Recent Post
Loading...

এসিড ও ক্ষারকের আধুনিক ধারনা


 

এসিড ও ক্ষারকের আধুনিক ধারনা :-


এসিড: যে সকল যৌগ জলীয় দ্রবনে সম্পূর্ণরূপে বিয়োজিত হয়ে প্রোটন প্রদান করে তাকে এসিড বলে।
ক্ষারক: যে সকল যৌগ জলীয় দ্রবনে সম্পূর্ণরূপে বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোক্সিল আয়ন প্রদান করে তাকে ক্ষারক বলে।

সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়, এর ব্যাখ্যা :-
.
ক্ষারক: যে সকল যৌগ জলীয় দ্রবনে সম্পূর্ণরূপে বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোক্সিল আয়ন প্রদান করে তাকে ক্ষারক বলে।
যেমন: CaO, ZnO, Al2O3 ইহা ক্ষারক কারণ ইহা পানিতে দ্রবণীয় নয়।
ক্ষারঃ শুধুমাত্র যে সকল যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হয় তাদেরকে ক্ষার বলে। যেমন: NaOH, CaO ইহা ক্ষার কারণ ইহা পানিতে দ্রবণীয়।

_এসিডের ক্ষারকতা ও ক্ষারকের

এসিডতা :-
.
এসিডের ক্ষারকতা: কোন এসিডের ক্ষারক প্রশমন করার ক্ষমতাকে এসিডের ক্ষারকতা বলে।
এক ক্ষারকীয় এসিড: যে এসিড একটি মাত্র ক্ষারক প্রশমন করতে পারে তাকে এক ক্ষারকীয় এসিড বলে। যেমন: HCl

দ্বি – ক্ষারকীয় এসিড: যে এসিড দুইটি ক্ষারক প্রসমন করতে পারে তাকে দ্বি – ক্ষারকীয় এসিড বলে। যেমন: H2SO4

ত্রি – ক্ষারকীয় এসিড: যে এসিড তিনটি ক্ষারক প্রসমন করতে পারে তাকে ত্রি – ক্ষারকীয় এসিড বলে। যেমন: H3SO4

ক্ষারকের এসিডতা: কোন এসিডের ক্ষারক প্রসমন করার ক্ষমতাকে এসিডের ক্ষারকতা বলে।

এক এসিডিও ক্ষারক: যে ক্ষারক একটি মাত্র এসিড প্রসমন করতে পারে তাকে এক এসিডিও ক্ষারক বলে। যেমন: Na(OH)

দ্বি – এসিডিও ক্ষারক: যে ক্ষারক দুইটি এসিড প্রসমন করতে পারে তাকে দ্বি – এসিডিও ক্ষারক বলে। যেমন: Ca(OH)2

ত্রি – এসিডিও ক্ষারক: যে ক্ষারক তিনটি এসিড প্রসমন করতে পারে তাকে ত্রি – এসিডিও ক্ষারক বলে। যেমন: Al(OH)3
.
দ্বিধাতব লবণ / মিশ্র লবণ / যুগ্ম লবণ ও জটিল লবণ :-

দ্বিধাতব লবন: সমাণুক মাত্রায় দুটি ভিন্ন লবণের সংমিশ্রণের ফলে কেলাস পানিসহ একক লবণের ন্যায় কঠিন অবস্থায় যে লবণ কেলাসিত হয় তাকে দ্বিধাতব লবণ বা যুগ্ম লবণ বলে।

যেমন: ফিটকিরি বা পটাশ অ্যালাম: [K2SO4.Al2(SO4)3.24H2O]

জটিল লবণ: নির্দিষ্ট আণবিক মাত্রায় দুটি ভিন্ন একক লবণের সংমিশ্রণের ফলে যদি এমন একটি লবণ উৎপন্ন হয় যার ধর্ম কঠিন অবস্থায় ও দ্রবণে উৎপাদক লবণদ্বয়ের ধর্ম হতে সম্পূর্ণ পৃথক হয় তবে উৎপন্ন লবণকে জটিল লবণ বলে।

যেমন: পটাসিয়াম ফেরোসায়ানাইট

CaO / MgO / Al2O3 / Fe2O3 /ZnO / Gi এর এসিডতা বা অম্লতা :
.
CaO এর এসিডতা বা অম্লতা: CaO + 2HCl -> CaCl2 + H2O
এখানে CaO এর এসিডতা বা অম্লতা ২। কারণ এক অণু CaO দুই অণু HCl কেপ্রশমিত করে।

MgO এর এসিডতা বা অম্লতা: MgO + 2HCl -> MgCl2 + H2O
এখানে MgO এর এসিডতা বা অম্লতা ২। কারণ এক অণু MgO দুই অণু HCl কে প্রশমিত করে।

ZnO এর এসিডতা বা অম্লতা: ZnO +2HCl -> ZnCl2 + H2O
এখানে ZnO এর এসিডতা বা অম্লতা ২। কারণ এক অণু ZnO দুই অণু ZnO কে প্রশমিত করে।

Al2O3 এর এসিডতা বা অম্লতা: Al2O3 + 6HCl -> 2AlCl3 + 3H2O
এখানে Al2O3 এর এসিডতা বা অম্লতা ৬। কারণ এক অণু Al2O3 ছয় অণু HCl কে প্রশমিত করে।

Fe2O3 এর এসিডতা বা অম্লতা: Fe2O3 + 6HCl -> 2FeCl3 + 3H2O
এখানে Fe2O3 এর এসিডতা বা অম্লতা ৬। কারণ এক অণু Fe2O3 ছয় অণু HCl কে প্রশমিত করে।

0 comments:

Post a Comment