Recent Post
Loading...
ইলেকট্রন



ইলেকট্রন একটি অধঃ-পরমাণু (subatomic) মৌলিক কণা (elementary particle) যা একটি ঋণাত্মক তড়িৎ আধান বহন করে। ইলেকট্রন একটি স্পিন -১/২ অর্থাৎ ফার্মিয়ন) এবং লেপ্টন শ্রেনীভুক্ত। এটি প্রধানত তড়িৎ-চুম্বকীয় মিথষ্ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। পারমাণবিক কেন্দ্রের (নিউক্লিয়াসের) সঙ্গে একত্র হয়ে ইলেকট্রন পরমাণু তৈরি করে এবং এর রাসায়নিক বন্ধনে অংশগ্রহণ করে। মূলত ইলেকট্রন চলাচলের দরুন কঠিন পরিবাহীতে বিদ্যুতের প্রবাহ ঘটে। ইলেকট্রনের স্পিন ও ইলেকট্রন প্রবাহের বর্তুলতা (চক্রাকার প্রবাহ) বা ত্বরণের জন্য চৌম্বকত্ব তৈরি হয়।

আবিষ্কারের ইতিহাস
প্রাথমিক পর্যায়
বিজ্ঞানী জি. জনস্টোন স্টোনি সর্বপ্রথম তড়িৎ রসায়নে ইলেকট্রনকে আধানের একটি একক হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং তিনিই ১৮৯১ সালে ইলেকট্রন নামকরণ করেন। ১৮৯০-এর দশকে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী বলেন যে তড়িৎ বিচ্ছিন্ন একেকের দ্বারা গঠিত হতে পারে এবং এভাবেই এ বিষয়ে সবচেয়ে ভাল ধারণা করা সম্ভব। এই এককগুলোর অনেক নামই প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু তখনও পর্যন্ত বাস্তব ভিত্তিতে এর প্রমাণ দেয়া সম্ভব হয়নি।

থমসনের পরীক্ষা
ইলেকট্রন যে একটি উপআনবিক কণিকা তা সর্বপ্রথম বিজ্ঞানী জে. জে. টমসন ১৮৯৭ সালে আবিষ্কার করেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাভেন্ডিশ গবেষণাগারে ক্যাথোড রশ্মি নল নিয়ে গবেষণা করার সময় তিনি এই আবিষ্কার করেন। ক্যাথোড রশ্মি নল হল একটি সম্পূর্ণ বদ্ধ কাচের সিলিন্ডার যার মধ্যে দুইটি তড়িৎ ধারক (electrode) শুন্য স্থান দ্বারা পৃথ করা থাকে। যখন দুইটি তড়িৎ ধারকের মধ্যে বিভব পার্থক্য প্রয়োগ করা হয় তখন ক্যাথোড রশ্মি উৎপন্ন হয় এবং এর ফলে নলের মধ্যে আভার সৃষ্টি হয়। উপর্যুপরী পরীক্ষার মাধ্যমে টমসন প্রমাণ করেন যে চৌম্বকত্বের সাহায্যে রশ্মি থেকে ঋণাত্মক আধান পৃথক করা যায় না; তবে তড়িৎ ক্ষেত্র দ্বারা রশ্মিগুলোকে বিক্ষিপ্ত করা যায়। মূলত ইলেকট্রনের আবিষ্কার এবং এর অংশসমূহ সম্বন্ধে ধারণা লাভ করতে গিয়ে টমসনকে তিন তিনটি পরীক্ষা সম্পাদন করতে হয়েছিলো:

প্রথমত:
এই পরীক্ষার সাথে ১৮৯৫ সালে জ্যাঁ পেরিন কৃত পরীক্ষার বেশ মিল ছিল। টমসন এক জোড়া ধাতুর সিলিন্ডার দ্বারা একটি ক্যাথোড রশ্মি নল তৈরি করেন যার মধ্যে একটি সংকীর্ণ ফাঁক ছিল। এই সিলিন্ডারদ্বয় আবার একটি ইলেকট্রোমিটারের সাথে সংযুক্ত ছিল যাতে তড়িৎ আধান সংরক্ষণ এবং পরিমাপ করা যায়। পেরিন দেখেছিলেন ক্যাথোড রশ্মি একটি তড়িৎ আধান জমা করে। টমসন দেখতে চেয়েছিলেন একটি চুম্বকের মাধ্যমে রশ্মিগুলো বাঁকিয়ে রশ্মি থেকে আধান পৃথক করা যায় কি-না। তিনি দেখতে পান রশ্মিগুলো যখন সিলিন্ডারের সরু ফাঁকে প্রবেশ করে তখন ইলেকট্রোমিটারে ঋণাত্মক আধানের আধিক্য দেখা যায়। রশ্মিগুলো বাঁকিয়ে দিলে মিটারে ঋণাত্মক আধানের পরিমাণ এতো হয়না, কারণ রশ্মি তখন ফাঁকে প্রবেশেরই সুযোগ পায় না। এ থেকে স্পষ্টতই ধারণা করে নেয়া যায় যে ক্যাথোড রশ্মি এবং ঋণাত্মক আধান যেভাবেই হোক একসাথে থাকে, এদের পৃথক করা যায় না।

দ্বিতীয়ত:
পদার্থবিজ্ঞানীরা তড়িৎ ক্ষেত্রের সাহায্যে ক্যাথোড রশ্মি বাঁকানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এবার টমসন একটি নতুন পরীক্ষণের কথা চিন্তা করেন। একটি আয়নিত কণা তড়িৎ ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হলে অবশ্যই বেঁকে যাবে, কিন্তু যদি একে যদি একটি পরিবাহী দ্বারা ঘিরে দেয়া হয় তবে আর বাঁকবে না। তিনি সন্দেহ করেন যে নলের মধ্যে বিরাজমান গ্যাস বিশেষ পরিস্থিতিতে ক্যাথোড রশ্মির কারণেই তড়িৎ পরিবাহীতে পরিণত হয়েছে। এই ধারণা প্রমাণ করার জন্য অনেক কষ্টে তিনি একটি নলকে প্রায় বিশুদ্ধ শূণ্যস্থান করতে সমর্থ হন। এবার পরীক্ষা চালিয়ে দেখা যায় ক্যাথোড রশ্মি তড়িঃ ক্ষেত্র দ্বারা বেঁকে যাচ্ছে। এই দুইটি পরীক্ষণ থেকে টমসন সিদ্ধান্তে পৌঁছান,

আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছা থেকে কোন ভাবেই পালাতে পারিনা যে ক্যাথোড রশ্মি হল ঋণাত্মক তড়িৎের আধান যা পদার্থের কণিকা দ্বারা বাহিত হয়।.... এই কণিকাগুলো কি? এরা কি পরমাণু, অথবা অণু, অথবা এমন পদার্থ যা এখন পর্যন্ত উপবিভাগের একটি সূক্ষ্মতম পর্যায়ে রয়েছে?

তৃতীয়ত:
টমসনের তৃতীয় পরীক্ষার বিষয়বস্তু ছিল কণিকাসমূহের মৌলিক বৈশিষ্ট্যসমূহ অনুসন্ধান করা। তিনি যদিও এ ধরনের কোন কণিকার সরাসরি ভর বা আধান বরে করতে পারেন নি, তবে চুম্বকত্বের দ্বারা এই রশ্মিগুলো কতটা বাঁকে এবং এদের মধ্যে কি পরিমাণ শক্তি রয়েছে তা পরিমাপ করতে পেরেছিলেন। এই উপাত্তগুলোর মাধ্যমে তিনি একটি কণিকার ভর এবং এর তড়িৎ আধানের মধ্যে একটি অণুপাত বের করেন। নিশ্চয়তার জন্য তিনি অনেক ধরনের নল এবং গ্যাস নিয়ে পরীক্ষণ সম্পাদন করার মাধ্যমে উপাত্তগুলো সংগ্রহ করেন। এই অণুপাত থেকে বেশ আশ্চর্যজনক ফল পাওয়া যায়; এর মান একটি আয়নিত হাইড্রোজেনের তুলনায় এক হাজার গুণেরও বেশি ছোট হয়।

পরবর্তী যুগ
অণুপাতের পরিমাণটি এতো ছোট হওয়ার বিষয়টি পরীক্ষণের পর এমিল ওয়াইখার্ট (Emil Wiechert) উত্থাপন করেন। এ হিসেবে, হয় ক্যাথোড রশ্মির আধানের পরিমাণ বিপুল (আয়নিক পরমাণূর তুলনায়) অথবা তারা তাদের আধানের তুলনায় আশ্চর্যজনকভাবেই হালকা। এই দুটি সম্ভাবনার মধ্যে বেছে নেয়ার বিষয়টি ফিলিপ লিনার্ড নির্দিষ্ট করেন। ক্যাথোড রশ্মি কিভাবে গ্যাসের বাঁধা অতিক্রম করে তা নিয়ে পরীক্ষা করে তিনি দেখান যে, ক্যাথোড রশ্মি যদি কণিকা হয় তবে তার ভর অতি ক্ষুদ্র হতে হবে, যেকোন পরমাণুর চেয়েও অনেক ক্ষুদ্র। অবশ্য এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ তখনও দেয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে গবেষণায় নির্দিষ্ট মান বেরিয়ে এসেছে। যেমন ১৯০৯ সালে রবার্ট মিলিকান তার তৈল-বিন্দু পরীক্ষার সাহায্যে ইলেকট্রনের আধান নির্ণয় করেন। টমসন দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছিলেন যে,

ক্যাথোড রশ্মির মধ্যে আমরা পদার্থের একটি নতুন অবস্থার সন্ধান পাই, এটি এমন এক অবস্থা যাতে পদার্থের উপবিভক্ত অংশগুলোও সাধারণ গ্যাসীয় অবস্থার তুলনায় অনেক বেশি বাহিত হয়: এমন এক অবস্থা যাতে সকল পদার্থ একটি এবং একই শ্রেণীর; এই পদার্থটিই সেই সারবস্তু যা থেকে সকল রাসায়নিক মৌলসমূহ সৃষ্টি হয়েছে।

পর্যায়বৃত্ত ধর্ম অনুসারে মৌলসমূহের রাসায়নিক ধর্ম পর্যায়বৃত্তভাবে ব্যাপকহারে পরিবর্তীত হয়্ এবং এটিই বর্তমান পর্যায় সারণীর ভিত্তি রচনা করেছে। এই তত্ত্বটিকে আদিতে পারমাণবিক ভর দ্বারা ব্যাখ্যা করা হতো, কিন্তু পারমাণবিক ভরের ক্রম ঠিক না থাকায় এ নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। ১৯১৩ সালে বিজ্ঞানী অঁরি মোসলে পারমাণবিক সংখ্যার ধারণা প্রবর্তন করেন এবং প্রতিটি পরমাণুর মধ্যস্থিত প্রোটন সংখ্যা দ্বারা পর্যায়বৃত্ত ধর্ম ব্যাখ্যা করেন। একই বছর নিল্‌স বোর দেখান যে ইলেকট্রনই প্রকৃতপক্ষে পর্যায় সারণীর মূল ভিত্তি। ১৯১৬ সালে গালবার্ট নিউটন লুইস ইলেকট্রনীয় মিখস্ক্রীয়ার মাধ্যমে রাসায়নিক বন্ধন ব্যাখ্য করেন।

শ্রেণীবিভাগ
ইলেকট্রন লেপ্টন নামক অধঃপারমাণবিক কণার শ্রেণীতে অবস্থিত। এদেরকে মৌল কণিকা হিসেবে ধরা হয়, অর্থাৎ এদেরকে আরও ক্ষুদ্রতর অংশে ভাগ করা সম্ভব নয়। অন্যান্য কণার মত ইলেকট্রনও তরঙ্গ হিসেবে আচরণ করতে পারে। এই আচরণটিকে তরঙ্গ-কণা দ্বৈত আচরণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। পদার্থবিজ্ঞানে এর অপর নাম কমপ্লিমেন্টারিটি, এই নামটি বিজ্ঞানী নিল্‌স বোর কর্তৃক প্রদত্ত। দ্বি-চির পরীক্ষা দ্বারা এটি প্রমাণ করা যায়।

ইলেকট্রনের প্রতিকণিকার নাম পজিট্রন। বোঝাই যাচ্ছে যে পজিট্রনের ভর হুবহু ইলেকট্রনের সমান কিন্তু আধান ধনাত্মক হওয়ার পরিবর্তে ঋণাত্মক, যদিও আধানের মান সমান। পজিট্রনের আবিষ্কারক কার্ল ডেভিড এন্ডারসন আদর্শ ইলেকট্রনকে নেগেট্রন নামে ডাকার প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ইলেকট্রন নামটি একটি সাধারণ শব্দ হিসেবে ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক উভয় আধান বোঝাতে ব্যবহার করা উচিত। তবে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় নি।

বৈশিষ্ট্য ও আচরণ
প্রতিটি ইলেকট্রন একটি ঋণাত্মক তড়িৎ আধান বহন করে। এটি তড়িৎ-চুম্বকীয় মিথষ্ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। পারমাণবিক কেন্দ্রীনের (নিউক্লিয়াসের) সঙ্গে একত্র হয়ে ইলেকট্রন পরমাণু তৈরি করে এবং এর রাসায়নিক বন্ধনে অংশগ্রহণ করে। মূলত ইলেকট্রন চলাচলের ফলেই কঠিন পরিবাহীতে বিদ্যুতের প্রবাহ ঘটে। ইলেকট্রনের স্পিন ও ইলেকট্রন প্রবাহের বর্তুলতা (চক্রাকার প্রবাহ) বা ত্বরণের জন্য চৌম্বকত্ব তৈরি হয়।

ইলেকট্রনের ব্যবহার
দৈনন্দিন ঘটনায় গুরুত্ব
যদিও পদার্থবিদ্যায় তড়িৎ আধানের মধ্যে আকর্ষণ-বিকর্ষণ (স্থির তড়িৎ), বিদ্যুৎ ও চৌম্বক ক্রিয়া কেবল এই দুই-তিন রকম ক্ষেত্রে ইলেক্ট্রনের ভূমিকার কথাই বেশি বলা হয়, ভরজনিত জাড্যতা ছাড়া আমাদের চারিপাশের দৃশ্য বিশ্বের পদার্থের অন্যান্য অধিকাংশ ভৌত ধর্ম (ও অবশ্যই সমস্ত রাসায়নিক ধর্ম) পদার্থটির মধ্যের ইলেকট্রনগুলির বন্ধন ও বিন্যাসের উপর নির্ভর করে -- যেমন হীরার কাঠিন্য সমযোজী বন্ধন সমূহের বিস্তারিত জালের জন্য; বিভিন্ন রঙ্গক পদার্থের রঙ তাদের উচ্চতম শক্তির আলগা ইলেকট্রনগুলি কোন কম্পাঙ্কের ফোটন শোষণ করে তার উপর; গঁদের আঠার আঠালোভাব তার ভ্যান ডার ওয়ালস বন্ধন ক্ষমতার জন্য; বুলেটপ্রুফ জামার দুর্ভেদ্যতা ও বোরোজেন (বোরন নাইট্রাইড) এর কাঠিন্য আসে ছড়িয়া থাকা (ডিলোকালাইজড) বা ইলেক্ট্রন-ডেফিসিয়েন্ট বন্ধনের জন্য; শ্লেষ্মার পিচ্ছিল ভাব ও তরুণাস্থি ইত্যাদি হাইড্রোজেল-এর চাপ সহ্য করার ক্ষমতা এদের মধ্যে স্বল্প-ব্যবধানে অবস্থিত অনেক ঋণাত্মক আধানের বিকর্ষণের জন্য; ধাতুর স্প্রিং-এর দৃঢ়তা ও ইলাস্টিসিটি, ধাতুকে পিটিয়ে কতটা পাতলা পাত বানানো যায় (ম্যালিয়েবিলিটি), তার টেনে কতটা লম্বা করা যায় (ডাক্টিলিটি), নমনীয়তা ইত্যাদি ধাতব ইলেকট্রনীয় বন্ধনের কিছু ধর্মের জন্য; এবং বিভিন্ন জৈব পদার্থের জল বা তেলে দ্রাব্যতা তাদের মধ্যেকার বন্ধন-গুলি পোলার না নন-পোলার তার উপর নির্ভর করে; বিভিন্ন তেলের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক তাদের ফ্যাটি এসিড কার্বন শৃঙ্খলের মধ্যে দ্বিবন্ধনের সংখ্যার উপর নির্ভর করে।



যেভাবে জারণ মান বের করবেন: মনে করি KClO4 যৌগে Cl এর জারণ মান বের করতে হবে।তাহলে এর সাথে অন্য মৌলগুলোর পরমানু ও যোজনীর গুণফল যোগ করে সমান চিহ্ন দিয়ে 0 দিতে হবে।যেমন:K এর যোজনী 1 আর O এর যোজনী -2 ও পরমানু 4 তাহলে Cl এর জারণ মান; KClO4 >>> (1)+Cl+{4*(-2)}=0 বা,1+Cl-8=0 বা,Cl-7=0 বা,Cl=+7 (answer)

 অণু ও পরমাণু কাকে বলে? উহাদের ৫টি পার্থক্য লিখ।

অণুঃ অণু শব্দের অর্থ ক্ষুদ্র। মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা ঐ পদার্থের ধর্মাবলী অক্ষুন্ন রেখে     স্বাধীনভাবে অবস্থান করতে পারে তাকে অণু বলে।

পরমাণুঃ ‘পরম’ শব্দের অর্থ অত্যন্ত আর অণু শব্দের অর্থ ক্ষুদ্র। পরমাণু শব্দের অর্থ অত্যন্ত ক্ষুদ্র। মৌলিক পদার্থের যে     ক্ষুদ্রতম কণা অবিভাজ্য অবস্থায় রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে এবং যার মধ্যে মৌলিক পদার্থটির সকল ভৌত ও     রাসায়নিক ধর্ম বর্তমান থাকে তাকে পরমাণু বলে।

অণু ও পরমাণু এর ৫টি পার্থক্য নিন্মে দেয়া হলোঃ-
অণু:-

১। অণু মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের বৈশিষ্ট রক্ষাকারী ক্ষুদ্রতম কণা।  রক্ষাকারী অত্যন্ত ক্ষুদ্রতম কণা।
২। অণু সরাসরি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে  না।
৩। অণুর স্বাধীন সত্তা আছে।
৪। অণুকে বিশ্লেষণ করলে একই বা ভিন্ন প্রকারের   পরমাণু পাওয়া যায়।
৫। অণু স্থায়ী।

পরমাণু:-

১। পরমাণু মৌলিক পদার্থের বৈশিষ্ট
২। পরমাণু সরাসরি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে।
৩। অধিকাংশ পরমাণুর স্বধীন সত্তা নেই।
৪। পরমাণুকে অধিক বিভক্ত করলে  মৌলের  নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য লোপ পায়।
৫। পরমাণু অস্থায়ী



রাসায়নিক বিক্রিয়া এর বিশ্লেষণ ও তাৎপর্য

১। রাসায়নিক বিক্রিয়া কি?
রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠনের ৩ টি উপায় বর্ননা কর।

উত্তরঃ রাসায়নিক বিক্রিয়া : এক বা একাধিক বস্তুর রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে নতুন পদার্থ সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।
রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠনের ৩ টি উপায়: ১) সংস্পর্শ       ২) আলো     ৩) বিদ্যুৎ

১) সংস্পর্শ: কোন রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত    হলে সংস্পর্শ প্রধানতম শর্ত।
যেমন: আয়োডিনের কেলাস ও সাদা ফসফরাস পাশাপাশি একটু ব্যবধানে রাখলে কোন রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে না। কিন্তু     তাদেরকে পরস্পরের সংস্পর্শে আনা মাত্রই এদের মধ্যে তীব্র রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে এবং ফসফরাস ট্রাই আয়োডাইড উৎপন্ন     করে।                                      2P + 3I2 = 2PI3

২) আলো: আলো এক প্রকার শক্তি। কোন রাসায়নিক বিক্রিয়া অন্ধকারে সংঘটিত হয় না।
যেমন: হাইড্রোজেন ও ক্লোরিনের মিশ্রণ অন্ধকারে রেখে দিলে কোনো বিক্রিয়া হয় না। কিন্তু আলোকে আনলে বিস্ফোরণসহ     বিক্রিয়া সংঘটিত হয়।                                          আলো

H2 + Cl2              2HCl

৩) বিদ্যুৎ: অনেক রাসায়নিক বিক্রিয়া বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে সংঘটিত হয়।
যেমন: সামান্য এসিড মিশ্রিত পানির মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ পরিচালনা করলে এর উপাদান হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন উৎপন্ন     হয়।                                   বিদ্যুৎ প্রবাহ
2H2O                     2H2 + O2

২।    আইসোমারিক / সমানুকরণ / পারমানবিক পূর্ণবিন্যাস / সমানুক বিক্রিয়া কি? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যে বিক্রিয়ায় কোন যৌগের অণুতে পরমাণুসমূহ পুনর্বিন্যস্ত হয়ে অন্য সমানু উৎপন্ন করে তাকে আইসোমারিক বিক্রিয়া     বলে।
যেমন: অ্যামোনিয়াম সায়ানেটকে উত্তপ্ত করলে ইউরিয়ায় রুপান্তরিত হয়।
NH4CNO             NH2 – CO – NH2
অ্যামোনিয়াম সায়ানেট                                     ইউরিয়া

৩।    পলিমারকরণ বা বহুযোজন বিক্রিয়া কি? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যে বিক্রিয়ায় এ বা একাধিক যৌগের অনেকগুলো অণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে বড় অণু সৃষ্টি করে তাকে পলিমারকরণ     বিক্রিয়া বলে।
যেমন: ইথিলিনের বহুসংখ্যক অণু একত্রিত হয়ে পলিািিথলিন তৈরি করে।
n(CH2 =CH2)                                     (– CH2 – CH2 – )n
ইথিলিন         পলিইথিলিন

৪।    প্রভাবক ও প্রভাবন কি? প্রভাবক কত প্রকার ও কি কি?

উত্তরঃ প্রভাবক: প্রভাবক একটি পদার্থ। যা কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া-য় অংশগ্রহন করে না ,কিন্তু রাসায়নিক বিক্রিয়া-য় উপস্থিত     থেকে বিক্রিয়ার গতিকে বৃদ্ধি বা হ্রাস করে তাকে প্রভাবক বলে।

প্রভাবন: প্রভাবক একটি পদার্থ। যা কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া-য় অংশগ্রহন করে না ,কিন্তু রাসায়নিক বিক্রিয়া-য় উপস্থিত     থেকে বিক্রিয়ার গতিকে বৃদ্ধি বা হ্রাস করে তাকে প্রভাবক বলে। এই প্রক্রিয়াটিকেই প্রভাবন বলে।

প্রভাবক চার প্রকার: ১) ধনাত্মক প্রভাবক   ২) ঋনাত্মক প্রভাবক   ৩) অটো বা স্বয়ং প্রভাবক   ৪) আবিষ্ট প্রভাবক

১) ধনাত্মক প্রভাবক: যে প্রভাবক কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া-র স্বাভাবিক গতিকে বৃদ্ধি করে তাকে ধনাত্মক প্রভাবক বলে।
যেমন: পটাসিয়াম ক্লোরেট হতে অক্সিজেন প্রস্তুতির সময় ম্যাংগানিজ ডাইঅক্সাইড ধনাত্মক প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।


                                                                 MnO2

                                              2KClO3      →        2KCl + 3O2

Δ





২) ঋনাত্মক প্রভাবক: যে প্রভাবক কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া-র স্বাভাবিক গতিকে হ্রাস করে তাকে ঋনাত্মক প্রভাবক বলে।
যেমন: হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড এর দ্রবণ ধীরে ধীরে বিয়োজিত হয়ে পানি ও অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। এখানে এরা ঋনাত্মক     প্রভাবক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
2H2O2 = 2H2O + O2  (ধীরে ধীরে বিয়োজন)

৩) অটো বা স্বয়ং প্রভাবক: যদি কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া-য় উৎপন্ন পদার্থসমূহের একটি নিজেই প্রভাবকের কাজ করে, তবে     তাকে অটো বা স্বয়োং প্রভাবক বলে।

৪) আবিষ্ট প্রভাবক: একটি বিক্রিয়ার প্রভাবে অন্য কোনো বিক্রিয়া সংঘটিত হয়  তাকে আবিষ্ট প্রভাবক বলে।

৫।    প্রভাবক বিবর্ধক ও প্রভাবক বিষ কি? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ প্রভাবক বিবর্ধক: যে পদার্থের উপস্থিতিতে প্রভাবকের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় তাকে প্রভাবক বিবর্ধক বা প্রভাবক সহায়ক বা     প্রভাবক উদ্দীপক বলে।
যেমন: হেবার প্রণালিতে অ্যামোনিয়া (NH3) প্রস্তুতির সময় আয়রন প্রভাবকের সাথে সামান্য পরিমাণ মলিবডেনাম উপস্থিত     (গড়) থেকে প্রভাবক সহায়ক হিসেবে প্রভাবকের ক্রিয়াকে বৃদ্ধি করে।
প্রভাবক  ঋব
N2 +3H2         →→                  2NH3
প্রভাবক সহায়ক

প্রভাবক বিষ: যে সমস্ত পদার্থ প্রভাবকের ক্ষমতা নষ্ট করে তাকে প্রভাবক বিষ বলে।
যেমন: এ বিক্রিয়াতে প্লাটিনাম(চঃ)চূর্ণ একটিধনাত্মক প্রভাবক। কিনতু বিক্রয়কের সাথে সামান্য পরিমাণ আর্সেনিয়াস অক্সাইড     (As2O3)     থাকে তবে বিক্রিয়ার গতি হ্রাস পায় অর্থাৎ  প্রভাবকের ক্ষমতা হ্রাস পায়। এখানে(As2O3) প্রভাবক বিষ হিসেবে     কাজ করে।
প্রভাবক চঃ
2SO2 + O2  →→→  2SO3
প্রভাবক বিষ As2O3

৬।    শিল্পক্ষেত্রে প্রভাবকের ৫ টি ব্যবহার লিখ।

উত্তরঃ শিল্পক্ষেত্রে প্রভাবকের ৫ টি ব্যবহার:

১) অ্যামিনিয়া (NH3) উৎপাদনে: হাইড্রোজেন  ও  নাইট্রোজেন  হতে  হেবার  প্রণালিতে  অ্যামোনিয়া (NH3) প্রস্তুতির  জন্য         লোহার গুঁড়া (Fe) প্রভাবক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

২) HCl এর জারণ কার্জে : ডিকন্স প্রণালিতে HCl এর জারণ কার্যে কিউপ্রিক ক্লোরাইড প্রভাবক রুপে ব্যবহৃত হয়।
৩) কৃত্রিম ঘি উৎপাদনে: অসম্পৃক্ত তেলের মধ্যে  হাইড্রোজেন চালনা   করে  কৃত্রিম ঘি বা ডালডা তৈরিতে নিকেল চূর্ণ প্রভাবক         হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

৪) পাইপ সংরক্ষণে: বাণিজ্যিক ভিত্তিতে  পানি  সরবরাহের  পাইপ  ও  বয়লারের লোহার  ক্ষয়রোধের  জন্য  পানি  সরবরাহে         সোডিয়াম ডাইক্রোমেট  ঋনাত্মক প্রভাবক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

৫) গ্যাসোলিন উৎপাদনে: পেট্রোলিয়ামকে তাপ বিয়োজন করে গ্যাসোলিন জ্বালানি প্রস্তুতিতে অ্রালুমিনিয়াম সিলিকেট                                                                                              প্রভাবকরুপে ব্যবহৃত হয়।

কেমিস্ট্রি – ৩য় অধ্যায় (৫৯১৩)
১।    এসিড ও ক্ষারকের আধুনিক ধারনা দাও।

উত্তরঃ এসিড: যে সকল যৌগ জলীয় দ্রবনে সম্পূর্ণরূপে বিয়োজিত হয়ে প্রোটন প্রদান করে তাকে এসিড বলে।

ক্ষারক: যে সকল যৌগ জলীয় দ্রবনে সম্পূর্ণরূপে বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোক্সিল আয়ন প্রদান করে তাকে ক্ষারক বলে।

২।    সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়, ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ ক্ষারক: যে সকল যৌগ জলীয় দ্রবনে সম্পূর্ণরূপে বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোক্সিল আয়ন প্রদান করে তাকে ক্ষারক বলে।
যেমন: CaO, ZnO, Al2O3 ইহা ক্ষারক কারণ ইহা পানিতে দ্রবণীয় নয়।

ক্ষারঃ শুধুমাত্র যে সকল যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হয় তাদেরকে ক্ষার বলে।
যেমন: NaOH, CaO ইহা ক্ষার কারণ ইহা পানিতে দ্রবণীয়।

৩।    এসিডের ক্ষারকতা ও ক্ষারকের এসিডতা কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ এসিডের ক্ষারকতা: কোন এসিডের ক্ষারক প্রসমন করার ক্ষমতাকে এসিডের ক্ষারকতা বলে।
এক ক্ষারকীয় এসিড: যে এসিড একটি মাত্র ক্ষারক প্রসমন করতে পারে তাকে এক ক্ষারকীয় এসিড বলে। যেমন:    HCl
দ্বি – ক্ষারকীয় এসিড: যে এসিড দুইটি ক্ষারক প্রসমন করতে পারে তাকে দ্বি – ক্ষারকীয় এসিড বলে। যেমন:    H2SO4
ত্রি – ক্ষারকীয় এসিড: যে এসিড তিনটি ক্ষারক প্রসমন করতে পারে তাকে ত্রি – ক্ষারকীয় এসিড বলে। যেমন:    H3SO4
ক্ষারকের এসিডতা: কোন এসিডের ক্ষারক প্রসমন করার ক্ষমতাকে এসিডের ক্ষারকতা বলে।
এক এসিডিও ক্ষারক: যে ক্ষারক একটি মাত্র এসিড প্রসমন করতে পারে তাকে এক এসিডিও ক্ষারক বলে। যেমন: Na(OH)
দ্বি – এসিডিও ক্ষারক: যে ক্ষারক দুইটি এসিড প্রসমন করতে পারে তাকে দ্বি – এসিডিও ক্ষারক বলে। যেমন: Ca(OH)2
ত্রি – এসিডিও ক্ষারক: যে ক্ষারক তিনটি এসিড প্রসমন করতে পারে তাকে ত্রি – এসিডিও ক্ষারক বলে। যেমন: Al(OH)3

৪।    দ্বিধাতব লবণ / মিশ্র লবণ / যুগ্ন লবণ ও জটিল লবণ কাকে বলে? উদাহরন দাও।

উত্তরঃ দ্বিধাতব লবন: সমাণুক    মাত্রায় দুটি ভিন্ন লবণের সংমিশ্রণের ফলে কেলাস পানিসহ একক লবণের ন্যায় কঠিন অবস্থায়     যে লবণ কেলাসিত হয় তাকে দ্বিধাতব লবণ বা যুগ্ন লবণ বলে।
যেমন: ফিটকিরি বা পটাশ অ্যালাম: [K2SO4.Al2(SO4)3.24H2O]

জটিল লবণ: নির্দিষ্ট আণবিক মাত্রায় দুটি ভিন্ন একক লবণের সংমিশ্রণের ফলে যদি এমন একটি লবণ উৎপন্ন হয় যার ধর্ম     কঠিন অবস্থায় ও দ্রবণে উৎপাদক লবণদ্বয়ের ধর্ম হতে সম্পূর্ণ পৃথক হয় তবে উৎপন্ন লবণকে জটিল লবণ বলে।
যেমন: পটাসিয়াম ফেরোসায়ানাইট: ক৪[ঋব(ঈঘ)৬]

৫।    CaO / MgO / Al2O3 / Fe2O3 / ZnO / Gi এর এসিডতা বা অম্লতা বের কর।

উত্তরঃ CaO এর এসিডতা বা অম্লতা:

CaO + 2HCl         CaCl2 + H2O
এখানে CaO এর এসিডতা বা অম্লতা ২। কারণ এক অণু CaO দুই অণু HCl কে প্রশমিত করে।

MgO এর এসিডতা বা অম্লতা: MgO + 2HCl         MgCl2 + H2O
এখানে MgO এর এসিডতা বা অম্লতা ২। কারণ এক অণু MgO দুই অণু HCl কে প্রশমিত করে।

ZnO এর এসিডতা বা অম্লতা: ZnO + 2HCl         ZnCl2 + H2O
এখানে ZnO এর এসিডতা বা অম্লতা ২। কারণ এক অণু ZnO দুই অণু ZnO কে প্রশমিত করে।

Al2O3 এর এসিডতা বা অম্লতা: Al2O3 + 6HCl         2AlCl3 + 3H2O
এখানে Al2O3 এর এসিডতা বা অম্লতা ৬। কারণ এক অণু Al2O3 ছয় অণু HCl কে প্রশমিত করে।

Fe2O3 এর এসিডতা বা অম্লতা: Fe2O3 + 6HCl         2FeCl3 + 3H2O
এখানে Fe2O3 এর এসিডতা বা অম্লতা ৬। কারণ এক অণু Fe2O3 ছয় অণু HCl কে প্রশমিত করে।

কোনটা এসিড, কোনটা ক্ষারক,কোনটা লবণ জানার টেকনিক

কোনটা এসিড, কোনটা ক্ষারক,কোনটা লবণ তা নিয়ে তোমরা প্রায় সময়ই ঝামেলায় পড় অথচ কিছু টেকনিক জানলেই তোমরা এ সমস্যার সমাধান পেতে পার ।
==============================================
যৌগ দেখে কিভাবে এসিড, ক্ষারক, লবণ চিনতে হয় আজ তা নিয়ে আলোচনা করা হবে ।
এর জন্য প্রথমে ধাতু ও অধাতু
সম্পর্কে জানতে হবে ।
_______________
ধাতু = সাধারণত বিক্রিয়ায় যেসব মৌল e দান
করে তারা ধাতু ।
ধাতু e দান করে ধাতব আয়ন বা ধনাত্নক
আয়নে পরিণত হয়।
যেমন → Na, যা e দান করে Na+ আয়নে পরিণত
হয় ।
আরও উদাহরণঃ Ca,Mg,K,Li ইত্যাদি ।
ব্যতিক্রম- H (হাইড্রোজেন) ।
কেননা হাইড্রোজেন e দান করা সত্বেও অধাতু ।
_______________
অধাতু = সাধারণত বিক্রিয়ায় যেসব মৌল e গ্রহণ
করে তারা অধাতু ।
অধাতু e গ্রহণ করে অধাতব আয়ন বা ঋণাত্মক
আয়নে পরিণত হয় ।
যেমন- Cl, যা e গ্রহণ করে Cl- আয়নে পরিণত হয় ।
আরও উদাহরণঃ F,Br,O,Br ইত্যাদি ।
_______________
Just ৪টা সূত্র মনে রাখ , তাহলে এসিড ও ক্ষারক
সহজেই চিনতে পারবে ।
_______________
সূত্র ০১: ধাতুর সাথে H/O/OH-
থাকলে সেগুলো ক্ষারক হবে ।
সূত্র ০২: অধাতুর সাথে H/O/OH-
থাকলে সেগুলো এসিড হবে ।
সূত্র ০৩: ধনাত্নক যৌগমূলক + OH- = ক্ষারক ।
সূত্র ০৪: ঋণাত্মক যৌগমূলক + H+ = এসিড ।
_______________
সূত্রগুলোর ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হল
_______________
ব্যাখ্যা ০১: ধাতুর সাথে হাইড্রোজেন
থাকলে সেটি ক্ষারক ।
যেমন → NaH, MgH2, KH, CaH2
_______________
ব্যাখ্যা ০২ : ধাতুর সাথে অক্সিজেন থাকলেও
সেটি ক্ষারক ।
যেমন → Na2O, MgO, K2O, CaO
_______________
ব্যাখ্যা ০৩ : ধাতুর সাথে হাইড্রোক্সাইড থাকলেও
সেটি ক্ষারক ।
যেমন → NaOH, Mg(OH)2, KOH, Ca(OH)2
_______________
ব্যাখা ০৪: অধাতুর সাথে হাইড্রোজেন
থাকলে সেটি এসিড ।
যেমন → HBr, HCl, HF
ব্যাখা ০৫: অধাতুর সাথে অক্সিজেন
থাকলে সেটি এসিড ।
যেমন → CO²
_______________
ব্যাখা ০৬ : অধাতুর সাথে হাইড্রোক্সাইড
থাকলে সেটি এসিড ।
যেমন → HClO, HBrO, HIO
_______________
ব্যাখা ০৭ : ঋণাত্মক যৌগমূলকের সাথে H+ যুক্ত
হলে এসিড হয় ।
যেমন → HNO3, HNO2
_______________
ব্যাখা ০৮ : ধনাত্নক যৌগমূলকের সাথে OH- যুক্ত হলে ক্ষারক হয় ।
যেমন → NH4OH.
_______________
লবণ চেনার সূত্রঃ
H+ বাদে যে কোনো ধনাত্নক আয়ন বা মূলক+ OH- বাদে যে কোনো ঋণাত্মক আয়ন বা মূলক = লবণ ।
যেমনঃ
Na+ + Cl- → NaCl
Na+ + F- → NaF
NH4+ + Cl- → NH4Cl
_______________
১-২ টা যৌগ হয়তো উপরোক্ত সূত্র নাও মানতে পারে । এগুলো ব্যতিক্রম ধরে নিবে ।



মোল(Mole) সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা :



মোল শব্দটি জার্মান Molekul শব্দটির সংক্ষেপিত রূপ,উইলহেম অসওয়াল্ড সর্ব প্রথম এর ধারনা দেন। মোলের সাধারন সঙ্গা হিসেবে বলা যায়, কোন আইসোটোপে তার আনবিক/পারমাণবিক ভরের সমান পদার্থ থাকলে অথবা অ্যাভোগেড্রো সংখ্যক (6.023E23), যৌগের ক্ষেত্রে অনু ও মৌলের ক্ষেত্রে পরমানু থাকলে তাকে উক্ত পদার্থের এক মোল বলা হয়। সাধারন কথায়, মোল হচ্ছে শুধুই একটা পরিমান। যে পরিমান পদার্থে অ্যাভোগেড্রো সংখ্যক (6.023E23) অনু, পরমানু, আয়ন ইত্যাদি আছে তাকেই এক মোল বলে। এখানে একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন, ফরাসী বিজ্ঞানী জ্যাঁ বাপ্তিস্ত প্রথম আবিস্কার করেন পদার্থের আনবিক বা পারমাণবিক ভরে 6.023E23 টি কণিকা থাকে। বিজ্ঞানী অ্যাভোগেড্রোর নামানুসারে তিনি এ সংখ্যার নাম দেন অ্যাভোগেড্রোর সংখ্যা। ধরা যাক, কোন যৌগের আনবিক ভর ১৮ (পানির)। এটা মানে বুঝায় পানির ১৮ গ্রামে বা ০.০১৮ কেজিতে (Kg) অ্যাভোগেড্রো সংখ্যক (6.023E23 টি) অনু আছে। আবার অ্যাভোগেড্রো সংখ্যক অনু থাকা মানেই ১ মোল। অর্থাৎ পানির আনবিক ভর মানেই ১ মোল। শুধু পানি নয়, পৃথিবীর তাবৎ অনুর আনবিক ভর সংখ্যার সমপরিমান ভর মানেই ১ মোল। অনুরূপ সোডিয়াম মৌলের পারমানবিক ভর সংখ্যা ২৩ মানে সেখানে অ্যাভোগেড্রো সংখ্যক (6.023E23 টি) পরমানু আছে ও তার পারমানবিক ভর ২৩ গ্রাম-ই হল সোডিয়ামের ১ মোল।


বর্তমানে আয়ন, ইলেক্ট্রন, ফোটন প্রভৃতির ক্ষেত্রেও মোলের প্রয়োগ লক্ষ্যনীয়। যেমন ১ মোল ইলেক্ট্রন বলতে 6.023E23 টি ইলেক্ট্রন বুঝায়। লিথিয়ামের যোজনী ১, তার মানে ১ মোল লিথিয়াম থেকে ১ মোল ইলেক্ট্রন অপসারন করলে ১ মোল তথা 6.023E23 টি লিথিয়াম আয়ন(Li+) পাব। এই এক মোল ইলেক্ট্রন মানেই হল এক ফ্যারাডে বিদ্যুৎ। এখন অনেক ক্ষেত্রে রাসায়নিক বন্ধনের ক্ষেত্রেও মোল ব্যবহার করা হয়, যেমন ১ মোল বন্ধন বলতে 6.023E23 টি বন্ধন বুঝায়।

জেনে নিন সিলিকা জেলের ব্যাবহারঃ

সিলিকা সর্বসাধারণের কাছে খুব বেশি পরিচিত না। তবে সিলিকার তৈরি ব্যাগ সম্বন্ধে কম-বেশি সবাই জানে। যেকোনো পণ্য কেনার পর দেখবেন এর মধ্যে ছোট একটি ব্যাগ আছে। কেনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যাগটি ফেলে দেই। অথচ ওই ছোট্ট সিলিকা ব্যাগটি আপনার পছন্দের পণ্যটিকে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে। কারণ এটি বাতাসের আর্দ্রতা শোষণ করে। আর এই ব্যাগের ওপর বড় করে লেখা থাকে ‘ডু নট ইট’ অর্থ্যাৎ ‘দয়া করে খাবেন না’।
সিলিকন কি
সিলিকা হচ্ছে সিলিকন এবং অক্সিজেন এর সমন্বয়ে গঠিত একটি খনিজ । সিলিকা জেল হচ্ছে সোডিয়াম সিলিকেট থেকে কৃত্রিমভাবে প্রস্তুতকৃত সিলিকন ডিওক্সাইড এর একটি রূপ যা ভঙ্গুর, কাঁচের ন্যায় স্বচ্ছ এবং ছিদ্রযুক্ত একটি পদার্থ । এটি একটি নিরাপদ রাসায়নিক যা পন্যকে শুকনো রাখতে সহায়তা করে। তবে এটি নিরাপদ হলেও খাওয়া যাবে না এবং সব সময় শিশুদের নাগালের বাইরে রাখা বাঞ্ছনীয় ।
১। রূপার গহনা ভাল রাখতে
আর্দ্রতা রূপার গহনার সৌন্দর্য কেড়ে নেয় এবং দ্রুত গহনার রঙ কালো করে দেয় । এজন্য কিছু পরিমানে সিলিকা প্যাকেট আপনি আপনার গহনার বাক্সের মধ্যে রাখুন । আপনার রূপার গহনা থাকবে চকচকে । এতে শুধু গহনাই নয় আপনার গহনার বাক্সও থাকবে শুষ্ক এবং সুরক্ষিত ।
২। ভেজা মোবাইল ফোনকে রক্ষা করতে
মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা বা অসাবধানতাবশত আমাদের হাত থেকে মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে যেতে পারে বা আমাদের হাত থেকে পানি মোবাইল ফোনের উপর পড়ে তা ফোনের ভেতরে গিয়ে ফোনের ক্ষতি করে । আর পানিতে পড়ে গেলে বা পানি মোবাইলের ভেতরে প্রবেশ করলে মোবাইল ফোনের ক্ষতি আমরা কোনভাবেই ঠেকাতে পারিনা অধিকাংশ সময়ে । এখন আমরা মোবাইলের এই পানিজনিত সমস্যা সমাধান করতে পারেন খুব সহজেই ।মোবাইল ফোন পানিতে পড়লে বা এর ভেতরে পানি প্রবেশ করলে দেরি না করে এর ব্যাটারি, মেমরি কার্ড ফোন থেকে খুলে ফেলুন । এরপর একটি ছোট বাটিতে পর্যাপ্ত পরিমানে অর্থাৎ অনেকগুলো পরিমানে সিলিকা ব্যাগ নিয়ে তার মধ্যে মোবাইল ফোনটি রেখে দিন । এরপর ফোন চালু করার আগে অন্ততপক্ষে ৭/৮ ঘন্টা এর মধ্যে রেখে দিন । এতে করে সিলিকা ব্যাগ সম্পূর্ণভাবে আপনার মোবাইল থেকে সমস্ত পানি শোষণ করে আপনার ফোনকে সুরক্ষিত রাখবে । আর হাতের কাছে যদি সিলিকা জেল না পাওয়া যায় তবে জরুরী মুহূর্তে শুকনো চালের মধ্যে ফোনটি রেখে দিতে পারেন । কিন্ত সিলিকা জেল সবচেয়ে বেশী কার্যকর ।
৩। টাওয়েল শুকনো রাখতে
সাধারণত টাওয়েল ব্যবহার করার পর তা রেখে দিলে তা থেকে একধরনের ভ্যাপসা বাজে গন্ধ উৎপন্ন হয় । এই অসহ্য বাজে গন্ধ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য টাওয়েলের মধ্যে কিছু সিলিকা জেলের প্যাকেট রেখে দিন ।এতে সিলিকা জেল আপনার টাওয়েলকে শুষ্ক রাখবে এবং এতে করে টাওয়েলে আর ভ্যাপসা বাজে গন্ধও হবে না ।
৪। ক্যামেরাকে সুরক্ষিত রাখতে

যারা ক্যামেরা ব্যবহার করে তারা মাঝে মাঝেই খেয়াল করবেন যে ক্যামেরার কাঁচ বা ক্যামেরাটি স্যাঁতস্যাতে হয়ে যাচ্ছে । বা যদি বাইরে ঠাণ্ডার মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয় তবে দেখা যাবে ক্যামেরাটি খুব দ্রুত জমে যাচ্ছে ।এজন্য বাইরে থেকে এসে ক্যামেরার ব্যাটারি, মেমরি কার্ড এবং লেন্স যদি খোলা যায় তবে খুলে তা এক গামলা ভর্তি সিলিকা জেল এর মধ্যে রেখে দিন । সিলিকা জেল আপনার ক্যামেরা থেকে অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করে আপনার ক্যামেরাকে শুষ্ক ও সুন্দর রাখবে ।
৫। বীজ সংরক্ষণে
যারা বাগান করতে পছন্দ করেন এবং বীজ সংরক্ষণ করেন তারা খুব সহজেই সিলিকার মাধ্যমে বীজ অনেক দিন পর্যন্ত ভাল রাখতে পারেন । এজন্য একটি বাতাস প্রবেশ করতে পারেনা এমন বাক্সে বা ডিব্বায় একটি সিলিকা প্যাকেট রেখে তাতে বীজগুলো রেখে দিন । বিভিন্ন ধরনের বীজ আলাদা আলাদাভাবে আলাদা বোতল বা ডিব্বা বা বাক্সে সংরক্ষন করুন । এতে করে সিলিকা ব্যাগ ভেতরের বীজগুলোকে স্যাঁতস্যাঁতে হতে দিবেনা এবং বীজগুলো অনেকদিন পর্যন্ত ভাল থাকবে ।
৬। লাগেজ ভাল রাখতে ব্যবহার করুন
আমরা সাধারনত কোথাও বেড়তে যাওয়ার সময় লাগেজ ব্যবহার করি । কিন্তু বাকি সময়গুলোতে লাগেজ অব্যবহৃতই থেকে যায় । এ সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা আমাদের ব্যাগের ক্ষতি করতে পারে । তাই এই সময়গুলোতে ব্যাগের মধ্যে কিছু সিলিকা ব্যাগ রেখে দিলে লাগেজ থাকবে সুন্দর এবং সুরক্ষিত । অর্থাৎ স্যাঁতস্যাঁতে জনিত সমস্যার কারনে লাগেজের যে ক্ষতি হত তা আমরা সিলিকা ব্যাগের মাধ্যমে রোধ করতে পারি ।
৭। ওয়াটার প্রুফ ক্যামেরাকে সুরক্ষিত রাখুন
পানি নিরধোক ক্যামেরা যদিও পানির নিচেও সুরক্ষিত কিন্তু মাঝে মাঝে পানির ঘনত্ব ক্যামেরার ক্ষতি করতে পারে অথবা ক্যামেরার লেন্সের উপরে ঝাপসা আঁকাবাঁকা দাগ ফেলে দিতে পারে যা আপনার ক্যামেরার কার্যক্ষমতা নস্ট করে দিতে পারে । এজন্য ক্যামেরার প্যাকেট এর মধ্যে কিছু সিলিকা ব্যাগ রেখে দিতে পারেন বা ক্যামেরার সাথে রেখে দিতে পারেন এটা আপনার ক্যামেরাকে সুরক্ষিত রাখবে অতিরিক্ত পানিজনিত ক্ষতির হাত
৮। গাড়ির কাঁচ স্বচ্ছ রাখতে
স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় গাড়ির জানালার কাঁচ অস্বচ্ছ হয়ে যাচ্ছে ? কোন চিন্তা নেই অনেকগুলো সিলিকা প্যাকেট গাড়ির জানালার নিচে সমান্তরাল করে রেখে দিন । সিলিকা জেল খুব দ্রুত আপনার গাড়ির জানালার কাঁচের স্যাঁতস্যাঁতে ভাব দূর করে স্বচ্ছতা এনে দেবে ।
৯। কাপড়-চোপড় শুকনো রাখতে
যদি কেউ সেলাই করে বা কাপড় বহুদিন ধরে সংরক্ষন করতে পছন্দ করে তবে তারা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে বা মুখবন্ধ কোন ব্যাগে সেই কাপড়গুলোকে রেখে তার মধ্যে কিছু সিলিকা ব্যাগ রেখে দিতে পারেন । এতে করে কাপড়ে ফাঙ্গাস বা ভ্যাপসা গন্ধ প্রতিরোধ করা যাবে ।
১০। ভ্রমন ব্যাগের কাপড় সংরক্ষণে
যখন আমরা কোথাও বেড়াতে যাই তখন স্থান,কাল পাত্রভেদে অনেক সময় আমাদের ভেজা কাপড়গুলো ব্যাগে রেখে দিতে হয় । এতে কাপড়ে বিশ্রী গন্ধ হয়ে যায় এবং অন্যান্য কাপড়ও ক্ষতিগ্রস্থ হয় । সেক্ষেত্রে এই বিড়ম্বনা এড়াতে ভ্রমন ব্যাগের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমানে সিলিকা ব্যাগ রাখলে তা আপনার ভ্রমন ব্যাগকে শুষ্ক রেখে কাপড়ে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্গন্ধ সৃষ্টি হওয়া থেকে বাঁচাবে । যদি অনেক পরিমানে সিলিকা ব্যাগ রাখা যায় তাহলে আরও ভাল হয়
১১। গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সংরক্ষণে
যেখানে আপনি আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সংরক্ষণ করেন সেখানে পর্যাপ্ত পরিমানে সিলিকা ব্যাগ রেখে দিন । এতে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাগজগুলো নষ্ট হবে না । কারণ আমরা যেখানে কাগজপত্র সংরক্ষণ করি সেই জায়গাটা বদ্ধ থাকায় কিছুদিন পর ভেজা ভেজা হয়ে যায় এবং এতে করে কাগজের লেখা ছড়িয়ে অস্পষ্ট বা কালি কালি হয়ে যায় এবং ফলস্বরূপ আমরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ হারাই । তাই এ সমস্যা সমাধানে আজই আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাগজের মধ্যে সিলিকা প্যাকেট রাখুন এবং সেগুলোকে নিরাপদ রাখুন ।
১২। মেকআপ সংরক্ষণ করুন
আপনি কি আপনার মেকআপ পাউডার বা ব্লাসন এর মধ্যে কিছুদিন পরেই স্যাঁতস্যাঁতে এবং জমাট বাঁধা অবস্থা দেখতে পাচ্ছেন তবে তার মধ্যে আজই কিছু সিলিকা প্যাকেট রেখে দিন । তাহলে আগের মতই সুন্দর মেকআপ পাউডার বা ব্লাসন দেখতে পাবেন । সিলিকা জেল আপনার মেকআপের আর্দ্রতা দূর করে একে ভাল রাখবে ।
১৩। পুরনো ছবি সংরক্ষণ করুন
আমরা অনেকেই পুরনো ছবি সংরক্ষণ করতে পছন্দ করি । কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ছবিগুলো অস্বচ্ছ এবং স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে ছবি নষ্ট হয়ে যায় । এতে আমাদের অনেক পুরনো স্মৃতি হারিয়ে যায় সময়ের সাথে সাথে ।কিন্তু এখন আর চিন্তা নেই আপনি খুব সহজেই আপনার এই ছবিগুলোকে রাখতে পারেন নতুনের মতই এজন্য আপনার ছবির বাক্সের মধ্যে কিছু সিলিকা ব্যাগ রেখে দিন । এটি আপনার ছবিগুলোকে শুষ্ক রেখে এর অস্বচ্ছতা দূর করবে । আপনার ছবিগুলো দেখাবে আগের মতই । তবে আর দেরী কেন ? আজই আপনার ছবিগুলোকে সংরক্ষন করুন সিলিকা জেল দ্বারা।


জারণ-বিজারন বিক্রিয়া রসায়নের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রায়ই এই জারণ বিজারন বিক্রিয়া তালগোল পাকিয়ে যায়। কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে জারন-বিজারন বিক্রিয়া একদম পানির মত পরিষ্কার হয়ে যাবে,কথা দিচ্ছি। প্রথমে জারন বিক্রিয়ার প্রসঙ্গে আসা যাক। জারন বিক্রিয়াটা আসলে কি? সহজ কথায়, বিজারক জারিত হওয়াই জারন বিক্রিয়া। অর্থাৎ, বিজারক,জারিত, জারন- এ তিনটি শব্দ সম্পর্কযুক্ত। তাই এই তিনটি শব্দ আলাদা রাখতে হবে। এখন, চারটি উপায়ে বিজারক জারিত হতে পারে,অর্থাৎ জারন ঘটতে পারে। উপায় চারটি হল – ১)ইলেকট্রন ত্যাগ করে। ২)ঋণাত্মক মূলক বা আয়ন যোগ করে। ৩) ধনাত্মক আয়ন অপসারণ করে। ৪) সক্রিয় যোজনীর বৃদ্ধি ঘটিয়ে। মোটামুটি এই চারটি উপায়ে জারন ঘটে থাকে। উদাহরণের মাধ্যমেই বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে। Cu + H²SO⁴=CuSO⁴ + H² এই বিক্রয়ায় দেখা যায়,কপার পরমানু দুইটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে Cu²+ আয়নে পরিণত হয়। কপার ইলেকট্রন ত্যাগ করে বলে এর জারন ঘটেছে। আগেই বলেছি যে,জারন কথাটির সাথে বিজারক ও জারিত কথাটি সম্পর্কযুক্ত। তাই আমরা এটাও বলতে পারি যে,এই বিক্রিয়ায় কপার বিজারক এবং এটি জারিত হয়। উপরের বিক্রিয়াটা আরো মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে যে,এখানে কপারের সাথে ঋণাত্মক সালফেট আয়নের সংযোগ হয়েছে। ঋণাত্মক আয়ন যোগ হওয়ার কারনে বলা যায়,কপারের জারন ঘটেছে,কপার জারিত হয়,এটি বিজারক। আবার বিক্রিয়কে কপারের জারন সংখ্যা শূন্য আর উৎপাদে +2 । অতএব কপারের জারন সংখ্যার বৃদ্ধি হয়েছে। । । তাই এ উপায়েও বলা যায়,কপার বিজারক, এটি জারিত হয়,এর জারন ঘটে। ১,২ আর ৪ নং উপায়ের ব্যাখা দিলাম। ৩ নং উপায়ের ব্যাখা জানবার জন্য আমরা আরেকটা বিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করি। 2Cu²O + O²= 4 CuO এ বিক্রিয়ায় Cu²O থেকে একটি ধনাত্মক কপার পরমানুর অপসারন ঘটেছে। তাই Cu²O বিজারক,এটি জারিত হয় এবং এর জারন ঘটে। এবার বিজারন বিক্রিয়ার প্রসঙ্গে আসা যাক। বিজারন বিক্রিয়া জারন বিক্রিয়ার ঠিক উল্টো। জারক বিজারিত হলে তাকে বলা হয় বিজারন বিক্রিয়া। অর্থাৎ বিজারন, বিজারিত ও জারক এই তিনটি শব্দ সম্পর্কিত। চারটি উপায়ে জারক বিজারিত হতে পারে,অর্থাৎ বিজারন ঘটতে পারে। উপায় চারটি হল- ১)ইলেকট্রন গ্রহন করে। ২)ধনাত্মক আয়ন যোগ করে। ৩)ঋণাত্মক আয়ন অপসারন করে। ৪) সক্রিয় যোজনীর হ্রাস ঘটিয়ে। উপায় চারটি ব্যাখা করার জন্য বিক্রিয়া নিয়ে চিন্তা করতে হবে। Zn + CuSO⁴= ZnSO⁴ + Cu CuO +C= Cu + Co চিন্তা করার দায়িত্ব আপনার। চিন্তা করলেই ব্যাখা দিতে পারবেন। জারন বিক্রিয়ায় চারটি উপায়ের ব্যাখা দেয়া হয়েছে। জারন বিক্রিয়া বুঝতে পারলে বিজারন বিক্রিয়া বুঝতেও কোন অসুবিধা হবে না।


আয়োডিমিতি আর আয়োডোমিতি

ইন্টারমিডিয়েট (HSC) এ পড়ার সময় আমি যতবারই আয়োডিমিতি আর আয়োডোমিতি পড়তাম, ততবারই একটা আরেকটার সাথে পেঁচাইয়া ফেলতাম। আজকের লেখায় তাই ফোকাস করব এই দুটি বিষয়ের উপর। চেষ্টা করেছি সহজভাবে উপস্থাপন করার। তাহলে চলুন শুরু করা যাক...

★আয়োডিমিতি : প্রমাণ আয়োডিন দ্রবণের সাহায্যে ট্রাইট্রেশন করার পদ্ধতি। আয়োডিমিতি প্রক্রিয়ায় বিজারক পদার্থ যেমন- সালফেট, থায়োসালফেট, সালফাইট ইত্যাদির পরিমাণ নির্ধারণ করে।
যেমনঃ
I2 + Na2S2O3 → Na2S4O6 + NaI

★আয়োডোমিতি : রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উৎপন্ন মুক্ত আয়োডিনের সাহায্যে ট্রাইটেশন করার পদ্ধতি। আয়োডোমিতি প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট জারক যেমন- CuSO4, ডাইক্রোমেট, পারম্যাঙ্গানেট ইত্যাদির পরিমাণ নির্ধারণ করে।
যেমনঃ
CuSO4 + KI → Cu2I2 + K2SO4 + I2
I2 + Na2S2O3 → Na2S2O3 + NaI

বার বার প্যাঁচ লাগতো তো, তাই আমি মনে রাখতাম এভাবেঃ আয়োডিনের লবণ(KI) দ্বারা যে বিক্রিয়া, সেটা আয়োডোমিতি, আর শুধুমাত্র আয়োডিন( I2) দ্বারা যে বিক্রিয়া সেটা আয়োডিমিতি।
অর্থাৎ
আয়োডিন - আয়োডি
আয়োডিনের লবণ-আয়োডো

এই দুইটা সিস্টেমের কাজই হল টাইট্রেশন করা, অর্থাৎ জানা ঘনমাত্রা থেকে অজানা ঘনমাত্রা নির্ণয় করা।

★আয়োডিনের সাহায্যে কোনো বিজারক পদার্থের ঘনমাত্রা নির্ণয়ের পদ্ধতি হল আয়োডিমিতি।
অপরদিকে, আয়োডিনের সাহায্যে কোনো জারক পদার্থের ঘনমাত্রা নির্ণয়ের পদ্ধতি হল আয়োডোমিতি!

আয়োডিমিতিতে সরাসরি I2 এর সাহায্যে* কোনো বিজারক পদার্থের ঘনমাত্রা বের করা হয়। (এখানে I2 জারক)

*যদি I2 এর ঘনমাত্রা আগে থেকেই জানা থাকে। তবে সাধারণত I2 er ঘনমাত্রা জানিয়েই দিবে তোমাকে।

আর অপর দিকে আয়োডোমিতিতে আয়োডিনের লবণ থেকে উৎপন্ন হওয়া I2 এর ঘনমাত্রা জেনে (আয়োডিমিতি প্রসেসের মাধ্যমে I2 এর ঘনমাত্রা বের করা যায়। আয়োডোমিতির ২য় ধাপের বিক্রিয়া দেখ আর আয়োডিমিতির বিক্রিয়াটা দেখ, দেখবে যে একই বিক্রিয়া। বুঝতে পারছ আশা করি, কিভাবে আয়োডিমিতি থেকে এই উৎপন্ন I2 এর ঘনমাত্রা নির্ণয় করা যায়।) CuSO4 এর ঘনমাত্রা নির্ণয় করা হয়।

Full Form Of Some non technical
Words
===========================
B. A. — Bachelor of Arts
M. A. — Master of Arts
B. Sc. — Bachelor of Science
M. Sc. — Master of Science
B. Sc. Ag. — Bachelor of Science in
Agriculture
M. Sc. Ag. — Master of Science in
Agriculture
M. B. B. S. — Bachelor of Medicine
and Bachelor of Surgery
M. D. — Doctor of Medicine
M. S. — Master of Surgery
Ph. D. / D. Phil. — Doctor of Philosophy (Arts & Science)
D. Litt./Lit. — Doctor of Literature / Doctor of Letters
D. Sc. — Doctor of Science
B. Com. — Bachelor of Commerce
M. Com. — Master of Commerce
Dr. — Doctor
B. P. — Blood Pressure
Mr. — Mister
Mrs. — Mistress
M.S. — miss (used for female married & unmarried)
Miss — used before unmarried girls)
M. P. — Member of Parliament
M. L. A. — Member of Legislative Assembly
M. L. C. — Member of Legislative
Council
P. M. — Prime Minister
C. M. — Chief Minister
C-in-C — Commander-In-Ch ief
L. D. C. — Lower Division Clerk
U. D. C. — Upper Division Clerk
Lt. Gov. — Lieutenant Governor
D. M. — District Magistrate
V. I. P. — Very Important Person
I. T. O. — Income Tax Officer
C. I. D. — Criminal Investigation Department
C/o — Care of
S/o — Son of
C. B. I. — Central Bureau of Investigation
G. P. O. — General Post Office
H. Q. — Head Quarters
E. O. E. — Errors and Omissions Excepted
Kg. — Kilogram
Kw. — Kilowatts
Gm. — Gram
Km. — Kilometer
Ltd. — Limited
M. P. H. — Miles Per Hour
KM. P. H. — Kilometre Per Hour
P. T. O. — Please Turn Over
P. W. D. — Public Works Department
C. P. W. D. — Central Public Works
Department
U. S. A. — United States of America
U. K. — United Kingdom (England)
U. P. — Uttar Pradesh
M. P. — Madhya Pradesh
H. P. — Himachal Pradesh
U. N. O. — United Nations Organization
W. H. O. — World Health Organization
B. B. C. — British Broadcasting Corporation
B. C. — Before Christ
A. C. — Air Conditioned
I. G. — Inspector General (of Police)
D. I. G. — Deputy Inspector General (of Police)
S. S. P. — Senior Superintendent of Police
D. S. P. — Deputy Superintendent of Police
S. D. M. — Sub-Divisional Magistrate
S. M. — Station Master
A. S. M. — Assistant Station Master
V. C. — Vice-Chancellor
A. G. — Accountant General
C. R. — Confidential Report
I. A. S. — Indian Administrative Service
I. P. S. — Indian Police Service
I. F. S. — Indian Foreign Service or Indian
Forest Service
I. R. S. — Indian Revenue Service
P. C. S. — Provincial Civil Service
M. E. S. — Military Engineering Service