Recent Post
Loading...



সমযোজী যৌগ:

দুইটি অধাতব মৌল নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভের মাধ্যমে ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে যে যৌগ গঠন করে তাকে সমযোজী যৌগ বলে। উদাহরনঃ H(2)O, CH(4), CO(2) ইত্যাদি।

অধাতু: যা ইলেকট্রন গ্রহণ করে ।

সমযোজী যৌগ: অধাতব পরমানু সমূহ পরস্পরের সাথে যুক্ত হওয়ার সময় ইলেকট্রন শেয়ার বা ভাগাভাগি করে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের মতো ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করার জন্য যে বন্ধন গঠন করে তাকে সমযোজী বন্ধন বলে।আর সমযোজী বন্ধন বিশিষ্ট যৌগকে সমযোজী যৌগ বলে।


CH4 এর সংকরণ:

CH4 এ sp3 সংকরণ ঘটে।

C- 1S2 2S2 2Px1 2Py1 2Pz0 (সাধারণ অবস্থা)

C*- 1S2 2S1 2Px1 2Py1 2Pz1 ( উত্তেজিত অবস্থা)

উত্তেজিত অবস্থার সাথে ৩টি হাইড্রোজেন এর s আরবিটাল সংকরণ করে, যার ফলে sp3 সংকরণ হয়, এর গঠন চতুস্তলকীয়।


চুল এর প্রধান উপাদান হলো কেরাটিন। ঘন আর সুন্দর চুল এর আকাংক্ষা সবার ই থাকে কিন্তু তার পাশাপাশি চুল ঝরে যাবার কথা টা ও খুব পরিচিত ছেলে মেয়ে উভয়ের কাছে। আমদের proti দিন যদি 100টি চুল পড়ে তাহলে তা স্বাভাবিক ধরে নেয়া যায় কিন্তু তার বেশি চুল পড়া মানে তা অস্বাভাবিক এর কাতারে দাঁড়ায়। আগে বলি চুল পড়ার ও পাতলা হবার কিছু কারণ সমূহ:

*শরীরে আমিষ এর অভাবে চুল গজাতে পারে না ফলে চুল পাতলা হয়ে যায়।মাথার ত্বকে নানাবিধ রোগ ও অতিরিক্ত খুশকির কারণে চুল পড়া বেড়ে যায়।

*জোরে আঁচড়ালে বা নখ দিয়ে চুলকানোর ফলে মাথার হেয়ার ফলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এতে চুল ঝরে যায়।তাছাড়াও ভুলভাবে চুল বাদলে ও চুল ফেটে যায় ফলে চুল পাতলা হয়ে যায়।

*চুল বৃদ্ধির মূলে থাইরয়েড গ্রন্থি অনেক ভুমিকা রাখে,তাই থাইরয়েড এর প্রবলেম এ চুল বৃদ্ধি ব্যহত হয়ও পাতলা হয়ে যায়। মানসিক চাপে ও চুল পড়া বেড়ে যায়।

*নানাবিধ হেয়ার স্টাইল এর উচ্চতাপে ও রিবডিংও চুল পরা বা পাতলা করার ক্ষেত্রে দায়ী।

এমন আরো কারণ আমরা দার করতে পারি আর এইদিক গোলো অভারকামে পেতে পারি সুন্দর চুল। তবুও আলাদা আরো যত্নের প্রয়োজন হয়।

*চুলের বৃদ্ধি,ঘন, কালো,সুন্দর করার জন্য তেল এর কোনো বিকল্প নেই। তাই আমরা অলিভ অয়েল,প্যারাসুট অয়েল, কাস্টেট অয়েল ম্যাসাজ করতে পারি।

*চুল ঘন ও চুল এর গোরা শক্ত করতে মেহেদি, পিয়াজের রস ব্যবহার করা যায়।

*লেবুর রস চুল এর গোরা শক্ত ও খুশকি দূর করে ।এলোভেরার রস ও কর্যকরি।


চুলের যত্নে বাদাম বা আমন্ড তেল

১। বাইরের পলিউশন, ডাস্ট, কেমিক্যাল, হেয়ার কালার ইত্যাদির কারণে স্ক্যাল্পে অনেক সময় ইনফেকশন হয়ে যায়। যার ফলে অকালে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে। ড্যানড্রাফ এর সমস্যা দেখা দেয়। একমাত্র বাদাম তেলের নিয়মিত ব্যবহার পারে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে।

২। এই তেলের নিয়মিত ব্যবহার করলে মাথার ত্বকের রক্ত চলাচল ঠিক থাকে, চুলের পুষ্টি যোগায়, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে মশ্চারাইজার থাকায় আমন্ড অয়েল বা বাদাম তেল একটি ন্যাচারাল কন্ডিশনার হিসেবেও কাজ করে।

৩। বর্তমান লাইফস্টাইল আর দূষণ আমাদের চুল দ্রুত হারে নষ্ট করে দিচ্ছে। আমন্ড তেলের সঙ্গে অলিভ আর ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে মাথার চুলে লাগান। এতে শুধু স্প্লিট এন্ডের সমস্যাই দূর হবে না চুলের গোড়াও মজবুত হবে। সত্যি বলতে কী স্প্লিট এন্ড আর খুশকি চুলের এই দুটি প্রধান সমস্যার জন্য একবার আমন্ড তেল অবশ্যই ব্যবহার করে দেখুন। হাতে নাতে ফল পাবেন। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে অন্তত দু বার এই তেল মাথার চুল ও স্ক্যাল্পে মালিশ করা খুব জরুরী।

ত্বকের যত্নে বাদাম বা আমন্ড তেল

১। বাদাম তেল বা আমন্ড অয়েলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন “ই” রয়েছে, যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনি পেয়ে যাবেন চমকপ্রদ এবং গ্লোয়িং স্কিন।

২। এই তেলের নিয়মিত ব্যবহার আর্দ্রতাকে ত্বকের মধ্যে ধরে রাখে এবং ত্বকের পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে।

৩। চোখের নীচের ডার্ক সার্কেল রিমুভ করতে বাদাম বা আমন্ড তেল যাদুর মতন কাজ করে।

 চুন এর সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত ।আসলে এটি একটি রাসায়নিক পদার্থ, যার রাসায়নিক নাম ক্যালসিয়াম অক্সাইড (CaO) ,যার মধ্যে জল যোগ করলে তা কিছুক্ষনের মধ্যেই ফুটতে থাকে এবং রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে ক্যালসিয়াম হইড্রোক্সাইড এ পরিণত হয় যা সাধারণত কলিচুন নামে পরিচিত।

এটা হল ঘটনা এবার আসি আপনার প্রশ্নের উত্তরে “কেন ফোটে?”

এই সম্পর্কে গভীরে জানতে হলে বেশ কয়েকটি জিনিস পরিষ্কার করে নেওয়া প্রয়োজন।

●একটি অনুর মধ্যে দুটি পরমাণুর মধ্যে অবস্থিত বন্ধন ভাঙতে বাইরে থেকে শক্তি প্রদান করতে হয়। এবং দুটি অস্থির পরমাণু তাদের অষ্টক পূরণের স্বার্থে বন্ধনে জড়ালে শক্তি নির্গমন হয়।

●আমাদের জানতে হবে দুই প্রকার রাসায়নিক বিক্রিয়া এর সম্পর্কে- 

১. তাপশোষি(endothermic) বিক্রিয়া অর্থাৎ যে বিক্রিয়া ঘটাতে গেলে বাইরে থেকে তাপ প্রদান করতে হয় বা বিক্রিয়ক পদার্থ গুলি তাপ শোষণ করে বিক্রিয়াজাত পদার্থ উৎপন্ন করে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে বরফ থেকে জলে রূপান্তরিত হওয়া বা আরো একটি জায়গায় আপনারা সবাই দেখেছেন সেটি হল শরবত এ লবন দ্রবীভূত করার সময় পাত্রটি আগের চেয়ে ঠান্ডা হয়ে যায় অর্থাৎ পাত্রের তাপ শোষিত হয়ে যায়।

২.তাপমোচি(exothermic) বিক্রিয়া অর্থাৎ যে বিক্রিয়া ঘটলে বিক্রিয়া থেকে তাপের উদ্ভব হয় বা মোচন হয়। উদাহরণ স্বরূপ প্রশ্নটিকে তুলে দেয়া যেতে পারে CaO এর সাথে জলের বিক্রিয়া।

◆• যখন বিক্রিয়ক(reactant) এর বন্ধন শক্তি (Bond energy) বিক্রিয়াজাত পদার্থের(product) বন্ধনশক্তি অপেক্ষা কম হয়। তখন বিক্রিয়ক এর বন্ধন ভাঙতে যে পরিমান শক্তি শোষণ করে তার চেয়ে অনেক বেশি শক্তি নির্গমন হয় যখন বিক্রিয়াজাত পদার্থের গঠন হয়।

এই বিক্রিয়াজাত পদার্থের দ্বারা মোচিত শক্তি ও বিক্রিয়ক দ্বারা শোষিত শক্তি এর পার্থক্য সাধারণত তাপ রূপে নির্গত হয়।

এই কারণের জন্যই চুন ও জলের বিক্রিয়া তে তাপ উৎপন্ন হয় এবং সেই তাপ বেশি হওয়াতেই পাত্র গরম হয়ে যায় ও জল ফুটতে শুরু করে।

 পানির রং কী?

পানি একটি যৌগিক পদার্থ যেটি মৌলিক পদার্থ হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত। যেহেতু হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন বর্ণহীন সেহেতু তাদের দ্বারা গঠিত পানি ও বর্ণহীন। এরা যে বর্ণহীন তার উদাহরণ আমাদের হাতের নাগালেই রয়েছে। আমরা নিশ্বাস এর মাধ্যমে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন(বেশ সামান্য পরিমানে) গ্রহণ করি। কিন্তু আমরা এই গ্যাস গুলোর কোনো রং দেখতে পায়না। কেননা, এগুলো অদৃশ্য। তাই বিশুদ্ধ পানি ও বর্ণহীন হয়ে থাকে।

আলো ও রং কী?

এখন আমাদের জানা দরকার যে সমুদ্রের পানির রং আসলে নীল নাকি অন্য কিছু। আর এটা জানতে হলে প্রথমত প্রকৃতির আলো এবং রং সম্পর্কে জানা দরকার।

মূলত আমরা রঙিন যা কিছু দেখি তা আলোর কারসাজি। মূল কথা আলোয় রং সৃষ্টি করে থাকে।

আলো এক ধরণের তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ। এই তরঙ্গকে পরিমাপ করার জন্য 'তরঙ্গদৈর্ঘ্য' টার্ম ব্যবহার করা হয়। এর একক ন্যানোমিটার হিসাবে কাউন্ট করা হয়। প্রতিটা আলোর জন্য তরঙ্গদৈর্ঘ্য নির্দিষ্ট। আর আলোর রং মূলত আলোর বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের জন্য হয়ে থাকে। অর্থাৎ , আলো নামক তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের সাথে আলোর রং পরিবর্তিত হয়। যেমন - আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ যখন ৬৩৫ থেকে ৭০০ ন্যানোমিটার তখন তাকে লাল দেখায় , আবার একই আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যখন পরিবর্তিত হয়ে ৪৫০ থেকে ৪৯০ ন্যানোমিটার হয় তখন তাকে নীল দেখায়।

আমরা বিভিন্ন বস্তুর রং বিভিন্ন রঙের দেখে থাকি। কারণ বিভিন্ন বস্তু থেকে বিভিন্ন রঙের আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে আসে। আমরা যেই রঙের বস্তুই দেখি না কেন তার মানে হলো বস্তু ওই রঙের আলো শোষণ করে না, বাকি সব রঙের আলো শোষণ করে। যখন আমরা কোনো সাদা বস্তু দেখি তার মানে হলো ওই বস্তু কোনো তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো শোষণ করেন , সব তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো প্রতিফলিত করে দেয়। আবার কালো রঙের বস্তু দেখি কারণ ঐ বস্তু সব তরঙ্গধ্যৈর্ঘের আলো শোষণ করে নেয়।

সমুদ্রের পানি নীল কেন?

এখন আমরা মূল প্রশ্নে আসি। নীল আকাশের প্রতিফলনের কারণে বড় লেক বা সমুদ্রের পানি নীল দেখায় এটা আমরা সাধারণ ভাবে ধরে নিই। কিন্তু এটা মূল কারণ নয়। আসলে সমুদ্রের পানি নীল এবং সে কারণেই মূলত সমুদ্র নীল দেখায়। যদিও কথাটা বিশ্বাস হচ্ছেনা। কেননা একটু আগেই উপরে আলোচনা করা হয়েছে যে পানি আসলে বর্ণহীন। এখন সমুদ্রের পানি নীল কিনা সেটা জানতে হলে আমাদের পানিতে আলোর ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে জানতে হবে।

আমরা জানি সূর্যের আলো বা রোদ মূলত সাতটি ভিন্ন ভিন্ন রঙের সমষ্টি। বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল। এই বিভিন্ন রঙের আলো তার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ভিত্তিতে পরপর সজ্জিত থাকে। এখন পানির একটি বিশেষ ধর্ম হলো অপেক্ষাকৃত বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো শোষণ করা এবং কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো শোষণ না করা। সুতরাং সূর্যের আলো যখন সমুর পৃষ্ঠে পড়ে তখন লাল, কমলা ও হলুদ রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হওয়াতে সমুদ্রের পানি কর্তৃক দ্রুত শোষিত হয়, কিন্তু অপেক্ষাকৃত নীল রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম হওয়াতে তা কম শোষিত হয়। ফলে নীল রঙের আলো দ্রুত সমুদ্র গর্ভের প্রায় ৩০ মিটার পর্যন্ত ঢুকে পড়ে এবং অশোষিত নীল আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে লাগে।

ছবি : নীল সাগর

ফলে এই নীল আলোর মিশ্রনে পানি কিছুটা নীলাভ রং ধারণ করে। কিন্তু এটা এটি সামান্য যে সহজে বোঝা যায় না। সমুদ্র বা বড় লেকের পানির পরিমান ও গভীরতা বেশি বলে সেখানে নীলের আধিক্য চোখে ধরা পড়ে। ফলশ্রুতিতে সমুদ্রের পানি নীল দেখায়। তাছাড়া লবন ও অন্যান্য খনিজের রং ও সমুদ্রের পানিতে কিছুটা দেখা যায়। পরিষ্কার নীল আকাশ থাকলে তার প্রতিফলন ও সমুদ্রের পানিতে ঘটে। কিন্তু সে জন্য সমুদ্র মোটামুটি শান্ত থাকতে হবে আর সেই নীল আকাশের ছায়া দেখার জন্য একটু নিচু হয়ে অন্তত ১০ ডিগ্রির কম কোন তাকাতে হবে।

তবে সমুদ্রের পানি যে শুধু নীল হয় তা কিন্তু সঠিক নয়। যেমন আটলান্টিকের পানির রং সবুজ। আবার লোহিত সাগরের পানির রং লাল। শুধু কী তাই ! কালো রঙের পানি বিশিষ্ট সাগরও রয়েছে কিন্তু। তাছাড়া তাকে লাগিয়ে দেয়ার মতো হলুদ রং বিশিষ্ট পীত সাগর ও আছে। আর বিভিন্ন রঙের পানি হওয়ার পেছনে রয়েছে বিভিন্ন কারণ।

ছবি : আটলান্টিকের সবুজাভ উপকূল

ছবি : লোহিত সাগর

ছবি : কৃষ্ণ সাগর

ছবি : পীত সাগর

তথ্যসূত্র : ব্যাপন (বিজ্ঞান সাময়িকী)



আমরা যখন জল গরম করি তখন জলের মধ্য থেকে বুদবুদ উঠতে থাকে।কারণ,

তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে জলে দ্রবীভূত গ্যাসগুলির দ্রবণীয়তা হ্রাস পায়, ফলে দ্রবীভূত বায়ু বুদবুদ আকারে জল থেকে বেরিয়ে যায়। যখন 100° তাপমাত্রায় অর্থাৎ স্ফুটনাঙ্ক এ পৌঁছায়, তখন জলের মধ্য থেকে বাষ্প তৈরি হয় যা বুদবুদ আকারে বার হতে থাকে।


এর কারন হচ্ছে তাপ বৃদ্ধি। এটি বাড়ার সাথে দ্রবীভূত গ্যাসগুলির দ্রবণীয়তা হ্রাস পায়। ফলে বায়ু জল থেকে বের হয়ে যায় ।


পানি মধ‍্যে ড্রপ দিয়ে বায়ু প্রবেশ করান। দেখবেন বুদ বুদ ঘটছে। সভাবিক পরিবেশে।

ঠিক তেমনি পানিকে তাপদিলে পানির গ‍্যাসে পদার্রিনত হয়। তাই ঘনত্বের জন‍্য উপরের দিকে ধাবমান হয়।

কীন্তু পানির উপরিতলে যে স্তর থাকে, যেটা পানির পৃষ্ঠ টানের জন‍্য সৃষ্টি হয়। এই পরদাকে বল প্রযোগ করে পৃষ্ঠটান কে অতিক্রম করতে হয়।

এর জন‍্য একটু বেশি সময় প্রযজন হয়।যার কারনে পৃষ্ঠে পানির কীছু কনার ওপর একটু বেশি সময় ধরে কাজ সম্পাদিত হয়। তাই কীছু কনা ছিটকে আছে।

এটা দেখে বুঝতে পারি পানি ফুটছে



কোনকিছু ভাঁজতে হলে ঐ জিনিসকে প্রায় ১৭০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে হয়। আমরা জানি পানির স্ফুটনাংক ১০০° সেলসিয়াস। এর পর পানির তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে পানি বাষ্পে পরিণত হয়ে যায়,, যার কারণে কোনকিছুকে গরম পানিতে রাখলে তা সিদ্ধ হয়।

অপরদিকে, তেল জাতীয় মানেই হাইড্রোকার্বন। কার্বনের তাপধারণ ক্ষমতা অনেকবেশি। তাই তেল কে গরম করে ১৭০° সেলসিয়াসের উপরে নেওয়া যায়। আর তেল এতো সহজে বাষ্পে পরিণত হয় না। এর কারণে আমরা কোনকিছুকে যখন গরম তেলে দিই তা সিদ্ধ না হয়ে ভাজা হয়ে যায়।

তেল ও জল যেমন এক হয় না তেমনই এদের কাজও ভিন্ন হয়।

পানিকে আপনি সর্বচ্চ ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম করতে পারেন। এর পর সেটি বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। কিন্তু তেল অধিক তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারে এর রাসায়নিক গঠনের কারণে।তাই এটি পানির থেকে অধিক তাপ ধারন করতে পারে।

গরম তেলে যখন কোনো বস্তু ছেড়ে দেন তখন গরম তেল ওই বস্তুর পৃষ্ঠে অবস্থান করা জলীয় কণাকে দ্রুত বাষ্পে পরিণত করে এবং বস্তুটির পৃষ্ঠকে ড্রাই করে দেয়। প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত এবং অধিক শব্দের সাথে হয়ে থাকে।

এইভাবেই তেলের ওপর ভাজা হয়।


পানিকে আপনি সর্বচ্চ ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম করতে পারেন। এর পর সেটি বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। কিন্তু তেল অধিক তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারে এর রাসায়নিক গঠনের কারণে।

গরম তেলে যখন কোনো বস্তু ছেড়ে দেন তখন গরম তেল ওই বস্তুর পৃষ্ঠে অবস্থান করা জলীয় কণাকে দ্রুত বাষ্পে পরিণত করে এবং বস্তুটির পৃষ্ঠকে ড্রাই করে দেয়। প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত এবং অধিক শব্দের সাথে হয়ে থাকে।

গরম তেলে কিছু ভাজার সময় কড়াইয়ে ঢাকনা দিয়ে রাখলে বাষ্পকণার উপস্থিতি লক্ষ করবেন।

এক গ্লাস জলের একটি নিদৃষ্ট আয়তন আছে, এবং একমুঠো লবণেরও একটি নিদৃষ্ট আয়তন আছে। তাহলে যখন দুটিকে মেশানো হবে, তাদের আয়তন যুক্ত হয়ে বেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা তো হয়না। জলের আয়তন একই থাকে । কমে যায় না কখনই।

এখানে লবন বলতে আমি খাবার সাধারণ লবন কেই ধরে নিচ্ছি, যার রাসায়নিক নাম সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)।

NaCl হল জলে দ্রব্য। এটি জলের সংস্পর্শে আসতেই বিশ্লেষিত হয়ে যায় ও জলের অনু গুলির সাথে দূর্বল vanderwall বলের মাধ্যমে স্থিরতা লাভ করে।

বিক্রিয়া:
NaCl(solid) + H2O -> 
Na+(aqueous) Cl-(aqueous) + H2O

Na+ এবং Cl- আয়ন গুলি জলের অনুর খাঁচায়(ক্যাভেটি) বন্দী হয় যার জন্য লবন মিশ্রিত জলের আয়তন বেড়ে যায় না।

কিন্তু নিদৃষ্ট তাপমাত্রায় যদি এক গ্লাস পরিমান জলের লবন দ্রবীভূত করার সীমা অতিক্রম করে তবে তখন আর নতুন করে কোনো লবন অনুর বিশ্লেষণ ঘটে না, তা থিতিয়ে পরে গ্লাসের নীচে যার ফলে জল উপচে পড়তে পারে ।

পৃষ্ঠটানের কারণে।

পৃষ্টটানের ক্ষেত্রে দুটি বল হলো সংসক্তি বা সংযুক্তি বল। অন্যটি আসঞ্জন বা আসক্তি বল। সংসক্তি বল হলো একই পদার্থের বিভিন্ন অণুর মধ্যে আকষর্ণ বল। আর আসক্তি ভিন্ন পদার্থের অণুর মধ্যেকার আকর্ষণ বল। পানির ক্ষেত্রে আসক্তি বলের মান সংসক্তি বলের চেয়ে বেশি। অর্থাৎ গ্লাসে পানি রাখলে পানির অণুসমূহের মধ্যেকার আকর্ষণ বল পানি ও গ্লাসের অণুসমূহের সাথে পানির অণুর আকর্ষণ বলের চেয়ে কম থাকে। পরবর্তীতে যখন লবণ যোগ করা হয় তখন দ্রবণের ঘনত্ব বেড়ে যায়। ফলে সংসক্তি বলের পরিমাণ আসক্তি বলের তুলনায় বেশি হয়ে যায়। দ্রবণের অণুসমূহের আকর্ষণ বল বেড়ে যাওয়ায় তারা আরো ঘনীভূত হয় এবং কাছাকাছি অবস্থানে চলে আসে। তাই গ্লাসে তখন পানির উপচে পড়ার পরিবর্তে পানির স্তর আরো নিচে নেমে আসে।

ডিমের ভিতর যে সাদাটে তরল পদার্থ থাকে সেটি আসলে কোন সাধারণ তরল পদার্থ নয়। বরং এটি হলো একটি প্রোটিন। যাকে বলে “অ্যালবুমিন”। প্রোটিনের একটি প্রকারভেদ হলো টারশিয়ারি প্রোটিন। আর “অ্যালবুমিন” হলো সেই টারশিয়ারি প্রোটিন। তাপ প্রয়োগের ফলে ডিমের প্রোটিনের রাসায়নিক গঠনের পরিবর্তন ঘটে এবং তরল টারশিয়ারি প্রোটিন থেকে কঠিন প্রাইমারি প্রোটিনে রুপান্তরিত হয়। এই প্রাইমারি প্রোটিন হলো প্রোটিনের আরেকটি প্রকারভেদ। সুতরাং ডিমে তাপ দিলে ভৌত অবস্থার পরিবর্তনে বাষ্প না হয়ে রাসায়নিক অবস্থার পরিবর্তন হয়ে কঠিন অবস্থায় রুপ নেয়।

গ্লুকোজ বা চিনির দ্রবন তৈরি করার সময় দ্রবন বাহির থেকে তাপ শুষে নেয় , তার দ্রবীভূত পক্রিয়া সম্পন্ন করতে । একে তাপহারি বিক্রিয়া বলে । এর জন্য দ্রবন ঠাণ্ডা হয়ে যায়।



পানিতে গ্লুকোজ দ্রবীভূত করা একটি এন্ডোথারমিক প্রক্রিয়া।

থার্মোডায়নামিক্সে, এন্ডোথারমিক শব্দটি এমন একটি প্রক্রিয়া বা প্রতিক্রিয়ার বর্ণনা দেয় যাতে সিস্টেম তার চারপাশের শক্তি তাপের আকারে গ্রহণ করে।

সুতরাং, যখন কিছু গ্লুকোজ পানিতে যুক্ত হয়, তখন গ্লুকোজের দ্রবণ তৈরি করতে অর্থাৎ গ্লুকোজকে দ্রবীভুত করতে পানি-গ্লুকোজ সিস্টেম তার চারপাশের জায়গা থেকে শক্তি আকারে তাপ গ্রহণ করে।

ফলস্বরূপ, পানির তাপমাত্রা হ্রাস পায়, যার ফলে এটি শীতল হয়ে যায়।


পানি এবং গ্লুকোজের মিশ্রণে যে বিক্রিয়া সম্পন্ন হয় সেটি তাপহারী বিক্রিয়া। একারণে দ্রবণ শীতল হয়ে যায়।




ফিটকিরি একটি double salt. সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত ফিটকিরির (alum) formula হচ্ছে KAl(SO4)2,12H2O. এছাড়া অন্য ফিটকিরি হচ্ছে সোডা ফিটকিরি, NaAl(SO4)2, 12H2O; Ammonium ফিটকিরি, NH4Al(SO4)2, 12H2O এবং Chrome ফিটকিরি, KCr(SO4)2, 12H2O. খাবার জল বিশুদ্ধকরণে ফিটকিরির ব্যবহার flocculant হিসাবে হয়। ঘোলাটে জলে (colloidal জলে) ফিটকিরি দিলে flocculation হয় অর্থাৎ যেসব solid material এর জন্য জল ঘোলাটে হয়েছে সেগুলো floc বা flakes হয়ে ঘোলা জল থেকে বেরিয়ে এসে নীচে settled হয় এবং জল clear অর্থাৎ স্বচ্ছ হয়ে যায়।


ফিটকিরি হলো সোডিয়াম এবং এলুমিনিয়ামের একটি যৌগ লবণ। ফিটকিরির রাসায়নিক নাম পটাশ এলাম। এর রাসায়নিক সংকেত K2SO4.Al2(SO4)3 . 24H2O


ফিটকিরি হলো সোডিয়াম এবং এলুমিনিয়ামের একটি যৌগ লবণ। ফিটকিরির রাসায়নিক নাম পটাশ এলাম। এর রাসায়নিক সংকেত K2SO4.Al2(SO4)3 . 24H2O

সামান্য পরিমাণ ফিটকিরি পানিতে মিশিয়ে ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করে তা থেকে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে পাত্রের উপর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হবে ও তলানি ফেলে দিতে হবে।

সাধারণত কত পরিমাণ পটাশ মেশাতে হয় এর কোন সুনির্দিষ্ট কোন হিসেব নেই তবে এর আদর্শ মিশ্রণ অনুমান করা হয় প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম পটাশ মিশ্রণ করা।

এ পদ্ধতিতে পানি থেকে জীবাণু মেরে ফেলা গেলেও পানি থেকে ক্ষতিকর ভারী পদার্থ (আর্সেনিক,ক্যাডমিয়াম, সীসা ইত্যাদি) দূর করা সম্ভব নয়।