Recent Post
Loading...



Butter of Tin বলতে ধাতু টিন এর ক্লোরাইডকে বোঝায় যার সাথে পাঁচ অণু পানি যুক্ত রয়েছে। এর রাসায়নিক নাম হলো, স্ট্যানিক ক্লোরাইড পেন্টাহাইড্রেট অর্থাৎ SnCl4.5H2O.

ছবিঃ স্ট্যানিক ক্লোরাইড পেন্টাহাইড্রেট যাকে 'Butter of tin' বলা হয়ে থাকে।

অনার্দ্র স্ট্যানিক ক্লোরাইড স্বাভাবিক তাপমাত্রায় তরল কিন্তু পানিযুক্ত স্ট্যানিক ক্লোরাইডের ভৌত অবস্থা কঠিন আর চাকবদ্ধ; পানিতে খুব দ্রুত দ্রবীভূত হয়ে যেতে পারে। হয়ত এমন কারণেই একে মাখন বা Butter এর সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে।

ছবিঃ পাঁচ অণু পানিযুক্ত স্ট্যানিক ক্লোরাইড সাধারণ তাপমাত্রায় কঠিন।

আরও কিছু ধাতুর ক্লোরাইড লবণকেও নিজ নিজ ধাতুর বাটার বলা হয়ে থাকে। যেমন-

বাটার অব জিঙ্ক (ZnCl2)

বাটার অব আর্সেনিক (AsCl3)

বাটার অব এন্টিমনি (SbCl3)

বাটার অব বিসমাথ (BiCl3)

আর এই সবগুলোকে সামগ্রিকভাবে বলা হয় মিনারেল বাটারস (Mineral butters).



অ্যালিফেটিক গ্রুপ(অ্যালকাইল গ্রুপ) সাধারনত ইলেকট্রন দাতা গ্রুপ হয়ে থাকে যার ফলে অক্সিজেনের তড়িৎ ঋনাত্বকতা নিউট্রালাইজ হয়ে যায়। যার ফলে অক্সিজেন সহজেই হাইড্রোজেন রিলিজ করে না যেমনটা অ্যারোমেটিক যৌগের ক্ষেত্রে করে থাকে।

তাই অ্যালিফেটিক হাইড্রোক্সি যৌগ সমূহ নিরপেক্ষ হয় অপর দিকে অ্যারোমেটিক হাইড্রোক্সি যৌগ সমূহ এসিডিক হয়।



Non-Redox বিক্রিয়া : কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একাধিক বিক্রিয়ক থেকে উৎপাদ গঠনকালে বিক্রিয়ক মৌলসমূহের মধ্যে ইলেকট্রন আদান প্রদান না ঘটলে বিক্রিয়াটিকে নন রেডক্স বিক্রিয়া বলে।

এখন সাভাবিকভাবে একটা প্রশ্ন মনে জাগতেই পারে যে যদি ইলেকট্রনের আদান প্রদান নাই ঘটে তাহলে বিক্রিয়া কিভাবে হয়।
এটা বুঝতে হলে আমাদের নন রেডক্স বিক্রিয়ার প্রকারভেদ বুঝতে হবে।

নন রেডক্স বিক্রিয়ার সাধারণত তিন প্রকারের হয়ে থাকে
১. প্রশমন বিক্রিয়া
২. অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া
৩. প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া।

১।প্রশমন বিক্রিয়াঃঃ যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার অ্যাসিড ও ক্ষার যুক্ত হয়ে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে। এই বিক্রিয়াকে অ্যাসিড-ক্ষার বিক্রিয়াও বলে। প্রশমন বিক্রিয়া সর্বদাই তাপ উৎপন্ন করে অর্থাৎ প্রশমন বিক্রিয়া তাপউৎপাদি বিক্রিয়া।

NaOH + HCl = NaCl + H

2

O

২।অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়াঃঃ কোন দ্রবণে দুই বা ততোধিক বিক্রিয়ক বিক্রিয়া করে যে উৎপাদ গঠন করে তাদের মধ্যে কোন একটি উৎপাদ যদি অধঃক্ষিপ্ত হয় তবে সেই বিক্রিয়াকে অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া বলে।
এক্ষেত্রে দ্রাবকে উৎপাদ যৌগটি পাত্রের তলায় কঠিন অবস্থায় তলানি হিসেবে জমা হয়।

যেমনঃ সোডিয়াম ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণের মধ্যে সিলভার নাইট্রেটের জলীয় দ্রবণ যোগ করলে সিলভার ক্লোরাইড এবং সোডিয়াম নাইট্রেট উৎপন্ন হয়। এদের মধ্যে সিলভার ক্লোরাইড এর দ্রবণীয়তা পানিতে অত্যন্ত কম হওয়ায় তা পাত্রের নিচে তলানি হিসেবে জমা হয়। অর্থাৎ অধঃক্ষেপ পড়ে।
NaCl(aq) + AgNO₃ (aq) ---------> AgCl (s) + NaNO₃(aq)

৩।প্রতিস্থাপন বিক্রিয়াঃ কোন অধিক সক্রিয় মৌল বা যৌগমূলক অপর কোন কম সক্রিয় মৌল বা যৌগমূলককে প্রতিস্থাপন করে নতুন যৌগ উৎপন্ন করার প্রক্রিয়াকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে।

যেমনঃ সালফিউরিক এসিডের সাথে সোডিয়াম ধাতু বিক্রিয়া করে সোডিয়াম সালফেট ও হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে। এখানে হাইড্রোজেনের সক্রিয়তা সোডিয়ামের থেকে কম হওয়ায় সোডিয়াম হাইড্রোজেনকে প্রতিস্থাপন করে সোডিয়াম সালফেট গঠন করে।

2Na + H₂SO₄ ------> Na₂SO₄ + H₂

দেখা যাচ্ছে যে উপরের তিন প্রকারের বিক্রিয়ার প্রতিটিতেই বিক্রিয়ক পরমাণুর জারণ সংখ্যার হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে না। বিক্রিয়ক ও উৎপাদ মৌলের জারণ সংখ্যা একই থাকে।
যদি কোন আয়নের জারন সংখ্যা বিক্রিয়কে এবং উৎপাদের একই থাকে অর্থাৎ অপরিবর্তিত থাকে তবে এটা নিশয় বলা যায় যে ইলেকট্রনের আদান প্রদান হয় নি।
কারন জারন মানের পরিবর্তন তখন ই ঘটে যখন ইলেকট্রনের আদান প্রদান হয়।

সুতরাং এটা নিশ্চয়ই বলা যায় নন রেডক্স বিক্রিয়ায় ইলেকট্রনের আদান প্রদান ঘটে না তবুও বিক্রিয়া সংঘটিত হয়।



যে সকল d ব্লক মৌলের স্থিতিশীল আয়নের d অরবিটাল ইলেকট্রন দ্বারা আংশিক পূর্ণ থাকে (d1- d9) তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল বলে Cu→1s*2,2s*2,2p*6,3s*2,3p*6,4s*2,3d*9 এখানে, 3d উপস্তরে 9 টি ইলেকট্রণ তথা উপস্তরটি পূর্ণ নয় ।তাই এ কারনেও Cu অবস্থানান্তর মৌল।



তরল নাইট্রোজেন cryotherapy আধুনিক থেরাপিউটিক্স ক্ষেত্রে একটি নতুন কৌশল। তরল নাইট্রোজেন cryotherapy হিমায়িত জীববিদ্যা একটি ব্যাপক প্রভাব। চরম তুষারের অবস্থার স্বাভাবিক কোষগুলি অপ্রচলিত ক্ষতি হতে পারে। এটি চরম স্থির অবস্থা দ্বারা, ওয়ার্ড কক্ষগুলি দ্রুত মারা যায়, যাতে ওয়ার্ড স্বাভাবিক পুনরুদ্ধার হয়। সাধারণভাবে মশলা, শস্য এবং চামড়া রোগগুলি দূর করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ক্রায়োথেরাপিও ব্যবহার করা হয়। আইসিইকরে ২01২, একটি ইসরায়েলি মেডিকেল কোম্পানি, স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য একটি নতুন কৌশল তৈরি করেছে যা তরল নাইট্রোজেনের স্তন ক্যান্সারের কোষে ক্রিমিথরেট, হিমায়িত এবং হত্যাকে ব্যবহার করে, ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা করে এমন একটি কোম্পানী। সফল হলে, স্তন ক্যান্সারের রোগীরা অস্ত্রোপচার না করে ভবিষ্যতে টিউমারকে "রিসাইট" করতে সক্ষম হবে।

তবে তরল নাইট্রোজেন বিপজ্জনকও বটে, সত্য কথাটি হল, তরল নাইট্রোজেন তার তীব্র তাপমাত্রা ব্যতীত সম্পূর্ণ জড়। এটি যে কোনও ধাতুর সংস্পর্শে আসলে হিমশীতল ঠান্ডা হয়ে যায়, তবে যেকোনো শুকনো গ্লাভস পরা আপনার হাতকে রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট। তরল নাইট্রোজেন নিজেই বাষ্পীভূত হবে উইল লিডেনফ্রস্ট প্রভাবের কারণে। তাছাড়া এর সংস্পর্শে ত্বকে ফ্রস্ট বাইট এবং সাফোকেশন দেখা দিতে পারে, হালকা চিকিৎসায় তা থেকে সেড়ে উঠা যায়।



ধরে নেই, পরমাণুর ইলেকট্রনগুলো একটি বহুতল ভবনের অধিবাসী। ভবনের নিয়ম হলো প্রথম তলায় দুই জন থাকতে পারবে, দ্বিতীয় তলায় আটজন, তৃতীয় তলায় আঠারো জন, চতুর্থ তলায় বত্রিশ জন, পঞ্চম তলায় পঞ্চাশ থাকতে পারবে। সূত্রটা হলো 2n^2.

এখন Na পরমাণুতে থাকে ১১ জন ইলেকট্রন। সুতরাং প্রথম তলায় দুই জন আর দ্বিতীয় তলায় আটজন থাকার পরে তার ভবনটা তৃতীয় তলা পর্যন্ত তৈরি করতে হয় ১১তম ইলেকট্রনকে জায়গা দিতে।

কিন্তু Na+ আয়নে থাকে ১০ জন ইলেকট্রন। সুতরাং প্রথম তলায় দুই জন আর দ্বিতীয় তলায় আটজন থাকার পরে তার আর তৃতীয় তলা তৈরি করার প্রয়োজন পড়ে নাহ। আর যেহেতু দুই তলা ভবন অবশ্যই তিন তলা ভবন থেকে ছোট হয় তাই, Na পরমাণু অপেক্ষা Na+ এর ব্যাসার্ধ ছোট হয়ে থাকে।



আয়নিক যৌগ।কারন সোডিয়াম (Na) ধাতু আর অক্সিজেন (O) অধাতু।আর আমরা জানি, ধাতু- অধাতু মিলে যৌগ তৈরি করলে তা আয়নিক যৌগ বা একটা ক্যাটায়ন ও একটা অ্যানায়ন পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে যে যৌগ গঠন করে তা আয়নিক যৌগ। তো Na ক্যাটায়ন আর O অ্যানায়ন।এদের combination( Na2O ) সোডিয়াম অক্সাইড আয়নিক যৌগ। MgO,NaCl ইত্যাদি ও আয়নিক যৌগ। আবার দুটো অধাতব পরমানু ইলেক্ট্রন শেয়ারের মাধ্যমে যে যৌগ গঠন করে তা সমযোজী যৌগ।যেমন -Cl2,O2, N2,S8,P4,Br2,H2,I2,F2 ইত্যাদি।



Cu(29):1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 3d10 4s1

Ni(28):1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 3d8 4s2

Cu ও Ni এর মধ্যে দুটিই d block মৌল হলেও Cu পরমাণুটির আকার ছোট। কপার পরমাণুর ব্যাসার্ধ ১২৮ pm. নিকেল পরমাণু ব্যাসার্ধ ১৬৩ pm.

নিকেলের তড়িৎ ঋণাত্মকতা কপারের চেয়ে কম। কপার =১.৯৫ নিকেল=১.৯১. নিকেল, কপারের মতো তড়িৎ সক্রিয় নয়। এর কারণ, নিকেল ডি ব্লক মৌল হওয়া সত্ত্বেও তার ডি অরবিটাল ফাঁকা থাকে। তাই,একই পর্যায় হওয়া সত্ত্বেও তড়িৎ ঋণাত্মকতার প্রভাব বেশি দেখা যায়। আর পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা, তার ব্যাসার্ধের ব্যস্তানুপাতিক। তড়িৎ ঋণাত্মকতা কম হলে ব্যাসার্ধ বেশি হবে। আবার তড়িৎ ঋণাত্মকতা বেশি হলে, ব্যাসার্ধ কম হবে



তড়িৎযোজী বা আয়নিক যৌগে দুটি বিপরীত চার্জ যুক্ত আয়ন পরস্পরের কাছাকাছি আসলে ক্যাটায়নের ধনাত্মক চার্জ অ্যানায়নের ঋনাত্বক ইলেকট্রন মেঘকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করে। ফলে সুষম এ ইলেকট্রন মেঘ একটু বিকৃত হয়ে ক্যাটায়নের দিকে আংশিক স্থানান্তরিত হয় এবং দুটি নিউক্লিয়াসের মাঝামাঝি স্থানে কিছুটা পরিব্যপ্ত হয়। ইলেকট্রন মেঘের এই আংশিক স্থানান্তরকে পোলারায়ন বলে।ক্যাটায়ন কর্তৃক অ্যানায়নের বিকৃত করার এই ঘটনাকে পোলারায়ন বলে।



লেবু এবং অন্যান্য প্রায় সব সাইট্রাস ফলের মধ্যেই লিমোনিন নামক একধরণের যৌগ থাকে, এটিই মূলত তেতো স্বাদের জন্য দায়ী। এই যৌগের প্রভাব এতই তীব্র যে কয়েক ppm (parts per million) এর উপস্থিতিও মানুষ টের পায়।

এই লিমোনিন লেবুর ত্বকে অধিক পরিমাণে থাকে, বেশি কচলালে ত্বক থেকে লিমোনিন নিঃসরণ বেশি হয় এবং তা LARL (Limonoate A-Ring Lactone) নামক আরেকটি স্বাদবিহীন যৌগের সাথে বিক্রিয়া শুরু করে, আর সেখান থেকেই তেতো স্বাদের সৃষ্টি হয়।

তবে এই বিক্রিয়া ধীরগতিতে হয়, তাই কচলানো রস সাথে সাথে খুব একটা তেতো লাগেনা কিন্তু কিছুক্ষণ রেখে দিলে তেতো স্বাদ বেড়ে যায়।