কার্বন ও হাইড্রোজেন এদুটোর তড়িৎ ঋণাত্বকতার পার্থক্য খুব কম , কার্বনের ২.৫৫ আর হাইড্রোজেনের ২.২২।
এখন তড়িৎ ঋণাত্বকতা কি জিনিস???
তড়িৎ ঋণাত্বকতা একটা মৌলের পরমাণুর ইলেকট্রন গ্রহণ করার আসক্তি বা প্রবনতাকে বুঝায়। অর্থাৎ, যার ইলেকট্রন গ্রহণের প্রবনতা বা ইচ্ছে যত বেশি তার তড়িৎ ঋণাত্বকতা ততো বেশ৷ ]
তাই এরা যে সমযোজী বন্ধনে যুক্ত হয় তার ইলেকট্রন যুগল এদের ঠিক মাঝামাঝি অবস্থান করে। অর্থাৎ, যেকোনো একদিকে সরে যায় না। যদি সরে যেতো তাহলে কি হতো???
তাহলে, আংশিক ঋণাত্বক হয়ে যেতো যেদিকে ইলেকট্রনযুগল সরে যেতো। ধরুন, কার্বনের দিকে সরে গেলো তাহলে কার্বন আংশিক ঋণাত্মক চার্জে চার্জিত হতো এবং সেই সাথে হাইড্রোজেন আংশিক ধনাত্বক চার্জে চার্জিত হতো। আর এই আংশিক ধনাত্বক-ঋণাত্বক অংশ মিলে একটি নেগেটিভ-পজেটিভ মেরু/পোল সৃষ্টি হয়, এই ঘটনকে আমরা পোলারায়ন বলব।
[এই পোলরায়ন ব্যাখ্যা করতে আমাদের অতি প্রিয় ফাজান ভাই (বিজ্ঞানী) কিছু নীতিমালা দিয়েছেন, যেগুলোকে আমরা ফাজানের নীতি বলে থাকি। ]
হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এদুটোর তড়িৎ ঋণাত্বকতার পার্থক্য খুব বেশি ( অক্সিজেন=৩.৪৪) হওয়ায় এদের যে বন্ধন জোড় ইলেকট্রন এরা অক্সিজেনের দিকে সরে যায়। যার ফলে অক্সিজেন আংশিক ঋণাত্মক ও হাইড্রোজেন আংশিক ধনাত্মক চার্জিত হয়, অর্থাৎ পোল সৃষ্টি হয়।
তাই, পানি (H2O)একটি পোলার যৌগ, একই সাথে মিথেন (CH4) একটি অপোলার যৌগ।
0 comments:
Post a Comment