Recent Post
Loading...

 সেখানে যেমনটি বলেছি একটি লবণের জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় কি এসিডিক তা বুঝতে এদের আর্দ্রবিশ্লেষণে উৎপন্ন আয়ন নিয়ে হিসাব নিকাশ করতে হয়।

বলে রাখা ভালো, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড পানিগ্রাহী তাই এটি দুই অণু পানির সাথে ডাইহাইড্রেট হিসেবে থাকতে পছন্দ করে।

এক্ষেত্রে এই হিসাবটা হবে এমন-

দেখাই যাচ্ছে, এখানে প্রাপ্ত ক্ষার আর এসিডের দুইটাই শক্তিশালী এবং H+ আর OH- আয়নের সংখ্যা সমান সমান তাই এই ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড লবণের জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ক্ষারীয় বা এসিডিক কোনটাই না হয়ে হবে, নিরপেক্ষ


যেহেতু ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড লবণ অর্থাৎ নিরপেক্ষ পদার্থ এবং এর দ্রবণ প্রস্তুত করে আমার সমসংখ্যক হাইড্রোজেন আয়ন এবং সমসংখ্যক হাইড্রোক্সিল আয়ন পাই। সেহেতু ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড এর জলীয় দ্রবণ না ক্ষারীয়, না এসিডিক, শুধুমাত্র নিরপেক্ষ।


CaCl2 তো একটা লবণ।এটার জলীয় দ্রবণ ক্ষার আর এসিডের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়। আর এটাতে জানি যে ক্ষার ও এসিডের বিক্রিয়াকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে।

Ca(OH)2+ 2HCl = CaCl2+ 2H2O

Ca(OH)2 বা ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড হলো বা কলিচুন বা স্লেকড লাইম হলো ক্ষার আর HCl বা হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাসের জলীয় দ্রবণ বা হাইড্রোক্লোরিক হলো একপ্রকার শক্তিশালী এসিড। এদের বিক্রিয়ায় লবণ CaCl2 পাওয়া গিয়েছে।

বিট লবণ যাকে বলা হয়ে থাকে ‘রক সল্ট’ কিংবা ব্ল্যাক সল্ট’। যার আরেকটি নাম সুলেমানী সলন; (উর্দু: نمک کالا, নেপালি: বিরে নুন, হিন্দী: কালো salt, মারাঠি: কালাম মথ; গুজরাটি: সংচল, তামিল: இந்துப்பு, মালয়ালাম: ഇന്തുപ്പ്) এক ধরনের খনিজ সিল। সাধারণত বিটলভন বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এর নিকটবর্তী হিমালয় লবণ সমৃদ্ধ থেকে মাটিতে নিচের পাথর আকারে উত্তোলন করা হয়। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত ও নেপালে এই লবন খনি আছে।সাধারণ লবনের মত এইখানেও সোডিয়াম ক্লোরাইড থাকে যা টক ভাব আনতে সাহায্য করে তবে, এর সাথে আরো যুক্ত হয় আইরন সালফাইট যা এর ধুসর রং আনতে সাহায্য করে আরেকটা হলো হাইড্রোজেন সালফাইট(পচা ডিমের মত গন্ধ) ,যা এর কটু গন্ধ আনার ক্ষেত্রে দায়ী ! আর সাধারণ লবনের সাথে দোষ-গুন বলতে তেমন কিছু নেই তবে, এইটাকে যাদের হাই ব্লাড প্রেসার আছে তাদের জন্য ভালো বলা হয় কারণ, এইখানে সোডিয়াম এর মাত্রা কম থাকে ! তবে, এখনকার বিট লবনে এই সোডিয়াম নাকি নিয়ন্ত্রণে রাখেনা সাধারণ লবনের মতই থাকে কাজেই, হাই ব্লাড প্রেসার মানুষদের জন্য খুব একটা সুবিধা করতে পারবেনা !

পেটের সমস্যা দূর করে

খাদ্য পরিপাকজনিত সমস্যা, পেটে গ্যাস হওয়া, বুক জ্বালাপোড়া করা এমনকি কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে বিট লবণ। 

ক্ষুধাভাব কমায়

ওজন কমানোর চেষ্টায় থাকলে বিট লবণ ভালো একটি সহায়ক হতে পারে। ঘনঘন ক্ষুধাভাব কমানোর জন্য বিট লবণ উপকারি।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

সাদা লবণ যেখানে রক্তচাপ বৃদ্ধির জন্য দায়ী, সেখানে বিট লবণ উচ্চরক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে। এমনকি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে সাদা লবণের পরিবর্তে বিট লবণ খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা।

ঘুমের সমস্যা কমায়

রাতে ভালো ঘুম না হলে অথবা ইনসমনিয়ার সমস্যা থাকলে নিয়মিত বিট লবণ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ঘুমের সমস্যা মূলত দেখা দেয় শরীরে মেলাটোনিনের মাত্রার তারতম্য দেখা দিলা। বিট লবণ এই মেলাটোনিনের মাত্রাকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে।

ঠাণ্ডার সমস্যায় উপকারি

সাইনাসের সমস্যা, শুকনা কাশি, গলাব্যথ্যা কিংবা ঠাণ্ডা সর্দির সমস্যায় গরম পানির সঙ্গে বিট লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে উপকার পাওয়া যাবে।

ক্লান্তি দূর করে

কর্মব্যস্ত সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে এক গ্লাস পানি বিট লবণ ও এক টুকরো লেবু মিশিয়ে পান করুন। দেখবেন মুহূর্তেই চাঙ্গা বোধ করছেন।

ত্বকের সুরক্ষায় বিট লবণ

স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা তো জানানো হলো, এবার জানুন বিট লবণ ব্যবহারে ত্বকের উপকারিতা। এই লবণ ত্বকের উপরিভাগের ময়লা ও মরা চামড়া দূর করতে প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে। এছাড়া, বন্ধ রোমকূপ খুলে ভেতরের ময়লা দূর করে ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এনে দিতেও দারুণ কার্যকর বিট লবণ।


বীট লবন তার অনন্য স্বাদ এবং গন্ধের জন্য প্রচলিত। অনেক ডাক্তার আর স্বাস্থ্যবিদ এই লবন খাবারে ব্যবহার করতে বলেন তার ঔষধ গত গুনা গুনের জন্য। এটি একাধারে অম্বল ও গ্যাস-নাশক, হজমী ছাড়াও ক্যান্সার এবং হৃদরোগ ঘটানো পদার্থ গুলিকে শরীর থেকে দূর করে।

শরীরের গাঁটে ব্যাথা, ডায়বেটিস, ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ড জনিত সমস্যা গুলির উপশম ঘটায়। এ ছাড়াও খিদে আনে, বিষণ্নতা দূর করে, দুটি হরমোন melatonin(মেলাটনিন ) এবং serotonin(সেরোটোনিন) যা আমাদের মস্তিষ্কের শান্তি ও ঘুম সৃষ্টি করে তাদের সমতা বজায় রাখে এই লবণ।

ভেষজ শাস্ত্রে এর আরো অনেক অকথিত গুনাগুন আছে। সেকারণে রোজ বীট লবন সেবন করলে আমরা নানা বিধ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। তবে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন ৮ গ্রামঃ/দিন এর বেশি না হয়। সব কিছুরই বেশি মাত্রা নয় তাহলে তার দোষগুলি প্রভাব ফেলবে।

উচ্চ রক্তচাপ যুক্ত ব্যাক্তি দের এই লবন খাওয়া নিষেধ, বা খেলেও তা মাত্রায় খুব সামান্য (৪ গ্রামঃ/দিন এর চেয়েও কম)।

বীট নুন সাধারণ লবণের তুলনাই অনেক তাই এগিয়ে যদি তা নিয়মিত ও নিয়ন্ত্রিত ভাবে খাওয়া হয়। তাই বলে সাধারণ খাদ্য লবন(NaCl ) কে ভুলে গেলে চলবে কিভাবে ? তার থেকে পাওয়া আয়োডিন (I) আমাদের শরীরের যথেষ্ট প্রয়োজনীয় উপাদান। আর আমাদের মস্তিষ্কের নার্ভের মধ্যে যে তথ্য আদান প্রদান হয় তার প্রধান প্রবাহী হলো (Na-K pump) সোডিয়াম যা মেলে সাধারণ লবন থেকে।

বীট লবনের দাম সে অর্থে যথেষ্ট উর্দ্ধগামী এবং সবজায়গায় মেলেনা তাই অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা আপনারই দায়িত্ব।

 সাগরের লোনা পানি থেকে প্রথমেই যে লবণ পাই সেটা হলো সামুদ্রিক লবণ আর এই লবণকেই পরিশোধিত করে প্যাকেটজাত লবণ হলো আমরা যে লবণ খাওয়ার কাজে ব্যবহার করি।

লবণ প্রধানত হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) সেটা প্যাকেটের হোক আর সমুদ্রেরই হোক। কিন্তু কিছু বিষয়ে এদের মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।

আসল সামুদ্রিক লবণ দেখতে এরকম।

এটা হিমালায়ান সল্ট, দেখতে কিছুটা সামুদ্রিক লবণের মতো।

আর এমনিতে আমরা যে লবণ ব্যবহার করি, টেবিল সল্ট, এটা হলো পরিশোধিত সামুদ্রিক লবণ।এটা দেখতে কিরকম সেটা নিশ্চয়ই সবাই জানেন। আমরা বাঙালী, লবণ ছাড়া কিছুই চলে না।তাহলে সামুদ্রিক লবণ আর টেবিল লবণের পার্থক্য দেখা যাক—

১. সামুদ্রিক লবণের দানা বড় আর টেবিল সল্টের দানা মিহি।

২. সামুদ্রিক লবণে কিছু খনিজ পদার্থ থাকলেও প্রয়োজনীয় সবকিছু থাকে না। সেজন্য এই লবণ পরিশোধিত আর বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ ( যেমন আয়োডিন I) যোগ করে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়।

৩. সামুদ্রিক লবণ সবসময়ই একেবারে সাদা হবে এরকম হয় না। এটা সাদা, হলদে, গোলাপি কিংবা লাল বিভিন্ন রংয়ের হতে পারে। অপর দিকে টেবিল সল্ট দেখতে ধবধবে সাদা।

লবণের আসল উপাদান যেটা, NaCl, এটা থাকলেই হলো। তবে যদি বাড়তি পুষ্টি উপাদান পেতে চান তাহলে টেবিল সল্ট খাওয়াই ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত লবণ খাওয়া ভালো নয়।



HgCl2 & HgI2 এদের অ্যানায়ন Cl2 & I2. আর I2 আর Cl2 অ্যানায়নের মধ্যে ক্লোরিনের আকার ছোট। পোলারায়নের শর্তানুযায়ী ক্লোরিনের আকার ছোট হওয়ায় কম পোলারিত হবে।আর তখন ক্লোরিন অ্যানায়ন থেকে ক্যাটায়নের দিকে ইলেকট্রন স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়।আর সেই বেশি শক্তি টি শোষিত হয় অধিক ফ্রিকোয়েন্সি যুক্ত UV রশ্মি থেকে আর যে কারণে ঐই কম পোলারিত অ্যানায়ন এর যৌগটি বর্ণহীন বা সাদা দেখায়।আর তাই HgCl2 সাদা এবং HgI2 লাল।



অ্যানায়নের ধ্রুবায়নেরর(Polarisation) মাত্রা বেশি হলে তড়িৎযোজী যৌগটি রঙিন হয়, কিন্তু কম হলে যৌগটি সাদা বা বর্ণহীন হয়।

Cl ও I আয়ন দুটির মধ্যে I এর আকার বড় হওয়ায় সহজেই Ag+ দ্বারা ধ্রুবায়ন ঘটে। অন্যদিকে Cl এর আকার ছোট হওয়ায় Ag+ দ্বারা Cl এর ধ্রুবায়ন মাত্রা কম হয়।

এই কারণেই AgClসাদা বা বর্ণহীন অন্যদিকে AgI হলুদ।


জলে ক্লোরিন আয়নের রং সাদা তাই কিছু মেটালিক ক্লোরাইড ( ফেরিক,কিউপ্রিক, নিকেল ইত্যাদি ) ছাড়া বেশীর ভাগ ক্লোরাইডের রং সাদাই ৷ জলে আয়োডিন আয়নের রং বাদামী তাই বেশীর ভাগ আয়োডাইড বাদামী বা হলুদ রংয়ের ৷

 মূলত পোলারায়ন এর জন্যই PbCl2 এর বর্ণ সাদা হলেও PbI2 এর বর্ণ উজ্জ্বল সোনালি হলুদ হয়।

আয়নিক বন্ধনে আবদ্ধ অবস্থায় , যখন কোন ক্যাটায়ন একটি অ্যানায়নের খুব নিকটে আসে তখন ক্যাটায়নের সামগ্রিক ধনাত্নক চার্জ অ্যানায়নের ইলেকট্রন মেঘকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে। একই সাথে ক্যাটায়নটি অ্যানায়নের নিউক্লিয়াসকে বিকর্ষণ করে।আকর্ষণ বিকর্ষণ এর নীট ক্রিয়ায় অ্যানায়নের ইলেকট্রন মেঘ ক্যাটায়নের দিকে সরে আসে। এ ঘটনাকে ক্যাটায়ন কর্তৃক অ্যানায়নের বিকৃতি বা পোলারায়ন বলে ।।

পোলারায়ন পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে সাথে যৌগের প্রকৃতি আদর্শ আয়নিক বন্ধনের প্রকৃতি থেকে বিচ্যুত হয়ে সমযোজী প্রকৃতির দিকে ধাবিত হয়।

এ বিষয়ট "ফাজানের সূত্র " দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়। আয়নিক যৌগের আয়নিক বন্ধনের এরূপ পরিবর্তন বা বিকৃতি ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে বিখ্যাত বিজ্ঞানী ফাজান 1923 সালে কিছু শর্তের প্রস্তাব করেন। এ শর্তগুলি হলো-

  1. ক্যাটায়নের আকার যতো ছোট এবং অ্যানায়নের আকার যতো বড় হয়।
  2. ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নের চার্জের পরিমাণ যতো বেশি হয়।
  3. ক্যাটায়নের ইলেকট্রন বিন্যাসের ক্ষেত্রে d ও f অরবিটালে ইলেকট্রনের উপস্থিতি।

১ম শর্ত হতে বলা যায় একই ক্যাটায়ন দ্বারা গঠিত বিভিন্ন প্রকার যৌগে অ্যানায়নের আকার ভিন্ন হলে যৌগের মধ্যে পোলারায়নের মাত্রাও ভিন্ন হয়। যৌগে অ্যানায়নের আকার বড় হলে যৌগের পোলারায়ন মাত্রা বেড়ে যায়। এ পোলারায়ন আরো বেড়ে যায় যদি যৌগটি আলোকরশ্মি শোষণ করে। সাধারণত অতিবেগুনি রশ্মি, X-Ray এর ন্যায় উচ্চ কম্পাঙ্কের রশ্মি শোষণ করলে যৌগের মধ্যে পোলারায়ন মাত্রা বেড়ে যায়। এমনকি দৃশ্যমান আলোকরশ্মি শোষণ করলেও পোলারায়ন সহজ হয়। দৃশ্যমান আলো সাতটি বিভিন্ন কম্পাঙ্ক বিশিষ্ট আলোর সমষ্টি। দৃশ্যমান আলো যৌগের ওপর আপতিত হলে বিভিন্ন কম্পাঙ্ক বিশিষ্ট সাতটি বিভিন্ন বর্ণের আলোকরশ্মির মধ্যে কয়েকটি বর্ণের আলোকরশ্মি যৌগ কর্তৃক শোষিত হয়ে পোলারায়ন ঘটায়। অবশিষ্ট আলোক রশ্মিগুলো প্রতিফলিত হয়। বিভিন্ন বর্ণের আলোক রশ্মিগুলো মিলিত হলে বর্ণ নির্ধারিত হয়। বিকিরিত রশ্মিগুলো মিলিত হয়ে যে বর্ণের সৃষ্টি করে যৌগটি সে বর্ণের হয়।

PbI2 ও PbCl2 যৌগে ক্যাটায়ন একই আর সেটি হচ্ছে Pb2+

PbI2 যৌগে I- এর আকার বড় হওয়ায় দৃশ্যমান আলোকরশ্মি যৌগটির ওপর পড়লে কয়েকটি বর্ণের আলোকরশ্মি PbI2 দ্বারা শোষিত হয় এবং যৌগের অণুতে পোলারায়ন ঘটায়। অবশিষ্ট আলোকরশ্মি যৌগটি দ্বারা প্রতিফলিত হয়। বিকিরিত বিভিন্ন বর্ণের আলোকরশ্মি মিলিত হয়ে উজ্জ্বল সোনালি হলুদ বর্ণের সৃষ্টি করে।

PbCl2 যৌগের Cl- আয়নের আকার I- আয়ন অপেক্ষা যথেষ্ট ছোট হওয়ায় দৃশ্যমান আলোর সাতটি বিভিন্ন কম্পাঙ্কের আলোকরশ্মি PbCl2 অণুতে পোলারায়ন ঘটাতে পারে না। এ দৃশ্যমান আলো PbCl2 যৌগের বন্ধনের উপর কোনোভাবে পোলারায়ন না ঘটিয়ে রশ্মির সামান্য অংশ শোষিত হয়। অবশিষ্ট সাতটি বর্ণের আলোকরশ্মি মিলিত বর্ণ হলো সাদা ।

এ কারণে PbI2 যৌগের বর্ণ উজ্জ্বল সোনালি হলুদ হলেও PbCl2 যৌগের বর্ণ সাদা হয়।।


PbI2 যৌগটির বন্ধন পূর্ণ আয়নিক (ionic) নয়। কিছুটা সমযোজী (Covalent) বন্ধন ধর্মও বিদ্যমান। সুতরাং, বর্ণহীন আয়ন I(-) এবং Pb(2+) যুক্ত হয়ে একটি নতুন যৌগ গঠন করে যার বর্ণ হলুদ।

এমন অনেক উদাহরণ আছে যারা বর্ণহীন আয়ন (-) এবং (+) যুক্ত হয়ে একটি নতুন বর্ণযুক্ত যৌগ গঠন করে। যেমনঃ

Hg(2+) + 2I(-) --> HgI2 (colorless --> very bright red/orange)
Pb(2+) + S(2-) --> PbS (colorless --> black)
Cd(2+) + S(2-) --> CdS (colorless --> bright yellow)
Cd(2+) + Se(2-) --> CdSe (colorless --> red)

কারন এ ধরনের যৌগগুলো যাদের বর্ণ আছে এদের সমযোজী (Covalent) বন্ধন থাকার কারনে এরা বড় ইলেকট্রন অর্বিটাল গঠন করে এবং এসব অর্বিটালের ion গুলো অনুর বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। সাধারনতঃ এ ধরনের বড় ইলেকট্রন অর্বিটাল দীর্ঘ তরঙ্গর আলোর বর্ণালির সাথে মিথষ্ক্রিয়া ঘটানোর সামর্থ্য রাখে এবং দৃশ্যমান বর্ণালিগুলোতে প্রবেশ করে। এর ফলে যৌগগুলোর ইলেকট্রন অর্বিটাল গঠন অনুযায়ী ion গুলো যার যার নির্দিষ্ট দৃশ্যমান বর্ণালিগুলোতে প্রবেশ করে শোষিত হয় এবং নির্দিষ্ট বর্ণ বিকিরন করে। সাধারনতঃ ছোট ion গুলো UV range এ শোষিত হয়।

PbI2 এর ion সমূহ শোষিত হয় বর্ণালির ৫৭৫ ন্যানোমিটার হতে ৫৮৫ ন্যানোমিটার বিস্তারের মধ্যে। বর্ণালির ৫৭৫-৫৮৫ ন্যানোমিটার উজ্জ্বল হলুদ বর্ণ প্রদর্শন করে থাকে।




আগুন দ্রুত গতিতে ঘটা একটি তাপমোচী অক্সিডেশন বিক্রিয়া যাতে নির্দিষ্ট উষ্ণতায় অক্সিজেনের সাহায্যে কিছু পদার্থের দহন ঘটে এবং তাপ, আলো ও অন্যান্য কিছু পদার্থ উৎপন্ন হয়। আগুনকে জানতে হলে এর দুটি অংশ বিবেচনা করতে হবে। একটি হল তার শিখা আন্যটি হল সেই শিখা থেকে সৃষ্ট আলো আর তাপ। আলো আর তাপ যে শক্তি সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। কাজেই আগুনের "শক্তি " ধর্ম আছ। আবার আগুনের শিখা হল বিভিন্ন গ্যাসের সমষ্টি। এতে থাকে CO2,CO,H2O প্রভৃতি গ্যাস। কাজেই শিখাতে পদার্থ আছে অর্থাৎ আগুনের "পদার্থ" ধর্ম আছে! তাই আগুন একই সাথে পদার্থ ও শক্তির একটি সমন্বিত রূপ প্রদর্শন করে থাকে।

এখন আসা যাক আসল প্রশ্নে,"আগুন কেন অভিকর্ষর বিপরীতে প্রবাহিত হয়" অর্থাৎ "আগুনের বেলায় অভিকর্ষ কেন কাজ করে না?" উত্তরটি হল আগুন আসলে অভিকর্ষ-র বিপরীতে প্রবাহিত হয় না। কারণ পৃথিবীর অন্য সকল বস্তুর মত আগুনের বেলাতেও অভিকর্ষ সমানভাবে কার্যকর!আরও একটু উদ্ভট শোনালেও সত্যি যে অভিকর্ষজ বল কাজ করে বলেই আগুনের শিখা উপরের দিকে উঠে। এমনটা হয় কারণ যখন আগুন জ্বলে তখন তাপ উৎপন্ন হয় বলে আগুনের আশেপাশের বাতাস উত্তপ্ত হয়ে হাল্কা হয়ে যায়। তখন চারপাশের( বিশেষত উপরের দিকের) যে তুলনামূলক ভারী ও ঠান্ডা বাতাস আছে তা সেই আগুনের নিকটবর্তী হালকা বাতাসের যায়গায় এসে হালকা ও গরম বাতাসটিকে উপরের দিকে ঠেলে দেয় আর নিজে সেই জায়গা দখল করে ফেলে। এখানে অভিকর্ষজ বল কাজ করে বলেই ঠান্ডা বাতাস নিচে নেমে আসে আর গরম বাতাসকে উপরে ঠেলে দেয়। তাই আমরা দেখি আগুনের শিখা তথা আগুন উপরের দিকে উঠে।

এখন যদি কোনভাবে অভিকর্ষকে নাই করে দিয়ে আগুন জ্বালানো হয় তাহলে কী হতে পারে -জানেন কি? এরকম পরিস্থিতিতে আগুনের শিখা কিন্তু উপরের দিকে যাবে না, চারপাশে বৃত্তাকারে ছড়িয়ে পড়বে, মনে হবে একটা আগুনের বল জ্বলছে। চাইলে এমন পরীক্ষা মহাশূন্যে করে দেখতে পারেন!

 

আপনার প্রশ্নটি ভালো। তবে আমি বেশী অবাক হয়েছি এই প্রশ্নের অন্যন্য উত্তরগুলো দেখে। তারা এত জ্ঞানী যে, সহজ একটি বিষয় জটিল করে তুলেছে। বারবার আইনেস্টাইনের সেই কথাটা মনে পড়ে - তুমি যদি কোন জিনিস সহজভাবে বোঝাতে না পারো, তার মানে, তুমি নিজেই জিনিসটা ভালো বোঝ না।

পদার্থবিজ্ঞানের একেবারে প্রাথমিক জ্ঞান - পদার্থ কি? একজন ৫ম শ্রেনীর শিশুরও এটা জানার কথা। পদার্থ হল- যার আয়তন আছে, ওজন আছে, স্থান দখল করে, বল প্রয়োগ করলে বাধা দেয়। পানি, গ্যাস, বাতাস, ইত্যাদি সবই পদার্থ। তবে, আগুন কোন পদার্থ নয়। আগুনের আয়তন ও ওজন নেই, এটি স্থান দখল করে না, বল প্রয়োগ করলে বাধা দেয় না।

পদার্থ নয়, এমন আরো জিনিস আছে, যেমন আলো, শব্দ, তাপ ইত্যাদি। এগুলো কিন্তু পৃথিবীর মধ্যকর্ষণ শক্তি টানে না। কারন একটাই, এমন টানাটানি (আকর্ষণ) করতে হলে, জিনিসটি অবশ্যই পদার্থ হতে হবে। আগুন কোন পদার্থ নয়, এটাকে পৃথিবীর মধ্যকর্ষণ শক্তি টানে না।

তবে, আগুন উপরে উঠার পেছনে মধ্যকর্ষণ শক্তির ভুমিকা রয়েছে। আগুনের আশেপাশে বাতাস ঘিরে থাকে। সেই বাতাসের গরম অংশ হালকা হয়ে উপরে ভেসে ওঠে, আর ঠান্ডা ও ভারী অংশ পৃথিবীর মধ্যকর্ষণ শক্তি টানে নীচে নামে। চারিদিকের বাতাসের এমন অবিরাম ওঠা-নামার ফলে চারপাশ থেকে চাপ লেগে, আগুনের শিখা অমন লম্বা হয়ে যায়। মহাশূন্যে মধ্যকর্ষণ শক্তি টানে না, বাতাস ওঠা-নামা করে চাপ দেয় না। এই কারনে, মহাশূন্যে আগুনের শিখা গোল হয়ে জ্বলে (উপরে ছবি দেখুন)

সাধারনত সমভূমিতে দূরত্ব এবং গতি পরিমাপের জন্য মাইল বা কিলোমিটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে, কিন্তু নাবিকরা/বৈমানিকরা নৌযান/আকাশযানে চলার সময় পরিমাপের জন্য নটিক্যাল মাইল (nautical mile) এবং নট ব্যবহার করেন।

সমুদ্রে এবং আকাশের গণনাগুলিতে, বিধিবদ্ধ পরিমাপটি বিশেষ তাৎপর্যের একটি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য হিসাবে ব্যবহার হয়। সমুদ্রের নটিক্যাল মাইল এবং নটগুলির ব্যবহার করে মেরিনারা অক্ষ্যাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ ব্যবহার করে চার্টগুলি দ্রুত পড়তে পারে।

বর্তমানে, নটিক্যাল মাইলটি আকাশ এবং সমুদ্রের নেভিগেশনে পরিমাপের একক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

০১ নটিক্যাল মাইলটি =০১.১৫ মাইল=০১.৮৫ কিলোমিটার।

নিরক্ষীয় অঞ্চলে (the equator) পৃথিবীকে কাল্পনিক অর্ধেক বরারব কেটে নেওয়ার হলে যে বৃত্তের পরিধি পাওয়া যাবে, তাকে (৩৬০x৬০ বা ২১৬০০) দ্বারা ভাগ করলে, যে চাপ (Arc) পাওয়া যাবে তাই ১ নটিক্যাল মাইল। তর্কের খাতিরে এটিকে বক্ররেখা বলা যেতে পারে। আর আমরাও এই একই তল-পৃষ্ঠে বসবাস করছি।