Recent Post
Loading...

 সিমেন্ট তৈরির প্রধান কাঁচামাল সমূহ

সিমেন্ট কি দিয়ে তৈরি করা হয় বা এর প্রধান উপকরণ কি?

আজকে আমরা জানবো সিমেন্ট কি দিয়ে তৈরি হয় এবং এর প্রধান প্রধান উপকরন সমূহ সম্পর্কে ও সিমেন্ট কত প্রকার ও কি কি বিস্তারিত।

সিমেন্ট তৈরির প্রধান কাঁচামাল সমূহ?

  1. ক্লিংকার
  2. জিপসাম
  3. লাইম স্টোন
  4. স্লাগ
  5. ফ্লাই অ্যাশ

স্পেশাল সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল সমূহ?

নির্দিষ্ট প্রয়োজনে আবার স্পেশাল সিমেন্ট তৈরি করতে হয়. তবে এ সিমেন্ট তৈরি করা হয় মাত্র ২টি উপকরণ দিয়ে।

  1. ক্লিংকার ৯৪% থেকে ৯৭%
  2. জিপসাম ৩% ৫%

এখানে কোম্পানির চাহিদানুযায়ী পার্সেন্ট দেওয়া হয়।

সিমেন্ট কত প্রকার ও কি কি?

এবার আসি সিমেন্ট কত প্রকার ও কি কি এ বিষয়। সিমেন্ট মূলত ৪ প্রকার। তবে গ্রাহকের চাহিদানুযায়ী সিমেন্ট ভিবিন্নভাবে তৈরি করা হয়।

সিমেন্ট এর প্রকারভেদ?

সিমেন্ট মূলত ৪ প্রকার।

  1. অডিনারি পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট
  2. পোর্টল্যান্ড কম্পোজিট সিমেন্ট
  3. পোর্টল্যান্ড প্রপোজনা সিমেন্ট
  4. পোর্টল্যান্ড স্লাগ সিমেন্ট
সিমেন্ট: 
সিমেন্ট হল সেই সকল গুড়া জাতীয় পদার্থের সাধারণ নাম, যাদেরকে পানি বা অন্য কোন তরলের সাথে মিশ্রিত করলে কাদার মত নমনীয় পদার্থ পাওয়া যায় এবং তা কিছু সময়ের মধ্যে জমে গিয়ে বিভিন্ন দৃঢ়তার শক্ত পদার্থ গঠন করে। সিমেন্ট বাড়ী-ঘর, রাস্তা, সেতু ইত্যাদি যাবতীয় নির্মান কাজের প্রধান উপাদান। সিমেন্ট শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে “রোমানস্” থেকে, তৎকালিন রোমানরা পোড়া চুন ও গুঁড়ো শিলা দিয়ে দেয়াল তৈরি করত যা প্রায় আধুনিক কংক্রিট মত এবং এটিকে তার বলত caementicium। ​​রোমানস্-রা,আগ্নেয় ছাই ও পোড়া চুন পানির সাথে মিশিয়ে তা দিয়ে ইট, পাথর, স্লেট জোড়া দিয়ে দেয়াল তৈরি করত যাকে ascementum, cimentum, cäment এবং সিমেন্ট হিসাবে উল্লেখ করা হয়। যেখানে মর্টার বা প্লাষ্টার তাড়াতাড়ি জমান বাঁধার দরকার হয়। পানিরোধক নির্মাণ কাজে। সিমেন্ট পরীক্ষা জমাট বাঁধার সময় পরীক্ষা (প্রাথমিক ও শেষ)। সাউন্ডনেস্ পরীক্ষা। রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি পরীক্ষা। কমপ্রেসিভ ও টেনসাইল ষ্ট্রেংন্থ পরীক্ষা। সিমেন্ট মজুদ রাখার নিয়মাবলি শুল্ক বায়ু চলাচল করে এমন জায়গায় সিমেন্ট রাখতে হবে। দেয়ালের ঠেস দিয়ে রাখা যাবে না। পানি সংস্পর্শে আসতে পারে এমন জায়গায় রাখা যাবে না। ব্যাগগুলো ধাপে ধাপে রাখতে হবে। একটি ব্যাগের উপর আরেকটি এভাবে সর্বোচ্চ দশটি ব্যাগ রাখা যাবে। দুই লাইনের মাঝে ফাঁকা জায়গা থাকতে হবে। ষ্টোর করার জায়গায় নিচে কাঠের গুড়া (ভুসি) ছিটিয়ে দিয়ে তার উপর কাঠের বাটাম রেখে সিমেন্ট রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে পানি সিমেন্টের সবচেয়ে বড় শত্রু।

১. সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট উপাদান-
ক্লিংকার >=৯৭% এবং জিপসাম =<০৩%
২. পোর্টল্যান্ড প্রজ্জোলনা বা ফ্লাই অ্যাশ সিমেন্ট উপাদান
ক্লিংকার = ৮৪-৮৬%, ফ্লাই অ্যাশ=১১-১৩% এবং জিপসাম =<০৩%
৩. ব্লাষ্ট ফার্মেস স্লাগ সিমেন্ট উপাদান
ক্লিংকার =৭০-৭৫%, ব্লাষ্ট ফার্নেস স্লাগ =২০-২৫% এবং জিপসাম =<০৫%
৪. হোয়াইট সিমেন্ট

পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট এবং সাধারণ সিমেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি?

কম্পোজিট পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট প্রধান বৈশিষ্ট্য: প্রাথমিকভাবে নিম্ন শক্তি, ভাল তাপ সহ্য করার ক্ষমতা, এসিড প্রতিরোধের দরিদ্র। মিশ্রণ হিসাবে ফ্লাই অ্যাশ এবং কয়লা আঠা ব্যবহার করে, সবুজ বিল্ডিং উপকরণ বিভাগ, জাতীয় ট্যাক্স উত্সাহ, প্রথম দিকে এবং দেরী শক্তি এবং স্থায়িত্ব, জল ভোগ সাধারণ শিল্প ও সিভিল নির্মাণের জন্য উপযুক্ত নিম্ন তাপ, অর্থনৈতিক সিমেন্টের একটি প্রকার। সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট মূল বৈশিষ্ট্য: উচ্চ প্রাথমিক শক্তি, উচ্চ জলবিদ্যুত তাপ, জমাট ভাল প্রতিরোধের, দরিদ্র তাপ সহ্য করার ক্ষমতা, দরিদ্র ক্ষয় প্রতিরোধের, কম শুষ্ক সংকোচন। সুযোগ: উত্পাদন স্থল, ভূগর্ভস্থ এবং জল কংক্রিট, চাঙ্গা জমাটবদ্ধ এবং প্যাস্রেসযুক্ত কংক্রিটের কাঠামো, যা চক্রের ত্বক ও ঝলকানো গঠন এবং উচ্চ শক্তি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয়তাগুলি সাপেক্ষে। তারা বড় ভলিউম কংক্রিট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং রাসায়নিক এবং সমুদ্রতীরবর্তী ক্ষয় প্রকোপের জন্য উপযুক্ত নয়। যেখানে সিমেন্ট সিমেন্ট ক্লিঙ্কার, 6% -15% মিশ্র উপাদান এবং জলবাহী সিমেন্টটিসিয়াল বস্তুর তৈরি জিপসামের পরিমাণ, সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট হিসাবে পরিচিত, সাধারণ সিমেন্ট হিসাবে পরিচিত। সাধারণ সিলিকেট জন্য জাতীয় মান সিমেন্ট জন্য প্রযুক্তিগত প্রয়োজনীয়তা হয়:
(1) 80μm বর্গক্ষেত্র স্ক্রিন চালের জাল আকারের মাপ 10% অতিক্রম করা উচিত নয়, অন্যথায় অযোগ্য।
(2) প্রাথমিক সেটিং সময়ের সমন্বয় সময় 45 মিনিটেরও বেশি হতে হবে না, চূড়ান্ত সেট করার সময় 10 ঘণ্টার আর নয়।
(3) কম্প্রেশন এবং flexural শক্তি অনুযায়ী, পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট 325,425,525,625 চার লেবেল মধ্যে বিভক্ত করা হয়।
মিশ্র উপাদান কম কন্টেন্ট কারণে সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট, তার প্রকৃতি এবং পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট মূলত একই, সামান্য ভিন্ন, প্রধানত নিম্নরূপ:
(1) প্রাথমিক শক্তি সামান্য কম
(2) সামান্য ভাল জারা প্রতিরোধের
(3) হাইড্রেশন তাপ সামান্য কম
(4) ভাল দন্ত প্রতিরোধ এবং অসমতা
(5) কার্বনিকীকরণের জন্য সামান্য কম প্রতিরোধী
(6) সামান্য কম পরিধান প্রতিরোধের
পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট ক্লিঙ্কার দ্বারা মিশ্রিত পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট, মিশ্র উপাদানগুলির বিধানগুলির তুলনায় দুই বা তত বেশি, জলবাহী সিমেন্টিটাস উপাদান থেকে গঠিত জিপসাম পরিমাণ, যা কম্পোজিট পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট (কম্পোজিট সিমেন্ট হিসাবে পরিচিত) নামে পরিচিত। সিমেন্টের মিশ্র উপাদানগুলির মোট পরিমাণ ভর দ্বারা 15% এবং 50% এরও বেশি নয়। সিমেন্টের মিশ্র বস্তুর অংশ প্রতিস্থাপনের জন্য আট শতাংশেরও বেশি ভাণ্ডারি ধুলাকে অনুমতি দেওয়া হয়। মিশ্র উপাদান কন্টেন্ট স্ল্যাগ লবণ সিমেন্ট পুনরাবৃত্তি সঙ্গে মিশ্রিত করা হবে না। সিমেন্ট সাধারণত পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট এবং বিশেষ সিমেন্ট দিয়ে মিশ্রিত সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্টে ভাগ করা হয়। সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট: মিশ্রণের অনুপাতে চুনাপাথর, মাটি, লৌহ আকরিক পাউডার দ্বারা, এই সময় কাঁচামাল বলা হয় কাঁচামাল। ক্যালকিন্ড, প্রায় 1450 ডিগ্রির সাধারণ তাপমাত্রা, ক্লিঙ্কার নামে ক্যালকিন্ড পণ্য। তারপর ক্লিনার এবং জিপ্সাম মিশ্রিত অনুপাত অনুযায়ী, সিমেন্ট হিসাবে পরিচিত। মিশ্রণ সঙ্গে মিশ্রিত সিলিকেটের সিমেন্ট একটি সনাতন পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট অন্যান্য উপাদান যোগ করা হয় যেমন স্লাগ সিমেন্ট, পোজজোলানিক সিলিকেট সিমেন্ট, ফ্লাই অ্যাশ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট, কম্পোজিট পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট ইত্যাদি বিশেষ প্রভাব অর্জনের জন্য প্রক্রিয়াকরণের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অনুপাতে। মৌলিক সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্টের চেয়ে সিমেন্টের কাঁচামাল আরও সক্রিয় মিশ্র উপাদান বা অ সক্রিয় মিশ্র উপাদান। উপাদান স্তর বিশেষ সিমেন্ট এবং উত্পাদন প্রক্রিয়া কিছুটা আলাদা, যেমন উচ্চ অ্যালুমিনিয়াম সিমেন্ট (অ্যালুমিনিয়াম সিমেন্ট) উপাদান বক্সাইট, ক্লিনার পেতে calcination পরে চুনাপাথর, এবং তারপর aluminate সিমেন্ট মধ্যে মাটিতে। অন্যদের মধ্যে সিমেন্টের কিছু বৈশিষ্ট্য যেমন কমপক্ষে ব্যবহৃত সাদা সিমেন্ট, প্রধানত সজ্জাসংক্রান্ত কাজগুলির জন্য ব্যবহৃত হয়, উপাদানটি বিশুদ্ধ ক্যালোনি, বিশুদ্ধ কোয়ার্টজ বালি, বিশুদ্ধ চুনাপাথর, কাঁচামালের যথাযথ তাপমাত্রায় ক্যালসিনযুক্ত। চীন 1 জুন, ২008 থেকে নতুন সিমেন্ট মাপকাঠিটি বাস্তবায়ন করবে, নতুন মান মূল মিশ্র পোর্টল্যান্ড সিমেন্টকে সর্বোচ্চ পরিমাণে মিশ্র উপাদানের 15% থেকে ২0% পর্যন্ত সরবরাহ করে। এটি জার্মানির সমতূল্য (ইউরোপ একই) সিমেন্টের দশটি জাতের বিবরণ, আমাদের দেশে "সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট" হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ফ্লাই অ্যাশ সিমেন্ট কি???? ফ্লাই অ্যাশকে সহজভাবে এক ধরণের ছাই বলতে পারেন, যেটি বয়লারের চিমনী থেকে ধোঁয়ার সাথে বেরিয়ে আসে। মূলত কয়লা ব্যবহার করা হয় এমন বয়লার থেকেই ফ্লাই অ্যাশ পাওয়া যায়। এটি সিমেন্ট তৈরীর অন্যতম প্রধান উপাদান। সিমেন্টের প্রধান উপকরণ হলো ক্লিংকার আর এই ক্লিংকারের প্রধান উপকরণ চুনাপাথর। চুনাপাথর পানির সাথে বিক্রিয়া করে প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে যা ভারি এবং বিশাল আয়তনের নির্মাণ কাজের জন্য ক্ষতিকর। তাপ বেশি উৎপন্ন হলে ঢালাইয়ের পর স্থাপনাতে চুলের মতো সূক্ষ্ম ফাটল দেখা দেয়, যা Hard crack নামে পরিচিত। বর্তমানে এই সমস্যা দূর করার জন্য সিমেন্টে ক্লিংকারে পরিমাণ কমিয়ে তার জায়গায় কয়লা চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে বাই প্রোডাক্ট হিসাবে যে পোড়ানো কয়লা পাওয়া যায় তা ব্যবহার করা হয়। এই পোড়ানো কয়লা ফ্লাই অ্যাশ নামে পরিচিত। ফ্লাই অ্যাশের কণা ক্লিংকারের কণা বিকল্প হিসাবে এই ধরণের সিমেন্ট ফ্লাই অ্যাশ ব্যবহার করা হয় তাই এই সিমেন্টকে পোর্টল্যান্ড প্রজ্জোলনা বা ফ্লাই অ্যাশ সিমেন্ট বলে। বিশেষ বৈশিষ্ট্য ফ্লাই অ্যাশ সিমেন্ট ঢালাইয়ের সময় খুব কম তাপ উৎপাদন করে, ফলে ঢালাই শক্ত হওয়ার পরে hair crack এর প্রবণতা কমে যায়। এ ছাড়া এই ধরনের সিমেন্ট সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট অপেক্ষা বেশি শক্তি প্রদান করে। তবে এর প্রাথমিক শক্তি অর্জনের হার সাধারন পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট অপেক্ষা কম থাকে। উপাদান ক্লিংকার = ৮৪-৮৬%, ফ্লাই অ্যাশ=১১-১৩% এবং জিপসাম =<০৩% ষ্ট্যান্ডার্ড ASTM (আমেরিকান সোসাইট ফর টেষ্টিং এন্ড মেটেরিয়ালস্) : Type IP ৫৯৫-০২ BDS-EN (বাংলাদেশ ষ্ট্যান্ডার্ড-ইউরোপিয়ান নর্ম) : EN১৯৭-১:২০০০ CEMI II / (I-M) ৪২.৫N ব্যবহার ভারি কন্সট্রাকশন কাজে যেখানে একসাথে প্রচুর সিমেন্ট ব্যবহৃত হয় এবং প্রচুর তাপ উৎপন্ন হবার সম্ভাবনা থাকে। লোনা পানির আবহাওয়াতে, মাটির নিচের কাজে, পানির নিচে বা পানির সংস্পর্শে থাকে এমন স্থাপনাতে। উল্লেখ্য যে যুক্তরাষ্ট্রে হেবিটি উঅগ যা বিশ্বের বৃহত্তম উঅগ এই প্রকার সিমেন্টের তৈরি।

৩. ব্লাষ্ট ফার্মেস স্লাগ সিমেন্ট
বর্তমান সময়ে সিমেন্ট ক্লিংকারের অনুপাত কমিয়ে তার বদলে বিভিন্ন ধরনের সমধর্মী উপাদান মেশানো হয়। সেরূপ একটি সমধর্মী উপাদন হলো ‘স্লাগ। ইস্পাত কারখানা থেকে উৎপাদিত এক প্রকার বাই প্রোডাক্ট হচ্ছে স্লাগ। এই ব্লাষ্ট ফার্নেস স্লাগ সিমেন্ট এবং কার্যকারিতা OPC সিমেন্টের মতই বরং এটি কম তাপ উৎপন্ন করে এবং লবণাক্ত আবহাওয়াতে এই সিমেন্ট সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট থেকে বেশী কার্যকরী। এই সিমেন্ট স্থাপনাকে বাতাসের সালফারের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট এর তুলনায় যদিও প্রথম দিকে এর শক্তি অর্জনের হার কম কিন্তু পরবর্তীতে স্লাগ সিমেন্ট OPC সিমেন্ট থেকে প্রায় দেড় গুণ শক্তি বেশি অর্জন করে থাকে। উপাদান ক্লিংকার =৭০-৭৫%, ব্লাষ্ট ফার্নেস স্লাগ =২০-২৫% এবং জিপসাম =<০৫% ষ্ট্যান্ডার্ড ASTM (আমেরিকান সোসাইট ফর টেষ্টিং এন্ড মেটেরিয়ালস্) : ঈ ৫৯৫-০২ BDS-EN (বাংলাদেশ ষ্ট্যান্ডার্ড-ইউরোপিয়ান নর্ম) : EN১৯৭-১:২০০০ CEM II /ই-গ (ঝ-খ) ৪২.৫ঘ ব্যবহার ভারি কন্সট্রাকশন কাজে যেখানে একসাথে প্রচুর সিমেন্ট ব্যবহৃত হয় এবং প্রচুর তাপ উৎপন্ন হবার সম্ভবনা থকে। লোনা পানির আবহাওয়াতে, মাটির নিচের কাজে, পানির নিচে বা পানির সংস্পর্শে থাকে এমন স্থাপনাতে।

৪. হোয়াইট সিমেন্ট
এ ধরনের সিমেন্ট সিমেন্ট শুধু সৌন্দর্য বর্ধনের কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন ফ্লোরের মোজাইকের কাজ বা স্থাপনার বাহিরের দিকের fare face finishing এর জন্য এই সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়। এই সিমেন্টের মূল উপাদান ক্লিংকার কিন্তু এ ক্লিংকার সাধারন ক্লিংকার থেকে অনেক গুণ বেশি পরিশোধিত। ফলে এর দামও সাধারণ সিমেন্টের চেয়ে থেকে ৪ গুণ বেশি।

ষ্ট্যান্ডার্ড ASTM (আমেরিকান সোসাইট ফর টেষ্টিং এন্ড মেটেরিয়ালস্) : C ১৫০-৯২ BS (বৃটিশ ষ্ট্যান্ডার্ড) : ১২:১৯৮৯ ব্যবহার মোজাইকের কাজে ও বাহিরের দেয়ালের কাজে। নিম্নলিখিতবিষয়গুলির জন্য সিমেন্ট চুন অপেক্ষা অধিক ব্যবহার উপযোগী এবং উৎকৃষ্ট ভিজা এবং পানির নিচে নির্মাণ কাজ তৈরিতে। যেখানে নির্মাণ কাজে স্থায়ীত্ব এবং অধিক শক্তির প্রয়োজন মিহিত্ব পরীক্ষা।
শিখনফল: যৌগের সংকেত (আণবিক অথবা গাঠনিক) থেকে  সম্ভাব্য সমাণুগুলি নির্ণয় করতে পারবে।





আগের পর্বে আমরা যৌগের সমাণুতার প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনেছি।


এই পর্বে আমরা শিখব কিভাবে যৌগের সংকেত থেকে সমাণু নির্ণয় করতে হয়।

সাধারণত যৌগের আনবিক সংকেতের সমাণু নির্ণয় করতে বলা হলে গাঠনিক সমাণু নির্ণয়ের চেষ্টা করতে হয় এবং গাঠনিক সংকেতের সমাণু নির্ণয় করতে বলা  হলে স্টেরিও সমাণু নির্ণয়ের চেষ্টা করতে হয়। তবে সম্ভাব্য সকল সমাণু নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সবরকম সমাণুর গঠন সম্ভব কিনা চেষ্টা করে দেখতে হবে।

গাঠনিক সমাণু নির্ণয়ের ক্ষেত্রে নিচের নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে-

  • প্রথমেই প্রদত্ত যৌগের সংকেত থেকে যৌগটির সমগোত্রীয় শ্রেণী নির্ধারণ করতে হবে। একটি যৌগ শুধুমাত্র তার সমগোত্রীয় শ্রেণীর সমাণু গঠন করবে। নিচে যৌগের সাধারণ সংকেত ও তার সমগোত্রীয় শ্রেণী দেখানো হল-

আনবিক সংকেত
সমগোত্রীয় শ্রেণী
CnH2n+2
অ্যালকেন
CnH2n
অ্যালকিন, সাইক্লো অ্যালকেন
CnH2n-2
অ্যালকাইন, সাইক্লো অ্যালকিন, ডাই-ইন
CnH2n+2O
অ্যালকোহল, ইথার
CnH2n+1OH
অ্যালকোহল
CnH2nO
কার্বনাইল (অ্যালডিহাইড, কিটোন)
CnH2nO2
কার্বোক্সিলিক এসিড, এস্টার
CnH2n+3N
সম্পৃক্ত অ্যালিফেটিক অ্যামিন

  • কার্বন সংখ্যা অনুযায়ী সবচেয়ে দীর্ঘ শিকল তৈরী করতে হবে।
  • কার্বনের সংখ্যা কমিয়ে বিভিন্ন শাখা শিকল তৈরী করতে হবে। মূল শিকলে যতগুলি কার্বন সংখ্যা কমানো হবে শাখা শিকলে ঠিক ততগুলো কার্বন যুক্ত করতে হবে।
  • শিকলের সম্ভাব্য সকল স্থানে কার্যকরী মূলক বসাতে হবে।


সম্ভাব্য সকল গাঠনিক সমানু পাওয়ার পর স্টেরিও সমাণু হয় কিনা দেখতে হবে।

স্টেরিও সমাণু:

দ্বিবন্ধন যুক্ত যৌগ অথবা চাক্রিক যৌগ জ্যামিতিক সমাণুতা প্রদর্শণ করে। (অর্থাৎ যদি যৌগটি দ্বিবন্ধনযুক্ত যৌগ অথবা চাক্রিক যৌগ হয় তাহলে সেটি সিস-ট্রান্স সমাণু গঠণ করে কিনা দেখতে হবে)

কাইরাল কার্বন যুক্ত যৌগ আলোক সমাণুতা প্রদর্শণ করে। (অর্থাৎ যদি যৌগটিতে একটি কাইরাল কার্বন থাকে তবে ঐ কার্বন পরমাণুর স্বাপেক্ষে পরস্পর অসমপাতিত দর্পণ প্রতিবিম্ব তৈরী করতে হবে)

এইবার এই নিয়ম গুলো অনুসরণ করে আমরা  C4H8 এর সম্ভাব্য সকল সমাণু নির্ণয় করি-

১. যৌগের সংকেত থেকে সমগোত্রীয় শ্রেণী নির্ণয়-

C4Hঅর্থাৎ CnH2n  সাধারণ সংকেত বিশিষ্ট যৌগের সমগোত্রীয় শ্রেণী হল অ্যালকিন এবং সাইক্লো অ্যালকেন (অর্থাৎ যৌগটির শুধুমাত্র অ্যালকিন ও সাইক্লো অ্যালকেন সমাণু থাকবে)।

২. যেহেতু এই যৌগে ৪টি কার্বন পরমাণু তাই সবচেয়ে দীর্ঘ শিকলটি হবে ৪ কার্বন এর। আবার যেহেতু এটি অ্যালকিন সমগোত্রীয় শ্রেনীর যৌগ তাই দীর্ঘ শিকলে অবশ্যই একটি দ্বিবন্ধন থাকবে। তাহলে আমরা ৪ কার্বনের যে সমাণুগুলি সাজাতে পারছি তা হল-

(i) 

(ii)

(iii) 



(লক্ষ্য কর, আপাতদৃষ্টিতে (i) ও (iii) গাঠনিকভাবে ভিন্ন মনে হলেও জৈব যৌগের নামকরণের নিয়ম থেকে আমরা জানি এই দুটি আসলে একই গঠন এবং একই যৌগ। তাই (i) ও (iii) আসলে একই সমাণু। এদের দুইটি আলাদা সমাণু হিসেবে লেখা যাবে না।)

৩. ৪ কার্বনের পর দীর্ঘ শিকলে কার্বনের সংখ্যা কমিয়ে অনুরূপভাবে শিকল কাঠামো তৈরী করতে হবে। এক্ষেত্রে ৩ কার্বনের শুধুমাত্র নিম্নোক্ত গঠনের একটিমাত্র যৌগ তৈরী করা সম্ভব হয়।

(আপাত দৃষ্টিতে ভিন্ন কিন্তু একই গঠনের এবং একই নামের এই একটি যৌগই সম্ভব)


যেহেতু এই যৌগটি দিয়ে ২ কার্বনের আর কোন শিকল গঠন সম্ভব হয় না তাই আমরা পরবর্তী সমগোত্রক অর্থাৎ সাইক্লো অ্যালকেন সমাণু সাজানোর চেষ্টা করি-
৪.(ক) প্রতিটি কার্বন (৪টি) দিয়ে চক্রিয় কাঠামোর অ্যালকেন-


৪.(খ) কার্বনের সংখ্যা কমিয়ে চক্রিয় কাঠামোর অ্যালকেন-

(আপাত দৃষ্টিতে ভিন্ন কিন্তু একই গঠনের এবং একই নামের এই একটি যৌগই সম্ভব)

এভাবে সবগুলি গাঠনিক সমাণু নির্ণয় করার পর আমরা দেখব এই যৌগটির স্টেরিও সমাণু সম্ভব কিনা-

আমরা জানি দ্বিবন্ধন ও চক্রীয় যৌগ জ্যামিতিক সমাণু প্রদর্শন করে।

এর মধ্যে বিউট-২-ইন সমাণু গঠনটি সিস-ট্রান্স জ্যামিতিক সমাণুতা প্রদর্শণ করে- 


যেহেতু এই যৌগে কোন কাইরাল কার্বন নেই তাই এটি আলোক সমাণুতা প্রদর্শন করবে না।

তাহলে C4Hএর সম্ভাব্য সকল সমাণুগুলি হচ্ছে

গাঠনিক সমাণু:


স্টেরিও সমাণু:



এইবার আমরা জৈব যৌগের সমাণুতা-১ পর্বে বিভিন্ন প্রকারের সমাণু শেখার সেময় যে কাজগুলি ছিল সেগুলি মিলিয়ে দেখি-

C5H12-এর শিকল সমাণু নির্ণয় করার চেষ্টা কর-

(C5H12  অ্যালকেন সমগোত্রক। মূল শিকলে কার্বনের সংখ্যা কমিয়ে সম্ভাব্য সমাণু নির্ণয় করতে হবে)



C4H8এর অবস্থান সমাণু নির্ণয় করার চেষ্টা কর-

C4H8 অ্যলকিন সমগোত্রক, তাই দ্বিবন্ধনের অবস্থান দিয়ে সমাণুতা নির্ণয় করতে হবে)

C2H6O-এর কার্যকরী মূলক সমাণুতা নির্ণয় করার চেষ্টা কর-

(C2H6O এর সমগোত্রক অ্যালকোহল ও ইথার তাই এই দুটি কার্যকরী মূলকযুক্ত সমাণু নির্ণয় করতে হবে)

C4H10O –এর মেটামার নির্ণয় করার চেষ্টা কর-


(C4H10O এর সমগোত্রক অ্যালকোহল ও ইথার। আমরা জানি, ইথার, কিটোন ও সেকেন্ডারি অ্যামিনসমূহ মেটামারিজম প্রদর্শন করে। তাই ইথার মূলকের দুই পাশে ভিন্ন সংখ্যক কার্বন পরমাণু লিখে মেটামার সমাণু নির্ণয় করতে হবে)

CH3-CH(NH2)-COOH -এর আলোক সমাণু নির্ণয়-



(যৌগের দ্বিতীয় কার্বন পরমাণু টি কাইরাল কার্বন। এটির স্বাপেক্ষে দুটি একে অপরের অউপরিস্থাপণীয় দর্পন প্রতিবিম্ব অর্থাৎ আলোক সমাণু গঠিত হয়)

আশা করি, এই নিয়ম গুলো অনুসরণ করে এবং বেশী বেশী অনুশীলন করে আমরা জৈব যৌগের সমাণু নির্ণয় করতে পারবো।


নিম্নলিখিত যৌগসমূহের সমাণুতা নির্ণয় কর-

(i) C5H10O2
(ii) C6H5-CH-CH(NH2)-COOH

 শিখনফল: যৌগের আনবিক সংকেত থেকে সম্ভাব্য সমাণুগুলির গাঠনিক সংকেত লিখতে পারবে।


জৈব যৌগের সমাণুতা:

যেসব যৌগের আনবিক সংকেত এক হওয়া সত্ত্বেও এদের গাঠনিক সংকেতের ভিন্নতার কারণে এবং অণুস্থিত পরমাণুসমূহের ত্রিমাত্রিক বিন্যাসের ভিন্নতার কারণে এদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের পার্থক্য দেখা যায় সেসব যৌগকে পরস্পরের সমাণু এবং যৌগের এরূপ ধর্মকে সমাণুতা বলে।

সমাণুতার প্রকারভেদ:

সমাণুতাকে প্রধানত দু শ্রেণীতে ভাগ করা যায়-

                        ক. গাঠনিক সমাণুতা।

এবং

                        খ. ত্রিমাত্রিক বা স্টেরিও সমাণুতা।

ক. গাঠনিক সমাণুতা:

যৌগের অণুস্থিত বিভিন্ন পরমাণুর সম্ভাব্য একাধিক অবস্থান তথা ভিন্ন ভিন্ন গাঠনিক সংকেতের পার্থক্যের জন্য যে সমাণুতার উদ্ভব হয় তাকে গাঠনিক সমাণুতা বলে।
           
গাঠনিক সমাণু পাঁচ প্রকার। যেমন-

১। শিকল সমাণুতা: যৌগের অণুস্থিত কার্বন শিকলের গঠনের পার্থক্যের জন্য সৃষ্ট সমাণুতাকে শিকল সমাণুতা বলে। যেমন- C4H10


(সমাণু দুটিতে যথাক্রমে ৪ টি ও ৩টি কার্বন পরমাণুর প্রধান শিকল)

C5H12-এর শিকল সমাণু নির্ণয় করার চেষ্টা কর।

২। অবস্থান সমাণুতা: কার্বন শিকলে দ্বিবন্ধন ও ত্রিবন্ধনের অবস্থান অথবা কার্যকরী মূলক বা প্রতিস্থাপিত পরমাণু বা মূলকের অবস্থানের পার্থক্যের জন্য সৃষ্ট সমাণুতাকে অবস্থান সমাণুতা বলে। যেমন- C3H8O

(সমাণু দুটিতে –OH মূলকের অবস্থান যথাক্রমে ১নং ও ২নং কার্বনে)

C4H8এর অবস্থান সমাণু নির্ণয় করার চেষ্টা কর।

৩। কার্যকরী মূলক সমাণুতা: কার্যকরী মূলকের বিভিন্নতার কারনে সৃষ্ট সমাণুতাকে কার্যকরী মূলক সমাণুতা বলে। যেমন-C3H6O

(প্রথমটিতে অ্যালডিহাইডের কার্যকরী মূলক এবং দ্বিতীয়টিত কিটোনের কার্যকরী মূলক)

C2H6O-এর কার্যকরী মূলক সমাণুতা নির্ণয় করার চেষ্টা কর।

৪। মেটামারিজম: একই সমগোত্রীয় শেণীর অন্তর্ভুক্ত সমাণুগুলোতে কার্যকরী মূলকের উভয় পার্শ্বে কার্বন পরমানুর সংখ্যার ভিন্নতার কারনে সৃষ্ট সমাণুতাকে মেটামারিজম বলে। এবং এসব সমাণুকে মেটামার বলে। যেমন- C5H10O

(একই সমগোত্রীয় (কিটোন) শ্রেণীর যৌগ, কিন্তু দুটি সমাণুতে কার্যকরী মূলকের (-CO-) দুপাশে কার্বনের সংখ্যা ভিন্ন। তাই এরা মেটামার। উপরের আলোচনা থেকে লক্ষ্য করে দেখ, এরা কিন্তু একই সাথে অবস্থান সমাণুক। সাধারণত ইথার,কিটোন,ও সেকেন্ডারী অ্যামিনসমূহ মেটমরিজম প্রদর্শন করে। )

C4H10O –এর মেটামার নির্ণয় করার চেষ্টা কর।

৫। টটোমারিজম: টটোমারিজম হল একটি বিশেষ ধরনের কার্যকরী মূলক সমাণুতা। এ প্রক্রিয়ায় সমাণুগুলো এক প্রকার কার্যকরী মূলক বিশিষ্ট গঠন থেকে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অন্য প্রকার কার্যকরী মূলক বিশিষ্ট গঠনে রূপান্তরিত হয় এবং উভয় গঠনের মধ্যে সাম্যাবস্থা বিরাজমান থাকে। তাই টটোমারিজম কে গতিশীল কার্যকরী মূলক সমাণুতা বলে। এরূপ সমাণুর একটি কে অপরটির টটোমার বলে। যেমন: কিটো-ইনল টটোমারিজম।

(প্রথম যৌগের কিটোনের কার্যকরী মূলক পরিবর্তিত হয়ে দ্বিতীয় যৌগ অ্যালকোহলের কার্যকরী মূলক হয়েছে)

খ. স্টেরিও সমাণুতা:

            যে সব যৌগের আণবিক ও গাঠনিক সংকেত একই কিন্তু বিভিন্ন পরমাণু ও মূলকের ত্রিমাত্রিক অবস্থান বিন্যাসের কারনে এদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মে পার্থক্য দেখা যায় সে সব যৌগকে স্টেরিও সমাণু এবং এদের এই ধর্মকে স্টেরিও বা ত্রিমাত্রিক সমাণুতা বলে।
            স্টেরিও সমাণুতা দু প্রকার। যেমন-

১। জ্যামিতিক সমাণুতা
২। আলোক সমাণুতা

১। জ্যামিতিক সমাণুতা: জৈব যৌগের কার্বন-কার্বন বন্ধনের অক্ষ বরাবর মুক্ত আবর্তন সম্ভব না হলে তখন ভিন্ন কনফিগারেশন বা জ্যামিতিক বিন্যাসযুক্ত দুধরনের যৌগ অণু সৃষ্টি হয়। এদেরকে জ্যামিতিক সমাণু এবং এ ধরণের সমাণুতাকে জ্যামিতিক সমাণুতা বলে। সাধারণত প্রতিস্থাপিত অ্যালকিনসমূহ এবং চাক্রিক যৌগসমূহ জ্যামিতিক সমাণুতা প্রদর্শন করে।
            জ্যামিতিক সমাণুতে দ্বিবন্ধনের দুপাশে একই পরমাণু বা মূলকদ্বয় যখন দ্বিবন্ধনযুক্ত কার্বন পরমাণুর একই পার্শ্বে থাকে তখন তাকে সিস (cis) সমাণু আর বিপরীত পার্শ্বে থাকলে তখন তাকে ট্রান্স (trans) সমাণু বলে। যেমন-

(দ্বিবন্ধনের দুপাশে একই পরমাণু Br ও H। এখানে Br  বা দ্বিবন্ধনের একদিকে যেদিকে আছে (Br নীচে এবং উপরে) দ্বিবন্ধনের অন্যদিকেও সেদিকে আছে। তাই এটি সিস সমাণু)

(দ্বিবন্ধনের দুপাশে একই পরমাণু Br ও H। এখানে Br বা দ্বিবন্ধনে একদিকে যে দিকে আছে অন্যদিকে তার বিপরীত দিকে আছে। তাই এটি ট্রান্স সমাণু)

২-বিউটিন -এর সিস-ট্রান্স সমাণু দুটি লেখার চেষ্টা কর।


২। আলোক সমাণুতা: একই আনবিক ও গাঠনিক সংকেত বিশিষ্ট যৌগের দুই বা ততোধিক ভিন্ন কনফিগারেশন যখন একবর্ণী এক-সমতলীয় আলোর প্রতি ভিন্ন আচরন প্রদর্শন করে তখন তাদের আলোক সক্রিয় সমাণু এবং একবর্ণী এক-সমতলীয় আলোর প্রতি তাদের এই আচরণকে আলোক সমাণুতা বলে।

            আলোক সমাণুগুলোর অপ্রতিসম কার্বন পরমাণু বা কাইরাল কেন্দ্র থাকে, এরা একে অপরের দর্পণ প্রতিবিম্ব হয় এবং কনফিগারেশন গুলো পরস্পর অসমপাতিত হয়। যেমন- ল্যাকটিক এসিডের (CH3.CH.(OH).COOH) দুটি আলোক সমাণু আছে। একটি d-ল্যাকটিক এসিড ( যেসব আলোক সমাণু এক-সমতলীয় আলোর তলকে ডানদিকে ঘুরায় তাদের দক্ষিনাবর্ত বা (+) বা d (dextro-rotatory) যৌগ বলে) এবং অপরটি l-ল্যাকটিক এসিড (যেসব আলোক সমাণু এক-সমতলীয় আলোর তলকে বামদিকে ঘুরায় তাদের বামাবর্ত বা (-) বা l (laevo-rotatory) যৌগ বলে)।

(একটি অপরটির দর্পন প্রতিবিম্ব)

CH3-CH(NH2)-COOH -এর আলোক সমাণুগুলি লেখার চেষ্টা কর।

কাইরাল কার্বন:

            একই কার্বন পরমাণুতে চারটি ভিন্ন মূলক যুক্ত থাকলে ঐ কার্বন পরমাণুর সাপেক্ষে যৌগটি অপ্রতিসম হয় তাই ঐ যৌগকে অপ্রতিসম বা কাইরাল যৌগ এবং ঐ কার্বন কে কাইরাল কার্বন (chiral) বলে। যৌগের সংকেতে একে তারকা (*) চিহ্ন দ্বারা দেখানো হয়। (একটি যৌগে যদি nটি কার্বন পরমাণু থাকে তবে তার 2n  সংখ্যক আলোক সমাণু থাকবে।)


এনানসিওমারিজম:

            অপ্রতিসম কার্বন পরমাণু যুক্ত কোন যৌগ অনু ও এর দর্পন প্রতিবিম্ব পরস্পর সমাপতিত না হলে এরূপ দুই ভিন্ন গঠনের অণু আলোক সক্রিয় হয়। এরূপ দুই আলোক সক্রিয় সমাণুকে এনানসিওমার বলা হয়।

রেসিমিক মিশ্রণ:

দুটি এনানসিওমার যেমন  d-ল্যাকটিক এসিড ও l-ল্যাকটিক এসিড উভয়েই এক-সমতলীয় আলোর তলকে সমান কৌণিক পরিমাণে বিপরীত দিকে ঘুরায়। তাই d-সামাণু ও l-সমাণুর সমপরিমান মিশ্রণ পরস্পরের বিপরীত ঘূর্ণন ক্রিয়াকে নষ্ট করে অর্থাৎ দুটি বিপরীত আলোক সক্রিয় মিশ্রণ আলোক নিষ্ক্রিয় হয়। দুটি এনানসিওমারের সমমোলার মিশ্রণকে রেসিমিক মিশ্রণ বা dl মিশ্রণ বা (+/-) মিশ্রণ বলে।