Recent Post
Loading...

রাসায়নিক বন্ধন

বিভিন্ন অণুতে পরমাণুসমূহ যে আকর্ষণী বলের সাহায্যে পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে, তাকে রাসায়নিক বন্ধন বলে।

  1. গঠনের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে রাসায়নিক বন্ধন প্রধানত  প্রকার-
 ১. তড়িৎযোজী বা আয়নিক বন্ধন (Electrovalent or Ionic bond)
 ২. সমযোজী বা সহযোজী বন্ধন (Covalent bond)
 ৩. সন্নিবেশ বন্ধন (Co-ordinated covalent bond)
 ৪. ধাতব বন্ধন (Metallic bond)

  1. পদার্থের অণুগুলো পরস্পর যে বল দ্বারা যুক্ত হয়ে বিভিন্ন ভৌত কাঠামো গঠন করে তাকে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল বলে। এ আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বলের রূপ বিভিন্ন রকম হতে পারে-
 ১. ডাইপোল-ডাইপোল আকর্ষণ বল
 ২. ভ্যান্ডার ওয়ালস আকর্ষণ বল
 ৩. হাইড্রোজেন বন্ধন, ইত্যাদি

  1. আয়নিক যৌগের ধর্ম :
  • আয়োনিক যৌগসমূহ ধাতু ও অধাতুর সমন্বয়ে গঠিত
  • এদের গলনাংক ও স্ফূটনাংক অনেকে বেশি
  • আয়নিক স্ফটিকসমূহ ভঙ্গুর ও নমনীয় হয়
  • আয়োনিক যৌগের ক্ষেত্রে সাধারণত সমাণুতা দেখা যায় না
  • জলীয় দ্রবণে এরা দ্রুত বিক্রিয়া করে
  • কঠিন অবস্থায় এরা ত্বড়িৎ পরিবহন করে না
  • জলীয় দ্রবণে ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নে বিভক্ত হয়
  • সমযোজী যৌগের চেয়ে এরা অধিক শক্তিশালী আণবিক বন্ধনে আবদ্ধ থাকে

  1. আয়নিক বন্ধন গঠনের সীমাবদ্ধতা :

১. আয়নিক বন্ধন শুধুমাত্র একটি ধাতু এবং একটি অধাতুর মধ্যে সম্ভব। প্রতিনিধিত্বমূলক ধাতব মৌলসমূহের মধ্যে গ্রুপ IA ও IIA এর মৌলসমূহ এবং গ্রুপ IIIA এর ভারি মৌলসমূহ সাধারণত আয়নিক যৌগ সৃষ্টি করে। ধাতুর পরমাণু থেকে একটি ইলেক্ট্রন অপসারণ সহজলভ্য; কিন্তু বেশি ইলেক্ট্রন অপসারণ করতে ক্রমশ অধিকতর শক্তির প্রয়োজন।
২. অধাবত মৌলসমূহের মধ্যে গ্রুপ VIIA এর হ্যালোজেন মৌলসমূহ এবং গ্রুপ VIA এর অক্সিজেন ও কোন কোন সালফারও আয়নিক যৌগ গঠন করে।
৩. কোন মৌলের রাসায়নিক বন্ধনই ১০০% আয়নিক হয় না।

  1. সমযোজী যৌগের ধর্ম :
  • সমযোজী যৌগসমূহের গলনাংক ও স্ফুটনাংক অনেক কম ও তারা উদ্বায়ী
  • সমযোজী যৌগে কোন আয়ন সৃষ্টি হয় না
  • সমযোজী যৌগে প্রায়ই সমাণুতা দেখা যায়
  • বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে না

বেশি করে মনে রাখতে হবে :
  1. ভ্যানডার ওয়ালস আকর্ষন বল :
  • অপোলার সমযোজী মৌলিক অনু যেমন- O2, N2, Cl2 ইত্যাদি এবং যৌগিক অণু যেমন মিথেন (CH4), বেনজিন (C6H6), টলুইন (C6H5CH3) ও নিষ্ক্রিয় গ্যাস অণুসমূহে এক প্রকার দুর্বল আকর্ষণ আছে। অপোলার সমযোজী অণুসমূহ আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বলকে ভ্যানডার ওয়ালস আকর্ষণ বল বলা হয়। সর্বপ্রথম রসায়নবিদ ভ্যানডার ওয়ালস বাস্তব গ্যাস O2, N2, Cl2, H2 ইত্যাদি নিয়ে পরীক্ষাকালীন এরূপ আকর্ষণ বলের অস্তিত্ব অনুধাবন করেন বলে তাঁর নামানুসারে ঐ বলের এই নামকরণ করা হয়েছে।

  • পোলার দ্রাবক
তরল অ্যামোনিয়া, নাইট্রিক এসিড, তরল সালফার ডাই অক্সাইড

  • দৈত্যাকার অণু
যে সব পদার্থের আণবিক ভর অনেক বেশি তাদের অণুকে দৈত্যাকার অণু বলে। যেমন- সিলিকা, গ্রাফাইট, হীরক

  • অক্টেট সম্প্রসারণ
যে সমস্ত মৌলের সমযোজী সংখ্যা চার তাদের ক্ষেত্রে অক্টেট নিয়ম পুরোপুরি প্রযোজ্য। কিন্তু কিছু সংখ্যক যৌগ আছে যাদের কেন্দ্রীয় পরমাণুর ৫টি অথবা ৬টি সহ যোজনী রয়েছে। এই আচরণ পর্যায় সারণীর তৃতীয় পর্যায় এবং পরবর্তী পর্যায়ের মৌলের ক্ষেত্রে দেখা যায়। কিন্তু কোন ক্রমেই ২য় পর্যায়ের মৌলের ক্ষেত্রে দেখা যায় না।
যেমন- PCl5 গঠনে P পরমাণুর যোজ্যতা স্তরে ১০টি বা SF6 গঠনে S পরমাণুর বহিস্তরে ১২টি ইলেক্ট্রন অর্জিত হয়। একইভাবে ClF3, IF5 বা IF7 ইত্যাদি ক্ষেত্রে অষ্টক সম্প্রসারণ দেখা যায়।

  • ফাযানের নীতি :

তড়িৎযোজী বন্ধনের সমযোজী বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিদ্যমান নীতিকে ফাযানের নীতি বলে। এই নীতি অনুসারে-
১. ক্যাটায়নের আকার যত ক্ষুদ্র হয়
২. অ্যানায়নের আকার যত বৃহৎ হয়
৩. ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নের চার্জ যত বেশি হয় এবং
৪. অ্যানায়নের d ও f অরবিটালে ইলেক্ট্রন থাকে,
তবে, পোলারনের মাত্রা তত বেশি হয় এবং তড়িৎযোজী বন্ধনের সমযোজী বৈশিষ্ট্যও বৃদ্ধি পায়।
যেমন : Mgcl2 তড়িৎযোগী হলেও Becl2সমযোগী যৌগ । কারণ Mg2+ আয়রনের চেয়ে be2+ অনেক ছোট, তাই becl2 এর নতুন পোলারনের বেশি ঘটে ।


  • ক্যাটায়নের আয়নিক পটেনশিয়াল,     Ф =  ক্যাটায়নের আধান /


যেমন, Na+ আয়নের আয়নিক পটেনশিয়াল = 1/0.95 = 1.05


গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :
  • পরমাণুর পরস্পর মিলিত হওয়ার সামর্থকে যোজনী বলে।
  • নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহের ইলেক্ট্রন আসক্তি প্রায় শূণ্য।
  • আয়নিক বন্ধন ধাতু ও অধাতুর মধ্যে সৃষ্টি হয়। যেমন- NaCl, MgCl2 ইত্যাদি।
  • NaF ও MgO এর ইলেক্ট্রনিক গঠন একই রকম হওয়ায় তাদের কেলাস গঠনও একই।
  • পানি যোজন (Hydration) হল একটি তাপোৎপাদী প্রক্রিয়া।
  • সমযোজী বন্ধন অধাতু ও অধাতুর মধ্যে সৃষ্টি হয়। যেমন- CH4, Cl2 ইত্যাদি।
  • সমযোজী যৌগ হাইড্রোজেনের গলনাংক- 129°C এবং স্ফুটনাংক- -253°C
  • হীরক এর গলনাংক- 3500°C
  • গ্রাফাইট নরম এবং কঠিন লুব্রিকেন্ট হিসেবে কাজ করে।
  • C2H6O সংকেত বিশিষ্ট যৌগের গঠন ২ প্রকার-
ক) ইথানল (CH3CH2OH)
খ) ডাই-মিথাইল ইথার (CH3-O-CH3)
  • অরবিটাল এর পারস্পরিক অধিক্রমন বা উপরিস্থাপনের ফলে একটি সমযোজী বন্ধন সৃষ্টি হয়।
  • দুইটি অরবিটালের সামনাসামনি অধিক্রমনের ফলে সিগমা বন্ধনের সৃষ্টি হয়।
  • দুইটি অরবিটালের পাশাপাশি অধিক্রমনের ফলে পাই বন্ধনের সৃষ্টি হয়।
  • সিগমা বন্ধন ছাড়া একক পাই বন্ধন গঠিত হতে পারে না।
  • কোন যৌগে যে কোন দুটি পরমাণুর মধ্যে প্রথম যে বন্ধনটি গঠিত হবে তা অবশ্যই সিগমা বন্ধন এবং সিগমা একক বন্ধন গঠনের পর যত নতুন বন্ধন গঠিত হবে তার সবই হবে পাই বন্ধন। যেমন- HC≡CH, অ্যাসিটিলিনে C-C এর প্রথম গঠনটি হবে সিগমা বন্ধন এবং বাকি বন্ধন দুটি হবে পাই বন্ধন।
  • কোন যৌগে সমযোজী ও সন্নিবেশ বন্ধনের সাথে আয়নিক বন্ধন থাকলে এতে আয়নিক যৌগের ধর্মাবলী প্রাধান্য পায়।
  • পর্যায় সারণীতে মোট অধাতুর সংখ্যা ১৭টি। তবে নতুন ধারণা মতে অধাতুর সংখ্যা ২২টি।
  • কঠিন অবস্থায় পরমাণুসহ পরস্পরের সাথে যে আকর্ষণ বা বন্ধনের দ্বারা আবদ্ধ হয়, তাকে ধাবত বন্ধন বলা হয়।
  • ধাবত স্ফটিক ধাতব বন্ধন কোন নির্দিষ্ট দিকে বিস্তৃত নয় বলে ধাতু সহনশীল ও নমনীয় হয়।
  • দুটি পোলার অণু বিপরীত দিকে (head to head) অবস্থিত বলে তাদের মধ্যে বিকর্ষণ হয়।
  • কোন যৌগের আন্তঃআণবিক শক্তি যত বেশি তার স্ফুটনাংকও তত বেশি।
  • তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে পানির অণুসমূহের মধ্যে কম্পন ও গতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • হাইড্রোজেন বন্ধন ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক প্রকৃতির এবং দুর্বল প্রকৃতির বন্ধন। এর বন্ধন শক্তি সাধারণত 41.84 kJ/mol অপেক্ষা বেশি হয় না।
  • শেযারকৃত ইলেক্ট্রনযুগলকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করার ক্ষমতাকে মৌলের ইলেক্ট্রোনেগেটিভিটি বলে।
  • একই পর্যায়ে মৌলগুলির সমযোজী ধর্ম বৃ্দ্ধির সাথে সাথে গলনাংক ক্রমশ কম হয়। যেমন- NaCl (815°C) MgCl2(714°C) AlCl3 (190°C)
  • AgF, AgCl, AgBr ও AgI সিরিজের Ag+মোটামুটি পোলারন ক্ষমতার অধিকারী। তবে হ্যালাইড সমূহের মধ্যে F- ও Cl-আয়ন সহজেই পোলারিত হয় না। তাই,
  • AgF ও AgCl বর্ণহীন বা সাদা
  • AgBr হালকা হলুদ বর্ণের
  • AgI ঘন হলুদ বর্ণের হয়
  • NH4+ গঠন : (sp3 সংকরণ প্রক্রিয়ায়)
  • NH + H NH
  • NH4+ আয়নের গঠন চতুস্তলকীয় এবং তাতে H-N-H বন্ধন কোণ 109.5° হয়।
  • যে দুটি পরমাণুর মধ্যে সন্নিবেশ বন্ধন সৃষ্টি হয়, তাদের একটি পরমাণুতে কমপক্ষে ‘একজোড়া বন্ধনযুক্ত ইলেক্ট্রন’ বা ‘নিঃসঙ্গ ইলেক্ট্রন জোড়’ প্রয়োজন হয়। তখন ঐ পরমাণুটি দাতা পরমাণু হিসেবে কাজ করে।
  • NH3, SO2 ইত্যাদিতে সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন বিদ্যমান।
  • যৌগের গলনাংক, স্ফুটনাংক, বাষ্পীকরণ তাপ ইত্যাদির উপর হাইড্রোজেন বন্ধনের প্রভাব রয়েছে।
  • কার্বন কার্বন একক বন্ধনে (C-C) সিগমা বন্ধন থাকে এবং সংকরণ ঘটে sp3
  • কার্বন কার্বন দ্বিবন্ধনে ১টি পাই ও একটি সিগমা বন্ধন থাকে এবং সংকরণ ঘটে sp2
  • কার্বন কার্বন ত্রিবন্ধনে ২টি পাই ও একটি সিগমা বন্ধন থাকে এবং সংকরণ ঘটে sp
  • PCl5 গঠিত হয় কিন্তু NCl5 গঠিত হয় না।
  • পদার্থের গতি ৩ প্রকার-
১. স্থানান্তর গতি
২. আবর্তন গতি
৩. কম্পন গতি
  • পানিতে হাইড্রোজেন বন্ধন বিদ্যমান।
  • AgF অপেক্ষা AgI এর পোলারন বেশি ঘটে।
  • পোলার যৌগ পোলার দ্রাবকে দ্রবণীয়।
  • আয়নিক যৌগ জলীয় দ্রবণে পানি সংযোজিত অবস্থায় থাকার প্রক্রিয়াকে জল যোজন বলে।
  • কোন অণুর যোজ্যতা স্তরে ২টি সংকর অরবিটাল থাকলে অণুটির গঠন সরলরৈখিক।
  • ক্যাটায়ন যত ছোট এবং চার্জ যত বেশি তার পোলারন ক্ষমতা এবং সমযোজী বৈশিষ্ট্য ততো বেশি। যেমন- Mg++ ও Al+++ এর মধ্যে Al+++ বা Al3+ এর আকার ছোট এবং চার্জ বেশি হওয়ায় Al3+ এর পোলারন ক্ষমতা বেশি।
  • অ্যানায়ন যত বড় তার পোলারন ক্ষমতা তত বেশি।
  • অপোলার যৌগ অপোলার দ্রাবকে দ্রবণীয়।
  • পানি একটি ডাইপোল। পানির অণুতে দুইটি নিঃসঙ্গ ইলেক্ট্রন জোড় বিদ্যমান।
  • AgCl, BaSO4 পানিতে অদ্রবণীয়।
  • পটাসিয়াম ফেরোসায়ানাইডের সংকেত হচ্ছে- K4[Fe(CN)6]
  • পটাসিয়াম ফেরিসায়ানাইডের সংকেত হচ্ছে- K3[Fe(Cn)6]
  • HCl অণুর তুলনায় HF অণু অধিক পোলার।
  • একটি π bond ভেঙে দুটি σ bond তৈরি হয়।
  • কার্বন ছাড়াও Be, B, O, S, P, N এসব মৌলেরও সংকরণ ঘটে।
  • কার্বনের সংকরণ ৩ প্রকার : sp, sp ও sp
  • sp3 সংকরণে চারটি সমমানের sp3অরবিটাল উৎপন্ন করে।
  • sp3 সংকরণ চতুস্তলকীয়।
  • sp সংকর অরবিটাল সরল রৈখিক।
  • বেনজিন অণু হেক্সাগোনাল বা ষড়ভুজাকার। এর চক্রের প্রতিটি কার্বন পরমাণু sp2 সংকরিত।
  • বেনজিনের মতা গ্রাফাইটেও ইলেক্ট্রন ডিলোকালাইজেশন ঘটে।
  • H2S অণুতে হাইড্রোজেন বন্ধন নেই বলে ইহা গ্যাস।


  1. ক্যাটায়ন কর্তৃক অ্যানায়নের পোলারনের ভিত্তিতে নিম্নোক্ত রাসায়নিক ধর্মের ব্যাখ্যাদান সম্ভব-
১. অ্যালকোহলে KI দ্রবণীয় কিন্তু KCl অদ্রবণীয়।
২. অ্যালকোহলে ও পিরিডিনে LiCl দ্রবণীয় কিন্তু অন্যান্য ক্ষার ধাতু ক্লোরাইডে অদ্রবণীয়।
৩. ইথারে FeCl3 দ্রবণীয় কিন্তু AlCl3 অদ্রবণীয়।
৪. MgCl2 অপেক্ষা ZnCl2 অধিক উদ্বায়ী এবং জৈব দ্রাবকে অধিক দ্রবণীয়। ZnCl2 এর অধিক সহযোজ্যতাই তার কারণ।

  1. IIA এবং IIB উপগ্রুপের পার্থক্য :
উপগ্রুপ
বহিস্তরে ইলেক্ট্রনিয় কাঠামো
প্রকৃতি
অক্সাইড
ক্লোরাইড
হাইড্রক্সাইড
IIA
ns2
নরম ও হালকা ধাতু
কার্বন দ্বারা বিভাজিত হয় না
জলীয় দ্রবণে আর্দ্র বিশ্লেষণ হয় না
ক্ষারধর্মী
IIB
(n-1)d10ns2
ভারি ধাতু
কার্বন দ্বারা বিভাজিত হয়
আর্দ্র বিশ্লেষণ হয়
ক্ষারধর্মী নয়

  1. বিভিন্ন অণুর আকৃতি :
যৌগের নাম
আকৃতি
বন্ধন কোণ
BeCl2
সরলরৈখিক
180°
BCl3
ত্রিভুজাকৃতির
120°
CH4
চতুস্তলকীয়
109.5°
NH4
চতুস্তলকীয়
109.5°
NH3
ক্রিকোণীয় পিরামিড
107°
H2O
V- আকৃতির
104.5°

  1. হীরক ও গ্রাফাইটের পার্থক্য :
হীরক
গ্রাফাইট
প্রতিটি কার্বন পরমাণুর সংকরণ হয়।
প্রতিটি কার্বন পরমাণুর সংকরণ হয়।
কঠিন
নরম ও পিচ্ছিল
বিদ্যুৎ অপরিবাহী
বিদ্যুৎ পরিবাহী
3600°C
3730°C
আপেক্ষিক গুরুত্ব 3.51
আপেক্ষিক গুরুত্ব 2.26
সমযোজী বন্ধন দ্বারা গঠিত
ভ্যান্ডারওয়াল ফোর্স দ্বারা গঠিত

  1. সংকরণ ও আকৃতি :
হাইব্রিড অরবিটাল
অণুর জ্যামিতিক আকৃতি
উদাহরণ
Sp
রৈখিক
BeCl2, HC≡CH
sp2
ত্রি-কৌণিক
BCl3, HC═CH
sp3
চতুস্তলকীয়
CH4, CCl4, H2O
নোট : এই অধ্যায়ে অণুর আকৃতি, বন্ধন কোণ, কি ধরনের সংকরায়ন, ফাযানের নীতি ও আয়োনিক পটেনশিয়াল বেশি গুরুত্বপূর্ণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন :
 
২০০৮-০৯
কোন যৌগটির বন্ধন কোণ ক্ষুদ্রতম- H2O (CH4বৃহত্তম)
কোন যৌগটির কেন্দ্রীয় পরমাণুর সংকরণ নয়- SnCl2
 
২০০৭-০৮
ইথাইনে σ (H-CC-H) বন্ধনের সংখ্যা হল- ৩টি
NH4Cl অণুর বন্ধন প্রকৃতি হচ্ছে- all of them (Ionic, Covalent & Co-ordinate covalent)
C2H4 অণুতে C-H বন্ধনগুলো নিচের কোন অরবিটালদ্বয়ের অধিক্রমনের ফলে গঠিত হয়- C(sp2)+H(1s)
কোনটিতে বন্ধন কোণ সবচেয়ে বড়- CH4
 
২০০৬-০৭
কণাগুলোর শুধুমাত্র কম্পন গতি রয়েছে- NaCl(s)
কোন যৌগটির আয়নিক বৈশিষ্ট্য সবচেয়ে বেশি- CsF
কোন যৌগটির কেন্দ্রীয় পরমাণু অক্টেট নিয়ম অনুসরণ করে না-XeF2
 
২০০৫-০৬
কোন যৌগটিতে সমযোজী বন্ধন নেই- CsF
 
২০০৪-০৫
কোন যৌগটিতে কেন্দ্রীয় পরমাণুর যোজনী শেল ইলেক্ট্রন যুগলসমূহ চতুস্তলকীয়ভাবে বিন্যস্ত নয়- SnCl2
অণুতে বন্ধনগুলো নিচের কোন অরবিটালদ্বয়ের অধিক্রমনের ফলে গঠিত হয়-
 
২০০৩-০৪
কোন যৌগে নিঃসঙ্গ ইলেক্ট্রন জোড় আছে- NH3
কোন যৌগটির আয়নিক বৈশিষ্ট্য সবচেয়ে বেশি- AlF3
ইথাইনে বন্ধনের সংখ্যা হল-
 
২০০১-০২
গ্রাফাইটের গঠনে প্রতিটি কার্বন পরমাণুর সংকরিত অরবিটালের আকৃতি- sp2
সালফার পরমাণুর চতুর্পার্শ্বের বন্ধনসমূহের মোট ইলেক্ট্রন সংখ্যা হল- ৬টি
 
১৯৯৮-৯৯
কোন যৌগটি অক্টেট মানে না- BF3
কোনটি সমযোজী নয়- MnO
 
১৯৯৭-৯৮
পটাশিয়াম হেক্সাসায়ানো ফেরেট হচ্ছে- K3[Fe(CN)6]
আয়নিক যৌগ সম্পর্কে সত্য নয়- আয়নিক যৌগ কঠিন অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবাহী
 
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন-
 
  • sp3d সংকরণের ফলে যে অণু গঠিত হয় তার আকার হবে- ত্রিভুজাকৃতির দ্বি-পিরামিডীয়
  • ইথাইন অণুর ত্রিবন্ধনে α বন্ধন আছে- ১টি ও π  বন্ধন আছে- ২টি
  • সিগমা বন্ধনের বৈশিষ্ট্য হল- সবকটিই (সিগমা বন্ধন সৃষ্টিকারী অরবিটালদ্বয়ের কক্ষ একই সরল রেখায় থাকে; সিগমা বন্ধন অধিক স্থায়ী ও দৃঢ় হয়; সিগমা বন্ধন নির্দিষ্ট দিকে প্রসারিত থাকে)
  • KOH-এ আয়নিক ও সমযোজী উভয় ধরনের বন্ধন বিদ্যমান। তাহলে যৌগটির ধর্ম হবে- আয়নিক
  • অ্যাসিটিলিন (C2H2) অণুর গঠন- sp সংকরণ
  • অক্টেট নিয়ম মানে না- BF3
  • NH3 অণুতে H-N-H বন্ধন কোণ- 107.3°
  • N2 অণুতে বিদ্যমান- sp সংকরণ
  • NH4+ এ বিদ্যমান বন্ধনী- আয়নিক
  • দৈত্যাকার অণু- SiO2
  • ইথিলিনে C-C বন্ধন আছে- ১টি
  • অ্যাসিটিলিনে কার্বন কার্বন সিগমা বন্ধন আছে- ১টি
  • sp2 সংকরিত অরবিটালের বন্ধন কোণ- 120°
  • বরফের মধ্যে আছে- হাইড্রোজেন বন্ধন
  • ইথিলিনে- ‍sp2 হাইব্রিডাইজেশন ঘটে
  • NF3, PCl5, BeCl2 ও BF3 অণুগুলোতে N, P, Be ও B হাইব্রিডাইজেশন যথাক্রমে- sp3, sp3d, sp, sp2
  • দুটো পরমাণুর মধ্যে তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য ২ হলে তাদের মধ্যে- আয়নিক বন্ধন সম্ভব
  • H2O অণুর অরবিটাল সংকরণ- sp3

মিথেন হচ্ছে একটি রাসায়নিক যৌগ যার রাসায়নিক সংকেত CH। এর প্রতিটি অনুতে আছে এক পরমাণু কার্বন ও চার পরমাণু হাইড্রোজেন। এটি একটি অ্যালকেন এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান।মিথেনের আপেক্ষিক প্রাচুর্যতা এটিকে একটি আকর্ষণীয় জ্বালানীতে পরিনত করেছে।কিন্তু,সাধারণ তাপমাত্রায় যেহেতু এটি গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে তাই মিথেনকে উৎস থেকে পরিবহন করা কষ্টসাধ্য। বায়ুমন্ডলীয় মিথেন একটি শক্তিশালী গ্রিনহাউজ গ্যাস(প্রতি এককে কার্বন ডাই অক্সাইড অপেক্ষা বেশি)।পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে ১৯৯৮ সালে মিথেনের ঘনত্ব ছিল ১৭৪৫ এন.মোল/মোল (পার্টস পার বিলিয়ন,পিপিবি)।১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মিথেনের মাত্রা প্রায় একইরূপ থাকার পর ২০০৮ সালে ১৮০০ এন.মোল/মোল হয়।




মিথেন একটি টেট্রাহাইড্রাল অণু যাতে চারটি সমতুল্য কার্বন-হাইড্রোজেন বন্ধন আছে।স্বাভাবিক তাপমাত্রা ও চাপে মিথেন একটি বর্ণহীন ও গন্ধহীন গ্যাস।নিরাপত্তার জন্য বাড়িতে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে পরিচিত গন্ধ সাধারণত ট্রেট-বিউথাইল নামক সুগন্ধক যোগ করার কারনে হয়।এক বায়ুমন্ডলীয় চাপে মিথেনের স্ফুটনাঙ্ক হচ্ছে -১৬১° সেলসিয়াস।বাতাসে যখন এর ঘনত্ব একটি সংকীর্ণ পরিসীমায় ৫-১৫% হয় এটি তখন শুধুমাত্র প্রজ্বলিত হয়।তরল মিথেন উচ্চ চাপ ছাড়া (সাধারনত ৪-৫ বায়ুমন্ডলীয় চাপ) প্রজ্বলিত হয় না।

মিথেনের প্রধান প্রধান রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো হচ্ছে জ্বলন,বাষ্পকে সংশ্লেষিত গ্যাসে রুপান্তর এবং হ্যালোজিনেশন বিক্রিয়া। সাধারণভাবে,মিথেনের বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।এনজাইম মিথেন মনোঅক্সিজেনস মিথেন থেকে মিথানল তৈরী করতে পারে, কিন্তু তা শিল্পের রাসায়নিক বিক্রিয়া জন্য ব্যবহার করা যাবে না।




অক্টেন একটি আট কার্বন বিশিষ্ট সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন। এটি বর্ণহীন গ্যাসীয় পদার্থ। এটি শুধু মাত্র কার্বন এবং হাইড্রোজেন এর একক বন্ধনের মাধ্যমে গঠিত। অন্যান্য হাইড্রোকার্বনের ন্যায় এর কাঠামোতে প্রতিটি কার্বন চারটি পৃথক পরমাণুর সঙ্গে বন্ধন গঠন করে। অক্টেনের রাসায়নিক সংকেতঃ C8H18 ।

নামকরণ :

অজৈব রসায়নের নামকরণের আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউপিএসি অনুসারে অক্টেনের নামকরণ করা হয়েছে। এখানে গ্রিক শব্দ অক্ট দ্বারা যৌগে আট কার্বনের উপস্থিতি বোঝানো হয়েছে।
  • অক্টেনের রাসায়নিক সংকেতঃ C8H18
  • অক্টেনের গাঠনিক সংকেতঃ CH3-CH2-CH2- CH2- CH2- CH2- CH2-CH3

ভৌত ধর্ম :

  • বর্ণ, গন্ধহীন গ্যাস;
  • পানিতে অদ্রবনীয় কিন্তু অজৈব যৌগে দ্রবনীয়;
  • তরল অবস্থায় এটি উত্তম দ্রাবকরূপে কাজ করে।

রাসায়নিক ধর্ম :

  • অক্সিজেনের উপস্থিতিতে পূর্ণ দহনের ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড, পানি ও তাপ উৎপন্ন করে।

ব্যবহার :
  • অন্তর্দহ ইঞ্জিনের জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। 





অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড হচ্ছে পানিতে দ্রবণীয় সাদা ক্রিস্টাল দানাদার জাতীয় অজৈব যৌগ। এর সংকেত হচ্ছে (NH4Cl) । অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড এর জলীয় দ্রবণ অম্লীয়। Sal ammoniac হচ্ছে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের প্রাকৃতিক ও খনিজ নাম। কয়লা উত্তোলিত গ্যাসগুলির সংশ্লেষণ থেকে কয়লার ডাম্প পোড়াতে খনিজটি সাধারণত গঠিত হয়। এটি কিছু আগ্নেয়গিরির ভেন্টের চারপাশে পাওয়া যায়। এটি প্রধানত কিছু ধরনের লিকারিসে সার এবং একটি সুস্বাদু এজেন্ট হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এটি হাইড্রোক্লোরিক এসিড এবং অ্যামোনিয়া এর বিক্রিয়া থেকে উৎপন্ন হয়। এর Ph এর মান সাধারণত ৪.৬ থেকে ৬.০ এরমধ্যে হয়ে থাকে। 

NH4Cl এর IUPAC name :

Ammonium chloride

NH4Cl এর অন্যান্য নামগুলো হচ্ছে :

Sal ammoniac, Salmiac, Nushadir salt, Sal armagnac, Salt armoniack, Salmiak

প্রস্তুতি ও উৎপাদন :

এটি সোডিয়াম কার্বোনেট উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত সোভয়ে প্রক্রিয়াটির মাধ্যম।

CO2 + 2 NH3 + 2 NaCl + H2O → 2 NH4Cl + Na2CO3

বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সাধারণত অ্যামোনিয়া এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিডের মিশ্রনকে উত্তপ্ত করলে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড উৎপন্ন হয়।

NH3 + HCl → NH4Cl

অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের বিক্রিয়াসমূহ :

NH4Cl → NH3 + HCl

NH4Cl + NaOH → NH3 + NaCl + H2O

2 NH4Cl + Na2CO3 → 2 NaCl + CO2 + H2O + 2 NH3

NH4Cl + H2O → NH4OH + HCl


বিঃদ্রঃ কোন ভুলত্রুটি হলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন, যেকোনো পরামর্শ দেওয়ার জন্য অনুরোধ রইলো। 
কোয়ান্টাম সংখ্যা

যে সকল রাশি বা সংখ্যা দ্বারা পরমাণুতে ইলেকট্রনের কক্ষপথ বা শক্তি স্তরের আকার ও আকৃতি, ত্রিমাত্রিক বিন্যাস এবং ইলেকট্রনের কক্ষপথের অক্ষ বরাবর স্পিন বা আবর্তন গতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় তাকে কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে।

কোয়ান্টাম বলবিদ্যা অনুসারে পরমাণুর
ইলেকট্রনের কক্ষপথ বা শক্তিস্তরের আকার, কক্ষপথের আকৃতি ও কক্ষ পথের ত্রিমাত্রিক দিক বিন্যাস নির্দেশক পরস্পর বরাবর ঘূর্ণন প্রকাশক চারটি রাশি আছে। এ চারটি রাশিকে কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে । কোয়ান্টাম সংখ্যা প্রধানত চারটি।

১.প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা

প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা, n যা বোর মডেল থেকে পাওয়া গিয়েছিলো। দুটি ভিন্ন শক্তিস্তরের n ভিন্ন হয় আর শক্তির পার্থক্যও বেশি

২.সহকারি কোয়ান্টাম সংখ্যা

সহকারি কোয়ান্টাম সংখ্যা , এখন এর মান থেকে পর্যন্ত হতে পারে। বোরের তত্ত্বে পরমাণু ছিল বর্তুলাকার। কিন্তু সমারফিল্ড দেখান যে কক্ষপথ উপবৃত্তাকারও হতে পারে। তাছাড়া, হাইড্রোজেন পরমাণুর
বর্ণালীর প্রতিটি রেখা আসলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত ছিলো। সমারফিল্ড বললেন যে প্রতিটি অরবিট বা প্রধান শক্তিস্তর সংখ্যক ভাগে বিভক্ত যাদের মধ্যে শক্তির সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। এর ফলেই সূক্ষ্ম রেখাগুলো দেখা যায়।

৩.চুম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যা

চুম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যা, m এর মান -l থেকে l এর পর্যন্ত পূর্ণসংখ্যা। [[নন-ডিজেনারেট]] অবস্থায় অরবিটালসমূহ সমশক্তির, তবে চুম্বকক্ষেত্রে রাখলে শক্তির পার্থক্য তৈরি হয়। আর বলা বাহুল্য, z অক্ষ বরাবর অরবিটাল, যেমন p_z, d-z² এর বেলায় m=0

৪.চুম্বক কোয়ান্টাম সংখ্যা

চুম্বক কোয়ান্টাম সংখ্যার মান হয় +l থেকে শুরু করে ০ সহ -l পর্যন্ত। অর্থ্যাৎ l এর মান যদি ৩ হয় তাহলে m এর মান গুলো হবে -৩,-২,-১,০,১,২,৩। অর্থাৎ m এর মান হয় (2l+1) সংখ্যক।
  1. He, Ne, Ar, Kr, Xe, Rn কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ নেয় না বলে নিষ্ক্রিয় গ্যাস। এরা অন্য মৌলের সাথে বিক্রিয়া করে না বলে এদেরকে অভিজাত বা মহান বা Noble গ্যাসও বলে। আবার বায়ুতে এদের পরিমাণ খুবই কম (<1%)। এ কারণে এদেরকে বিরল বা দুর্লভ গ্যাসও বলা হয়। এই গ্যাসগুলো খুব একটা ক্ষতিকরও নয়; তাই এদেরকে ‍উত্তম গ্যাসও বলা হয়।

নিষ্ক্রিয় গ্যাসআবিষ্কারকআবিষ্কারের সালনামের উৎপত্তি/অর্থ
Heজ্যানসেন (পরে র‌্যামসে)১৮৬৮সূর্য (helios ; the sun)
Neর‌্যামসে ও ট্র্যাভার্স১৮৯৮নতুন (New one; ne+on)
Arলর্ড র‌্যালে ও ট্র্যাভার্স১৮৯৪নিষ্ক্রিয়/অলস (Inset of idle)
Krর‌্যামসে ও ট্র্যাভার্স১৮৯৮গুপ্ত
Xeর‌্যামসে ও ট্র্যাভার্স১৯০০নবাগত
Rnডর্ন (Dorn)১৯০০রেডিয়াম বিচ্ছুরণ (Radium emanation; Rad+on)

  • নিষ্ক্রিয় গ্যাসগুলো হল- He, Ne, Ar, Kr, Xe, Rn
  • ছয়টি নিষ্ক্রিয় গ্যাসের মধ্যে প্রথম পাঁচটি মৌল সুস্থিত
  • হিলিয়াম এক পরমাণুক গ্যাস এবং রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয়।
  • বিজ্ঞানী রেলে এবং র‌্যামসে আর্গনের নামকরণ করেন।
  • নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহ সাধারণ তাপ ও চাপে গ্যাস।
  • নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহ পর্যায় সারণীতে শূণ্য শ্রেণীতে অবস্থান করে।
  • পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহের পরমাণুগুলোর মধ্যকার দুর্বল ভ্যানডার ওয়ালস শক্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পায়; ফলে এদের গলনাংক ও স্ফুটনাংক ক্রমশ বৃদ্ধি পায়।
  • XeFঅণুর আকৃতি সরলরৈখিক
  • XeFঅণুর আকৃতি সমতলীয় বর্গাকার
  • XeFঅণুর আকৃতি পঞ্চকোণীয় দ্বি-পিরামিডীয়


  • হিলিয়ামের স্ফুটনাংক খুবই নিম্ন এবং এর তরলের কোন সান্দ্রতা নেই্।
  • আর্গন ও হিলিয়াম অপেক্ষা জেনন ও ক্রিপ্টনের উপর ডাইপোলের প্রভাব বেশি দেখা যায়।
  • নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহের সকলেই বর্ণহীন ও গন্ধহীন গ্যাস। এদের তরলীকরণ বেশ কষ্টসাধ্য।
  • নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহ পানিতে সামান্য পরিমাণ দ্রবণীয়। পারমাণবিক ভরের বৃদ্ধির সাথে সাথে এদের দ্রাব্যতা বৃদ্ধি পায়।
  • ১৮৯৯ সালে রাদারফোর্ড ও ওউইনস থোরিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা থেকে যে গ্যাস আবিষ্কার করেন তার নাম থোরন।
  • জেনন এর বাষ্পঘনত্ব প্রায় ৬৪
  • বিশেষ বিশেষ শর্তে নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহ কিছু কিছু যৌগ গঠন করে। যেমন-
  • জেনন (Xe) একক ফ্লোরিনের (F) সাথে সরাসরি বিক্রিয়া করে;
  • Xe + F2 → XeF2, জেনন ডাই ফ্লোরাইড
  • XeF2 + F2 → XeF4, জেনন টেট্রা ফ্লোরাইড
  • XeF4 + F2 → XeF6, জেনন হেক্সা ফ্লোরাইড
  • উত্তেজিত অবস্থায় হিলিয়াম (He) বিসমাথ হ্যালাইড (BiHe) ও প্যালাডিয়াম হ্যালাইড (PbHe) গঠন করে।

  1. নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ব্যবহার :
নিষ্ক্রিয় গ্যাসব্যবহার
হিলিয়াম (He)হালকা বলে উড়োজাহাজ ও আবহাওয়া বেলুনে ব্যবহৃত হয়।
গভীর পানির নিচে ডুবুরিগণ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য অক্সিজেন ও হিলিয়ামের মিশ্রণ ব্যবহার করেন।
হাঁপানির রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্যও অক্সিজেন ও হিলিয়ামের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়।
NMR মেশিন ঠাণ্ডা করতে তরল হিলিয়াম ব্যবহৃত হয়।
গবেষণাগারে নিষ্ক্রিয় পরিবেশে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানোর জন্য হিলিয়াম ব্যবহৃত হয়।
নিয়ন (Ne)নিয়নবাতি ও রং-বেরংয়ের আলোকসজ্জায়
ভোল্টামিটার ও রেকটিফায়ার যন্ত্র সংরক্ষণে নিয়ন-হিলিয়াম মিশ্রণ ব্যবহৃত হয়।

আর্গন (Ar)বৈদ্যুতিক বাল্বে এখন নাইট্রোজেনের বদলে আর্গন ব্যবহার করা হয়।
তেজস্ক্রিয়তা মাপার যন্ত্র গিগার মুলার কাউন্টারে আর্গন ব্যবহৃত হয়।

ক্রিপ্টন (Kr)টিইব লাইট এবং বৈদ্যুতিক গ্যাস বাল্বে ব্যবহৃত হয়।
জেনন (Xe)ফটোগ্রাফিক ফ্লাশ লাইটে ব্যবহৃত হয়।
রেডন (Rn)ক্যান্সার চিকিৎসা এবং রেডিও থেরাপিতে ব্যবহৃত হয়।

  • XeF2 প্রস্তুতি :
   Xe ও Fএর মিশ্রণকে তাপমাত্রায় একটি নিকেল টিউবের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করা হয় এবং    তারপর তাপমাত্রার একটি টিউবের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত করা হয় যেখানে সৃষ্ট XeF2জমা হয়।

  • XeF4 প্রস্তুতি :
  1:5 অনুপাতে Xe ও Fএর মিশ্রণকে 6 atm চাপে ও 400°C তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে XeF4      তৈরি হয়।

  • XeF6 প্রস্তুতি :
   20:1 অনুপাতে Xe ও Fএর মিশ্রণকে 200-250°C তাপমাত্রায় ও 50 atm চাপে বিক্রিয়া   করালে প্রায় 95% XeF6তৈরি হয়। তাপ ও চাপ বাড়ালে এই হারও বাড়ে।

  1. নিষ্ক্রিয় গ্যাসগুলির ইলেক্ট্রন বিন্যাস :
 He (2) → 1s2
 Ne (10) →1s2 2s2 2p6
 Ar (18) →3s2 3p6
 Kr (36) →4s2 4p6
 Xe (54)  →5s2 5p6
 Rn (86) →6s2 6p6

  1. বায়ুমণ্ডলে নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহের পরিমাণ :
নিষ্ক্রিয় গ্যাসবায়ুমণ্ডলে পরিমাণবায়ুতে ঘনমাত্রা
হিলিয়াম (He)0.00055.0
নিয়ন (Ne)0.001520.0
আর্গন (Ar)0.9320 (সবচেয়ে বেশি)10000
ক্রিপ্টন (Kr)0.00011.0
জেনন (Xe)0.00001 (সবচেয়ে কম)0.08
রেডন (Rn)
-
-