Recent Post
Loading...

 আউফবাউ (Aufbau) একটি জার্মান শব্দ, যার অর্থ নির্মাণ করা বা উপরে যাওয়া। আউফবাউ নীতি কোনো পরমাণু বা আয়নের ইলেকট্রনের বিন্যাস বা কনফিগারেশন নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।

আউফবাউ নীতি : "কোনো পরমাণুর ইলেকট্রনসমূহ তাদের শক্তির উচ্চক্রম অনুসারে প্রবেশ করবে।”
এ নীতি অনুসারে সামগ্রিকভাবে ইলেকট্রনসমূহ বিভিন্ন অরবিটালে তাদের শক্তির উচ্চক্রম অনুসারে প্রবেশ করে। অর্থাৎ ইলেকট্রন প্রথমে নিম্ন শক্তির অরবিটালে এবং পরে ক্রমান্বয়ে উচ্চ শক্তির অরবিটালসমূহে প্রবেশ করে, কারণ নিম্ন শক্তির স্তরের স্থিতিশীলতা বেশি।
কোন অরবিটালের শক্তি কত তা প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা ‘n’ এবং সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা ‘
l’-এর মান থেকে হিসেবে করা হয়। যে অরবিটালের জন্য (n +l ) এর মান কম সেটিই নিম্ন শক্তির অরবিটাল এবং ইলেকট্রন তাতেই প্রথম প্রবেশ করে। যেমন–
3d অরবিটালের জন্য, n = 3 এবং 
l = 2 ∴ (n + l) = 3 + 2 = 5
4s অরবিটালের জন্য, n = 4 এবং 
l = 0 ∴ (n + l) 4 + 0 = 4
সুতরাং 3d-এর চেয়ে 4s এর শক্তি কম বলে (4s < 3d) ইলেকট্রন আগে 4s অরবিটালে প্রবেশ করে এবং সেটি পূর্ণ হলে 3d অরবিটালে যায়।
কিন্তু যদি দুটি অরবিটালের ক্ষেত্রে (n + 
l) এর মান সমান হয় তবে তাদের মধ্যে যে অরবিটালের ‘n’-এর মান নিম্ন অর্থাৎ প্রধান শক্তিস্তর নিম্নতর ইলেকট্রন তাতেই আগে প্রবেশ করে। যেমন–
3d অরবিটালের জন্য, n = 3 এবং 
l = 2 ∴ (n + l) = 3 + 2 = 5
4p অরবিটালের জন্য, n = 4 এবং 
l = 1 ∴ (n + l) 4 + 1 = 5
সুতরাং এ দুটি অরবিটালের (n + 
l) এর মান সমান। তবে 4p অপেক্ষা 3d অরবিটালের n-এর মান কম। তাই 4p অপেক্ষা 3d অরবিটালের শক্তিও কম। এজন্য ইলেকট্রন আগে 3d অরবিটালে ও তা পূর্ণ হলে পরে 4p অরবিটালে প্রবেশ করে।
পারমাণবিক বর্ণালী বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন অরবিটালের আপেক্ষিক শক্তিক্রম নির্ণয় করা হয়। তারপর আউফবাউ এর নীতি অনুসারে ইলেকট্রন বিন্যাসের জন্য চূড়ান্তভাবে অরবিটালগুলোকে নিচের সাজানো হয়েছে।



Cr(24) এর ইলেকট্রন বিন্যাসে 3d অরবিটালে ৫ টি ইলেকট্রন আর 4s অরবিটালে ১ টি ইলেকট্রন থাকে।

কারন টা হচ্ছে অরবিটাল পূর্ণ এবং অর্ধপূর্ণ অবস্থায় অত্যাধিক স্থিতিশীলতা অর্জন করে।

আউফ বাউ নীতি মানতে গেলে 3d অরবিটালে ৪ টি ইলেকট্রন আর 4s অরবিটালে ২ টি ইলেকট্রন থাকবে।

আর যদি তা হয় তবে 4s অরবিটাল ২ টা ইলেকট্রন নিয়ে পূর্ণবস্থা হবে এবং স্থিতিশীল হবে।কিন্তু 3d অরবিটালে ৪ টা ইলেকট্রন থাকতে পারবে। এতে এই অরবিটা না পূর্ণ হতে পারে না অর্ধপূর্ণ। তাই এটি স্থিতিশীল হতে পারে না।

তাই যদি আউফ বাউ মানা হয় তবে দুইটা অরবিটালের মধে একটাকে স্থিতিশীল করা যায়।কিন্তু আউফ বাউ থেকে একটি বের হয়ে ভিন্ন পথে হাটলে আমরা দুইটা স্থিতিশীল অরবিটাল পাই।

তাই ক্রোমিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাসে 3d তে ৫ টা এবং 4s এ ১ টি ইলেকট্রন নিয়ে বিন্নস্ত হয়।



বিজ্ঞানী এ হুন্ড ব্যাখ্যা করেছেন যে কি করে ইলেকট্রনসমূহ বিভিন্ন উপশক্তিস্তরে প্রবেশ করে যাকে আমরা অরবিটাল বলছি। p অরবিটাল রয়েছে তিনটি। ইলেকট্রন যা করে আরকি প্রথমে সবগুলোতে একটা একটা করে ফিলাপ হয় তারপর আবার একটা একটা করে ফিলাপ হয়। যেহেতু ফসফরাসের 15 টি ইলেকট্রন রয়েছে তাইয়েব শেষ কক্ষপথের পি অরবিটালে তিনটি অযুগ্ম ইলেকট্রন রয়েছে কিন্তু উত্তেজিত অবস্থায় ফসফরাসের থ্রি এস অরবিটাল হতে একটি ইলেকট্রন 3 ডি তে চলে যায়। তখন তা 5 যোজ্যতা শো করে।



হুন্ডের নীতিটি হলোঃ সমশক্তিসম্পন্ন প্রতিটি অরবিটালে প্রথমে একটি করে ইলেকট্রন একমুখী স্পিনে প্রবেশ করে, এরপর প্রাপ্যতা অনুসারে বিপরীত স্পিনে প্রবেশ করে। Cr & Cu পরমাণু হুন্ডের নীতি অনুসরণ করে ইলেক্ট্রন বিন্যাস করে।

Cr এর শেষ কক্ষপথে ইলেক্ট্রন বিন্যাসে 4s এ দুটো ইলেক্ট্রন প্রবেশ না করে, 4s এর চেয়ে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন অরবিটাল 3d তে ৫ টি ইলেক্ট্রন পজিটিভ স্পিনে প্রবেশ করে।

আউফবাউ নীতি অনুসারে, আমরা জানি 4s অরবিটাল কর্তৃক 3d অরবিটালের শক্তিক্রম বেশি। তাই 4s বা কম শক্তিসম্পন্ন অরবিটালে ইলেক্ট্রন আগে প্রবেশ করবে। সে অনুযায়ী Cr এ 4s2 সম্পূর্ণ করে, 3d অরবিটালে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে 3d তে ৫টি ইলেক্ট্রন রয়েছে। এমন বিন্যাসের কারণ হলো d অরবিটালের স্থিতিশীলতা। অর্ধপূর্ণ ও পূর্ণ শক্তিস্তর উভয়ই স্থিতিশীলতা অর্জন করে। যদি ২টি ইলেক্ট্রন প্রথমে 4s2 সম্পূর্ণ করে ফেলতো, তবে 3d অর্ধপূর্ণ হতে পারতো না। 4s এর তুলনায় 3d উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অরবিটাল হলেও 4s2 এর তুলনায় 3d5 (d-orbital অর্ধপূর্ণ হওয়া) বেশি স্থিতিশীল, তাই ক্রোমিয়ামে পজিটিভ স্পিনে ইলেক্ট্রন প্রবেশ করে, অর্ধপূর্ণ হয়ে ইলেক্ট্রন বিন্যাস করে। [4s2 3d4 না হয়ে, 4s1 3d10 হয়]

অনুরূপে Cu এর ক্ষেত্রেও প্রায় একই কারণ প্রযোজ্য। 4s কম শক্তিসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও, 4s অরবিটাল সম্পূর্ণ হওয়ার তুলনায় 3d অরবিটাল পূর্ণ হওয়াটা পরমাণুকে বেশি স্থিতিশীলতা দেয়। তাই এর ইলেক্ট্রন বিন্যাসে [4s2 3d9] না হয়ে, [4s1 3d10] হয়।

দুটি পরমাণুই হুন্ডের নীতি মেনে চলে বলা যায়। কারণ, এতে সমশক্তিসম্পন্ন অরবিটালে ১টি করে একমুখী স্পিনে প্রথমে (পজিটিভ) প্রবেশ করে, এরপর প্রাপ্যতা অনুসারে ইলেক্ট্রন বিপরীত স্পনে প্রবেশ করে। সমশক্তিসম্পন্ন অরবিটাল ইলেক্ট্রন পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অন্য শক্তিস্তরের অরবিটালে ইলেক্ট্রন প্রবেশ করে না।



১। ট্রিফয়েল কী?

উত্তর : আন্তর্জাতিক তেজস্ক্রিয় রশ্মি চিহ্নকে ট্রিফয়েল বলে।

২। মরিচা কী?

উত্তর : বিশুদ্ধ লোহা, জলীয় বাষ্প ও বায়ুর অক্সিজেন রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে লোহার যে অক্সাইড গঠন করে তাকে মরিচা বলে।

৩। মরিচার সংকেত লেখো।

উত্তর : মরিচার সংকেত হলো Fe2O3.nH2O।

৪। কোয়ান্টাম ম্যাকানিকস কী?

উত্তর : যে পুস্তকে গাণিতিক হিসাব-নিকাশের সাহায্যে পরমাণুর গঠন ব্যাখ্যা করা হয় তাই কোয়ান্টাম ম্যাকানিকস।

৫। আন্তর্জাতিক রশ্মি চিহ্ন কী?

উত্তর : যে রশ্মি চিহ্ন দ্বারা অতিরিক্ত ক্ষতিকর আলোক রশ্মিকে বোঝানো হয়, তাকে আন্তর্জাতিক রশ্মি চিহ্ন বলে।

৬। বিপাক কী?

উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় খাদ্যদ্রব্যের পরিপাক ক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাই বিপাক।

৭। তন্তু কী?

উত্তর : আঁশজাতীয় পদার্থ, যা থেকে সুতা তৈরি হয় তাকে তন্তু বলে।

৮। জীবাশ্ম জ্বালানিগুলোর নাম লেখো।

উত্তর : জীবাশ্ম জ্বালানিগুলো হলো—কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি।

৯। লিমিটিং বিক্রিয়ক কী?

উত্তর : রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ার সময় একাধিক বিক্রিয়কের মধ্যে যে বিক্রিয়ক অবশিষ্ট থাকে না তাকে লিমিটিং বিক্রিয়ক বলে। 

১০। মোলারিটি কী?

উত্তর : নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় প্রতি লিটার দ্রবণে দ্রবীভূত দ্রব্যের মোল সংখ্যাকে ওই দ্রবণের মোলারিটি বলে।

১১। ব্যাপন কাকে বলে?

উত্তর : কোনো মাধ্যমে কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় বস্তুর স্বতঃস্ফূর্ত ও সমভাবে পরিব্যাপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাপন বলে।

১২। নিঃসরণ কাকে বলে?

উত্তর : সরু ছিদ্রপথে কোনো গ্যাসের অণুগুলোর উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে নিঃসরণ বলে।

১৩। গলনাঙ্ক কাকে বলে?

উত্তর : যে তাপমাত্রায় কোনো কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হয়, সেই তাপমাত্রাকে পদার্থের গলনাঙ্ক বলে।

১৪। স্ফুটনাঙ্ক কাকে বলে?

উত্তর : যে তাপমাত্রায় কোনো তরল পদার্থ গ্যাসীয় অবস্থা প্রাপ্ত হয়, সেই তাপমাত্রাকে পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক বলে।

১৫। দহন কী?

উত্তর : বায়ুর অক্সিজেনের সঙ্গে কোনো কিছুর বিক্রিয়াকে দহন বলে।

১৬। ঊর্ধ্বপাতন কাকে বলে?

উত্তর : যদি কোনো কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে তা সরাসরি গ্যাসে পরিণত হয় এবং ঠাণ্ডা করলে সরাসরি কঠিনে রূপান্তরিত হয়, তবে পদার্থের সে অবস্থাকে ঊর্ধ্বপাতন বলে।

১৭। ফরমালিন কী?

উত্তর : মিথানলকে ৩০%-৪০% জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলে।

১৮। জিওলাইটস কী?

উত্তর : ঋণাত্মক আধানবিশিষ্ট জটিল যৌগ অ্যালুমিনোসিলিকেটকে জিওলাইটস বলে।

১৯। সিএনজির পূর্ণরূপ লেখো।

উত্তর : C.N.G হলো Compressed Natural Gas বা সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস।

২০। অরবিট/শক্তিস্তর কী?

উত্তর : পরমাণুর নিউক্লিয়াসের চারদিকে ইলেকট্রনগুলো আবর্তনের জন্য যে বৃত্তাকার কক্ষপথ রয়েছে সেগুলোকে অরবিট/শক্তিস্তর বলে।

২১। আইসোটোপ কাকে বলে?

উত্তর : যেসব পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা সমান; কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন সেসব পরমাণুকে পরস্পরের আইসোটোপ বলে।

২২। ভরসংখ্যা/ নিউক্লিয়ন সংখ্যা কী?

উত্তর : মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে বিদ্যমান প্রোটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যাকে ভর সংখ্যা/ নিউক্লিয়ন সংখ্যা বলে।

২৩। একটি প্রোটনের ভর কত?

উত্তর : একটি প্রোটনের ভর 1.67  10-24g

২৪। pH কী?

উত্তর : কোনো দ্রবণে উপস্থিত H+ আয়নের ঘনমাত্রাকে ঋণাত্মক লগারিদমকে ওই দ্রবণের pH বলে।

২৫। কার্বন পার্টিক্যাল কাকে বলে?

উত্তর : কাঠ ও কয়লা পোড়ালে ক্ষতিকারক মুক্ত কার্বন, যা পাত্রের গায়ে জমলে কালির সৃষ্টি করে তাকে কার্বন কণা বা কার্বন পার্টিক্যাল বলে।

২৬। যৌগমূলক কাকে বলে?

উত্তর : একাধিক মৌলের একাধিক পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত একটি পরমাণুগুচ্ছ, যা একটি আয়নের মতো আচরণ করে তাকে যৌগমূলক বলে।

২৭। সালফিউরিক এসিডের সংকেত লেখো।

উত্তর : সালফিউরিক এসিডের সংকেত H2SO4.

১। তেজস্ক্রিয় রশ্মি কী?

    উত্তর : তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে অনবরত যেসব রশ্মি নির্গত হয় তাদের তেজস্ক্রিয় রশ্মি বলে।

২। ট্রিফয়েল কী?

    উত্তর : অতিরিক্ত ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয় রশ্মি চিহ্নটিকে ট্রিফয়েল বলে।

৩। রাসায়নিক পরিবর্তন বলতে কী বোঝো?

    উত্তর : যে পরিবর্তনের ফলে এক বা একাধিক বস্তু প্রত্যেকে তার নিজস্ব সত্তা হারিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্মবিশিষ্ট এক বা একাধিক বস্তুতে পরিণত হয়, তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলা হয়।

৪। মরিচা কী?

    উত্তর : বিশুদ্ধ লোহা, জলীয়বাষ্প ও বায়ুর অক্সিজেন রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে লোহার যে অক্সাইড গঠন করে তাকে মরিচা বলে।

৫। রাসায়নিক সার কী?

    উত্তর : কার্বন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, ফসফরাস প্রভৃতি মৌলের সমন্বয়ে গঠিত রাসায়নিক পদার্থ, যা মাটিতে উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে, তাকে রাসায়নিক সার বলে।

৬। মরিচার সংকেত লেখো।

    উত্তর : মরিচার সংকেত হলো Fe2O3.nH2O.

৭। প্লাস্টিক কী?

    উত্তর : বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগ থেকে কৃত্রিম উপায়ে প্রস্তুতকৃত পলিমারকে প্লাস্টিক বলে।

৮। কোয়ান্টাম ম্যাকানিকস কী?

    উত্তর : যে পুস্তকে গাণিতিক হিসাব-নিকাশের সাহায্যে পরমাণুর গঠন ব্যাখ্যা করা হয় তাই কোয়ান্টাম ম্যাকানিকস।

৯। অণুজীব কী?

    উত্তর : যেসব জীব অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া দেখা যায় না তাদের অণুজীব বলে।

১০। আন্তর্জাতিক রশ্মি চিহ্ন কী?

    উত্তর : যে রশ্মি চিত্র দ্বারা অতিরিক্ত ক্ষতিকর আলোক রশ্মিকে বোঝানো হয় তাকে আন্তর্জাতিক রশ্মি চিহ্ন বলে।

১১। নিঃশ্বাসে গৃহীত বায়ুর প্রধান উপাদান কী?

    উত্তর : নিঃশ্বাসে গৃহীত বায়ুর প্রধান উপাদান অক্সিজেন।



অক্টেট সম্প্রসারণঃ-

যে সমস্ত মৌলের সমযোজী সংখ্যা চার তাদের ক্ষেত্রে অক্টেট নিয়ম পুরোপুরি প্রযোজ্য। কিন্তু কিছু সংখ্যক যৌগ আছে যাদের কেন্দ্রীয় পরমাণুর ৫টি অথবা ৬টি সহ যোজনী রয়েছে। এই আচরণ পর্যায় সারণীর তৃতীয় পর্যায় এবং পরবর্তী পর্যায়ের মৌলের ক্ষেত্রে দেখা যায়। কিন্তু কোন ক্রমেই ২য় পর্যায়ের মৌলের ক্ষেত্রে দেখা যায় না।
যেমন- PCl 5 গঠনে P পরমাণুর যোজ্যতা স্তরে ১০টি বা SF6 গঠনে S পরমাণুর বহিস্তরে ১২টি ইলেক্ট্রন অর্জিত হয়। একইভাবে ClF 3, IF5 বা IF7 ইত্যাদি ক্ষেত্রে অষ্টক সম্প্রসারণ দেখা যায়।

ফাযানের নীতি :

তড়িৎযোজী বন্ধনের সমযোজী বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিদ্যমান নীতিকে ফাযানের নীতি বলে। এই নীতি অনুসারে-

১. ক্যাটায়নের আকার যত ক্ষুদ্র হয়
২. অ্যানায়নের আকার যত বৃহৎ হয়
৩. ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নের চার্জ যত বেশি হয় এবং
৪. অ্যানায়নের d ও f অরবিটালে ইলেক্ট্রন থাকে,

তবে, পোলারনের মাত্রা তত বেশি হয় এবং তড়িৎযোজী বন্ধনের সমযোজী বৈশিষ্ট্যও বৃদ্ধি পায়।
যেমন : Mgcl2 তড়িৎযোগী হলেও BeCl2 সমযোগী যৌগ । কারণ Mg2+ আয়রনের চেয়ে Be2+ অনেক ছোট, তাই BeCl2 এর নতুন পোলারনের বেশি ঘটে ।


 

এসিড ও ক্ষারকের আধুনিক ধারনা :-


এসিড: যে সকল যৌগ জলীয় দ্রবনে সম্পূর্ণরূপে বিয়োজিত হয়ে প্রোটন প্রদান করে তাকে এসিড বলে।
ক্ষারক: যে সকল যৌগ জলীয় দ্রবনে সম্পূর্ণরূপে বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোক্সিল আয়ন প্রদান করে তাকে ক্ষারক বলে।

সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়, এর ব্যাখ্যা :-
.
ক্ষারক: যে সকল যৌগ জলীয় দ্রবনে সম্পূর্ণরূপে বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোক্সিল আয়ন প্রদান করে তাকে ক্ষারক বলে।
যেমন: CaO, ZnO, Al2O3 ইহা ক্ষারক কারণ ইহা পানিতে দ্রবণীয় নয়।
ক্ষারঃ শুধুমাত্র যে সকল যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হয় তাদেরকে ক্ষার বলে। যেমন: NaOH, CaO ইহা ক্ষার কারণ ইহা পানিতে দ্রবণীয়।

_এসিডের ক্ষারকতা ও ক্ষারকের

এসিডতা :-
.
এসিডের ক্ষারকতা: কোন এসিডের ক্ষারক প্রশমন করার ক্ষমতাকে এসিডের ক্ষারকতা বলে।
এক ক্ষারকীয় এসিড: যে এসিড একটি মাত্র ক্ষারক প্রশমন করতে পারে তাকে এক ক্ষারকীয় এসিড বলে। যেমন: HCl

দ্বি – ক্ষারকীয় এসিড: যে এসিড দুইটি ক্ষারক প্রসমন করতে পারে তাকে দ্বি – ক্ষারকীয় এসিড বলে। যেমন: H2SO4

ত্রি – ক্ষারকীয় এসিড: যে এসিড তিনটি ক্ষারক প্রসমন করতে পারে তাকে ত্রি – ক্ষারকীয় এসিড বলে। যেমন: H3SO4

ক্ষারকের এসিডতা: কোন এসিডের ক্ষারক প্রসমন করার ক্ষমতাকে এসিডের ক্ষারকতা বলে।

এক এসিডিও ক্ষারক: যে ক্ষারক একটি মাত্র এসিড প্রসমন করতে পারে তাকে এক এসিডিও ক্ষারক বলে। যেমন: Na(OH)

দ্বি – এসিডিও ক্ষারক: যে ক্ষারক দুইটি এসিড প্রসমন করতে পারে তাকে দ্বি – এসিডিও ক্ষারক বলে। যেমন: Ca(OH)2

ত্রি – এসিডিও ক্ষারক: যে ক্ষারক তিনটি এসিড প্রসমন করতে পারে তাকে ত্রি – এসিডিও ক্ষারক বলে। যেমন: Al(OH)3
.
দ্বিধাতব লবণ / মিশ্র লবণ / যুগ্ম লবণ ও জটিল লবণ :-

দ্বিধাতব লবন: সমাণুক মাত্রায় দুটি ভিন্ন লবণের সংমিশ্রণের ফলে কেলাস পানিসহ একক লবণের ন্যায় কঠিন অবস্থায় যে লবণ কেলাসিত হয় তাকে দ্বিধাতব লবণ বা যুগ্ম লবণ বলে।

যেমন: ফিটকিরি বা পটাশ অ্যালাম: [K2SO4.Al2(SO4)3.24H2O]

জটিল লবণ: নির্দিষ্ট আণবিক মাত্রায় দুটি ভিন্ন একক লবণের সংমিশ্রণের ফলে যদি এমন একটি লবণ উৎপন্ন হয় যার ধর্ম কঠিন অবস্থায় ও দ্রবণে উৎপাদক লবণদ্বয়ের ধর্ম হতে সম্পূর্ণ পৃথক হয় তবে উৎপন্ন লবণকে জটিল লবণ বলে।

যেমন: পটাসিয়াম ফেরোসায়ানাইট

CaO / MgO / Al2O3 / Fe2O3 /ZnO / Gi এর এসিডতা বা অম্লতা :
.
CaO এর এসিডতা বা অম্লতা: CaO + 2HCl -> CaCl2 + H2O
এখানে CaO এর এসিডতা বা অম্লতা ২। কারণ এক অণু CaO দুই অণু HCl কেপ্রশমিত করে।

MgO এর এসিডতা বা অম্লতা: MgO + 2HCl -> MgCl2 + H2O
এখানে MgO এর এসিডতা বা অম্লতা ২। কারণ এক অণু MgO দুই অণু HCl কে প্রশমিত করে।

ZnO এর এসিডতা বা অম্লতা: ZnO +2HCl -> ZnCl2 + H2O
এখানে ZnO এর এসিডতা বা অম্লতা ২। কারণ এক অণু ZnO দুই অণু ZnO কে প্রশমিত করে।

Al2O3 এর এসিডতা বা অম্লতা: Al2O3 + 6HCl -> 2AlCl3 + 3H2O
এখানে Al2O3 এর এসিডতা বা অম্লতা ৬। কারণ এক অণু Al2O3 ছয় অণু HCl কে প্রশমিত করে।

Fe2O3 এর এসিডতা বা অম্লতা: Fe2O3 + 6HCl -> 2FeCl3 + 3H2O
এখানে Fe2O3 এর এসিডতা বা অম্লতা ৬। কারণ এক অণু Fe2O3 ছয় অণু HCl কে প্রশমিত করে।



দুটি ভিন্ন ধাতুর মৌল দ্বারা গঠিত তড়িৎদ্বারকে দুটি ভিন্ন তড়িৎ বিশ্লেষ্য দ্রবণে আংশিক নিমজ্জিত করে দ্বি-প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট যে কোষ গঠন করা হয় তাকে গ্যালভানিক কোষ বলে।
গ্যালভানিক কোষে রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। 

যে ধাতুর তড়িৎদ্বার অধিক সক্রিয় তাকে অ্যানোড হিসাবে এবং যে ধাতুর তড়িৎদ্বার কম সক্রিয় তাকে ক্যাথোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গ্যালভানিক কোষে অ্যানোডে জারণ ও ক্যাথোড বিজারণ সংঘটিত হয়। অ্যানোডে ধাতব পরমাণু ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক আয়ন হিসেবে দ্রবণে যায়। এজন্য অ্যানোডে ইলেকট্রন ঘনত্ব বেশি থাকে। 

যার কারণে অ্যানোড ঋণাত্মক হয়। অপরদিকে ক্যাথোডে ইলেকট্রন ঘনত্ব কম থাকায় গ্যালভানিক কোষে ক্যাথোড ধনাত্মক হয়।


 

CFC গ্যাসের অন্যতম মূল উপাদান ক্লোরিন(Cl)। ক্লোরিন ওজোনের সাথে বিক্রিয়া করে ক্লোরিন মনোক্সাইড(ClO) এবং অক্সিজেন(O

2) উৎপন্ন করে।

Cl + O3= ClO + O2

আবার, যখন ক্লোরিন মনোক্সাইড অক্সিজেন পরমানুর সাথে বিক্রিয়া করে ক্লোরিন পরমাণু এবং অক্সিজেন উৎপন্ন হয়।

ClO + O = Cl + O2

এভাবে ক্লোরিন মুক্ত হয়ে নতুন করে নতুন করে আরেকটা ওজোনকে আক্রমণ করে ভেঙে ফেলে। ধারণা করা হয়, প্রতিটি ক্লোরিন পরমাণু অসক্রিয় হওয়ার আগে প্রায় ১ লাখ ওজোন অনুকে ধ্বংস করে।


আমরা জানি ওজন স্ট্রাটোস্ফিয়ারে অবস্থান করে। CFC অনু

যখন এই স্ট্রাটোস্ফিয়ারে পৌছায় তখন UV রশ্মি দ্বারা ভেঙ্গে ক্লোরিন ফ্রি-র্যাডিকেল গঠন করে। উক্ত ফ্রি-র্যাডিকেল খুবই সক্রিয় হওয়ায় এজনের সাথে বিক্রিয়া করে ওজন স্তরকে ক্ষয় করে।

নিম্নে বিক্রিয়া দেখানো হল-

CFCl3(→┴UV ) CFCl2.+ Cl.

Cl.+O3=ClO.+O2

O2(→┴UV )2O.

ClO.+ O.= Cl. + O2

ClO.+ O3= ClO2. + O2



পানিতে ২টি H এবং ১ টি O পরমানু রয়েছে। H এর আবার প্রকৃতিতে তিনটা আইসোটোপ পাওয়া যায়। ডিউটেরিয়াম (2H), ট্রিটিয়াম(3H), প্রোটিয়াম(1H).এদের সবাইকে প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। এই পানির সাথে যখন ডিউটেরিয়াম আইসোটোপ যুক্ত হয় তখন এই ভারী পানির অনু পাওয়া যায়। এই পানির অনুকে ভারী বলার কারন হলো এখানে Normal hydrogen থেকে ১টি নিউট্রন বেশি থাকে। 

D টা হলো ডিউটেরিয়াম। এটি H এর একটা আইছোটপ। যেটায় একটি প্রটন এটি নিউট্রন ও একটি ইলেকট্রন আছে। একটি ইলেক্ট্রন থাকার দরুন H এর মতো পানির সাথে সমযোজি বন্ধন গঠন করে। তবে বন্ধন গঠন কোন একটু ভিন্ন হতে পারে কেনোনা ডিউটরিয়ামে এটা নিউট্রন আছে, যা প্রটনের তড়িৎ ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করে