সেখানে যেমনটি বলেছি একটি লবণের জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় কি এসিডিক তা বুঝতে এদের আর্দ্রবিশ্লেষণে উৎপন্ন আয়ন নিয়ে হিসাব নিকাশ করতে হয়।
বলে রাখা ভালো, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড পানিগ্রাহী তাই এটি দুই অণু পানির সাথে ডাইহাইড্রেট হিসেবে থাকতে পছন্দ করে।
এক্ষেত্রে এই হিসাবটা হবে এমন-
দেখাই যাচ্ছে, এখানে প্রাপ্ত ক্ষার আর এসিডের দুইটাই শক্তিশালী এবং H+ আর OH- আয়নের সংখ্যা সমান সমান তাই এই ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড লবণের জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি ক্ষারীয় বা এসিডিক কোনটাই না হয়ে হবে, নিরপেক্ষ।
যেহেতু ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড লবণ অর্থাৎ নিরপেক্ষ পদার্থ এবং এর দ্রবণ প্রস্তুত করে আমার সমসংখ্যক হাইড্রোজেন আয়ন এবং সমসংখ্যক হাইড্রোক্সিল আয়ন পাই। সেহেতু ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড এর জলীয় দ্রবণ না ক্ষারীয়, না এসিডিক, শুধুমাত্র নিরপেক্ষ।
CaCl2 তো একটা লবণ।এটার জলীয় দ্রবণ ক্ষার আর এসিডের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়। আর এটাতে জানি যে ক্ষার ও এসিডের বিক্রিয়াকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে।
Ca(OH)2+ 2HCl = CaCl2+ 2H2O
Ca(OH)2 বা ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড হলো বা কলিচুন বা স্লেকড লাইম হলো ক্ষার আর HCl বা হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাসের জলীয় দ্রবণ বা হাইড্রোক্লোরিক হলো একপ্রকার শক্তিশালী এসিড। এদের বিক্রিয়ায় লবণ CaCl2 পাওয়া গিয়েছে।
0 comments:
Post a Comment