Recent Post
Loading...
ইউরেনিয়াম কী?

সহজ ভাষায় ইউরেনিয়াম হচ্ছে একটি ভারী ধাতু। এর রঙ অনেকটা রুপার মতো। এটি একটি তেজষ্ক্রিয় মৌল। তেজষ্ক্রিয় মানে হলো, যা হতে নিজে নিজেই ক্ষতিকর রশ্মি নির্গত হতে থাকে। সর্বপ্রথম ১৭৮৯ সালে এই মৌলটি আবিষ্কৃত হয়। ইউরেনিয়াম নামটি রাখা হয়েছে ইউরেনাস গ্রহের নামানুসারে। আর এটা থেকে যে তেজষ্ক্রিয় রশ্মি নির্গত হয় সেটা জানা যায় ১৮৯৬ সালে। জানান বিজ্ঞানী হেনরি বেকেরেল। ইউরেনিয়াম পর্যায় সারণির ৯২ নম্বর মৌল। এর ভর ২৩৮।
.
বলতে গেলে ইউরেনিয়াম সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন বিজ্ঞানী ওপেনহেইমার। পারমাণবিক বোমা বানাতে।জাপানে হিরোশিমায় ফেলা "লিটল বয়" ছিল ইউরেনিয়াম নির্মিত। এখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিউক্লিয়ার অস্ত্র বানাতে ইউরেনিয়াম ব্যবহৃত হয়। শান্তিপূর্ণ ব্যবহার বলতে, যেহেতু খুব অল্প পরিমাণ ইউরেনিয়াম হতেই অনেক বেশি এনার্জি পাওয়া যায়, তাই এ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে অনেক বেশি। তবে ইউরেনিয়াম প্লান্ট খুবই ব্যায়বহুল।
.
ইউরেনিয়াম কিভাবে ক্ষতি করতে পারে?

ইউরেনিয়াম অত্যন্ত ক্ষতিকর। নিজে নিজেই এটা থেকে রশ্মি নির্গত হয়। খুব অল্প পরিমাণে থাকলেও বহুদিন এর কাছাকাছিথাকলে ক্ষতি হতে পারে। কিংবা বেশি পরিমানে থাকলে অল্প সময়েই এর প্রভাব পড়বে। যারা অপেক্ষাকৃত সবল মানুষ তাদের উপর দেরিতে প্রভাব পড়বে। যারা দুর্বল তাদের উপর তাৎক্ষিণিক প্রভাব পড়ে। ইউরেনিয়াম মানুষের শরীরের জীবন্ত কোষ ধ্বংস করে ফেলে। প্রাথমিক লক্ষণ হিশাবে শরীরে ঘা হয়, পুঁজ হয়, খোঁচ পাচড়া সহ বিভিন্ন চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। বমি বমি ভাব দেখা যায়, ক্ষুধামন্দা হয়, ডায়রিয়া হয়। ভবিষ্যতে ক্যান্সার, লিউকোমিয়া হবে। ধীরে ধীরেমানুষকে পঙ্গু করে দিতে পারে। নবজাতক কিংবা শিশুদের উপর এর প্রভাব মারাত্মক। এরা বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ে।
.
মানুষের উপর তাৎক্ষণিক যদি কোনো প্রভাব নাও পড়ে খুশি হবার কারণ নেই। ইউরেনিয়ামের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব আছে। আজ তেজষ্ক্রিয়তায় আক্রান্ত হলে অনেক বছর পরও কেউ ক্যান্সার আক্রান্ত হতে পারেন, এই তেজষ্ক্রিয়তার প্রভাবে। লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন। শুধু শারিরীক নয় মানসিক রোগও দেখা যায় তেজষ্কৃয়তার প্রভাবে।

►কুকুরের ঘ্রাণশক্তি মানুষের চেয়ে ২৮,০০০ গুণ বেশি ।,
-
►প্রাণীদের মধ্যে বিড়ালই সবচেয়ে
বেশি ঘুমায় (দৈনিক ১৮ঘন্টা) ।
-
►একমাত্র স্ত্রী মশাই মানুষের
রক্ত খায়।
-
►মাছি মিনিটে ৮ কিলোমিটার উড়তে পারে ।
-
►পুরুষ ব্যাঙই বর্ষকালে ডাকে,আর তা শুনে কাছে আসে স্ত্রী ব্যাঙ ।
-
►হামিং বার্ড পাখি পিছনের দিকে উড়তে পারে
-
►গিরগিটি একই সময়ে তার চোখ দুটি দুই দিকেই নাড়তে পারে ।
-
►টিকটিকি এক সঙ্গে ৩০টি ডিম পাড়ে ।
-
►মাছ চোখ খোলা রেখে ঘুমায় ।
-
►একমাএ পিঁপড়েই কোনদিন ঘুমায় না
-
► সিডকা পোকা একটানা ১৭ বছর মাটির
নিচে ঘুমায় । তারপর মাটি থেকে বেড়িয়ে
এসে চিতকার করতে করতে ৩ দিনের মাথায়
মারা যায় ।
-
►সিংহের গর্জন ৫ মাইল দূর থেকেও শোনা
যায়।
-
►অনেকের ধারণা হাঙ্গর মানুষকে হাতের
কাছেপেলে মেরে ফেলে। কিন্তু মানুষের হাতেই বেশী হাংগর মারা পড়েছে।
-
►কাচ আসলে বালু থেকে তৈরী।
-
►আপনি প্রতিদিন কথা বলতে গড়ে ৪৮০০টি শব্দ ব্যবহার করেন। বিশ্বাস না হলে পরী ক্ষা করে দেখতে পারেন।
-
►আপনি ৮ বছর ৭ মাস ৬ দিন একটানা
চিৎকার করলে যে পরিমান শক্তি খরচ
হবে তা দিয়ে এক কাপ কফি অনায়েসে
বানানো যাবে।
-
►একটি রক্ত কনিকা আমাদের পুরো দেহ
ঘুরে আসতে সময় নেয় ২২ সেকেন্ড।
-
►আপনার যদি একটা তারা গুনতে ১
সেকেন্ড সময় লাগে তাহলে একটি গ্যালাক্সির সব তারকা গুনতে সময় লাগবে প্রায় ৩ হাজার বছর।
-
►অনেকের ধারণা শামুকের দাঁত নেই।
অথচ শামুকের ২৫ হাজার দাঁত আছে।
-
►চোখ খুলে হাঁচি দেয়া সম্ভব না।
-
►বিড়াল ১০০ রকম শব্দ করতে পারে অথচ কুকুর পারে ১০ রকম।
-
►পৃথিবীর প্রাণীদের মধ্যে ৮০ ভাগই
পোকামাকড়।
-
►একটি তেলাপোকা তার মাথা ছাড়া ৯ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
এরপর তারা সাধারণত খাদ্যাভাবে মারা
যায়|
"রসায়ন" প্রশ্ন; প্রভাবককে বিক্রিয়ক বলা যায় না কেন?


যে সকল বস্তু কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, তাদেরকে বিক্রিয়ক বলা হয়। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক পদার্থসমূহ রাসায়নিকভাবে পরিবর্তিত হয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট নতুন পদার্থে পরিনত হয়। এবং যে বস্তু কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কের সংস্পর্শে থেকে রাসায়নিক বিক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি বা হ্রাস করে, কিন্তু বিক্রিয়ার শেষে ভরে এবং রাসায়নিক সংযুক্তিতে অপরিবর্তিত থাকে, তাকে ঐ বিক্রিয়ার প্রভাবক বলা হয়। যেহেতু, বিক্রিয়া শেষে বিক্রিয়কসমূহ যেভাবে রাসায়নিক সংযুক্তিতে পরিবর্তিত হয় প্রভাবকসমূহ সেইরকম পরিবর্তিত হয়না, সেহেতু প্রভাবকগুলোকে বিক্রিয়ক বলা যায়না।


Cutesy : Rabbane Sujon
আলী ইমাম মজুমদার: সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশকৃত ৮১ জন চূড়ান্ত নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। একটি দৈনিকে প্রকাশিত তথ্যানুসারে তাঁদের মধ্যে ১৫ জনের অভিভাবকের মুক্তিযোদ্ধা সনদে ‘ঘাপলা রয়েছে’। আর অবশিষ্টরা নিয়োগ পাননি অনেকটা রাজনৈতিক বিবেচনায়। সেই দৈনিকটির তথ্যানুসারে, এসব প্রার্থীর পরিবারের কেউ কেউ বিএনপি বা জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে নিরাপত্তা প্রতিবেদনে জানা গেছে।

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করে পিএসসি। আবেদন করেন ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন প্রার্থী। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে মেধা ও প্রাধিকার কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ চূড়ান্ত হয়। সব প্রক্রিয়া শেষে গেল বছরের আগস্ট মাসে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয় ২ হাজার ১৭৪ জনকে। তাঁরা সবাই স্বাস্থ্য পরীক্ষায়ও উপযুক্ত বিবেচিত হয়েছেন বলে ধারণা করা যায়। তারপর শুরু হয় পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) কর্তৃক প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্যানুসন্ধান। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা পোষ্য কোটায় সুপারিশপ্রাপ্তদের যথার্থতা যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট করা হয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে। সেই মন্ত্রণালয়কে কাজটি এক মাসের মধ্যে করে দিতে বলা যেত। এটা সম্ভবও ছিল। সে ক্ষেত্রে বাদ পড়াদের স্থানে অন্য উপযুক্ত প্রার্থী থাকলে সুপারিশ করতে পিএসসিকে বলা যেত। খালি যেত না পদগুলো।

আর বাকি অন্যদের সম্পর্কে যতটুকু জানা যায়, ক্ষমতাসীন দলের ভিন্নমতাবলম্বী কোনো পরিবারের সদস্যদের নেতিবাচক তালিকায় নেওয়া হয়। অথচ যাচাই করার কথা ছিল সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কোনো রাষ্ট্রবিরোধী বা অনৈতিক কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আছে কি না, এ বিষয়টি। অনুসন্ধানকাজে এসবি ছাড়াও জেলা প্রশাসকদের সংশ্লিষ্ট করা হয়। এর আগের কয়েক বছর করা হয়েছে অন্য আরেকটি গোয়েন্দা সংস্থাকে। তখন দুই সংস্থার দুই রকম প্রতিবেদন হওয়ায় প্রথমে অনেকেই বঞ্চিত হয়েছিলেন। পরে জেলা প্রশাসকদের প্রতিবেদন নিয়ে চাকরি পান বেশ কয়েকজন প্রার্থী।

এ উপমহাদেশের সিভিল সার্ভিস বহু ধরনের সংস্কারের পরও ব্রিটিশ যুগের ধারাবাহিকতায় চলছে। এর নিয়োগ প্রক্রিয়াও তা-ই। ব্রিটিশ শাসনামলে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসসহ (আইসিএস) উচ্চতর পদে নিয়োগের জন্য পুলিশি তদন্তই যথেষ্ট বিবেচিত হয়েছে। তেমনি হয়েছে পাকিস্তান শাসনামলে। অবশ্য তখন প্রার্থী কম ছিলেন। আর তদন্তকারীরা অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে প্রতিবেদন দিতেন দ্রুত। এতে মূলত প্রার্থীর স্বভাবচরিত্র, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ইত্যাদি বিবেচনায় আসত। তবে পাকিস্তান শাসনামলে দেখা গেছে, সরাসরি সরকারবিরোধী ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এমন অনেককেই নিয়োগের জন্য অযোগ্য বিবেচনা করা হয়নি। তাঁরা চাকরি পেয়েছেন। যোগ্যতা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে করেছেন দায়িত্ব পালন। জানা যায়, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা টেনে আনা হয়নি কোনো ক্ষেত্রে। এমনকি স্বাধীনতার পর ১৯৯১ সালের আগ পর্যন্ত তা-ই দেখা গেছে। আর সে জন্যই বর্তমান সিভিল সার্ভিসের শীর্ষ স্তরে বেশ কয়েকজন সাবেক ছাত্রনেতা রয়েছেন। তাঁরা তো সব সরকারের সময়ই বিশ্বস্ত ও অনুগত ছিলেন। চাকরির ক্ষেত্রে আজকের মতো রাজনীতিকে টেনে আনা হতো না।

চাকরি কিন্তু একটি সাংবিধানিক অধিকার। আর সেই অধিকার অর্জন করতে রাষ্ট্রের নির্দিষ্ট মানদণ্ডে বিভিন্ন স্তরে পরীক্ষা দিয়ে একজন প্রার্থী নিয়োগের জন্য পিএসসির সুপারিশ পান। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের তদন্ত আরও অনেক সুবিবেচনাপ্রসূত হওয়া সংগত। কারও কোনো নিকট বা দূরের আত্মীয় ভিন্ন কোনো দল করেন, তার জন্য তাঁকে চাকরি না দেওয়া বড় ধরনের অনৈতিক কাজ বলে বিবেচনা করা যায়। এমনকি সেই প্রার্থী ছাত্রজীবনে কোনো ছাত্র সংগঠন করলেও (হতে পারে সেটা সরকারের বিরোধী) তাঁকে চাকরির অধিকার থেকে বাদ দেওয়া যায় না। একমাত্র নাশকতা সৃষ্টির সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে যাঁদের বিরুদ্ধে, আর আছে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ, তাঁদের ব্যাপার ভিন্ন। তবে ক্ষেত্রবিশেষে আবেগপ্রবণ কাজকে উপেক্ষা করা উচিত। অতীতে তা-ই করা হয়েছে।

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে যোগ দিতে এলে তা ছাত্রদের জোরালো প্রতিরোধে ভেস্তে যায়। সেই প্রতিরোধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী এবং তখন গ্রেপ্তার হওয়া একজন ছাত্র এর কিছুকাল পরই সিএসপি হয়েছিলেন। সেই সরকারই বিশেষ বিবেচনায় নিরাপত্তা ছাড়পত্র দিয়েছিল তাঁকেও। কর্মজীবনে তিনি দীর্ঘকাল সরকারের শীর্ষ পদে ছিলেন। আজকের যে শীর্ষ আমলারা নীতিনির্ধারণ করেন, তাঁদের কেউ কেউ এগুলো জানেন। তাই দয়া করে জাতিকে আর বিভক্ত করার দায়ভার নেবেন না। একটি দেশে বিভিন্ন মতাদর্শ থাকবে। থাকবে নানা ঘরানার রাজনৈতিক দল। এদের মধ্যে কেউ সত্যিকারের রাষ্ট্রদ্রোহী হলে শুধু চাকরিবঞ্চিত নয়, তাঁকে সাজা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশপ্রেম একটি বড় বিষয়। আমরা একা কেউ এর দাবিদার হতে পারি না। গুটি কয়েক ব্যক্তি বাদে ১৬ কোটি লোকেরই এ দাবি করার অধিকার আছে।
এ প্রসঙ্গে আরেকটি বহুল আলোচিত বিষয় থাকছে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময়কাল নিয়ে। আমরা দেখতে পাই, ২০১৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ৩৫তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি। তাদের পর্যায়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত সময় নেয়। পেশ করে সরকারের কাছে। এ ক্ষেত্রে দুই বছর সময় নিয়েছে পিএসসি। অথচ এ বিষয়ে অনেক নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, বছরের পরীক্ষা বছরেই শেষ শুধু নয়, নিয়োগের পর্বও সম্পন্ন করতে হবে। এটা অত্যন্ত আনন্দের কথা যে পিএসসি এই দাবিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। তারা এক বছরের মধ্যে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে নিয়োগের সুপারিশ করা পর্যন্ত এক বছর সময়ের একটি রোডম্যাপ করেছে। দীর্ঘকালের ঘুণে ধরা মানসিকতায় এখনো রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তবে সিদ্ধান্তে অবিচল থাকলে একপর্যায়ে সাফল্য না আসার কোনো কারণ নেই।

তা ছাড়া গেল মধ্য আগস্টে যে সুপারিশ এল, সরকারের পক্ষে তা চূড়ান্ত করে নিয়োগ দিতে সাড়ে সাত মাস সময় কেন লাগবে? আমরা বুঝতে পারি, তা লেগেছে নিরাপত্তা ছাড়পত্রের প্রয়োজনে। ভারত তো এটা প্রাপ্তি সাপেক্ষে সর্বভারতীয় ও কেন্দ্রীয় সরকারের পদস্থ চাকরিতে নিয়োগ দিয়ে দেয়। আমরা এখনো এরূপ চর্চা শুরু করিনি। তবে সুপারিশ পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে নিয়োগের পর্ব সম্পন্ন করা যায়। আর তা নিরাপত্তা ছাড়পত্র নিয়েই। এমনটা করা হয়েছে অতি সাম্প্রতিক সময়েও। ২৭তম বিসিএসের পিএসসির সুপারিশ পাওয়ার পর নিয়োগের পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল এ ধরনের সময়েই। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নথিই এর সাক্ষ্য দেবে। এই দ্রুততা প্রার্থী ও সরকার উভয়ের জন্য প্রয়োজন। সরকার জনবলের সংকটে যেন না ভোগে এবং প্রার্থীর জীবনের মূল্যবান সময় কাজে লাগানোর স্বার্থে আবশ্যক এমন দ্রুততা। তদুপরি যাঁরা নিয়োগ পাবেন না, তাঁরা পুনরায় প্রস্তুতি শুরু কিংবা অন্যত্র চেষ্টায় নিজেদের নিয়োজিত করতে পারবেন। আর এটা সম্ভব এবং অতীতে হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোতে এখনো হচ্ছে। সুতরাং আমাদেরও না পারার কথা নয়।

সবশেষে আসে মূল বিষয়টি। যেসব প্রার্থী গত তিন বছর এই পরীক্ষার পেছনে ছুটেছেন, সাফল্যের সঙ্গে অতিক্রম করেছেন একেকটি স্তর, তাঁদের এই পর্যায়ে এসে বাদ দিতে হলে অনেক সংবেদনশীল মন নিয়ে প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করা দরকার। প্রশাসনের শীর্ষে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের জন্য এটা একটা পবিত্র দায়িত্ব। শুধু গতানুগতিক নথি নিষ্পত্তির মাধ্যমে এগুলো করা যায় না। জনপ্রশাসন কিন্তু যন্ত্র নয়। এটা পরিচালনা করে মানুষ। এখানে কিছু যন্ত্রের ব্যবহার আছে বটে; তবে অনেক বেশি ব্যবহার মস্তিষ্ক ও হৃদয়ের। গতানুগতিক ধারায় কাজ অনেক হয়েছে। মানুষের কল্যাণে একটু ব্যতিক্রমী হতে ক্ষতি কোথায়? আর ব্যাপারটা প্রকৃতপক্ষে ব্যতিক্রমও নয়। বরং ন্যায় প্রতিষ্ঠিত করা। এভাবেই চলছিল। মাঝখানে কিছুকাল ভিন্ন দিকে যাত্রা। সঠিক পথে ফেরানোর একটি কল্যাণকর উদ্যোগ কি নেওয়া যায় না? যাতে পিএসসির সুপারিশপ্রাপ্ত অবশিষ্ট প্রার্থীরা নিজেরা কোনো অন্তর্ঘাতমূলক বা অনৈতিক কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগ না থাকলে চাকরিটি পেতে পারেন।




By Emon RaihanFollow In Facebook 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আপকামিং রুটিনঃ-
১। ডিগ্রী ৩য় বর্ষ এপ্রিলের লাষ্ট/ মে ১ম।
২। ডিগ্রী ১ম (১৫-১৬) মে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আপকামিং ফর্ম ফিলাপঃ-
১. ডিগ্রি ২য় বর্ষ(১৪-১৫): মে মাসের শেষ দিকে শুরু হবে।
২. অনার্স ৪র্থ বর্ষ(১২-১৩): জুন-জুলাইয়ে শুরু হবে।
৩. ডিগ্রি ৩য় বর্ষ(১৩-১৪): জুলাইয়ে শুরু হবে।
৪. মাস্টার্স ১ম বর্ষ(১৪-১৫): আগস্টে শুরু হবে।
আপকামিং রেজাল্ট:
১. অনার্স ২য় বর্ষ(পুরাতন সিলেবাস): রেজাল্ট এই মাসের
শেষ দিকে প্রকাশ হবে।
২. অনার্স ১ম বর্ষ(১৫-১৬): রেজাল্ট এপ্রিল মধ্যে প্রকাশ
হবে।
৩. অনার্স ৪র্থ বর্ষ(১১-১২): রেজাল্ট জুনের মধ্যে প্রকাশ
হবে। 
By Emon RaihanFollow In Facebook

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় প্রমোশন বা
উত্তীর্ণ হওয়ার নিয়ম :
অনার্স :
* কোনো বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে অবশ্যই ৪০% নম্বর
পেতে হবে। অর্থাৎ ৮০ নম্বরের পরিক্ষায় পাশ নম্বর
৩২।
* পাশ করার পর ইনকোর্সের নম্বর যোগ হবে। ইনকোর্স
২০ নম্বরের পরিক্ষায় পাশ নম্বর ৮।
আরো কিছু নিয়ম :
(১) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী –
১ম বর্ষ থেকে ২য় বর্ষে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য কমপক্ষে
৩টা বিষয়ে পাশ করতে হবে।
এবং GPA = 1.75 অর্জন করতে হবে।
(২) দ্বিতীয় বর্ষ থেকে তৃতীয়বর্ষে প্রমোশনের
জন্য কমপক্ষে ৩টা বিষয়ে পাশ করতে হবে।
এবং কমপক্ষে GPA=2.00 অর্জন করতে হবে ।
(৩) তৃতীয় বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষে প্রমোশনের জন্য
কমপক্ষে ৪টা বিষয়ে পাশ করতে হবে।
এবং কমপক্ষে GPA = 2.25
অর্জন করতে হবে ।
* এছাড়া –
(১) সকল কোর্সের ( ইনকোর্স /তত্ত্বীয় /ব্যবহারিক/
মাঠকর্ম/ মৌখিক )
পরীক্ষায় অংশগ্রণন বাধ্যতামূলক।
২) একাধিক বিষয়ে অনুপস্থিত থাকা যাবে না।
এক্ষেত্রে শুধুমাত্র যে কোন ১টি বিষয়ে অনুপস্থিতি
থাকলে, বাকি অন্যান্য সব বিষয়ে পাশ করতে হবে।
* ১ম বর্ষের সব বিষয়ে পাশ না করা পর্যন্ত ২য় বর্ষের
প্রমোশন বন্ধ থাকবে। (শুধুমাত্র যারা পরীক্ষায়
অনুপস্থিত (এবসেন্ট ) থাকবেন।)
* ২য় বর্ষের সব বিষয়ে পাশ না করা পর্যন্ত ৩য় বর্ষের
প্রমোশন বন্ধ থাকবে।(শুধুমাত্র যারা পরীক্ষায়
অনুপস্থিত থাকবেন)
* ৩য় বর্ষের সব বিষয়ে পাশ না করা পর্যন্ত ৪র্থ বর্ষের
প্রমোশন বন্ধ থাকবে (শুধুমাত্র যারা অনুপস্থিত
থাকবেন)
* অনার্স কোর্সের রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ ৭ বছর।
ডিগ্রি :
* ডিগ্রি ২০১৩-১৪ হতে পরবর্তী বর্ষের ক্ষেত্রে
যেকোনো বিষয়ে পাশ নম্বর ৪০।
– C, D গ্রেড পেলে যেকোনো বর্ষের ক্ষেত্রে ইম্প্রুভ
বা মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেয়া যাবে।
কিন্তু যতবার কোন ছাত্র/ছাত্রী অনুত্তীর্ণ হবে
তবারই ইম্প্রুভ পরীক্ষা দিতে পারবে, তবে
রেজিষ্ট্রেশনের মেয়াদের মধ্যে।
– রেজিষ্ট্রেশনের মেয়াদ ৬ বছর ।



নোয়াখালী সরকারি কলেজর মেধাবী ছাত্র ইকরার চিকিৎসায় এগিয়ে আসুন। ইকরার ‘দুটো কিডনিই নষ্ট” হয়ে গেছে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন পনের লাখ টাকা।

মো: আব্দুল্লাহ আল-ইকরা স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র। বয়স ২৪ বছর। দরিদ্র বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিল এক মাত্র ছেলে মো: আব্দুল্লাহ আল ইকরা পড়াশোনা শেষ করে সংসারের হাল ধরবে। কিন্তু স্নাতক পরীক্ষার আগেই তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেয়ার পর জানা গেলে তাঁর দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন দ্রুত ইকরার কিডনি প্রতিস্থাপন করা দরকার। আর এতে খরচ হবে ১৫ লাখ টাকা। আর এখন প্রতি সপ্তাহে ইকরার ডায়ালাইসিস ও অন্যান্য সব মিলিয়ে খরচ হচ্ছে প্রায় ৩০০০০ টাকা।  ইতিমধ্যে ডায়ালাইসিস, ওষুধপত্র ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক খরচ মেটাতে গিয়ে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। ইকরার বাবা মো: বেলাল ঊদ্দিন একজন প্রবাসী।তিনি অত্যন্ত নিম্ন আয়ের মানুষ।

ইকরার কিডনি প্রতিস্থাপনের এই টাকাটা তাঁর পরিবারের পক্ষে এই মুহূর্তে জোগাড় করা সম্ভব নয়। পরিবারের পক্ষ থেকে সমাজের সব শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে ইকরার চিকিৎসায় এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

তাই হৃদয়বান ও সহমর্মী ব্যক্তি বা মানবহিতৈষী কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান ইকরার জীবন বাঁচাতে সহযোগিতার জন্য অতি দ্রুত এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

ইকরার গ্রামের বাড়ী-বেগমগঞ্জ উপজেলার, ১৫ নং শরিফপুর ইউনিয়নের,শরিফপুর গ্রামে।

আর্থিক সহায়তার জন্য -
মো: আব্দুল্লাহ আল-ইকরা
সঞ্চয়ী হিসাব নং –  ৩৯৬২০ , ইসলামী ব্যাংক, মাইজদী কোর্ট শাখা।

যোগাযোগ-
শিফু (ভগ্নীপতি) -+88 01710844179
হৃদয় - +88 01673105055 বিকাশ (পার্সোনাল)
By Emon RaihanFollow In Facebook


National Univerity Honours 1st Year Exam Result. National University honours First year exam result Will be Publish – www.nu.edu.bd/results. NU Honours 1st Year Result has been published at afternoon from www nu edu bd or www nu edu bd results

Result link
nu.edu.bd/results
For SMS


NU<space>H1<space>Roll no & Send 16222.

Exam: NU H1 12345 & Send 16222



খনিজ ও আকরিক  এর মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় :

খনিজ ও আকরিক [Mineral and Ore]:-

সোনা, রুপো, তামা, মার্কারি, প্লাটিনাম প্রভৃতি কয়েকটি ধাতু প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়  । এই ধাতুগুলি ছাড়া অন্যান্য ধাতুগুলিকে কখনও প্রকৃতির মধ্যে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না । ওইগুলিকে যৌগরূপে ভূপৃষ্ঠে বালি, মাটি ইত্যাদির সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় প্রকৃতির মধ্যে পাওয়া যায় । মিশ্রিত বালি, মাটি ইত্যাদি অশুদ্ধি বা অপদ্রব্যকে খনিজমল [Gangue] বলে ।

☼ খনিজ [Mineral]:- প্রকৃতির মধ্যে বিভিন্ন ধাতব যৌগকে পাথরের মতো কঠিন অবস্থায় কখনও ভূগর্ভের নিচে বা ভূপৃষ্ঠে, বালি, মাটি এবং কাদার সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় পাওয়া যায় । প্রকৃতিজাত এইসব অজৈব পদার্থগুলিকে খনিজ পদার্থ বলে । যেমন: রেড হেমাটাইট [Fe2O3] হল লোহার একটি খনিজ ।

☼ আকরিক [Ores]:- যেসব খনিজ থেকে সহজে ও সুলভে প্রয়োজনীয় ধাতু নিষ্কাশন করা যায়, তাদের ওই ধাতুর আকরিক বলে । কোনো ধাতুর সব খনিজই খরচ ও সহজ লভ্যতার প্রেক্ষিতে ধাতু নিষ্কাশনের উপযুক্ত নাও হতে পারে । যে কারণে বলা হয়—  কোনো ধাতুর আকরিকগুলি এর খনিজ, কিন্তু যেকোনো খনিজই এর আকরিক নাও হতে পারে । যেমন: রেড হেমাটাইট [Fe2O3] থেকে সহজে ও কম ব্যয়ে লোহার নিষ্কাশন করা যায় । তাই রেড হেমাটাইট লোহার আকরিক বলে । কিন্তু আয়রন পাইরাইটিস [FeS2] থেকে সহজে ও কম ব্যয়ে লোহা নিষ্কাশন সম্ভব হয় না । তাই আয়রন পাইরাইটিস লোহার খনিজ হলেও একে আকরিক বলা যায় না ।

◘ আকরিক থেকে বিভিন্ন সহজ এবং সুলভ প্রক্রিয়ার সাহায্যে ধাতু-নিষ্কাশন করার পদ্ধতিকে বলা হয় ধাতু বিদ্যা [Metallurgy]

যখন আপনি ক্যালসিয়াম কার্বোনেট গরম করা হয় কি পেতে পারি?


চুনাপাথর প্রধানত ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, CaCO3 হয়। যখন এটি উত্তপ্ত,প্রায় ভেঙে পড়েছে এটা ক্যালসিয়াম অক্সাইড ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড গঠন প্রায় ভেঙে পড়েছে। ক্যালসিয়াম অক্সাইড জলের সঙ্গে বিক্রিয়ায় ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড উত্পাদন করতে। চুনাপাথর এবং তার পণ্য সহ হামানদিস্তা, সিমেন্ট, কংক্রিট এবং কাচের করতে ব্যবহার করা হচ্ছে বহুল ব্যবহারে আছে।


কিভাবে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট গঠিত হয়?


ক্যালসিয়াম কার্বোনেট সূত্র CaCO3 সঙ্গে একটি রাসায়নিক যৌগ হয়। এটি একটি সাধারণ খনিজ পদার্থ ক্যালসাইট এবং আরাগোনাইট (এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল চুনাপাথর হিসাবে, যা তাদের খনিজ উভয় রয়েছে) যেমন শিলা পাওয়া এবং মুক্তো প্রধান উপাদান এবং সামুদ্রিক প্রাণীর, শামুক, এবং ডিম শেল হয়।


By Emon RaihanFollow In Facebook

২০১৬ সালের ডিগ্রী পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স ১ম বর্ষ পরীক্ষার সময়সূচী।


২০১৬ সালের ডিগ্রী পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স ১ম বর্ষ পরীক্ষার সময়সূচী Link


http://nu.edu.bd/home/all_notice_download_content/Examination/April_2017/notice_1941_pub_date_18042017.pdf
By Emon RaihanFollow In Facebook 




ইন্টারনেট ব্যবহার চলবে অবিরাম গতিতে! কারণ, টেলিটক দিচ্ছে মাত্র ৭০ টাকায় ১ জিবি ইন্টারনেট। সাথে আরও ১ জিবি ইন্টারনেট একদম ফ্রী। মেয়াদ ৩০ দিন।
প্যাকেজটি উপভোগ করতে ডায়াল করুন *111*511#
বিস্তারিত: www.teletalk.com.bd/hero
ভ্যাট, এসডি ও সারচার্জ প্রযোজ্য।
#টেলিটক #স্বপ্নহাসিমুখের
By Emon RaihanFollow In Facebook 
এক মাসের মধ্যে মোবাইল ডেটার দাম নির্ধারণে একটি নীতিমালা তৈরি করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে পৃথক কস্ট মডেলিং অ্যানালাইসিস করতে নির্দেশ দিয়েছে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব কামাল আব্দুল নাসেরের সভাপতিত্বে কমিটির বৈঠক থেকে এই সিদ্ধান্ত এসেছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সে মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য ও বিভিন্ন সেক্টরের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। ডিজিটালাইজেশনে সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী এই পর্ষদের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  আর টাস্কফোর্সের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কাজ করে এর নির্বাহী কমিটি।
যে কোন সেবা দিতে প্রতিষ্ঠানের মোট খরচ বের করার পদ্ধতিকে বলা হয় কস্ট মডেলিং। এর আগে ২০০৮ সালে ভয়েস কলের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল এই পদ্ধতিতেই। তখন প্রতি মিনিট লোকাল কলের সর্বোচ্চ দাম ২ টাকা ও সর্বনিম্ন ২৫ পয়সা বেঁধে দিয়েছিল টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
এর বছর খানেক পর লোকাল এসএমএস এর জন্য সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা ও আন্তর্জাতিক এসএমএস এর জন্য ২ টাকা চার্জ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। তবে বিটিআরসির অনুমতি সাপেক্ষে ভ্যালু এডেড সার্ভিসের এসএমএস ও ভয়েস কলের আলাদা দাম নির্ধারণের সুযোগ রাখা হয় তখন। এখন ডেটা প্যাকেজের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দামও এই পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ জানিয়েছেন গত কয়েক মাস ধরেই তাঁরা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে উপস্থিত থাকা এই কর্মকর্তা আশা করছেন খুব শিগগির কস্ট মডেলিংয়ের কাজটি শেষ হবে।
আগের কস্ট মডেলিংয়ের কাজটি আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইইউটি) বিনা খরচে বাংলাদেশের জন্য করে দিয়েছিল। বাংলাদেশ তখন নিম্ন আয়ের দেশ থাকায় কোন খরচ দিতে হয়নি। কিন্তু  নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় চলে আসায় এবারের কস্ট মডেলিংয়ের জন্য বাংলাদেশকে অর্থ খরচ করতে হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, কস্ট মডেলিং অ্যানালাইসিস এর জন্য খুব শিগগিরই আইইউটি’র একজন জ্যেষ্ঠ পরামর্শক বিটিআরসির সাথে কাজ শুরু করবেন।
বর্তমানে অপারেটররা নিজেরাই ডেটা সার্ভিসের দাম নির্ধারণ করেন। ডেটা প্যাকেজের যৌক্তিক দাম নির্ধারণের কোন সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড তারা মেনে চলে না। নিজেদের খেয়াল খুশিমত দাম নির্ধারণ করে তারা।
আট বছর আগে প্রতি মেগাবাইট ব্যান্ডউইথের দাম ছিলো ৭২ হাজার টাকা। গত বছর এই দাম মাত্র ৬২৫ টাকায় নামিয়ে আনে সরকার। তবে অভিযোগ রয়েছে যে হারে সরকার ইন্টারনেটের খরচ কমিয়েছে গ্রাহকরা তার সুবিধা পাচ্ছেন না।
By Emon RaihanFollow In Facebook 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আপকামিং ফর্ম ফিলাপঃ-
১. ডিগ্রি ২য় বর্ষ(১৪-১৫): মে মাসের শেষ দিকে শুরু হবে।
২. অনার্স ৪র্থ বর্ষ(১২-১৩): জুন-জুলাইয়ে শুরু হবে।
৩. ডিগ্রি ৩য় বর্ষ(১৩-১৪): জুলাইয়ে শুরু হবে।
৪. মাস্টার্স ১ম বর্ষ(১৪-১৫): আগস্টে শুরু হবে।
আপকামিং রেজাল্ট:
১. অনার্স ২য় বর্ষ(পুরাতন সিলেবাস): রেজাল্ট এই মাসের শেষ দিকে প্রকাশ হবে।
২. অনার্স ১ম বর্ষ(১৫-১৬): রেজাল্ট মে মাসের মধ্যে প্রকাশ হবে।
৩. অনার্স ৪র্থ বর্ষ(১১-১২): রেজাল্ট জুনের মধ্যে প্রকাশ হবে।
-ধন্যবাদ

By Emon RaihanFollow In Facebook 


নতুন বছরকে আরো রাঙিয়ে তুলতে গ্রামীনফোন দিচ্ছে মাত্র ২৪ টাকায় ২৫০ MB ইন্টারনেট আর সাথে ১ পয়সা প্রতি সেকেন্ডে কথা বলার সুযোগ! ডায়াল *১২১*৩০৬৫#, মেয়াদ ৩ দিন।

Terms & Conditions:
  • 250MB+ 1p/sec rate cutter for 3 Days at Tk 24 (Inclusive of SD+VAT+SC), Activation Code : *121*3065#
  • This Internet offer will run until further notice
  • Offer applicable for all prepaid customers including BS Pre.
  • Customer can activate unlimited time during this offer period. After Internet Volume Expiration customers will be charged Tk .01/10KB (till validity exists, up to 244 Taka)
  • Unused Data Volume will be carried forward if the customer purchases the same pack(250 MB+1p/sec rate cutter at Tk 24) within the active validity period
  • Dial *121*1*4# to know internet balance
  • To Cancel your Internet Offer, dial *121*3041#.
  • Special 1p/sec pulse Tariff is applicable to any local number (GP-GP & GP-Other, PSTN and mobile)
  • During the offer period, this special tariff (1 poisha /second (24 hours) call rate to any local number) will be applicable on regular package tariff, Super FnF, FnF.
  • Special1p/sec pulse tariff is not applicable on Procured minutes, Bonus minutes, Bonus Amount and Emergency Balance. Procured minutes, Bonus minutes, Bonus Amount and Emergency Balance will be consumed first
  • Offer can be availed multiple times during the duration of the campaign. on multiple recharges, longer validity will prevail
  • Customer will be able to check the 1p/sec pulse offer validity by dialing *121*1*2#
  • If customers opt-in for any other 1p/sec pulse offer, higher validity will be applicable. After the special tariff validity period, the previous offer/package will re-apply
  • To unsubscribe from the 1p/sec pulse offer SMS “Stop RC” to 9999
  • 5% Supplementary Duty (SD) + 15 % VAT inclusive of SD will be applicable for all charges + 1% surcharge on base RC tariff
  • Offer valid for 3 days (Activation+2 days)
By Emon RaihanFollow In Facebook


বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ উপলক্ষে মাত্র ২৪ টাকায় (VAT, SD & SC অন্তর্ভুক্ত) উপভোগ করুন ১৪২৪ MB ডাটা এবং ১৪২৪ অননেট সেকেন্ড। অফারটি নিতে ২৪ টাকা রিচার্জ করুন অথবা ডায়াল করুন *111*62# অথবা P24 লিখে SMS করুন 111 তে।১৩ ই এপ্রিল ২০১৭,রাত ০০:০১ থেকে শুরু করে ১৭ ই এপ্রিল ২০১৭, রাত ১১:৫৯ পর্যন্ত ৫ দিনব্যাপী অফারটি চলাকালীন সময়ে যতবার ইচ্ছে নিতে পারবেন।মেয়াদ ৩ দিন। ব্যবহারের সময় দিন রাত ২৪ ঘণ্টা।

By Emon RaihanFollow In Facebook 



বাংলা শুভ নববর্ষ পয়লা বৈশাখ বা পহেলা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বাংলা সনের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শুভ নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নেয়। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন উৎসব। বিশ্বের সকল প্রান্তের সকল বাঙালি এ দিনে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়, ভুলে যাবার চেষ্টা করে অতীত বছরের সকল দুঃখ-গ্লানি। সবার কামনা থাকে যেন নতুন বছরটি সমৃদ্ধ ও সুখময় হয়। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা একে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করার উপলক্ষ্য হিসেবে বরণ করে নেয়। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১৪ই এপ্রিল অথবা ১৫ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালিত হয়। আধুনিক বা প্রাচীন যে কোন পঞ্জিকাতেই এই বিষয়ে মিল রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। বাংলা একাডেমী কর্তৃক নির্ধারিত আধুনিক পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এদিন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।

বাংলা দিনপঞ্জীর সঙ্গে হিজরী ও খ্রিস্টীয় সনের মৌলিক পার্থক্য হলো হিজরী সন চাঁদের হিসাবে এবং খ্রিস্টীয় সন ঘড়ির হিসাবে চলে। এ কারণে হিজরী সনে নতুন তারিখ শুরু হয় সন্ধ্যায় নতুন চাঁদের আগমনে। ইংরেজি দিন শুর হয় মধ্যরাতে। পহেলা বৈশাখ রাত ১২ টা থেকে শুরু না সূর্যদোয় থেকে থেকে শুরু এটা নিয়ে অনেকের দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে, ঐতিহ্যগত ভাবে সূর্যদোয় থেকে বাংলা দিন গণনার রীতি থাকলেও ১৪০২ সালের ১ বৈশাখ থেকে বাংলা একাডেমী এই নিয়ম বাতিল করে আন্তর্জাতিক রীতির সাথে সামঞ্জস্য রাখতে রাত ১২.০০টায় দিন গণনা শুরুর নিয়ম চালু হয়।

ইতিহাস

হিন্দু সৌর পঞ্জিকা অনুসারে বাংলা বারটি মাস অনেক আগে থেকেই পালিত হত। এই সৌর পঞ্জিকার শুরু হত গ্রেগরীয় পঞ্জিকায় এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় হতে। হিন্দু সৌর বছরের প্রথম দিন আসাম, বঙ্গ, কেরল, মনিপুর, নেপাল, উড়িষ্যা, পাঞ্জাব, তামিল নাড়ু এবং ত্রিপুরার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অনেক আগে থেকেই পালিত হত।এখন যেমন নববর্ষ নতুন বছরের সূচনার নিমিত্তে পালিত একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে, এক সময় এমনটি ছিল না। তখন বাংলা শুভ নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ আর্তব উৎসব তথা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে পালিত হত। তখন এর মূল তাৎপর্য ছিল কৃষিকাজ। প্রাযুক্তিক প্রয়োগের যুগ শুরু না হওয়ায় কৃষকদের ঋতুর উপরই নির্ভর করতে হত।

ভারতবর্ষে মুঘল সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায় করত। কিন্তু হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলত না। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতেহত। খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশ মতে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।

আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হত। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হত। এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয় যার রুপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে। তখনকার সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল একটি হালখাতা তৈরি করা। হালখাতা বলতে একটি নতুন হিসাব বই বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাঠের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা, সকল স্থানেই পুরনো বছরের হিসাব বই বন্ধ করে নতুন হিসাব বই খোলা হয়। হালখাতার দিনে দোকনদাররা তাদের ক্রেতাদের মিষ্টান্ন আপ্যায়ন করে থাকে। এই প্রথাটি এখনও অনেকাংশে প্রচলিত আছে, বিশেষত স্বর্ণের দোকানে।

আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম মহাযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্ত্তণ ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকান্ডের উল্লেখ পাওযা যায়। পরবর্তী সময়ে ১৯৬৭ সনের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি তেমন একটা জনপ্রিয় হয় নি।

বাংলাদেশে বাংলা শুভ নববর্ষ বাপহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন

নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্টীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পড়ে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়িঘর পরিষ্কার করা হয় এবং মোটমুটি সুন্দর করে সাজানো হয়। বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও থাকে। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুঠির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। অনেক স্থানে ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। এই দিনের একটি পুরনো সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে থাকে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তির। বাংলাদেশে এরকম কুস্তির সবচেয়ে বড় আসরটি হয় ১২ বৈশাখ, চট্টগ্রাম-এর লালদিঘী ময়দান-এ। এটি জব্বারের বলি খেলা নামে পরিচিত।

ঢাকায় রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে পহেলা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট-এর গানের মাধ্যমে নতুন বছরের সূর্যকে আহবান। পহেলা বৈশাখ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলত কন্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরকে আহবান জানান। স্থানটির পরিচিতি বটমূল হলেও প্রকৃত পক্ষে যে গাছের ছায়ায় মঞ্চ তৈরি হয় সেটি বট গাছ নয়, অশ্বত্থ গাছ । ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠির নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানটের এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা।

মঙ্গল শোভাযাত্রা

ঢাকার বৈশাখী উৎসবের একটি আবশ্যিক অঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখে সকালে এই শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় চারুকলা ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়। এই শোভাযাত্রায় গ্রামীণ জীবণ এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। শোভাযাত্রায় সকল শ্রেণী-পেশার বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করে।  শোভাযাত্রার জন্য বানানো নয় রং-বেরঙের মুখোশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিলিপি। ১৯৮৯ সাল থেকে এই মঙ্গল শোভাযাত্রা পহেলা বৈশাখের উৎসবের একটি অন্যতম আকর্ষণ।

বউমেলা

ঈশা খাঁর সোনারগাঁয় ব্যতিক্রমী এক মেলা বসে, যার নাম 'বউমেলা'। জয়রামপুর গ্রামের মানুষের ধারণা, প্রায় ১০০ বছর ধরে পয়লা বৈশাখে শুরু হওয়া এই মেলা পাঁচ দিনব্যাপী চলে। প্রাচীন একটি বটবৃক্ষের নিচে এই মেলা বসে, যদিও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সিদ্ধেশ্বরী দেবীর পুজো হিসেবে এখানে সমবেত হয়। বিশেষ করে কুমারী, নববধূ, এমনকি জননীরা পর্যন্ত তাঁদের মনস্কামনা পূরণের আশায় এই মেলায় এসে পূজা-অর্চনা করেন। সন্দেশ-মিষ্টি-ধান দূর্বার সঙ্গে মৌসুমি ফলমূল নিবেদন করে ভক্তরা। পাঁঠাবলির রেওয়াজও পুরনো। বদলে যাচ্ছে পুরনো অর্চনার পালা। এখন কপোত-কপোতি উড়িয়ে শান্তির বার্তা পেতে চায় ভক্তরা দেবীর কাছ থেকে। বউমেলায় কাঙ্ক্ষিত মানুষের খোঁজে কাঙ্ক্ষিত মানসীর প্রার্থনা কিংবা গান্ধর্ব প্রণয়ও যে ঘটে না সবার অলক্ষে, তা কে বলতে পারবে।

ঘোড়ামেলা

এ ছাড়া সোনারগাঁ থানার পেরাব গ্রামের পাশে আরেকটি মেলার আয়োজন করা হয়। এটির নাম ঘোড়ামেলা। লোকমুখে প্রচলিত জামিনী সাধক নামের এক ব্যক্তি ঘোড়ায় করে এসে নববর্ষের এই দিনে সবাইকে প্রসাদ দিতেন এবং তিনি মারা যাওয়ার পর ওই স্থানেই তাঁর স্মৃতিস্তম্ভ বানানো হয়। প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে স্মৃতিস্তম্ভে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা একটি করে মাটির ঘোড়া রাখে এবং এখানে মেলার আয়োজন করা হয়। এ কারণে লোকমুখে প্রচলিত মেলাটির নাম ঘোড়ামেলা। এ মেলার অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে নৌকায় খিচুড়ি রান্না করে রাখা হয় এবং আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই কলাপাতায় আনন্দের সঙ্গে তা ভোজন করে। সকাল থেকেই এ স্থানে লোকজনের আগমন ঘটতে থাকে। শিশু-কিশোররা সকাল থেকেই উদগ্রীব হয়ে থাকে মেলায় আসার জন্য। এক দিনের এ মেলাটি জমে ওঠে দুপুরের পর থেকে। হাজারো লোকের সমাগম ঘটে। যদিও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কারণে এ মেলার আয়োজন করা হয়। তথাপি সব ধর্মের লোকজনেরই প্রাধান্য থাকে এ মেলায়। এ মেলায় শিশু-কিশোরদের ভিড় বেশি থাকে। মেলায় নাগরদোলা, পুতুল নাচ ও সার্কাসের আয়োজন করা হয়। নানারকম আনন্দ-উৎসব করে পশ্চিমের আকাশ যখন রক্তিম আলোয় সজ্জিত উৎসবে, যখন লোকজন অনেকটাই ক্লান্ত, তখনই এ মেলার ক্লান্তি দূর করার জন্য নতুন মাত্রায় যোগ হয় কীর্তন। এ কীর্তন হয় মধ্যরাত পর্যন্ত। এভাবেই শেষ হয় বৈশাখের এই ঐতিহ্যবাহী মেলা।

চট্টগ্রামে বর্ষবরণ

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পহেলা বৈশাখের উৎসবের মূল কেন্দ্র ডিসি পাহাড় পার্ক। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে এখানে পুরোনে বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করার জন্য দুইদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মুক্ত মঞ্চে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি থবকে নানা প্রামীণ পন্যের পশরা। থাকে পান্তা ইলিশের ব্যবস্থাও। চট্টগ্রামে সম্মিলিত ভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের উদ্যোগ ১৯৭৩, ১৯৭৪ ও ১৯৭৫ সালে রাজনৈতিকগণের চেষ্টায়। ইস্পাহানী পাহাড়ের পাদদেশে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। ১৯৭৮ সালে এই উৎসা এখনকবর ডিসি হিল পার্কে সরিয়ে নেওযা হয়। ১৯৭৮ সালের উদ্যোগের সয্গে জড়িত ছিলেন ওয়াহিদুল হক, নির্মল মিত্র, মিহির নন্দী, অরুন দাশ গুপ্ত, আবুল মোমেন সুভাষ দে প্রমূখ। প্রথম দিকে প্রত্যেক সংগঠন থেকে দুইজন করে নিয়ে একটি স্কোয়াড গঠন করা হত। সেই স্কোয়াডই সম্মিলিত সঙ্গীত পরিবেশন করতো। ১৯৮০ সাল থেকে সংগঠনগুলো আলাদাভাবে গাণ পরিবেশন শুরু করে। পরে গ্রুপ থিয়েটার সমন্বয় পরিষদ যুক্ত হওয়ার পর অনুষ্ঠানে নাটকও যুক্ত হয়েছ। নগরীর অন্যান্য নিয়মিত আয়োজনের মধ্যে রয়েছে শিশু সংগঠন ফুলকীর তিনদিন ব্যাপী উৎসা যা শেষ হয় বৈশাখের প্রথম দিবসে। নগরীর মহিলা সমিতি স্কুলে একটি বর্ষবরণ মেলা হয়ে থাকে।

পার্বত্য জেলায়, আদিবাসীদের বর্ষবরণ

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি ক্ষুদ্রজাতিস্বত্তা রয়েছে যাদের প্রত্যেকেরই বছরের নতুন দিনে উৎসব আছে। ত্রিপুরাদের বৈশুখ, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব। বর্তমানে তিনটি জাতিস্বত্ত্বা একত্রে এই উৎসবটি পালন করে। যৌথ এই উৎসবের নাম বৈসাবি। উৎসবের নানা দিক রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো মার্মাদের পানি উৎসব।

পশ্চিমবঙ্গে পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপন

পশ্চিমবঙ্গে মহাসমারোহে সাড়ম্বরে উদযাপিত হয় বাংলা নববর্ষারম্ভ পয়লা বৈশাখ। বঙ্গাব্দের প্রথম দিনটিতে বিপুল উৎসাহ এবং উদ্দীপনার সাথে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়ে থাকে সমগ্র পশ্চিম বাংলায়। বাংলার গ্রামীণ এবং নাগরিক জীবনের মেলবন্ধন সাধিত হয়ে সকলে একসূত্রে বাঁধা পড়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আনন্দে। সারা চৈত্র মাস জুড়েই চলতে থাকে বর্ষবরণের প্রস্তুতি। চৈত্র মাসের শেষ দিন অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তি বা মহাবিষুবসংক্রান্তির দিন পালিত হয় চড়কপূজা অর্থাৎ শিবের উপাসনা। এইদিনেই সূর্য মীন রাশি ত্যাগ করে মেষ রাশিতে প্রবেশ করে। এদিন গ্রামবাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে আয়োজিত হয় চড়ক মেলা। এই মেলায় অংশগ্রহণকারীগণ বিভিন্ন শারীরিক কসরৎ প্রদর্শন করে মানুষের মনোরঞ্জন করে থাকে। এছাড়া বহু পরিবারে বর্ষশেষের দিন টক এবং তিতা ব্যঞ্জন ভক্ষণ করে সম্পর্কের সকল তিক্ততা ও অম্লতা বর্জন করার প্রতীকী প্রথা একবিংশ শতাব্দীতেও বিদ্যমান। পরের দিন অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ প্রতিটি পরিবারে স্নান সেরে বয়ঃজ্যেষ্ঠদের প্রণাম করার রীতি বহুলপ্রচলিত। বাড়িতে বাড়িতে এবং সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে মিষ্টান্ন ভোজন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলির অধিকাংশই এদিন থেকে তাদের ব্যবসায়িক হিসেবের নতুন খাতার উদ্বোধন করে, যার পোশাকি নাম হালখাতা। গ্রামাঞ্চলে এবং কলকাতা শহরের উপকণ্ঠে পয়লা বৈশাখ থেকে আরম্ভ হয় বৈশাখী মেলা। এই মেলা সমগ্র বৈশাখ মাস জুড়ে অনুষ্ঠিত হয়।

কলকাতা

ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী কলকাতা পয়লা বৈশাখ উদযাপনে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। নববর্ষারম্ভ উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন পাড়ার অলিতে গলিতে নানা সংগঠনের উদ্যোগে প্রভাতফেরি আয়োজিত হয়। বিগত বছরের চৈত্র মাসে শহরের অধিকাংশ দোকানে ক্রয়ের উপর দেওয়া হয়ে থাকে বিশেষ ছাড়, যার প্রচলিত কথ্য নাম ‘চৈত্র সেল’। তাই পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে এবং এই ছাড়ের সুবিধা গ্রহণ করতে অর্থনৈতিক অবস্থা নির্বিশেষে কলকাতার সমস্ত মানুষ একমাস ধরে নতুন জামাকাপড়, ইত্যাদি ক্রয় করে থাকে। পয়লা বৈশাখের দিন উল্লেখযোগ্য ভিড় চোখে পড়ে কলকাতার বিখ্যাত কালীঘাট মন্দিরে। সেখানে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ভোর থেকে প্রতীক্ষা করে থাকেন দেবীকে পূজা নিবেদন করে হালখাতা আরম্ভ করার জন্য। ব্যবসায়ী ছাড়াও বহু গৃহস্থও পরিবারের মঙ্গল কামনা করে দেবীর আশীর্বাদ প্রার্থনা করতে কালীঘাটে গিয়ে থাকেন। এইদিন বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পোশাক ধুতি-পাঞ্জাবি এবং শাড়ি পরার রেওয়াজ প্রচলিত।



অন্যান্য দেশে পয়লা বৈশাখ

বাংলাদেশ এবং ভারত ছাড়াও পৃথিবীর আরো নানান দেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়ে থাকে।

অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে যেমনঃ সিডনি, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাতে বৈশাখী মেলার মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ নাচ-গান-ফ্যাশন শো-খাবারের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতির এ ধারাকে আনন্দময় করে তোলে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সর্ববৃহৎ বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়।[৭] আগে বার্নউড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলেও ২০০৬ সাল থেকে সিডনি অলিম্পিক পার্কে মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।[৭] মেলায় বিপুল পরিমাণ লোকের সমাগম ঘটে এবং প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এটি একটি আনন্দঘন দিন।

সুইডেন

সুইডেনেও বিপুল উৎসাহের সাথে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়।

ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ডে অবস্থানকারী প্রবাসী বাঙালিরা স্ট্রিট ফেস্টিভ্যাল (পথ উৎসব) পালন করে। এই উৎসবটি লন্ডনে করা হয়।ইউরোপে অনুষ্ঠিত সর্ববৃহৎ এশীয় উৎসব এটি এবং বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া সর্ববৃহৎ বাঙালি উৎসব।



সুত্রঃ উইকিপিডিয়া বাংলা
By Emon RaihanFollow In Facebook 


বাংলা সন ও পহেলা বৈশাখ…ইতিহাস কী বলে?
১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে মুগল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন বলে বেশিরভাগ পণ্ডিত মনে করেন। ওই সময় বঙ্গে শক বর্ষপঞ্জি ব্যবহৃত হতো, যার প্রথম মাস ছিল চৈত্র। বাংলা বর্ষপঞ্জি প্রথমে ‘তারিখ-ই-এলাহী’ বা ‘ফসলি সন’ নামে পরিচিত ছিল। ১৫৮৪ সালের ১০ বা ১১ মার্চ তারিখে এটি ‘বঙ্গাব্দ’ নামে প্রচলিত হয়।
এ নতুন সালটি সম্রাট আকবরের রাজত্বের ২৯তম বর্ষে প্রবর্তিত হলেও তা গণনা করা হয় ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৫ নভেম্বর থেকে। সম্রাট আকবর ৯৬৩ হিজরী, ১০ রবিউল আউয়াল, রোজ শুক্রবার, ১৪৭৯ শাকাব্দ, ১৬১৪ বিক্রমাসম্ভাত এবং ইংরেজি ১৫৫৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন।
একই বছর, অর্থাৎ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৫ নভেম্বর, এবং ৯৬৪ হিজরির ১ মুহররম তারিখে মাত্র ১৩ বছর বয়সে সম্রাট হেমচন্দ্র বিক্রমাদিত্যকে ২য় পানিপথের যুদ্ধে পরাজিত করেন। পানিপথের যুদ্ধে সম্রাট আকবরের বিজয়কে মহিমান্বিত করে রাখবার জন্য এবং অধিকতর পদ্ধতিগত উপায়ে রাজস্ব আদায়ের উদ্দেশে এ বাংলা সনের প্রবর্তন করা হয়েছিল।
সম্রাট যে মাসে সিংহাসনে অরোহণ করেন, তার নিকটতম হিজরি বছরের ১ম মাসকে ভিত্তি ধরা হয়। ৯৬৩ হিজরির ১ মহররম ছিল নিকটতম। ওই বছর শকাব্দের ১ বৈশাখ এবং হিজরির ১ মহররম একই দিনে এসেছিল। বৈশাখ হলো শকাব্দের ২য় মাস, চৈত্র ১ম মাস। ৯৬৩ হিজরির ১ মহররমকে বাংলা ৯৬৩ সনের ১ বৈশাখ পরিচিহ্নিত করে বাংলা সন শুরু করা হয়। অর্থাৎ ১, ২, ৩ - এভাবে হিসেব না করে মূল হিজরি সনের চলতি বছর থেকেই বাংলা সনের গণনা শুরু হয়। ফলে জন্ম বছরেই বাংলা সন ৯৬৩ বৎসর বয়স নিয়ে যাত্রা শুরু করে।
কিন্তু হিজরী সনের সঙ্গে বাংলা সনের তারতম্য হলো কেন? হিজরি সন চান্দ্রবছর ৩৫৪ বা ৩৫৫ দিনে হয়, বাংলা সন ৩৬৫ দিন হিসাবে গোনা হয়। এ কারণেই তারতম্য
পূর্বে ইংরেজি সনের মতো বাংলা সনে কোনো লিপ-ইয়ার ছিল না। ১৯৬৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে বাংলা একাডেমীর তত্ত্বাবধানে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে একটি বঙ্গাব্দ সংস্কার কমিটি গঠিত হয়। উক্ত কমিটি চার বছর পরপর চৈত্র মাস ৩০ দিনের পরিবর্তে ৩১ দিনে গণনা করার পরামর্শ দেয়।
পহেলা বৈশাখ
বঙ্গাব্দের সূচনা সম্পর্কে দু'টি মত চালু আছে৷ প্রথম মত অনুযায়ী - প্রাচীন বঙ্গদেশের (গৌড়) রাজা শশাঙ্ক (রাজত্বকাল আনুমানিক ৫৯০-৬২৫ খৃষ্টাব্দ) বঙ্গাব্দ চালু করেছিলেন৷ সপ্তম শতাব্দীর প্রারম্ভে শশাঙ্ক বঙ্গদেশের রাজচক্রবর্তী রাজা ছিলেন। আধুনিক ভারতের বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার অধিকাংশ এলাকা তাঁর সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনুমান করা হয় যে, জুলিয়ান ক্যালেণ্ডারের সোমবার ১২ এপ্রিল ৫৯৪ এবং গ্রেগরিয়ান ক্যালেণ্ডারের সোমবার ১৪ এপ্রিল ৫৯৪ বঙ্গাব্দের সূচনা হয়েছিল।
দ্বিতীয় মত অনুসারে, মধ্যযুগে বাংলা সনের প্রচলনের আগে কৃষি ও ভূমি কর বা খাজনা আদায় করা হতো ইসলামিক হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে। কিন্তু চাষাবাদ করা হতো সৌর বছর অনুযায়ী। হিজরি বর্ষপঞ্জি চান্দ্রমাস নির্ভর বলে সব সময় কৃষি কর্মকাণ্ড অর্থবর্ষের সাথে মিলতো না। কারণ চন্দ্র ও সৌর বছরের মধ্যে ১১ বা ১২ দিনের পার্থক্য ছিল। ফলে ৩১ টি চন্দ্র বছর ৩০ টি সৌর বছর এর সমান হয়ে যেতো। তাতে কৃষিজীবীদের ফসলহীন ঋতুতে কর বা খাজনা দেবার জন্য বাধ্য করা হতো। সম্রাট আকবর তাঁর শাসনের প্রথমেই এই সমস্যা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন এবং এর একটি বৈজ্ঞানিক কিন্তু কার্যকর সমাধান খুঁজছিলেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য মহান মুঘল সম্রাট আকবর (শাসনকাল ১৫৫৬ খৃষ্টাব্দ হতে ১৬০৫ খৃষ্টাব্দ) বর্ষপঞ্জি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবী ও রাজকীয় জ্যোর্তিবিদ আমির ফতেউল্লাহ্ সিরাজী চান্দ্রমাস নির্ভর হিজরি বর্ষপঞ্জি এবং সৌরমাস নির্ভর হিন্দু বর্ষপঞ্জি গবেষণা করে একটি নতুন বর্ষপঞ্জি প্রস্তাব করেন। এর ফলেই সূচনা হলো বাংলা বর্ষপঞ্জির বা বাংলা সনের। বাংলা সনের সূচনা হয় ফসল তোলার সময়ে যখন কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে বছরের অন্য সময়ের চাইতে সচ্ছল থাকে। নতুন বর্ষপঞ্জি প্রথম দিকে ফসলী সন হিসেবে পরিচিত ছিল।
অনেকের মতে শশাঙ্ক বাংলা সনের প্রবর্তক, যা শুরু হয় শশাঙ্কের রাজ্যভার গ্রহণের দিন থেকে। শশাঙ্কের রাজত্বকাল ৬০৬-৬১৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে, কিন্তু বাংলা সন শুরু হয় ৫৯৩ বা ৫৯৪ থেকে। তবে, ঐ সময় আসামে ভাস্করাব্দ চলমান ছিল, যার মাসের নামগুলো বঙ্গাব্দের মতো। বাঙালিরা ভাস্করাব্দ অনুসরণ করে থাকতে পারেন। কিংবা এমনও হতে পারে, ভাস্করাব্দ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শশাঙ্ক রাজ্য শাসনভার গ্রহণের পর ভাস্করাব্দ অনুযায়ী বাংলা সন গণনার প্রচলন করেছিলেন। অনেকে আবার শশাঙ্কের কাল থেকে বাংলা সন শুরু হওয়ার কোনো শক্ত যুক্তি খুঁজে পান না।
শশাঙ্ক বাংলা সনের প্রবর্তক- এই মতের সমর্থক অনেকে থাকলেও, তা খারিজ হয়ে গেছে অনেক আগেই। কারণ, আসলে ষষ্ঠ বা সপ্তম শতকে 'বঙ্গাব্দ', 'বাংলা সন' বা 'বাংলা সাল' ব্যবহৃত হওয়া অসম্ভব ছিল। অতো আগে বঙ্গ বা বাংলা বলে কোনো রাজ্য বা ভৌগোলিকভাবে সুসংবদ্ধ এলাকা গড়ে উঠেছিল- ইতিহাসে তার প্রমাণ নেই। তাই 'বঙ্গাব্দ'-র মতো আধুনিক শব্দের ব্যবহার যেমন সম্ভব ছিল না, তেমনি সঙ্গত কারণেই আরবি বা ফার্সি শব্দ 'সন' বা 'সাল'-এর ব্যবহার একেবারেই অকল্পনীয়। এসব কারণেই রাজা শশাঙ্কের সঙ্গে 'বঙ্গাব্দ' বা 'বাংলা সন'-এর সম্পর্ককে ইতিহাসসম্মত প্রত্যয় বলে মনে করেন না অনেক পন্ডিত।
‘সন’ ও ‘তারিখ’ দুটিই আরবী শব্দ। প্রথমটির অর্থ হল ‘বর্ষ’ বা ‘বর্ষপঞ্জী’ এবং অন্যটির অর্থ ‘দিন’। ‘তারিখ’ বলতে আবার ইতিহাসও বোঝায়। ‘সাল’ হচ্ছে একটি ফারসী শব্দ, যার অর্থ হল বৎসর।
‘ইংরেজি’ তথা ‘গ্রেগরীয়ান’ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মক্কা থেকে মদীনায় ঐতিহাসিক হিজরত অবলম্বন করে প্রবর্তিত, এই হিজরী সন শুরু হয় ৬২২ খ্রিস্টাব্দের ১৫/১৬ জুলাই তারিখ থেকে। বাংলা সনের মূলে হিজরী সন বিদ্যমান বিধায় হিজরী সালকেই সুকৌশলে বাংলা সনে রূপান্তরিত করা হয়।
বর্তমান ভারতের জাতীয় সন হচ্ছে শাকাব্দ। রাজা চন্দ্রগুপ্ত ৩১৯ অব্দে গুপ্তাব্দ প্রবর্তন করেন। এই সন পরে ‘বিক্রমাব্দ’ নামে অভিহিত হয়। এই ‘অব্দ প্রথমে শুরু হতো চৈত্র মাস থেকে। পরবর্তী পযায়ে কার্তিক মাসকে বছরের প্রথম মাস হিসেবে পরিচিহ্নিত করা হয়। খ্রিস্টপূর্ব ১৫ সালে ভারতে শক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। শক সনের স্মারক হিসেবে ৭৮ খ্রিস্টাব্দে শাকাব্দ চালু করা হয়। সৌরভিত্তিক শাকাব্দের রবিমার্গের দ্বাদশ রাশির প্রথম মেঘ অন্তর্গত পূর্ণচন্দ্রিকাপ্রাপ্ত প্রথম নক্ষত্র বিশাখার নামানুসারে বৎসরের প্রথম মাসের নাম রাখা হয় বৈশাখ। বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন যে, নাক্ষত্রিক নিয়মে বাংলা সনের মাসগুলোর নাম নিম্নেবর্ণিত নক্ষত্রসমূহের নাম থেকে উদ্ভূত হয়েছে:
মাসের নাম সংশ্লিষ্ট নক্ষত্রের নাম
বৈশাখ বিশাখা
জ্যৈষ্ঠ জ্যেষ্ঠা
শ্রাবণ শ্রাবণা
ভাদ্র ভাদ্রপদা
আশ্বিন আশ্বিনী
কার্তিক কার্তিকা
অগ্রহায়ণ অগ্রহায়ণ
পৌষ পৌষা
মাঘ মঘা
ফাল্গুন ফাল্গুনী
চৈত্র চিত্রা
‘ফসলি সন’ যখন প্রবর্তিত হয়, তখন কিন্তু ১২ মাসের নাম ছিল : কারওয়াদিন, আরদি, ভিহিসু, খারদাদ, তীর, আমরারদাদ, শাহরিয়ার, মিহির, আবান, আয়ুব, দায়, বাহমান ও ইসকান্দার মিয। পরবর্তী পর্যায়ে সেগুলো বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ইত্যাদিতে রূপান্তরিত হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে বংলা সনের প্রথম মাস কোন্টি ছিল সে বিষয়ে কিঞ্চিৎ মতানৈক্য রয়েছে। অধিকাংশ ঐতিহাসিক অভিমত প্রকাশ করেন যে, অগ্রহায়ণ হলো অগ্রাধিকার বিধায়, অতীতে আমাদের নববর্ষের দিন ছিল পহেলা অগ্রহায়ণ। অর্থাৎ ‘হায়ণ’ বা বৎসরের প্রারম্ভে যায় যে মাস তার প্রথম দিন ছিল আমাদরে নববর্ষের দিন। কিন্তু ৯৬৩ হিজরিতে যখন ‘ফসলি সন’ বা ‘বাংলা সন’ শুরু করা হয়, তখন হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম বৈশাখ মাসের সঙ্গে মিশে যায়। ফলে, এ দেশে ১লা বৈশাখই ‘নওরোজ’ বা ‘নববর্ষ’ হিসেবে পরিচিহ্নিত হয়। উল্লেখ্য, ‘ইংরেজি’ তথা গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডারের ক্ষেত্রেও প্রথমে ১লা মার্চ ছিল ‘নিউ ইয়ারস ডে’। কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে পহেলা জানুয়ারি সে সম্মানজনক স্থান দখল করে নেয়।
পয়লা বৈশাখ বা পহেলা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বাংলা সনের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নেন। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন উৎসব। বিশ্বের সকল প্রান্তের সকল বাঙালি এ দিনে নতুন বছরকে বরণ করে নেন। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা একে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করার উপলক্ষ্য হিসেবে বরণ করে নেন। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১৪ই এপ্রিল অথবা ১৫ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালিত হয়। আধুনিক বা প্রাচীন যে কোন পঞ্জিকাতেই এই বিষয়ে মিল রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। বাংলা একাডেমী কর্তৃক নির্ধারিত আধুনিক পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এদিন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।
আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হতো। এর পরদিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হতো। এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয় যার রূপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে। তখনকার সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল একটি হালখাতা তৈরি করা। হালখাতা বলতে একটি নতুন হিসাব-বই বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হলো বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাঠের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা, সকল স্থানেই পুরনো বছরের হিসাব-বই বন্ধ করে নতুন হিসাব-বই খোলা হয়। হালখাতার দিনে দোকনদাররা তাদের ক্রেতাদের মিষ্টান্ন আপ্যায়ন করে থাকে। এই প্রথাটি এখনও অনেকাংশে প্রচলিত আছে, বিশেষত স্বর্ণের দোকানে।
আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম মহাযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্ত্তণ ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকাণ্ডের উল্লেখ পাওযা যায়। পরবর্তী সময়ে ১৯৬৭ সনের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি তেমন একটা জনপ্রিয় হয় নি।
By Emon RaihanFollow In Facebook



মাস্টার্স শেষ পর্ব প্রাইভেট ভর্তি
সেশন :২০১৪-২০১৫
.
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে
মাস্টার্স শেষ পর্ব প্রাইভেট ভর্তির জন্য
অনলাইনে আবেদন শুরু ১৯/৪/২০১৭ থেকে
২/৫/২০১৭ তারিখ পর্যন্ত।
প্রিন্টকৃত ফর্ম টাকা ও অন্যান্য কাগজ
পত্র সহ নির্ধারিত কলেজে জমা দেওয়ার
শেষ সময় ৪/৫/২০১৭ তারিখ পর্যন্ত।
.
By Emon RaihanFollow In Facebook 

ইন্টারনেটে পাসওয়ার্ড নিয়ে কম বিড়ম্বনায় পড়তে হয় না। এত সব ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড মনে রাখা কঠিন। ভুলে গেলে পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা আরেক ঝামেলা। এদিকে নিরাপত্তার স্বার্থেই সব ওয়েবসাইটে এক কিংবা সহজ কোনো পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে নিষেধ করেন বিশেষজ্ঞরা। তাহলে উপায় কী?
পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সফটওয়্যার ব্যবহার করে সহজে এই সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব। এই সফটওয়্যারগুলো কম্পিউটার কিংবা মুঠোফোনে ইনস্টল করে নিলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপে ব্যবহার করা পাসওয়ার্ড নিরাপদে সংরক্ষণ করা যায়। এতে বারবার পাসওয়ার্ড লেখা কিংবা মনে রাখার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারের মাস্টার পাসওয়ার্ড মনে রাখলেই হলো। সফটওয়্যারটি চালুর সময় একবার সে পাসওয়ার্ড দিতে হয়।
পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার হিসেবে লাস্টপাস সবচেয়ে জনপ্রিয়, নির্ভরযোগ্যও। কম্পিউটারের জন্য সফটওয়্যারটি নামিয়ে নিয়ে বিনা মূল্যে ব্যবহার করা গেলেও স্মার্টফোনে ব্যবহার করতে হলে নির্দিষ্ট ফি দিতে হতো। তবে নভেম্বর মাস থেকে লাস্টপাসের সব ধরনের সেবা বিনা মূল্যে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে কম্পিউটার হোক কিংবা স্মার্টফোন, যেকোনো একটি যন্ত্রে সংরক্ষণ করা পাসওয়ার্ড পাওয়া যাবে নিজের ব্যবহার করা সব যন্ত্রে।
লাস্টপাসের প্রিমিয়াম সংস্করণও রয়েছে। এতে অতিরিক্ত কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে। প্রিমিয়াম সংস্করণে কোনো বিজ্ঞাপন দেখাবে না। তবে সেটির জন্য মাসে এক ডলার করে ব্যয় করতে হবে।
সফটওয়্যারটি কম্পিউটারের জন্য https://goo.gl/ufd6Vf ঠিকানায়, অ্যান্ড্রয়েডে https://goo.gl/TMNc0j ঠিকানায় এবং আইওএস যন্ত্রে https://goo.gl/zKpSqt ওয়েব ঠিকানায় পাওয়া যাবে।
By Emon RaihanFollow In Facebook 

চৈত্রের তীব্র তাপদাহ, তার ওপর লক্ষ্মীপুরে রেকর্ড পরিমাণ লোডশেডিংয়ে নাভিশ্বাস ওঠেছে জনজীবনে। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়লেও লক্ষ্মীপুরে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না পাওয়ায় জেলার কর্তাব্যক্তিদের ব্যর্থতার প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। লক্ষ্মীপুরে এখন শহর আর গ্রামে সমান্তরালে চলছে লোডশেডিং। জেলা শহরেও একই অবস্থা। তাহলে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্য এবং জেলা প্রশাসন কী দায়িত্ব পালন করছেন, এনিয়ে বিস্তর অভিযোগ সাধারণ মানুষের।
গ্রামে রাতের টানা লোডশেডিংয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা এখন অনেকটা লাটে ওঠেছে। অপরদিকে দিনের অব্যাহত লোডশেডিংয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা এখন রশিকতা করে বলছেন, বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে যায়না, বিদ্যুৎ এখন মাঝে মাঝে আসে।
শীতকালে যখন বিদ্যুতের ব্যবহার কম থাকে তখন লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কম থাকে; গরমকালে যখন চব্বিশ ঘণ্টা বৈদ্যুতিক পাখা চালানোর প্রয়োজন হয়, তখন লোডশেডিংয়ের মাত্রা চরমভাবে বেড়ে যায়।
অপরদিকে দিনে অফিস-আদালত, কলকারখানা, দোকানপাট, সব একসঙ্গে খোলা থাকায় চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি থাকলেও রাতে যখন এসব কিছুই খোলা থাকে না, তখন বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি হওয়ার কথা নয়। অথচ সন্ধ্যায় যখন ছাত্রছাত্রীরা পড়তে বসে আর শ্রমজীবী মানুষ দিনের পরিশ্রম শেষে রাতে একটু ঘুমাতে যায়, তখন বিদ্যুৎ অপ্রত্যাশিতভাবে দিনের মতোই আসা-যাওয়ার খেলায় মেতে ওঠে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় নোয়াখালীর চৌমুহনী গ্রীড থেকে। তারা তাদের জেলার চাহিদা বলবৎ রেখেই লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছেন। লক্ষ্মীপুরের পার্শ্ববর্তী জেলা চাঁদপুরে বিদ্যুতের অতটা লোডশেডিং নেই। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, তাহলে লক্ষ্মীপুরের সাথে কেন এমন বিমাতাসুলভ আচরণ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুতের লোড ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এজিএম (কম) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, লক্ষ্মীপুরে ৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ২৪ মেগাওয়াট। যার ফলে বাধ্য হয়ে লোড ম্যানেজমেন্ট করা হচ্ছে। তবে তিনি বলেন, চলতি বছরের ১৮ ডিসেম্বর নাগাদ রামগঞ্জে স্থানীয় পাওয়ার গ্রীডের কাজ সম্পন্ন হলে লক্ষ্মীপুরে লোডশেডিং একেবারে কমে যাবে।

Credit : Amar Sangbad
By Emon RaihanFollow In Facebook

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় বর্ষ অনার্স (নিয়মিত)পরীক্ষার সময়সূচী প্রকাশ