Recent Post
Loading...

 অযুগ্ম মানে হলো যুগ্ম নয়/অযুগল

সহজ ভাষায় বলতে গেলে single😊

Ni(28)- [Ar] 3d8 4s2

Then,Ni2+ means 2টি ইলেকট্রন কমবে

মানে, সর্বশেষ কক্ষপথের দুইটি ইলেকট্রন চলে যাবে

আর সর্বশেষ কক্ষপথ হল 4s2

তাহলে Ni2+ এর ইলেকট্রন বিন্যাস - [Ar] 3d8

হুন্ডের নীতি অনুযায়ী, ইলেকট্রনগুলো কোন অরবিটালে প্রবেশের সময় প্রথমে একমুখী স্পিনে(ঘড়ির কাটার দিকে) তারপর বিপরীতমুখী স্পিনে/ anticlockwise ভাবে প্রবেশ করে।

আমরা জানি,d orbital পাচটি উপ-উপশক্তিস্তরে বিন্যাস্ত

এখন 8টি ইলেকট্রনের প্রথম 5টি ইলেকট্রন clockwise ভাবে প্রবেশ করবে এবং বাকি 3টি ইলেকট্রন anticlockwise প্রবেশ করবে।

অতএব,শুধুমাত্র শেষ দুটি ঘরে single দুটি ইলেকট্রন ঘড়ির কাটার দিকমুখী হয়ে চুপচাপ বসে থাকবে।

সুতরাং, Ni2+ এ 2টি অযুগ্ম ইলেকট্রন আছে।

 HClO4 অধিক তীব্র Acid ।।

H2SO4 ও HClO4 উভয় অক্সিএসিড । অক্সি এসিডসমূহের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় পরমাণুর ধনাত্নক জারণ মান যার যত বেশি সেটি তত তীব্র এসিড।

H2SO4 এর কেন্দ্রীয় পরমাণু S এর জারণ মান +6 এবং HClO4 এর কেন্দ্রীয় পরমাণু Cl এর জারণ মান হচ্ছে +7 অথাৎ HClO4 এর কেন্দ্রীয় পরমাণুর ধনাত্নক জারণ মান H2SO4 অপেক্ষা বেশি। তাই HClO4 অধিক তীব্র।

তবে কেন্দ্রীয় পরমাণুর ধনাত্নক জারণ সমান হলে যে Acid এর কেন্দ্রীয় পরমাণুর আকার ছোট সেটা অধিক তীব্র হয়।।

H2SO4 এ S এর জারণ মান -

HClO4 এ Cl এর জারণ মান-

এই যৌগে S এর জারণ মান হচ্ছে +6 ।

দেখে নেওয়া যাক কিভাবে +6 হয় ,

ধরি S এর জারণ মান x

.°.(+2)×1+ X +(-2)×4=0

=> 2 + X -8 =0 => X - 6 =0

.°. X = 6

এখানে +2 ও -2 হচ্ছে যথাক্রমে Fe ও O এর জারণ মান।

FeSO4 এর Structure:

 উভয়ের কেন্দ্রীয়পরমানুর জারন সংখ্যা সমান +৭।কিন্ত ব্রোমিনপরমাণুর চেয়ে ক্লোরিন পরমানুর আকার ছোট হওয়ায় HClO4 এর তীব্রতা বেশি


 [Fe(CN) 6] 4-এর বর্ণ কী রুপ?

এর বর্ণ হল হলুদ।

 সালফিউরিক এসিড বেশি শক্তিশালী নাকি ওলিয়াম?

আগে দেখা যাক, সালফিউরিক এসিড কী এবং ওলিয়াম কী জিনিস।

সালফিউরিক এসিড বলতে গাড় সালফিউরিক এসিডকে বোঝানো হয় যাতে সালফিউরিক এসিড থাকে এর ভরের অনুপাতের ৯৮%, অর্থাৎ বাকি ২% পানি মেশানো থাকে।

অন্যদিকে ওলিয়াম বা ধূমায়মান সালফিউরিক এসিড বা পাইরোসালফিউরিক এসিড হলো ১০০% বিশুদ্ধ সালফিউরিক এসিডের মধ্যে সালফার ট্রাই অক্সাইডের মিশ্রণ!

H2SO4(100%) + SO3 —— > H2S2O7 (ওলিয়াম)

এই মিশ্রণে যেহেতু শতভাগ সালফিউরিক এসিড থাকে, তাই এর শক্তি বেশি হয়।

আর ওলিয়ামের মধ্যে পানি যোগ করেই গাড় সালফিউরিক এসিড প্রস্তুত করা হয়।

H2S2O7 + H2O —— > H2SO4 (98%)

পানি মেশানো মানেই ঘনমাত্রা কমে যাওয়া মানে শক্তি কমে যাওয়া।

এই জন্য সালফিউরিকএসিড থেকে ওলিয়াম বেশি শক্তিশালী।

 Fe এর পারমাণবিক সংখ্যা ২৬। সাধারণ অবস্থায় Fe এর ইলেকট্রনবিন্যাস লক্ষ করলে দেখা যায় এর শেষ কক্ষপথে ২ টি ইলেকট্রন থাকে।এরা এই ২টি ইলেকট্রন ত্যাগ করে বন্ধন গঠন করে। তখন এর যোজনী হয় ২। কিন্তু উত্তেজিত অবস্থায় Fe এর সর্বশেষ কক্ষপথে ৩টি ইলেকট্রন থাকে। সেক্ষেত্রে এরা ৩টি ইলেকট্রন ত্যাগ করে স্থিতিশীল হয়। তখন এর যোজনী ৩ হয়। এভাবে Fe এর যোজনী ২ ও ৩ হয়।

 সাধারণত যেকোনো এসিডের পাওয়ায় বা শক্তিমাত্রা নির্ভর করে ঐ এসিড কি পরিমাণ ক্ষারককে প্রশমিত করতে পারে। আবার ক্ষারক কি পরিমাণ এসিডকে প্রশমিত করতে পারে।

এজন্যই আমরা এসিডকে বলি এক ক্ষারীয়, দ্বিক্ষারীয় এসিড।

আবার ক্ষারককে বলি এক অম্লীয়, দ্বি-অম্লীয় ক্ষারক।

এবার আসি রাসায়নিক ব্যাখ্যায়।

ধরে নিলাম, H2SO4 শক্তিমাত্রা কতো আমরা জানি না। কিন্ত বিক্রিয়ায় দেখা গেলো ১ মোল H2SO4 কে পূর্ণ প্রশমিত করতে ২ মোল NaOH প্রয়োজন।

তাহলে কি আমরা বলতে পারি H2SO4 এর শক্তি বা পাওয়ার ২। এখন মনে প্রশ্ন, NaOH এর শক্তি কতো? অবশ্যই ১।

এজন্যই আমরা H2SO4 কে দ্বিক্ষারীয় এসিড বলি। যেমনটা ক্ষারকের জন্যও বলা যায়।

NaOH হলো এক অম্লীয় ক্ষারক।

মনে রাখবেন, এসিড ও ক্ষারকের H+ ও OH– এর সংখ্যা দেখে কেউ চটকরে শক্তি বা পাওয়ার বললে ভুল হবে।

Only neutralization reaction can define the power of Acidity or basicity.

What are the power or strength of those acids H3PO2, H2PO3, H2PO4????

 লঘু H₂SO₄ জলের পরিমাণ বেশি, কিন্তু এসিডের পরিমাণ কম।

সমস্ত এসিডই জলীয় দ্রবনে কাজ করে।

যে সকল এসিডে জলের পরিমাণ 50%এর কম তাদের লঘু এসিড বলে।

যে সকল এসিডে জল ও এসিড উভয়ের পরিমাণ 50% তাদের মধ্যম গাঢ় এসিড বলে।

যে সকল এসিডে এসিডের পরিমাণ 50% এর বেশি তাদের ঘন বা গাঢ় এসিড বলে।

এসিড জলীয় দ্রবণে আয়নে বিশ্লেষিত হয়ে H⁺আয়ন উৎপন্ন করে।

লঘু এসিডের জলীয় দ্রবণে এসিডের সমস্ত অণু বিশ্লেষিত হয়ে H⁺আয়নে পরিণত হয়, অন্যদিকে গাঢ় এসিডের ক্ষেত্রে জলের পরিমাণ কম থাকায় এসিডের সমস্ত অণু আয়নে বিশ্লেষিত হতে পারে না, কিছু সংখ্যক অণু অ-বিশ্লেষিত অবস্থায় থাকে।

গাঢ় এসিড দ্রবনে একক আয়তনে H⁺আয়নের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এর তীব্রতা লঘু এসিডের চেয়ে বেশি হয়।

 উপরের দুটি যৌগ যথাক্রমে হলো আয়রন ও ফ্লোরিন . এখানে আয়রন রঙ্গিন যৌগ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, কারণ আয়রন অবস্থান্তর মৌল, আমরা জানি পর্যায় সারণির যেসব ডি ব্লক মৌলের সর্বশেষ কক্ষপথে 1 থেকে 9 টি ইলেকট্রন থাকে তারা রঙিন যৌগ গঠন করে, সে হিসেবে আয়রনের ডি অরবিটালে 6 টি ইলেকট্রন রয়েছে , সুতরাং আয়রন একটি অবস্থান্তর মৌল, তাই আয়রন রঙিন যৌগ গঠন করে.

অন্যদিকে ফ্লোরিন হলো পর্যায় সারণির গ্রুপ 17 এর মৌল, গ্রুপ 17 মৌলগুলো হ্যালোজেন মৌল বলে, এরা তীব্র তড়িৎ ঋণাত্মক বিশিষ্ট মৌল, তাই এরা রঙিন যৌগ গঠন করে না.

 আগে যোজনীর সংজ্ঞা জেনে আসা যাক।

কোন মৌলের একটি পরমানুর শেষ কক্ষপথে যতগুলো বেজোড় *[বিজোড় নয়*] ইলেকট্রন আছে তাকে ঐ মৌলের যোজনী বলে।

সালফারের e– বিন্যাসঃ

[Ne] 3s₂ 3px₂ 3py₁ 3pz₁ 3d0

এখন এই স্বাভাবিক অবস্থায় সালফারের লাস্ট শেলে ২ টি বেজোড় ইলেকট্রন আছে। এ দুইটি ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে সালফার সমযোজী যৌগ তৈরী করে। অর্থাৎ এ অবস্থায় ওর যোজনী 2

উত্তেজিত অবস্থাঃ উপরের ইলেকট্রন বিন্যাসে লক্ষ করেন। লাস্ট শেলের 3d অরবিটাল ফাকা আছে। উত্তেজিত অবস্থায় 3px এর জোড়া ইলেকট্রনের একটি 3d তে চলে আসবে, ফলে সবশেষ কক্ষে চারটি বেজোড়

(বিজোড় নয়) ইলেক্ট্রন থাকছে এবং এই অবস্থায় এর যোজনী 4.

পুনরায় উত্তেজিত অবস্থাঃ

প্রথম উত্তেজিত অবস্থার মত ২য় ক্ষেত্রেও 3d অরবিটাল খালি আছে।একটা ইলেকট্রন যাবার পরেও 3d আরো অনেকগুলো ইলেক্ট্রন নিতে পারবে কারন d অরবিটালের ধারণক্ষমতা ১০.

এবার 3s2 এর ইলেকট্রন জোর ভেঙে ১ টি ইলেক্ট্রন আগের মত 3d এ প্রবেশ করবে। ফলে ইলেক্ট্রন বিন্যাস দাঁড়াবে এরূপঃ

S(16)=[Ne] 3s₁ 3px₁ 3py₁ 3pz₁ 3dxy₁3dyz₁

অর্থাৎ দেখেন এখানে এবার যোজ্যতা ইলেকট্রন আছে ৬ টা। এ অবস্থায় এর যোজনী 6 এবং সর্বোচ্চ।