Recent Post
Loading...


 

অক্সিজেন ও অপর যেকোনো একটি মৌল যোগে গঠিত দ্বিমৌল যৌগকে অক্সাইড বলে। 


যেমনঃ MgO, CaO ইত্যাদি। 


অক্সাইডের প্রকারভেদঃ রাসায়নিক ধর্মের ভিত্তিতে অক্সাইডকে নয় ভাগে ভাগ করা যায়। 

১. অম্লীয় অক্সাইড  

২. ক্ষারীয় অক্সাইড 

৩. উভধর্মী অক্সাইড 

৪. নিরপেক্ষ অক্সাইড 

৫. পার অক্সাইড 

৬. পলি অক্সাইড 

৭. সুপার অক্সাইড 

৮. সাব অক্সাইড 

৯. যৌগিক বা মিশ্র অক্সাইড।


 

শ্বেত ফসফরাস ও লোহিত ফসফরাস এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ 


১. শ্বেত ফসফরাস মোমের মত নরম।কিন্তু, লোহিত ফসফরাস অদানাদার গুড়া পদার্থ।

২. শ্বেত ফসফরাস এর গন্ধ রসুনের মতো।
অপরদিকে, লোহিত ফসফরাস গন্ধহীন।

৩. শ্বেত ফসফরাস অত্যন্ত সক্রিয়। কিন্তু লোহিত ফসফরাস কম সক্রিয়।

৪. শ্বেত ফসফরাস উত্তপ্ত ক্ষার দ্রবণের সাথে বিক্রিয়া করে ফসফিন উৎপন্ন করে।
লোহিত ফসফরাস ক্ষারের সাথে কোন বিক্রিয়া করে না।

৫. শ্বেত ফসফরাস কক্ষ তাপমাত্রায় অস্থায়ী। ধীরে ধীরে লোহিত ফসফরাসে পরিণত হয়।
কিন্তু লোহিত ফসফরাস সাধারণ তাপমাত্রায় স্থায়ী।


গ্লিসারিন হল অ্যালকোহলের সমগোত্রীয় শ্রেণীর অ্যালিফেটিক যৌগ। এটি পলি-হাইড্রক্সি অ্যালকোহল। গ্লিসারিন বর্ণহীন তরল এবং মিষ্টি স্বাদ যুক্ত। গ্লিসারিন ফ্যাটি এসিডের সাথে ট্রাই গ্লিসারাইড এস্টার আকারে পাওয়া যায়। গ্লিসারল বা গ্লিসারিন হল অ্যালকোহলজাতীয় যৌগ। 1779 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী শীলে অলিভ অয়েলের সঙ্গে লিখার্জের মিশ্রণকে উত্তপ্ত করে গ্লিসারিন যৌগটি আবিষ্কার করেন। 1811 সালে বিজ্ঞানী শেভ্রেল এই যৌগটির নাম দেন গ্লিসারল। গ্লিসারিনের একটি অণুতে তিনটি কার্বন পরমাণুর সঙ্গে পাঁচটি হাইড্রোজেন পরমাণু এবং তিনটি হাইড্রোক্সিল অনু যুক্ত হয়ে একটি সরল অণু গঠন করে।

গ্লিসারল বা গ্লিসারিনের উৎস

১. নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, শূকরের চর্বি প্রভৃতি উদ্ভিজ্জ তেল বা প্রাণিজ চর্বির মধ্যে একটি রাসায়নিক উপাদান হিসেবে গ্লিসারাইড বর্তমান থাকে। উদ্ভিজ্জ তেল বা প্রাণিজ চর্বিকে ক্ষার দ্রবণ দ্বারা আর্দ্র বিশ্লেষিত করলে গ্লিসারল বা গ্লিসারিন পাওয়া যায়।
২. বর্তমান সময়কালে প্রোপিলিন নামে একটি অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন থেকে গ্লিসারল তৈরি করা হয়।

গ্লিসারলের বা গ্লিসারিনের ব্যবহার

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গ্লিসারিনের ব্যবহার বিভিন্নভাবে আমরা করে থাকি। নিচে গ্লিসারিনের কয়েকটি বিশেষ ব্যবহার সম্বন্ধে আলোচনা করা হলো।
১. প্লাস্টিক শিল্পে গ্লিসারোল বা গ্লিসারিন ব্যবহার করা হয়।
২. নাইট্রোগ্লিসারিন, ডিনামাইট প্রভৃতি বিস্ফোরক দ্রব্য প্রস্তুত করতে গ্লিসারোল বা গ্লিসারিন ব্যবহার করা হয়।
৩. ধোঁয়াহীন বারুদ জুতার কালি ছাপার কালি তৈরি করতে গিলিসারিন ব্যবহার করা হয়।
৪. সিগারেটের তামাক নরম ও আদ্র করতে, টাইপ মেশিনের ফিতা ও চামড়াকে নরম রাখতে গ্লিসারল ব্যবহার হয়।
৫. খাদ্য দ্রব্য সংরক্ষণে গ্লিসারল ব্যবহার করা হয়।
৬. গ্লিসারিন থেকে ফরমিক এসিড প্রস্তুত করা হয়।
৭. বস্ত্রশিল্পে এর ব্যবহার আছে।
৮. গ্লিসারিন থেকে নানারকম সাবান, প্রসাধন দ্রব্য এবং ওষুধ তৈরি করা হয়।
৯. শৈত্যপ্রধান দেশে মোটরগাড়ির রেডিয়েটরের জলের সঙ্গে হিমায়করোধক হিসেবে গ্লিসারিন ব্যবহার করা হয়।
১০. অ্যালকোহল প্রস্তুতিতে গ্লিসারিনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য।

গ্লিসারোল বা গ্লিসারিনের ধর্ম

প্রত্যেক পদার্থের মধ্যে গ্লিসারিনের কিছু বিশেষ ধর্ম আছে। আমরা নিচে গ্লিসারিনের ধর্ম পয়েন্ট আকারে আলোচনা করব।
১. গ্লিসারোল বা গ্লিসারিন মিষ্টি স্বাদযুক্ত বর্ণহীন গাঢ় তরল
২. গ্লিসারল হলো অ্যালকোহল সমগোত্রীয় শ্রেণীর অ্যালিফেটিক যৌগ।
৩. গ্লিসারিন জলে দ্রাব্য
৪. গ্লিসারিনের স্ফুটনাঙ্ক 290°C
৫. শুদ্ধ গ্লিসারিন একটি জলাকর্ষী পদার্থ। অর্থাৎ বিশুদ্ধ গ্লিসারলের জলের প্রতি আকর্ষণ খুব বেশি।

গ্লিসারল বা গ্লিসারিনের গঠন

গ্লিসারিনের একটি অনুর মধ্যে তিনটি কার্বন পরমাণুর সঙ্গে পাঁচটি হাইড্রোজেন পরমাণু এবং তিনটি হাইড্রোক্সিল অনু বর্তমান থাকে। নিচের চিত্রে গঠন দেওয়া হল। C3H5(OH)3গ্লিসারল বা গ্লিসারিন


গ্লিসারিনের সংকেত

গ্লিসারিনের সংকেত হলো C3H5(OH)3



কার্বক্সিল মূলক (-COOH) বিশিষ্ট অ্যালিফেটিক জৈব যৌগসমূহকে ফ্যাটি এসিড বলে। 

ফ্যাটি এসিড সম্পৃক্ত ও অসম্পৃক্ত হতে পারে। 
যেমনঃ সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড হচ্ছে- স্টিয়ারিক এসিড (C₁₇H₃₅COOH)। 

অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড হচ্ছে- 
ওলিক এসিড (C₁₇H₃₃COOH)।



অ্যালকেন সমূহ সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন। অ্যালকেনে প্রতিটি কার্বন- কার্বন এবং প্রতিটি কার্বন- হাইড্রোজেন শক্তিশালী একক সমযোজী সিগমা বন্ধনের মাধ্যমে গঠিত। এই সিগমা বন্ধন শক্তিশালী হওয়ায় সহজে ভেঙ্গে যায় না। 


অ্যালকিন সমূহ অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন। অ্যালকিনে কার্বন- কার্বন দ্বিবন্ধন বিদ্যমান থাকে। যার একটি সিগমা বন্ধন, অপরটি দুর্বল পাই বন্ধন। অ্যালকিনের এ দুর্বল পাই বন্ধন সহজে ভেঙ্গে গিয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় (যেমনঃ হাইড্রোজেন সংযোজন, হ্যালোজেন সংযোজন, হাইড্রোজেন হ্যালাইড সংযোজন ইত্যাদি) অংশগ্রহণ করে। 
এজন্য অ্যালকেন সমূহ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ না করলেও অ্যালকিন সমূহ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে

 


কলিচুন [Slaked Lime, Ca(OH)2]:-


কলিচুনের রাসায়নিক নাম ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড এবং রাসায়নিক সংকেত Ca(OH)2  ।  পাথুরে চুনের (CaO) সঙ্গে জল মিশিয়ে কলিচুন প্রস্তুত করা হয়  ।

CaO + H2O = Ca(OH)2 + উত্পন্ন তাপ ।

• প্রকৃতি:-

[i] কলিচুন সাদা, গন্ধহীন, অনিয়তাকার একটি অজৈব কঠিন পদার্থ ।

[ii] কলিচুন অনুদ্বায়ী পদার্থ এবং জলে সামান্য দ্রাব্য ।  উষ্ণতা বৃধিতে এর দ্রাব্যতা কমে যায় । তাই গরম জলের চেয়ে ঠান্ডা জলে কলিচুনের দ্রাব্যতা বেশি হয় ।


[iii] জলে কলিচুন মেশালে ওপরের অংশে যে স্বচ্ছ দ্রবণ পাওয়া যায়, তাকেই চুনজল বলে । চুনের পরিমাণ বেশি হলে মিশ্রণটি দুধের মতো সাদা দেখায় । একে চুনগোলা [milk of lime] বলে ।

[iv] কলিচুন তীব্র ক্ষারীয় পদার্থ । অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবণ এবং জল উত্পন্ন করে ।

[v] অ্যামোনিয়াম লবণের সঙ্গে উত্তপ্ত করলে অ্যামোনিয়া গ্যাস নির্গত হয় ।

[vi] কলিচুনের সঙ্গে ক্লোরিন মিশিয়ে ব্লিচিং পাউডার উত্পন্ন করা হয় ।

[vii] কলিচুন CO2 শোষণ করে । স্বচ্ছ চুনজলের মধ্যে CO2 চালনা করলে অদ্রাব্য CaCO3 উত্পন্ন হয় । তাই চুনজল ঘোলা হয়ে থাকে ।

     Ca(OH)2 + CO2 = CaCO3 + H2O

• ব্যবহার:-

[i] ব্লিচিং পাউডার এবং কষ্টিক সোডা প্রস্তুতিতে কলিচুন ব্যবহার করা হয় ।

[ii] সলভে পদ্ধতিতে প্রাপ্ত অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড এবং কয়লার অন্তর্ধুম পাতনের ফলে প্রাপ্ত অ্যামোনিয়া-দ্রব্য থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস পুনরুদ্ধারে কলিচুন ব্যবহৃত হয় ।

[iii] খরজলকে মৃদু করতে কলিচুন ব্যবহৃত হয় ।

[iv] সিমেন্ট কংক্রীট প্রস্তুতিতে এবং অট্টালিকা নির্মাণে কলিচুন ব্যবহার করা হয় ।

[v] মাটির অ্যাসিড ধর্ম হ্রাস করতে কলিচুন ব্যবহার করা হয় ।


[vi] বাড়ির দেওয়াল চুনকাম করতে কলিচুনের ঘন জলীয় দ্রবণ ব্যবহৃত হয় ।


 ক্ষার ধাতুঃ  যে সকল ধাতু পানির সাথে বিক্রিয়া করে তীব্র ক্ষার গঠন করে তাদেরকে ক্ষার ধাতু বলে।

পর্যায় সারণির এক নম্বর গ্রুপে এদের অবস্থান। 
ক্ষার ধাতু ৬টি। লিথিয়াম (Li), সোডিয়াম (Na), পটাশিয়াম (K), রুবিডিয়াম (Rb), সিজিয়াম (Cs), এবং ফ্রান্সিয়াম(Fr). 
ইলেকট্রন বিন্যাস করলে এদের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরের s - অরবিটালে একটি ইলেকট্রন থাকে। ক্ষার ধাতু সমূহ অধাতুর সাথে বিক্রিয়া করে আয়নিক লবণ গঠন করে। ক্ষার ধাতু গুলির আয়নিকরণ শক্তি, ইলেকট্রন আসক্তি, তড়িৎ ঋণাত্মকতা যেকোনো পর্যায়ের অন্য মৌল গুলির চেয়ে কম হয়। ক্ষার ধাতু সমূহ সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তর থেকে একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে একক ধনাত্মক আয়ন গঠন করে এবং এদের নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করে স্থিতিশীলতা লাভ করে। ক্ষার ধাতু সমূহ অধিক সক্রিয় হয়।

মৃৎক্ষার ধাতুঃ  পর্যায় সারণির গ্রুপ -২ এর মৌল সমূহ কে মৃৎক্ষারীয় ধাতু বলে। গ্রুপ- 2 এর মৌল ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামকে মাটির উপাদান হিসেবে পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর সাথে গ্রুপ -২ এর অন্য মৌল গুলির ধর্মের সাদৃশ্য থাকার কারণে এদেরকে মৃৎক্ষার ধাতু বলে। এ গ্রুপের মৌল সমূহ বেরিলিয়াম (Be), ম্যাগনেসিয়াম (Mg), ক্যালসিয়াম (Ca), স্ট্রোনসিয়াম (Sr), বেরিয়াম (Ba), রেডিয়াম (Ra). মৃৎক্ষারীয় ধাতুসমূহ পানির সাথে বিক্রিয়া করে হাইড্রোক্সাইড গঠন করে। মৃৎ ক্ষারীয় ধাতুর হাইড্রোক্সাইড গুলো এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি গঠন করে। মৃৎক্ষার ধাতুর সক্রিয়তা ক্ষার ধাতুর থেকে কিছুটা বেশি। এদের আয়নিকরণ শক্তি, ইলেকট্রন আসক্তি, তড়িৎ ঋণাত্মকতা ক্ষার ধাতুর থেকে বেশি। মৃৎক্ষার ধাতুর বহিঃস্হ শক্তিস্তরে নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস অপেক্ষা দুটি ইলেকট্রন বেশি থাকে এইজন্য এরা স্থিতিশীলতা লাভের জন্য সর্ববহিঃস্থ শক্তি স্তর থেকে দুইটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে দ্বি- ধনাত্মক আয়ন গঠন করে এবং স্থিতিশীলতা প্রাপ্ত হয়। এরা কার্বনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ধাতুর কার্বাইড গঠন করে। আবার এরা নাইট্রোজেন এর সঙ্গে বিক্রিয়া করে ধাতুর নাইট্রাইড গঠন করে।



Na হতে একটি ইলেকট্রন অপসারিত হয়েছে।

Na~e---->Na+

অর্থাত্ Na+ এ ইলেকট্রন সংখ্যা (11-1)=10 টি কিন্তু এতে প্রটন রয়েছে 11 টি।তাই এতে একটি (+) চার্জ বিদ্যমান।অপরদিকে Na পরমাণুতে রয়েছে 11 টি প্রোটন।অর্থাত্ধনাত্মক ও ঋনাত্মক চার্জের সংখ্যা সমান তাই Na চার্জ নিরপেক্ষ।


 

সূত্র: কেন্দ্রীয় পরমাণুর সবশেষ স্তরের ইলেকট্রন সংখ্যা+হাইড্রোজেন বা হ্যালোজেন সংখ্যা(+ অথবা - চার্জ) যেমন: অ্যামোনিয়ার ক্ষেত্রে N এর সবশেষ স্তরের e সংখ্যা ৫ এবং এর সাথে ৩ টা H যুক্ত। সুতরাং ৫+৩=৮। অর্থাৎ অষ্টক সূত্র মানে।



ডিটারজেন্ট [Detergent]:-

ডিটারজেন্ট হল লবণ জাতীয় জৈব ও অজৈব পদার্থের মিশ্রণ । ডিটারজেন্টের গঠন অনেকটা সাবানের মত । এর অণুর একটি অংশ জলঅনুরাগী এবং অপরটি জলবিরাগী । এগুলি কয়লা ও পেট্রোলিয়ামের হাইড্রোকার্বন থেকে তৈরি হয় । হাইড্রোকার্বনের অংশটি জলবিরাগী এবং জলঅনুরাগী অংশটি সালফেট বা সালফোনেট দিয়ে গঠিত । ওয়াশিং পাউডারে প্রায় 10-30% ডিটারজেন্ট থাকে । ডিটারজেন্টে সোডিয়াম সালফেট ও সোডিয়াম সিলিকেট মেশানো হয়, কারণ এরা ডিটারজেন্টকে শুষ্ক রাখে । ডিটারজেন্টের সঙ্গে সোডিয়াম ট্রাইপলি ফসফেট বা সোডিয়াম কার্বনেট মিশিয়ে একে ক্ষারীয় করলে এর ময়লা পরিষ্কারের ক্ষমতা অনেকগুণ বেড়ে যায় । ডিটারজেন্টের কার্বক্সি মিথাইল সেলুলোজ উপাদানটি জলের মধ্যে ময়লার অণুগুলিকে প্রলম্বিত রাখে । ব্লিচিং পদার্থ হিসাবে সোডিয়াম পারবোরেট মেশালে শুভ্রতা বাড়ে ।
সাবানের পরিবর্তে জামা-কাপড় কাচা বা ধোয়ার জন্য বহুল পরিমাণে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে । সমস্ত ডিটারজেন্ট কিন্তু একই সংযুক্তি থাকে না । প্রচলিত দুটি সিন্থেটিক ডিটারজেন্ট হল— (1) দীর্ঘ শৃঙ্খল সোডিয়াম অ্যালকিল সালফেট [CH3 - (CH2)10 - CH2 - SO-4Na+] এবং (2) দীর্ঘ শৃঙ্খল সোডিয়াম অ্যালকিল বেঞ্জিন সালফানেট [CH3 - (CH2)11 - C6H4 - SO-3Na+] । বর্তমানে দ্বিতীয় ডিটারজেন্টটি বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হচ্ছে ।
• প্রকৃতি:-
[i] ডিটারজেন্ট বস্তুটি গন্ধহীন, বর্ণহীন অনুদ্বায়ী কঠিন পদার্থ ।
[ii] এটি কঠিন ও তরল উভয় প্রকারের হয় এবং এটি একটি জৈব লবণ যা জলে সম্পূর্ণ দ্রবণীয় ।
[iii] সাধারণ অবস্থায় ডিটারজেন্ট প্রশম পদার্থ কিন্তু জলে দ্রবীভূত করলে ক্ষারীয় হয় ।
• ব্যবহার:- বর্তমান যুগে ডিটারজেন্টের ব্যবহার ব্যাপক । শুধুমাত্র কাপড় কাচার কাজ নয়, শ্যাম্পুতে, মুখ পরিষ্কার [Mouth wash] করতে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা হয় । তাছাড়া জীবাণুনাশক হিসাবে ও খর জলে ফেনা উত্পন্ন করতে সাবানের অসুবিধা হলেও ডিটারজেন্টের হয় না । অ্যাসিড মিশ্রিত জল হলেও ডিটারজেন্ট ব্যবহারে অসুবিধা হয় না ।
• পরিবেশ দুষণ:- ডিটারজেন্টগুলি বায়োডিগ্রেডেবল নয়, সহজে এরা জল বা মাটির সঙ্গে মিশে অন্য পদার্থে বিয়োজিত হতে পারে না । এদের দীর্ঘ শৃঙ্খলগুলি প্রায় অবিকৃতভাবে জলের মধ্যে থাকে, তাতে জল দুষিত হয় । পরিণামে জলজ জীবনের ক্ষতি হয় এবং পরিবেশ দূষণ ঘটে ।