Recent Post
Loading...

 চুন এর সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত ।আসলে এটি একটি রাসায়নিক পদার্থ, যার রাসায়নিক নাম ক্যালসিয়াম অক্সাইড (CaO) ,যার মধ্যে জল যোগ করলে তা কিছুক্ষনের মধ্যেই ফুটতে থাকে এবং রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে ক্যালসিয়াম হইড্রোক্সাইড এ পরিণত হয় যা সাধারণত কলিচুন নামে পরিচিত।

এটা হল ঘটনা এবার আসি আপনার প্রশ্নের উত্তরে “কেন ফোটে?”

এই সম্পর্কে গভীরে জানতে হলে বেশ কয়েকটি জিনিস পরিষ্কার করে নেওয়া প্রয়োজন।

●একটি অনুর মধ্যে দুটি পরমাণুর মধ্যে অবস্থিত বন্ধন ভাঙতে বাইরে থেকে শক্তি প্রদান করতে হয়। এবং দুটি অস্থির পরমাণু তাদের অষ্টক পূরণের স্বার্থে বন্ধনে জড়ালে শক্তি নির্গমন হয়।

●আমাদের জানতে হবে দুই প্রকার রাসায়নিক বিক্রিয়া এর সম্পর্কে- 

১. তাপশোষি(endothermic) বিক্রিয়া অর্থাৎ যে বিক্রিয়া ঘটাতে গেলে বাইরে থেকে তাপ প্রদান করতে হয় বা বিক্রিয়ক পদার্থ গুলি তাপ শোষণ করে বিক্রিয়াজাত পদার্থ উৎপন্ন করে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে বরফ থেকে জলে রূপান্তরিত হওয়া বা আরো একটি জায়গায় আপনারা সবাই দেখেছেন সেটি হল শরবত এ লবন দ্রবীভূত করার সময় পাত্রটি আগের চেয়ে ঠান্ডা হয়ে যায় অর্থাৎ পাত্রের তাপ শোষিত হয়ে যায়।

২.তাপমোচি(exothermic) বিক্রিয়া অর্থাৎ যে বিক্রিয়া ঘটলে বিক্রিয়া থেকে তাপের উদ্ভব হয় বা মোচন হয়। উদাহরণ স্বরূপ প্রশ্নটিকে তুলে দেয়া যেতে পারে CaO এর সাথে জলের বিক্রিয়া।

◆• যখন বিক্রিয়ক(reactant) এর বন্ধন শক্তি (Bond energy) বিক্রিয়াজাত পদার্থের(product) বন্ধনশক্তি অপেক্ষা কম হয়। তখন বিক্রিয়ক এর বন্ধন ভাঙতে যে পরিমান শক্তি শোষণ করে তার চেয়ে অনেক বেশি শক্তি নির্গমন হয় যখন বিক্রিয়াজাত পদার্থের গঠন হয়।

এই বিক্রিয়াজাত পদার্থের দ্বারা মোচিত শক্তি ও বিক্রিয়ক দ্বারা শোষিত শক্তি এর পার্থক্য সাধারণত তাপ রূপে নির্গত হয়।

এই কারণের জন্যই চুন ও জলের বিক্রিয়া তে তাপ উৎপন্ন হয় এবং সেই তাপ বেশি হওয়াতেই পাত্র গরম হয়ে যায় ও জল ফুটতে শুরু করে।

 পানির রং কী?

পানি একটি যৌগিক পদার্থ যেটি মৌলিক পদার্থ হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত। যেহেতু হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন বর্ণহীন সেহেতু তাদের দ্বারা গঠিত পানি ও বর্ণহীন। এরা যে বর্ণহীন তার উদাহরণ আমাদের হাতের নাগালেই রয়েছে। আমরা নিশ্বাস এর মাধ্যমে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন(বেশ সামান্য পরিমানে) গ্রহণ করি। কিন্তু আমরা এই গ্যাস গুলোর কোনো রং দেখতে পায়না। কেননা, এগুলো অদৃশ্য। তাই বিশুদ্ধ পানি ও বর্ণহীন হয়ে থাকে।

আলো ও রং কী?

এখন আমাদের জানা দরকার যে সমুদ্রের পানির রং আসলে নীল নাকি অন্য কিছু। আর এটা জানতে হলে প্রথমত প্রকৃতির আলো এবং রং সম্পর্কে জানা দরকার।

মূলত আমরা রঙিন যা কিছু দেখি তা আলোর কারসাজি। মূল কথা আলোয় রং সৃষ্টি করে থাকে।

আলো এক ধরণের তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ। এই তরঙ্গকে পরিমাপ করার জন্য 'তরঙ্গদৈর্ঘ্য' টার্ম ব্যবহার করা হয়। এর একক ন্যানোমিটার হিসাবে কাউন্ট করা হয়। প্রতিটা আলোর জন্য তরঙ্গদৈর্ঘ্য নির্দিষ্ট। আর আলোর রং মূলত আলোর বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের জন্য হয়ে থাকে। অর্থাৎ , আলো নামক তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের সাথে আলোর রং পরিবর্তিত হয়। যেমন - আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ যখন ৬৩৫ থেকে ৭০০ ন্যানোমিটার তখন তাকে লাল দেখায় , আবার একই আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যখন পরিবর্তিত হয়ে ৪৫০ থেকে ৪৯০ ন্যানোমিটার হয় তখন তাকে নীল দেখায়।

আমরা বিভিন্ন বস্তুর রং বিভিন্ন রঙের দেখে থাকি। কারণ বিভিন্ন বস্তু থেকে বিভিন্ন রঙের আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে আসে। আমরা যেই রঙের বস্তুই দেখি না কেন তার মানে হলো বস্তু ওই রঙের আলো শোষণ করে না, বাকি সব রঙের আলো শোষণ করে। যখন আমরা কোনো সাদা বস্তু দেখি তার মানে হলো ওই বস্তু কোনো তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো শোষণ করেন , সব তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো প্রতিফলিত করে দেয়। আবার কালো রঙের বস্তু দেখি কারণ ঐ বস্তু সব তরঙ্গধ্যৈর্ঘের আলো শোষণ করে নেয়।

সমুদ্রের পানি নীল কেন?

এখন আমরা মূল প্রশ্নে আসি। নীল আকাশের প্রতিফলনের কারণে বড় লেক বা সমুদ্রের পানি নীল দেখায় এটা আমরা সাধারণ ভাবে ধরে নিই। কিন্তু এটা মূল কারণ নয়। আসলে সমুদ্রের পানি নীল এবং সে কারণেই মূলত সমুদ্র নীল দেখায়। যদিও কথাটা বিশ্বাস হচ্ছেনা। কেননা একটু আগেই উপরে আলোচনা করা হয়েছে যে পানি আসলে বর্ণহীন। এখন সমুদ্রের পানি নীল কিনা সেটা জানতে হলে আমাদের পানিতে আলোর ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে জানতে হবে।

আমরা জানি সূর্যের আলো বা রোদ মূলত সাতটি ভিন্ন ভিন্ন রঙের সমষ্টি। বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল। এই বিভিন্ন রঙের আলো তার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ভিত্তিতে পরপর সজ্জিত থাকে। এখন পানির একটি বিশেষ ধর্ম হলো অপেক্ষাকৃত বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো শোষণ করা এবং কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো শোষণ না করা। সুতরাং সূর্যের আলো যখন সমুর পৃষ্ঠে পড়ে তখন লাল, কমলা ও হলুদ রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হওয়াতে সমুদ্রের পানি কর্তৃক দ্রুত শোষিত হয়, কিন্তু অপেক্ষাকৃত নীল রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম হওয়াতে তা কম শোষিত হয়। ফলে নীল রঙের আলো দ্রুত সমুদ্র গর্ভের প্রায় ৩০ মিটার পর্যন্ত ঢুকে পড়ে এবং অশোষিত নীল আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে লাগে।

ছবি : নীল সাগর

ফলে এই নীল আলোর মিশ্রনে পানি কিছুটা নীলাভ রং ধারণ করে। কিন্তু এটা এটি সামান্য যে সহজে বোঝা যায় না। সমুদ্র বা বড় লেকের পানির পরিমান ও গভীরতা বেশি বলে সেখানে নীলের আধিক্য চোখে ধরা পড়ে। ফলশ্রুতিতে সমুদ্রের পানি নীল দেখায়। তাছাড়া লবন ও অন্যান্য খনিজের রং ও সমুদ্রের পানিতে কিছুটা দেখা যায়। পরিষ্কার নীল আকাশ থাকলে তার প্রতিফলন ও সমুদ্রের পানিতে ঘটে। কিন্তু সে জন্য সমুদ্র মোটামুটি শান্ত থাকতে হবে আর সেই নীল আকাশের ছায়া দেখার জন্য একটু নিচু হয়ে অন্তত ১০ ডিগ্রির কম কোন তাকাতে হবে।

তবে সমুদ্রের পানি যে শুধু নীল হয় তা কিন্তু সঠিক নয়। যেমন আটলান্টিকের পানির রং সবুজ। আবার লোহিত সাগরের পানির রং লাল। শুধু কী তাই ! কালো রঙের পানি বিশিষ্ট সাগরও রয়েছে কিন্তু। তাছাড়া তাকে লাগিয়ে দেয়ার মতো হলুদ রং বিশিষ্ট পীত সাগর ও আছে। আর বিভিন্ন রঙের পানি হওয়ার পেছনে রয়েছে বিভিন্ন কারণ।

ছবি : আটলান্টিকের সবুজাভ উপকূল

ছবি : লোহিত সাগর

ছবি : কৃষ্ণ সাগর

ছবি : পীত সাগর

তথ্যসূত্র : ব্যাপন (বিজ্ঞান সাময়িকী)



আমরা যখন জল গরম করি তখন জলের মধ্য থেকে বুদবুদ উঠতে থাকে।কারণ,

তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে জলে দ্রবীভূত গ্যাসগুলির দ্রবণীয়তা হ্রাস পায়, ফলে দ্রবীভূত বায়ু বুদবুদ আকারে জল থেকে বেরিয়ে যায়। যখন 100° তাপমাত্রায় অর্থাৎ স্ফুটনাঙ্ক এ পৌঁছায়, তখন জলের মধ্য থেকে বাষ্প তৈরি হয় যা বুদবুদ আকারে বার হতে থাকে।


এর কারন হচ্ছে তাপ বৃদ্ধি। এটি বাড়ার সাথে দ্রবীভূত গ্যাসগুলির দ্রবণীয়তা হ্রাস পায়। ফলে বায়ু জল থেকে বের হয়ে যায় ।


পানি মধ‍্যে ড্রপ দিয়ে বায়ু প্রবেশ করান। দেখবেন বুদ বুদ ঘটছে। সভাবিক পরিবেশে।

ঠিক তেমনি পানিকে তাপদিলে পানির গ‍্যাসে পদার্রিনত হয়। তাই ঘনত্বের জন‍্য উপরের দিকে ধাবমান হয়।

কীন্তু পানির উপরিতলে যে স্তর থাকে, যেটা পানির পৃষ্ঠ টানের জন‍্য সৃষ্টি হয়। এই পরদাকে বল প্রযোগ করে পৃষ্ঠটান কে অতিক্রম করতে হয়।

এর জন‍্য একটু বেশি সময় প্রযজন হয়।যার কারনে পৃষ্ঠে পানির কীছু কনার ওপর একটু বেশি সময় ধরে কাজ সম্পাদিত হয়। তাই কীছু কনা ছিটকে আছে।

এটা দেখে বুঝতে পারি পানি ফুটছে



কোনকিছু ভাঁজতে হলে ঐ জিনিসকে প্রায় ১৭০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে হয়। আমরা জানি পানির স্ফুটনাংক ১০০° সেলসিয়াস। এর পর পানির তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে পানি বাষ্পে পরিণত হয়ে যায়,, যার কারণে কোনকিছুকে গরম পানিতে রাখলে তা সিদ্ধ হয়।

অপরদিকে, তেল জাতীয় মানেই হাইড্রোকার্বন। কার্বনের তাপধারণ ক্ষমতা অনেকবেশি। তাই তেল কে গরম করে ১৭০° সেলসিয়াসের উপরে নেওয়া যায়। আর তেল এতো সহজে বাষ্পে পরিণত হয় না। এর কারণে আমরা কোনকিছুকে যখন গরম তেলে দিই তা সিদ্ধ না হয়ে ভাজা হয়ে যায়।

তেল ও জল যেমন এক হয় না তেমনই এদের কাজও ভিন্ন হয়।

পানিকে আপনি সর্বচ্চ ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম করতে পারেন। এর পর সেটি বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। কিন্তু তেল অধিক তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারে এর রাসায়নিক গঠনের কারণে।তাই এটি পানির থেকে অধিক তাপ ধারন করতে পারে।

গরম তেলে যখন কোনো বস্তু ছেড়ে দেন তখন গরম তেল ওই বস্তুর পৃষ্ঠে অবস্থান করা জলীয় কণাকে দ্রুত বাষ্পে পরিণত করে এবং বস্তুটির পৃষ্ঠকে ড্রাই করে দেয়। প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত এবং অধিক শব্দের সাথে হয়ে থাকে।

এইভাবেই তেলের ওপর ভাজা হয়।


পানিকে আপনি সর্বচ্চ ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম করতে পারেন। এর পর সেটি বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। কিন্তু তেল অধিক তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারে এর রাসায়নিক গঠনের কারণে।

গরম তেলে যখন কোনো বস্তু ছেড়ে দেন তখন গরম তেল ওই বস্তুর পৃষ্ঠে অবস্থান করা জলীয় কণাকে দ্রুত বাষ্পে পরিণত করে এবং বস্তুটির পৃষ্ঠকে ড্রাই করে দেয়। প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত এবং অধিক শব্দের সাথে হয়ে থাকে।

গরম তেলে কিছু ভাজার সময় কড়াইয়ে ঢাকনা দিয়ে রাখলে বাষ্পকণার উপস্থিতি লক্ষ করবেন।

এক গ্লাস জলের একটি নিদৃষ্ট আয়তন আছে, এবং একমুঠো লবণেরও একটি নিদৃষ্ট আয়তন আছে। তাহলে যখন দুটিকে মেশানো হবে, তাদের আয়তন যুক্ত হয়ে বেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা তো হয়না। জলের আয়তন একই থাকে । কমে যায় না কখনই।

এখানে লবন বলতে আমি খাবার সাধারণ লবন কেই ধরে নিচ্ছি, যার রাসায়নিক নাম সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)।

NaCl হল জলে দ্রব্য। এটি জলের সংস্পর্শে আসতেই বিশ্লেষিত হয়ে যায় ও জলের অনু গুলির সাথে দূর্বল vanderwall বলের মাধ্যমে স্থিরতা লাভ করে।

বিক্রিয়া:
NaCl(solid) + H2O -> 
Na+(aqueous) Cl-(aqueous) + H2O

Na+ এবং Cl- আয়ন গুলি জলের অনুর খাঁচায়(ক্যাভেটি) বন্দী হয় যার জন্য লবন মিশ্রিত জলের আয়তন বেড়ে যায় না।

কিন্তু নিদৃষ্ট তাপমাত্রায় যদি এক গ্লাস পরিমান জলের লবন দ্রবীভূত করার সীমা অতিক্রম করে তবে তখন আর নতুন করে কোনো লবন অনুর বিশ্লেষণ ঘটে না, তা থিতিয়ে পরে গ্লাসের নীচে যার ফলে জল উপচে পড়তে পারে ।

পৃষ্ঠটানের কারণে।

পৃষ্টটানের ক্ষেত্রে দুটি বল হলো সংসক্তি বা সংযুক্তি বল। অন্যটি আসঞ্জন বা আসক্তি বল। সংসক্তি বল হলো একই পদার্থের বিভিন্ন অণুর মধ্যে আকষর্ণ বল। আর আসক্তি ভিন্ন পদার্থের অণুর মধ্যেকার আকর্ষণ বল। পানির ক্ষেত্রে আসক্তি বলের মান সংসক্তি বলের চেয়ে বেশি। অর্থাৎ গ্লাসে পানি রাখলে পানির অণুসমূহের মধ্যেকার আকর্ষণ বল পানি ও গ্লাসের অণুসমূহের সাথে পানির অণুর আকর্ষণ বলের চেয়ে কম থাকে। পরবর্তীতে যখন লবণ যোগ করা হয় তখন দ্রবণের ঘনত্ব বেড়ে যায়। ফলে সংসক্তি বলের পরিমাণ আসক্তি বলের তুলনায় বেশি হয়ে যায়। দ্রবণের অণুসমূহের আকর্ষণ বল বেড়ে যাওয়ায় তারা আরো ঘনীভূত হয় এবং কাছাকাছি অবস্থানে চলে আসে। তাই গ্লাসে তখন পানির উপচে পড়ার পরিবর্তে পানির স্তর আরো নিচে নেমে আসে।

ডিমের ভিতর যে সাদাটে তরল পদার্থ থাকে সেটি আসলে কোন সাধারণ তরল পদার্থ নয়। বরং এটি হলো একটি প্রোটিন। যাকে বলে “অ্যালবুমিন”। প্রোটিনের একটি প্রকারভেদ হলো টারশিয়ারি প্রোটিন। আর “অ্যালবুমিন” হলো সেই টারশিয়ারি প্রোটিন। তাপ প্রয়োগের ফলে ডিমের প্রোটিনের রাসায়নিক গঠনের পরিবর্তন ঘটে এবং তরল টারশিয়ারি প্রোটিন থেকে কঠিন প্রাইমারি প্রোটিনে রুপান্তরিত হয়। এই প্রাইমারি প্রোটিন হলো প্রোটিনের আরেকটি প্রকারভেদ। সুতরাং ডিমে তাপ দিলে ভৌত অবস্থার পরিবর্তনে বাষ্প না হয়ে রাসায়নিক অবস্থার পরিবর্তন হয়ে কঠিন অবস্থায় রুপ নেয়।

গ্লুকোজ বা চিনির দ্রবন তৈরি করার সময় দ্রবন বাহির থেকে তাপ শুষে নেয় , তার দ্রবীভূত পক্রিয়া সম্পন্ন করতে । একে তাপহারি বিক্রিয়া বলে । এর জন্য দ্রবন ঠাণ্ডা হয়ে যায়।



পানিতে গ্লুকোজ দ্রবীভূত করা একটি এন্ডোথারমিক প্রক্রিয়া।

থার্মোডায়নামিক্সে, এন্ডোথারমিক শব্দটি এমন একটি প্রক্রিয়া বা প্রতিক্রিয়ার বর্ণনা দেয় যাতে সিস্টেম তার চারপাশের শক্তি তাপের আকারে গ্রহণ করে।

সুতরাং, যখন কিছু গ্লুকোজ পানিতে যুক্ত হয়, তখন গ্লুকোজের দ্রবণ তৈরি করতে অর্থাৎ গ্লুকোজকে দ্রবীভুত করতে পানি-গ্লুকোজ সিস্টেম তার চারপাশের জায়গা থেকে শক্তি আকারে তাপ গ্রহণ করে।

ফলস্বরূপ, পানির তাপমাত্রা হ্রাস পায়, যার ফলে এটি শীতল হয়ে যায়।


পানি এবং গ্লুকোজের মিশ্রণে যে বিক্রিয়া সম্পন্ন হয় সেটি তাপহারী বিক্রিয়া। একারণে দ্রবণ শীতল হয়ে যায়।




ফিটকিরি একটি double salt. সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত ফিটকিরির (alum) formula হচ্ছে KAl(SO4)2,12H2O. এছাড়া অন্য ফিটকিরি হচ্ছে সোডা ফিটকিরি, NaAl(SO4)2, 12H2O; Ammonium ফিটকিরি, NH4Al(SO4)2, 12H2O এবং Chrome ফিটকিরি, KCr(SO4)2, 12H2O. খাবার জল বিশুদ্ধকরণে ফিটকিরির ব্যবহার flocculant হিসাবে হয়। ঘোলাটে জলে (colloidal জলে) ফিটকিরি দিলে flocculation হয় অর্থাৎ যেসব solid material এর জন্য জল ঘোলাটে হয়েছে সেগুলো floc বা flakes হয়ে ঘোলা জল থেকে বেরিয়ে এসে নীচে settled হয় এবং জল clear অর্থাৎ স্বচ্ছ হয়ে যায়।


ফিটকিরি হলো সোডিয়াম এবং এলুমিনিয়ামের একটি যৌগ লবণ। ফিটকিরির রাসায়নিক নাম পটাশ এলাম। এর রাসায়নিক সংকেত K2SO4.Al2(SO4)3 . 24H2O


ফিটকিরি হলো সোডিয়াম এবং এলুমিনিয়ামের একটি যৌগ লবণ। ফিটকিরির রাসায়নিক নাম পটাশ এলাম। এর রাসায়নিক সংকেত K2SO4.Al2(SO4)3 . 24H2O

সামান্য পরিমাণ ফিটকিরি পানিতে মিশিয়ে ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করে তা থেকে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে পাত্রের উপর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হবে ও তলানি ফেলে দিতে হবে।

সাধারণত কত পরিমাণ পটাশ মেশাতে হয় এর কোন সুনির্দিষ্ট কোন হিসেব নেই তবে এর আদর্শ মিশ্রণ অনুমান করা হয় প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম পটাশ মিশ্রণ করা।

এ পদ্ধতিতে পানি থেকে জীবাণু মেরে ফেলা গেলেও পানি থেকে ক্ষতিকর ভারী পদার্থ (আর্সেনিক,ক্যাডমিয়াম, সীসা ইত্যাদি) দূর করা সম্ভব নয়।



সুপ্ত যোজনী জানতে হলে আপনাকে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে তা হলো মৌলের সর্বোচ্চ যোজনী বা যোজনী এবং সক্রিয় যোজনী কী।

সর্বোচ্চ যোজনী বা যোজনী হলো কোনো মৌলের সর্বশেষ শক্তিস্তর থেকে ইলেকট্রন ত্যাগ বা গ্রহণ করার ক্ষমতা।

ক্যালসিয়ামের সর্বশেষ শক্তিস্তরে ইলেকট্রন সংখ্যা ২। অর্থাৎ, তা সর্বোচ্চ ২ টি ইলেকট্রন ত্যাগ করার ক্ষমতা 4। তাই, এর সর্বোচ্চ যোজনী ২।

অক্সিজেন এর সর্বশেষ শক্তিস্তরে ইলেকট্রন সংখ্যা ৬। কিন্তু, সে সর্বোচ্চ দুটি ইলেকট্রন গ্রহণ করার ক্ষমতা রাখে, তাই, এর সর্বোচ্চ যোজনী ২।

আর, এই ৪ টা অক্সিজেন এর যোজনী হবে ৮।

এখানে, কেন্দ্রীয় মৌল হলো সালফার যার সর্বোচ্চ যোজনী ৬।

আবার, যৌগ গঠনকালে কোনোমৌলের ব্যবহৃত যোজনীই হলো, ঐ মৌলের সক্রিয় যোজনী।

এখন, CaSO4 যৌগে সালফারের যোজনী 'x' হলে,

আমরা লিখতে পারি,

২+x+(-২×৪)=০ [অক্সিজেন ইলেকট্রন গ্রহণ করে ,তাই ঋণাত্মক]

বা,x-৮+২=০

সুতরাং, x=৬ ।

অর্থাৎ, যৌগটিতে সালফারের সক্রিয় যোজনী হলো ৬।

এখন আসি মূল জায়গায়, সুপ্ত যোজনী আসলে কি?

কোন মৌলের সর্বোচ্চ যোজনী ও সক্রিয় যোজনীর মধ্যে পার্থক্যকে ঐ মৌলের সুপ্ত যোজনী বলে।

অর্থাৎ, সুপ্ত যোজনী = সর্বোচ্চ যোজনী - সক্রিয় যোজনী।

তাহলে, CaSO4 যৌগে সালফারের সুপ্ত যোজনী,

= সালফারের সক্রিয় যোজনী (৬) - সালফার যার সর্বোচ্চ যোজনী হয় (৬)

=০

অর্থাৎ, CaSO4 যৌগে সালফারের সুপ্ত যোজনী ০।



অযুগ্ম মানে হলো যুগ্ম নয়/অযুগল

সহজ ভাষায় বলতে গেলে single😊

Ni(28)- [Ar] 3d8 4s2

Then,Ni2+ means 2টি ইলেকট্রন কমবে

মানে, সর্বশেষ কক্ষপথের দুইটি ইলেকট্রন চলে যাবে

আর সর্বশেষ কক্ষপথ হল 4s2

তাহলে Ni2+ এর ইলেকট্রন বিন্যাস - [Ar] 3d8

হুন্ডের নীতি অনুযায়ী, ইলেকট্রনগুলো কোন অরবিটালে প্রবেশের সময় প্রথমে একমুখী স্পিনে(ঘড়ির কাটার দিকে) তারপর বিপরীতমুখী স্পিনে/ anticlockwise ভাবে প্রবেশ করে।

আমরা জানি,d orbital পাচটি উপ-উপশক্তিস্তরে বিন্যাস্ত

এখন 8টি ইলেকট্রনের প্রথম 5টি ইলেকট্রন clockwise ভাবে প্রবেশ করবে এবং বাকি 3টি ইলেকট্রন anticlockwise প্রবেশ করবে।

অতএব,শুধুমাত্র শেষ দুটি ঘরে single দুটি ইলেকট্রন ঘড়ির কাটার দিকমুখী হয়ে চুপচাপ বসে থাকবে।

সুতরাং, Ni2+ এ 2টি অযুগ্ম ইলেকট্রন আছে।