আগে যোজনীর সংজ্ঞা জেনে আসা যাক।
কোন মৌলের একটি পরমানুর শেষ কক্ষপথে যতগুলো বেজোড় *[বিজোড় নয়*] ইলেকট্রন আছে তাকে ঐ মৌলের যোজনী বলে।
সালফারের e– বিন্যাসঃ
[Ne] 3s₂ 3px₂ 3py₁ 3pz₁ 3d0
এখন এই স্বাভাবিক অবস্থায় সালফারের লাস্ট শেলে ২ টি বেজোড় ইলেকট্রন আছে। এ দুইটি ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে সালফার সমযোজী যৌগ তৈরী করে। অর্থাৎ এ অবস্থায় ওর যোজনী 2
উত্তেজিত অবস্থাঃ উপরের ইলেকট্রন বিন্যাসে লক্ষ করেন। লাস্ট শেলের 3d অরবিটাল ফাকা আছে। উত্তেজিত অবস্থায় 3px এর জোড়া ইলেকট্রনের একটি 3d তে চলে আসবে, ফলে সবশেষ কক্ষে চারটি বেজোড়
(বিজোড় নয়) ইলেক্ট্রন থাকছে এবং এই অবস্থায় এর যোজনী 4.
পুনরায় উত্তেজিত অবস্থাঃ
প্রথম উত্তেজিত অবস্থার মত ২য় ক্ষেত্রেও 3d অরবিটাল খালি আছে।একটা ইলেকট্রন যাবার পরেও 3d আরো অনেকগুলো ইলেক্ট্রন নিতে পারবে কারন d অরবিটালের ধারণক্ষমতা ১০.
এবার 3s2 এর ইলেকট্রন জোর ভেঙে ১ টি ইলেক্ট্রন আগের মত 3d এ প্রবেশ করবে। ফলে ইলেক্ট্রন বিন্যাস দাঁড়াবে এরূপঃ
S(16)=[Ne] 3s₁ 3px₁ 3py₁ 3pz₁ 3dxy₁3dyz₁
অর্থাৎ দেখেন এখানে এবার যোজ্যতা ইলেকট্রন আছে ৬ টা। এ অবস্থায় এর যোজনী 6 এবং সর্বোচ্চ।
0 comments:
Post a Comment