Recent Post
Loading...



প্রমাণ অবস্থায় 5L CH4 (মিথেন ) গ্যাসে H পরমাণু আছে 5.375×10^23 টি ।।

চলুন গণনা করে দেখি-

আমরা জানি, প্রমাণ অবস্থায় 1 mol যেকোনো গ্যাসের আয়তন 22.4 L অথাৎ, প্রমাণ অবস্থায় 1 mol CH4 এর আয়তনও 22.4 L তাহলে ঐকিক নিয়মে পাই,

22.4 L = 1 mol

.°. 1L = 1/22.4 mol

=> 5L = 5/22.4 mol = 0.22 mol

এখন, আমরা জানি 1 mol যেকোনো গ্যাসে অ্যাভোগাড্রো সংখ্যক অণু আছে । এবং অ্যাভোগাড্রো সংখ্যা হচ্ছে 6.02×10^23

.°. 1mol CH4 এ অণু আছে = 6.02×10^23 টি

=> 0.22 mol CH4 এ অণু আছে = 6.02×10^23 × 0.22 টি

.°. O.22 mol CH4 এ অণু আছে =1.34×10^23 টি

CH4 এর একটি অণুতে H আছে 4টি । সুতরাং 0.22 mol CH4 অণুতে H পরমাণুর সংখ্যা = 1.34×10^23 ×4 টি

.°. CH4 অণুতে H পরমাণু আছে =5.375×10^23 টি



বিজ্ঞানী এ ফুন্ড ব্যাখ্যা করেছেন যে কি করে ইলেকট্রনসমূহ বিভিন্ন উপশক্তিস্তরে প্রবেশ করে যাকে আমরা অরবিটাল বলছি। p অরবিটাল রয়েছে তিনটি। ইলেকট্রন যা করে আরকি প্রথমে সবগুলোতে একটা একটা করে ফিলাপ হয় তারপর আবার একটা একটা করে ফিলাপ হয়। যেহেতু ফসফরাসের 15 টি ইলেকট্রন রয়েছে তাইয়েব শেষ কক্ষপথের পি অরবিটালে তিনটি অযুগ্ম ইলেকট্রন রয়েছে কিন্তু উত্তেজিত অবস্থায় ফসফরাসের থ্রি এস অরবিটাল হতে একটি ইলেকট্রন 3 ডি তে চলে যায়। তখন তা 5 যোজ্যতা শো করে।



হুন্ডের নীতি হলো " সমশক্তিসম্পন্ন অরবিটালগুলোতে ইলেকট্রন প্রবেশের সময় যতক্ষণ পর্যন্ত অরবিটাল খালি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ইলেকট্রনগুলো অযুগ্মভাবে অরবিটালে প্রবেশ করবে এবং অযুগ্ম ইলেকট্রনগুলোর স্পিন একমুখী হবে। "

অর্থাৎ, সমশক্তিসম্পন্ন একাধিক অরবিটাল খালি থাকলে ইলেকট্রন প্রথমে একটি করে খালি অরবিটালগুলো পূর্ণ করবে, তারপর আবার এক ইলেকট্রন বিশিষ্ট অরবিটালগুলোতে নতুন করে বিপরীত স্পিন যুক্ত একক ইলেকট্রন প্রবেশ করবে। এই নিয়ম অনুযায়ী, p- উপস্তরের তিনটি অরবিটালে ( x,y,z) প্রথমে একটি করে ইলেকট্রন প্রবেশ করবে তারপর বাকি ইলেকট্রনগুলে বিপরীত স্পিনযুক্ত হয়ে প্রবেশ করবে। চিত্রে হুন্ডের নীতি অনুসারে পটাসিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস দেখানো হলো ——

 


হুন্ডের নীতি অনুসারে, সমশক্তিসম্পন্ন অরবিটালে ইলেকট্রন প্রবেশের সময় প্রথমে ১ টা করে ইলেকট্রন প্রবেশ করবে, পরবর্তীতে ইলেকট্রন খালি থাকা সাপেক্ষে পুনরায় অরবিটালে ১ টি ইলেকট্রন প্রবেশ করবে।

অরবিটালের শক্তি নির্ণয় করা হয়, আউফবাউ নীতি অনুসারে। (n+l) এর মান দ্বারা।

নাইট্রোজেনের ইলেকট্রন বিন্যাসঃ

উত্তেজিত অবস্থায় নাইট্রোজেনের ইলেকট্রন বিন্যাসঃ

N=1s22s12px12py12pz13s1

যেহেতু সাধারণ অবস্থায় নাইট্রোজেনের এটমে মুক্ত ইলেকট্রন সংখ্যা ৩ টি এবং উত্তেজিত অবস্থায় মুক্ত ইলেকট্রনটি ৫ টি, তাই নাইট্রোজেনের যোজনী ৩ ও ৫।



হুন্ডের নীতিটি হলোঃ সমশক্তিসম্পন্ন প্রতিটি অরবিটালে প্রথমে একটি করে ইলেকট্রন একমুখী স্পিনে প্রবেশ করে, এরপর প্রাপ্যতা অনুসারে বিপরীত স্পিনে প্রবেশ করে। Cr & Cu পরমাণু হুন্ডের নীতি অনুসরণ করে ইলেক্ট্রন বিন্যাস করে।

Cr এর শেষ কক্ষপথে ইলেক্ট্রন বিন্যাসে 4s এ দুটো ইলেক্ট্রন প্রবেশ না করে, 4s এর চেয়ে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন অরবিটাল 3d তে ৫ টি ইলেক্ট্রন পজিটিভ স্পিনে প্রবেশ করে।

আউফবাউ নীতি অনুসারে, আমরা জানি 4s অরবিটাল কর্তৃক 3d অরবিটালের শক্তিক্রম বেশি। তাই 4s বা কম শক্তিসম্পন্ন অরবিটালে ইলেক্ট্রন আগে প্রবেশ করবে। সে অনুযায়ী Cr এ 4s2 সম্পূর্ণ করে, 3d অরবিটালে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে 3d তে ৫টি ইলেক্ট্রন রয়েছে। এমন বিন্যাসের কারণ হলো d অরবিটালের স্থিতিশীলতা। অর্ধপূর্ণ ও পূর্ণ শক্তিস্তর উভয়ই স্থিতিশীলতা অর্জন করে। যদি ২টি ইলেক্ট্রন প্রথমে 4s2 সম্পূর্ণ করে ফেলতো, তবে 3d অর্ধপূর্ণ হতে পারতো না। 4s এর তুলনায় 3d উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অরবিটাল হলেও 4s2 এর তুলনায় 3d5 (d-orbital অর্ধপূর্ণ হওয়া) বেশি স্থিতিশীল, তাই ক্রোমিয়ামে পজিটিভ স্পিনে ইলেক্ট্রন প্রবেশ করে, অর্ধপূর্ণ হয়ে ইলেক্ট্রন বিন্যাস করে। [4s2 3d4 না হয়ে, 4s1 3d10 হয়]

অনুরূপে Cu এর ক্ষেত্রেও প্রায় একই কারণ প্রযোজ্য। 4s কম শক্তিসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও, 4s অরবিটাল সম্পূর্ণ হওয়ার তুলনায় 3d অরবিটাল পূর্ণ হওয়াটা পরমাণুকে বেশি স্থিতিশীলতা দেয়। তাই এর ইলেক্ট্রন বিন্যাসে [4s2 3d9] না হয়ে, [4s1 3d10] হয়।

দুটি পরমাণুই হুন্ডের নীতি মেনে চলে বলা যায়। কারণ, এতে সমশক্তিসম্পন্ন অরবিটালে ১টি করে একমুখী স্পিনে প্রথমে (পজিটিভ) প্রবেশ করে, এরপর প্রাপ্যতা অনুসারে ইলেক্ট্রন বিপরীত স্পনে প্রবেশ করে। সমশক্তিসম্পন্ন অরবিটাল ইলেক্ট্রন পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অন্য শক্তিস্তরের অরবিটালে ইলেক্ট্রন প্রবেশ করে না।



পরমাণুর বহিঃশক্তিস্তরে প্রায় সমশক্তি বিশিষ্ট অরবিটালসমূহে সুষমতা ও অধিক স্থিতিশীলতা আনয়নের জন্য উত্তেজিত অবস্থায় কতিপয় মৌলের (যেমনঃ C, N, P, S) ইলেকট্রন বিন্যাস ভিন্ন হয়।

তাছাড়া, পদার্থে তাপ, বিদ্যুৎ, আলো ইত্যাদি শক্তি প্রয়োগ করলে এর অণু বা পরমাণুসমূহ শক্তি শোষণ করে উত্তেজিত হয় ; এতে ব্যান্ড বর্ণালী বা ডার্ক রেখা বর্ণালী তৈরি হয়।



সাধারণভাবে ইলেকট্রনগুলো s2, p6, d10, f14 হিসেবে বিন্যস্ত হয়। এদের সর্বশেষ অরবিটাল এর জন্য যতগুলো ইলেকট্রন অবশিষ্ট থাকে ততগুলো ইলেকট্রনই বসে। কিন্তু p ও d অরবিটালগুলো সবসময় চায় তারা যেন অর্ধপূর্ণ(p3, d5) বা সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ(p6, d10) হয়ে স্থিতিশীল থাকতে পারে। তাই Cr(24) এর ইলেকট্রন বিন্যাস স্বাভাবিকভাবে হওয়ার কথাঃ

Cr(24)→ 1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 3d4 4s2

কিন্তু 3d অরবিটালটি সুস্থিত হওয়ার আশায় 4s হতে একটি ইলেকট্রন 3d অরবিটালে আসে। তাই ক্রোমিয়াম(Cr) এর ইলেকট্রন বিন্যাস হবেঃ

Cr(24) 1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 3d5 4s2



কোনো পরমাণুর যোজ্যতা স্তরে থাকা ইলেক্ট্রন সংখ্যা থেকেই মুক্তজোড় ইলেক্ট্রন সংখ্যা বের করা যায়। উদাহরণস্বরূপঃ

C(6)-1s2 2s2 2p2 = 1s2 2s2 2px1 2py1 2pz0 এর যোজ্যতাস্তরের অরবিটালে ফাঁকা অবস্থা বিরাজমান। ফাঁকা p অরবিটালে সর্বোচ্চ 4টি ইলেক্ট্রন প্রবেশ করতে পারবে. অর্থাৎ, কার্বনের সর্বোচ্চ চারটি মৌল ধারণ করে যৌগ গঠনের ক্ষমতা আছে। এক্ষেত্রে মুক্তজোড় ইলেক্ট্রন 1টি (2s2 )।

N(7):1s2 2s2 2p3 = 1s2 2s2 2px1 2py1 2pz1

যোজ্যতাস্তরের p অরবিটালে 3টি ইলেক্ট্রন প্রবেশ করেছে মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা অনুযায়ী, শেষ কক্ষপথে 2s, 2px, 2py, 2pz প্রত্যেকটিতে ইলেক্ট্রন জোড় পরস্পর বিপরীত স্পিনে অবস্থান করবে।(হুন্ডের নীতির অনুসারে, নির্দিষ্ট অরবিটালে প্রথমে পজিটিভ স্পিনে ইলেক্ট্রন প্রবেশ করবে, তার পর, নেগেটিভ স্পিনে ইলেকট্রন প্রবেশ করবে) এক্ষেত্রে, যোজ্যতাস্তর ২য় কক্ষপথের অরবিটাল 2s2, 2px1, 2py1, 2pz1 এভাবে ইলেকট্রন সজ্জিত থাকে। সর্বমোট যোজনী হয় ৩. এবং, যোজ্যতাস্তরের মুক্তজোড় ইলেকট্রন হলো 2s2 এই ১ জোড়া।

O(8) :1s2 2s2 2p4 = 1s2 2s2 2px2 2py1 2pz1

অক্সিজেন পরমাণুতে, যোজ্যতাস্তরের p অরবিটালে 4টি ইলেক্ট্রন প্রবেশ করেছে মৌলের পারমানবিক সংখ্যা অনুযায়ী, শেষ অরবিটাল বা যোজ্যতা স্তরে 2px, 2py, 2pz এর মধ্যে, 2px এ ২টি ইলেক্ট্রন অবস্থান করে। অর্থাৎ সেটি যোজ্যতাস্তরের মুক্তজোড় ইলেক্ট্রন। এরপরে 2py1 2pz1 এই দুটো বিজোড় ইলেকট্রন সজ্জিত থাকে, তাই অক্সিজেনের সর্বমোট যোজনী হয় 2. এবং মোট যোজ্যতাস্তরের বা ২য় কক্ষপথের, মুক্তজোড় ইলেকট্রন 2টি। (2s2 2px2)

এভাবে পরমাণুর পর্যায়ক্রমিক কক্ষপথে (1,2,3,4) শেষতম কক্ষপথের - s,p, d,f অরবিটালে অবস্থানকৃত জোড়া ইলেক্ট্রনগুলোই হলো মুক্তজোড় ইলেকট্রন। যারা সম্ভাব্য স্থিতিশীল ইলেক্ট্রন এবং বাকি অরবিটালগুলোর ওপর বিকর্ষণ প্রভাব তৈরি করে।

প্রথমে চলুন জেনে নেওয়া যাক ভর সংখ্যা ও পারমাণবিক সংখ্যা কি।

পারমাণবিক সংখ্যাঃ- পরমাণুর নিউক্লিয়াসে যতগুলো প্রোটন থাকে তাই তার পারমাণবিক সংখ্যা। একটি মৌলের সাথে আরেকটি মৌলের পার্থক্য এই পারমাণবিক সংখ্যায়। একে সাধারণত ইংরেজী Z বর্ণ দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

ভর সংখ্যাঃ- পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যাকে ভর সংখ্যা বলে। অর্থাৎ ভর সংখ্যা (A) = প্রোটন সংখ্যা (Z) + নিউট্রন সংখ্যা (N)। প্রোটন ও নিউট্রনের সংখ্যার এই যোগফলকে ভর সংখ্যা বলার কারণ পরমাণুর মোট ভরের প্রায় পুরোটার জন্যই তারাই দায়ী। ইলেকট্রনের ভর অতি নগণ্য। একটি ইলেকট্রনের ভর, একটি প্রোটনের ভরের প্রায় ১৮৩৭ ভাগের এক ভাগ। ঐদিকে প্রোটন ও নিউট্রনের ভর প্রায় সমান। তাই পরমাণুর ভর গণনায় ইলেকট্রনের ভরকে বাদ দেওয়া হয়।

এবার পর্যায় সারণির প্রথম কয়েকটি মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যা দেখা যাকঃ-


দেখতে পাচ্ছেন প্রথম বিশটি মৌলগুলোর মধ্যে কয়েকটি মৌলের ভর সংখ্যা পারমাণবিক সংখ্যার দ্বিগুণ। এর কারণ হচ্ছে, ঐসব মৌলগুলোর নিউক্লিয়াসে সমান সংখ্যক প্রোটন ও নিউট্রন রয়েছে। যেমন ম্যাগনেসিয়ামের কথাই ধরুন। এর পারমাণবিক সংখ্যা, Z = 12 এবং ভর সংখ্যা, A = 24. মৌলটির নিউক্লিয়াসে প্রোটন রয়েছে ১২টি এবং নিউট্রনও রয়েছে (২৪ - ১২ = )১২টি।

বাকি মৌলগুলোতে ব্যাপারটি এরকম না হলেও এদের ভর সংখ্যা পারমাণবিক সংখ্যার দ্বিগুণের কাছাকাছি। এই বাক্যটিকে এভাবেও বলা যায় - এইসব মৌলগুলোর নিউট্রন সংখ্যা প্রোটন সংখ্যার প্রায় সমান।

কিন্তু যতই পারমাণবিক সংখ্যা বাড়তে থাকে অর্থাৎ যতই আমরা পর্যায় সারণির শেষের দিকে অগ্রসর হতে থাকব ততই কিন্তু প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার তারতম্য ঘটতে থাকে। ব্যাপারটিকে আমরা একটি চিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারি।

চিত্র -১: নিউট্রন সংখ্যা বনাম পারমাণবিক সংখ্যা লেখ।[1]

লাল রংয়ের যে সরল রেখাটি দেখা যাচ্ছে সেটি, নিউট্রন সংখ্যা : প্রোটন সংখ্যা = ১ : ১ অনুপাত নির্দেশ করছে। লাল রংয়ের ফোটাগুলো একেকটি মৌলকে বোঝাচ্ছে। আর হালকা লাল রংয়ের অঞ্চলটি স্থিতিশীল মৌলগুলোর অবস্থান দেখাচ্ছে। খেয়াল করুন, প্রথম দিকে (পারমাণবিক সংখ্যা < 20) মোটামুটি সবগুলো ফোটাই সরলরেখার উপরে অবস্থিত অর্থাৎ এসব মৌলের নিউট্রন ও প্রোটনের অনুপাত ১:১।

কিন্তু যতই প্রোটন সংখ্যা বাড়ছে (অর্থাৎ উচ্চ পারমাণবিক সংখ্যা বিশিষ্ট মৌল) ততই এই অনুপাত লঙ্ঘিত হচ্ছে (বিন্দু গুলো আর সরলরেখার উপর থাকছে না)। এক্ষেত্রে নিউট্রনের সংখ্যা প্রোটন সংখ্যার চেয়ে বেশী হয়ে যাচ্ছে। যেমন- জিরকোনিয়াম (Zr) এর বেলায় পারমাণবিক সংখ্যা ৪০ এবং ভর সংখ্যা ৯০। ফলে এর নিউক্লিয়াসে নিউট্রন রয়েছে = ৯০ - ৪০ = ৫০ টি। এর নিউট্রন ও প্রোটনের সংখ্যার অনুপাত হয়ে যাচ্ছে ১.২৫ : ১। টিন (Sn) এর বেলায় এই অনুপাত ১.৪ : ১। পারদের বেলায় এটি আরও বেশী ১.৫ : ১।

কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? কি জন্যে প্রোটন ও নিউট্রনের সংখ্যা সমান রইলো না? কেনই-বা শুধু নিউট্রন সংখ্যা বেশী হয়ে যাচ্ছে, কম হলো না কেন?

উত্তরটি দেবার আগে একটি উদাহরণ কল্পনা করা যাক। আপনি দুটি চুম্বক নিলেন। এবার চুম্বকগুলোর একই মেরু কাছাকাছি আনার চেষ্টা করছেন। কি হবে? আপনি এগুলোকে একজায়গায় রাখতে পারবেন না। ছেড়ে দেবার সাথে সাথে চুম্বকগুলো দূরে সরে যাবে। কারণ চুম্বকের সমমেরু একে অপরকে বিকর্ষণ করে। তবে এগুলোকে যদি একই জায়গায় এবং গায়ে গায়ে লাগিয়ে রাখতে চান, আপনাকে এবার বল প্রয়োগ করে জোড় করে চুম্বকগুলোকে ধরে রাখতে হবে যা এই বিকর্ষণ বলকে পরাভূত করবে।

এবার পরমাণুতে ফিরে আসা যাক। নিউক্লিয়াসে যে দুইটি কণা থাকে তার মধ্যে শুধু প্রোটনের আধান রয়েছে। অপরদিকে নিউট্রন হচ্ছে আধানহীন। আমরা জানি সমধর্মী আধান পরস্পরকে বিকর্ষণ করে থাকে ঠিক চুম্বকের সমমেরুর মতই। নিউক্লিয়াসের ছোট্ট জায়গায় প্রোটনগুলো যখন অবস্থান করে তখন এই কুলম্বের তড়িৎচৌম্বক বিকর্ষণ বল এদেরকে একত্রে থাকতে দিতে চায় না। উদাহরণে যেমন আপনার প্রয়োগকৃত বল দিয়ে চুম্বকগুলোর বিকর্ষণ বলকে দমিয়ে রেখেছিলেন এরকম কোনো বল যদি পরমাণুতে না থাকে তবে নিউক্লিয়াস তৈরী হতে পারবে না।

আশার কথা, এরকম একটি বল রয়েছে। সেটি হচ্ছে চারটি মৌলিক বলের আরেকটি - সবল নিউক্লিয় বল। যখন দুটি কণিকা একে অপরের খুব নিকটে আসে এই বল কাজ করে। আর এই বলটি আকর্ষণ ধর্মী এবং তা তড়িৎ চৌম্বক বলের চেয়েও শক্তিশালী। নিউট্রন গুলো নিজেদের সাথে এবং প্রোটনদের সাথে সবল নিউক্লিয় বলের মাধ্যমে নিউক্লিয়াসকে স্থিতিশীলতা দান করে। অনেকটা যেন আঠা দিয়ে নিউট্রনগুলো প্রোটনগুলোকে নিজেদের সাথে আটকিয়ে রাখে।

চিত্র-২: নিউক্লিয়াসের স্থিতিশীলতা।[2]

যখন নিউক্লিয়াসে প্রোটন কম থাকে তখন এদের মধ্যকার বিকর্ষণ বল কম থাকে। ফলে নিউক্লিয়াসের স্থিতিশীলতার জন্য নিউট্রনের সংখ্যাও কম থাকে। প্রতিটি প্রোটনের বিপরীতে একটি নিউট্রন হলে চলে যায়। তবে নিউট্রন সংখ্যা প্রোটনের চেয়ে কম হলে সেটি সম্ভব নয়। তাই নিউট্রন সংখ্যা সর্বদাই প্রোটনের সমান বা তার বেশী থাকতে হবে। (ব্যতিক্রমঃ হাইড্রোজেন পরমাণু। এখানে একটিমাত্র প্রোটন। তাই বিকর্ষণের প্রশ্ন আসে না। ফলে নিউট্রনেরও প্রয়োজন নেই)

এখন পরমাণুতে প্রোটন যত বাড়তে থাকে বিকর্ষণ বলের মানও তত বাড়তে থাকে। কিন্তু এবার প্রোটনের সমান সংখ্যক নিউট্রন দিয়ে নিউক্লিয়াসটিকে বেঁধে রাখা সম্ভব নয়। এর কারণ হলো তড়িৎ চুম্বক বল এর পাল্লা অনেক বড় (অসীম)। নিউক্লিয়াসের একটি প্রোটন তার দূরবর্তী প্রোটনের উপরও বিকর্ষণ বল প্রয়োগ করতে পারে অন্যদিকে সবল নিউক্লিয় বলের পাল্লা অনেক কম (১ ফেমটোমিটার)।[3] তাই একটি নিউট্রন শুধুমাত্র তার নিকটবর্তী প্রোটন ও নিউট্রনের উপর এই আকর্ষণ বল প্রয়োগ করতে পারে। তাই এই তড়িৎ চৌম্বক বিকর্ষণ বলটিকে মোকাবেলা করার জন্য প্রোটনের চেয়ে বেশী সংখ্যক নিউট্রনের প্রয়োজন পরে। একারণে পর্যায় সারণির শুরুতে পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রনের সংখ্যা সমান হলেও উচ্চ পারমাণবিক সংখ্যা বিশিষ্ট পরমাণুতে স্থায়িত্বের জন্য নিউট্রন সংখ্যা অনেক বেশী হয়।



এখানে Cl এর p তে ৫ টি e- আছে।। p অরবিটালের জন্য ঘর আছে ৩ টি,প্রত্যেক ঘরে ২ টি e- এর বেশি প্রবেশ করতে পারবে নাহ।। ৩ টি ঘরে ৫ টি e- আপনি যেভাবেই প্রবেশ করান না কেন, ২ টা তে ২ টা করে e- দিতে হবে, বাকি ১ টা অন্য ঘরে।। প্রত্যেক ঘরে যদি ১ টা করে e- দেন,, তাহলে ৩ টা তে ৩ টা e- দিয়ে বাকি ২ টা যে কোন ২ টা তে দিতে হবে।। একটা ঘরে ১ টা e- থাকবে।। এর জন্য Cl এর ক্ষেত্রে হুন্ডের নিয়ম লাগে না।


কোন মৌলের সাধারণ ইলেক্ট্রন বিন্যাস হল কোন শক্তি শোসন করার আগে হুন্ডের নীতি মেনে যে ইলেক্ট্রন বিন্যাস হয় সেটা।

আর উত্তেজিত অবস্থায় ইলেক্ট্রন শক্তি শোসন করে যুগ্ম থেকে অযুগ্ম হয়ে যায় এবং অন্য অরবিটালে প্রবেশ করে। এর ফলে নতুন যে বিন্যাস হয় সেটি হুন্ডের নীতি মেনে চলে না এবং এটিই হল উত্তেজিত অবস্থায় ইলেক্ট্রন বিন্যাস। p block মৌলে এই প্রবণতা বেশি।