0 comments

কলিচুন (Ca(OH)2) এর জীবন রহস্য ও রসায়ন।

 কলিচুন [Slaked Lime, Ca(OH)2]:-কলিচুনের রাসায়নিক নাম ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড এবং রাসায়নিক সংকেত Ca(OH)2  ।  পাথুরে চুনের (CaO) সঙ্গে জল মিশিয়ে কলিচুন প্রস্তুত করা হয়  ।CaO + H2O = Ca(OH)2 + উত্পন্ন তাপ ।• প্রকৃতি:-[i] কলিচুন সাদা, গন্ধহীন, অনিয়তাকার একটি অজৈব কঠিন পদার্থ ।[ii] কলিচুন অনুদ্বায়ী পদার্থ এবং জলে সামান্য দ্রাব্য ।  উষ্ণতা বৃধিতে এর দ্রাব্যতা ...

0 comments

ক্ষার ধাতু ও মৃৎক্ষার ধাতু কাকে বলে?

 ক্ষার ধাতুঃ  যে সকল ধাতু পানির সাথে বিক্রিয়া করে তীব্র ক্ষার গঠন করে তাদেরকে ক্ষার ধাতু বলে।পর্যায় সারণির এক নম্বর গ্রুপে এদের অবস্থান। ক্ষার ধাতু ৬টি। লিথিয়াম (Li), সোডিয়াম (Na), পটাশিয়াম (K), রুবিডিয়াম (Rb), সিজিয়াম (Cs), এবং ফ্রান্সিয়াম(Fr). ইলেকট্রন বিন্যাস করলে এদের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরের s - অরবিটালে একটি ইলেকট্রন থাকে। ক্ষার ধাতু সমূহ ...

0 comments

Na+ চার্জযুক্ত কিন্তু Na তড়িত্ নিরপেক্ষ কেন ??

Na হতে একটি ইলেকট্রন অপসারিত হয়েছে।Na~e---->Na+অর্থাত্ Na+ এ ইলেকট্রন সংখ্যা (11-1)=10 টি কিন্তু এতে প্রটন রয়েছে 11 টি।তাই এতে একটি (+) চার্জ বিদ্যমান।অপরদিকে Na পরমাণুতে রয়েছে 11 টি প্রোটন।অর্থাত্ধনাত্মক ও ঋনাত্মক চার্জের সংখ্যা সমান তাই Na চার্জ নিরপেক্ ...

0 comments

কিভাবে নির্ণয় করবে কোনো যৌগ অষ্টক সূত্র মানে কি মানে না?

 সূত্র: কেন্দ্রীয় পরমাণুর সবশেষ স্তরের ইলেকট্রন সংখ্যা+হাইড্রোজেন বা হ্যালোজেন সংখ্যা(+ অথবা - চার্জ) যেমন: অ্যামোনিয়ার ক্ষেত্রে N এর সবশেষ স্তরের e সংখ্যা ৫ এবং এর সাথে ৩ টা H যুক্ত। সুতরাং ৫+৩=৮। অর্থাৎ অষ্টক সূত্র মান ...

0 comments

ডিটারজেন্ট সম্পর্কে তথ্য ও এর রসায়ন

ডিটারজেন্ট [Detergent]:- ডিটারজেন্ট হল লবণ জাতীয় জৈব ও অজৈব পদার্থের মিশ্রণ । ডিটারজেন্টের গঠন অনেকটা সাবানের মত । এর অণুর একটি অংশ জলঅনুরাগী এবং অপরটি জলবিরাগী । এগুলি কয়লা ও পেট্রোলিয়ামের হাইড্রোকার্বন থেকে তৈরি হয় । হাইড্রোকার্বনের অংশটি জলবিরাগী এবং জলঅনুরাগী অংশটি সালফেট বা সালফোনেট দিয়ে গঠিত । ওয়াশিং পাউডারে প্রায় 10-30% ডিটারজেন্ট থাকে । ডিটারজেন্টে সোডিয়াম সালফেট ও সোডিয়াম ...

0 comments

দ্রাব্যতা কি? দ্রাব্যতার সমীকরণটি লিখ।

কোন নির্দিষ্ট উষ্ণতায় ১০০ গ্রাম দ্রাবকে গ্রামে প্রকাশিত যে পরিমাণ দ্রব দ্রবীভূত হয়ে সম্পৃক্ত দ্রবণ উৎপন্ন করে     তাকে ঐ উষ্ণতায় ঐ দ্রবের দ্রাব্যতা বলে। দ্রাব্যতা পদার্থের একটি ভৌত ধর্ম। কোন নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রাবককে সম্পৃক্ত দ্রবণে পরিণত করতে যে পরিমাণ দ্রব দ্রবীভূত করতে হয় তাকেই ঐ তাপমাত্রায় ঐ দ্রবের দ্রাব্যতা বলে। কোন ...

0 comments

তাপহারী ও তাপ উৎপাদী বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য।

বিক্রিয়া তাপের উপর ভিত্তি করে রাসায়নিক বিক্রিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।যথাঃ তাপোৎপাদী ও তাপহারী।তাপোৎপাদী ও তাপহারী বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ১. যে রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে তাপশক্তির শোষণ এবং বিক্রিয়া অঞ্চলের তাপমাত্রা হ্রাস পায় তাকে তাপহারী বিক্রিয়া বলে।অপরদিকে যে রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে তাপশক্তি উৎপন্ন হয় এবং বিক্রিয়া অঞ্চলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তাকে ...

0 comments

অ্যালকোহল থেকে অ্যালকিন প্রস্তুতি।

জৈব রসায়নে, অ্যালকিন বা অলিফিন হলো অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন যাতে অবশ্যই একটি বা একাধিক কার্বন-কার্বন দ্বিবন্ধন (>C=C<) থাকবে।সরলতম অ্যালকিনের উদাহরণ হল ইথিন(C2H4)।অ্যালকোহল এর সাথে দ্বিগুণ পরিমাণ গাঢ় সালফিউরিক এসিড যোগ করে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় অ্যালকাইল হাইড্রোজেন সালফেট উৎপন্ন করা হয়। একে ১৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ...

0 comments

অ্যালকেন প্রস্তুতির বিভিন্ন পদ্ধতি।

i) অ্যালকাইন থেকে অ্যালকেন:Ni চূর্ণ প্রভাবকের উপস্থিতিতে২০০' C তাপমাত্রায় প্রোপাইন এক অনু হাইড্রোজেন এর সাথে যুক্ত হয়ে প্রোপিন উৎপন্ন করে।উৎপন্ন প্রোপিন আবার এক অনু হাইড্রোজেনের সাথে যুক্ত হয়ে প্রোপেন উৎপন্ন করে।ii) ফ্যাটি এসিডের সোডিয়াম লবনকে সোডালাইমের সাথে উওপ্ত করলে অ্যালকেন উৎপন্ন হয়।iii) ধাতব প্রভাবক(Ni) উপস্থিতিতে ১৮০-২০০' C তাপমাত্রায় অ্যালকিন হাইড্রোজেনের বিক্রিয়া করে ...

0 comments

উর্টজ বিক্রিয়া কি? উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা কর।

অ্যালকাইল হ্যালাইডের শুষ্ক ইথারীয় দ্রবণে ধাতব সোডিয়াম যোগ করে রিফ্লাক্স করলে উচ্চতর অ্যালকেন উৎপন্ন করার বিক্রিয়াকে উর্টজ বিক্রিয়া বলে।   2RX + 2Na = R-R + 2NaX এখানে, R = অ্যালকাইল মূলক         X= হ্যালাইডউল্লেখ্য অনেকেই মনে করে উর্টজ বিক্রিয়া দ্বারা কেবল মাত্র জোড় সংখ্যক অ্যালকাইল মূলক বিশিষ্ট অ্যালকেন উৎপন্ন সম্ভব ! কিন্তু এ ধারণা ভুল ...

2 comments

ডিকার্বক্সিলেশন বিক্রিয়া কি?

ডিকার্বক্সিলেশনঃ  জৈব এসিডের (R - COONa) সোডিয়াম লবণকে সোডালাইম {NaOH(CaO)} দ্বারা উত্তপ্ত করলে অ্যালকেন (R-H) প্রস্তুত হয়। জৈব এসিড থেকে অ্যালকেন প্রস্তুতির এ বিক্রিয়াকে ডিকার্বক্সিলেশন বিক্রিয়া বলে। এ বিক্রিয়ায় উৎপন্ন অ্যালকেনে, বিক্রিয়ক এসিডের লবণ থেকে একটি কার্বন পরমাণু কম থাকে বলে এরূপ নামকরণ করা হয়।R-COONa+NaOH(CaO) ---->R-H +  Na₂CO₃(CaO) যেমনঃ ...

0 comments

অ্যারোমেটিক যৌগ কাকে বলে? পিরিডিন কে অ্যারোমেটিক যৌগ বলা হয় কেন?

যেসব যৌগের অণুতে এক বা একাধিক বেনজিন চক্র বিদ্যমান থাকে তাদেরকে অ্যারোমেটিক যৌগ বলে। উদাহরণ : বেনজিন (C 6H 6), পিরিডিন (C 5H 5N) এবং ফেনল (C 6H 5OH) ইত্যাদি। এসব যৌগ সমতলীয় চক্রিয় হয় এবং এতে একান্তর দ্বি-বন্ধনের উপস্থিতি থাকে। অ্যারোমেটিক যৌগসমূহ ৫, ৬ বা ৭ সদস্যের সমতলীয় চাক্রিয় যৌ ...

0 comments

গ্যালভানিক কোষের অ্যানোড ঋণাত্মক কেন?

দুটি ভিন্ন ধাতুর মৌল দ্বারা গঠিত তড়িৎদ্বারকে দুটি ভিন্ন তড়িৎ বিশ্লেষ্য দ্রবণে আংশিক নিমজ্জিত করে দ্বি-প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট যে কোষ গঠন করা হয় তাকে গ্যালভানিক কোষ বলে।গ্যালভানিক কোষে রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। যে ধাতুর তড়িৎদ্বার অধিক সক্রিয় তাকে অ্যানোড হিসাবে এবং যে ধাতুর তড়িৎদ্বার কম সক্রিয় তাকে ক্যাথোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গ্যালভানিক কোষে অ্যানোডে ...

0 comments

হাইড্রোজেন সালফাইডের(H₂S) জলীয় দ্রবণ অম্লধর্মী।

হাইড্রোজেন সালফাইডের জলীয় দ্রবণ অম্লীয়। কারণ এর জলীয় দ্রবণে প্রোটন আয়ন (H+) ত্যাগ করে। এই প্রোটন আয়ন নীল লিটমাসকে লাল লিটমাসকে পরিণত করে। H₂S(aq) <-----> H+(aq)+HS-(aq)নীল লিটমাস + H+(aq) ------> লাল লিটমাসআবার, সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি গঠন করে। H₂S(g) + 2NaOH(aq) -----> Na₂S(aq) + 2H₂O(l)সেজন্য বলা যায়, হাইড্রোজেন ...

0 comments

পলিস্যাকারাইড কিভাবে গঠিত হয়?

 উদ্ভিদ জগতের প্রধান দুটি পলিস্যাকারাইড হলো স্টার্চ ও সেলুলোজ। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ এ দুটি পলিস্যাকারাইড প্রস্তুত করে। এসকল পলিস্যাকারাইডের মনোমার বা ক্ষুদ্র একক অণু গ্লুকোজ। উদ্ভিদের সবুজ পাতায় ক্লোরোফিল ও সূর্যালোকের প্রভাবে বায়ু থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও মাটি থেকে মূলের মাধ্যমে সংগৃহীত পানি রাসায়নিক ভাবে পরিবর্তিত হয়ে গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) নামক মনোস্যাকারাইড ...

0 comments

কার্বোহাইড্রেট কি?

 কার্বোহাইড্রেট হলো পলিহাইড্রক্সি অ্যালডিহাইড বা কিটোন অথবা এমন সব জৈব যৌগ যাদেরকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে পলিহাইড্রোক্সি অ্যালডিহাইড বা পলিহাইড্রোক্সি কিটোন উৎপন্ন হয়। কার্বোহাইড্রেট দুই প্রকারঃ ১. শর্করা বা চিনি ২. অশর্করা বা ননসুগা ...

0 comments

প্রাকৃতিক পলিমার কি?

 যে সকল পলিমার প্রাকৃতিক উপায়ে সৃষ্টি হয় তাদেরকে প্রাকৃতিক পলিমার বলে। প্রকৃতিতে প্রাণী ও উদ্ভিদ বিভিন্ন প্রকার পলিমার গঠন করে। এসকল পলিমার তাদের দেহের গঠন, খাদ্য, বংশগত ধারা সংরক্ষন, দেহের জৈবিক বিক্রিয়ায় প্রভাবক হিসেবে ক্রিয়া সম্পাদন এবং দেহের প্রতিরক্ষামূলক পরিবেশ সৃষ্টি প্রভৃতি ভূমিকা পালন করে। এসব প্রাকৃতিক পলিমারকে মোটামুটি তিনটি বৃহৎ শ্রেণীতে বিভক্ত করা ...

0 comments

শর্করা বা সুগার কাকে বলে?

 মনোস্যাকারাইড ও ডাইস্যাকারাইড কে শর্করা বা সুগার বলে। এরা দানাদার পদার্থ। পানিতে দ্রবণীয় ও স্বাদে মিষ্টি। এদের আণবিক সংকেত জানা থাকে। যেমনঃ গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ ইত্যাদ ...

0 comments

অশর্করা বা নন সুগার কাকে বলে?

 অদানাদার, অদ্রবণীয় এবং স্বাদহীন পলিস্যাকারাইডকে অশর্করা বা নন সুগার বলে। এদের আণবিক সংকেত জানা থাকে না। যেমনঃ স্টার্চ, সেলুলোজ ইত্যাদ ...

2 comments

মনোস্যাকারাইড কাকে বলে?

যেসকল কার্বোহাইড্রেটকে পানি বিশ্লেষণের দ্বারা ক্ষুদ্রতর অণুতে পরিণত করা যায় না তাদেরকে মনোস্যাকারাইড বলে।এদের সাধারণ সংকেত (Cn H₂n On) এবং তাদের অণুতে তিন হতে আটটি কার্বন পরমাণু থাকতে পারে। যেমনঃ পেন্টোজ (C₅H₁₀O₅), গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) ইত্যাদি।&nbs ...

0 comments

ডাইস্যাকারাইড কাকে বলে?

 যেসকল কার্বোহাইড্রেটকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করে দুটি মনোস্যাকারাইড অণু পাওয়া যায় তাদেরকে ডাইস্যাকারাইড বলে। যেমনঃ ইক্ষু চিনি (C₁₂H₂₂O₁₁)। একে পানি দ্বারা আর্দ্রবিশ্লেষিত করলে সমপরিমাণ গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) ও ফ্রুক্টোজ (C₆H₁₂O₆) পাওয়া যায ...

0 comments

পলিস্যাকারাইড কাকে বলে?

 যেসকল কার্বোহাইড্রেটকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করে অনেকগুলি মনোস্যাকারাইড অণু পাওয়া যায় তাদেরকে পলিস্যাকারাইড বলে। এরা পানিতে অদ্রবণীয় ও স্বাদহীন।যেমনঃ স্টার্চ, সেলুলোজ ইত্যাদ ...

0 comments

অলিগোস্যাকারাইড কাকে বলে?

যে সমস্ত পলিস্যাকারাইডকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে নির্দিষ্ট সংখ্যক (২ থেকে ৯ টি মনোস্যাকারাইড) মনোস্যাকারাইড পাওয়া যায় সেই সকল পলিস্যাকারাইডকে অলিগোস্যাকারাইড বলে। যেমনঃ ডাইস্যাকারাইড, ট্রাইস্যাকারাইড ইত্যাদি।&nbs ...

0 comments

সেলুলোজ কি?

 সেলুলোজ হলো  β-D- গ্লুকোজের পলিমার। β-D- গ্লুকোজের একটি অনুর এক নম্বর কার্বন (C₁) এর সাথে অপর একটি β-D- গ্লুকোজ অনুর  4নম্বর কার্বন (C₄) β-গ্লাইকোসাইড বন্ধনের মাধ্যমে সেলুলোজ গঠিত হয়। রাসায়নিকভাবে সেলুলোজ হলো গ্লাইকোসাইড বন্ধন দ্বারা গঠিত গ্লুকোজের সরল রৈখিক পলিমার। এতে 3000 থেকে 25000 একক β-D-গ্লুকোজ অনু বিদ্যমান থাক ...

0 comments

স্টার্চ কী?

 স্টার্চ হচ্ছে α-D- গ্লুকোজের পলিমার। অনেকগুলি α-D-গ্লুকোজ অণু α-গ্লাইকোসাইড বন্ধনের মাধ্যমে স্টার্চ গঠন করে। তবে স্টার্চ অ্যামাইলোজ ও অ্যামাইলোপেকটিন নামক দুটি পলিস্যাকারাইড এর সমন্বয়ে গঠিত শাখা শিকল। এতে অ্যামাইলোজ 10 - 20% ও অ্যামাইলোপেকটিন 80 - 90% বিদ্যমান থাকে।&nbs ...

0 comments

প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্য কি?

 প্রতীক ও সংকেতের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ১. কোন মৌলের পূর্ণনামের সংক্ষিপ্ত প্রকাশকে প্রতীক বলে।অন্যদিকে, সংকেত হচ্ছে কোন পদার্থের সংক্ষিপ্ত প্রকাশ।২. প্রতীক শুধু মৌলিক পদার্থের জন্য লেখা হয়। কিন্তু, সংকেত মৌলিক ও যৌগিক উভয় পদার্থের জন্য লেখা হয়।৩. প্রতীক মৌলের একটি পরমাণুকে নির্দেশ করে।অপরদিকে, সংকেত পদার্থের একটি অনুকে নির্দেশ কর ...

0 comments

যৌগমূলক কাকে বলে। কিভাবে যৌগমূলকের যোজনী বের করা যায়?

 যৌগমূলকঃ  একাধিক মৌলের একাধিক পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত একটি পরমাণু গুচ্ছ যা একটি আয়নের ন্যায় আচরণ করে এবং বিক্রিয়া শেষে অপরিবর্তিত থাকে, সেসব পরমাণু গুচ্ছকে যৌগমূলক বলে।যেমনঃ সালফেট (SO₄² - ) যৌগমূলক। কারণ এখানে সালফার ও অক্সিজেন এই দুটি মৌলের পাঁচটি পরমাণু যুক্ত হয়ে একটি পরমাণু গুচ্ছ গঠন করে যার নির্দিষ্ট আধান -2 আছে।যৌগমূলকের যে চার্জ বা আধান থাকে সেই চার্জ বা ...

0 comments

সুপ্ত যোজনী কাকে বলে। কিভাবে নির্ণয় করা যায়?

কোন মৌলের সর্বোচ্চ যোজনী ও সক্রিয় যোজনীর মধ্যে পার্থক্যকে ঐ মৌলের সুপ্ত যোজনী বলে।সক্রিয় যোজনী বলতে মৌলটি কোন যৌগ গঠন অবস্হায় যে যোজনী ব্যবহার করে তা ঐ মৌলের সক্রিয় যোজনী।যেমন-H₂SO₄ এ S - এর সক্রিয় যোজনী 6, আবার H₂S এ S এর সক্রিয় যোজনী ২,আবার SO₂ এ S এর সক্রিয় যোজনী 4.S এর সর্বোচ্চ যোজনী 6.সুপ্ত যোজনী নির্ণয়ঃ H₂SO₄ এ S এর সুপ্ত যোজনী=(S এর সর্বোচ্চ যোজনী)-(S এর সক্রিয় ...

0 comments

সালফার পরিবর্তনশীল যোজনী প্রদর্শন করে কেন?

 যেসব মৌলের একাধিক যোজনী বিদ্যামান তাদেরকে পরিবর্তনশীল যোজনী বলা হয়। আধুনিক সংজ্ঞা মতে অধাতব মৌলের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে বিজোড় ইলেকট্রনের সংখ্যা ঐ মৌলের যোজনী নির্দেশ করে।সালফারের স্বাভাবিক ও উত্তেজিত অবস্থায় ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরূপঃS(16)----> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3Px² 3Py¹ 3Pz¹S*(16)---> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3Px¹ 3Py¹ 3Pz¹3dxy¹S²*(16)--->1s² 2s² 2p⁶ 3s¹ 3Px¹ 3Py¹ ...

0 comments

নিষ্ক্রিয় গ্যাস কাকে বলে। নিষ্ক্রিয় গ্যাস গুলি নিষ্ক্রিয় কেন?

 নিষ্ক্রিয় গ্যাসঃ  পর্যায় সারণির যেসব মৌলের পরমাণু সমূহ ইলেকট্রন আদান, প্রদান বা শেয়ারের মাধ্যমে বন্ধন গঠন করে না তাদেরকে নিষ্ক্রিয় গ্যাস বলা হয়। পর্যায় সারণির 18 নম্বর গ্রুপে এদের অবস্থান। নিষ্ক্রিয় গ্যাস গুলি হচ্ছে হিলিয়াম (He), নিয়ন (Ne), আর্গন (Ar),  ক্রিপ্টন(Kr), জেনন (Xe), রেডন (Rn).নিষ্ক্রিয় গ্যাস গুলি নিষ্ক্রিয় কেনঃ  নিষ্ক্রিয় ...

1 comments

জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি।

জারণ সংখ্যাঃ  যৌগ গঠনের সময় একটি মৌল অপর মৌলের সাথে যুক্ত হতে যে কয়টি ইলেকট্রন আদান প্রদান করে সেই আদান প্রদানকৃত ইলেকট্রনের সংখ্যাকে জারণ সংখ্যা বলে।জারণ সংখ্যা ধনাত্মক, ঋণাত্মক, ভগ্নাংশ এবং শূন্য হতে পারে। একটি মৌলের একাধিক জারণ সংখ্যা হতে পারে। একে পরিবর্তনশীল জারণ সংখ্যা বলে। কোন যৌগে নির্দিষ্ট মৌলের অজানা জারণ সংখ্যা নির্ণয়ের জন্য কিছু নির্দিষ্ট মৌলের জারণ সংখ্যা ...

0 comments

কপার(Cu) ও ক্রোমিয়ামের(Cr) ইলেকট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম কেন?

কপার ও ক্রোমিয়াম এর ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরূপঃCu (29)----> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 4s¹ 3d¹ºCr (24) -----> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 4s¹ 3d⁵ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যায়, কপারের ক্ষেত্রে 4s² 3d⁹ থেকে 4s¹ 3d¹º হয়েছে এবং ক্রোমিয়াম এর ক্ষেত্রে 4s² 3d⁴ থেকে 4s¹ 3d⁵ হয়েছে। কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে যদি সর্ববহিঃস্থ শক্তির অরবিটাল অর্ধপূর্ণ বা পূর্ণ অবস্থায় থাকে তবে ঐ মৌলের স্থিতিশীলতা ...

2 comments

মুক্তজোড় ইলেকট্রন ও বন্ধন জোড় ইলেকট্রন কাকে বলে?

মুক্তজোড় ইলেকট্রনঃ  কোন পরমাণুর যোজ্যতা স্তরে বা সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে যে ইলেকট্রন গুলো বন্ধন গঠনে অংশগ্রহণ করে না তাদেরকে মুক্তজোড় ইলেকট্রন বলে।যেমন ঃ ক্লোরিনের ইলেকট্রন বিন্যাস করলে দেখা যায়Cl (17) ---> 1s² 2s²2p⁶ 3s² 3Px² 3Py² 3Pz¹এখানে, ক্লোরিনের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তর অর্থাৎ তৃতীয় শক্তিস্তরে 3s² 3Px² 3Py² অরবিটাল গুলোতে দুটি করে ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকে। এই ...

2 comments

পটাশিয়ামের 19 তম ইলেকট্রনটি 3d- অরবিটালে না গিয়ে 4s- অরবিটালে যায় কেন?

মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস আউফবাউ নীতি অনুসারে করা হয়। আউফবাউ নীতি অনুসারে ইলেকট্রন প্রথমে নিম্ন শক্তির অরবিটালে এবং পরে উচ্চ শক্তির অরবিটালে গমন করে।  দুটি অরবিটালের মধ্যে কোনটি নিম্ন শক্তির আর কোনটি উচ্চ শক্তির তা প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা ও সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা (n + l) এর মানের যোগফলের উপর নির্ভর করে। যার (n + l) এর মান কম সেটি নিম্নশক্তির অরবিটাল এবং (n + l) এর ...

0 comments

অ্যালকেন কে প্যারাফিন বলা হয় কেন?

প্যারাফিন অর্থ আসক্তিহীন। অ্যালকেন কে প্যারাফিন বলা হয়। কারণ অ্যালকেনে বিদ্যমান প্রতিটি কার্বন - হাইড্রোজেন গুলি কার্বন - কার্বন (C - C) একক বন্ধন ওকার্বন - হাইড্রোজেন (C - H) একক বন্ধন অর্থাৎ সিগমা বন্ধন বিদ্যমান। সিগমা বন্ধন ভাঙতে অনেক বেশি শক্তির প্রয়োজন বলে অ্যালকেন সমূহ কোন বিক্রিয়া দেয় না। অর্থাৎ এসিড, ক্ষার এদের সাথে কোন বিক্রিয়া করে না। এ কারণে ...