Recent Post
Loading...

কৌশলগত দিক, বিক্রিয়ার ধারা ও উৎপন্ন বস্তুর প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে জৈব বিক্রিয়াকে কত শ্রেণিতে ভাগ করা যায়?

 
কৌশলগত দিক, বিক্রিয়ার ধারা ও উৎপন্ন বস্তুর প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে জৈব বিক্রিয়াকে ৪ শ্রেণীতে ভাগ করা যায়-

১. প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া : যে বিক্রিয়ায় কোন জৈব
যৌগ হতে এক বা একাধিক পরমাণু বা মূলক প্রতিস্থাপিত হয়ে সে স্থানে অধিকতর সক্রিয় কোন পরমাণু বা মূলক স্থাপিত হয় তাকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে। যেমন-

CH3Cl+KOH[জলীয়]→CH3OH+KCl

এখানে –OH মূলক দ্বারা হ্যালাইড মূলক প্রতিস্থাপিত হয়েছে ।

২. যুত বা সংযোজন বিক্রিয়া : যে বিক্রিয়ায় দুটি
পদার্থের সরাসরি বা প্রত্যক্ষ সংযোগে একটি
নতুন যৌগ গঠিত হয় তাকে যুত বিক্রিয়া বলে। এটি বন্ধনযুক্ত যৌগের বৈশিষ্ট্যমূলক বিক্রিয়া। যেমন-
H2C=CH2+Br2→H2C-CH2
∣ ∣
Br Br
অসম্পৃক্ত জৈব যৌগে এ বিক্রিয়ায় একটি বন্ধন
ভেঙ্গে দুটি বন্ধন সৃষ্টি হয়

৩. অপসারণ বিক্রিয়া : যে বিক্রিয়ায় কোন
যৌগের অণুস্থ পাশাপাশি দুটি বা চারটি পরমাণু বা মূলক অপসারিত হয়ে অসম্পৃক্ততার সৃষ্টি হয় তাকে অপসারণ বিক্রিয়া বলে। যেমন-

CH3-CH2-CH2+KOH[alc]→CH3-CH=CH
2+H2O+KCl

Cl

৪. সমাণুকরণ বিক্রিয়া : যে বিক্রিয়ায় কোন যৌগের অণুস্থ পরমাণুগুলো বা মূলকগুলো পুনর্বিন্যস্ত হয়ে একই আণবিক সংকেতবিশিষ্ট নতুন যৌগ তথা মূল যৌগের সমাণু উৎপন্ন করে তাকে পুনর্বিন্যাস বা সমাণুকরণ বিক্রিয়া বলে।

NH4CNO ---> NH2-CO-NH2

অ্যামোনিয়াম সায়ানেট --> ইউরিয়া