প্রতীক
বর্তমানে পৃথিবীতে মোট ১১৮টি মৌল বা মৌলিক পদার্থ আছে। এদের নামগুলো কিছু এসেছে ল্যাটিন ভাষা থেকে, কিছু এসেছে ইংরেজি ভাষা থেকে। যখন কোনো মৌল সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখা হয় তখন কেবল ঐ মৌলের প্রতীককে ব্যবহার করে তা লিখা হয়। তাই মৌলিক পদার্থের ইংরেজি বা ল্যাটিন নামকে সংক্ষিপ্ত ভাবে প্রকাশের চিহ্নকে ঐ মৌলের প্রতীক বলে।
মৌলের প্রতীক লিখতে হলে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। এই নিয়মগুলো হচ্ছে-
- যদি একটা অক্ষর বা Latter দিয়ে প্রতীক লিখতে হয়, তবে মৌলের ইংরেজি নামের কেবল প্রথম অক্ষর দিয়ে প্রতীক লিখতে হবে এবং প্রথম অক্ষরটি বড় হাতের হবে। যেমন নাইট্রোজেনের প্রতীক N.
- যদি দুইটা অক্ষর বা Latter দিয়ে প্রতীক লিখতে হয়, তবে মৌলের ইংরেজি নামের প্রথম অক্ষর হবে বড় হাতের এবং পরের অক্ষরটি হবে ছোট হাতের। যেমন- ক্যালসিয়ামের প্রতীক Ca.
- কিছু মৌলের প্রতীক তাদের ল্যাটিন নাম থেকে নেওয়া হয়, যেমন- সোডিয়ামের ল্যাটিন নাম Natrium যার সংকেত Na, সিলভারের ল্যাটিন নাম Argentum যার সংকেত Ag।
সংকেত
যখন একটা মৌলিক পদার্থের অণুকে প্রকাশ করা হয় তখন তাকে সংকেতের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। একইসাথে যদি অনেকগুলো মৌলিক পদার্থ মিলে একটা যৌগিক পদার্থ তৈরি করে তখন সেটাকেও সংকেতের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
একটা মৌলিক পদার্থের সংকেতের মাধ্যমে ঐ মৌলিক পদার্থের একটা অণুতে কয়টা পরমাণু আছে সেটার সংখ্যা সম্পর্কে জানা যায়। যেমন হাইড্রোজেনের সংকেত H2, এর মানে হাইড্রোজেনের একটা অণুতে ২টা হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে। আবার সালফারের সংকেত S8, এর মানে সালফারের একটা অণুতে ৮ টা সালফার পরমাণু থাকে। এবার আরো কিছু মৌলিক পদার্থের সংকেত জেনে ফেলি-
হিলিয়াম – He
নাইট্রোজেন – N2
অক্সিজেন – O2
ফসফরাস – P5
ক্লোরিন – Cl2
একটা যৌগিক পদার্থের সংকেত বলতে বোঝায় ঐ যৌগে থাকা প্রতিটা মৌলিক পদার্থ কি অনুপাতে আছে সেটার সাংকেতিক প্রকাশকে। যেমন জিংক সালফেটের সংকেত ZnSO4, এই সংকেত থেকে বোঝা যাচ্ছে এই যৌগে জিংকের অনুপাত ১, সালফারের অনুপাত ১, অক্সিজেনের অনুপাত ৪। একইসাথে এই যৌগটি যে তিনটা মৌলিক পদার্থ – জিংক, সালফার, অক্সিজেন দিয়ে তৈরি তাও বোঝা যায়।
চলো আরো কিছু যৌগিক পদার্থের সংকেত শিখি-
অ্যামোনিয়া – NH3
সালফিউরিক এসিড – H2SO4
কপার সালফেট – CuSO4
লেড সালফাইড – PbS
অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড – NH4OH
ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড – MgCl2
0 comments:
Post a Comment