Recent Post
Loading...

আয়োডিমিতি আর আয়োডোমিতি



আয়োডিমিতি আর আয়োডোমিতি

ইন্টারমিডিয়েট (HSC) এ পড়ার সময় আমি যতবারই আয়োডিমিতি আর আয়োডোমিতি পড়তাম, ততবারই একটা আরেকটার সাথে পেঁচাইয়া ফেলতাম। আজকের লেখায় তাই ফোকাস করব এই দুটি বিষয়ের উপর। চেষ্টা করেছি সহজভাবে উপস্থাপন করার। তাহলে চলুন শুরু করা যাক...

★আয়োডিমিতি : প্রমাণ আয়োডিন দ্রবণের সাহায্যে ট্রাইট্রেশন করার পদ্ধতি। আয়োডিমিতি প্রক্রিয়ায় বিজারক পদার্থ যেমন- সালফেট, থায়োসালফেট, সালফাইট ইত্যাদির পরিমাণ নির্ধারণ করে।
যেমনঃ
I2 + Na2S2O3 → Na2S4O6 + NaI

★আয়োডোমিতি : রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উৎপন্ন মুক্ত আয়োডিনের সাহায্যে ট্রাইটেশন করার পদ্ধতি। আয়োডোমিতি প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট জারক যেমন- CuSO4, ডাইক্রোমেট, পারম্যাঙ্গানেট ইত্যাদির পরিমাণ নির্ধারণ করে।
যেমনঃ
CuSO4 + KI → Cu2I2 + K2SO4 + I2
I2 + Na2S2O3 → Na2S2O3 + NaI

বার বার প্যাঁচ লাগতো তো, তাই আমি মনে রাখতাম এভাবেঃ আয়োডিনের লবণ(KI) দ্বারা যে বিক্রিয়া, সেটা আয়োডোমিতি, আর শুধুমাত্র আয়োডিন( I2) দ্বারা যে বিক্রিয়া সেটা আয়োডিমিতি।
অর্থাৎ
আয়োডিন - আয়োডি
আয়োডিনের লবণ-আয়োডো

এই দুইটা সিস্টেমের কাজই হল টাইট্রেশন করা, অর্থাৎ জানা ঘনমাত্রা থেকে অজানা ঘনমাত্রা নির্ণয় করা।

★আয়োডিনের সাহায্যে কোনো বিজারক পদার্থের ঘনমাত্রা নির্ণয়ের পদ্ধতি হল আয়োডিমিতি।
অপরদিকে, আয়োডিনের সাহায্যে কোনো জারক পদার্থের ঘনমাত্রা নির্ণয়ের পদ্ধতি হল আয়োডোমিতি!

আয়োডিমিতিতে সরাসরি I2 এর সাহায্যে* কোনো বিজারক পদার্থের ঘনমাত্রা বের করা হয়। (এখানে I2 জারক)

*যদি I2 এর ঘনমাত্রা আগে থেকেই জানা থাকে। তবে সাধারণত I2 er ঘনমাত্রা জানিয়েই দিবে তোমাকে।

আর অপর দিকে আয়োডোমিতিতে আয়োডিনের লবণ থেকে উৎপন্ন হওয়া I2 এর ঘনমাত্রা জেনে (আয়োডিমিতি প্রসেসের মাধ্যমে I2 এর ঘনমাত্রা বের করা যায়। আয়োডোমিতির ২য় ধাপের বিক্রিয়া দেখ আর আয়োডিমিতির বিক্রিয়াটা দেখ, দেখবে যে একই বিক্রিয়া। বুঝতে পারছ আশা করি, কিভাবে আয়োডিমিতি থেকে এই উৎপন্ন I2 এর ঘনমাত্রা নির্ণয় করা যায়।) CuSO4 এর ঘনমাত্রা নির্ণয় করা হয়।