Recent Post
Loading...
পর্যায়-সারণির বর্ণনা [Description of Periodic table]:- বিভিন্ন মৌলগুলিকে বিভিন্ন পর্যায়ে কীভাবে সাজানো যায় তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় নীচে দেওয়া হল :

[১] প্রথম পর্যায়:- এই পর্যায়ে মাত্র দুটি মৌল H(1) এবং He(2) জায়গা পেয়েছে । সাধারণ উষ্ণতায় দুটি মৌলই গ্যাসীয় । এই পর্যায়কে অতি হ্রস্ব পর্যায়বলে ।

[২] দ্বিতীয় পর্যায়:- এই পর্যায়ে মোট আটটি মৌল আছে— [Li(3),  Be(4),  B(5),  C(6),  N(7),  O(8),  F(9),  Ne(10)] স্থান পেয়েছে । এই পর্যায়কেপ্রথম হ্রস্ব পর্যায় বলে । এদের মধ্যে Li এবং Be ধাতু, অন্যগুলি সবই অধাতু । সাধারণ উষ্ণতায় B ও C কঠিন । O,  N,  F ও  Ne গ্যাসীয় পদার্থ ।

[৩] তৃতীয় পর্যায়:- এই পর্যায়ের মৌলসংখ্যা আটটি— [Na(11),  Mg(12),  Al(13),  Si(14),  P(15),  S(16),  Cl(17),  Ar(18)]- এই পর্যায়কে দ্বিতীয় হ্রস্ব পর্যায় বলে । এদের মধ্যে Na,  Mg এবং Al ধাতু, বাকিগুলি অধাতু ।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় হ্রস্ব পর্যায়ে দেখা যায়, কোনো নির্দিষ্ট মৌল থেকে আরম্ভ করে পরের নবম মৌলে ধর্মের পুনরাবৃত্তি হয়; যেমন, [Li ও Na] ও [F ও Cl] এই দুই পর্যায়ের মৌলগুলির ধর্মকে নীচের পর্যায়ের মৌলগুলি অনুসরণ করে; সেইজন্য এই মৌলগুলিকে আদর্শ মৌল [Typical elements] বা প্রতিনিধিমূলক মৌল [Representative elements] বলে ।

[৪] চতুর্থ পর্যায়:- এই পর্যায়ে 18টি মৌল আছে, যেমন— পটাশিয়াম (K-19) থেকে শুরু হয়ে ক্রিপটন (Kr-36) পর্যন্ত । এই পর্যায়কে প্রথম দীর্ঘ পর্যায় বলে ।  এই পর্যায়ে কোনো নির্দিষ্ট মৌল থেকে আরম্ভ করে অষ্টাদশ মৌলের পরের মৌলে ধর্মের পুনরাবৃত্তি ঘটে; যেমন— K এবং Rb -এর ধর্ম প্রায় একই রকম,  Br ও  I এর ধর্মও প্রায় একই । এই পর্যায়ে কঠিন অধাতু As(33),  তরল অধাতু Br(35) এবং গ্যাসীয় অধাতু Kr(36) । বাকি মৌলগুলি কঠিন ধাতু ।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের চেয়ে চতুর্থ পর্যায়ে 10 টি (Sc থেকে জিঙ্ক Zn পর্যন্ত) মৌল বেশি আছে । এই মৌলগুলি একাধিক যোজ্যতাসম্পন্ন এবং কয়েকটি বিশেষ ধর্মের অধিকারী বলে এই মৌলগুলিকে সন্ধিগত মৌল [Transitional elements] বলে । এদের মধ্যে Zn কিন্তু সন্ধিগত মৌল নয় । বাকি আটটি মৌল (K, Ca, Ga থেকে Kr পর্যন্ত) আদর্শ মৌলের মতো ।

[৫] পঞ্চম পর্যায়:- এই পর্যায়ে 18টি মৌল আছে; যেমন— রুবিডিয়াম (Rb-37) থেকে শুরু করে জেনন (Xe-54) পর্যন্ত । এই পর্যায়কে দ্বিতীয় দীর্ঘ পর্যায়বলে ।  এই পর্যায়ে 10টি মৌল (ইট্রিয়াম Y-39 থেকে ক্যাডমিয়াম Cd-48 পর্যন্ত) বেশি আছে । একাধিক যোজ্যতাবিশিষ্ট এবং কয়েকটি বিশেষ ধর্মের অধিকারী বলে Cd ছাড়া এই মৌলগুলিকেও সন্ধিগত মৌল [Transitional elements] বলে । পঞ্চম পর্যায়ে বাকি আটটি মৌল (Rb,  Sr এবং In থেকে Xe পর্যন্ত) আদর্শ মৌলের মতো । এই পর্যায়ে কোনো নির্দিষ্ট মৌল থেকে আরম্ভ করে অষ্টাদশ মৌলের পরের মৌলে ধর্মের পুনরাবৃত্তি হয় । যেমন— Rb এবং Cs -এর ধর্মে যথেষ্ট মিল দেখা যায় ।

[৬] ষষ্ঠ পর্যায়:- এই পর্যায়ে 32 টি মৌল আছে, [Cs(55) থেকে শুরু করে Rn(86) পর্যন্ত] । এই পর্যায়কে প্রথম অতিদীর্ঘ পর্যায় বলে । এর মধ্যে আটটি আদর্শ মৌল আছে । [Cs(55),  Ba(56) এবং Ti(81) থেকে Rn(86) পর্যন্ত ] । এই পর্যায়ে La(57) এবং Hf(72) থেকে Au(79) পর্যন্ত 9টি মৌল হল সন্ধিগত মৌল । এছাড়া Ce(58) থেকে Lu(71) পর্যন্ত মৌলগুলিকে (14টি) প্রকৃতির মধ্যে খুব কম পাওয়া যায় এবং ধর্মের খুব বেশি সাদৃশ্য থাকায় এদের পর্যায়-সারণিতে এক জায়গায় স্থান দেওয়া হয়েছে । এদের বিরল মৃত্তিকা মৌল বা ল্যান্থানাইডস [Rare earth elements or Lanthanides] বলে ।

[৭] সপ্তম পর্যায়:- এটি একটি অসম্পূর্ণ দ্বিতীয় অতিদীর্ঘ পর্যায় । বর্তমানে এই পর্যায়ে মোট মৌল সংখ্যা 23টি  । এর মধ্যে 6টি মৌল (Fr-87 থেকে ইউরেনিয়াম U-92) প্রকৃতিতে পাওয়া যায়, বাকি 17টি মৌলকে কৃত্রিম উপায়ে প্রস্তুত করা হয়েছে । এইগুলিকে ইউরেনিয়ামোত্তর মৌল [Transuranic elements] বলা হয় । এই পর্যায়ের থোরিয়াম [Th-90] থেকে লরেন্সিয়াম [Lw-103] পর্যন্ত মৌলগুলিকে অ্যাক্টিনাইডস [Actinides] বলে । সপ্তম পর্যায়ের মৌলগুলি তেজস্ক্রিয় [Radioactives] । Lw -এর পর নতুন আবিষ্কৃত মৌলগুলি হল রাদারফোর্ডিয়াম [Rf-104], হানিয়াম [Ha-105],  সিবরজিয়াম[Sg-106], নিলসবোরিয়াম [Ns-107], হ্যাসিয়াম [Hs-108] এবং মিটনেরিয়াম [Mt-109]  ।

CreditRabbane SujonBsc & Msc in (Chemistry), Dhaka College

জৈব রসায়ন [Organic Chemistry]:-

বহু বছর আগে পৃথিবীতে এককোশী জীবের আবির্ভাব ঘটেছিল । ক্রমে নানা উদ্ভিদ, অন্যান্য প্রাণী এবং মানুষ এলো পৃথিবীতে । মানুষ সুদূর অতীত থেকেই চাল, গম, ময়দা, দুধ, মাখন, মদ ইত্যাদি খাদ্যবস্তু দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করতে শুরু করে ।   এইসব পদার্থগুলির উত্স উদ্ভিদ বা প্রাণী এবং এগুলি সবই জৈব পদার্থ । তাই সাধারণভাবে এই ধারণাই সৃষ্টি হয়েছিল যে, জৈব যৌগ শুধু উদ্ভিদ বা প্রাণী জগৎ থেকেই পাওয়া সম্ভব । বিজ্ঞানী ল্যাভয়সিয়েঁঅনেকগুলি জৈব যৌগের বিশ্লেষণ করে দেখান যে, সব জৈব যৌগের মধ্যে কার্বন আছে । 1815 খ্রিস্টাব্দে বার্জেলিয়াস প্রাণ শক্তি তত্ত্বের [vital force theory] দ্বারা জৈব এবং অজৈব যৌগগুলি পার্থক্য করেন এবং তিনি বলেন জৈব যৌগগুলির উত্পন্নের জন্য উদ্ভিদ কিংবা প্রাণীদেহে উপস্থিত প্রাণশক্তির প্রয়োজন । তাঁর মতে, এই শক্তি মানুষের করায়ত্ত নয়, তাই পরীক্ষাগারে অজৈব যৌগ থেকে জৈব যৌগগুলি প্রস্তুত করা সম্ভব নয় । তারপর এই প্রচলিত ধারণা ভেঙ্গে দিয়ে 1828 খ্রিস্টাব্দে জার্মান বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক ভোলার [Fredrich Whohler] সর্বপ্রথম অজৈব যৌগ অ্যামোনিয়াম সায়ানেট (ammonium cyanate) [NH4CNO] -কে উত্তপ্ত করে জৈব যৌগ ইউরিয়া (Urea) [CO(NH2)2] প্রস্তুত করে দেখান যে, পরীক্ষাগারে জৈব যৌগ তৈরি করা যায় । ইউরিয়া একটি জৈব পদার্থ, যা স্তন্যপায়ী প্রাণীর মুত্রের মধ্যে পাওয়া যায় । এই আবিষ্কারটি জৈব রসায়নে নবযুগের সূচনা করে ।

NH4CNO [অ্যামোনিয়াম সায়ানেট]  →  CO(NH2)2 [ইউরিয়া]

তাই বলা যেতে পারে যে, বিজ্ঞানী ভোলারই আধুনিক জৈব রসায়নের জনক । এরপর 1845 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী কোলবে, অ্যাসেটিক অ্যাসিড নামে কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন দ্বারা গঠিত একটি জৈব যৌগ প্রস্তুত করেন । 1856 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী বার্থ্লো কার্বন ও হাইড্রোজেন ঘটিত জৈব যৌগ মিথেন প্রস্তুত করেন । এভাবেই জীবকোশের প্রাণশক্তি ছাড়াই জৈব যৌগ যে প্রস্তুত করা যায় তা প্রমাণিত হল । ফলে জীবনী শক্তি মতবাদটি বাতিল হয়ে যায় । প্রত্যেক জৈব যৌগে কার্বন আছে, কিন্তু সব কার্বন যৌগকেই জৈব যৌগের অন্তর্ভুক্ত করা যায় না ।
সাম্প্রতিক সময়ে আবিষ্কৃত, নতুন চারটি মৌলের নাম নিশ্চিত করেছে IUPAC. মৌলগুলোর নাম দেয়া হয়েছে, nihonium(113), moscovium(115), tennessine(117) and oganesson(118).

Nihonium নামটি দেয়া হয়েছে জাপানের নামে। জাপানিজ ভাষায় জাপানের নাম হলো Nihon (নিপ্পন)। মৌলটি জাপানের গবেষণাগারে আবিষ্কৃত হয়েছে।
Moscovium মৌলটির নামকরণ হয়েছে, রাশিয়ার মস্কোর নামে।
Tennessine মৌলটির নামকরণ হয়েছে, আমেরিকার টেনিসি স্টেটের নামে। এবং Oganesson মৌলটির নামকরণ হয়েছে রাশিয়ার জীবন্ত কিংবদন্তী সাইন্টিস্ট Yuri Oganessian-এর নাম অনুসারে।

  1. •পদার্থের ক্ষুদ্রতমা কণা – অণু ।
  2. •পদার্থের স্থায়ী মূল কণিকা – ইলেকট্রোন, প্রোটন ও নিউট্রন ।
  3. •তেজস্ক্রিয় রশ্মিতে থাকে – আলফা, বিটা ও গামা কনিকা ।
  4. •পদার্থের পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা ও পারমাণবিক সংখ্যা – পরস্পর সমান ।
  5. •পৃথিবী ও উহার নিকটস্থ মধ্যকার বস্তুর আকর্ষণ বলকে বলে – অভিকর্ষ বল ।
  6. •বরফ গলনের সুপ্ত তাপ – ৮০ ক্যালরি ।
  7. •০০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় শব্দের গতি – ৩৩২ মিটার/সেকেন্ড ।
  8. •সুর্যোদয় ও সুর্যাস্তের সময় আকাশ লাল দেখায় – লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি বলে ।
  9. •সূর্য থেকে পৃথিবীতে আগত রশ্মি – সৌর রশ্মি ।
  10. •পৃথিবী ঘূর্ণায়নের ফলে আমরা ছিটকিয়ে পড়ি না – মধ্যাকর্ষণের জন্য ।
  11. •প্রেসার কুকারে রান্না তারাতারি হওয়ার কারন – উচ্চ চাপে তরলের স্ফুটনাংক বৃদ্ধি পায় ।
  12. •চা তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয় – কালো রংয়ের কাপে (কাল রংয়ের তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি)।
  13. •চা দেরীতে ঠান্ডা হয় –  সাদা রংয়ের কাপে (সাদা রংয়ের তাপ শোষণ ক্ষমতা কম)।
  14. •শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি  – কঠিন মাধ্যমে ।
  15. •শব্দের গতি সবচেয়ে কম  – বায়বীয় মাধ্যমে ।
  16. •তিনটি মূখ্য বর্ণ – লাল, সবুজ ও নীল ।
  17. •৪০ সে: তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব – সর্বোচ্চ ।
  18. •ইউরেনিয়াম, নেপচুনিয়াম প্লুটোনিয়াম হল – তেজস্ক্রিয় পদার্থ ।
  19. •রাবারের স্থিতিস্থাপকতা কম এবং লোহা বা ইস্পাতের স্থিতিস্থাপকতা বেশি ।
  20. •উন্নত ধরণের বিস্ফোরোক আবিষ্কার করে ধনী হয়েছিলেন – আলফ্রেড নোবেল ।
  21. •ডিজিটাল ফোনের প্রধান বৈশিষ্ঠ – ডিজিটাল সিগনাল ডেটাবেজ ।
  22. •পীট কয়লা – ভিজা ও নরম ।
  23. •তাপ আটকা পড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে বলে – গ্রীনহাউজ ইফেক্ট।
  24. •পরমাণু ভেঙ্গে প্রচন্ড শক্তি সৃস্টি করাকে বলে – ফিউশন বিক্রিয়া ।
  25. •বায়ু এক প্রকার – মিশ্র পদার্থ ।
  26. •লোহার উপর দস্তার প্রলেপ দেয়াকে বলে – গ্যালভানাইজিং ।
  27. •আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটে – মরিচিকায় ।
  28. •পানি বরফে পরিণত হলে – আয়তনে বাড়ে ।
  29. •পানি কঠিন, তরল ও বায়বীয় অবস্থায় থাকতে পারে ।
  30. •বৈদুতিক বাল্বের ফিলামেন্ট তৈরী – টাংস্টেন দিয়ে ।
  31. •CFC বা ক্লোরোফ্লোরো কার্বন ধ্বংস করে  – ওজন স্তর ।
  32. •ডুবোজাহাজ হতে পানির উপরে দেখার জন্য ব্যবহৃত হয় – পেরিস্কোপ ।
  33. •ব্যাটারি হতে পাওয়া যায় – ডিসি কারেন্ট ।
  34. •সর্বোত্তম তড়িৎ পরিবাহক – তামা ।
  35. •ডিনামাইট আবিস্কার করেন – আলফ্রেড নোবেল ।
  36. •পারমাণবিক চুল্লিতে মডারেটর হিসেবে ব্যবহৃত হয় – গ্রাফাইট ।
  37. •শব্দের চেয়ে দ্রুত গতিতে চলে – সুপারসনিক বিমান ।
  38. •বায়ুতে বা শুণ্য স্থানে শব্দের গতি – ৩x১০১০ সে. মি. ।
  39. •কাঁচা লোহা, ইস্পাত ও কোবাল্ট – চুম্বক পদার্থ ।
  40. •আলোর নিয়মিত প্রতিফলণ ঘটে – দর্পনে ।
  41. •স্টিফেন হকিন্স একজন – পদার্থবিদ ।
  42. •পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ইত্যাদি – জীবাস্ম জালানি ।
  43. •জীব-জগতের সবচেয়ে ক্ষতিকর রশ্মি – অতি বেগুণী রশ্মি ।
  44. •এক্সরে এর একক – রনজেন ।
  45. •তেজস্ক্রীয়তার একক কুরি ও এর আবিস্কারক – হেনরী বেকুইরেল ।
  46. •রেডিয়াম আবিস্কার করেন – মাদাম কুরি ।
  47. •পারমাণবিক বোমা উৎপন্ন হয় – ফিশন পদ্ধতিতে ।
  48. •হাইড্রোজেন বোমা উৎপন্ন হয় – ফিউশন পদ্ধতিতে ।
  49. •পারমানবিক ওজন = প্রোটন ও নিউট্রনের ওজন ।
  50. •প্লবতা সূত্র আবিস্কার করেন – আর্কিমিডিস ।
  51. •দূরবীক্ষণ যন্ত্র আবিস্কার করেন – গ্যালিলিও ।
  52. •গতির সূত্র আবিস্কার করেন – নিউটন ।
  53. •আপেক্ষিকতার সূত্র আবিস্কার করেন – আলবার্ট আইনস্টাইন ।
  54. •মৌলিক রাশিগুলো হলো – দৈর্ঘ, ভর, সময়, তাপমাত্রা, তড়িৎপ্রবাহ, দীপন ক্ষমতা ও পদার্থের পরিমাণ।
  55. •লব্ধ রাশি – বল, ত্বরণ, কাজ, তাপ, বেগ প্রভৃতি ।
  56. •ভেক্টর রাশি – সরণ, ওজন, বেগ, ত্বরণ, বল, তড়িৎ প্রাবল্য, মন্দন, ভেদাঙ্ক ইত্যাদি ।
  57. •স্কেলার রাশি – দৈর্ঘ, ভর, দ্রূতি, কাজ, তড়িৎ বিভব, সময়, তাপমাত্রা ইত্যাদি ।
  58. •পরিমাপের আন্তর্জাতিক পদ্ধতি হল – এস. আই. S. I. ।
  59. •ভর হচ্ছে পদার্থের – জড়তার পরিমাণ।
  60. •এই মহাবিশ্বে পরম স্থিতিশীল এবং পরম গতিশীল বলে কিছু নেই ।
  61. •নিউটনের গতি সূত্র – তিনটি ।
  62. •নিউটনের বিখ্যাত বই – “ন্যচারাল ফিলোসোফিয়া প্রিন্সিপিয়া ম্যাথমেটিকা” ।
  63. •বিদ্যুৎ শক্তির হিসাব করা হয় – কিলোওয়াট / ঘন্টা kw/h ।
  64. •১ অশ্ব শক্তি (H.P.) = ৭৪৬ ওয়াট বা ৫৫০ ফুট-পাউন্ডাল শক্তি ।
  65. •মহাবিশ্বের যে কোন দুটি বস্তুর মধ্যকার পারস্পারিক আকর্ষণ বল হল – মহাকর্ষ বল ।
  66. •পৃথিবী ও বিশ্বের যে কোন বস্তুর মধ্যকার পারস্পারিক আকর্ষণ বল হল – অভিকর্ষ বল ।
  67. •অভিকর্ষজ ত্বরণ g এর মান – পৃথিবীর কেন্দ্রে শূন্য, বিষুবীয় অঞ্চলে সবচেয়ে কম, মেরু অঞ্চলে সবচেয়ে বেশী ।
  68. •চন্দ্র পৃষ্ঠে অভিকর্ষজ ত্বরণ g এর মান পৃথিবীর মানের ১/৬ ভাগ ।
  69. •পৃথিবীর মুক্তিবেগ – ১১.২ কি.মি./সে. ।
  70. •মঙ্গল গ্রহের মুক্তি বেগ – ৫.১ কি.মি./সে. ।
  71. •গ্রহের গতি সংক্রান্ত কেপলারের সূত্র কয়টি – তিনটি ।
  72. •ইস্পাত ও রাবারের মধ্যে বেশী স্থিতিস্থাপক – ইস্পাত ।
  73. •বস্তুর কম্পনের মাধ্যমে উৎপন্ন হয় – শব্দ ।
  74. •পানির তরঙ্গ, আলোক তরঙ্গ, তাপ তরঙ্গ, বেতার তরঙ্গ ইত্যাদি হলো – অনুপ্রস্থ বা আড় তরঙ্গ ।
  75. •শব্দ তর তরঙ্গ  হলো – অনুদৈর্ঘ বা লাম্বিক তরঙ্গ ।
  76. •পানিতে ঢিল ছুড়লে চলমান যে তরঙ্গের সৃষ্ঠি হয় – অনুপ্রস্থ তরঙ্গ ।
  77. •টানা তারের সূত্র কয়টি – তিনটি ।
  78. •শব্দ সঞ্চালনের জন্য প্রয়োজন – জড় মাধ্যমের ।
  79. •শুন্য মাধ্যমে শব্দের বেগ – শুন্য ।
  80. •স্বাভাবিক অবস্থায় বাতাসে শব্দের দ্রুতি – ৩৩২ মি./সে. ।
  81. •স্বাভাবিক অবস্থায় পানিতে শব্দের দ্রুতি – ১৪৫০ মি./সে. ।
  82. •স্বাভাবিক অবস্থায় লোহায় শব্দের দ্রুতি – ৫২২১ মি./সে. ।
  83. •শব্দের বেগের উপর প্রভাব আছে – তাপ, আদ্রতা ও বায়ু প্রবাহ ।
  84. •শ্রাব্যতার সীমা – ২০-২০০০০ Hz ।
  85. •ইনফ্রাসোনিক বা শব্দোত্তর বা অশ্রুতি শব্দ – ২০ Hz
  86. •আল্ট্রাসোনিক বা শব্দোত্তর শব্দ – ২০০০০ Hz এর বেশী ।
  87. •প্রতিধ্বনি শোনার জন্য সময়ের প্রয়োজন – ০.১ সে. ।
  88. •প্রতিধ্বনি শোনার জন্য প্রতিফলক ও উৎসের মধ্যে নুন্যতম দূরত্ব – ১৬.৬ মিটার ।
  89. •কোন শব্দ মানুষের কর্ণকুহরে প্রবেশ করলে বধির হয় – ১০৫ ডেসিবেলের উপর সৃষ্ঠ শব্দ ।
  90. •বাদুর চলাচলের সময় কি প্রয়োগ করে – প্রতিধ্বনি ।
  91. •তাপ এক প্রকার – শক্তি ।
  92. •পানির স্বাভাবিক স্ফুটনাংক স্বাভাবিক চাপে -১০০০ সেলসিয়াস ।
  93. •প্রেসার কুকারের মূলনীতি – চাপে পানি বেশী তাপমাত্রায় ফুটে ।
  94. •ভূ-পৃষ্ঠ হতে যত উপরে উঠা যায় তত কমে – স্ফুটনাংক ।
  95. •বস্তুর তাপ শোষণ ক্ষমতা নির্ভর করে – রঙের উপর ।
  96. •শীতকালে রঙিন কাপড় আরামদায়ক ।
  97. •গরমকালে সাদা কাপড় আরামদায়ক ।
  98. •পেট্রোল ইঞ্জিন আবিস্কৃত হয় – ১৮৮৬ ইং সালে ।
  99. •ফ্রেয়নের রাসায়নিক নাম – ডাই-ক্লোরো ডাই ফ্লোরো মিথেন ।
  100. •ফারেনহাইট ও সেলসিয়াস স্কেলে সমান তাপমাত্রা নির্দেশ করে – (- ৪০০ ) তাপমাত্রায় ।
  101. •স্বাভাবিক অবস্থায় একজন মানুষের উপর প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে বায়ুর চাপ – ১৫ পাউন্ড ।
  102. •ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটারে দাগ কাটা থাকে – (৯০০ -১১০০) F ।
  103. •থার্মোমিটারে পারদ ব্যবহারের কারণ – অল্প তাপে আয়তন বৃদ্ধি পায় ।
  104. •আলো এক প্রকার – শক্তি ।
  105. •আলোক মাধ্যম – তিনটি , ১) স্বচ্ছ, ২) ঈষদ স্বচ্ছ ও ৩) অস্বচ্ছ ।
  106. •প্রতিফলনের সূত্র – দুইটি ।
  107. •প্রতিসরণের সূত্র  – দুইটি ।
  108. •পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের শর্ত – দুটি ।
  109. •সাদা আলো সাতটি বর্ণের সমাহার ।
  110. •লেন্স দুই প্রকার ১) অপসারী, ২) অভিসারী।
  111. •দৃষ্টির ত্রুটি মোট চারটি – ১) হ্রস্ব দৃষ্টি, ২) দীর্ঘ দৃষ্টি, ৩) বার্ধক্য দৃষ্টি ও ৪) বিষম দৃষ্টি বা নকুলা ।
  112. •তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি – লাল আলোর ।
  113. •তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কম – বেগুনী আলোর ।
  114. •বিক্ষেপণ কম – লাল আলোর ।
  115. •বস্তুর বর্ণ পদার্থের কোন ধর্ম নয়, এটি আলোকের একটি ধর্ম ।
  116. •নীল কাচের মধ্য দিয়ে হলুদ ফুল – কালো দেখায় ।
  117. •লাল আলোতে গাছের পাতা – কালো দেখায় ।
  118. •নীল কাচের মধ্য দিয়ে সাদা ফুল – নীল দেখায় ।
  119. •লাল ফুলকে সবুজ আলোয় – কালো দেখায় ।
  120. •সূর্য রশ্মি শরীরে পড়লে – ভিটামিন ডি তৈরী হয় ।
  121. •সবচেয়ে ছোট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বিকিরণ – গামা রশ্মি ।
  122. •সবচেয়ে বড় তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বিকিরণ – বেগুণী রশ্মি ।
  123. •শরীরের ত্বকে ভিটামিন তৈরীতে সাহায্য করে – পরিমিত অতিবেগুণী রশ্মি ।
  124. •আমাদের দর্শনাভূতির স্থায়িত্বকাল – ০.১ সেকেন্ড ।
  125. •যে সকল বস্তুর আকর্ষণ ও দিকনির্দশক ধর্ম আছে – চম্বুক পদার্থ ।
  126. •চৌম্বকের চুম্বকত্ব একটি – ভৌত ধর্ম ।
  127. •চৌম্বকের প্রকারভেদ – ১) প্রাকৃতিক চৌম্বক, ২) কৃত্রিম চৌম্বক ও ৩) তড়িৎ চৌম্বক ।
  128. •চৌম্বক পদার্থ – টিন, আয়রণ, কপার, কোবাল্ট, নিকেল ইত্যাদি ।
  129. •চৌম্বক পদার্থের প্রকারভেদ – ১) ডায়া চৌম্বক, ২) প্যারা চৌম্বক ও ৩) ফেরো চৌম্বক ।
  130. •মেরু অঞ্চলে চৌম্বকের আকর্ষণ – সবচেয়ে বেশী ।
  131. •পৃথিবীর চৌম্বক উত্তর মেরু আসলে – পৃথিবীর ভৌগলিক দক্ষিণ ।
  132. •তড়িৎ দুই প্রকার – ১) স্থির তড়িৎ ও ২) চল তড়িৎ ।
  133. •চল তড়িৎ দুই প্রকার – ১) এ. সি. তড়িৎ  ২) ডি. সি. তড়িৎ ।
  134. •আমদের দেশে তড়িৎ প্রবাহ সেকেন্ডে দিক পরিবর্তন করে – ৫০ বার ।
  135. •ডি. সি. প্রবাহ পাওয়া যায় – ব্যাটারি থেকে ।
  136. •রোধ পরিবাহীর চারটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে – ১)  উপাদান, ২) দৈর্ঘ্য, ৩)  প্রস্থচ্ছেদ ও ৪) তাপমাত্রা ।
  137. •মাধ্যম তিন প্রকার – ১) পরিবাহী, ২) অর্ধপরিবাহী, ৩) অন্তরক বা অপরিবাহী।
  138. •রাডার (Radar) হলো – Radio Detection and Ranging ।
  139. •অপটিক্যাল ফাইবারে ডাটা পাস এর কাজে ব্যবহৃত হয় – পূর্ণঅভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ।
  140. •ইলেকট্রনিক্স এর যাত্রা শুরু – ট্রানজিস্টরের আবিস্করের সময় ।
  141. •ক্যামেরার লেন্সের পেছনের পর্দায় আস্তরণ দেয়া হয় – সিজিয়াম দিয়ে ।


রাসায়নিক মৌলের ক্ষুদ্রতম অংশ যার স্বাধীন অস্তিত্ব নেই ( নিস্ক্রিয় গ্যাসের পরমাণু ব্যাতিত ) , কিন্তু রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সরাসরি অংশ গ্রহণ করতে পারে সেসব আণুবীক্ষণিক কণিকাদিকে পরমাণু (English:Atom) বলে ।

পরমাণু তত্ত্বের ইতিহাস

ভারতীয় দার্শনিক কণাদ খ্রীস্টের জন্মের ৬০০ বছর আগে পরমাণুর ধারণা দেন । তিনি বলেন সকল পদার্থই ক্ষুদ্র এবং অবিভাজ্য কণিকা দ্বারা তৈরী।পরমাণু তত্ত্ব গ্রিক দার্শনিকেরা পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ ব্যবহার করে নয়, বরং দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পদার্থের তত্ত্ব নির্মাণের চেষ্টা করেন। এ ধারার প্রথম দার্শনিক ছিলেন মিলেতুসের লেউকিপ্পুস (খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দী)। তাঁর বিখ্যাত শিষ্য আবদেরার দেমোক্রিতুস আনুমানিক ৪৩০ ক্রিস্টাব্দে সমস্ত পদার্থ যেসব অতিক্ষুদ্র অবিভাজ্য কণা দিয়ে গঠিত তাদের নাম দেন আতোমোস (গ্রিক: atomos), যার আক্ষরিক অর্থ “অবিভাজ্য”। দেমোক্রিতুস বিশ্বাস করতেন পরমাণুগুলি সুষম, শক্ত, অসংকোচনীয় ও এগুলি ধ্বংস করা যায় না। তিনি মনে করতেন পরমাণুর আকার, আকৃতি ও বিন্যাস পদার্থের ধর্ম নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন প্রবাহী পদার্থের পরমাণুগুলি মসৃণ তাই সহজেই একে অপরের ওপর দিয়ে গড়িয়ে যায়। কিন্তু কঠিন পদার্থের পরমাণুগুলি খাঁজকাটা ও অমসৃণ তাই এক অপরের সাথে আটকে থাকে। পরমাণু ছাড়া পদার্থের বাকী অংশ কেবলই শূন্যস্থান। দেমোক্রিতুসের দর্শনে পরমাণু শুধু পদার্থের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, মানুষের আত্মা ও ইন্দ্রিয়ের ধারণার সাথেও এটি জড়িত। যেমন তিনি মনে করতেন পদার্থের টক স্বাদ সূঁচালো পরমাণুর কারণে আর সাদা রঙ মসৃণ পরমাণুর কারণে সৃষ্টি হয়। মানুষের আত্মার পরমাণুগুলিকে মনে করা হত খুবই মিহি ধরনের। পরবর্তীতে সামোসের এপিকুরুস (৩৪১-২৭০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) দেমোক্রিতুসের দর্শন ব্যবহার করে প্রাচীন গ্রিকদের কুসংস্কার দূর করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন মহাবিশ্বের সবকিছুই পরমাণু ও শূন্যস্থান নিয়ে গঠিত, তাই গ্রিক দেবতারাও প্রাকৃতিক নিয়মের ঊর্ধ্বে নন। পরবর্তীতে প্লাতো ও আরিস্তোতল দেমোক্রিতুসের দর্শনের বিরোধিতা করেন। প্লাতো এটা মানতে চাননি যে সৌন্দর্য ও মহত্ব বস্তুবাদী পরমাণুর যান্ত্রিক প্রকাশ। আর আরিস্তোতল শূন্যস্থানের ধারণা প্রত্যাখ্যান করেন কেননা ভিন্ন ভিন্ন বস্তু একই বেগে শূন্যস্থান অতিক্রম করবে এটা তিনি কল্পনা করতে পারেননি। আরিস্তোতলের এই ধারণা মধ্যযুগীয় খ্রিস্টান ইউরোপে প্রভাব বিস্তার করে। রোমান ক্যাথোলিক পুরোহিতেরা দেমোক্রিতুসের দর্শনকে বস্তুবাদী ও নাস্তিক চিহ্নিত করে প্রত্যাখ্যান করেন।



পরমাণুর গঠন

আধুনিক রসায়ন এর ভিত্তি বলে পরিচিত ডাল্টনের পরমাণুবাদে পরমাণুকে অবিভাজ্য ধরা হয়েছে। কিন্তু এ তত্ত্ব এখন অচল। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে প্রমাণিত হয় যে, পরমাণুকে আর সূক্ষ কণায় বিভক্ত করা যায় । যেসব সূক্ষ কণিকা দ্বারা পরমাণু গঠিত, তাদেরকে মৌলিক কণিকা বলে । এরা হচ্ছে ইলেকট্রন , প্রোটন এবং নিউট্রন]] । এ তিনটি কণিকা বিভিন্ন সংখ্যায় একত্রিত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন পরমাণু গঠন করে । ধনাত্মক আধানযুক্ত প্রোটন এবং আধানহীন নিউট্রন একত্রিত হয়ে নিউক্লিয়াস গঠন করে আর এদেরকে ঘিরে ঋণাত্মক আধানের ইলেকট্রন ঘুরছে ।



ইলেকট্রন

পরমাণুর ক্ষুদ্রতম কণিকা ইলেকট্রন।১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে স্যার জে. জে. থমসন সর্বপ্রথম ইলেকট্রনের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। একটি ইলেকট্রনের আসল ভর অতি সামান্য 9.1085×10−28g। ইলেকট্রনের আধান -1.6×10−19কুলম্ব । ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের চারদিকে ঘুর্ণায়মান। ইলেকট্রনকে সাধারণত e প্রতীক দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে ।



প্রোটন

প্রোটন ধণাত্মক আধান বিশিষ্ট কণিকা যা নিউক্লিয়াসের মধ্যে থাকে। ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে বিজ্ঞানী আর্নেস্ট রাদারফোর্ড প্রোটনের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন।একটি পরমাণুতে ইলেকট্রনের সমান সংখ্যক প্রোটন থাকে। প্রোটনের ভর 1.673×10−24g যা পারমাণবিক ভর স্কেল অনুসারে 1.007276 amu (এখানে amu হল atomic mass unit)। একটি হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে একটি ইলেকট্রন সরিয়ে নিলেই প্রোটন পাওয়া যায় তাই একে H+বলা যেতে পারে। একে সাধারণত p দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে।



নিউট্রন

ইলেকট্রন ও প্রোটনের ন্যায় নিউট্রনও একটি মৌলিক কণিকা তবে এটি আধানবিহীন ।আধানবিহীন(neutral) হওয়ায় এর এই নাম দেয়া হয়েছে। নিউট্রন নিউক্লিয়াসের মধ্যে অবস্থান করে। ১৯৩২ সালে জেমস চ্যাডউইক নিউট্রন আবিস্কার করেন। এর আসল ভর 1.675×10−24g যা পারমাণববিক ভর স্কেল অনুসারে 1.008665 amu। এর ভর ইলেকট্রনের ভরের প্রায় 1839 গুণের সমান। একে সাধারণত n দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
১৮০৩ সালে ইংরেজ পদার্থ ও রসায়ন বিজ্ঞানী জন ডাল্টন পরমাণু সম্পর্কে একটি তত্ত্ব প্রকাশ করেন যা ডাল্টনের পরমাণুবাদ নামে পরিচিত। তাঁর প্রদত্ত পরমাণুবাদ পাঁচটি স্বীকার্যে বিভক্ত। এই স্বীকার্য পাঁচটি হলো–

1.পদার্থ অতি ক্ষুদ্র কণাসমূহ দ্বারা গঠিত, এই কণাগুলোর নাম পরমাণু।
2.একই পদার্থের পরমাণুসমূহের আকার, ভর এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য একই রকম হয়, ভিন্ন ভিন্ন পদার্থের পরমাণুসমূহের আকার, ভর এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ভিন্নরকমের হয়।
3.পরমাণুসমূহ বিভাজিত, সৃষ্টি বা ধ্বংস হতে পারে না।
4.সরল পূর্ণসংখ্যক অনুপাতে বিভিন্ন পদর্থের পরমাণু সংযুক্ত হয়ে রাসায়নিক যৌগের সৃষ্টি করে।
5.রাসায়নিক বিক্রয়াসমূহে পরমাণু সংযোজিত, বিভক্ত বা পুনর্বিন্যাসিত হয়।

১৮ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত ডাল্টনের স্বীকার্যসময়হকে বিজ্ঞানীরা মেনে নিয়েছিলেন। কারণ স্বীকার্যসমূহ অস্বীকার করার মতো যথেষ্ঠ তথ্য তাদের ছিল না। ১৮৯৭ সালে জে জে থমসন ইলেক্ট্রন আবিষ্কার করেন। এর ফলে ডাল্টনের তৃতীয় স্বীকার্যের অংশবিশেষ (পরমাণু বিভাজিত হতে পারে না) ভুল প্রমাণিত হয়।

থমসন পরমাণু মডেল

১৮৯৮ সাথে বিজ্ঞানী জে জে থমসন এই মডেল প্রস্তাব করেন। এই মডেল অনুসারে পুডিংয়ের ভিতর কিশমিশ যেমন বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকে পরমাণুতে ঠিক তেমনি নিরবচ্ছিন্নভাবে বন্টিত ধনাত্মক আধানের মধ্যে ইলেক্ট্রন ছড়িয়ে আছে।


রাদারফোর্ডের পরমাণুবাদ

১৯০৯ সালে বিজ্ঞানী আর্নেস্ট রাদারফোর্ড আলফা কণিকা বিক্ষেপণ পরীক্ষা সম্পাদন করেন। পরীক্ষালব্দ্ধ ফলাফল থেকে ১৯১১ সালে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, পরমাণুর কেন্দ্রে ধনাত্মক আধানযুক্ত অত্যন্ত ভারী একটি মূলবস্তু আছে। একে পরবর্তিতে নাম দেওয়া হয় নিউক্লিয়ার্স। পরমাণুর বাকি অংশ জুড়ে রয়েছে ইলেক্ট্রন আর ইলেক্ট্রনগুলো নিউক্লিয়ার্সকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।


রাদারফোর্ড প্রস্তাবিত পরমাণু মডেল


নীল্‌স বোরের পরমাণুবাদ

১৯১৩ সালে ডেনমার্কের পদার্থবিজ্ঞানী নীলস বোর তাঁর পরমাণু মডেলের জন্য দুটি প্রস্তাব রাখেন যা বোরের স্বীকার্য নামে পরিচিত।


•স্থায়ী অবস্থা স্বীকার্য (Postulates of Stationary States)
•কম্পাঙ্ক স্বীকার্য (Postulates of Frequency)


বোর প্রস্তাবিত পরমাণুর মডেল

পরমাণুতে ইলেকট্রন বিন্যাস

কোন পরমাণুর নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেক্ট্রন ঐ পরমাণুর বিভিন্ন শক্তিস্তরের অন্তর্ভুক্ত নির্দিষ্ট উপশক্তিস্তরের বিভিন্ন অরবিটালে নির্দিষ্ট নিয়মে সজ্জিত থাকে, ইলেক্ট্রনের এই সজ্জাকে পরমাণুর ইলেক্ট্রন বিন্যাস বলে। ইলেক্ট্রন বিন্যাস পলির বর্জন নীতি, আউফবাউ নীতি ও হুন্ডের নিয়ম দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়।


পলির বর্জন নীতি

একটি পরামাণুতে দুটি ইলেক্ট্রনের চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান কখনও একই হতে পারে না। অন্ততপক্ষে একটির মান দুটি ইলেক্ট্রনের বেলায় ভিন্ন হতে হয়।


আউফবাউ নীতি

পরমাণুতে ইলেক্ট্রনসমূহ বিভিন্ন শক্তিস্তর দখলের সময় প্রথমে সবচেয়ে কম শক্তিসম্পন্ন স্তরে অবস্থান গ্রহণ করবে, নিম্ন শক্তিস্তর পূর্ণ হওয়ার পর পরবর্তী অপেক্ষাকৃত উচ্চতর শক্তি সম্পন্ন স্তরে গমন করবে।


হুন্ডের সূত্র

একই শক্তি সম্পন্ন বিভিন্ন অরবিটালে ইলেক্ট্রনসমূহ এমনভাবে প্রবেশ করে যেন তারা সর্বাধিক পরিমাণে অযুগ্ম বা বিজোড় অবস্থায় থাকতে পারে, এ অযুগ্ম ইলেক্ট্রনসমূহের স্পিন বা ঘূর্ণন একইমুখী হবে। এখানে একই শক্তি সম্পন্ন বিভিন্ন অরবিটাল বলতে ৩টি p অরবিটাল, ৫টি d অরবিটাল ও ৭টি f অরবিটালকে বোঝানো হয়েছে। উল্লেখ্য যে s অর্বিটালের জন্য হুন্ডের সূত্র প্রজোয্য নয়।
সোডিয়াম সম্পকে কিছু তথ্য : সকল যৌগেই সোডিয়াম আয়নিক আয়নিক বন্ধন তৈরি করে। এজন্য এর বেশিরভাগ যৌগই পানিসহ অন্যান্য পোলার দ্রাবকে দ্রবণীয়। সোডিয়ামের বহু যৌগ আমাদের দৈনন্দিন জীবন ও শিল্প কারখানায় লাগে। যেমন- আমরা যে খাবার লবণ খাই সেটার রাসায়নিক নাম হচ্ছে সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl); আবার যে কাচ আমরা ব্যবহার করি সেটারও মূল উপাদান সোডিয়াম। সাবানের মাঝেও সোডিয়াম আছে। কাপড় কাঁচার সোডা এবং খাবার সোডা, দুটোই সোডিয়ামের যৌগ।

সোডিয়াম ক্লোরাইডসম্পাদনা

এর রাসায়নিক সংকেত NaCl । সোডিয়ামের সাথে ক্লোরিনের বিক্রিয়ায় এটি তৈরি হয়। বিশুদ্ধ NaCl স্বচ্ছ দানাদার পদার্থ। এটি পানিগ্রাসী নয়। অর্থাৎ এটা পরিবেশ থেকে পান শুষে নেয় না। তবে সাধারণ খাবার লবণে ক্যালসিয়াম ক্লোরাইডের মিশ্রণ থাকে বলে তার রং সাদা এবং এটা পানিগ্রাসী। একারণেই বর্ষাকালে খাবার লবণ খোলা অবস্থায় রাখলে ভিজে যায়।

সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH)সম্পাদনা

সোডিয়ামের সাথে পানির বিক্রিয়ায় এই যৌগ তৈরি হয়। এটি একটি তীব্র ক্ষার। এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে এটি লবণ ও পানি তৈরি করে।
খনিজ ও আকরিক  [Mineral and Ore]:-

সোনা, রুপো, তামা, মার্কারি, প্লাটিনাম প্রভৃতি কয়েকটি ধাতু প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়  । এই ধাতুগুলি ছাড়া অন্যান্য ধাতুগুলিকে কখনও প্রকৃতির মধ্যে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না । ওইগুলিকে যৌগরূপে ভূপৃষ্ঠে বালি, মাটি ইত্যাদির সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় প্রকৃতির মধ্যে পাওয়া যায় । মিশ্রিত বালি, মাটি ইত্যাদি অশুদ্ধি বা অপদ্রব্যকে খনিজমল [Gangue] বলে ।

☼ খনিজ [Mineral]:- প্রকৃতির মধ্যে বিভিন্ন ধাতব যৌগকে পাথরের মতো কঠিন অবস্থায় কখনও ভূগর্ভের নিচে বা ভূপৃষ্ঠে, বালি, মাটি এবং কাদার সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় পাওয়া যায় । প্রকৃতিজাত এইসব অজৈব পদার্থগুলিকে খনিজ পদার্থ বলে । যেমন: রেড হেমাটাইট [Fe2O3] হল লোহার একটি খনিজ ।

☼ আকরিক [Ores]:- যেসব খনিজ থেকে সহজে ও সুলভে প্রয়োজনীয় ধাতু নিষ্কাশন করা যায়, তাদের ওই ধাতুর আকরিক বলে । কোনো ধাতুর সব খনিজই খরচ ও সহজ লভ্যতার প্রেক্ষিতে ধাতু নিষ্কাশনের উপযুক্ত নাও হতে পারে । যে কারণে বলা হয়—  কোনো ধাতুর আকরিকগুলি এর খনিজ, কিন্তু যেকোনো খনিজই এর আকরিক নাও হতে পারে । যেমন: রেড হেমাটাইট [Fe2O3] থেকে সহজে ও কম ব্যয়ে লোহার নিষ্কাশন করা যায় । তাই রেড হেমাটাইট লোহার আকরিক বলে । কিন্তু আয়রন পাইরাইটিস [FeS2] থেকে সহজে ও কম ব্যয়ে লোহা নিষ্কাশন সম্ভব হয় না । তাই আয়রন পাইরাইটিস লোহার খনিজ হলেও একে আকরিক বলা যায় না ।

◘ আকরিক থেকে বিভিন্ন সহজ এবং সুলভ প্রক্রিয়ার সাহায্যে ধাতু-নিষ্কাশন করার পদ্ধতিকে বলা হয় ধাতু বিদ্যা [Metallurgy] ।

 
'HF একটি পোলার যৌগ,ব্যাখ্যা কর'। এমন প্রশ্নের সহজেই ব্যাখ্যা দেয়া যায়।কোনো সমযোজী যৌগ
অপোলার,পোলার নাকি আয়নিক প্রকৃতির হবে,তা যৌগে বিদ্যমান মৌলের তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য দিয়ে বোঝা যায়।তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য <0.5 হলে ঐ যৌগ অপোলার বা বিশুদ্ধ সমযোজী,0.5-1.7 হলে পোলার বা কিছুটা আয়নিক প্রকৃতির সমযোজী আর >1.7 হলে যথেষ্ট আয়নিক
বৈশিষ্টপূর্ণ সমযোজী যৌগ।যেহেতু হাইড্রোজেন এর তড়িৎ ঋণাত্মকতা 2.1 এবং ফ্লোরিনের 4.0,তাই HF যৌগে তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য 1.9। অতএব এটি একটি পোলার যৌগ। এমন প্রশ্ন ভর্তি পরীক্ষার mcq তে আসে।কিছু মৌলের তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান মনে রাখলেই তোমরা এমন যেকোনো প্রশ্ন পারবে।
F=4.0
O=3.5
Cl=3.0
N=3.0
Br=2.8
I=2.5
C=2.5
H=2.1
তাহলে এবার নিচের mcq এর উত্তর নিজেরাই বের কর।
1.নিচের কোনটি অপোলার সমযোজী যৌগ?
ক.CO2 খ.HCl গ.NO2 ঘ.HI

Created By
Rabbane Sujon
Msc in Chemistry 
পানির IUPAC নাম বা রাসায়নিক নাম অনেকেরই অজানা।
পানির IUPAC নাম হল "Oxidane" (অক্সিডেন)
পানির আরো কয়েকটি রাসায়নিক নামঃ
১) হাইড্রোজেন অক্সাইড
২) হাইড্রোজেন হাইড্রোক্সাইড (HH or HOH)
৩) হাইড্রিক এসিড
৪) হাইড্রোহাইড্রোক্সিক এসিড
৫) হাইড্রোক্সিক এসিড
৬) μ-অক্সিডো ডাইহাইড্রোজেন
৭) ডাইহাইড্রোজেন মনোঅক্সাইড (DHMO)
৮) হাইড্রোজেন মনোঅক্সাইড
৯) ডাইহাইড্রোজেন অক্সাইড