Recent Post
Loading...


 

HCN

HCN (Hydrogen cyanide) এটি একটি অজৈব যৌগ বা অজৈব এসিড।

কেননা, জৈব যৌগে মূলকের সাথে অবশ্যই হাইড্রোজেন ও কার্বন উভয়কেই যুক্ত হতে হয়। কেননা, জৈব যৌগ হাইড্রোজেন ও কার্বন দ্বারা গঠিত হয়।

এখানে, CNএকটি সায়ানোমূলক যা জৈব যৌগেরই কার্যকরী মূলক। কিন্তু তবুও HCN অজৈব যৌগ কেননা, CNসায়ানো মূলকের সাথে যুক্ত যৌগকে জৈব যৌগ হতে হলে অবশ্যই অ্যালকাইলমূলক তথা CnH2n+1তথা Rযুক্ত হতে হবে, যা একটি হাইড্রোকার্বন। অর্থাৎ সায়ানোমূলককে জৈব যৌগ হতে কার্যকরী মূলকের সংকেত হতে হবে RCN তথা CnH2n+1CN

যেহেতু, HCN উক্ত শর্ত পূরণ করে না তাই এটি একটি অজৈব যৌগ।

Note:

জৈব যৌগ বলতে, হাইড্রোজেন ও কার্বন দ্বারা গঠিত হাইড্রোকার্বন এবং হাইড্রোকার্বন থেকে উদ্ভূত যৌগ সমূহকে বোঝায়।

অপরদিকে, অজৈব যৌগ সাধারণত একটি রাসায়নিক যৌগ যাতে কার্বন-হাইড্রোজেন বন্ধন থাকে না অর্থাৎ এটি একটি যৌগ যা জৈব নয়।

অ্যালকেন (CnH2n+2) থেকে একটি H অপসারণ করলে যে একযোজী মূলকের সৃষ্টি হয় তাকে অ্যালকাইলমূলক বলে। এর কার্যকরী মূলকের সংকেত CnH2n+1

এবং একে R দ্বারা প্রকাশ করা হয়।



 ১. পঁচা ডিম খুঁজে বের করাঃ

প্রতিদিন আমাদের খাবারের তালিকায় ডিম বা ডিম দিয়ে তৈরি খাবার না থাকলে চলে না। প্রতিদিন যে ডিম কিনি তার সবগুলো ডিম ভালো নাও হতে পারে। কোনটা ভালো আর কোনটা পঁচা ডিম, আমরা কিভাবে বুঝবো?
যা যা লাগবে: কয়েকটি ডিম l পানি l একটি বড় বালতি।
যেভাবে করবে: প্রথমে বালতির অর্ধেক পানিতে পূর্ণ করি। এরপর ডিমগুলোকে আস্তে করে সেই পানিতে ছেড়ে দেই। কী, কোন ডিম ভাসছে?

যা ঘটল: হুম্‌, যদি ডিম পানিতে ডুবে না গিয়ে ভেসে থাকে। তখন সহজেই বুঝবো ডিমটি পঁচা। পঁচা ডিম পানিতে ভাসে। কিন্তু ভালো ডিম পানিতে ভাসে না। তলিয়ে যায়। কিন্তু কেন? আসলে ভালো ডিমের ভেতরে কোনও গ্যাস থাকে না। কিন্তু পঁচা ডিমের ভেতর হাইড্রেজেন সালফাইড গ্যাস থাকে। ভালো ডিমের গড় ঘনত্ব পানির ঘনত্বের চেয়ে বেশি। তাই ভালো ডিম পানিতে ছেড়ে দিলে সে যতটুকু পানি অপসারণ করে তার ভর ডিমের ভরের চেয়ে কম। সুতরাং ভালো ডিম পানিতে ডুবে যায়।

২. লবনের আয়োডিন পরীক্ষাঃ

বাজার থেকে আনা লবনে আয়োডিন আছে কিনা কি ভাবে জানবো? তাও বাসায় বসে।

যা যা লাগবে: এক চা চামচ পরিমান আয়োডিনযুক্ত লবন l কাটা লেবু l ভাতের মাড় l একটি প্লেট।
যেভাবে করবে: প্রথমে প্লেটে এক চা চামচ পরিমান আয়োডিনযুক্ত লবন ঢালবো। এবার লবনটুকুতে ভাতের মাড় ৫-৬ ফোঁটার মত নিব, যাতে লবনটুকু ভিজবে কিন্তু গলবে না। এরপর এ লবনে ৩-৪ ফোঁটা লেবুর রস ফেলবো। কী, পরিবর্তন চোখে পড়ে?

যা ঘটল: যদি লবনে আয়োডিন থাকে তবে লবনটিতে নীল-কালো রং চোখে পড়বে। কারন, স্টার্চ (ভাতের মাড়) এর উপস্থিতিতে আয়োডিন এই নীল-কালো রং সৃষ্টি করে।

৩. পানিতে ডিম ভাসানোঃ

একটা ডিমকে পানিতে ছেড়ে দিলে কী হবে বলো তো? অবশ্যই ডুবে যাবে পানিতে। যদি বলি একটা ডিমকে পানিতে ভাসিয়ে রাখতে, পারবে?
যা যা লাগবে: একটি ডিম l পানি l লবণ l একটি বড় গ্লাস
যেভাবে করবে: প্রথমে গ্লাসের অর্ধেক পানিতে পূর্ণ করো। এর মধ্যে ছয়-সাত চামচ লবণ মেশাও। লবণ পানিতে পুরোপুরি মিশে না যাওয়া পর্যন্ত চামচ দিয়ে নাড়তে থাকো। এরপর ডিমটিকে আস্তে করে সেই পানিতে ছেড়ে দাও। কী, ভাসছে তো?
যা ঘটল: হুম্‌, ডিম পানিতে ডুবে না গিয়ে ভেসে আছে। আসলে পানিতে লবণ মেশানোর ফলে পানির ঘনত্ব বেড়ে যায়। এভাবেই বেশি ঘনত্বের পানি সহজে কোনো বস্তুকে ভাসিয়ে রাখতে পারে।

৪. না বেঁধে সুতা দিয়ে বরফ তোলোঃ

এক টুকরা বরফ একটি গ্লাসের পানিতে ছেড়ে দিলাম। কোনো চামচ বা কাঠি ছাড়াই সুতা দিয়ে তোমাকে বরফের টুকরা গ্লাস থেকে তুলে ফেলতে হবে। সুতা দিয়ে বরফের টুকরাকে বাঁধতে পারবে না কিন্তু। তাহলে তুলবে কীভাবে?
যা যা লাগবে: বরফের টুকরা l একটি গ্লাস l পানি l লবণ l সুতা
যেভাবে করবে: প্রথমে লম্বা এক টুকরা সুতা কেটে নাও। একটি গ্লাসের পুরোটা পানি দিয়ে পূর্ণ করে বরফের টুকরা ছেড়ে দাও। বরফ পানিতে ভেসে থাকবে। এবার বরফের ওপর সুতার একটি প্রান্ত আড়াআড়ি করে রেখে দিয়ে সুতা ও বরফের টুকরার ওপর অল্প একটু লবণ দিয়ে ঢেকে দাও। এক মিনিটে অপেক্ষা করে সুতার অপর প্রান্ত ধরে টান দাও। মজা দেখতে পাচ্ছ?

যা ঘটল: বরফ সুতার মাথায় ঝুলছে। লবণ ছিটিয়ে দেওয়ার ফলে বরফের হিমাঙ্ক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কিছুটা কমে আসে এবং তা গলতে শুরু করে। ফলে সুতাটি বরফের ভেতরে ঢুকতে শুরু করে। যখন লবণের ক্রিয়া শেষ হয়ে যায়, তখন আবার হিমাঙ্ক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চলে আসে এবং সুতার চারপাশের বরফ আবার জমতে শুরু করে। জমাট বেঁধে যাওয়ায় সুতাকে ওপরে তুললে বরফও সুতার সঙ্গে উঠে আসে।

৫. চার্জের ধর্ম জানাঃ

কীভাবে আধানের/চার্জের উৎপত্তি হয়। এবার আমরা দেখবো এই আধানগুলো (ধনাত্বক ও ঋণাত্বক) কিরূপ ধর্ম প্রদর্শন করে। এরজন্য আমরা নিচের কাজগুলো করবো।
যা যা লাগবে: দুটি চিরুনি। পশমী কাপড়।

যেভাবে করবে: একটি ছোট প্লাষ্টিকের চিরুনিকে সূতা দিয়ে বেধে একটি শুকনো কাঠির মাথায় ঝুলিয়ে দেই। এটি এমনভাবে ঝুলতে হবে যাতে আশেপাশে কোন কিছু স্পর্শ না করে। এবার আরেকটি শুকনো কাঠির মাথায় অন্য একটি প্লাষ্টিকের চিরুনি ঝুলাও যাতে এটা মুক্তভাবে ঝুলতে থাকে। এবার উভয় চিরুনিকে কিছুক্ষণ পশমী কাপড় দিয়ে ঘষ। এখন চিরুনি দুটিকে কাছাকাছি আন। কি লক্ষ্য করছ?

যা ঘটল: চিরুনি দুটি পরস্পরকে বিকর্ষণ করছে। এবার পশমী কাপড়টি চিরুনির কাছে এনে দেখ এটি চিরুনির কাছে চলে আসবে।

৬. চার্জের ধর্ম প্রদর্শনঃ

এবার আমরা দেখবো স্থির বিদ্যুতের পরীক্ষায় এই আধানগুলো (ধনাত্বক ও ঋণাত্বক) কিরূপ ধর্ম প্রদর্শন করে। এরজন্য আমরা নিচের কাজগুলো করবো।
যা যা লাগবে: দুটি বেলুন। সুতা। উলের কাপড় অথবা গায়ের সোয়েটার। কাগজের টুকরা

যেভাবে করবে: দুটি বেলুনকে ফুলিয়ে সুতো দিয়ে ভালভাবে বেধে নাও। এবার একটি বেলুনকে উলের কাপড় বা গায়ের সোয়েটার দিয়ে ঘর্ষে কাগজের টুকরারকাছে ধরলে দেখা যাবে বেলুন কাগজের টুকরোগুলো কাছে টেনে নিচ্ছে। পুনরায় দ্বিতীয় বেলুনটিকে উলের কাপড়বা গায়ের সোয়েটারর সাথে চেপে ধরলে দেখা যাবে বেলুনটি কাপড়ের গায়ে লেগে আছে। এর কারণ কী?

যা ঘটল: কারণ ঘর্ষর্ণের ফলে উলের কাপড় ও বেলুনে বিপরীত ধর্মী আধানের সৃষ্টি হয়েছে। এবার যখন দ্বিতীয় বেলুনকে প্রথম বেলুনের কাছেনেওয়া হবে তখন কি দেখবে? দেখবে যে দুটি বেলুন পরস্পর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। কারণ ঘর্ষণের ফলে দুটি বেলুনেই একই ধরণের আধানের সৃষ্টি হয়েছে।

৭. ডিমের খোসা অদৃশ্য করে আবার ফিরিয়ে আনাঃ

সবার বাসায় ডিম ও ভিনেগার থাকে। ডিমের খোসা অদৃশ্য করা আবার ফিরিয়ে আনা বিজ্ঞানের একটি মজার খেলা। এটি দেখিয়ে আমরা ছোটদের অবাক করে দিতে পারি।

যা যা লাগবে: একটি সিদ্ধ ডিম। ভিনেগার। একটি বড় গ্লাস।

যেভাবে করবে: ডিমটি হাতে নেই। কী অনুভব করছি? খোসাটা বা খোলসটা শক্ত অনুভূত হবে। এবার গ্লাসের উপরদিক কিছু খালি রেখে বাকি অংশে ভিনেগার পূর্ণ করি। এরপর ডিমটি ভিনেগার পূর্ণ গ্লাসে ছেড়ে দেই। দেখবো ডিমটি তলিয়ে গেছে। কতক্ষণ অপেক্ষা করলেই দেখতে পাব পানিতে বুদ বুদ দেখা যাচ্ছে। একদিন ডিমটি এভাবে গ্লাসে রেখে দেব। পরদিন ডিমটি হাতে নেই। কী অনুভব করছি? সবাই দেখি। এখন আবার ডিমটি খোলা জায়গায় একদিন রেখে দেই। পরদিন হাতে নেই। কী অনুভব করছি?

যা ঘটল: ডিমের খোসায় ক্যালসিয়াম কার্বনেট থাকে। ফলে আমরা ডিমটি শক্ত অনুভূব করেছিলাম। ভিনেগারের মধ্যে ডিমটি রেখে দিয়ে আমরা বুদ বুদ দেখেছিলাম। তা হচ্ছে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস। এ গ্যাস পানি অপেক্ষা হালকা বলে বুদ বুদ আকারে বের হচ্ছিল। একদিন ভিনেগারে ডিমটি রাখার পর পাত্র থেকে ডিম বের করে এনে কী অনুভব করেছিলাম? ডিমটার খোসা নেই। কারন খোসা ক্যালসিয়াম কার্বনেটের তৈরি আর ভিনেগার হল অ্যাসিটিক এসিড। অ্যাসিটিক এসিড, ক্যালসিয়াম কার্বনেটের সাথে বিক্রিয়া করে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন করে উড়ে যায়। ক্যালসিয়াম কার্বনেট না থাকার ফলে খোসাটা নরম অনুভূত হয়েছিল। আবার একদিন যে খোলা জায়গায় ডিমটি রেখেছিলাম। পরদিন কী অনুভব করেছিলাম? শক্ত। কারণ কী? কারন ডিমটি বাতাস থেকে পুনরায় কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস শুষে নিয়ে ক্যালসিয়াম কার্বনেট তৈরি করে ফেলেছে। তাই ডিমটি শক্ত অনুভূত হয়েছিল।



BN/বোরন নাইট্রাইড ইলেকট্রন শেয়ারিং এর মাধ্যমে গঠিত হয় অর্থাৎ BN একটি সমযোজী যৌগ। বোরন ও নাইট্রোজেনের তড়িৎঋণাত্মকতা প্রায় সমান। এজন্য BN যৌগটি একটি অপোলার সমযোজী যৌগ। অপর দিকে, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন ইলেকট্রন শেয়ারিংএর মাধ্যমে পানির অণু গঠন করে। কিন্ত হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের তড়িৎঋণাত্মকতার পার্থক্যের কারণে ইহা পোলার । সাধারণত পোলার যৌগ পোলার দ্রাবকে এবং অপোলার যৌগ অপোলার দ্রাবকে দ্রবীভূত হয়। বোরন নাইট্রাইড অপোলার এবং পানি পোলার, তাই বোরন নাইট্রাইড পানিতে দ্রবণীয় হবে না।



উপক্ষার (ইংরেজি: Alkaloids) প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত এক শ্রেণীর জৈব যৌগ যেগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষারীয় নাইট্রোজেন অণু ধারণ করে থাকে বিষম চক্রের অংশ হিসেবে এবং শারীরিক প্রতিক্রিয়া তৈরিতে সক্ষম। উদ্ভিদের পক্ষে এদের প্রয়োজনীয়তা কতখানি তা সঠিক জানা নেই, কিন্তু কিছু উপক্ষার মানুষের চিকিৎসায় বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।



সূর্য হলো একটি বিশাল গ্যাস পিণ্ড। মূল উপাদান হাইড্রোজেন গ্যাস, প্রায় ৭৩ শতাংশ। ২৫ ভাগ হিলিয়াম এবং বাকি ২ শতাংশ হলো অক্সিজেন, নিয়ন সহ আরো কিছু গ্যাস। সূর্যের এই বিপুল পরিমাণ হাইড্রোজেন থেকে হিলিয়াম তৈরির মধ্যে দিয়েই সূর্যের জ্বলন প্রক্রিয়া চলে। একে বৈজ্ঞানিক শব্দে বলা যায় নিউক্লিয় বিক্রিয়া। সূর্য প্রবল বেগে সৌরজগত নিয়ে মহাশূন্যে ঘুরছে। ফলে সূর্যে থাকা গ্যাস কণিকাগুলোর প্রবল ঘর্ষণের ফলে ফিউশন বিক্রিয়ার মাধ্যমে হাইড্রোজেন গ্যাস কণিকা হিলিয়াম গ্যাস কণিকাতে পরিণত হচ্ছে। অনুপাত হলো ৪ঃ১।

তবে এই প্রক্রিয়ায় কিছু পরিমান বস্তু খোয়া যায়। যেমন, ১০০০ গ্রাম হাইড্রোজেন কণা থেকে ৯৯২ গ্রাম হিলিয়াম তৈরি হয়। এই ব্যয়িত শক্তিই হচ্ছে আলো।



+২

মনে করি X = oxidation number of Fe in [Fe(CN)6​]4−.
The oxidation number of (SO) group is -1.
So, X+6(−1)=−4
Or, X−6=−4
Or, X=6−4

X=+2

The oxidation number of Fe in [Fe(CN)6​]4− is +2 



15% NaOH দ্রবন মানে হলো, 1000ml পানিতে 150g NaOH দ্রবীভূত।

NaOH এর আনবিক ভর = 23+16+1= 40।

150 g NaOH = 150/40= 3.75 mole NaOH.

ঘনমাত্রা(মোলারিটি) মানে আমরা বুঝি, 1L পানিতে কত মোল দ্রব দ্রবীভূত আছে৷

এখানে NaOH দ্রবীভূত আছে 3.75 mole.

সুতরাং এর ঘনমাত্রা 3.75 M.

[বিঃদ্রঃ ঘনমাত্রা প্রকাশের অনেকগুলো একক আছে যেমন, মোলারিটি, মোলালিটি, নরমালিটি ইত্যাদি। মোলারিটি একক সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় বলে এই এককে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি ]



তরল নাইট্রোজেনের রাসায়নিক নিষ্ক্রিয়তা সরাসরি জৈবিক টিস্যুর সংস্পর্শে যেতে পারে, অবিলম্বে জীবাণু কার্যকলাপকে ধ্বংস না করে হজম হতে পারে, তাই এটি ব্যবহার করা হয়।

দ্রুত হিমায়িত এবং খাদ্য পরিবহন, বা বরফ পণ্য উৎপাদন;

তরল নাইট্রোজেনের নরম বস্তুগুলি ভঙ্গুর হবে যেমন কক্ষ তাপীয় তাপমাত্রায়।

উচ্চ তাপমাত্রা সুপারকন্ডাক্টরগুলিকে সুপারকোডাকটিভিটির জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা দেখায়, যেমন ইথ্রিয়াম ব্যারিয়াম তামার অক্সাইড।

টিস্যু ক্ষতি প্রতিরোধ করার জন্য, দ্রুত জৈব টিস্যু স্থির করতে, refrigerant হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

উপরোক্ত কাজগুলোতে হিমায়ক হিসেবে তরল নাইট্রোজেন ব্যবহার করলে, তা দ্রুত কার্যকর এবং কম ব্যায়সাপেক্ষ। তাই ব্যবহৃত হয়।



HCl থেকে H2SO4 কম শক্তিশালী, কেনো???

কারন, একটা এসিডের শক্তিমত্তা যাচাই করি আমরা তার হাইড্রোজেন আয়ন রিলিজ করার প্রবনতার উপর ( আরহেসিয়াস মতবাদ)।

যে যত সহজে হাইড্রোজেন আয়ন ত্যাগ করে সে ততো শক্তিশালী।

এখানে ক্লোরিনের তড়িৎ ঋনাত্বকতা সালফার ( H2SO4 এর কেন্দ্রীয় পরমাণু) থেকে অনেক বেশি। ক্লোরিন ইলেকট্রনের জন্য বেশি মারামারি করে হাইড্রোজেনের সাথে, কার তুলনায়??? সালফারের তুলনায়।

যেহেতু মারামারি বেশি তাই হাইড্রোজেন আয়ন রিলিজের প্রবনতাও বেশি। তাই,

HCl, H2SO4 থেকে বেশি শক্তিশালী।

এখন,

এসিডের সংস্পর্শে এসে যেমন, পানি ক্ষারের ন্যায় আচরণ করে তেমনি তুলনামূলক শক্তিশালী এসিডের সংস্পর্শে এসে সালফিউরিক এসিডও ক্ষারের ন্যায় আচরণ করে।

এক্ষেত্রে সালফিউরিক এসিড একটি হাইড্রোক্সিল আয়ন (OH-) এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিড একটি হাইড্রোজেন আয়ন বা প্রোটন [H]+ রিলিজ করে।

এরা পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে পানি উৎপন্ন করে।

অবশিষ্টাংশ নিজেদের মধ্যে যুক্ত হয়ে ক্লোরো-সালফোনিক এসিড উৎপন্ন করে।

[ নোটঃ এক্ষেত্রে একটা বিষয় জেনে রাখা উচিৎ, যদি সালফিউরিক এসিড মনোপ্রোটিক হতো তাহলে উৎপাদ হিসেবে একটি লবন উৎপন্ন হতো ]

HCl (aq) + H2SO4 (aq) → HSO3Cl (l) + H2O (l)

 আউফবাউ (Aufbau) একটি জার্মান শব্দ, যার অর্থ নির্মাণ করা বা উপরে যাওয়া। আউফবাউ নীতি কোনো পরমাণু বা আয়নের ইলেকট্রনের বিন্যাস বা কনফিগারেশন নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।

আউফবাউ নীতি : "কোনো পরমাণুর ইলেকট্রনসমূহ তাদের শক্তির উচ্চক্রম অনুসারে প্রবেশ করবে।”
এ নীতি অনুসারে সামগ্রিকভাবে ইলেকট্রনসমূহ বিভিন্ন অরবিটালে তাদের শক্তির উচ্চক্রম অনুসারে প্রবেশ করে। অর্থাৎ ইলেকট্রন প্রথমে নিম্ন শক্তির অরবিটালে এবং পরে ক্রমান্বয়ে উচ্চ শক্তির অরবিটালসমূহে প্রবেশ করে, কারণ নিম্ন শক্তির স্তরের স্থিতিশীলতা বেশি।
কোন অরবিটালের শক্তি কত তা প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা ‘n’ এবং সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা ‘
l’-এর মান থেকে হিসেবে করা হয়। যে অরবিটালের জন্য (n +l ) এর মান কম সেটিই নিম্ন শক্তির অরবিটাল এবং ইলেকট্রন তাতেই প্রথম প্রবেশ করে। যেমন–
3d অরবিটালের জন্য, n = 3 এবং 
l = 2 ∴ (n + l) = 3 + 2 = 5
4s অরবিটালের জন্য, n = 4 এবং 
l = 0 ∴ (n + l) 4 + 0 = 4
সুতরাং 3d-এর চেয়ে 4s এর শক্তি কম বলে (4s < 3d) ইলেকট্রন আগে 4s অরবিটালে প্রবেশ করে এবং সেটি পূর্ণ হলে 3d অরবিটালে যায়।
কিন্তু যদি দুটি অরবিটালের ক্ষেত্রে (n + 
l) এর মান সমান হয় তবে তাদের মধ্যে যে অরবিটালের ‘n’-এর মান নিম্ন অর্থাৎ প্রধান শক্তিস্তর নিম্নতর ইলেকট্রন তাতেই আগে প্রবেশ করে। যেমন–
3d অরবিটালের জন্য, n = 3 এবং 
l = 2 ∴ (n + l) = 3 + 2 = 5
4p অরবিটালের জন্য, n = 4 এবং 
l = 1 ∴ (n + l) 4 + 1 = 5
সুতরাং এ দুটি অরবিটালের (n + 
l) এর মান সমান। তবে 4p অপেক্ষা 3d অরবিটালের n-এর মান কম। তাই 4p অপেক্ষা 3d অরবিটালের শক্তিও কম। এজন্য ইলেকট্রন আগে 3d অরবিটালে ও তা পূর্ণ হলে পরে 4p অরবিটালে প্রবেশ করে।
পারমাণবিক বর্ণালী বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন অরবিটালের আপেক্ষিক শক্তিক্রম নির্ণয় করা হয়। তারপর আউফবাউ এর নীতি অনুসারে ইলেকট্রন বিন্যাসের জন্য চূড়ান্তভাবে অরবিটালগুলোকে নিচের সাজানো হয়েছে।