Recent Post
Loading...
 
Apiculture = মৌমাছি পালন বিজ্ঞান
 
Aviculture = পাখিপালন বিজ্ঞান 
 
Sericulture = রেশমচাষ বিজ্ঞান
 
Horticulture = উদ্যানপালন বিদ্যা
 
Pearl Culture = মুক্তা চাষ 
 
Herbal = ভেষজ
 
Pesticide / Insecticide = কীটনাশন
 
Piscicultre = মাছ চাষ বিজ্ঞান
 
Flora = উদ্ভিদকূল 
 
Fauna = প্রাণিকুল 
 
Entomology = কীটপতংঙ্গ সম্পর্কিত বিদ্যা 
 
Genetics = জ়ীনতত্ত্ব বা বংশগতি সম্পর্কিত বিদ্যা 
 
Physiology = শরীরবিদ্যা 
 
Evolution = বিবর্তন সম্পর্কিত বিদ্যা 
 
Microbiology = অণুজীব বিদ্যা 
 
Anthropology = নৃ-বিজ্ঞান 
 
Anatomy = শারীর বিদ্যা 
 
Ecology = বাস্তুবিদ্যা 
 
Geology = ভূতত্ত্ব বিদ্যা 
 
Ophthalmology = চক্ষুবিজ্ঞান 
 
Dermatology = চর্মরোগ বিজ্ঞান 
 
Neurology = স্নায়ু বিজ্ঞান 
 
Nephrology = রেচনতন্ত্র বিজ্ঞান
 
 
 
কম্পিউটারের আবিষ্কারক ক‌ে ?
হাওয়ার্ড আইকেন
 
►কম্পিউটারের জনক --- চার্লস ব্যাবেজ
 
► আধুনিক কম্পিউটারের জনক --- জন ভন নিউম্যান
 
►মাইক্রোকম্পিউটারের জনক ---হেনরি এডওয়ার্ড রবাট
 
► বাইনারী গণিতভিত্তিক প্রথম ইলেকট্রনিক কম্পিউটার --- এবিসি
 
►প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইলেকট্রনিক কম্পিউটার ---এনিয়াক-১ 
 
►বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরি প্রথম ইলেকট্রনিক কম্পিউটার --- ইউনিভ্যাক-১ 
 
►বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উত্পাদিত প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার ---মার্ক-১
 
►বিশ্বের প্রথম মিনি কম্পিউটার >> পিডিপি-১ 
 
►ট্রানজিস্টার ভিত্তিক প্রথম কম্পিউটার ---TX-O 
 
► ট্রানজিস্টার ভিত্তিক প্রথম মিনিকম্পিউটার--- পিডিপি-৮
 
► IC চিপ দিয়ে তৈরি প্রথম ডিজিটালকম্পিউটার--- IBM system 360 
 
► মাইক্রোপ্রসেসর ভিত্তিক প্রথম কম্পিউটার--- এ্যালটেয়ার ৮৮০ 
 
►বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাইক্রোপ্রসেসর ভিত্তিক প্রথম কম্পিউটার>> ইনটেল-৪০০৪
 
► বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার স্থাপিত হয় ---১৯৬৪ সালে পরমাণু শক্তি
 
►কেন্দ্র,ঢাকায়।IBM-1620 মডেলের মেইনফ্রেম কম্পিউটার।
 
►বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ চালু হয় ---- ১৯৮৪ ।
 
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়--- ১৯৯০ সালে।
 
►পৃথিবীতে প্রথম ল্যাপটপ আসে>> ১৯৮১, এপসন
 
► বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র কম্পিউটার জাদুঘরটি >যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় 
 
►বাণিজ্যিকভাবে সফল প্রথম সুপার কম্পিউটার--- সিডিসি-৬৬০০
 
► বিশ্বের প্রথম সুপার কম্পিউটারের নাম >> তিয়ানহে-২(চীন) 
 
► ‘পরম‘ নামে সুপার কম্পিউটার তৈরি করেছে> ভারত 
 
► বাংলাদেশের সুপার কম্পিউটারটি হলো>> IBM RS/6000 
 

                  পূর্ণরূপ

 
► HTTP — Hyper Text Transfer Protocol. 
 
► HTTPS — Hyper Text Transfer Protocol Secure. 
 
► IP — Internet Protocol. 
 
► URL — Uniform Resource Locator.
 
► USB — Universal Serial Bus.
 
► VIRUS — Vital Information Resources Under Seized. 
 
► 3G — 3rd Generation.
 
► GSM — Global System for Mobile
 
  
☞ অর্থনীতির জনক কে ?
→ এডামস্মিথ
☞ আধুনিক অর্থনীতির জনক কে ?
→ পল স্যামুয়েলসন
☞ আধুনিক গণতন্ত্রের জনক কে ?
→ জন লক
☞আধুনিক জোর্তিবিজ্ঞানের জনক কে?
→ কোপার্নিকাস
☞ আধুনিক মনোবিজ্ঞানের জনক কে ? → সিগমুন্ড ফ্রয়েড
☞ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে ?
→ এরিস্টটল
☞ আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে ? → নিকোলো মেকিয়াভেলী
☞ ইংরেজি নাটকের জনক কে? 
→ শেক্সপিয়র।
☞ ইতিহাসের জনক কে ?
→ হেরোডোটাস
☞ ইন্টারনেটের জনক কে ? 
 ভিনটন জি কার্ফ 
☞ WWW এর জনক কে ? 
 টিম বার্নাস লি ।
☞ ই-মেইল এর জনক কে ? 
 রে টমলি সন।
☞ ইন্টারনেট সার্চইঞ্জিনের জনক কে? 
 এলান এমটাজ
☞ উদ্ভিদবিজ্ঞানের জনক কে ? →থিওফ্রাস্টাস
☞ এনাটমির জনক কে ?
→ আঁদ্রে ভেসালিয়াস
☞ ক্যালকুলাসের জনক কে? 
আইজ্যাক নিউটন।
☞ গণিতশাস্ত্রের জনক কে ?→আর্কিমিডিস
☞ চিকিত্সাবিজ্ঞানের জনক কে ? →হিপোক্রেটিস
☞ জীবাণুবিদ্যার জনক কে ?
→ লুই পাস্তুর
☞ জ্যামিতির জনক কে ?
→ইউক্লিড
☞ দর্শনশাস্ত্রের জনক কে ?
→সক্রেটিস
☞ প্রাণিবিজ্ঞানের জনক কে ?→এরিস্টটল
☞ বংশগতি বিদ্যার জনক কে? 
→ গ্রেগর জোহান মেন্ডেল
☞ বাংলা উপন্যাসের জনক কে? 
বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
☞ বাংলা কবিতার জনক কে?
মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
☞ বাংলা গদ্যের জনক কে? 
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
☞ বাংলা নাটকের জনক কে? 
দীন বন্ধু মিত্র।
☞ বিজ্ঞানের জনক কে ?
→ থেলিস
☞ বীজগণিতের জনক কে ?
আল-খাওয়ারিজম
☞ ভূগোলের জনক কে ?→ইরাতেস্থিনিস
☞ মনোবিজ্ঞানের জনক কে ?→উইলহেম উন্ড
☞ রসায়নের জনক কে ?→
জাবির ইবনে হাইয়ান
☞ শারীরবিদ্যার জনক কে ?→উইলিয়াম হার্ভে
☞ শ্রেণিবিদ্যার জনক কে ?→ক্যারোলাস লিনিয়াস
☞ সামাজিক বিবর্তনবাদের জনক কে? 
হার্বাট স্পেন্সর।
☞ সমাজবিজ্ঞানের জনক কে ?→অগাস্ট কোৎ

Bangladesh Chemical Society (BCS) was first established as a learned society in 1972 soon after the liberation of Bangladesh. The initiative was taken by a group of academicians of the Departments of Chemistry and the Departments of Applied. Chemistry of the Universities in Bangladesh and scientists of the Bangladesh Council of Scientific and Industrial Research and the Banglaesh Atomic Energy Commission. Notable among them were Professor M. H. Khundkar (DU), Professor Mofizudding Ahmed (DU), Professor S. Z. Haider (DU), Professor M. A. Nawab (DU), Professor M. M. Huque (JNU), Professor Kazi A. Latif (RU), Professor A.Q. Chowdhury (BUET), Professor A. K. Shamsuddin (CU), Professor S.S.M.A. Khorasani (DU), Dr. Erfan Ali (BCSIR), and Dr. Shamsul Huque (AEC). A constitution was drafted by an ad-hoc committee, and was adopted in a general meeting of the chemists invited by an open announcement.


 
The membership of the Society is open to graduates in chemistry, applied chemistry, biochemistry, pharmaceutical chemistry, soil chemistry and any other subject related to chemistry. At present, the Society has over 3500 members, who are engaged in various professions involving chemistry in academic institutions, research organizations, chemical and pharmaceutical industries, civil service, etc. The objectives of the society as laid down in its constitution is to promote chemistry education and chemical research in the country with the ultimate aim of improving the industrial and technological output of the country, and to protect the professional interests of the chemists and chemical technologists in the country.
 
The activities of the Society are managed by an Executive Committee (EC), elected for a two-year term by postal ballot. The EC consists of a President, two Vice-Presidents, a Treasurer, a General Secretary, two Joint Secretaries, an Organizing Secretary, a Publicity Secretary, a Social Welfare Secretary, and 12 members. The central office of the Society is in Dhaka.
 
The Society has 9 regional branches, located in various parts of the country. A minimum of 20 members in a particular region may form a regional branch of the Society. In addition to this, the Presidents of all regional branches are Ex-officio members of the EC.
 
Life membership is offered to those who pay ten years membership fees in one installment. Honorary Fellowship is offered to chemists of international repute or to those who have made notable contribution towards development of chemistry in Bangladesh. Chemists having professional experience of at least 20 years are eligible for Fellowship of the Society. Gold Medals are awarded to chemists for outstanding achievements in chemical education and research and services to the community of chemists in the country.
 
To realize the objectives, the society is engaged in the following activities:
 
  
(i) Scientific conferences: the society holds a scientific conference annually. On alternate years, the conference is now termed as Bangladesh Chemical Congress, to which scientists from both home and abroad are invited to deliver plenary lectures as well as to make oral presentations. The biennial Congresses are usually three-day programmes. The recent congresses were participated by more than 500 scientists including foreign participants. The annual general meeting of the society is held during the conference
 
  
(ii) Publications: The society publishes a scientific journal, the Journal of Bangladesh Chemical Society, in which original research works in chemistry and related fields are published. Articles are peer-reviewed before acceptance for publication. Two issues are published annually
The society also publishes a magazine "Rosayan", the Bangla word for chemistry. Popular articles relating to chemistry are published in this magazine. Two issues are published annually
The society also publishes a news bulletin twice every year, and this is circulated among all members.
 
(iii)   The society has founded an Institute of Chemists and Chemical Technologists. This institute has the ultimate objective of offering refresher courses and training programmes to persons engaged as professional chemists and awarding them diplomas. Till now, it has been holding workshops on specific topics such as those related to chemical industries and environmental pollution.
 
(iv)   The society holds seminars and reception programmes to honour chemists for their outstanding performances.
 
(v)   The society makes efforts to protect the interests of professional chemists when the need arises. It actively participated in a movement for the repeal of an article in the drug ordinance of the country, which created discrimination between chemists and pharmacists.
 
(vi)   The society is a founder member of the Federation of the Biological and Chemical Societies of Bangladesh
 
(vii)   Bangladesh Chemical Society is member of IUPAC (International Union of Pure and Applied Chemists) as well FACS (Federation of Asian Chemical Societies.) and FBCS (Federation of Biological and Chemical Societies of Bangladesh).
পানি বা জল (অন্যান্য নামঃ বারি, সলিল) হলো একটি রাসায়নিক পদার্থ, যার রাসায়নিক সংকেত হল H2O। জলের একেকটি অণু একটি অক্সিজেন পরমাণু এবং দু'টি হাইড্রোজেন পরমাণুর সমযোজী বন্ধনে গঠিত। সাধারণত পৃথিবীতে জল তরল অবস্থায় থাকলেও এটি কঠিন (বরফ) এবং বায়বীয় অবস্থাতেও (জলীয় বাষ্প) পাওয়া যায়। পৃথিবীতে তরল স্ফটিক রূপেও পানির অস্তিত্ব দেখা যায়। রাসায়নিক যৌগের নামকরণ প্রক্রিয়া অনুসারে জলের বিজ্ঞানসম্মত নাম হল dihydrogen monoxide (ডাইহাইড্রোজেন মোনক্সাইড)। কিন্তু এই নামটি প্রায় কোথাও ব্যবহৃত হয় না।
ভূপৃষ্ঠের ৭০.৯% অংশ জুড়ে জলের অস্তিত্ব রয়েছে এবং পৃথিবীর প্রায় সমস্ত জীবের জীবনধারণের জন্যই জল একটি অত্যাবশ্যক পদার্থ। পৃথিবীতে প্রাপ্ত জলের ৯৬.৫% পাওয়া যায় মহাসাগরে, ১.৭% ভূগর্ভে, ১.৭% হিমশৈল ও তুষার হিসেবে, একটি ক্ষুদ্র অংশ অন্যান্য বড় জলাশয়ে এবং ০.০০১% বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত মেঘ, জলীয় বাষ্প হিসেবে ও বৃষ্টিপাত, তুষারপাত, ইত্যাদিরূপে। পৃথিবীর জলের মাত্র ২.৫% হল বিশুদ্ধ জল এবং বাকি ৯৮.৮% হল ভূগর্ভস্থ জল ও বরফ। বিশুদ্ধ জলের ০.৩%-এরও কম অংশ পাওয়া যায় নদীতে, হ্রদে ও বায়ুমণ্ডলে এবং তার চেয়েও ন্যূনতর অংশ পাওয়া যায় বিভিন্ন জীবের শরীর ও উৎপাদিত পণ্যে। পৃথিবীতে জল প্রতিনিয়তই বাষ্পীভবন, ঘনীভবন, বাষ্পত্যাগ, ইত্যাদি বিশিষ্ট পানিচক্রের মাধ্যমে ঘূর্ণমান। বাষ্পীভবন ও বাষ্পত্যাগের কারণেই পৃথিবীতে বৃষ্টিপাত, তুষারপাত, ইত্যাদি ঘটে।
মানব জাতি সহ অন্যান্য প্রাণীর জীবনধারণের জন্য সুপেয় জল অপরিহার্য। গত কয়েক দশকে পৃথিবীর প্রায় সকল প্রান্তেই সুপেয় জলের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু তবুও প্রায় একশ কোটি মানুষ নিরাপদ জল ও প্রায় আড়াইশ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার থেকে বঞ্চিত। নিরাপদ জলের ব্যবহারের সাথে মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদনের সুস্পষ্ট পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। কয়েকজন পর্যবেক্ষক অনুমান করেছেন যে ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেকাংশেরও বেশি জল সংক্রান্ত সঙ্কটের সম্মুখীন হবে। নভেম্বর, ২০০৯-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে কয়েকটি উন্নয়নশীল অঞ্চলে যোগানের তুলনায় জলের চাহিদা ৫০% ছাড়িয়ে যাবেবিশ্ব অর্থনীতিতে জল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কারণ জল বহু রাসায়নিক পদার্থের দ্রাবক হিসেবে কাজ করে এবং বিভিন্ন শিল্পে শীতলীকরণ এবং পরিবহণের কাজে সহায়তা করে। মানুষের ব্যবহৃত বিশুদ্ধ জলের প্রায় ৭০% ব্যবহৃত হয় কৃষিকার্য।

রাসায়নিক ও ভৌত ধর্ম

জলের রাসায়নিক সংকেত হল H2O: জলের একটি অণুতে দু'টি হাইড্রোজেন পরমাণু একটি অক্সিজেন পরমাণুর সাথে সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। পদার্থের তিনটি অবস্থাতেই পৃথিবীতে জলের অস্তিত্ব বিদ্যমান। জলীয় বাষ্প ও মেঘ হিসেবে আকাশে, সমুদ্রের জল হিসেবে মহাসাগরে, হিমশৈল হিসেবে মেরু অঞ্চলের মহাসাগরে, হিমবাহ ও নদী হিসেবে পর্বতে এবং ভূগর্ভে পানির অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
মনে করা হয় বৃহদাকার গ্রহগুলির অভ্যন্তরে উচ্চ চাপ ও তাপমাত্রায়, জল আয়নিত অবস্থায় থাকে। ওই অবস্থায় জলের অণুগুলি ভেঙ্গে গিয়ে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন আয়নের একটি মাধ্যম তৈরী করে। আরো বেশী চাপে অক্সিজেন কেলাসিত হয়ে গেলেও হাইড্রোজেন আয়নগুলি মুক্তভাবে অক্সিজেন আয়নের কেলাসের সজ্জার মধ্যে ভেসে বেড়ায়। এই বিশেষ অবস্থাকে জলের অতিআয়নিত অবস্থা বলে।
পানির মুখ্য ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মগুলি হল:
  • স্বাভাবিক চাপ ও তাপমাত্রায় জল তরল পদার্থ। জল স্বাদ ও গন্ধহীন। জল ও বরফের নিজস্ব বর্ণ সামান্য নীল হলেও, কম পরিমাণে উপস্থিত থাকলে উভয়ই বর্ণহীন মনে হয়। জলীয় বাষ্পও বর্ণহীন, ফলে অদৃশ্য।
  • দৃশ্যমান তড়িচ্চুম্বকীয় বর্ণালীতে স্বচ্ছ হওয়ায় জলে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে, যা জলজ উদ্ভিদের জীবনধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদিও অতিবেগুনী এবং অবলোহিত রশ্মিসমূহের প্রায় সম্পূর্ণ অংশই জলে শোষিত হয়।
  • অক্সিজেন পরমাণুর তড়িৎ-ঋণাত্মকতা হাইড্রোজেনের তুলনায় বেশি হওয়ায় তাতে সামান্য ঋণাত্মক তড়িৎআধান থাকে এবং হাইড্রোজেন পরমাণুগুলি সামান্য পরিমাণে ধনাত্মক তড়িৎধর্মী হয়। এরফলে জলের অণুতে একটি দ্বিমেরু ভ্রামকের সৃষ্টি হয়। এই ধর্মের জন্যে জলের অণুগুলি তার আকারের তুলনায় অস্বাভাবিক রকমের বেশি সংখ্যক আন্তঃআণবিক হাইড্রোজেন বন্ধনী তৈরী করতে পারে। এইসব কারণে পানির অণুগুলির মধ্যে সংসক্তি বল অত্যন্ত দৃঢ় হয়। যে কারণে পানির পৃষ্ঠটান এবং কৈশিকীয় বলের মান বেশি হয়। অত্যন্ত সরু নল (কৈশিকীয় নল) দ্বারা মাধ্যাকর্ষণের বিপরীতে জলের ওপরে উঠে যাওয়ার প্রবণতাকে কৈশিকীয় ক্রিয়া বলে। জলের এই ধর্মের জন্যেই মাটি থেকে জল শোষণ করে বেঁচে থাকা উদ্ভিদেরা তা করতে পারে।
  • জলের নিজস্ব দ্বিমেরু ভ্রামক থাকায় পানি প্রায় সব তড়িৎযোজী পদার্থকে দ্রবীভূত করতে পারে। এছাড়াও বহু সমযোজী পদার্থও জলে দ্রবীভূত হওয়ায় জল রাসায়নিক পরীক্ষাগারে খুব ভালো দ্রাবক হিসেবে কাজ করে। একারণে জলকে কখনো কখনো সর্বজনীন দ্রাবক বলা হয়ে থাকে। জলে দ্রবীভুত হয় এরকম কিছু পদার্থ হলঃ লবণ, চিনি, অম্ল, ক্ষারক, বেশ কিছু গ্যাস বিশেষত- অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড ইত্যাদি। এছাড়াও কিছু পদার্থ আছে যারা বিশেষ করে জলে দ্রবীভুত হয়না; যেমন- তেল, গ্রিজ় ইত্যাদি।

স্বাদ ও গন্ধ

বিভিন্ন ধরনের পদার্থ জলে দ্রবীভূত হয়ে তাতে বিভিন্ন স্বাদ ও গন্ধের সৃষ্টি করতে পারে। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী তাদের ইন্দ্রিয়ের দ্বারা অনুভব করতে সক্ষম যে কোন পানি পান করার উপযুক্ত। কোন প্রাণীই লবণাক্ত অথবা দূষিত পানি পান করে না। ঝরনার পানি এবং খনিজ মিশ্রিত পানিতে যে স্বাদ পাওয়া যায় তা সেই পানিতে মিশ্রিত খনিজ পদার্থ থেকে উদ্ভূত। কিন্তু বিশুদ্ধ পানি (H2O) সম্পূর্ণ স্বাদহীন ও গন্ধহীন। খনিজ মিশ্রিত পানির বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে যে বিশুদ্ধতার দাবি করা হয় তা আসলে পানিতে কোন ধরনের জীবাণু, দূষিত পদার্থ অথবা বিষের অনুপস্থিতিকেই নির্দেশ করে। প্রকৃত অর্থে সেই পানি বিশুদ্ধ নয় কারণ তাতে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ মিশ্রিত থাকে।

মানবজাতির ব্যবহার

কৃষি

কৃষিজমিতে সেচ
কৃষিতে পানির সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার হল সেচে। কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশে সেচে পানির প্রায় ৯০% ব্যবহৃত হয় এবং অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত দেশগুলিতেও পানির সিংহভাগই ব্যবহৃত হয় সেচে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশুদ্ধ পানির প্রায় ৩০% সেচে ব্যবহৃত হয়)।[১৬]

পান করা


পানির গুণগত মান: বিভিন্ন দেশে জনসংখ্যা অনুসারে ব্যবহৃত বিশুদ্ধ পানি
মানবদেহের আকারের সাপেক্ষে তাতে ৫৫% ৭৮% পানি থাকে। সক্রিয় থাকার জন্য এবং নিরুদন প্রতিরোধ করার জন্য মানবদেহের প্রতিদিন এক থেকে সাত লিটার পানির প্রয়োজন হয়। দেহের প্রয়োজনীয় পানির প্রকৃত পরিমাণ নির্ভর করে কাজকর্মের পরিমাণ, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, ইত্যাদি নানা পরিস্থিতির উপর। শরীরে গ্রহণ করা পানির মোট পরিমাণের অধিকাংশই সরাসরি পানি পান করার পরিবর্তে আসে বিভিন্ন খাদ্য এবং অন্যান্য পানীয় থেকে। একজন স্বাস্থ্যবান মানুষের ঠিক কত পরিমাণ পানির দরকার তা সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা না গেলেও অধিকাংশ বিশেষজ্ঞই মত প্রকাশ করেছেন যে শরীর সুস্থ রাখতে মোটামুটি প্রতিদিন ২ লিটার (৬ থেকে ৭ গ্লাস) পানির প্রয়োজন। ব্যায়াম অথবা গরম আবহাওয়া জনিত কারণে শরীর থেকে নির্গত হওয়া পানি বাদ দিয়ে চিকিৎসা সাহিত্য সাধারণত একজন গড় পুরুষের জন্য ১ লিটার পানি অর্থাৎ অল্প পানি পান করার পক্ষে মত দেয়। যে সব ব্যক্তি সুস্থ কিডনির অধিকারী তাদের পক্ষে অতিরিক্তি পানি পান করা অসুবিধাজনক কিন্তু মূলতঃ ব্যায়াম করলে অথবা আর্দ্র আবহাওয়া থাকলে অল্প পরিমাণ পানি পান করা শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। কোন ব্যাক্তি ব্যায়াম করার সময় প্রয়োজনাতিরিক্ত পানি পান করতে পারে কিন্তু তা পানির প্রতি অত্যধিক আসক্তি সৃষ্টি করতে পারে যা, শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। একজন ব্যক্তির দৈনিক আট গ্লাস পানি পান করার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে যে ধারণা বহুল প্রচলিত, বিজ্ঞানে সম্ভবত তার কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। একইভাবে দেহের ওজনহ্রাস ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে পানির উপকারিতা বিষয়ে যে ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে।
জীবনে প্রথম ইন্টারভিউ দিতে গেছেন আর ভয় পান নি- এমন লোক পাওয়া ভার।  কিন্তু এই  ইন্টারভিউ এর ভয় কে জয় করতে পারলেই তো মিলবে কাংখিত চাকরি।  আর তাই ইন্টারভিউ বোর্ডে ভালো করার জন্য কিছু দরকারি টিপস নিয়ে আজকের আয়োজন-
নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন (টেল আস সামথিং অ্যাবাউট ইয়োরসেল্ফ )
এই প্রশ্নটির উত্তরে প্রত্যেকেই যে ভুলটা করে থাকে সেটা হলো কোথায় সে পড়াশোনা করেছে, কী খেতে বা পড়তে ভালবাসে, ইত্যাদি তথ্য দিয়ে সময় নষ্ট করে। আসলে, আপনার নিজের সম্পর্কে বলা মানে আপনার পছন্দ বা অপছন্দের বিষয় সম্পর্কে নয়, বরং আপনি কী ধরনের জব প্রোফাইল পছন্দ করেন (তবে অবশ্যই যে পদের জন্য ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছেন, সেটাকে প্রাধান্য দিতে হবে আপনাকে)সহজ ভাষায়, ইন্টারভিউয়ার বা প্রশ্নকর্তা যা কিনতে চাইছেন, আপনাকে তাই-ই বিক্রি করতে হবে।
আপনার সবচেয়ে শক্তিশালী এবং দুর্বল দিকগুলো কী? (হোয়াট আর ইওর গ্রেটেস্ট স্ট্রেন্থ অ্যান্ড উইকনেস?)
যেকোনো ইন্টারভিউ দেওয়ার আগেই কিন্তু এই প্রশ্নটির উত্তরের জন্য আপনার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে রাখতে হবে।  আপনার কয়েকটি ‘স্ট্রেন্থ’ বা জোরালো দিকের মধ্যে আসতে পারে ইন্টেলিজেন্স (বুদ্ধিমত্তা), অনেস্টি বা ইন্টগ্রিটি (সততা), কর্পোরেট কালচার সম্বন্ধে পরিচিত থাকা, সকলের সঙ্গে মেশার দক্ষতা, সেন্স অফ হিউমার। আবার দুর্বলতার ক্ষেত্রে সেগুলোকেই তুলে ধরুন যা ইন্টারভিউয়ের চাকরির জন্য প্রতিবন্ধক নয়। বেশি ব্যাখ্যায় যাবেন না। কারণ স্ট্রেন্থ বা উইকনেস এমন দু’টো শব্দ যে, একজনের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি তার স্ট্রেন্থ, সেটিই অন্য কারও ক্ষেত্রে উইকনেস হয়ে যেতে পারে।
এই কোম্পানিতে কেন কাজ করতে চাইছেন? এর পেছনে কোনো বিশেষ কারণ আছে কি? (হোয়াই ডু ইউ ওয়ান্ট টু ওয়ার্ক ইন আওয়ার কোম্পানি?)
আপনাকে প্রথমেই যেটা করতে হবে সেটা হলো, ওই কোম্পানির কাজ ও রেপুটেশন সম্পর্কে একটা ছোটখাটো রিসার্চ সেরে রাখা। আপনার নিজের প্রোফাইল সম্পর্কেও আপনাকে আগেভাবে বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করে রাখতে হবে। আর আগে থেকেই যদি এসব প্রস্তুতি সেরে রাখেন, তা হলে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা আপনার কাছে কোনো ব্যাপারই নয়।
সম্প্রতি কোন ভালো বইটি পড়েছেন? (হোয়াট গুড বুকস হ্যাভ ইউ রেড লেটলি?)
যেকোনো ধরনের চাকরির ইন্টারভিউয়েই এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারেন। আসলে কাজের পাশাপাশি অন্য কোনো বিষয়ে আপনার আগ্রহ আছে কিনা, সেটা জানতেই এমন প্রশ্ন করা। বই পড়ার অভ্যাস থাকলে ভালো, না থাকলেও আপনার পছন্দের অন্য কোনো বিষয়ের কথা জানিয়ে দিন এসময়।
এই ফিল্ড সম্পর্কে কি আপনার কোনো ধারণা আছে? (ডু ইউ হ্যাভ এনি আইডিয়া অ্যাবাউট আওয়ার ফিল্ড?)
যদি আপনার সত্যিই স্পষ্ট ধারণা থাকে, তা হলে সরাসরিভাবে তা জানিয়ে দিন। আর না থাকলে খুব ভদ্রভাবে বলুন, আপনি যা জানেন সবটাই অন্যের কাছ থেকে শোনা এবং আপনি বিস্তারিতভাবে এই ফিল্ড সম্বন্ধে জানতে আগ্রহী। তবে এমন যেন না হয় যে, আপনি আদৌ ওই ফিল্ড সম্পর্কে জানেন না, অথচ অতি চালাকি করে বলে দিলেন, ধারণা আছে, তাহলে কিন্তু বিপদে পড়বেন আপনি।
পাঁচ বছর পরে নিজেকে আপনি কোন জায়গায় দেখতে চান? (হোয়্যার ডু ইউ সি ইওরসেল্ফ ফাইভ ইয়ারস ফ্রম নাও?)
এই প্রশ্নটির অর্থই হলো, ইন্টারভিউয়ার জানতে চাইছেন আপনি আদৌ ওই কোম্পানিতে বেশিদিন কাজ করতে ইচ্ছুক কি না! অতএব বুঝতেই পারছেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনাকে উত্তর দিতে হবে। আপনার বলা উচিত যে, আপনি যে প্রোফাইলের জন্য মনোনীত হচ্ছেন, তা মন দিয়ে করবেন।

VESPER তত্ব অনুযায়ী মিথেন, অ্যামোনিয়া, বোরেন ও পানির অণুর গঠন

www.facebook.com/emon.raihan

www.facebook.com/emon2021raihan

https://www.facebook.com/chemistrysolutionbd

 



www.facebook.com/emon.raihan
www.facebook.com/emon2021raihan
 https://www.facebook.com/chemistrysolutionbd/