পর্যায় সারণীর 1নং গ্রুপে ৭ টি মৌল H ছাড়া অন্য ৬ টি মৌল ক্ষার ধাতু বলে। আমার জানি, একই পর্যায়ে বাম থেকে ডানে গেলে পরমাণু আকার কমে। আর গ্যাসীয় অবস্থায় কোনো মৌলের এক মোল গ্যাসীয় পরমাণু থেকে এক মোল ইলেকট্রন অপসারণ করে যে শক্তির প্রয়োজন হয়, তাকে ঐ মৌলের আয়নিকরণ শক্তি বলে। পরমাণু আকার কমে আয়নিকরণ শক্তির মান বাড়ে আর পরমাণু আকার বাড়ে আয়নিকরণ শক্তির মান কমে। ক্ষার ধাতু হচ্ছে পর্যায় সারণি বামে অবস্থিত তাই পরমাণু আকার বেশি। আর পরমাণু আকার বেশি মানে আয়নিকরণ শক্তি মান কম। পর্যায় সারণিতে ক্ষারধাতুগুলো গ্রুপ ১ এ অবস্থান করে।
এখন জানতে হবে #আয়নিকরণ শক্তি কি কি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল :
(১)গ্রুপভিত্তিক সম্পর্ক : সাধারণত পর্যায়সারণীতে একই গ্রুপের মৌলসমূহের পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে আয়নিকরণ শক্তি কমতে থাকে।এর কারণ হচ্ছে একই গ্রুপ বা শ্রেণিতে পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ইলেকট্রনের শক্তিস্তর বাড়তে থাকে,ফলে সর্ববহিস্থ ইলেকট্রন নিউক্লিয়াস থেকে ক্রমশ দূরবর্তী হয় এবং এর উপর নিউক্লিয়াসের আকর্ষন শক্তি কমতে থাকে। তাই আয়নিকরণ শক্তি বা বিভব কম হয়।
২)পর্যায়ভিত্তিক সম্পর্ক: আনুভূমিকভাবে একই পর্যায়ে পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে মৌলের আয়নিকরণ শক্তি সাধারণত ক্রমশ বাড়ে(কয়েকটি ব্যতিক্রমসহ)।কেননা একই পর্যায়ে পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে ইলেকট্রনের শক্তিস্তর বাড়ে না,ফলে নিউক্লিয়াস থেকে সর্ববহিস্থ ইলেকট্রনের দূরত্ব বাড়ে না বরং কিছু কমে যায়।উপরস্থ নিউক্লিয়াসের চার্জ বৃদ্ধির ফলে সর্ববহিস্থ ইলেকট্রনটি অধিকতর দৃঢ়ভাবে আকৃষ্ট হয় অর্থাৎ তা অপসারণের জন্য অধিকতর শক্তির প্রয়োজন হয়।এতে বোঝা যায় ,যে কোন পর্যায়ে IA উপশ্রেণীর মৌলসমূহের আয়নিকরণ শক্তি সবচেয়ে কম এবং নিষ্ক্রিয় মৌলসমূহের আয়নিকরণ শক্তি সবচেয়ে বেশি।
৩)ইলেকট্রন বিন্যাসভিত্তিক সম্পর্ক: আয়নিকরণ শক্তি মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসের উপরও নির্ভরশীল। তাই আনুভূমিক পর্যায়ে আয়নিকরণ শক্তি ক্রমশ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয়।
যেমন:
(১)বোরণের আয়নিকরণ শক্তি বেরিলিয়াম অপেক্ষা কম।
(২)অক্সিজেনের আয়নিকরণ শক্তি নাইট্রোজেন অপেক্ষা কম।
Helpful
ReplyDelete