জৈব রসায়ন [Organic Chemistry]:-
বহু বছর আগে পৃথিবীতে এককোশী জীবের আবির্ভাব ঘটেছিল । ক্রমে নানা উদ্ভিদ, অন্যান্য প্রাণী এবং মানুষ এলো পৃথিবীতে । মানুষ সুদূর অতীত থেকেই চাল, গম, ময়দা, দুধ, মাখন, মদ ইত্যাদি খাদ্যবস্তু দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করতে শুরু করে । এইসব পদার্থগুলির উত্স উদ্ভিদ বা প্রাণী এবং এগুলি সবই জৈব পদার্থ । তাই সাধারণভাবে এই ধারণাই সৃষ্টি হয়েছিল যে, জৈব যৌগ শুধু উদ্ভিদ বা প্রাণী জগৎ থেকেই পাওয়া সম্ভব । বিজ্ঞানী ল্যাভয়সিয়েঁঅনেকগুলি জৈব যৌগের বিশ্লেষণ করে দেখান যে, সব জৈব যৌগের মধ্যে কার্বন আছে । 1815 খ্রিস্টাব্দে বার্জেলিয়াস প্রাণ শক্তি তত্ত্বের [vital force theory] দ্বারা জৈব এবং অজৈব যৌগগুলি পার্থক্য করেন এবং তিনি বলেন জৈব যৌগগুলির উত্পন্নের জন্য উদ্ভিদ কিংবা প্রাণীদেহে উপস্থিত প্রাণশক্তির প্রয়োজন । তাঁর মতে, এই শক্তি মানুষের করায়ত্ত নয়, তাই পরীক্ষাগারে অজৈব যৌগ থেকে জৈব যৌগগুলি প্রস্তুত করা সম্ভব নয় । তারপর এই প্রচলিত ধারণা ভেঙ্গে দিয়ে 1828 খ্রিস্টাব্দে জার্মান বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক ভোলার [Fredrich Whohler] সর্বপ্রথম অজৈব যৌগ অ্যামোনিয়াম সায়ানেট (ammonium cyanate) [NH4CNO] -কে উত্তপ্ত করে জৈব যৌগ ইউরিয়া (Urea) [CO(NH2)2] প্রস্তুত করে দেখান যে, পরীক্ষাগারে জৈব যৌগ তৈরি করা যায় । ইউরিয়া একটি জৈব পদার্থ, যা স্তন্যপায়ী প্রাণীর মুত্রের মধ্যে পাওয়া যায় । এই আবিষ্কারটি জৈব রসায়নে নবযুগের সূচনা করে ।
NH4CNO [অ্যামোনিয়াম সায়ানেট] → CO(NH2)2 [ইউরিয়া]
তাই বলা যেতে পারে যে, বিজ্ঞানী ভোলারই আধুনিক জৈব রসায়নের জনক । এরপর 1845 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী কোলবে, অ্যাসেটিক অ্যাসিড নামে কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন দ্বারা গঠিত একটি জৈব যৌগ প্রস্তুত করেন । 1856 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী বার্থ্লো কার্বন ও হাইড্রোজেন ঘটিত জৈব যৌগ মিথেন প্রস্তুত করেন । এভাবেই জীবকোশের প্রাণশক্তি ছাড়াই জৈব যৌগ যে প্রস্তুত করা যায় তা প্রমাণিত হল । ফলে জীবনী শক্তি মতবাদটি বাতিল হয়ে যায় । প্রত্যেক জৈব যৌগে কার্বন আছে, কিন্তু সব কার্বন যৌগকেই জৈব যৌগের অন্তর্ভুক্ত করা যায় না ।
বহু বছর আগে পৃথিবীতে এককোশী জীবের আবির্ভাব ঘটেছিল । ক্রমে নানা উদ্ভিদ, অন্যান্য প্রাণী এবং মানুষ এলো পৃথিবীতে । মানুষ সুদূর অতীত থেকেই চাল, গম, ময়দা, দুধ, মাখন, মদ ইত্যাদি খাদ্যবস্তু দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করতে শুরু করে । এইসব পদার্থগুলির উত্স উদ্ভিদ বা প্রাণী এবং এগুলি সবই জৈব পদার্থ । তাই সাধারণভাবে এই ধারণাই সৃষ্টি হয়েছিল যে, জৈব যৌগ শুধু উদ্ভিদ বা প্রাণী জগৎ থেকেই পাওয়া সম্ভব । বিজ্ঞানী ল্যাভয়সিয়েঁঅনেকগুলি জৈব যৌগের বিশ্লেষণ করে দেখান যে, সব জৈব যৌগের মধ্যে কার্বন আছে । 1815 খ্রিস্টাব্দে বার্জেলিয়াস প্রাণ শক্তি তত্ত্বের [vital force theory] দ্বারা জৈব এবং অজৈব যৌগগুলি পার্থক্য করেন এবং তিনি বলেন জৈব যৌগগুলির উত্পন্নের জন্য উদ্ভিদ কিংবা প্রাণীদেহে উপস্থিত প্রাণশক্তির প্রয়োজন । তাঁর মতে, এই শক্তি মানুষের করায়ত্ত নয়, তাই পরীক্ষাগারে অজৈব যৌগ থেকে জৈব যৌগগুলি প্রস্তুত করা সম্ভব নয় । তারপর এই প্রচলিত ধারণা ভেঙ্গে দিয়ে 1828 খ্রিস্টাব্দে জার্মান বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক ভোলার [Fredrich Whohler] সর্বপ্রথম অজৈব যৌগ অ্যামোনিয়াম সায়ানেট (ammonium cyanate) [NH4CNO] -কে উত্তপ্ত করে জৈব যৌগ ইউরিয়া (Urea) [CO(NH2)2] প্রস্তুত করে দেখান যে, পরীক্ষাগারে জৈব যৌগ তৈরি করা যায় । ইউরিয়া একটি জৈব পদার্থ, যা স্তন্যপায়ী প্রাণীর মুত্রের মধ্যে পাওয়া যায় । এই আবিষ্কারটি জৈব রসায়নে নবযুগের সূচনা করে ।
NH4CNO [অ্যামোনিয়াম সায়ানেট] → CO(NH2)2 [ইউরিয়া]
তাই বলা যেতে পারে যে, বিজ্ঞানী ভোলারই আধুনিক জৈব রসায়নের জনক । এরপর 1845 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী কোলবে, অ্যাসেটিক অ্যাসিড নামে কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন দ্বারা গঠিত একটি জৈব যৌগ প্রস্তুত করেন । 1856 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী বার্থ্লো কার্বন ও হাইড্রোজেন ঘটিত জৈব যৌগ মিথেন প্রস্তুত করেন । এভাবেই জীবকোশের প্রাণশক্তি ছাড়াই জৈব যৌগ যে প্রস্তুত করা যায় তা প্রমাণিত হল । ফলে জীবনী শক্তি মতবাদটি বাতিল হয়ে যায় । প্রত্যেক জৈব যৌগে কার্বন আছে, কিন্তু সব কার্বন যৌগকেই জৈব যৌগের অন্তর্ভুক্ত করা যায় না ।
0 comments:
Post a Comment