Recent Post
Loading...
By Emon RaihanFollow In Facebook 



বাংলা শুভ নববর্ষ পয়লা বৈশাখ বা পহেলা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বাংলা সনের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শুভ নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নেয়। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন উৎসব। বিশ্বের সকল প্রান্তের সকল বাঙালি এ দিনে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়, ভুলে যাবার চেষ্টা করে অতীত বছরের সকল দুঃখ-গ্লানি। সবার কামনা থাকে যেন নতুন বছরটি সমৃদ্ধ ও সুখময় হয়। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা একে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করার উপলক্ষ্য হিসেবে বরণ করে নেয়। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১৪ই এপ্রিল অথবা ১৫ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালিত হয়। আধুনিক বা প্রাচীন যে কোন পঞ্জিকাতেই এই বিষয়ে মিল রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। বাংলা একাডেমী কর্তৃক নির্ধারিত আধুনিক পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এদিন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।

বাংলা দিনপঞ্জীর সঙ্গে হিজরী ও খ্রিস্টীয় সনের মৌলিক পার্থক্য হলো হিজরী সন চাঁদের হিসাবে এবং খ্রিস্টীয় সন ঘড়ির হিসাবে চলে। এ কারণে হিজরী সনে নতুন তারিখ শুরু হয় সন্ধ্যায় নতুন চাঁদের আগমনে। ইংরেজি দিন শুর হয় মধ্যরাতে। পহেলা বৈশাখ রাত ১২ টা থেকে শুরু না সূর্যদোয় থেকে থেকে শুরু এটা নিয়ে অনেকের দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে, ঐতিহ্যগত ভাবে সূর্যদোয় থেকে বাংলা দিন গণনার রীতি থাকলেও ১৪০২ সালের ১ বৈশাখ থেকে বাংলা একাডেমী এই নিয়ম বাতিল করে আন্তর্জাতিক রীতির সাথে সামঞ্জস্য রাখতে রাত ১২.০০টায় দিন গণনা শুরুর নিয়ম চালু হয়।

ইতিহাস

হিন্দু সৌর পঞ্জিকা অনুসারে বাংলা বারটি মাস অনেক আগে থেকেই পালিত হত। এই সৌর পঞ্জিকার শুরু হত গ্রেগরীয় পঞ্জিকায় এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় হতে। হিন্দু সৌর বছরের প্রথম দিন আসাম, বঙ্গ, কেরল, মনিপুর, নেপাল, উড়িষ্যা, পাঞ্জাব, তামিল নাড়ু এবং ত্রিপুরার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অনেক আগে থেকেই পালিত হত।এখন যেমন নববর্ষ নতুন বছরের সূচনার নিমিত্তে পালিত একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে, এক সময় এমনটি ছিল না। তখন বাংলা শুভ নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ আর্তব উৎসব তথা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে পালিত হত। তখন এর মূল তাৎপর্য ছিল কৃষিকাজ। প্রাযুক্তিক প্রয়োগের যুগ শুরু না হওয়ায় কৃষকদের ঋতুর উপরই নির্ভর করতে হত।

ভারতবর্ষে মুঘল সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায় করত। কিন্তু হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলত না। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতেহত। খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশ মতে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।

আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হত। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হত। এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয় যার রুপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে। তখনকার সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল একটি হালখাতা তৈরি করা। হালখাতা বলতে একটি নতুন হিসাব বই বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাঠের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা, সকল স্থানেই পুরনো বছরের হিসাব বই বন্ধ করে নতুন হিসাব বই খোলা হয়। হালখাতার দিনে দোকনদাররা তাদের ক্রেতাদের মিষ্টান্ন আপ্যায়ন করে থাকে। এই প্রথাটি এখনও অনেকাংশে প্রচলিত আছে, বিশেষত স্বর্ণের দোকানে।

আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম মহাযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্ত্তণ ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকান্ডের উল্লেখ পাওযা যায়। পরবর্তী সময়ে ১৯৬৭ সনের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি তেমন একটা জনপ্রিয় হয় নি।

বাংলাদেশে বাংলা শুভ নববর্ষ বাপহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন

নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্টীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পড়ে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়িঘর পরিষ্কার করা হয় এবং মোটমুটি সুন্দর করে সাজানো হয়। বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও থাকে। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুঠির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। অনেক স্থানে ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। এই দিনের একটি পুরনো সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে থাকে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তির। বাংলাদেশে এরকম কুস্তির সবচেয়ে বড় আসরটি হয় ১২ বৈশাখ, চট্টগ্রাম-এর লালদিঘী ময়দান-এ। এটি জব্বারের বলি খেলা নামে পরিচিত।

ঢাকায় রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে পহেলা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট-এর গানের মাধ্যমে নতুন বছরের সূর্যকে আহবান। পহেলা বৈশাখ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলত কন্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরকে আহবান জানান। স্থানটির পরিচিতি বটমূল হলেও প্রকৃত পক্ষে যে গাছের ছায়ায় মঞ্চ তৈরি হয় সেটি বট গাছ নয়, অশ্বত্থ গাছ । ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠির নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানটের এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা।

মঙ্গল শোভাযাত্রা

ঢাকার বৈশাখী উৎসবের একটি আবশ্যিক অঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখে সকালে এই শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় চারুকলা ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়। এই শোভাযাত্রায় গ্রামীণ জীবণ এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। শোভাযাত্রায় সকল শ্রেণী-পেশার বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করে।  শোভাযাত্রার জন্য বানানো নয় রং-বেরঙের মুখোশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিলিপি। ১৯৮৯ সাল থেকে এই মঙ্গল শোভাযাত্রা পহেলা বৈশাখের উৎসবের একটি অন্যতম আকর্ষণ।

বউমেলা

ঈশা খাঁর সোনারগাঁয় ব্যতিক্রমী এক মেলা বসে, যার নাম 'বউমেলা'। জয়রামপুর গ্রামের মানুষের ধারণা, প্রায় ১০০ বছর ধরে পয়লা বৈশাখে শুরু হওয়া এই মেলা পাঁচ দিনব্যাপী চলে। প্রাচীন একটি বটবৃক্ষের নিচে এই মেলা বসে, যদিও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সিদ্ধেশ্বরী দেবীর পুজো হিসেবে এখানে সমবেত হয়। বিশেষ করে কুমারী, নববধূ, এমনকি জননীরা পর্যন্ত তাঁদের মনস্কামনা পূরণের আশায় এই মেলায় এসে পূজা-অর্চনা করেন। সন্দেশ-মিষ্টি-ধান দূর্বার সঙ্গে মৌসুমি ফলমূল নিবেদন করে ভক্তরা। পাঁঠাবলির রেওয়াজও পুরনো। বদলে যাচ্ছে পুরনো অর্চনার পালা। এখন কপোত-কপোতি উড়িয়ে শান্তির বার্তা পেতে চায় ভক্তরা দেবীর কাছ থেকে। বউমেলায় কাঙ্ক্ষিত মানুষের খোঁজে কাঙ্ক্ষিত মানসীর প্রার্থনা কিংবা গান্ধর্ব প্রণয়ও যে ঘটে না সবার অলক্ষে, তা কে বলতে পারবে।

ঘোড়ামেলা

এ ছাড়া সোনারগাঁ থানার পেরাব গ্রামের পাশে আরেকটি মেলার আয়োজন করা হয়। এটির নাম ঘোড়ামেলা। লোকমুখে প্রচলিত জামিনী সাধক নামের এক ব্যক্তি ঘোড়ায় করে এসে নববর্ষের এই দিনে সবাইকে প্রসাদ দিতেন এবং তিনি মারা যাওয়ার পর ওই স্থানেই তাঁর স্মৃতিস্তম্ভ বানানো হয়। প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে স্মৃতিস্তম্ভে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা একটি করে মাটির ঘোড়া রাখে এবং এখানে মেলার আয়োজন করা হয়। এ কারণে লোকমুখে প্রচলিত মেলাটির নাম ঘোড়ামেলা। এ মেলার অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে নৌকায় খিচুড়ি রান্না করে রাখা হয় এবং আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই কলাপাতায় আনন্দের সঙ্গে তা ভোজন করে। সকাল থেকেই এ স্থানে লোকজনের আগমন ঘটতে থাকে। শিশু-কিশোররা সকাল থেকেই উদগ্রীব হয়ে থাকে মেলায় আসার জন্য। এক দিনের এ মেলাটি জমে ওঠে দুপুরের পর থেকে। হাজারো লোকের সমাগম ঘটে। যদিও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কারণে এ মেলার আয়োজন করা হয়। তথাপি সব ধর্মের লোকজনেরই প্রাধান্য থাকে এ মেলায়। এ মেলায় শিশু-কিশোরদের ভিড় বেশি থাকে। মেলায় নাগরদোলা, পুতুল নাচ ও সার্কাসের আয়োজন করা হয়। নানারকম আনন্দ-উৎসব করে পশ্চিমের আকাশ যখন রক্তিম আলোয় সজ্জিত উৎসবে, যখন লোকজন অনেকটাই ক্লান্ত, তখনই এ মেলার ক্লান্তি দূর করার জন্য নতুন মাত্রায় যোগ হয় কীর্তন। এ কীর্তন হয় মধ্যরাত পর্যন্ত। এভাবেই শেষ হয় বৈশাখের এই ঐতিহ্যবাহী মেলা।

চট্টগ্রামে বর্ষবরণ

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পহেলা বৈশাখের উৎসবের মূল কেন্দ্র ডিসি পাহাড় পার্ক। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে এখানে পুরোনে বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করার জন্য দুইদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মুক্ত মঞ্চে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি থবকে নানা প্রামীণ পন্যের পশরা। থাকে পান্তা ইলিশের ব্যবস্থাও। চট্টগ্রামে সম্মিলিত ভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের উদ্যোগ ১৯৭৩, ১৯৭৪ ও ১৯৭৫ সালে রাজনৈতিকগণের চেষ্টায়। ইস্পাহানী পাহাড়ের পাদদেশে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। ১৯৭৮ সালে এই উৎসা এখনকবর ডিসি হিল পার্কে সরিয়ে নেওযা হয়। ১৯৭৮ সালের উদ্যোগের সয্গে জড়িত ছিলেন ওয়াহিদুল হক, নির্মল মিত্র, মিহির নন্দী, অরুন দাশ গুপ্ত, আবুল মোমেন সুভাষ দে প্রমূখ। প্রথম দিকে প্রত্যেক সংগঠন থেকে দুইজন করে নিয়ে একটি স্কোয়াড গঠন করা হত। সেই স্কোয়াডই সম্মিলিত সঙ্গীত পরিবেশন করতো। ১৯৮০ সাল থেকে সংগঠনগুলো আলাদাভাবে গাণ পরিবেশন শুরু করে। পরে গ্রুপ থিয়েটার সমন্বয় পরিষদ যুক্ত হওয়ার পর অনুষ্ঠানে নাটকও যুক্ত হয়েছ। নগরীর অন্যান্য নিয়মিত আয়োজনের মধ্যে রয়েছে শিশু সংগঠন ফুলকীর তিনদিন ব্যাপী উৎসা যা শেষ হয় বৈশাখের প্রথম দিবসে। নগরীর মহিলা সমিতি স্কুলে একটি বর্ষবরণ মেলা হয়ে থাকে।

পার্বত্য জেলায়, আদিবাসীদের বর্ষবরণ

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি ক্ষুদ্রজাতিস্বত্তা রয়েছে যাদের প্রত্যেকেরই বছরের নতুন দিনে উৎসব আছে। ত্রিপুরাদের বৈশুখ, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব। বর্তমানে তিনটি জাতিস্বত্ত্বা একত্রে এই উৎসবটি পালন করে। যৌথ এই উৎসবের নাম বৈসাবি। উৎসবের নানা দিক রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো মার্মাদের পানি উৎসব।

পশ্চিমবঙ্গে পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপন

পশ্চিমবঙ্গে মহাসমারোহে সাড়ম্বরে উদযাপিত হয় বাংলা নববর্ষারম্ভ পয়লা বৈশাখ। বঙ্গাব্দের প্রথম দিনটিতে বিপুল উৎসাহ এবং উদ্দীপনার সাথে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়ে থাকে সমগ্র পশ্চিম বাংলায়। বাংলার গ্রামীণ এবং নাগরিক জীবনের মেলবন্ধন সাধিত হয়ে সকলে একসূত্রে বাঁধা পড়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আনন্দে। সারা চৈত্র মাস জুড়েই চলতে থাকে বর্ষবরণের প্রস্তুতি। চৈত্র মাসের শেষ দিন অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তি বা মহাবিষুবসংক্রান্তির দিন পালিত হয় চড়কপূজা অর্থাৎ শিবের উপাসনা। এইদিনেই সূর্য মীন রাশি ত্যাগ করে মেষ রাশিতে প্রবেশ করে। এদিন গ্রামবাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে আয়োজিত হয় চড়ক মেলা। এই মেলায় অংশগ্রহণকারীগণ বিভিন্ন শারীরিক কসরৎ প্রদর্শন করে মানুষের মনোরঞ্জন করে থাকে। এছাড়া বহু পরিবারে বর্ষশেষের দিন টক এবং তিতা ব্যঞ্জন ভক্ষণ করে সম্পর্কের সকল তিক্ততা ও অম্লতা বর্জন করার প্রতীকী প্রথা একবিংশ শতাব্দীতেও বিদ্যমান। পরের দিন অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ প্রতিটি পরিবারে স্নান সেরে বয়ঃজ্যেষ্ঠদের প্রণাম করার রীতি বহুলপ্রচলিত। বাড়িতে বাড়িতে এবং সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে মিষ্টান্ন ভোজন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলির অধিকাংশই এদিন থেকে তাদের ব্যবসায়িক হিসেবের নতুন খাতার উদ্বোধন করে, যার পোশাকি নাম হালখাতা। গ্রামাঞ্চলে এবং কলকাতা শহরের উপকণ্ঠে পয়লা বৈশাখ থেকে আরম্ভ হয় বৈশাখী মেলা। এই মেলা সমগ্র বৈশাখ মাস জুড়ে অনুষ্ঠিত হয়।

কলকাতা

ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী কলকাতা পয়লা বৈশাখ উদযাপনে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। নববর্ষারম্ভ উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন পাড়ার অলিতে গলিতে নানা সংগঠনের উদ্যোগে প্রভাতফেরি আয়োজিত হয়। বিগত বছরের চৈত্র মাসে শহরের অধিকাংশ দোকানে ক্রয়ের উপর দেওয়া হয়ে থাকে বিশেষ ছাড়, যার প্রচলিত কথ্য নাম ‘চৈত্র সেল’। তাই পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে এবং এই ছাড়ের সুবিধা গ্রহণ করতে অর্থনৈতিক অবস্থা নির্বিশেষে কলকাতার সমস্ত মানুষ একমাস ধরে নতুন জামাকাপড়, ইত্যাদি ক্রয় করে থাকে। পয়লা বৈশাখের দিন উল্লেখযোগ্য ভিড় চোখে পড়ে কলকাতার বিখ্যাত কালীঘাট মন্দিরে। সেখানে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ভোর থেকে প্রতীক্ষা করে থাকেন দেবীকে পূজা নিবেদন করে হালখাতা আরম্ভ করার জন্য। ব্যবসায়ী ছাড়াও বহু গৃহস্থও পরিবারের মঙ্গল কামনা করে দেবীর আশীর্বাদ প্রার্থনা করতে কালীঘাটে গিয়ে থাকেন। এইদিন বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পোশাক ধুতি-পাঞ্জাবি এবং শাড়ি পরার রেওয়াজ প্রচলিত।



অন্যান্য দেশে পয়লা বৈশাখ

বাংলাদেশ এবং ভারত ছাড়াও পৃথিবীর আরো নানান দেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়ে থাকে।

অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে যেমনঃ সিডনি, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাতে বৈশাখী মেলার মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ নাচ-গান-ফ্যাশন শো-খাবারের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতির এ ধারাকে আনন্দময় করে তোলে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সর্ববৃহৎ বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়।[৭] আগে বার্নউড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলেও ২০০৬ সাল থেকে সিডনি অলিম্পিক পার্কে মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।[৭] মেলায় বিপুল পরিমাণ লোকের সমাগম ঘটে এবং প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এটি একটি আনন্দঘন দিন।

সুইডেন

সুইডেনেও বিপুল উৎসাহের সাথে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়।

ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ডে অবস্থানকারী প্রবাসী বাঙালিরা স্ট্রিট ফেস্টিভ্যাল (পথ উৎসব) পালন করে। এই উৎসবটি লন্ডনে করা হয়।ইউরোপে অনুষ্ঠিত সর্ববৃহৎ এশীয় উৎসব এটি এবং বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া সর্ববৃহৎ বাঙালি উৎসব।



সুত্রঃ উইকিপিডিয়া বাংলা
By Emon RaihanFollow In Facebook 


বাংলা সন ও পহেলা বৈশাখ…ইতিহাস কী বলে?
১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে মুগল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন বলে বেশিরভাগ পণ্ডিত মনে করেন। ওই সময় বঙ্গে শক বর্ষপঞ্জি ব্যবহৃত হতো, যার প্রথম মাস ছিল চৈত্র। বাংলা বর্ষপঞ্জি প্রথমে ‘তারিখ-ই-এলাহী’ বা ‘ফসলি সন’ নামে পরিচিত ছিল। ১৫৮৪ সালের ১০ বা ১১ মার্চ তারিখে এটি ‘বঙ্গাব্দ’ নামে প্রচলিত হয়।
এ নতুন সালটি সম্রাট আকবরের রাজত্বের ২৯তম বর্ষে প্রবর্তিত হলেও তা গণনা করা হয় ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৫ নভেম্বর থেকে। সম্রাট আকবর ৯৬৩ হিজরী, ১০ রবিউল আউয়াল, রোজ শুক্রবার, ১৪৭৯ শাকাব্দ, ১৬১৪ বিক্রমাসম্ভাত এবং ইংরেজি ১৫৫৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন।
একই বছর, অর্থাৎ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৫ নভেম্বর, এবং ৯৬৪ হিজরির ১ মুহররম তারিখে মাত্র ১৩ বছর বয়সে সম্রাট হেমচন্দ্র বিক্রমাদিত্যকে ২য় পানিপথের যুদ্ধে পরাজিত করেন। পানিপথের যুদ্ধে সম্রাট আকবরের বিজয়কে মহিমান্বিত করে রাখবার জন্য এবং অধিকতর পদ্ধতিগত উপায়ে রাজস্ব আদায়ের উদ্দেশে এ বাংলা সনের প্রবর্তন করা হয়েছিল।
সম্রাট যে মাসে সিংহাসনে অরোহণ করেন, তার নিকটতম হিজরি বছরের ১ম মাসকে ভিত্তি ধরা হয়। ৯৬৩ হিজরির ১ মহররম ছিল নিকটতম। ওই বছর শকাব্দের ১ বৈশাখ এবং হিজরির ১ মহররম একই দিনে এসেছিল। বৈশাখ হলো শকাব্দের ২য় মাস, চৈত্র ১ম মাস। ৯৬৩ হিজরির ১ মহররমকে বাংলা ৯৬৩ সনের ১ বৈশাখ পরিচিহ্নিত করে বাংলা সন শুরু করা হয়। অর্থাৎ ১, ২, ৩ - এভাবে হিসেব না করে মূল হিজরি সনের চলতি বছর থেকেই বাংলা সনের গণনা শুরু হয়। ফলে জন্ম বছরেই বাংলা সন ৯৬৩ বৎসর বয়স নিয়ে যাত্রা শুরু করে।
কিন্তু হিজরী সনের সঙ্গে বাংলা সনের তারতম্য হলো কেন? হিজরি সন চান্দ্রবছর ৩৫৪ বা ৩৫৫ দিনে হয়, বাংলা সন ৩৬৫ দিন হিসাবে গোনা হয়। এ কারণেই তারতম্য
পূর্বে ইংরেজি সনের মতো বাংলা সনে কোনো লিপ-ইয়ার ছিল না। ১৯৬৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে বাংলা একাডেমীর তত্ত্বাবধানে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে একটি বঙ্গাব্দ সংস্কার কমিটি গঠিত হয়। উক্ত কমিটি চার বছর পরপর চৈত্র মাস ৩০ দিনের পরিবর্তে ৩১ দিনে গণনা করার পরামর্শ দেয়।
পহেলা বৈশাখ
বঙ্গাব্দের সূচনা সম্পর্কে দু'টি মত চালু আছে৷ প্রথম মত অনুযায়ী - প্রাচীন বঙ্গদেশের (গৌড়) রাজা শশাঙ্ক (রাজত্বকাল আনুমানিক ৫৯০-৬২৫ খৃষ্টাব্দ) বঙ্গাব্দ চালু করেছিলেন৷ সপ্তম শতাব্দীর প্রারম্ভে শশাঙ্ক বঙ্গদেশের রাজচক্রবর্তী রাজা ছিলেন। আধুনিক ভারতের বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার অধিকাংশ এলাকা তাঁর সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনুমান করা হয় যে, জুলিয়ান ক্যালেণ্ডারের সোমবার ১২ এপ্রিল ৫৯৪ এবং গ্রেগরিয়ান ক্যালেণ্ডারের সোমবার ১৪ এপ্রিল ৫৯৪ বঙ্গাব্দের সূচনা হয়েছিল।
দ্বিতীয় মত অনুসারে, মধ্যযুগে বাংলা সনের প্রচলনের আগে কৃষি ও ভূমি কর বা খাজনা আদায় করা হতো ইসলামিক হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে। কিন্তু চাষাবাদ করা হতো সৌর বছর অনুযায়ী। হিজরি বর্ষপঞ্জি চান্দ্রমাস নির্ভর বলে সব সময় কৃষি কর্মকাণ্ড অর্থবর্ষের সাথে মিলতো না। কারণ চন্দ্র ও সৌর বছরের মধ্যে ১১ বা ১২ দিনের পার্থক্য ছিল। ফলে ৩১ টি চন্দ্র বছর ৩০ টি সৌর বছর এর সমান হয়ে যেতো। তাতে কৃষিজীবীদের ফসলহীন ঋতুতে কর বা খাজনা দেবার জন্য বাধ্য করা হতো। সম্রাট আকবর তাঁর শাসনের প্রথমেই এই সমস্যা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন এবং এর একটি বৈজ্ঞানিক কিন্তু কার্যকর সমাধান খুঁজছিলেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য মহান মুঘল সম্রাট আকবর (শাসনকাল ১৫৫৬ খৃষ্টাব্দ হতে ১৬০৫ খৃষ্টাব্দ) বর্ষপঞ্জি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবী ও রাজকীয় জ্যোর্তিবিদ আমির ফতেউল্লাহ্ সিরাজী চান্দ্রমাস নির্ভর হিজরি বর্ষপঞ্জি এবং সৌরমাস নির্ভর হিন্দু বর্ষপঞ্জি গবেষণা করে একটি নতুন বর্ষপঞ্জি প্রস্তাব করেন। এর ফলেই সূচনা হলো বাংলা বর্ষপঞ্জির বা বাংলা সনের। বাংলা সনের সূচনা হয় ফসল তোলার সময়ে যখন কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে বছরের অন্য সময়ের চাইতে সচ্ছল থাকে। নতুন বর্ষপঞ্জি প্রথম দিকে ফসলী সন হিসেবে পরিচিত ছিল।
অনেকের মতে শশাঙ্ক বাংলা সনের প্রবর্তক, যা শুরু হয় শশাঙ্কের রাজ্যভার গ্রহণের দিন থেকে। শশাঙ্কের রাজত্বকাল ৬০৬-৬১৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে, কিন্তু বাংলা সন শুরু হয় ৫৯৩ বা ৫৯৪ থেকে। তবে, ঐ সময় আসামে ভাস্করাব্দ চলমান ছিল, যার মাসের নামগুলো বঙ্গাব্দের মতো। বাঙালিরা ভাস্করাব্দ অনুসরণ করে থাকতে পারেন। কিংবা এমনও হতে পারে, ভাস্করাব্দ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শশাঙ্ক রাজ্য শাসনভার গ্রহণের পর ভাস্করাব্দ অনুযায়ী বাংলা সন গণনার প্রচলন করেছিলেন। অনেকে আবার শশাঙ্কের কাল থেকে বাংলা সন শুরু হওয়ার কোনো শক্ত যুক্তি খুঁজে পান না।
শশাঙ্ক বাংলা সনের প্রবর্তক- এই মতের সমর্থক অনেকে থাকলেও, তা খারিজ হয়ে গেছে অনেক আগেই। কারণ, আসলে ষষ্ঠ বা সপ্তম শতকে 'বঙ্গাব্দ', 'বাংলা সন' বা 'বাংলা সাল' ব্যবহৃত হওয়া অসম্ভব ছিল। অতো আগে বঙ্গ বা বাংলা বলে কোনো রাজ্য বা ভৌগোলিকভাবে সুসংবদ্ধ এলাকা গড়ে উঠেছিল- ইতিহাসে তার প্রমাণ নেই। তাই 'বঙ্গাব্দ'-র মতো আধুনিক শব্দের ব্যবহার যেমন সম্ভব ছিল না, তেমনি সঙ্গত কারণেই আরবি বা ফার্সি শব্দ 'সন' বা 'সাল'-এর ব্যবহার একেবারেই অকল্পনীয়। এসব কারণেই রাজা শশাঙ্কের সঙ্গে 'বঙ্গাব্দ' বা 'বাংলা সন'-এর সম্পর্ককে ইতিহাসসম্মত প্রত্যয় বলে মনে করেন না অনেক পন্ডিত।
‘সন’ ও ‘তারিখ’ দুটিই আরবী শব্দ। প্রথমটির অর্থ হল ‘বর্ষ’ বা ‘বর্ষপঞ্জী’ এবং অন্যটির অর্থ ‘দিন’। ‘তারিখ’ বলতে আবার ইতিহাসও বোঝায়। ‘সাল’ হচ্ছে একটি ফারসী শব্দ, যার অর্থ হল বৎসর।
‘ইংরেজি’ তথা ‘গ্রেগরীয়ান’ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মক্কা থেকে মদীনায় ঐতিহাসিক হিজরত অবলম্বন করে প্রবর্তিত, এই হিজরী সন শুরু হয় ৬২২ খ্রিস্টাব্দের ১৫/১৬ জুলাই তারিখ থেকে। বাংলা সনের মূলে হিজরী সন বিদ্যমান বিধায় হিজরী সালকেই সুকৌশলে বাংলা সনে রূপান্তরিত করা হয়।
বর্তমান ভারতের জাতীয় সন হচ্ছে শাকাব্দ। রাজা চন্দ্রগুপ্ত ৩১৯ অব্দে গুপ্তাব্দ প্রবর্তন করেন। এই সন পরে ‘বিক্রমাব্দ’ নামে অভিহিত হয়। এই ‘অব্দ প্রথমে শুরু হতো চৈত্র মাস থেকে। পরবর্তী পযায়ে কার্তিক মাসকে বছরের প্রথম মাস হিসেবে পরিচিহ্নিত করা হয়। খ্রিস্টপূর্ব ১৫ সালে ভারতে শক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। শক সনের স্মারক হিসেবে ৭৮ খ্রিস্টাব্দে শাকাব্দ চালু করা হয়। সৌরভিত্তিক শাকাব্দের রবিমার্গের দ্বাদশ রাশির প্রথম মেঘ অন্তর্গত পূর্ণচন্দ্রিকাপ্রাপ্ত প্রথম নক্ষত্র বিশাখার নামানুসারে বৎসরের প্রথম মাসের নাম রাখা হয় বৈশাখ। বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন যে, নাক্ষত্রিক নিয়মে বাংলা সনের মাসগুলোর নাম নিম্নেবর্ণিত নক্ষত্রসমূহের নাম থেকে উদ্ভূত হয়েছে:
মাসের নাম সংশ্লিষ্ট নক্ষত্রের নাম
বৈশাখ বিশাখা
জ্যৈষ্ঠ জ্যেষ্ঠা
শ্রাবণ শ্রাবণা
ভাদ্র ভাদ্রপদা
আশ্বিন আশ্বিনী
কার্তিক কার্তিকা
অগ্রহায়ণ অগ্রহায়ণ
পৌষ পৌষা
মাঘ মঘা
ফাল্গুন ফাল্গুনী
চৈত্র চিত্রা
‘ফসলি সন’ যখন প্রবর্তিত হয়, তখন কিন্তু ১২ মাসের নাম ছিল : কারওয়াদিন, আরদি, ভিহিসু, খারদাদ, তীর, আমরারদাদ, শাহরিয়ার, মিহির, আবান, আয়ুব, দায়, বাহমান ও ইসকান্দার মিয। পরবর্তী পর্যায়ে সেগুলো বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ইত্যাদিতে রূপান্তরিত হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে বংলা সনের প্রথম মাস কোন্টি ছিল সে বিষয়ে কিঞ্চিৎ মতানৈক্য রয়েছে। অধিকাংশ ঐতিহাসিক অভিমত প্রকাশ করেন যে, অগ্রহায়ণ হলো অগ্রাধিকার বিধায়, অতীতে আমাদের নববর্ষের দিন ছিল পহেলা অগ্রহায়ণ। অর্থাৎ ‘হায়ণ’ বা বৎসরের প্রারম্ভে যায় যে মাস তার প্রথম দিন ছিল আমাদরে নববর্ষের দিন। কিন্তু ৯৬৩ হিজরিতে যখন ‘ফসলি সন’ বা ‘বাংলা সন’ শুরু করা হয়, তখন হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম বৈশাখ মাসের সঙ্গে মিশে যায়। ফলে, এ দেশে ১লা বৈশাখই ‘নওরোজ’ বা ‘নববর্ষ’ হিসেবে পরিচিহ্নিত হয়। উল্লেখ্য, ‘ইংরেজি’ তথা গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডারের ক্ষেত্রেও প্রথমে ১লা মার্চ ছিল ‘নিউ ইয়ারস ডে’। কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে পহেলা জানুয়ারি সে সম্মানজনক স্থান দখল করে নেয়।
পয়লা বৈশাখ বা পহেলা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বাংলা সনের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নেন। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন উৎসব। বিশ্বের সকল প্রান্তের সকল বাঙালি এ দিনে নতুন বছরকে বরণ করে নেন। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা একে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করার উপলক্ষ্য হিসেবে বরণ করে নেন। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১৪ই এপ্রিল অথবা ১৫ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালিত হয়। আধুনিক বা প্রাচীন যে কোন পঞ্জিকাতেই এই বিষয়ে মিল রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। বাংলা একাডেমী কর্তৃক নির্ধারিত আধুনিক পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এদিন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।
আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হতো। এর পরদিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হতো। এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয় যার রূপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে। তখনকার সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল একটি হালখাতা তৈরি করা। হালখাতা বলতে একটি নতুন হিসাব-বই বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হলো বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাঠের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা, সকল স্থানেই পুরনো বছরের হিসাব-বই বন্ধ করে নতুন হিসাব-বই খোলা হয়। হালখাতার দিনে দোকনদাররা তাদের ক্রেতাদের মিষ্টান্ন আপ্যায়ন করে থাকে। এই প্রথাটি এখনও অনেকাংশে প্রচলিত আছে, বিশেষত স্বর্ণের দোকানে।
আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম মহাযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্ত্তণ ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকাণ্ডের উল্লেখ পাওযা যায়। পরবর্তী সময়ে ১৯৬৭ সনের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি তেমন একটা জনপ্রিয় হয় নি।
By Emon RaihanFollow In Facebook



মাস্টার্স শেষ পর্ব প্রাইভেট ভর্তি
সেশন :২০১৪-২০১৫
.
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে
মাস্টার্স শেষ পর্ব প্রাইভেট ভর্তির জন্য
অনলাইনে আবেদন শুরু ১৯/৪/২০১৭ থেকে
২/৫/২০১৭ তারিখ পর্যন্ত।
প্রিন্টকৃত ফর্ম টাকা ও অন্যান্য কাগজ
পত্র সহ নির্ধারিত কলেজে জমা দেওয়ার
শেষ সময় ৪/৫/২০১৭ তারিখ পর্যন্ত।
.
By Emon RaihanFollow In Facebook 

ইন্টারনেটে পাসওয়ার্ড নিয়ে কম বিড়ম্বনায় পড়তে হয় না। এত সব ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড মনে রাখা কঠিন। ভুলে গেলে পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা আরেক ঝামেলা। এদিকে নিরাপত্তার স্বার্থেই সব ওয়েবসাইটে এক কিংবা সহজ কোনো পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে নিষেধ করেন বিশেষজ্ঞরা। তাহলে উপায় কী?
পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সফটওয়্যার ব্যবহার করে সহজে এই সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব। এই সফটওয়্যারগুলো কম্পিউটার কিংবা মুঠোফোনে ইনস্টল করে নিলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপে ব্যবহার করা পাসওয়ার্ড নিরাপদে সংরক্ষণ করা যায়। এতে বারবার পাসওয়ার্ড লেখা কিংবা মনে রাখার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারের মাস্টার পাসওয়ার্ড মনে রাখলেই হলো। সফটওয়্যারটি চালুর সময় একবার সে পাসওয়ার্ড দিতে হয়।
পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার হিসেবে লাস্টপাস সবচেয়ে জনপ্রিয়, নির্ভরযোগ্যও। কম্পিউটারের জন্য সফটওয়্যারটি নামিয়ে নিয়ে বিনা মূল্যে ব্যবহার করা গেলেও স্মার্টফোনে ব্যবহার করতে হলে নির্দিষ্ট ফি দিতে হতো। তবে নভেম্বর মাস থেকে লাস্টপাসের সব ধরনের সেবা বিনা মূল্যে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে কম্পিউটার হোক কিংবা স্মার্টফোন, যেকোনো একটি যন্ত্রে সংরক্ষণ করা পাসওয়ার্ড পাওয়া যাবে নিজের ব্যবহার করা সব যন্ত্রে।
লাস্টপাসের প্রিমিয়াম সংস্করণও রয়েছে। এতে অতিরিক্ত কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে। প্রিমিয়াম সংস্করণে কোনো বিজ্ঞাপন দেখাবে না। তবে সেটির জন্য মাসে এক ডলার করে ব্যয় করতে হবে।
সফটওয়্যারটি কম্পিউটারের জন্য https://goo.gl/ufd6Vf ঠিকানায়, অ্যান্ড্রয়েডে https://goo.gl/TMNc0j ঠিকানায় এবং আইওএস যন্ত্রে https://goo.gl/zKpSqt ওয়েব ঠিকানায় পাওয়া যাবে।
By Emon RaihanFollow In Facebook 

চৈত্রের তীব্র তাপদাহ, তার ওপর লক্ষ্মীপুরে রেকর্ড পরিমাণ লোডশেডিংয়ে নাভিশ্বাস ওঠেছে জনজীবনে। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়লেও লক্ষ্মীপুরে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না পাওয়ায় জেলার কর্তাব্যক্তিদের ব্যর্থতার প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। লক্ষ্মীপুরে এখন শহর আর গ্রামে সমান্তরালে চলছে লোডশেডিং। জেলা শহরেও একই অবস্থা। তাহলে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্য এবং জেলা প্রশাসন কী দায়িত্ব পালন করছেন, এনিয়ে বিস্তর অভিযোগ সাধারণ মানুষের।
গ্রামে রাতের টানা লোডশেডিংয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা এখন অনেকটা লাটে ওঠেছে। অপরদিকে দিনের অব্যাহত লোডশেডিংয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা এখন রশিকতা করে বলছেন, বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে যায়না, বিদ্যুৎ এখন মাঝে মাঝে আসে।
শীতকালে যখন বিদ্যুতের ব্যবহার কম থাকে তখন লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কম থাকে; গরমকালে যখন চব্বিশ ঘণ্টা বৈদ্যুতিক পাখা চালানোর প্রয়োজন হয়, তখন লোডশেডিংয়ের মাত্রা চরমভাবে বেড়ে যায়।
অপরদিকে দিনে অফিস-আদালত, কলকারখানা, দোকানপাট, সব একসঙ্গে খোলা থাকায় চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি থাকলেও রাতে যখন এসব কিছুই খোলা থাকে না, তখন বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি হওয়ার কথা নয়। অথচ সন্ধ্যায় যখন ছাত্রছাত্রীরা পড়তে বসে আর শ্রমজীবী মানুষ দিনের পরিশ্রম শেষে রাতে একটু ঘুমাতে যায়, তখন বিদ্যুৎ অপ্রত্যাশিতভাবে দিনের মতোই আসা-যাওয়ার খেলায় মেতে ওঠে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় নোয়াখালীর চৌমুহনী গ্রীড থেকে। তারা তাদের জেলার চাহিদা বলবৎ রেখেই লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছেন। লক্ষ্মীপুরের পার্শ্ববর্তী জেলা চাঁদপুরে বিদ্যুতের অতটা লোডশেডিং নেই। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, তাহলে লক্ষ্মীপুরের সাথে কেন এমন বিমাতাসুলভ আচরণ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুতের লোড ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এজিএম (কম) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, লক্ষ্মীপুরে ৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ২৪ মেগাওয়াট। যার ফলে বাধ্য হয়ে লোড ম্যানেজমেন্ট করা হচ্ছে। তবে তিনি বলেন, চলতি বছরের ১৮ ডিসেম্বর নাগাদ রামগঞ্জে স্থানীয় পাওয়ার গ্রীডের কাজ সম্পন্ন হলে লক্ষ্মীপুরে লোডশেডিং একেবারে কমে যাবে।

Credit : Amar Sangbad
By Emon RaihanFollow In Facebook

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় বর্ষ অনার্স (নিয়মিত)পরীক্ষার সময়সূচী প্রকাশ

By Emon RaihanFollow In Facebook 

Job Context
    Reporting to: Head of CRMS
Job Description / Responsibility
  • Update FI Line allocation in credit system as Maker/Checker
  • Update all the stakeholders / internal system according to credit approval and terms conditions agreed with the customers.
  • Review/Preparing/updating Local Operating Procedures.
  • Managing Risk Reporting and data quality.
  • Handle various external, regulatory & group audits.
  • Adhering to internal and external procedures and guidelines independently.
  • Coordination and implementation of credit related system enhancement.
  • Undertake need based reengineering projects for the department.
  • Reconciliation of Interest suspense for classified accounts/loans.
  • Ensure general & special provision based on central bank guideline.
  • Preparing Credit related data for audited Balance Sheet.
  • Managing Adhoc reporting to central bank.
  • Preparing need based MIS data for senior management of the bank.
  • Keeps liaison with several departments of Bangladesh Bank for Central Bank reports.
  • Management and preparation of all kinds of credit related Bangladesh Bank reporting.
Job Nature
Full-time
Educational Requirements
    Post-Graduation from any reputed university.
Experience Requirements
  • 7 to 8 year(s)
Job Requirements
  • 7/8 years' of experience in Banking mainly in Credit reporting and documentation.
  • A team player
  • Good Communication Skill
  • Sufficient knowledge on credit related regulations of the country.
  • Track record in delivering results - recognized for strong execution skills
  • Ability of multi-tasking
  • Good at MS Office
Job Location
Dhaka
Salary Range
    Negotiable
Job Source
Bdjobs.com Online Job Posting


Application Deadline : Apr 15, 2017
By Emon RaihanFollow In Facebook

Job Description / Responsibility
  • Manage budgeted portfolio with prevailing commercial banking business to retain sustainable banking relationships in a profitable manner and in line with assigned business growth target
  • Responsible for business development as well as generating new customer relationships through a combination of credit management, sales and relationship management by primarily focusing on commercial and industrial lending
  • Develop Business from new and existing clients, through strategic penetration into identified market/sectors across the entire portfolio spectrum like assets, liabilities, and cross-sell
  • Underwrite deals related to accepted proposals and managing the resulting portfolio
  • Monitor risk and ensure that the Bank's relationship strategy is in line with the portfolio and industry quality
  • Negotiate appropriate credit lines in conformity with the Bank's underwriting standards and risk adjusted targets after thorough assessment of information essential for the preparation of a detailed credit proposal
  • Ensure that the quality of the credit portfolio is maintained by reviewing proposals, identifying and assessing all risk inherent in credit exposures
Job Nature
Full-time
Educational Requirements
    Postgraduate, ideally with concentration in Business, Finance/Accounting or related field
Experience Requirements
  • 5 to 9 year(s)
Job Requirements
  • Minimum 5-10 years of experience in Corporate Banking or Commercial Banking
  • Strong credit assessment skills, ability to analyze financial statements and make recommendations on credit structure.
  • The ability to forge close relationships with external constituents as a representative of the bank.
  • Proven ability to deliver creative and flexible customer solutions.
  • Experience of working in centralized environment and real time on-line banking
  • Exhibits leadership qualities with ability to manage, coach, and mentor less experienced RMs
  • Excellent management, communication, interpersonal, team building and people management skills
  • Good computer literacy
Job Location
Anywhere in Bangladesh
Job Source
Bdjobs.com Online Job Posting

Apply Instruction
Please log on to www.ebl.com.bd/career and apply on or before April 20, 2017.
If you do not have Tracking Number, please Apply Online
If you have already registered, please click here to login and apply
Candidates will be treated strictly on merit. Only short listed candidates will be communicated and any sort of persuasion will result in disqualification.
Application Deadline : Apr 20, 2017

By Emon RaihanFollow In Facebook

Job
 Context
    Job Location: Branches located in Dhaka/ Chittagong/ Sylhet
Job Description / Responsibility
  • Ability to sell consumer products mainly; deposits, loans, credit cards other relevant products
  • Managing sales matrix along with finding potential customers
  • Coordinate with line Manager; preparing monthly, weekly & daily report
Job Nature
Full-time
Educational Requirements
    Graduate preferably in Business Studies/ BBA/ MBA/ MBM or Economics
Job Requirements
  • 6 Months experience in similar exposure will be an added advantage; fresh graduates are also encouraged to apply
  • Mature, pleasant and presentable personality
  • Good communication and interpersonal skills
  • High energy, confident, creative, resourceful and target orientated
  • Flexible, result driven and able to work independently to achieve sales target
Job Location
Chittagong, Dhaka, Sylhet
Salary Range
    Minimum Gross Salary BDT 12,000 (Higher if have similar experience)
Other Benefits
  • Uncapped incentive/ Commission Plan based on performance
  • Two Festival Bonuses
  • Other admissible benefits as per company policy
Job Source
Bdjobs.com Online Job Posting

Apply Instruction
Send your CV to endeavours.initiative@gmail.com or Click here to Email CV from MY BDJOBS account.
Applicant must enclose his/her updated Photograph with CV.
Application Deadline : Apr 18, 2017

By Emon RaihanFollow In Facebook

আশা করি সবাই ভালো আছেন। লিং শেয়ার করে টাকা আয়ের ধারাবাহিক পর্বে আপনাকে স্বাগতম। আমি এই ধারাবিহিক পর্বে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি কীভাবে লিং শেয়ার করে টাকা আয় করা যায়। আপনারা জানেন এইটা ২ পর্বের একটা পোষ্ট। এটা হলো এই ধারাবাহিক পর্বের শেষ পর্ব। ইনসাআল্লাহ এই পর্বেও আমি আপনাদের আরো অনেক তথ্য বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো। আপনারা যদি এর প্রথম পর্বটি না দেখে থাকেন তাহলে এখানে ক্লীক করে একবার দেখে নিতে পারেন। তাহলে আসুন মহান আল্লাহর নামে কাজের কথায় আসি।

আজকের পর্বে আমি আলোচনা করবো:

ক. লিং ব্যবহারের নিয়ম
খ. রিপোর্ট
গ. ব্যালেন্স
ঘ. আপডেট খবর
ঙ. একাউন্ট সেটাংস
চ. পেমেন্ট
ছ. সত্যতা

ক. লিং ব্যবহারের নিয়ম:

১. প্রথমে আপনার এডফ্লাই এর লগইন করুন।
২. আপনি একটি বক্স দেখতে পাবেন।
৩. এখন আপনার যে লিংটি আছে সেটি ঐ বক্সে পেষ্ট করে দিন। তারপর Shrink বাটনে ক্লীক করুন।
৪. ফলে আপনার লিংটি জেনারেট হয়ে যাবে। এবার ঐ লিংটি আপনার ব্লগ বা যে কোন ওয়েবসাইটে শেয়ার করুন।
৫. এখন যখন আপনার ভিজিটর ঐ লিং এ ক্লীক করবে তখন Skip Ad নামে একটি বাটন আসবে। সেখানে ক্লীক করলে আপনার ভিজিটর ডাউনলোড লিং এ চলে যাবে। এবং আপনার এডফ্লাইএর একাউন্টে টাকা জমা হবে।

খ. রিপোর্ট:

আপনার লিংগুলো থেকে কতবার ডাউনলোড হয়েছে এবং কত টাকা আয় হয়েছে সেটার একটা রিপোর্ট সুবিধাও রয়েছে এডফ্লাই তে। এটা অনেকটা শেয়ার বাজারের দাম কমা বাড়ার একটা চার্ট এর মতো। নিচের ছবিটা দেখলেই বুঝতে পারবেন:

গ. ব্যালেন্স:

আপনি কত টাকা আয় করেছেন মুলত সেটাই হলো আপনার ব্যালেন্স। একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন আপনার লিংটি দিয়ে যত বেশি ডাউলোড বা ক্লীক হবে আপনি তত বেশি ব্যালেন্স পাবেন। এটাই স্বাভাবিক। আপনি যখন এডফ্লাইতে লগইন করবেন তখনই আজকের এবং সর্বমোট ব্যালেন্সটি দেখতে পাবেন। কিন্তু যখন আপনি পেমেন্ট পাবেন তখন আপনার ব্যালেন্স $0.0000 হয়ে যাবে। মানে আপনার ব্যালেন্স রিস্টার্ট হয়ে যাবে এবং আবার প্রথম থেকে আয় করতে হবে। নিচে ছবির মাধ্যমে দেখানো হলো:

ঘ. আপডেট খবর:

এডফ্লাই এর এডমিন এর কাছ থেকে বিভিন্ন আপডেট নিউজ পাওয়া যায়। আর সেটা এডফ্লাই এ লগইন করার পর হোম পেজেই থাকে। ভাবছেন কেমন খবর? যেমন ধরুন পেমেন্ট কবে করা হয়েছে। নতুন সুবিধা ইত্যাদি ইত্যাদি।

ঙ. একাউন্ট সেটাংস

এটা এডফ্লাই এর অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ণ একটা জায়গা। এখানেই মুলত আপনার পেমেন্ট এর ইমেইলটি থাকে। মানে আপনি পেপাল নাকি এলার্টপের মাধ্যমে টাকা আয় করবেন। আপনার একাউন্ট সেটাংস এর জন্য এডফ্লাই এর Account বাটনে ক্লীক করুন। এবার নিচের দিকে Payment Processor এর বক্সে আপনি যে মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট নিতে চান সেটি সিলেক্ট করুন। এলার্টপের মাধ্যমে টাকা নিতে চাইলে Alertpay সিলেক্ট করুন। অথবা পেপালের  মাধ্যমে টাকা নিতে চাইলে Paypal সিলেক্ট করুন। এবার Withdrawal Email এ আপনার ইমেইলটা লিখুন। পেপাল হলে পেপালএর ইমেইল অথবা এলার্টপে হলে এলার্টপের ইমেইল। সবশেষে Update বাটনে ক্লীক করে আপনার একাউন্টটি সিলেক্ট করুন। আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে একটা ছবি দেওয়া হলো:

চ. পেমেন্ট:

এডফ্লাইতে আপনি সর্ব নিম্ন ৫ ডলার হলে টাকা তুলতে পারবেন। এডফ্লাই এর একটা বিষয় আমার খুবই ভালো লাগে। আর সেটা হলো অটোমেটিক পেমেন্ট। অনেকটা গুগল এডসেন্স এর মতো। এডফ্লাইতে টাকা তুলতে কোন রিকুয়েস্ট পাঠাতে হয় না। মাসে শেষে নির্ধারিত তারিখে অটোমেটিক টাকা পেমেন্ট করা হয়। আমি আগেই বলেছি আপনি টাকা পেপাল বা এলার্টপের মাধ্যমে তুলতে পারবেন।

ছ. সত্যতা:

এডফ্লাই এর ফোরামে গেলেই পেমেন্ট এর সত্যতা এবং নানান প্রশ্নের জবাব পাবেন। সেখানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন টপিকে পোষ্ট হয়। বিশেষ করে পেমেন্ট এর সত্যতা সম্পর্কে। যারা পেমেন্ট পায় তারা সেখানে তাদের একাউন্ট দেখায়। এটা আপনারা দেখলেই বুঝতে পারবেন। তবুও আপনাদের সান্তনা দেওয়ার জন্য ৭ তারিখের পেমেন্টের ছবি নিচে দেওয়া হলো:
আশা করি আপনারা এডফ্লাই সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। আমি আরো আশা করবো আপনার এড ফ্লাই এর মাধ্যমে একজন সফল ব্লগার হিসেবে গড়ে উঠতে পারবেন। কোন সমস্যা বা ভালো লাগলে বা কাজে লাগলে কমেন্টস করতে আবার আলসেমি করবেন না যেন।