Recent Post
Loading...

 ক্ষারক হলো মূলত ধাতব অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড। NaOH, KOH, Ca(OH)2, Al(OH)2

কিছু কিছু ক্ষারক আছে যারা পানিতে দ্রবীভূত হয় আর কিছু আছে যারা দ্রবীভূত হয় না। যে সমস্ত ক্ষারক পানিতে দ্রবীতূত হয় তাদেরকে বলে ক্ষার। তাহলে ক্ষার হলো বিশেষ ধরনের ক্ষারক। NaOH, KOH, Ca(OH)2 এরা সবাই ক্ষার। এরা কিন্তু ক্ষারকও।

পক্ষান্তরে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড [Al(OH)2] কিন্তু পানিতে দ্রবীভূত হয় না। তাই এটি একটি ক্ষারক হলেও ক্ষার নয়।


ক্ষারক হলাে মূলত ধাতব অক্সাইড CaO বা হাইড্রোক্সাইড [NaOH, KOH, Ca(OH)₂, Al(OH)₃ ] ।ক্ষারক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।

NaOH একটি ক্ষারক ,কারণ এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ পানি উৎপন্ন করে। বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ:


NaOH একটি ক্ষারক ,কারণ এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ পানি উৎপন্ন করে। বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ:



NaOH +HCl = NaCl +H₂O


এখানে,

●NaOH =ক্ষারক


●HCl =এসিড বা অম্ল


●NaCl = লবণ


●H₂O =পানি


এবার কথা হল ,কিছু কিছু ক্ষারক আছে যারা পানিতে দ্রবীভূত হয় না আর কিছু ক্ষারক আছে যারা দ্রবীভূত হয় ।


যে সব ক্ষারক(Base) পানিতে দ্রবীভূত হয়, তাদেরকে বলে ক্ষার বা অ্যালকালি(Alkali)। তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে, ক্ষার হতে গেলে ক্ষারক কে(Base)অবশ্যই পানিতে দ্রবীভূত হতে হবে।



মনে রাখতে হবে যে ক্ষার হলাে বিশেষ ধরনের ক্ষারক। NaOH, KOH, Ca(OH)₂ এরা সবাই ক্ষার এবং ক্ষারক  (উভয়)। কারণ এরা দুটি শর্ত পালন করছে। এক, এরা এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ পানি উৎপন্ন করে।দুই, এরা পানিতে দ্রবীভূত হয়।




অপরদিকে, অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড, Al(OH)₃ , একটি ক্ষারক কিন্তু অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত হয় না। যেহেতু অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত হয় না, সেহেতু ক্ষার হওয়ার শর্ত অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড পূরণ করতে ব্যর্থ ।তাই অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড একটি ক্ষারক হলেও ক্ষার নয়।


সুতরাং আমরা বলতে পারি,সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয় ।আবার CuO একটি ক্ষারক কিন্তু ক্ষার নয় ।


সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয় ব্যাখ্যা কর




প্যালাডিয়ামের ইলেকট্রন সংখ্যা 46।

তাহলে আউফবাউ নীতি অনুসারে প্যালাডিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস:

Pd(46)->

1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 3d10 4s2 4p6 4d8 5s2

কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, প্যালাডিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস:

Pd(46)->

1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 3d10 4s2 4p6 4d10

এর কারণ হলো, একই উপশক্তিস্তর p ও d এর অরবিটারগুলো অর্ধপূর্ণ (p3, d5) বা সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ (p6, d10) অবস্থায় অধিকতর সুস্থিত হয়।

4d অরবিটালকে সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ করার মাধ্যমে প্যালাডিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাসকে সুস্থিত করার জন্য 5s অরবিটাল থেকে 2টি ইলেকট্রন 4d অরবিটালে গমন করে। এর ফলে প্যালাডিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাসে 4d অরবিটালে 10টি এবং 5s অরবিটালে 0টি ইলেকট্রন দেখা যায়।

এ কারণেই প্যালাডিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাসটা একটু বেতিক্রম।

প্যারাফিন শব্দের অর্থ আসক্তিহীন । অ্যালকেনকে প্যারাফিন বলা হয় ।কারণ অ্যালকেনসমূহ C-H এবং C-C গুলো খুব শক্তিশালী ও স্থায়ী হওয়ায় এরা তীব্রএসিড ,ক্ষারক ,জারক, বিজারক ইত্যাদির সাথে বিক্রিয়া করতে পারে না অর্থাৎ অ্যালকেন সমূহ রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয় এর জন্য এদেরকে বলা হয়।

 মৌলের ক্ষুদ্রতম কণাকে পরমাণু বলা হয়।আর যৌগের ক্ষুদ্রতম কণাকে আণু বলে।আবার পরমাণুকে ভাঙলে প্রোটন, ইলেক্ট্রন ও নিউট্রন পাওয়া যায়। কিন্তু সম্প্রতি জানা গেছে প্রোটন, ইলেক্ট্রন ও নিউট্রনকে ও ভাঙা যায়।

 

[1] নাইট্রোজেনকে অ্যাজোট মৌল বলা হয় কেন তা জানতে হলে অন্তত কয়েক শতাব্দী পিছিয়ে যেতে হবে।

সালটি ছিল ১৭৭২,

সুইজারল্যান্ডের একজন রসায়নবিদ ডেনিয়েল রাদারফোর্ড

[2] সর্বপ্রথম নাইট্রোজেন গ্যাস আবিষ্কার করেন ।

তবে তখনো গ্যাসটির নামকরণ করা হয়নি।

নাইট্রিক এসিড ও নাইট্রেট এ উক্ত গ্যাসটির উপস্থিতির কারণে ফ্রান্সের রসায়নবিদ Jean-Antoine Chaptal এর নাম দেন nitrogène অর্থ্যাৎ নাইট্রোজেন।

কিন্তু বিখ্যাত রসায়নবিদ Antoine Lavoisier, যিনি অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের নামকরণ করেন, তিনি এই গ্যাসটির নাম দেন azote.

Azote শব্দটির অর্থ প্রাণহীন। আর, নাইট্রোজেন একটি গ্যাস যা একটি অজৈব যৌগ। এর প্রাণ নেই।

এক কথায় বলতে গেলে নাইট্রোজেনের অপর একটি নাম হলো অ্যাজোট।

তাই, নাইট্রোজেনকে অ্যাজোট মৌল বলা হয়।

 BCl3 অণুতে B হচ্ছে কেন্দ্রীয় মৌল।Bএর শেষ কক্ষপথের ৩ টি ইলেক্ট্রন এর সাথে ৩ টি Cl যুক্ত হয়। Cl ও B সমযোজি বন্ধনের সাহায্যে আবদ্ধ থাকে। এখানে বোরনের শেষ কক্ষপথে ৬টি ইলেক্ট্রন হয় এবং বোরন 'দুই এর নিয়ম' অনুসারে স্থীতিশীলতা লাভ করে।

অন্যদিকে ক্লোরিন শেষ কক্ষপথে অষ্টক লাভের মাধ্যমে স্থীতিশীলতা লাভ করে।

BCl3 যৌগে মুক্ত জোড় ইলেক্ট্রন আছে ৯ টি এবং যৌগ টি অনেকটা ত্রিভুজ আকৃতির।



কোনো যৌগের মধ্যে যে পরমাণুর জারণ সংখ্যা বেশি সেই পরমাণু টি হলো ওই যৌগের কেন্দ্রীয় পরমাণু বা মৌল।

কেন্দ্রীয় পরমাণু মূলত যৌগের সংকেতের মধ্যে বিদ্যমান থাকে।যেমন : FeSO4 বা ফেরাস সালফেট এর সংকেত থেকে যদি কেন্দ্রীয় পরমাণুর জারণ সংখ্যা বের করতে বলে,তবে সংকেতটির পরমাণুর জারণ সংখ্যা বের করে দেখতে হবে।

ফেরাস সালফেট এর Oxygen এর জারণ মান -২

Ferrum এর জারণ মান +২

Sulphur এর জারণ মান আসুন বের করি। Let, জারণ মান of Sulphur is x. FeSO4 যৌগের নিষ্ক্রিয় অবস্থায় জারণ মান ০।

তাই,

2 + (x) + ( -2 × 4) = 0

So, x = -6

দেখা যাচ্ছে যে, Fe এর জারণ মান সবচেয়ে বেশি। তাই, Fe হবে এই যৌগের কেন্দ্রীয় পরমাণু।

আমরা জানি যে, পর্যায় সারণির গ্রুপ 3(IIIB)-12(IIB) পর্যন্ত মৌলগুলোকে d-ব্লক মৌল বলে। এই d-ব্লক মৌল সমূহের মধ্যে যে সব মৌলের সুস্থিত আয়নের ইলেকট্রন বিন্যাসে d-অরবিটাল ইলেক্ট্রন দ্বারা আংশিক পূর্ণ থাকে( d¹‐⁹) অর্থাৎ একেবারে শূন্য হবে না আবার একেবারে পূর্ণ হবে না, তাদের অবস্থান্তর মৌল বলে। যেমন: Fe( আয়রন) একটি অবস্থান্তর মৌল ।এর ইলেকট্রন বিন্যাস- Fe(26)=1s²2s²2p⁶3s²3p⁶4s²3d⁶। এর সুস্থিত আয়ন অর্থাৎ অধিক স্থিতিশীল আয়নের এর ইলেকট্রন বিন্যাস -Fe^+2(26)=1s²2s²2p⁶3s²3p⁶3d⁶ এখানে d- অরবিটালে 6টি ইলেকট্রন আছে যা আংশিক পূর্ণ অর্থাৎ এটি অবস্থান্তর মৌল। আবার Zn(জিংক) অবস্থান্তর মৌল নয় কেননা এর সুস্থিত আয়নের ইলেকট্রন বিন্যাসে d-অরবিটাল 10টি ইলেক্ট্রন দ্বারা পূর্ণ-Zn^+2(30)=1s²2s²2p⁶3s²3p⁶3d¹⁰। অবস্থান্তর মৌল সমূহ কিছু বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে ।যেমন: পরিবর্তনশীল জারণ অবস্থা প্রদর্শন, প্রভাবক রূপে ক্রিয়া, জটিল আয়ন গঠন, রঙিন যৌগ গঠন ও প্যারাচুম্বকত্ব ধর্ম প্রদর্শন করে থাকে যা অন্যান্য d-ব্লক মৌল যারা অবস্থান্তর মৌল নয় তারা প্রদর্শন করতে পারে না।

d ব্লকের যেসব মৌলের কোনো সুস্থিত আয়নের d অরবিটাল আংশিক ভাবে (যেমন —d1-9) e- দ্বারা পূর্ণ থাকে, তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল বলে।

Fe2+(26) — [Ar] 3d6

Fe3+(26)— [Ae] 3d5

এখানে Fe আয়নের e-বিন্যাস থেকে দেখা যায়, এর d অরবিটাল আংশিক পূর্ণ। তাই Fe মৌলটি অবস্থান্তর।


যেসকল d- ব্লক মৌলের কোন স্থিতিশীল আয়নের সর্ববহিঃস্থ d-অরবিটালের ইলেকট্রনীয় কাঠামো আংশিক পূর্ণ অর্থাৎ d¹ - d⁹ ইলেকট্রনীয় কাঠামো থাকে তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল বা অবস্থান্তর ধাতু বলে।

যেমনঃ

Fe²+(26) ---> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 3d⁶

Fe²+ স্থিতিশীল আয়নের ইলেকট্রন বিন্যাস করলে দেখা যায়, বহিঃস্থ d- অরবিটাল আংশিক পূর্ণ থাকে। কাজেই বলা যায় Fe²+ একটি অবস্থান্তর মৌল।

Cacl2 কি অবস্থান্তর মৌল?

নাহ,ক্যলাসিয়াম ক্লোরাইড একটি সাধারণ লবন।

d- ব্লকভুক্ত যেসকল মৌলের ইলেক্ট্রন বিন্যাসে d- অরবিটাল আংশিক পুর্ণ থাকে তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল।


 এই ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থাকুন… ঘড়িটা নড়ছে…

ধীরে ধীরে কল্পনা করুন আপনি এমন কোথাও আছেন যেখানে আপনার আশেপাশে কেউ নেই। আপনি মনকে ধীরে ধীরে শান্ত করুন… আপনি হাঁটছেন ধুধু মরুভূমির মাঝে। বালির উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন কিন্তু গরম অনুভূত হচ্ছে না! আপনি শান্তভাবে হেঁটে যাচ্ছেন। আপনার মনে অন্য কোন কিছুই আর ঘুরপাক খাচ্ছে না… আপনার মনের ব্যথা কমছে…

থাক… এভাবে অনেক কিছুই বানিয়ে বলতে পারবো আর গল্প শুরু করলে চলতেই থাকবে! 😁 অনেকেই সম্মোহন বলতে এমন কিছুই বোঝেন। সিনেমাতেও এমন কিছুই দেখানো হয়। আসলে ব্যাপারটা তেমন না।


👉সম্মোহন বা হিপনোসিস হল প্রস্তাবনা, তীব্র আবেগ ও কল্পনা শক্তি দ্বারা অন্যের মনকে প্রভাবিত করা এবং পরিচালনা করা।

এটি এক ধরনের চরম প্রস্তাবনা, শিথিলতা এবং তীব্রতার কল্পনা শক্তির দ্বারা একটি অস্বাভাবিক স্বপ্নায়ন মোহগ্রস্তের অবস্থার বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে। যা অনেকটা ঘুমের মত মনে হলে আসলে ঘুম নয়। কারণ বিষয়টি পুরো সময়জুড়ে সজাগ থাকে। অধিকাংশ সময় একে দিবা স্বপ্নের মত মনে হয়। হিপনোসিস চলাকালীন সময়ে মস্তিষ্কের সচেতন অংশকে সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঐ ব্যক্তির বিক্ষিপ্ত চিন্তাগুলোকে কেন্দ্রীভূত করা হয় এবং তাকে রিলাক্স করার দিকে মনোনিবেশ করা হয়। যখন আমাদের মন কোন একটি দিকে নিবিষ্ট হয়, কেন্দ্রীভূত হয় তখনই আমরা শক্তি অনুভব করি।

ধরুন, আপনি বই পড়ছেন, পড়তে পড়তে এমন অবস্থা হলো আপনি তার মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেললেন…আশেপাশে কি ঘটছে তার কোনো খেয়াল আপনার নেই। বইয়ের প্রতিটি চরিত্রের সাথে মিশে গেলেন। সম্মোহনের ব্যাপারটা তেমনই, আপনার মনকে অন্যান্য চিন্তা থেকে সরিয়ে একটা নির্দিষ্ট দিকে নিয়ে আসা হয়। এটা নাকি নিজে নিজের উপরও করা যায়!!

সেরিব্রাল কর্টেক্স জার্নালে প্রকাশিত ২০১৬ সালের গবেষণা হিসাবে, একটি সম্মোহিত মস্তিষ্কের তিনটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

  • প্রথমত, ডোরসাল এন্টিরিয়র সিঙ্গুলেটের কার্যকলাপ হ্রাস পায়, যা জ্ঞান এবং মোটর নিয়ন্ত্রণে জড়িত একটি অঞ্চল।
  • দ্বিতীয়ত, ডোরসোলেটারাল প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স এবং ইনসুলার মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি পায়, যা একটি মস্তিষ্ক-দেহের সংযোগ গঠন করে যা মস্তিষ্কের প্রক্রিয়া এবং শরীরে কী ঘটছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
  • অবশেষে, ডোরসোলেটারাল প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স এবং ডিফল্ট মোড নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগ হ্রাস করা হয়, যা সম্ভবত একজন ব্যক্তির কর্ম এবং সেই কর্মগুলির সচেতনতার মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

এটা কি প্লাসিবো ইফেক্ট?

সম্ভবত… কিন্তু সম্মোহনের সময় মস্তিষ্কের কার্যকলাপে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখা যায়। এটি বোঝায় যে মস্তিষ্ক সম্মোহনের প্রতি একটি অনন্য উপায়ে প্রতিক্রিয়া জানায়, যা একটি প্লাসিবো প্রভাবের চেয়ে শক্তিশালী। নির্দেশিত কথোপকথন বা যে কোন ধরনের আচরণগত থেরাপি আচরণ এবং অনুভূতির উপর শক্তিশালী প্রভাব ফেলতে পারে।

ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকলে মনে হবে এটা ঘুরছে!

হিপনোসিস চলাকালীন সময়ে মস্তিষ্কের সচেতন অংশকে সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে ঐ ব্যক্তির বিক্ষিপ্ত চিন্তাগুলোকে কেন্দ্রীভূত করা হয় এবং তাকে রিলাক্স করার দিকে মনোনিবেশ করা হয়। যখন আমাদের মন কোন একটি দিকে নিবিষ্ট হয়, কেন্দ্রীভূত হয় তখনই আমরা শক্তি অনুভব করি। যখন কোন ব্যক্তি সম্মোহিত হয় তখন আমরা তার মাঝে কিছু শারীরিক পরিবর্তন ও লক্ষ্যনীয় হয়। যেমন তার নাড়ীর স্পন্দন ও কমে যায়, শ্বাস প্রশ্বাস ও কমে যায়। সেই সাথে তার মস্তিষ্কের আলফা স্তরে ঢেউ খেলতে থাকে। এই সময়ে ঐ ব্যক্তিকে কোন একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে বা বিশেষ কোন নির্দেশনা প্রদান করা হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।

অনেকে এটির প্রভাবে হালকা থেকে মাঝারি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে পারে। যার মধ্যে রয়েছেঃ

  • মাথা ব্যাথা
  • তন্দ্রা
  • মাথা ঘোরা
  • পরিস্থিতিগত উদ্বেগ

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই বিদ্যাকে ব্যবহার করতেন ইংল্যাণ্ডের ডাক্তার এস ডেল। তিনি সম্মোহনের সাহায্যে রোগীকে ঘুম পাড়িয়ে দাঁত তুলতেন, ছোটখাট অপারেশনও করতেন। কিন্তু তারপরেও অনেক ডাক্তারই এর ব্যবহার নিয়ে নিশ্চিত নন। তারা এটার ব্যবহার করতে নিষেধ করেন।

যেহেতু এর ব্যবহার চিকিৎসা বিজ্ঞানে হচ্ছে তাই বুঝতে পারছেন বিজ্ঞানে এর গ্রহনযোগ্যতা আছে।

ব্রিটিশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক নিযুক্ত একটি কমিটি বিস্তর অনুসন্ধানের পর রায় দেয় হিপনোটিজম একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি। এরপর যত দিন এগিয়েছে তাবড়-তাবড় চিকিৎসক-বিজ্ঞানীরা এই বিদ্যাটির বিষয়ে অত্যুৎসাহী হয়ে পড়েছেন। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে নিত্যনতুন গবেষণা। অতএব এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে সম্মোহন বা হিপনোটিজম একটা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। পৃথিবীতে অনেককিছুই যুক্তিযুক্ত ভাবে ঘটে কিন্তু মানুষের ঘটে সরাসরি সেই যুক্তি খুব সহজেই পৌছেনা বলেই সময় নিয়ে সেটা গবেষণা করে যুক্তি বের করে নয়ত, দৈব কোনকিছু বলে ছুড়ে ফেলে দেয়। জেনে রাখুন, হিপনোটাইজড সবাইকেই করানো সম্ভব। অনেকে মনে করেন, প্রবল ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন মানুষকে হিপনোটাইজ করা যায় না। এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। হিপনোথেরাপি পদ্ধতি খুব সহজ।অবশ্য হিপনোথেরাপির আসল জোর মোটেই পদ্ধিতে নয়, সাজেশনে। হিপনোথেরাপির উদ্দেশ্য কাউকে হিপনোটাইজ করা নয়, রোগীকে তাঁর সমস্যা থেকে উদ্ধার করা। হিপনোথেরাপি হল “প্রোগ্রামিং অফ সাবকনসাস মাইন্ড”। এটা অনেক দ্রুত পদ্ধতি, যা কিনা সমস্যার মূলে সরাসরি হিট করতে পারে। তবে সাজেশন ঠিকঠাক না-হলে মনের প্রোগ্রামিংয়ে হয়ে যেতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে একটা-দুটো অতিরিক্ত শব্দ গ্রহণ বা বর্জন সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে। অতএব যথেষ্ট অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত হিপনোথেরাপিস্ট ছাড়া অন্য কারও কাছে থেরাপি নেওয়া উচিত নয়। বহু রকমের অসুখ-বিসুখ সারানো সম্ভব হিপনোথেরাপির মাধ্যমে। সারানো যায় বললে কম বলা হয়, বলা উচিত এক্কেবারে নির্মূল করা যায়, তাও বিনা ওষুধে। [1]

সম্মোহন কি কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে?

  • দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা অবস্থার চিকিত্সা যেমন রিমিটয়েড আর্থ্রাইটিস
  • শিশুর জন্মের সময় চিকিত্সা এবং ব্যথা হ্রাস
  • ডিমেনশিয়া এর উপসর্গ হ্রাস
  • ADHD এর নির্দিষ্ট লক্ষণগুলির জন্য হাইপোথেরাপি সহায়ক হতে পারে
  • কেমোথেরাপি চলাকালীন ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে বমি বমি ভাব ও বমি বমি ভাব
  • ডেন্টাল পদ্ধতির সময় ব্যথা নিয়ন্ত্রণ
  • ওয়ারস এবং সেরিয়াসিসসহ ত্বকের অবস্থার অবসান বা হ্রাস
  • তিক্ত আন্ত্রন সিন্ড্রোম সঙ্গে উপসর্গ অ্যাসোসিয়েশন নির্মূল
  • মানুষের আচরণ পরিবর্তন যেমন, ধূমপান ত্যাগ, ওজন হ্রাস, বা বিছানা ভেজা প্রতিরোধ হিসাবে মানুষের সাহায্য করা।

সম্মোহন মামুলি ব্যাপার না। ভিডিওটা দেখলে বুঝবেনঃ

তো এ পর্যন্তই। উত্তরটা কিছুটা বড় হয়ে যাওয়ায় আমি নিজেই হিপনোটাইজের কবলে পড়লাম-