Recent Post
Loading...

 Cr ও Fe দুটো ভিন্ন মৌল এবং তাদের পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে 24 ও 26। Cr র ইলেকট্রন বিন্যাস [ Ar] 3d54s1, Fe র [Ar]3d64s2. Fe থেকে দুটো ইলেকট্রন বেড়িয়ে গেলে Fe2+ হয়। এখন প্রশ্ন হলো কোন দুটো ইলেকট্রন নির্গত হবে। সব থেকে বাইরের কক্ষ অর্থাৎ নিউক্লিয়াস থেকে সবথেকে দূরের ইলেকট্রন সুযোগ প্রথম। তাই Fe2+ র ইলেকট্রন বিন্যাস [Ar]3d6.

বিজারণ ক্রিয়াঃ যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু, মূলক বা আয়ন ইলেকট্রন গ্রহণ করে তাকে বিজারণ ক্রিয়া বলে |

এটা বুঝবেন কিভাবে ? -> যদি বিক্রিয়া শেষে পরমানুর জারণ মান কমে তবে তার বিজারণ ঘটেছে

জারণ ক্রিয়াঃ যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পরমানু ,মূলক বা আয়ন ইলেকট্রণ ত্যাগ করে তাকে জারণ ক্রিয়া বলে |

এটা বুঝবেন কিভাবে ? -> যদি বিক্রিয়া শেষে পরমানুর জারণ মান বৃদ্ধি হয় তবে তার জারণ ক্রিয়া ঘটেছে

তো এখন উওরে আসা যাকঃ

 এসিড/ক্ষার চেনার কয়েকটি উপায় আছে তার মাঝে একটি জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে ধাতু এবং অধাতু মনে রাখা।

ধাতুর সাথে H/O/OH- এইসব যোগ হয়ে ক্ষার উৎপন্ন করে।

NaOH/KH/MgO এইসব হচ্ছে ক্ষার।

আবার অধাতুর সাথে H/O/OH- এইসব যোগ হয়ে এসিড উৎপন্ন করে।

HCL/CO²/HBrO এইসব হচ্ছে এসিড।

 অ্যালকেন গ্রুপের সমগোত্রীয় শ্রেণীর সাধারণ সঙ্কেত হল- CnH2n+2.

প্রথম সদস্যের জন্য n এর মান হবে ১। সেক্ষেত্রে প্রথম সদস্য হবে, CH4, অর্থাৎ মিথেন। একইভাবে, অ্যালকিন গ্রুপের সাধারণ সঙ্কেত CnH2n অনুযায়ী প্রথম সদস্য হবার কথা CH2. যার নাম দেওয়া যেত *মিথিন*!

কিন্তু এখানে একটা কথা আছে, তা হলো, কার্বনের যোজনী। কার্বনের স্থায়ী একটি যৌগ পেতে হলে এর চার হাত পূরণ করতে হবে, যার সাধ্য *মিথিন* এর নেই! এজন্যই অ্যালকিন গ্রুপের প্রথম সদস্যের ক্ষেত্রে n এর মান হয় ২ এবং প্রথম সদস্যের নাম ইথিন।

 যে সব ক্ষার জলে ১০০% আয়নিত হয় তাদের শক্তিশালী ক্ষার এবং যে সব ক্ষার ১০০% এর কম আয়নিত হয় তাদের দূর্বল ক্ষার বলে।

যেমন NaOH শক্তিশালী ক্ষার এবং NH3OH দূর্বল ক্ষারক।

তাই দূর্বল ক্ষারকে শক্তিশালী ক্ষারে পরিণত করা যায় না যদি না

কেবল মাত্র বিক্রিয়া দ্বারা উপাদান পরিবর্তন করি।

 গ্রুপ 1-এর লিথিয়াম(Li),সোডিয়াম(Na),পটাশিয়াম(K),রুবিডিয়াম(Rb),সিজিয়াম(Cs),ফ্রান্সিয়াম(Fr)—এই ধাতুগুলি ক্ষারধাতু(alkali metals) নামে পরিচিত এবং এদের এরূপ বলার কারণ এরা জলের সঙ্গে বিক্রিয়ায় যেসব ধাতব হাইড্রক্সাইড গঠন করে সেগুলি তীব্র ক্ষারকীয় প্রকৃতির।এদের বৈশিষ্ট্যগুলি হল—

  1. এই ধাতুগুলির সর্ববহিস্থ কক্ষ ছাড়া ভেতরের কক্ষগুলি ইলেকট্রন দ্বারা পূর্ণ থাকে।
  2. এদের রাসায়নিক সক্রিয়তা খুব বেশি।
  3. আয়নন বিভব কম হওয়ায় এরা তীব্র বিজারক হয়।
  4. এরা নরম ও নমনীয় এবং তাপ ও তড়িতের সুপরিবাহী।

 দূরত্ব সোজা বাঁকা প্যাচানো সবরকমেরই হয়। তারমধ্যে সোজাসুজি দূরত্ব হলো সরণ।

একটা বিন্দু থেকে আরেকটা বিন্দুতে যাওয়ার সময় ডানেবামে না ঘুরে, একদম সোজাসুজি গেলে যতটুকু দূরত্ব পার হতে হয়, সেই মানটি সরণ। সরণের মান একটিই। এই সরণ আবার দূরত্ব ও, সোজাপথের ব্যাবধান। কোনো কিছুতে যাবার সোজা পথ তো একটিই। আর দূরত্ব আঁকাবাঁকা সোজা যেকোনো কিছু হতে পারে। পাহাড়ের রাস্তায় সাইকেল চালিয়ে কিছুদূর গেলে সেটা দূরত্ব হবে। কারন রাস্তা তথা পথের দিক আঁকাবাঁকা। আর সমতলে একলাইনে সাইকেল চালালে সেটা সরণ দূরত্ব দুটিই।

 পর্যায় সারণীতে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের গ্রুপ হলো আঠারোতম গ্রুপ। আঠারোতম গ্রুপের প্রত্যেক সদস্যই বেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ বিধায় অন্য কোনো মৌলের সাথে বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যৌগ গঠন করে না। এই নিষ্ক্রিয় গ্যাসগুলোর পরে সবচেয়ে নিষ্ক্রিয় মৌল হলো নাইট্রোজেন (

N2) গ্যাস।

কীভাবে নাইট্রোজেন গ্যাস সবচেয়ে নিষ্ক্রিয় হলো:

মাত্র সাতটি ইলেকট্রনের মালিক হওয়ায় নাইট্রোজেনের আকারও বেশ ছোট। আবার এর ইলেকট্রন বিন্যাস লক্ষ্য করলে দেখা যায় এর অর্ধপূর্ণ p অরবিটালও সুষম এবং অধিক স্থিতিশীল। তাই যখন দুটি নাইট্রোজেন মিলে নাইট্রোজেন গ্যাস গঠন করে তখন এতে সিগমা বন্ধন এবং পাই বন্ধন উভয়েই গঠিত হয়। একটি সিগমা বন্ধন এবং দুইটি পাই বন্ধনের ফলে গঠিত হয় নাইট্রোজেন-নাইট্রোজেন ত্রিবন্ধন।

এই ত্রিবন্ধন খুবই দৃঢ়। 3000°C তাপমাত্রায় এই বন্ধন ভাঙ্গে। তখন নাইট্রোজেন সক্রিয় হয়। তবে এর আগ পর্যন্ত এই নাইট্রোজেন গ্যাস অত্যন্ত নিষ্ক্রিয় থাকে বিধায় একে নিষ্ক্রিয় মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

 কারণ CO^2 এর কেন্দ্রীয় পরমাণু কার্বনে কোনো মুক্তজোড় ইলেকট্রন নেই আর H^2O এর কেন্দ্রীয় পরমাণু অক্সিজেনে ২ জোড়া মুক্তজোড় ইলেকট্রন আছে।

কার্বন এর যোজ্যতা ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ টি।এই চারটি ইলেকট্রন দিয়েই কার্বন,অক্সিজেনের সাথে সমযোজী বন্ধনে অংশগ্রহণ করে।তাই আর কোনো ইলেকট্রন অবশিষ্ট থাকে না।যার কারণে বন্ধনকৃত ইলেকট্রনগুলো কোনো বিকর্ষণ অনুভব করে না।এতে আকৃতিরও কোনো পরিবর্তন ঘটে না অর্থ্যাৎ সরলরৈখিক থাকে।

অন্যদিকে অক্সিজেনের যোজ্যতা ইলেকট্রন সংখ্যা ৬ টি।এর মধ্যে দুটি ইলেকট্রন দিয়ে অক্সিজেন দুটি হাইড্রোজেন পরমাণুর সাথে বন্ধনে অংশগ্রহণ।যার কারনে আরো দুই জোড়া বা চারটি ইলেকট্রন অবশিষ্ট থেকে যায়।এই দুইজোড়া ইলেকট্রন বন্ধনকৃত ইলেকট্রনগুলোকে বিকর্ষণ করে। এতে করে H^2O এর আকৃতি পরিবর্তিত হয়ে বিকৃত চতুস্তলকের(উল্টা V) মত হয়ে যায়।

 স্থূল সংকেত ও আণবিক সংকেতের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ

১. কোন যৌগের অণুস্থিত প্রতিটি মৌলের পরমাণুগুলোর প্রকৃত সংখ্যাকে প্রতীকের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত রূপে প্রকাশ করাকে যৌগটির আণবিক সংকেত বলে।

অপরদিকে, যে সংকেত দ্বারা অণুতে বিদ্যামান পরমাণুসমূহের সরল অনুপাত প্রকাশ করে তাকে স্থূল সংকেত বলে।

২. আণবিক সংকেত দ্বারা বিভিন্ন যৌগে মৌলের পরমাণু সমূহের প্রকৃত সংখ্যা জানা যায়।

স্থূল সংকেত দ্বারা যৌগের বিভিন্ন মৌলের পরমাণু সমূহের প্রকৃত সংখ্যা জানা যায় না।

৩. আণবিক সংকেত মৌল অথবা যৌগের হতে পারে।

কিন্তু স্থূল সংকেত শুধুমাত্র যৌগের ক্ষেত্রে হতে পারে।

৪. একটি আণবিক সংকেত কেবল একটি নির্দিষ্ট যৌগের ক্ষেত্রে হয়। যেমনঃ অ্যাসিটিলিনের আণবিক সংকেত C₂H₂ ও বেনজিনের আণবিক সংকেত C₆H₆ .

কিন্তু একটি স্থূল সংকেত একাধিক যৌগের হতে পারে।

যেমনঃ অ্যাসিটিলিন ও বেনজিন উভয়ের স্থূল সংকেত CH.


একটি মোল এসিড কত মোল NaOH কে প্রশমিত করতে পারে অথবা কত মোল H+ আয়ন দান করতে পারে , সেই সংখ্যাকে ঐ অম্লের ক্ষারকত্ব বলে । যেমন H2SO4 এর ক্ষারকত্ব 2 , HCl এর ক্ষারকত্ব ১ ।