Recent Post
Loading...

বীট লবন-এর গুনাগুন্ কী কী?

বিট লবণ যাকে বলা হয়ে থাকে ‘রক সল্ট’ কিংবা ব্ল্যাক সল্ট’। যার আরেকটি নাম সুলেমানী সলন; (উর্দু: نمک کالا, নেপালি: বিরে নুন, হিন্দী: কালো salt, মারাঠি: কালাম মথ; গুজরাটি: সংচল, তামিল: இந்துப்பு, মালয়ালাম: ഇന്തുപ്പ്) এক ধরনের খনিজ সিল। সাধারণত বিটলভন বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এর নিকটবর্তী হিমালয় লবণ সমৃদ্ধ থেকে মাটিতে নিচের পাথর আকারে উত্তোলন করা হয়। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত ও নেপালে এই লবন খনি আছে।সাধারণ লবনের মত এইখানেও সোডিয়াম ক্লোরাইড থাকে যা টক ভাব আনতে সাহায্য করে তবে, এর সাথে আরো যুক্ত হয় আইরন সালফাইট যা এর ধুসর রং আনতে সাহায্য করে আরেকটা হলো হাইড্রোজেন সালফাইট(পচা ডিমের মত গন্ধ) ,যা এর কটু গন্ধ আনার ক্ষেত্রে দায়ী ! আর সাধারণ লবনের সাথে দোষ-গুন বলতে তেমন কিছু নেই তবে, এইটাকে যাদের হাই ব্লাড প্রেসার আছে তাদের জন্য ভালো বলা হয় কারণ, এইখানে সোডিয়াম এর মাত্রা কম থাকে ! তবে, এখনকার বিট লবনে এই সোডিয়াম নাকি নিয়ন্ত্রণে রাখেনা সাধারণ লবনের মতই থাকে কাজেই, হাই ব্লাড প্রেসার মানুষদের জন্য খুব একটা সুবিধা করতে পারবেনা !

পেটের সমস্যা দূর করে

খাদ্য পরিপাকজনিত সমস্যা, পেটে গ্যাস হওয়া, বুক জ্বালাপোড়া করা এমনকি কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে বিট লবণ। 

ক্ষুধাভাব কমায়

ওজন কমানোর চেষ্টায় থাকলে বিট লবণ ভালো একটি সহায়ক হতে পারে। ঘনঘন ক্ষুধাভাব কমানোর জন্য বিট লবণ উপকারি।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

সাদা লবণ যেখানে রক্তচাপ বৃদ্ধির জন্য দায়ী, সেখানে বিট লবণ উচ্চরক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে। এমনকি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে সাদা লবণের পরিবর্তে বিট লবণ খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা।

ঘুমের সমস্যা কমায়

রাতে ভালো ঘুম না হলে অথবা ইনসমনিয়ার সমস্যা থাকলে নিয়মিত বিট লবণ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ঘুমের সমস্যা মূলত দেখা দেয় শরীরে মেলাটোনিনের মাত্রার তারতম্য দেখা দিলা। বিট লবণ এই মেলাটোনিনের মাত্রাকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে।

ঠাণ্ডার সমস্যায় উপকারি

সাইনাসের সমস্যা, শুকনা কাশি, গলাব্যথ্যা কিংবা ঠাণ্ডা সর্দির সমস্যায় গরম পানির সঙ্গে বিট লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে উপকার পাওয়া যাবে।

ক্লান্তি দূর করে

কর্মব্যস্ত সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে এক গ্লাস পানি বিট লবণ ও এক টুকরো লেবু মিশিয়ে পান করুন। দেখবেন মুহূর্তেই চাঙ্গা বোধ করছেন।

ত্বকের সুরক্ষায় বিট লবণ

স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা তো জানানো হলো, এবার জানুন বিট লবণ ব্যবহারে ত্বকের উপকারিতা। এই লবণ ত্বকের উপরিভাগের ময়লা ও মরা চামড়া দূর করতে প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে। এছাড়া, বন্ধ রোমকূপ খুলে ভেতরের ময়লা দূর করে ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এনে দিতেও দারুণ কার্যকর বিট লবণ।


বীট লবন তার অনন্য স্বাদ এবং গন্ধের জন্য প্রচলিত। অনেক ডাক্তার আর স্বাস্থ্যবিদ এই লবন খাবারে ব্যবহার করতে বলেন তার ঔষধ গত গুনা গুনের জন্য। এটি একাধারে অম্বল ও গ্যাস-নাশক, হজমী ছাড়াও ক্যান্সার এবং হৃদরোগ ঘটানো পদার্থ গুলিকে শরীর থেকে দূর করে।

শরীরের গাঁটে ব্যাথা, ডায়বেটিস, ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ড জনিত সমস্যা গুলির উপশম ঘটায়। এ ছাড়াও খিদে আনে, বিষণ্নতা দূর করে, দুটি হরমোন melatonin(মেলাটনিন ) এবং serotonin(সেরোটোনিন) যা আমাদের মস্তিষ্কের শান্তি ও ঘুম সৃষ্টি করে তাদের সমতা বজায় রাখে এই লবণ।

ভেষজ শাস্ত্রে এর আরো অনেক অকথিত গুনাগুন আছে। সেকারণে রোজ বীট লবন সেবন করলে আমরা নানা বিধ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। তবে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন ৮ গ্রামঃ/দিন এর বেশি না হয়। সব কিছুরই বেশি মাত্রা নয় তাহলে তার দোষগুলি প্রভাব ফেলবে।

উচ্চ রক্তচাপ যুক্ত ব্যাক্তি দের এই লবন খাওয়া নিষেধ, বা খেলেও তা মাত্রায় খুব সামান্য (৪ গ্রামঃ/দিন এর চেয়েও কম)।

বীট নুন সাধারণ লবণের তুলনাই অনেক তাই এগিয়ে যদি তা নিয়মিত ও নিয়ন্ত্রিত ভাবে খাওয়া হয়। তাই বলে সাধারণ খাদ্য লবন(NaCl ) কে ভুলে গেলে চলবে কিভাবে ? তার থেকে পাওয়া আয়োডিন (I) আমাদের শরীরের যথেষ্ট প্রয়োজনীয় উপাদান। আর আমাদের মস্তিষ্কের নার্ভের মধ্যে যে তথ্য আদান প্রদান হয় তার প্রধান প্রবাহী হলো (Na-K pump) সোডিয়াম যা মেলে সাধারণ লবন থেকে।

বীট লবনের দাম সে অর্থে যথেষ্ট উর্দ্ধগামী এবং সবজায়গায় মেলেনা তাই অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা আপনারই দায়িত্ব।

0 comments:

Post a Comment