Recent Post
Loading...

নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র থেকে আমরা পাই: 

F=ma

যেখানে F হল গিয়ে কোনো বস্তুর উপর প্রযুক্ত বল, m বস্তুটির ভর আর a হল বস্তুটির ত্বরণ ।

এবার যদি প্রযুক্ত বল F=0 হয়, তবে এই সমীকরণ অনুযায়ী, a=0 কারণ বস্তুর ভর শূন্য হতে পারে না ।

যেহেতু ত্বরণ শূন্য, এর অর্থ বস্তুটি হয় সুষম গতিবেগসম্পন্ন নয়তো স্থির; অর্থাৎ বাইরে থেকে কোনো বস্তুর উপর বল প্রয়োগ না করা হলে একটি স্থির বস্তু স্থির থাকবে এবং একটি সরলরেখা বরাবর চলমান বস্তু সরলরেখা বরাবর চলতে থাকবে (যেহেতু চলপথ সরলরৈখিক না হলে গতিবেগ সুষম হতে পারে না ) । পেয়ে গেলাম নিউটনের প্রথম সূত্র ।


আপাতদৃষ্টিতে দেখলে যুক্তিটার মধ্যে ভুল কিছু চোখে পড়ে না । স্কুলে থাকতে আমারও পড়েনি । কিন্তু কলেজে প্রথম দিনের ক্লাসেই স্যার খুব সুন্দর ভাবে আমার সেই ভুল ধারণা ভেঙে দিলেন । আর বুঝতে পারলাম পদার্থবিদ্যাটা যত ভালো বুঝি ভেবেছিলাম তত ভালো বুঝি না ।

এবারে আসা যাক গন্ডগোলটা কোথায় সেখানে । সত্যি বলতে গেলে, এরকম প্রশ্ন যদি কোনো শিক্ষক করে থাকেন তবে হয় তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের ধারণা পরীক্ষা করছেন নয়তো, আপসোস, তাঁর নিজেরই ধারণা পরিষ্কার নেই ।

কারণ নিউটনের প্রথম সূত্রের মাধ্যমে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটা ধারণা প্রদান করা হয় যেটা হলো জড় নির্দেশতন্ত্র বা inertial frame এর ধারণা । এই ধারণা প্রতিষ্ঠা না হলে নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র অর্থহীন । কারণ দ্বিতীয় সূত্রটি কেবল জড় নির্দেশতন্ত্রের ক্ষেত্রেই সত্যি ( জড় নির্দেশতন্ত্র না হলে, অর্থাৎ non-inertial frame হলে সেক্ষেত্রে 'কাল্পনিক বলের' উদ্ভব হবে নির্দেশতন্ত্রের নিজস্ব ত্বরণের জন্য ) । অতএব বোঝাই যাচ্ছে যে নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র থেকে প্রথম সূত্র প্রতিপাদন করা সম্ভব নয়*।

তবে এইটা ছাড়াও গাণিতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও আরেকটা মোক্ষম যুক্তি আছে । যেটা হল, কোনো একটা মুহূর্তে একটা বস্তুর গতিবেগের মান এবং তার উপর প্রযুক্ত বল শূন্য হলেই যে ভবিষ্যতের সমস্ত মুহূর্তে সেই বস্তুর স্থান অপরিবর্তিত থাকবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই!

ভালো করে লক্ষ্য করুন ব্যাপারটা: ধরা যাক সময় t=0 তে বস্তুটি x=x0 তে রয়েছে (স্থানের একটাই মাত্রা ধরে নিলাম ), তার গতিবেগের মান v(t=0)=0 এবং তার উপর প্রযুক্ত বল F(t=0)=0 । এই অবস্থায় এটাই ধরে নেওয়া স্বাভাবিক যে বস্তুটি সবসময় x=x0 তেই থাকবে । কিন্তু ব্যাপারটা আরেকটু জটিল । কারণ x=x0 র কাছে বস্তুটির স্থানের সময় নির্ভরতাকে টেলর সম্প্রসারণ (Taylor Expansion) করা যায়:

x(t)=x0+x˙0t+12!mF0t2+13!m(dFdt)0t3+...

দেখা যাচ্ছে এই সম্প্রসারণে একটা (dFdt)0 পদ রয়েছে এবং t এর আরো উচ্চতর ঘাতের জন্য F এর আরো higher-order derivative পদ পাওয়া যাবে । এর অর্থ কী?

অর্থ এটাই যে t=0 তে শুধু বলের মান শূন্য হলেই যথেষ্ট নয়; যতক্ষণ না বলটির সমস্ত higher-order derivative গুলোও সাথে-সাথে শূন্য হচ্ছে, বস্তুটি সময়ের সাথে-সাথে স্থান পরিবর্তন করে ফেলতে পারে!

একমাত্র যখন টেলর সম্প্রসারণের সমস্ত সময়-নির্ভর পদগুলি শূন্য হবে, তখনই নিউটনের প্রথম সূত্র প্রযোজ্য ।

এখানেই নিউটনের প্রথম সূত্রের গভীরতা ।

 একটি পরমাণু মূলত ইলেক্ট্রন, প্রোটন, নিউট্রন নিয়ে গঠিত।

  1. কোনো পরমাণুর কেন্দ্রে অবস্থিত ধনাত্মক চার্জবিশিষ্ট কণাকে প্রোটন বলে এবং তার সংখাকে প্রোটন সংখ্যা/পারমাণবিক সংখ্যা বলে। আর কোনো পরমাণুর নিউক্লিয়াসের (প্রোটন আর নিউট্রনকে একত্রে নিউক্লিয়াস বলে) চারদিকে ঘূর্ণায়মান ঋণাত্মক চার্জবিশিষ্ট কণাকে ইলেক্ট্রন বলে এবং তার সংখাকে ইলেক্ট্রন সংখ্যা বলে।
  2. ভিন্ন ভিন্ন মৌলের বা আয়নে ইলেক্ট্রন সংখ্যা সমান হতে পারে { Ex: ইলেক্ট্রন সংখ্যা ১০ টি বলতে আমরা Ne, O2-, F-, Na+, Mg2+ ইত্যাদিকে বুঝি }। কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন পরমাণুর প্রোটন/পারমাণবিক সংখ্যা কখনোই একই হয় না { Ex: পারমাণবিক সংখ্যা ১০ টি বলতে শুধুমাত্র Ne কেই বুঝি }।
  3. আয়নের ক্ষেত্রে পারমাণবিক সংখ্যা এক থাকলেও ইলেক্ট্রন সংখ্যার হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটে।
  4. পারমাণবিক সংখ্যা একটি মৌলের বৈশিষ্ট্যসূচক ধর্ম কিন্তু ইলেকট্রন সংখ্যা আলাদাভাবে কোন মৌলের বৈশিষ্ট প্রকাশ করে না।

এক অণু জলে ইলেকট্রন ১০ টি। ১ মোল= ৬.০২৩×১০^২৩ টি অণু। সুতরাং এক মোল জলে ইলেকট্রন ৬.০২৩×১০^২৩ × ১০= ৬.০২৩×১০^২৪ টি।


Cacl2-এর জলীয় দ্রবণে উৎপন্ন Cl- আয়নের সংখ্যা কত?

CaCl2 এর জলীয় দ্রবণে Cl- আয়নের সংখ্যা ২ টি। জলীয় দ্রবণে CaCl2 এর বিয়োজন বিক্রিয়া নিম্নরুপ:

CaCl2 = Ca2+ ও 2Cl-


'CH3COOH'-এর মানে কী?

ইথানয়িক এসিড বা ভিনেগারের সংকেত।

 Cr ও Fe দুটো ভিন্ন মৌল এবং তাদের পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে 24 ও 26। Cr র ইলেকট্রন বিন্যাস [ Ar] 3d54s1, Fe র [Ar]3d64s2. Fe থেকে দুটো ইলেকট্রন বেড়িয়ে গেলে Fe2+ হয়। এখন প্রশ্ন হলো কোন দুটো ইলেকট্রন নির্গত হবে। সব থেকে বাইরের কক্ষ অর্থাৎ নিউক্লিয়াস থেকে সবথেকে দূরের ইলেকট্রন সুযোগ প্রথম। তাই Fe2+ র ইলেকট্রন বিন্যাস [Ar]3d6.

বিজারণ ক্রিয়াঃ যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু, মূলক বা আয়ন ইলেকট্রন গ্রহণ করে তাকে বিজারণ ক্রিয়া বলে |

এটা বুঝবেন কিভাবে ? -> যদি বিক্রিয়া শেষে পরমানুর জারণ মান কমে তবে তার বিজারণ ঘটেছে

জারণ ক্রিয়াঃ যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পরমানু ,মূলক বা আয়ন ইলেকট্রণ ত্যাগ করে তাকে জারণ ক্রিয়া বলে |

এটা বুঝবেন কিভাবে ? -> যদি বিক্রিয়া শেষে পরমানুর জারণ মান বৃদ্ধি হয় তবে তার জারণ ক্রিয়া ঘটেছে

তো এখন উওরে আসা যাকঃ

 এসিড/ক্ষার চেনার কয়েকটি উপায় আছে তার মাঝে একটি জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে ধাতু এবং অধাতু মনে রাখা।

ধাতুর সাথে H/O/OH- এইসব যোগ হয়ে ক্ষার উৎপন্ন করে।

NaOH/KH/MgO এইসব হচ্ছে ক্ষার।

আবার অধাতুর সাথে H/O/OH- এইসব যোগ হয়ে এসিড উৎপন্ন করে।

HCL/CO²/HBrO এইসব হচ্ছে এসিড।

 অ্যালকেন গ্রুপের সমগোত্রীয় শ্রেণীর সাধারণ সঙ্কেত হল- CnH2n+2.

প্রথম সদস্যের জন্য n এর মান হবে ১। সেক্ষেত্রে প্রথম সদস্য হবে, CH4, অর্থাৎ মিথেন। একইভাবে, অ্যালকিন গ্রুপের সাধারণ সঙ্কেত CnH2n অনুযায়ী প্রথম সদস্য হবার কথা CH2. যার নাম দেওয়া যেত *মিথিন*!

কিন্তু এখানে একটা কথা আছে, তা হলো, কার্বনের যোজনী। কার্বনের স্থায়ী একটি যৌগ পেতে হলে এর চার হাত পূরণ করতে হবে, যার সাধ্য *মিথিন* এর নেই! এজন্যই অ্যালকিন গ্রুপের প্রথম সদস্যের ক্ষেত্রে n এর মান হয় ২ এবং প্রথম সদস্যের নাম ইথিন।

 যে সব ক্ষার জলে ১০০% আয়নিত হয় তাদের শক্তিশালী ক্ষার এবং যে সব ক্ষার ১০০% এর কম আয়নিত হয় তাদের দূর্বল ক্ষার বলে।

যেমন NaOH শক্তিশালী ক্ষার এবং NH3OH দূর্বল ক্ষারক।

তাই দূর্বল ক্ষারকে শক্তিশালী ক্ষারে পরিণত করা যায় না যদি না

কেবল মাত্র বিক্রিয়া দ্বারা উপাদান পরিবর্তন করি।

 গ্রুপ 1-এর লিথিয়াম(Li),সোডিয়াম(Na),পটাশিয়াম(K),রুবিডিয়াম(Rb),সিজিয়াম(Cs),ফ্রান্সিয়াম(Fr)—এই ধাতুগুলি ক্ষারধাতু(alkali metals) নামে পরিচিত এবং এদের এরূপ বলার কারণ এরা জলের সঙ্গে বিক্রিয়ায় যেসব ধাতব হাইড্রক্সাইড গঠন করে সেগুলি তীব্র ক্ষারকীয় প্রকৃতির।এদের বৈশিষ্ট্যগুলি হল—

  1. এই ধাতুগুলির সর্ববহিস্থ কক্ষ ছাড়া ভেতরের কক্ষগুলি ইলেকট্রন দ্বারা পূর্ণ থাকে।
  2. এদের রাসায়নিক সক্রিয়তা খুব বেশি।
  3. আয়নন বিভব কম হওয়ায় এরা তীব্র বিজারক হয়।
  4. এরা নরম ও নমনীয় এবং তাপ ও তড়িতের সুপরিবাহী।

 দূরত্ব সোজা বাঁকা প্যাচানো সবরকমেরই হয়। তারমধ্যে সোজাসুজি দূরত্ব হলো সরণ।

একটা বিন্দু থেকে আরেকটা বিন্দুতে যাওয়ার সময় ডানেবামে না ঘুরে, একদম সোজাসুজি গেলে যতটুকু দূরত্ব পার হতে হয়, সেই মানটি সরণ। সরণের মান একটিই। এই সরণ আবার দূরত্ব ও, সোজাপথের ব্যাবধান। কোনো কিছুতে যাবার সোজা পথ তো একটিই। আর দূরত্ব আঁকাবাঁকা সোজা যেকোনো কিছু হতে পারে। পাহাড়ের রাস্তায় সাইকেল চালিয়ে কিছুদূর গেলে সেটা দূরত্ব হবে। কারন রাস্তা তথা পথের দিক আঁকাবাঁকা। আর সমতলে একলাইনে সাইকেল চালালে সেটা সরণ দূরত্ব দুটিই।