গের উপর অবস্থিত কোনো কনা সাম্যাবস্থান থেকে যেকোনো এক দিকে সর্বাধিক যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে ঐ তরঙ্গের বিস্তা বলে।

দশাঃ- তরঙ্গের উপর অবস্থিত কোনো কম্পনশীল কনার দশা বলতে ঐ কণার যে কোনো মুহুর্তের গতির সম্যক অবস্থাকে বুঝায়।

আরোপিত কম্পনঃ- কোনো কম্পমান বস্তুকে অন্য একটি কম্পনক্ষম বস্তুর নিকট আনলে বস্তুটিতে কম্পন শুরু হয়, একে আরোপিত কম্পন বলে।


অনুনাদঃ- কোনো বস্তুর নিজস্ব কম্পাংক আর তার উপর আরোপিত পর্যাবৃত্ত স্পন্দনের কম্পাংক সমান হলে বস্তটি অধিক বিস্তারে কাপতে থাকে একে অনুনাদ বলে।
                                               

                                              

বীটঃ- একই ধরনের প্রায় সমান কম্পাংকের দুটি শব্দ তরঙ্গের উপরিপাতনের ফলে শব্দের তীব্রতার যে পর্যায়ক্রমিক হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে তাকে বীট বলে।

সুরঃ- একটি মাত্র কম্পাংক বিশিষ্ট শব্দকে সুর বলে।

স্বরঃ- একাধিক কম্পাংক বিশিষ্ট শব্দকে স্বর বলে ।