সাগরের লোনা পানি থেকে প্রথমেই যে লবণ পাই সেটা হলো সামুদ্রিক লবণ আর এই লবণকেই পরিশোধিত করে প্যাকেটজাত লবণ হলো আমরা যে লবণ খাওয়ার কাজে ব্যবহার করি।
লবণ প্রধানত হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) সেটা প্যাকেটের হোক আর সমুদ্রেরই হোক। কিন্তু কিছু বিষয়ে এদের মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
আসল সামুদ্রিক লবণ দেখতে এরকম।
এটা হিমালায়ান সল্ট, দেখতে কিছুটা সামুদ্রিক লবণের মতো।
আর এমনিতে আমরা যে লবণ ব্যবহার করি, টেবিল সল্ট, এটা হলো পরিশোধিত সামুদ্রিক লবণ।এটা দেখতে কিরকম সেটা নিশ্চয়ই সবাই জানেন। আমরা বাঙালী, লবণ ছাড়া কিছুই চলে না।তাহলে সামুদ্রিক লবণ আর টেবিল লবণের পার্থক্য দেখা যাক—
১. সামুদ্রিক লবণের দানা বড় আর টেবিল সল্টের দানা মিহি।
২. সামুদ্রিক লবণে কিছু খনিজ পদার্থ থাকলেও প্রয়োজনীয় সবকিছু থাকে না। সেজন্য এই লবণ পরিশোধিত আর বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ ( যেমন আয়োডিন I) যোগ করে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়।
৩. সামুদ্রিক লবণ সবসময়ই একেবারে সাদা হবে এরকম হয় না। এটা সাদা, হলদে, গোলাপি কিংবা লাল বিভিন্ন রংয়ের হতে পারে। অপর দিকে টেবিল সল্ট দেখতে ধবধবে সাদা।
লবণের আসল উপাদান যেটা, NaCl, এটা থাকলেই হলো। তবে যদি বাড়তি পুষ্টি উপাদান পেতে চান তাহলে টেবিল সল্ট খাওয়াই ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত লবণ খাওয়া ভালো নয়।
0 comments:
Post a Comment