Recent Post
Loading...



আমরা যখন জল গরম করি তখন জলের মধ্য থেকে বুদবুদ উঠতে থাকে।কারণ,

তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে জলে দ্রবীভূত গ্যাসগুলির দ্রবণীয়তা হ্রাস পায়, ফলে দ্রবীভূত বায়ু বুদবুদ আকারে জল থেকে বেরিয়ে যায়। যখন 100° তাপমাত্রায় অর্থাৎ স্ফুটনাঙ্ক এ পৌঁছায়, তখন জলের মধ্য থেকে বাষ্প তৈরি হয় যা বুদবুদ আকারে বার হতে থাকে।


এর কারন হচ্ছে তাপ বৃদ্ধি। এটি বাড়ার সাথে দ্রবীভূত গ্যাসগুলির দ্রবণীয়তা হ্রাস পায়। ফলে বায়ু জল থেকে বের হয়ে যায় ।


পানি মধ‍্যে ড্রপ দিয়ে বায়ু প্রবেশ করান। দেখবেন বুদ বুদ ঘটছে। সভাবিক পরিবেশে।

ঠিক তেমনি পানিকে তাপদিলে পানির গ‍্যাসে পদার্রিনত হয়। তাই ঘনত্বের জন‍্য উপরের দিকে ধাবমান হয়।

কীন্তু পানির উপরিতলে যে স্তর থাকে, যেটা পানির পৃষ্ঠ টানের জন‍্য সৃষ্টি হয়। এই পরদাকে বল প্রযোগ করে পৃষ্ঠটান কে অতিক্রম করতে হয়।

এর জন‍্য একটু বেশি সময় প্রযজন হয়।যার কারনে পৃষ্ঠে পানির কীছু কনার ওপর একটু বেশি সময় ধরে কাজ সম্পাদিত হয়। তাই কীছু কনা ছিটকে আছে।

এটা দেখে বুঝতে পারি পানি ফুটছে



কোনকিছু ভাঁজতে হলে ঐ জিনিসকে প্রায় ১৭০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে হয়। আমরা জানি পানির স্ফুটনাংক ১০০° সেলসিয়াস। এর পর পানির তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে পানি বাষ্পে পরিণত হয়ে যায়,, যার কারণে কোনকিছুকে গরম পানিতে রাখলে তা সিদ্ধ হয়।

অপরদিকে, তেল জাতীয় মানেই হাইড্রোকার্বন। কার্বনের তাপধারণ ক্ষমতা অনেকবেশি। তাই তেল কে গরম করে ১৭০° সেলসিয়াসের উপরে নেওয়া যায়। আর তেল এতো সহজে বাষ্পে পরিণত হয় না। এর কারণে আমরা কোনকিছুকে যখন গরম তেলে দিই তা সিদ্ধ না হয়ে ভাজা হয়ে যায়।

তেল ও জল যেমন এক হয় না তেমনই এদের কাজও ভিন্ন হয়।

পানিকে আপনি সর্বচ্চ ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম করতে পারেন। এর পর সেটি বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। কিন্তু তেল অধিক তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারে এর রাসায়নিক গঠনের কারণে।তাই এটি পানির থেকে অধিক তাপ ধারন করতে পারে।

গরম তেলে যখন কোনো বস্তু ছেড়ে দেন তখন গরম তেল ওই বস্তুর পৃষ্ঠে অবস্থান করা জলীয় কণাকে দ্রুত বাষ্পে পরিণত করে এবং বস্তুটির পৃষ্ঠকে ড্রাই করে দেয়। প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত এবং অধিক শব্দের সাথে হয়ে থাকে।

এইভাবেই তেলের ওপর ভাজা হয়।


পানিকে আপনি সর্বচ্চ ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম করতে পারেন। এর পর সেটি বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। কিন্তু তেল অধিক তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারে এর রাসায়নিক গঠনের কারণে।

গরম তেলে যখন কোনো বস্তু ছেড়ে দেন তখন গরম তেল ওই বস্তুর পৃষ্ঠে অবস্থান করা জলীয় কণাকে দ্রুত বাষ্পে পরিণত করে এবং বস্তুটির পৃষ্ঠকে ড্রাই করে দেয়। প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত এবং অধিক শব্দের সাথে হয়ে থাকে।

গরম তেলে কিছু ভাজার সময় কড়াইয়ে ঢাকনা দিয়ে রাখলে বাষ্পকণার উপস্থিতি লক্ষ করবেন।

এক গ্লাস জলের একটি নিদৃষ্ট আয়তন আছে, এবং একমুঠো লবণেরও একটি নিদৃষ্ট আয়তন আছে। তাহলে যখন দুটিকে মেশানো হবে, তাদের আয়তন যুক্ত হয়ে বেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা তো হয়না। জলের আয়তন একই থাকে । কমে যায় না কখনই।

এখানে লবন বলতে আমি খাবার সাধারণ লবন কেই ধরে নিচ্ছি, যার রাসায়নিক নাম সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)।

NaCl হল জলে দ্রব্য। এটি জলের সংস্পর্শে আসতেই বিশ্লেষিত হয়ে যায় ও জলের অনু গুলির সাথে দূর্বল vanderwall বলের মাধ্যমে স্থিরতা লাভ করে।

বিক্রিয়া:
NaCl(solid) + H2O -> 
Na+(aqueous) Cl-(aqueous) + H2O

Na+ এবং Cl- আয়ন গুলি জলের অনুর খাঁচায়(ক্যাভেটি) বন্দী হয় যার জন্য লবন মিশ্রিত জলের আয়তন বেড়ে যায় না।

কিন্তু নিদৃষ্ট তাপমাত্রায় যদি এক গ্লাস পরিমান জলের লবন দ্রবীভূত করার সীমা অতিক্রম করে তবে তখন আর নতুন করে কোনো লবন অনুর বিশ্লেষণ ঘটে না, তা থিতিয়ে পরে গ্লাসের নীচে যার ফলে জল উপচে পড়তে পারে ।

পৃষ্ঠটানের কারণে।

পৃষ্টটানের ক্ষেত্রে দুটি বল হলো সংসক্তি বা সংযুক্তি বল। অন্যটি আসঞ্জন বা আসক্তি বল। সংসক্তি বল হলো একই পদার্থের বিভিন্ন অণুর মধ্যে আকষর্ণ বল। আর আসক্তি ভিন্ন পদার্থের অণুর মধ্যেকার আকর্ষণ বল। পানির ক্ষেত্রে আসক্তি বলের মান সংসক্তি বলের চেয়ে বেশি। অর্থাৎ গ্লাসে পানি রাখলে পানির অণুসমূহের মধ্যেকার আকর্ষণ বল পানি ও গ্লাসের অণুসমূহের সাথে পানির অণুর আকর্ষণ বলের চেয়ে কম থাকে। পরবর্তীতে যখন লবণ যোগ করা হয় তখন দ্রবণের ঘনত্ব বেড়ে যায়। ফলে সংসক্তি বলের পরিমাণ আসক্তি বলের তুলনায় বেশি হয়ে যায়। দ্রবণের অণুসমূহের আকর্ষণ বল বেড়ে যাওয়ায় তারা আরো ঘনীভূত হয় এবং কাছাকাছি অবস্থানে চলে আসে। তাই গ্লাসে তখন পানির উপচে পড়ার পরিবর্তে পানির স্তর আরো নিচে নেমে আসে।

ডিমের ভিতর যে সাদাটে তরল পদার্থ থাকে সেটি আসলে কোন সাধারণ তরল পদার্থ নয়। বরং এটি হলো একটি প্রোটিন। যাকে বলে “অ্যালবুমিন”। প্রোটিনের একটি প্রকারভেদ হলো টারশিয়ারি প্রোটিন। আর “অ্যালবুমিন” হলো সেই টারশিয়ারি প্রোটিন। তাপ প্রয়োগের ফলে ডিমের প্রোটিনের রাসায়নিক গঠনের পরিবর্তন ঘটে এবং তরল টারশিয়ারি প্রোটিন থেকে কঠিন প্রাইমারি প্রোটিনে রুপান্তরিত হয়। এই প্রাইমারি প্রোটিন হলো প্রোটিনের আরেকটি প্রকারভেদ। সুতরাং ডিমে তাপ দিলে ভৌত অবস্থার পরিবর্তনে বাষ্প না হয়ে রাসায়নিক অবস্থার পরিবর্তন হয়ে কঠিন অবস্থায় রুপ নেয়।

গ্লুকোজ বা চিনির দ্রবন তৈরি করার সময় দ্রবন বাহির থেকে তাপ শুষে নেয় , তার দ্রবীভূত পক্রিয়া সম্পন্ন করতে । একে তাপহারি বিক্রিয়া বলে । এর জন্য দ্রবন ঠাণ্ডা হয়ে যায়।



পানিতে গ্লুকোজ দ্রবীভূত করা একটি এন্ডোথারমিক প্রক্রিয়া।

থার্মোডায়নামিক্সে, এন্ডোথারমিক শব্দটি এমন একটি প্রক্রিয়া বা প্রতিক্রিয়ার বর্ণনা দেয় যাতে সিস্টেম তার চারপাশের শক্তি তাপের আকারে গ্রহণ করে।

সুতরাং, যখন কিছু গ্লুকোজ পানিতে যুক্ত হয়, তখন গ্লুকোজের দ্রবণ তৈরি করতে অর্থাৎ গ্লুকোজকে দ্রবীভুত করতে পানি-গ্লুকোজ সিস্টেম তার চারপাশের জায়গা থেকে শক্তি আকারে তাপ গ্রহণ করে।

ফলস্বরূপ, পানির তাপমাত্রা হ্রাস পায়, যার ফলে এটি শীতল হয়ে যায়।


পানি এবং গ্লুকোজের মিশ্রণে যে বিক্রিয়া সম্পন্ন হয় সেটি তাপহারী বিক্রিয়া। একারণে দ্রবণ শীতল হয়ে যায়।




ফিটকিরি একটি double salt. সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত ফিটকিরির (alum) formula হচ্ছে KAl(SO4)2,12H2O. এছাড়া অন্য ফিটকিরি হচ্ছে সোডা ফিটকিরি, NaAl(SO4)2, 12H2O; Ammonium ফিটকিরি, NH4Al(SO4)2, 12H2O এবং Chrome ফিটকিরি, KCr(SO4)2, 12H2O. খাবার জল বিশুদ্ধকরণে ফিটকিরির ব্যবহার flocculant হিসাবে হয়। ঘোলাটে জলে (colloidal জলে) ফিটকিরি দিলে flocculation হয় অর্থাৎ যেসব solid material এর জন্য জল ঘোলাটে হয়েছে সেগুলো floc বা flakes হয়ে ঘোলা জল থেকে বেরিয়ে এসে নীচে settled হয় এবং জল clear অর্থাৎ স্বচ্ছ হয়ে যায়।


ফিটকিরি হলো সোডিয়াম এবং এলুমিনিয়ামের একটি যৌগ লবণ। ফিটকিরির রাসায়নিক নাম পটাশ এলাম। এর রাসায়নিক সংকেত K2SO4.Al2(SO4)3 . 24H2O


ফিটকিরি হলো সোডিয়াম এবং এলুমিনিয়ামের একটি যৌগ লবণ। ফিটকিরির রাসায়নিক নাম পটাশ এলাম। এর রাসায়নিক সংকেত K2SO4.Al2(SO4)3 . 24H2O

সামান্য পরিমাণ ফিটকিরি পানিতে মিশিয়ে ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করে তা থেকে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে পাত্রের উপর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হবে ও তলানি ফেলে দিতে হবে।

সাধারণত কত পরিমাণ পটাশ মেশাতে হয় এর কোন সুনির্দিষ্ট কোন হিসেব নেই তবে এর আদর্শ মিশ্রণ অনুমান করা হয় প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম পটাশ মিশ্রণ করা।

এ পদ্ধতিতে পানি থেকে জীবাণু মেরে ফেলা গেলেও পানি থেকে ক্ষতিকর ভারী পদার্থ (আর্সেনিক,ক্যাডমিয়াম, সীসা ইত্যাদি) দূর করা সম্ভব নয়।



সুপ্ত যোজনী জানতে হলে আপনাকে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে তা হলো মৌলের সর্বোচ্চ যোজনী বা যোজনী এবং সক্রিয় যোজনী কী।

সর্বোচ্চ যোজনী বা যোজনী হলো কোনো মৌলের সর্বশেষ শক্তিস্তর থেকে ইলেকট্রন ত্যাগ বা গ্রহণ করার ক্ষমতা।

ক্যালসিয়ামের সর্বশেষ শক্তিস্তরে ইলেকট্রন সংখ্যা ২। অর্থাৎ, তা সর্বোচ্চ ২ টি ইলেকট্রন ত্যাগ করার ক্ষমতা 4। তাই, এর সর্বোচ্চ যোজনী ২।

অক্সিজেন এর সর্বশেষ শক্তিস্তরে ইলেকট্রন সংখ্যা ৬। কিন্তু, সে সর্বোচ্চ দুটি ইলেকট্রন গ্রহণ করার ক্ষমতা রাখে, তাই, এর সর্বোচ্চ যোজনী ২।

আর, এই ৪ টা অক্সিজেন এর যোজনী হবে ৮।

এখানে, কেন্দ্রীয় মৌল হলো সালফার যার সর্বোচ্চ যোজনী ৬।

আবার, যৌগ গঠনকালে কোনোমৌলের ব্যবহৃত যোজনীই হলো, ঐ মৌলের সক্রিয় যোজনী।

এখন, CaSO4 যৌগে সালফারের যোজনী 'x' হলে,

আমরা লিখতে পারি,

২+x+(-২×৪)=০ [অক্সিজেন ইলেকট্রন গ্রহণ করে ,তাই ঋণাত্মক]

বা,x-৮+২=০

সুতরাং, x=৬ ।

অর্থাৎ, যৌগটিতে সালফারের সক্রিয় যোজনী হলো ৬।

এখন আসি মূল জায়গায়, সুপ্ত যোজনী আসলে কি?

কোন মৌলের সর্বোচ্চ যোজনী ও সক্রিয় যোজনীর মধ্যে পার্থক্যকে ঐ মৌলের সুপ্ত যোজনী বলে।

অর্থাৎ, সুপ্ত যোজনী = সর্বোচ্চ যোজনী - সক্রিয় যোজনী।

তাহলে, CaSO4 যৌগে সালফারের সুপ্ত যোজনী,

= সালফারের সক্রিয় যোজনী (৬) - সালফার যার সর্বোচ্চ যোজনী হয় (৬)

=০

অর্থাৎ, CaSO4 যৌগে সালফারের সুপ্ত যোজনী ০।



অযুগ্ম মানে হলো যুগ্ম নয়/অযুগল

সহজ ভাষায় বলতে গেলে single😊

Ni(28)- [Ar] 3d8 4s2

Then,Ni2+ means 2টি ইলেকট্রন কমবে

মানে, সর্বশেষ কক্ষপথের দুইটি ইলেকট্রন চলে যাবে

আর সর্বশেষ কক্ষপথ হল 4s2

তাহলে Ni2+ এর ইলেকট্রন বিন্যাস - [Ar] 3d8

হুন্ডের নীতি অনুযায়ী, ইলেকট্রনগুলো কোন অরবিটালে প্রবেশের সময় প্রথমে একমুখী স্পিনে(ঘড়ির কাটার দিকে) তারপর বিপরীতমুখী স্পিনে/ anticlockwise ভাবে প্রবেশ করে।

আমরা জানি,d orbital পাচটি উপ-উপশক্তিস্তরে বিন্যাস্ত

এখন 8টি ইলেকট্রনের প্রথম 5টি ইলেকট্রন clockwise ভাবে প্রবেশ করবে এবং বাকি 3টি ইলেকট্রন anticlockwise প্রবেশ করবে।

অতএব,শুধুমাত্র শেষ দুটি ঘরে single দুটি ইলেকট্রন ঘড়ির কাটার দিকমুখী হয়ে চুপচাপ বসে থাকবে।

সুতরাং, Ni2+ এ 2টি অযুগ্ম ইলেকট্রন আছে।



পর্যায় সারণীর 1নং গ্রুপে ৭ টি মৌল H ছাড়া অন্য ৬ টি মৌল ক্ষার ধাতু বলে। আমার জানি, একই পর্যায়ে বাম থেকে ডানে গেলে পরমাণু আকার কমে। আর গ্যাসীয় অবস্থায় কোনো মৌলের এক মোল গ্যাসীয় পরমাণু থেকে এক মোল ইলেকট্রন অপসারণ করে যে শক্তির প্রয়োজন হয়, তাকে ঐ মৌলের আয়নিকরণ শক্তি বলে। পরমাণু আকার কমে আয়নিকরণ শক্তির মান বাড়ে আর পরমাণু আকার বাড়ে আয়নিকরণ শক্তির মান কমে। ক্ষার ধাতু হচ্ছে পর্যায় সারণি বামে অবস্থিত তাই পরমাণু আকার বেশি। আর পরমাণু আকার বেশি মানে আয়নিকরণ শক্তি মান কম। পর্যায় সারণিতে ক্ষারধাতুগুলো গ্রুপ ১ এ অবস্থান করে।

এখন জানতে হবে #আয়নিকরণ শক্তি কি কি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল :
 (১)গ্রুপভিত্তিক সম্পর্ক : সাধারণত পর্যায়সারণীতে একই গ্রুপের মৌলসমূহের পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে আয়নিকরণ শক্তি কমতে থাকে।এর কারণ হচ্ছে একই গ্রুপ বা শ্রেণিতে পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ইলেকট্রনের শক্তিস্তর বাড়তে থাকে,ফলে সর্ববহিস্থ ইলেকট্রন নিউক্লিয়াস থেকে ক্রমশ দূরবর্তী হয় এবং এর উপর নিউক্লিয়াসের আকর্ষন শক্তি কমতে থাকে। তাই আয়নিকরণ শক্তি বা বিভব কম হয়। 

২)পর্যায়ভিত্তিক সম্পর্ক: আনুভূমিকভাবে একই পর্যায়ে পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে মৌলের আয়নিকরণ শক্তি সাধারণত ক্রমশ বাড়ে(কয়েকটি ব্যতিক্রমসহ)।কেননা একই পর্যায়ে পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে ইলেকট্রনের শক্তিস্তর বাড়ে না,ফলে নিউক্লিয়াস থেকে সর্ববহিস্থ ইলেকট্রনের দূরত্ব বাড়ে না বরং কিছু কমে যায়।উপরস্থ নিউক্লিয়াসের চার্জ বৃদ্ধির ফলে সর্ববহিস্থ ইলেকট্রনটি অধিকতর দৃঢ়ভাবে আকৃষ্ট হয় অর্থাৎ তা অপসারণের জন্য অধিকতর শক্তির প্রয়োজন হয়।এতে বোঝা যায় ,যে কোন পর্যায়ে IA উপশ্রেণীর মৌলসমূহের আয়নিকরণ শক্তি সবচেয়ে কম এবং নিষ্ক্রিয় মৌলসমূহের আয়নিকরণ শক্তি সবচেয়ে বেশি। 

৩)ইলেকট্রন বিন্যাসভিত্তিক সম্পর্ক: আয়নিকরণ শক্তি মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসের উপরও নির্ভরশীল। তাই আনুভূমিক পর্যায়ে আয়নিকরণ শক্তি ক্রমশ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয়।
যেমন: 

(১)বোরণের আয়নিকরণ শক্তি বেরিলিয়াম অপেক্ষা কম। 

(২)অক্সিজেনের আয়নিকরণ শক্তি নাইট্রোজেন অপেক্ষা কম।



এস টি পি তে আদর্শ গ্যাসের আয়তন ২২.৪ লিটার/ মোল। আবার মোল সংখ্যা n = w/M. এখানে w= ১ গ্রাম। হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ও আর্গন র আনবিক ওজন যথাক্রমে ২,১৪,১৬ ও ৪০ ( প্রায়) ।সুতরাং ১ গ্রাম হাইড্রোজেন র মোল সংখ্যা সর্বাধিক এবং সবচেয়ে বেশি আয়তন দখল করবে।