জলের অর্থাৎ H2O এর মোলার ভর = 18.01528 gm/ mol,
হইড্রোজেন সালফাইড বা H2S এর মোলার ভর= 34.1 gm/mol,
এখন আমরা জানি ফ্লুরিন এর ইলেক্ট্রো নেগেটিভিটি সর্বোচ্চ, ঠিক তার পরেই অক্সিজেন স্থান দখল করে।
এর ফলে H2O তার হাইড্রোজেন অক্সিজেন বন্ধনের (H—O) ইলেক্ট্রন এর মেঘ অধিক ইলেক্ট্রো নেগেটিভ অক্সিজেন এর দিকে সরে আসে। ফলত অক্সিজেনের চারিপাশে একটি আংশিক ঋণাত্মক আবেশ তৈরি হয় এবং ইলেক্ট্রন সরে আসার জন্য হইড্রোজেন এর পাশে আংশিক ধনাত্মক আবেশ তৈরি হয়। এর ফলে পার্শ্ববর্তী H2O অনুর হইড্রোজেন এর সাথে আলোচিত H2O অনুর অক্সিজেন একটি দুর্বল হইড্রোজেন বন্ধন গঠন করে। অপরপক্ষে আলোচিত অনুর হইড্রোজেন অনুর সাথে তৃতীয় কোনো অনুর একই প্রকার বন্ধন গঠন হয়।
[লাল বল গুলি অক্সিজেনের অনুরূপ এবং সাদা বল গুলি হাইড্রোজেনের অনুরূপ, সবুজ দাগ গুলি হল হাইড্রোজেন বন্ধন]
যার ফলে অন্ত:আণবিক বন্ধন গঠন হয় । যার জন্য ঘরের তাপমাত্রায় H2O তরল অবস্থায় থাকে। কিন্তু H2S এর ক্ষেত্রে এমন কোনো অবসর তৈরি হয়না। তাই H2S সাধারণ তাপমাত্রায় গ্যাসীয়।
O ও S পর্যায় সারণির একই গ্রুপ ১৪তম গ্রুপের মৌল। তাই এদের হাইড্রাইড যেমনঃ H2O ও H2S এর ধর্মে গ্রুপভিত্তিক সাদৃশ্য থাকাই খুব স্বাভাবিক। কিন্তু H2O সাধারণ তাপমাত্রায় তরল হলেও H2S সাধারণ তাপমাত্রায় গ্যাসীয়। এর কারণ H2O অণুতে হাইড্রোজেন পরমাণুর সাথে যুক্ত অক্সিজেন পরমাণু অতিশয় তড়িৎ ঋণাত্মক ও আকারে সালফার পরমাণু অপেক্ষা ছোট হওয়ায় H2O অণুতে সমযোজী বন্ধনে অতিমাত্রায় ডাইপোলের সৃষ্টি হয়। বন্ধনে পোলারিটি বা ডাইপোলের ফলে H2O অণুতে হাইড্রোজেন বন্ধনের সৃষ্টি হয়।
হাইড্রোজেন বন্ধন সৃষ্টির কারনেই H2O অণুসমুহ পরস্পর পরস্পরকে আকৃষ্ট করে সংবদ্ধ আকার ধারণ করে। অপরপক্ষে কম তড়িৎ ঋণাত্মক এবং আকারে অক্সিজেন অপেক্ষা বড়। তাই H2O অণুতে H-S বন্ধনে খুবই সামান্য স্বল্পমাত্রায় পোলারায়ন ঘটে। যার ফলে H2S অণুসমুহে মধ্যে আর হাইড্রোজেন বন্ধন গঠন করা সম্ভব হয় না। H2S পৃথক অণুরুপে গ্যাসীয় অবস্থায় অবস্থান করে।
এজন্য H2O তরল, কিন্তু H2S গ্যাস।
0 comments:
Post a Comment