নিষ্ক্রিয় গ্যাসগুলোর সর্বশেষ শক্তিস্তরে যেমন ২টি বা ৮ টি ইলেকট্রন বিদ্যমান,তেমনি অণু গঠনে কোনো পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে এক বা একাধিক জোড়া ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকবে, এটিই হচ্ছে " দুই "এর নিয়ম।
" অষ্টক "( অণু গঠন কালে কোনো মৌল ইলেকট্রন গ্রহণ, বর্জন অথবা ভাগাভাগির মাধ্যমে তার সর্বশেষ শক্তিস্তরে ৮ টি করে ইলেকট্রন ধারণের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে। একে "অষ্টক" নিয়ম বলে।) নিয়মের কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে বিজ্ঞানিরা "দুই" এর নিয়ম উপস্থাপন করেন। "দুই " এর নিয়মটি অষ্টক নিয়ম থেকে অধিকতর উপযোগী ও আধুনিক।
- কেন মৌল সমূহ 'দুই' ও 'অষ্টক' নিয়ম অনুসরণ করে??
সর্বশেষ শক্তিস্তরে দিত্ব বা অষ্টক পূর্ণ থাকার কারণে নিষ্ক্রিয় গ্যাসগুলো অধিকতর স্থিতিশীল হয়। আর অন্য মৌলগুলোর এই নিষ্ক্রিয় গ্যাসগুলোর দেখে হিংসে হয় বলে তারাও ওদের মতো হতে চায়। অর্থাৎ স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্যই তারা তাদের সর্বশেষ শক্তিস্তরে দিত্ব বা অষ্টক পূরণ করতে চায়। এই কারণেই তারা " দুই " ও "অষ্টক" নিয়ম অনুসরণ করে।
- জোড়া ইলেকট্রন থাকলে নাকি হিলিয়ামের ইলেক্ট্রন বিন্যাস অর্জন করলে দুইয়ের নিয়ম হয়??
প্রথমেই বলেছি, সর্বশেষ শক্তিস্তরে এক বা একাধিক জোড়া ইলেকট্রন থাকলে তখনই দুই এর নিয়ম হবে।
হিলিয়ামের সর্বশেষ শক্তিস্তরে একজোড়া অর্থাৎ ২টি ইলেকট্রন রয়েছে। তাই হিলিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করলে অবশ্যই সেটা "দুই " এর নিয়ম অনুসরণ করবে।
আবার,
BeCl₂ অণুর কেন্দ্রীয় পরমাণু Be এর সর্বশেষ শক্তিস্তরে দুই জোড়া অর্থাৎ 4 টি ইলেকট্রন বিদ্যমান। এটি অষ্টক বলা হিলিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করেনি । কিন্তু দুই এর নিয়ম অনুসরণ করেছে।