ক্ষারক হলো মূলত ধাতব অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড। NaOH, KOH, Ca(OH)2, Al(OH)2
কিছু কিছু ক্ষারক আছে যারা পানিতে দ্রবীভূত হয় আর কিছু আছে যারা দ্রবীভূত হয় না। যে সমস্ত ক্ষারক পানিতে দ্রবীতূত হয় তাদেরকে বলে ক্ষার। তাহলে ক্ষার হলো বিশেষ ধরনের ক্ষারক। NaOH, KOH, Ca(OH)2 এরা সবাই ক্ষার। এরা কিন্তু ক্ষারকও।
পক্ষান্তরে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড [Al(OH)2] কিন্তু পানিতে দ্রবীভূত হয় না। তাই এটি একটি ক্ষারক হলেও ক্ষার নয়।
ক্ষারক হলাে মূলত ধাতব অক্সাইড CaO বা হাইড্রোক্সাইড [NaOH, KOH, Ca(OH)₂, Al(OH)₃ ] ।ক্ষারক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।
NaOH একটি ক্ষারক ,কারণ এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ পানি উৎপন্ন করে। বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ:
NaOH +HCl = NaCl +H₂O
এখানে,
●NaOH =ক্ষারক
●HCl =এসিড বা অম্ল
●NaCl = লবণ
●H₂O =পানি
এবার কথা হল ,কিছু কিছু ক্ষারক আছে যারা পানিতে দ্রবীভূত হয় না আর কিছু ক্ষারক আছে যারা দ্রবীভূত হয় ।
যে সব ক্ষারক(Base) পানিতে দ্রবীভূত হয়, তাদেরকে বলে ক্ষার বা অ্যালকালি(Alkali)। তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে, ক্ষার হতে গেলে ক্ষারক কে(Base)অবশ্যই পানিতে দ্রবীভূত হতে হবে।
মনে রাখতে হবে যে ক্ষার হলাে বিশেষ ধরনের ক্ষারক। NaOH, KOH, Ca(OH)₂ এরা সবাই ক্ষার এবং ক্ষারক (উভয়)। কারণ এরা দুটি শর্ত পালন করছে। এক, এরা এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ পানি উৎপন্ন করে।দুই, এরা পানিতে দ্রবীভূত হয়।
অপরদিকে, অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড, Al(OH)₃ , একটি ক্ষারক কিন্তু অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত হয় না। যেহেতু অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত হয় না, সেহেতু ক্ষার হওয়ার শর্ত অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড পূরণ করতে ব্যর্থ ।তাই অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড একটি ক্ষারক হলেও ক্ষার নয়।
সুতরাং আমরা বলতে পারি,সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয় ।আবার CuO একটি ক্ষারক কিন্তু ক্ষার নয় ।
0 comments:
Post a Comment